মিশেছো_আলো_ছায়াতে #Writer_Sintiha_Eva #part : 21

0
322

#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 21

🍁🍁🍁

সিমথি : তাহলে শ্রেয়া কে?

সিমথির কথায় আদি ভ্রু কুঁচকায়। এই শ্রেয়া টা আবার কে।

আদি : শ্রেয়া কে?

আদির প্রশ্নে সিমথি ধপ করে চোখ খুলে আদির দিকে তাকায়। আদির চোখে মুখে বিস্ময়। কি আশ্চর্য সিমথির চোখে ও বিস্ময়। সিমথি থেমে থেমে জিজ্ঞেস করে,,,

সিমথি : শ্রেয়া কে জানেন না।

আদি : জানলে কি জিজ্ঞেস করতাম।

সিমথি : মজা করছেন আমার সাথে।

আদি : তুমি কি আমার মজার মানুষ। তুমি তো ভালোবাসার মানুষ।

সিমথি : হিইই ফ্লাটবাজি কমিয়ে করেন। শ্রেয়ার কথা এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে ভুলে গেলেন।

আদি : আধো ও কোনো শ্রেয়া কে চিনতাম নাকি। আমার তো মনে পড়ছে না।

সিমথি : মিথ্যে বলবেন না।

আদি : ধ্যাত বা* মিথ্যে বলছি না। তুই চিনলে বল।

সিমথি : আপনার ক্রাশ।

আদি : আমার ক্রা,,,, এক মিনিট এক মিনিট তুই কি ওই শ্রেয়ার কথা বলছিস।

সিমথি : আজ্ঞে জ্বি।

আদি : আমার কবে কার ক্রাশ ছিলো।

সিমথি : কি মিথ্যুক রে বাবা। আমি যখন ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়তাম তখনই তো একদিন আয়াশ ভাইয়া কে বলেছিলেন শ্রেয়া আপনার ক্রাশ। ওর গলার ওই তিলে আপনি বার বার ক্রাশ খান। চোখের মায়ায় পড়ে যান ব্লা ব্লা। পুরো কলেজের মানুষ জানতো। ছিহহ কি বাজে নজর।

আদি : ওর গলায় তিল ছিলো বুঝি।

সিমথি : আপনার কি মনে হয়। আপনার মতো আমি ওর শরীর স্কেন করেছি।

আদি : হোপ ভাষা ঠিক কর। আর শ্রেয়া ফ্রেয়া কারোর উপরই ক্রাশ খায়নি। আয়াশকে তোর কথা বলেছি আর শা*লা বুঝেছে উল্টো।

সিমথি : একদম মিথ্যে বলবেন না।

আদি : আরে বাবা সত্যি। তোর গলায় যেই তিল টা আছে আমি ওটার কথা বলেছি।

আদির কথায় সিমথি গলায় নিজের তিলের উপর হাত রাখে। চোখ পাকিয়ে আদির দিকে তাকায়।

সিমথি : ছিহহহ। এই ছিলো আপনার মনে। বন্ধুর বোনের উপর কুদৃষ্টি দিতেন। আমি আজই ভাইয়াকে বলবো।

সিমথির কথায় আদি হেসে দেয়।

আদি : কি বলবে। ভাইয়া তোর ওই বন্ধু আদি আমার গলার তিলের উপর ক্রাশ খেয়েছে। আপাতত আমাকে তার বাচ্চার মা বানানোর প্ল্যানিং করছে। এটাই বলবে। তাহলে এখনই বলো। আমারই সুবিধা।

আদির কথায় সিমথির কান গরম হয়ে যায়। আদির থেকে চোখ সরিয়ে উঠে দাঁড়ায়।

সিমথি : আপনার মাইন্ড আর ভাষা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কন্ট্রোল করুন এগুলো। বোন হয় আপনার আমি মাইন্ড ইট।

আচমকায় আদি সিমথিকে টেবিলের সাথে চেপে ধরে। সিমথি আশ্চর্য হয়ে আদির দিকে তাকায়। আদি হেসে উঠে।

আদি : তুই চলে আয় আমার কাছে। ভাষা মাইন্ড দুইটাই কন্ট্রোলে চলে আসবে। আর তোমাকে দেখলে আমি এমনিতেই কন্ট্রোললেস হয়ে যায়। আর বাকি রইলো বোনের কথা। বন্ধুর বোনকে বউ বানানো যায় নট বোন। সো সেই সম্পর্কে তুই ও আমার বউ হবার যোগ্য নট বোন।

আদির একবার তুই একবার তুমি ডাকে সিমথি হাপিয়ে উঠে। আচমকা সিমথি হালকা হেসে আদির দিকে তাকায়। সিমথির হাসি মাখা মুখে দিকে আদির মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। আচমকায় চেঁচিয়ে উঠে।

আদি : মাগো এভাবে কেউ পা দিয়ে পাড়া দেয়। পা ছিলে গেছে মনে হয়।

সিমথি : হুটহাট কাছে আসতে হাত ধরতে নিষেধ করেছি না। আপনি মানা শুনেন না কেনো। নেক্সট আসলে জায়গা মতো দেবো। অস’ভ্য লোক একটা।

আদি : আমি যদি সভ্য হয় তাহলে পৃথিবীতে নিঝুম আসবে কিভাবে।

সিমথি : হু ইজ নিঝুম ( অবাক হয়ে)

আদি : আমাদের মেয়ে। আইমিন তোমার আর আমার মেয়ে।

আদির কথায় সিমথি বিষম খায়। তলে তলে এই ছেলে এতদূর চলে গেছে। সিমথি আদিকে বকতে বকতে কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়।

সিমথি : অ*স*ভ্য নি*র্ল*জ্জ ঠোঁট*কাটা লোক একটা। সিমেথি শেম অন ইউ। কিভাবে এমন ছেলের প্রেমে পড়েছিলি। ছিহ ছিহ। ( বিড়বিড় করতে করতে)

সিমথির পেছন পেছন আদি ও বের হয়ে। সিমথির ফেস রিয়াকশন দেখে আদি হাসতে হাসতে শেষ। আচমকা কারো হাসির শব্দে সকল স্টাফ রা তাকায়। সিমথিকে দেখেই সবাই উঠে দাঁড়ায়। সিমথি সবার দিকে একপলক তাকিয়ে চোখ রাঙিয়ে আদির দিকে তাকায়। সিমথির তাকানো দেখে আদি হাসি থামায়। সিমথি সামনে ফিরতেই আদি পুনরায় ঠোঁট চেপে হাসতে হাসতে বের হয়।

_______________

মেঘা : সিমথি তো আমাকে এসব জানালো না। আমাকে কেনো আমাদের কাউকেই জানায় নি।

আয়াশ : হয়তো ওর ইচ্ছে হয়নি। এসব নিয়ে আর বলার।

মেঘা : তার মানে সব শেষে এটাই দাঁড়ায় আদি ভাইয়াও সিমথিকে ভালোবাসে। তাই তো।

আয়াশ : ইয়েস মেডাম।

মেঘা : উফফস আয়াশ তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না আমি মানে আমি কত্তোটা খুশি হয়েছি। তোমাকে সামনে পেলে সোজা

আয়াশ : কি করতে কিস করতে নাকি।

মেঘা : ধ্যাত। জড়িয়ে ধরতাম।

মেঘার কথায় আয়াশ ফোনের ওপাশ থেকে হেসে উঠে। মেঘা ঠোট কামড়ে হেসে দেয়।

আয়াশ : মেঘপরী। ( আদুরে গলায়)

মেঘা : হ হুমম ব বলো।

আয়াশ : তোমার কন্ঠ কাঁপছে কেনো।

মেঘা : ক কই। বলো কি বলবে।

আয়াশ : দেখা করবে আজ।

মেঘা : কিন্তু,,

আয়াশ : প্লিজ তিনদিন হলো দেখিনা৷ কষ্ট হয় তো আমার।

আয়াশের আবদারী ভঙ্গিমার কথা শুনে মেঘা ঠোঁট কামড়ে কিছু একটা ভাবে।

মেঘা : ঠিক আছে। তবে রাতের দিকে টাইম হবে। এখন অনেক প্রেশার আছে।

আয়াশ : আমার তাতেই হবে। আমি জানিতো আমার বউ টা অনেক ব্যস্ত মানুষ। যতটুকু সময় দেবে আমি সেটাতেই হ্যাপি। ( খুশি হয়ে)

আয়াশের কথায় মেঘা হেসে উঠে। মেঘার সাথে ফোনের অপর পাশে আয়াশ ও হেসে দেয়। অতঃপর বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে আয়াশ মেঘা দুজনই ফোন কেটে দেয়। মেঘা পেছনে ফিরতেই রোদেলাকে গাল ফুলিয়ে করিডোর দিয়ে যেতে দেখে ভ্রু কুঁচকায়। অতঃপর কিছু মনে পড়তেই হেসে দেয়।

মেঘা : বেচারীকে ইফাজ ভাইয়া সেই লেবেলের ডোজ দিয়েছে আজ।

মেঘা আর দেরী না করে দ্রুত নিজের কেবিনের দিকে অগ্রসর হয়। চাপ আছে আজ। যেভাবেই হোক তাড়াতাড়ি সব কাজ শেষ করে আয়াশের সাথে দেখা করতে হবে। কথাগুলো মনে মনে ভেবে কেবিনে বসে।

নৌরিন : ম্যাম পার্সেল টা কে দিয়েছে জানেন কিছু।

সিমথি : না নৌরিন। এই ব্যাপারে কাউকে কিছু বলো না। স্পেশালি তুহিনদের।

নৌরিন : সিউর ম্যাম।

সিমথি : আজকের সিডিউল টা সেন্ড করো আমাকে। আমি এক ঘন্টার মধ্যে হসপিটালে পৌঁছে যাবো।

নৌরিন : ম্যাম ম্যাম

সিমথি : কিহ বলো।

নৌরিন : কোথাও যাবেন এখন।

সিমথি : একটা কাজ আছে। তোমাকে যা বললাম তা করো৷ এখন ছাড়ছি।

নৌরিন কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সিমথি ফোন কেটে দেয়। এই মেয়েটাকে সিমথি চোখ বুঁজে বিশ্বাস করতে পারে। প্রচন্ড বিশ্বস্ত। কথাগুলো মনে মনে আওড়িয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে কটেজের দিকে নেয়। বেশকিছু ক্ষণ পর নিদিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে।

সিমথি : ডাক্তার কি এখনো জীবিত নাকি মৃত।

অনিল : এ্যাঁ ( ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে)

অনিলের বলা শব্দ টা শুনে সিমথি বিরক্তি নিয়ে অনিলের দিকে তাকায়। দাঁতে দাঁত চেপে ধরে।

সিমথি : এতেগুলো বছর পেরিয়েছে মা*রা যেতেই পারে। অস্বাভাবিক কিছুই না।

অনিল : ম্যাম উনি এখনো জীবিত। তবে রিটার্ইন হয়েছে কিছু বছর আগে। উনার ফ্যামিলিতে আপাতত উনি, উনার দুই ছেলে, এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। হাসবেন্ডের সাথে কোরিয়ায় শিফট করছে। দুইজন ছেলের একজন পেশায় সিআইডি অফিসার। অন্য একজন এখন মাস্টার্স করছেন। বড় ছেলের নাম শাহরিয়ার শুভ্র। আর ছোট ছেলের নাম শাহরিয়ার শাহিন। উনার স্ত্রী তিন বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেন। ব্যস এটাই উনার বায়েডাটা।

সিমথি : এক মিনিট উনার বড় ছেলের নাম কি বললে।

অনিল : শাহরিয়ার শুভ্র।

সিমথি : ওহ নাইস। সিআইডি টিমের একজন বিচক্ষণ অফিসারের বাবা নিজেই কুকর্মের সাথে লিপ্ত। শুভ্র বা শাহিন উনারা কেউ উনার বাবার ব্যাপারে জানে।

অনিল : আমি যতদূর খোঁজ নিয়ে জেনেছি শুভ্র ছোট থেকেই হোস্টেলে থাকতো। শাহিন ওর বাবা-মায়ের সাথেই থাকতো কিন্তু শাহিন যখন নবম শ্রেনিতে পড়তো তখন ওকে ও হোস্টেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর শাহিন এখন একা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ঢাকা মিরপুরের দিকে থাকে। তবে মিরপুর কত নাম্বারে থাকে সেটা অজানা। মূলত শাহিনকে উনি সবার কাছ থেকে আড়াল করেই রেখেছে।

সিমথি : শাহিন বা শুভ্র ওরা কেউই আমার শত্রু বা বন্ধু কিছুই নয়। ওরা সম্পূর্ণ আলাদা। তবে মিস্টার ডক্টর আফজাল কে আমার প্রয়োজন। উনার খোজ নাও।

অনিল : সিউর ম্যাম৷ আফজাল সাহেব এখন গ্রামের বাড়ি আছেন। দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকায় পুনরায় আসবেন।

সিমথি : আসতে তো উনাকে হবেই। তবে হুমম এই টিপকস টা কেবল তুমি আর আমিই জানবো। অন্য কেউ যেনো জানতে না পারে।

অনিল : সিউর ম্যাম।

সিমথি : যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উনাকে ঢাকায় আনার ব্যবস্থা করো। আর খোঁজ চালিয়ে যাও।

অনিল : জ্বি ম্যাম।

সিমথি : বাই দ্য ওয়ে তোমার বোন এখন কেমন আছে।

অনিল : জ্বি ম্যাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে।

সিমথি : কিছু লাগলে জানিও। আর ওর খেয়াল রেখো।

অনিল মাথা নাড়িয়ে সায় দেয়। সিমথি পুনরায় বেরিয়ে যায় ৷ অনিল সিমথির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। মনে পড়ে যায় সিমথির সাথে প্রথম পরিচয়ের দিনটি। অনিল মুচকি হেসে নিজেও বেরিয়ে পড়ে। বাসায় ছোট্ট বোন টা আছে। কালই অপারেশন হয়েছে। এখন ওকে একা থাকতে দিলে চলে না।

________________

পৃথিবী থেকে সূর্যের বিদায় হয়েছে অনেক্ক্ষণ। বর্তমানে আকাশে চাঁদ উঠেছে। অম্বর জুড়ে কালো সাদা মেঘ ধোঁয়ার মতো ভাসছে। সিমথি কেবলই ওটি থেকে বের হয়। তখনই দেখা হয় তরীর সাথে। সিমথি থেমে যায়।
সিমথিকে দেখে তরী ও থেমে যায়। সিমথির তরীর ক্লান্ত মুখশ্রীর দিকে তাকায়। দেখেই বুঝা যাচ্ছে দুপুরে কিছু খায়নি। তরীও সিমথির শুকনো মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। একটা সময় দুজনের মধ্যে কতটা মিল ছিলো। কতটা কাছে ছিলো। আর এখন দুজন একই ছাঁদের নিচে থেকে ও যেনো হাজার হাজার দূরত্ব। তরী দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। সিমথির অগোচরে চোখের কার্নিশের পানির কণা টুকু মুছে নেয়। সিমথি সবটা দেখেও নিশ্চুপ। কিছুই বলার নেই। কারণ কিছু সম্পর্কে কিছু মানুষের উপর অধিকার বা দায়িত্ব খাটানো যায় না। সিমথি তরীকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।

তরী : সায়ন ভাইয়ার কি হয়েছে জানিস।

তরীর কথায় সিমথি দাঁড়ায়। তরীর দিকে না তাকিয়েই জবাব দেয়।

সিমথি : ছোট্ট একটা এক্সিডেন্ট।

তরী : তুই জানতিস।

সিমথি : হুমমম।

তরী : আমাকে বললি না।

সিমথি : তোকে বলার মতো সম্পর্ক না আমাদের।

তরীকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সিমথি চলে যায়। সিমথির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তরী ও চলে যায়।

রাত তখন এগারোটার কাছাকাছি। সিমথি হসপিটাল থেকে বের হয়। মেঘা রা অনেকটা আগেই চলে গেছে। হাতের এপ্রোন টা গাড়িতে রেখে ড্রাইভিং সিটে বসে। গাড়ি স্টার্ট দেয়।

আচমকা গাড়ি ব্রেক কষতে গিয়ে সিমথি খেয়াল করে ব্রেক কাজ করছে না। সিমথি হকচকিয়ে যায়। শটকার্টে যাওয়ার জন্য এই রোড ধরেছিলো। সামনেই একটা রেলিং ভাঙা ব্রিজ আছে। আবার অনেকগুলো গাছ ও আছে। গাড়ি ব্রেক না কাজ করলে গাড়ি সোজা সেখানে গিয়ে পৌঁছাবে। রাস্তায় দু একটা গাড়ি ছুটছে ৷ সিমথি ভিউ মিররে পেছনের সবটা দৃশ্য দেখে নেয়। পেছনে তিনটে গাড়ি আছে। সামনেও কয়েটা গাড়ি। সিমথি আপ্রাণ চেষ্টা করছে গাড়ির ব্রেক কষার কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। সিমথি ডান হাতে স্টেয়ারিং ধরে বাম হাতে কপাল চেপে ধরে। মনে পড়ে যায় মা-বাবার মৃ’ত্যু’র সেই ভয়ানক ঘটনা। সিমথি অনবরত ঘামতে শুরু করে। গাড়ির এসির পাওয়ার বাড়িয়ে দেয়৷ পাশের সিট থেকে পানির বোতল নিয়ে ঢকঢক করে পানিটুকু খেয়ে নেয়। নিজেকে শান্ত করে শক্ত করে স্টেয়ারিং চেপে ধরে হর্ন বাজাতে শুরু করে।

চলবে,,,,

( ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here