#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 26
🍁🍁🍁
আদি : মেঘা একটু প্রাইভেসি দেওয়া যাবে আমাদের।
আচমকা আদির কন্ঠস্বর শুনে সিমথি চমকে যায়। সিমথিসহ সবাই পেছনে তাকায়। কেবিনের দরজার সামনে আদি পাশে ইশান দাঁড়িয়ে আছে । আদির দৃষ্টি এখনো সিমথির দিকে সীমাবদ্ধ। সিমথি নিজের দৃষ্টি আড়াল করে। এতোদিনের না বলা কথাগুলো নিজের বোকামির জন্য আজ আদি শুনে ফেলেনি তো ৷ কথাটা মাথায় আসতেই সিমথি এপ্রোন হাতে নেয়।
সিমথি : আ আমার একটা ও ওটি আছে আমি আসছি।
সিমথি ইশানের দিক দিয়ে বেরিয়ে যেতে নিলে আদি সিমথির হাত চেপে ধরে। সিমথি থমকায়। রাগ না উঠলে মুখে কঠোরতা এঁটে আদির দিকে দৃষ্টিপাত করে। হাত ছাড়াতে নিলে আদি হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরে।
সিমথি : হাত ছাড়ুন ভাইয়া। যখন তখন ধরতে নিষেধ করেছি না।
আদি : মেঘা তোমরা যাবে নাকি আমি ওকে নিয়ে যাবো।
আদির কথা শুনে মেঘারা বেরিয়ে যায়। মেঘাদের সাথে ইশান ও বের হয়। আদি পা দিয়ে কেবিনের দরজা লাগিয়ে দেয়। দরজা লাগার শব্দে বাইরে মেঘারা কিছু টা কেঁপে ওঠে।
সিমথি : হাত ছাড়ুন। এসব অসভ্যতামি আমার একদম ভালো লাগে না।
আদি : আর কতো৷
আদির কাতর স্বরে সিমথির সমস্ত কথা কন্ঠনালীতে আঁটকে যায়। এই মানুষ টা কে চাইলেও সিমথি কষ্ট দিতে পারে না। সিমথি শান্ত দৃষ্টিতে আদির দিকে তাকায়। আদির চোখ লাল হয়ে আছে। আচমকায় সিমথির মনে প্রশ্ন জাগে আদি কি কেঁদেছে। কিন্তু কেনো। ভীষণ ইচ্ছে করছে জিজ্ঞেস করতে আদি কাদলো কেনো। কিন্তু মস্তিষ্ক চাইছে না এতে করে যদি আদি সিমথির দুর্বলতা টা বুঝে যায়। তবুও মন কি আর মস্তিষ্কের কথা শুনে। মস্তিষ্কের বিরুদ্ধে গিয়ে সিমথি প্রশ্ন টা করেই ফেলে।
সিমথি : আপনি কেঁদেছেন।
সিমথির কথায় আদি ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটিয়ে তুলে। সিমথি র আরেকটু নিকটে এসে দাঁড়ায়। কানের পেছনে চার আঙ্গুল রেখে বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে সিমথি ডান গাল আঁকড়ে ধরে।
আদি : বিয়ে করবি আমায়।
আদির কথায় এমন সিরিয়াস মোমেন্টেও সিমথি ভ্যাবাচ্যাকা খায়। কি জিজ্ঞেস করলো আর কি উত্তর দিলো।
সিমথি : আমি আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি।
আদি : সব কথা বলতে নেই। কিছু বুঝতে হয়। তুই তো আমাকে বুঝিস। চোখ দেখেই নাকি মনের কথা পড়তে জানিস৷ তবে আজ কেনো বুঝেও পোড়াচ্ছিস।
আদির কথায় সিমথি চোখ নামিয়ে নেয়। দুপা পিছুতে চাইলেও পারে না আদি আটকে দেয়।
আদি : সিয়া জান আজ অন্তত চুপ থাকিস না। একবার নিজের মুখে স্বীকার কর। একবার বল ভালোবাসিস৷
অতঃপর দুজনের মধ্যে দৃষ্টি বিনিময় হয়। সিমথি অনুভব করে ওর বুকের ভেতর টা চিনচিন করছে। চোখের পানি আটকাতে এলোপাতাড়ি দৃষ্টি ফেলতে আরম্ভ করে।
সিমথি : আপনার মা জানে।
আদি : কি
সিমথি : আপনি আমার কাছে এসেছেন।
আদি : তুই মায়ের জন্য আমায় ছেড়ে দিচ্ছিস। মাকে আমি সামলে নেবো।
সিমথি : আপনার মা মানবে না।
আদি : তুই আমার জন্য কি কি করতে পারবি।
সিমথি : ডাক্তারি ছাড়তে পারবো না।
আদি : আমাকে তোর এতোটা নিচ মনে হয়।
সিমথি : নাহ। আপনি জিজ্ঞেস করলেন তাই বললাম।
আদি : তুই কিভাবে জানিস আমাদের বাড়ির কথা।
সিমথি : সকালে মেহের ভাবী ফোন করেছিলো। উনিই বললো। আদি ভাইয়া আপনি আপনার মায়ের কথা মেনে নেন। মায়েরা কখনো সন্তানের খারাপ চাইনা।
আদি : আমি তোকে ভালোবাসি।
সিমথি থেমে যায়। দৃষ্টি নামিয়ে নেয় মেঝেতে।
সিমথি : আপনি হসপিটালে কখন এসেছেন
আদি : তোর সব কথায় শুনেছি।
সিমথি : _______
আদি : বিয়ে করবি আমায়।
সিমথি : আপনার মা,,
আদি : আমি তোর উত্তর জানতে চেয়েছি। হুম অর নো। যদি হ্যাঁ হয় তবে নেক্সট টাইম আমি তোর সামনে আসবো। আর যদি না বলিস এখনো তাহলে এতোটা দূরত্ব বাড়াবো তুই তখন চাইলে আমাকে পাবি না।
আদির কথায় সিমথির বুক কেঁপে ওঠে। সিমথি আহত দৃষ্টিতে আদির দিকে তাকায়। কি করবে এখন। হঠাৎই সিমথির মন বেঈমানী করে বসলো। মন বলে উঠলো,,, অনেক তো হলো অন্যের জন্য বাঁচা অন্যের জন্য ত্যাগ করা এবার না হয় একটু নিজের জন্য বাঁচ। যতটুকু সেকেন্ড নিঃশ্বাস চলবে সেটা না হয় নিজের ভালোবাসার জন্যই হোক। যদি মৃত্যু আসে তখন নাহয় দেখা যাবে।
আদি : কি হলো বলো।
সিমথি আদির দিকে তাকায়। দুজনের মাঝে দূরত্ব হবে কয়েক ইঞ্চি। সিমথি হাসে। একটু এগিয়ে দূরত্ব টুকু মুছে দেয়। মন বড্ড বেহায়া হয়ে গেলো হুট করেই। মনের কথা শুনেই আদির বুকে মাথা ঠেকায়। একটা ক্লান্তির শ্বাস ছাড়ে। সমস্ত ক্লান্তি যেনো মুহুর্তের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
সিমথি : একজন বোন হিসেবে , একজন বান্ধবী হিসেবে, একজন ডাক্তার হিসেবে, সর্বোপরি একজন মানুষ হিসেবে আমার বাঁচা হয়ে গেছে আদি। এবার বাকি সময় টুকু আমি তোমার হয়ে বাঁচতে চাই। সম্পূর্ণ একটা হালাল বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাই। শেষ নিঃশ্বাস তোমাকে দেখে ফেলতে চাই। আমি ক্লান্ত আদি। এতো সবকিছুর ভীড়ে নিজেকে তোমার মাঝে খুঁজে পেতে চাই। তোমাকে নিয়ে আবারো পা’গ’লা’মি তে মেতে থাকতে চাই। একটু মানসিক শান্তি দেবে আমায়।
আদি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দৃষ্টি নিজের বুকে জায়গা করে নেওয়া মানবীর দিকে। ছোট বাচ্চা যেমন কাউকে আঁকড়ে ধরে সিমথিও তেমনটায় করছে। সিমথির বলা কথাগুলো এখনো আদির কানে ঘুঘুরের ন্যায় বাজছে৷ আদি ঠোঁট প্রসারিত করে হাসে। চোখে পানি ঠোঁটের কোণায় হাসি অদ্ভুত এক তৃপ্তিকর অনুভূতি হচ্ছে আদির। হাত উঁচু করে সিমথিকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। সিমথি হাসে। অনেক সাধনার কোনো দুর্লভ বস্তু পেলে মানুষের মুখে যে তৃপ্তির হাসি ফুটে ওঠে সিমথি ক্ষেত্রেও তাই হলো। দুর্লভ হুম দুর্লভই তো। আদি সিমথি অনেক সাধনার পুরুষ। দুহাত পেছনে নিয়ে আদিকে জড়িয়ে ধরে।
আদি : ভালোবাসি
সিমথি : আমিও
আদি : কি আমিও
সিমথি : ভালোবাসি
সিমথির মিনমিনে স্বর শুনে আদি হেঁসে ওঠে। সিমথিকে আরেকটু শক্ত করে আঁকড়ে ধরে চুলের ভাঁজে ওষ্ঠদ্বয় ছোঁয়ায় অতঃপর চোখ বুঁজে নেয়। এতোদিনের কষ্টের মাঝেও সিমথি যেনো আজ আদিকে এক আকাশ সম খুশি উপহার দিয়েছে।
______________
বাড়িতে হাসিমুখে আদিকে ঢুকতে দেখে মেহের’রা ভ্রু কুঁচকে আদির দিকে তাকায়। আদির মা – চাচীরা কিচেন থেকে আদির মতিগতি খেয়াল করছে। আদি গুনগুন করতে করতে রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি বের করে খেয়ে বোতল টা আবারো ফ্রিজে রাখে। অতঃপর মাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে গালে চুমু খায়। আদির এমন আচরণে উপস্থিত সবাই হতভম্ব। উপস্থিত সবাই বলতে মেহের, আদির মা- চাচী- কাকি। শাওন অফিসে। ইশান হসপিটাল থেকে বেরিয়ে ভার্সিটি চলে গেছে আর আদিবা ও ভার্সিটি। আদির বাবা আর বড় চাচা অফিস। আর ছোট পুলিশ কাকা ও কাজে বেরিয়ে গেছে। আর ছোট্ট তিন্নি স্কুলে।
আদি : ওহহহ মা শুনো না।
আদির বাচ্চাদের মতো ডাক শুনে আদির মা ছেলের মনভাব বুঝতে পেরেও চুপ থাকে। নিজের মাকে চুপ থাকতে দেখে আদি গাল ফুলিয়ে মায়ের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
আদির মা : আরে কি করছিস গায়ে আগুন লেগে যাবে তো।
আদি : তো লাগুক তোমার কি। তুমি তো বলেই দিয়েছো তোমার কেবল একটাই মেয়ে।
আদির মা : তাহলে রংঢং করছিস কেনো।
আদি : কি আজব ত্যাজ্য পুত্র তুমি করেছো আমি তো আর ত্যাজ্য মা করিনি তোমাকে। এমন ভাবে গাল ফুলিয়ে আছো মনে হচ্ছে বাবা তোমাকে মুখে দশটা ফুসকা একসাথে ঢুকিয়ে দিয়েছে।
আদির কথায় মেহের, শাওনের মা আর ইশানের মা হেসে দেয়। আদির মা চোখ রাঙিয়ে আদির দিকে তাকায়।
আদির মা : তোকে ত্যাজ্য করার আমি কে। সিমথি তো আছেই।
আদি : আহা মা তুমি জেলাস। কি আশ্চর্য তুমি কি চাও না তোমাকে কেউ দাদিমা বলুক। সিমথি থাকলেই বা কি ওর উপর তো আমার বউ বউ ফিল আসে। আর তুমি তো আমার মা। এখন সিমথির উপর তো আর মা মা ফিল আসে না। তো ও থাকলেই কি তোমার অভাব পূরণ করার জন্য আমাকে ছোট বেলার মতো ফিডার খাইয়ে মা মা ফিলিংস আনবে বলো।
আদির মা : দিন দিন নির্লজ্জ হয়ে যাচ্ছিস।
আদি : নির্লজ্জ না হলে এই জীবনে কি দাদিমা ডাক শুনতে পাবে।
আদির মা : থাপ্পড় খাবি ফা’জি’ল।
আদি : আচ্ছা বাবা বাদ দাও। আপাতত মুড অন। থাপ্পড় খাওয়ার শখ নাই। এখন আমাকে খাইয়ে দাও দেখি। অনেক খিদে পেয়েছে। সকালেও খায়নি। তুমি কতটা নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছো জানো।
আদির মা : আমি কেনো খাওয়াতে যাবো সিমথি কে গিয়ে বল।
আদি : তোমার বিহেভ দেখে মনে হচ্ছে তুমি আর সিমথি সতীন লাগো
আদির এবারের কথায় আদির মা আদির পিঠে থাপ্পড় মারে। আদি হেসে উঠে।
আদি : এখন বলো খাওয়াবে নাকি অফিস চলে যাবো।
আদির মা : গিয়ে বস আমি আসছি।
আদি তৃপ্তির হেসে সোফায় গিয়ে বসে টিভি অন করে। মেহের ও গিয়ে আদির পাশে বসে আদিকে পরোখ করা শুরু করে। আদি হুটহাট মুচকি মুচকি হাসছে। মেহের আদিকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখে আবারো মুখের দিকে তাকায়।
আদি : দেবরকে এভাবে স্কেন করছো ভাবী দিজ ইজ নট ডান।
মেহের : তোমার কি হয়েছে বলোতো ভাইয়া।হঠাৎ এতো খুশি।
আদি : হয়েছে তো কিছু কিন্তু তোমায় বলবো কেনো।
মেহের : ভাইয়া ( মুখ ফুলিয়ে)
আদি : কি ব্যাপার ভাবী ভাইয়া আজ আদর দেয়নি নাকি। এভাবে গাল ফুলিয়ে বসে আছো।
মেহের : মেঝো মাহহহহ তোমার ছেলে দেখো কি বলছে।
এরই মাঝে আদির মা ছেলের জন্য খাবার নিয়ে আসে। এতোদিনের মান-অভিমানর পালা যেনো মুহুর্তের মধ্যে একদম শেষ হয়ে গেছে। আদির মা আদির সাথে সাথে মেহেরকে ও খাইয়ে দেয়।
আদি : হয়েছে হয়েছে আর খাবো না। লেট হয়ে যাচ্ছে তোমার বর আবার গেলে আমার ব্যান্ড বাজাবে বুঝলা মা। ছোটবেলায় দাদি মুখে মধু দেয়নি বুঝলা। আর বিয়ের পর তুমিও কম কম আদর করেছো এর তেজ আমার উপর দেখাচ্ছে।
আদির মা : মার খাবি। মা হয় তোর।
আদি : তুমি তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
আদির মা : হয়েছে আর পাম দিতে হবে না। আর একটু খেয়ে যা।
আদি : নাহ মা। যাচ্ছি এখন।
আদির মা : যাচ্ছি নয় আসছি বলতে হয়।
আদি : আসছি। ( হেসে)
যাওয়ার আগে মেহেরকে ইশারায় কিছু বলে যায় কিন্তু মেহের শত চেষ্টায় ও আদির ইশারা বুঝতে সক্ষম হলো না।
সিমথি : হা করে তাকিয়ে না থেকে কাজে যা।
তুহিন : এতোক্ষণ দরজা দিয়ে কি করলি তোরা।
তন্ময় : কি বইন খুব শীঘ্রই আঙ্কেল ডাক শুনবো নাকি।
সিমথি : আগে আমারে আন্টি ডাক শোনা। বিয়ে করলি নয়মাস হতে চললো। ওর তো অন্তত পাঁচ মাসের প্রেগন্যান্সির দরকার ছিলো কিন্তু এখনো তো এসবের কিছু শুনলাম না। সিনহার উপর এতো অবিচার সহ্য করা যায় না। বেচারীর জন্য নতুন জামাই দেখতে হবে।
মেঘা : হ রে বইনা ঠিক কইছোস।
তন্ময় : লাজ লজ্জা সব খাইয়া বসে আছোস নাকি।
সিমথি : দ্য গ্রেট জার্নালিস্ট তন্ময় এহমাদের মুখে অশুদ্ধ ভাষা নট গুড।
রোদেলা : তোরা কি বুঝতে পারছিস সিমথি কথা ঘুরাচ্ছে।
সিমথি : ভাবী ইফাজ ভাইয়া বলেছিলো আজ আমার সাথে বাড়ি যেতে। তোকে না দেখে নাকি উনার মন ভরে না। বুঝলি আর জ্বালাস না আমার ভাই টাকে। আমার ভাইয়ের ও তো ইচ্ছে হয় হাফ বউ কে ফুল বউ করে কাছে পাওয়ার।
রোদেলা : এসব নষ্টালজিক মার্কা কথাবার্তা একদম বলবি না ফাজিল।
রোদেলার কথা সিমথি শব্দ করে হেসে দেয় । সবাই বিস্ময় নিয়ে সিমথির দিকে তাকায়। ওদের বিস্ময় মাখানো রিয়াকশান দেখে সিমথির হাসি বেগ বাড়ে বৈ কমেনা।
________________
শহর জুড়ে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় আলোকিত হয়ে আছে। রাত তখন আটটা। তবুও রাস্তায় যানবাহনের চলাচল দেখে মনে হচ্ছে কেবল সন্ধ্যা ঘনিয়েছে। সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। আবার কেউ কেউ বাড়ি ফিরছে নিজ কর্মস্থল থেকে।
শাওন : আদি ভাই আমার কেস টা কি বল তো।
আদি : কিসের কেস।
ইশান : আসলেই সিমথির কেবিমন থেকে বের হবার পর থেকেই তোর মুখে হাসি কি হয়েছে সত্যি করে বল ভাইয়া।
আদি : ভাবী হয় তোর। নাম ধরে বলিস কেনো। আর তো মাত্র কিছু দিন ভাবী বলা প্রেকটিস কর।
আদিবা : ওহ আচ্ছা।
আচমকা আদির কথা ব্রেনে যেতেই আদিবারা সবাই একত্রে চেঁচিয়ে উঠে। আদি কান চেপে ধরে। সবাই আদির দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকায়। একে একে সবগুলো এসে আদিকে ঘিরে ধরে।
মেহের : সি সিমথি মেনে নিয়েছে। মানে ওর রাগ-অভিমান সব শেষ
প্রতিত্তোরে আদি কেবল হাসে। তাতেই সবাই যা বুঝার বুঝে যায়। ফলে সকলের ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটে ওঠে। যাক সিমথি তো রাজি এবার মেঝো মা কে রাজি করানো টা ইজি হবে।
দশটায় সবাই ডিনার টেবিলে বসে খাওয়ায় মনযোগ হয়। কিন্তু মেহের দের জ্বালানোর ঠেলায় বেচারা আদি খেতেও পারছে না উঠতে ও পারছে না। অসহায় মুখ করে সবার দিকে তাকায়। যার অর্থ আর কত জ্বালাবি। কেবিনের ভেতরে কি ঘটেছে সেটা তোদের কিভাবে বলবো।
আদির মা : আমরা কালই সিমথিদের বাড়িতে যাবো। ওদের বিয়ের কথা বলতে।
আচমকা আদির মায়ের কথায় আদির মুখের খাবার গিলার আগেই বিষম খায়। সবাই আদিকে রেখে আদির মায়ের দিকে তাকায়। সবার চোখে-মুখে বিস্ময়ের পাহাড়। এদিকে বেচারা আদি কাশতে কাশতে মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
চলবে,,,,,
( ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ ৷)