মিশেছো_আলো_ছায়াতে #Writer_Sintiha_Eva #part : 25

0
303

#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 25

🍁🍁🍁

আদিদের বাড়ির পরিবেশে বেশ কিছুদিন ধরেই নীরবতা বিরাজ করছে। মা- ছেলের মধ্যে চলছে নীরব যুদ্ধ। আদি যতই সব কিছু সহজ করতে চাইছে কিন্তু আদির মা ততই সব বিগড়ে দিচ্ছে। আদির বাবা, শাওনের মা-বাবা সহ বাড়ির সবাই আদির মাকে বুঝাচ্ছে কিন্তু আদির মা বুঝতে নারাজ। আদির মায়ের এক কথা উনি উনার ছেলেকে নিজের মনের মতো মেয়ের সাথে বিয়ে দেবে। কিন্তু সিমথি কিছু তেই নয়।

রাতে সবাই নিজ নিজ কাজ থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িংরুমে এসে বসে। কারোরই মন মেজাজের ঠিক নেই। তিন্নির ছোট্ট মন টা বুঝতে পারছে ওদের বাড়িতে ছোটো খাটো একটা টর্নেডো বয়ে যাচ্ছে।

শাওন : আদি কোথায়।

শাওনের কথায় আদির মা বলে উঠে,,,

আদির মা : ওর এখন সেই সময় আছে তোদের সাথে কথা বলার আড্ডা দেওয়ার। দেখ গিয়ে ওই মেয়েটার সাথে কথা বলছে।

আদির মায়ের কথায় শাওন দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। শাওন রা ভালো করেই জানে লাস্ট কিছু দিন ধরে আদি – সিমথি দুজনের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। মূলত যোগাযোগ টা আদিই দমিয়ে নিজের মাকে বুঝাতে চাইছে। আর সিমথি সে তো আদিকে মুক্তি দিয়েছে।

মেহের : মেঝো মা। আমরা তো কেউই সিমথি কে চিনি না। তুমি কেবল ওর বাহ্যিক আচরণ টা দেখছো কিন্তু অভ্যন্তরে তো সিমথি সম্পূর্ণ আলাদা হতেই পারে।

আদির মা : দেখ মেহের তুই এই বাড়িতে আসার পর থেকে আমি কখনো আদিবা আর তোকে আলাদা করে দেখিনি। আমার কাছে আমার নিজের সন্তানরা যেমন তোরা, শাওন, ইশান ওরা ও তেমন। আজ যদি আদির জায়গায় ইশান ও সিমথির কথা বলতো তখনো আমি না করতাম।

ইশান : আমি কেনো সিমথি কে নিয়ে ভাববো। আজব।

আদির মা : আমি আমার ছেলের জন্য একটা লক্ষ্মী শান্ত শিষ্ট ভদ্র মেয়ে চাই। সিমথি শান্ত শিষ্ট ভদ্র হলেও ওর কাজ গুলো আমার অপছন্দের। আর সিমথি কি বিয়ের পর ও সারাদিন হসপিটাল নিয়ে পড়ে থাকবে। আর বাড়ির সব কাজ বুঝি তুই একা করবি। সিমথি কি পারবে নিজের পেশা বাদ দিতে। পারবে তোর মতো করে সংসার টা কে আগলে রাখতে। সিমথি তো বিয়ের আগে আমার আর আমার ছেলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে দিয়েছে। বিয়ের পর এই বাড়ি ভাগ হবে না তা কি সিউর হয়ে বলতে পারবি।

আদির বাবা : তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে তুমি বাড়ির বউ না বাড়ির জন্য চাকরানী আনতে চাইছো। মেহের কে ও কি তুমি এই নজরেই দেখো।

আদির মা : আদিবার বাবা ( হালকা চেঁচিয়ে)

আদির বাবা : চেচাচ্ছো কেনো। মেয়েটা কি এতোদিন ধরে পড়ালেখা করে ডাক্তারি পাস করেছে বিয়ের পর এসব ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এটা ওর পেশা। যেটা নিজের যোগ্যতায় পেয়েছে। আর সিমথি তোমার আর আদির মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে নি বরং তুমি তিনজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করেছো। নিজের ভুল টা বুঝবে ঠিকই কিন্তু ছেলে মেয়ে দুজনকেই কষ্ট দিচ্ছো।

আদির মা : আমি তোমার সব কথায় মানছি। কিন্তু মেয়ে মানুষের বিয়ের পর আর কিসের চাকরী করা লাগবে। ও কি আমার ছেলেকে বসিয়ে খাওয়াবে। আমার ছেলের যথেষ্ট যোগ্যতা আছে টাকা কামিয়ে নিজের বউকে খাওয়ানোর।

আদির বাবা : তোমার কথা শুনে সত্যি আমি অবাক হচ্ছি। কতটা আদিম কালে বাস করছো। যেই কালে ছেলে-মেয়ে একসাথে সমান তালে কাজ করে বাড়ি-বাইরে সব সামলাচ্ছে। আর তুমি ছিহহ।

আদির মা : আমার কথা তোমার এখন সহ্য হবে না এটা স্বাভাবিক। সিমথি যদি এতটাই ভালো হতো তাহলে সিমথির দাদি ওকে দেখতে পারে না কেনো। বিদেশে ছিল এতো বছর নিশ্চয় দেশের সব মেনে চলা সম্ভব হয়নি। আর আমি তো এটা ও শুনেছি বিদেশী মেয়েরা মদ খায়। সিমথি ও নিশ্চয়।

আদিবা : থামো মা প্লিজ। ওদের ফ্যামিলি তে কি প্রবলেম এটা তুমি আমি কেউই জানিনা।

আদির মা : তোকে আমি আগেও নিষেধ করেছি বড়দের মাঝে কথা বলবি না।

আদির মায়ের কথায় আদিবা রেগে যায়।

শাওনের মা : আচ্ছা মেঝো। তুই কি সিমথির ভালো গুণ গুলো দেখিস না। একটা কথা জানিস যাদের আমরা অপছন্দ করি তাদের খারাপ দিকগুলোই আমাকে চোখে পড়ে। একটু ভেবে দেখ তো সিমথিকে তুই যতটা খারাপ মেয়ে ভাবছিস ও কি আধো এসব কথা শোনার যোগ্য। কেনো মেয়েটাকে এতো নিচে নামাচ্ছিস।

আদির বাবা : ওর এসব ভেবে লাভ নেই বড় ভাবী। ওর মাথা খা’রা’প হয়ে গেছে। সিমথিকে বিয়ে করে নিজের বাড়ির বউ করার জন্য যেখানে অন্যরা পাগল সেখানে ও সিমথির খুট ধরছে।

আদির মা : তো তাদের ছেলেই বিয়ে করুক না। আমি আমার ছেলের বিয়ে দেবো না ব্যসস। আর হুম আমি একটা শর্তেই সিমথি কে নিজের ছেলের বউ করবো। যদি ও বিয়ের পর ডাক্তারি বাদ দিতে পারে আর ওর এসব মা’রা’মা’রি বাদ দিয়ে মেহেরের মতো ঘরনী মেয়ে হতে পারে।

শাওন : তাহলে তোমার ছেলের জন্য মেয়ে দেখা শুরু করো। সিমথি এসব ছাড়বেও না আর তোমার শর্ত ও পূরণ হবে না।

ইশান : তুমি বড্ড রুড হয়ে যাচ্ছো মেঝো মা। এতে আদি ভাইয়ার উপর কতটা প্রভাব পড়ছে জানো। আদি ভাইয়া চাইলেই সিমথিকে বিয়ে করে নিতে পারতো কিন্তু ও তোমার অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে আর তুমি কি না।

আদির বাবা : ছেলের মন বুঝার ক্ষমতা হারিয়েছে। কবে না এসবের জন্য আমি আমার ছেলে টাকেই হারিয়ে ফেলি।

আদির বাবা রাগারাগি করে রুমে চলে যায়। উপর থেকে আদি এতোক্ষণ সব শুনছিলো। আদি ও নিজের রুমে গিয়ে বারান্দায় দাঁড়ায়। বুক ছিড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। পকেট থেকে ফোন বের করে সিমথির নাম্বারে কল লাগায়।

সিমথি ওটি থেকে বেরিয়ে নিজের কেবিনে আসে। ফোন হাতে নিয়ে দেখে ৫+ মিসড কল। সিমথি স্মিত হাসে। তখনই ফোনটা আবারো বেজে ওঠে।

সিমথি : হুম বলুন।

আদি : এতোক্ষণ কোথায় ছিলে।

সিমথি : সেটা জেনে আপনার কি লাভ।

আদি : ওহ আচ্ছা। সরি। বাই ।

সিমথিকে কিছু বলার না দিয়েই আদি ফোন কেটে দেয়। সিমথি ফোনের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে। অন্যদিকে আদি চোখ বুঁজে একটা লম্বা শ্বাস টানে।

আদি : না জন্মদাত্রী মা বুঝলো আমাকে আর না যাকে ভালোবাসি সে বুঝলো।

শাওন : আদি রুমে আছিস।

শাওনের ডাকে আদির হুশ ফিরে। নিজেকে সামলে রুমে যায়। শাওনদের সবাই কে একসাথে দেখে ভ্রু কুঁচকায়।

আদি : কিছু বলবে। সবাই একসাথে এই সময় কেনো।

শাওন : মেঝো মা’র সাথে নিজে গিয়ে কথা বল। হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে সব।

আদি : কি বলবো বলবে একটু। মা তো অলরেডি সিমথির সম্বন্ধে সব ভুল ধারণা পুষে রেখেছে।

মেহের : তো এই ভুল ধারণা গুলো তো ভাঙতে হবে। এভাবে যদি চলে তাহলে পরিস্থিতি আরো জটিল হবে।

ইশান : আদি ভাইয়া ভাবী কিন্তু ঠিক বলছে।

আদি : মা আমাকে শর্ত দিয়েছে শুনিসনি তোরা।

আদিবা : তো কি শর্ত মেনে নিবি। ভুলে যাবি সিমথি আপুকে।

আদি : আমি কাউকেই ছাড়তে পারবো না। মা কে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আর সিমথি ওকেও ছাড়তে পারবো না।

মেহের : আমার মতে একবার সিমথির সাথে কথা বলে দেখো।

আদি : কি বলবো আমাকে বিয়ে করতে হলে ডাক্তারি ছেড়ে দিতে হবে

আদিবা : আরে ধ্যাত ডাক্তারি কেনো ছাড়বে। তুই মায়ের সাথে কথা বল।

আদি : মা তো আমার সাথে কথায় বলছে না। আমি সামনে গেলেই মুখ ঘুরিয়ে নেয়।

শাওন : মায়েরা কখনো সন্তানের উপর রেগে থাকতে পারেনা। তুই একবার গিয়ে মেঝো মার কোলে মাথা রাখ দেখবি মেঝো মা তোকে কাছে টেনে নেবে। তখন না হয় শান্ত মাথায় বলিস।

শাওনের কথায় সবাই সহমত হয়।

______________

সকাল সকাল নিজের কেবিনে তন্ময়দের দেখে সিমথি অবাক হয়। তন্ময় তো কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলো। ফিরলো কবে।

সিমথি : তোরা সবাই এখানে কি করিস।

তন্ময় : দরকার আছে।

সিমথি : ওহ।

মেঘা : এখন তো দশটা অবধি তুই ফ্রি তাই না।

মেঘার কথায় সিমথি ঘড়ির দিকে তাকায়। নয়টা পঁচিশ বাজে।

সিমথি : হুমম কেনো।

রোদেলা : আদি ভাইয়া কে আরেকটা সুযোগ দেওয়া যায় না।

রোদেলার কথায় সিমথি রোদেলার দিকে তাকায়। সবার দৃষ্টি সিমথির দিকে। সিমথি সবাইকে পরোখ করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। ঠোঁটের কোণে হালকা হাসি ফুটিয়ে তোলার বৃথা চেষ্টা চালায়।

মেঘা : আমাদের সামনে অন্তত এই হ্যাপি লাইফ লিডের অভিনয় টা করিস না। সবার সামনে তুই দারুণ অভিনেত্রী সাজলেও আমাদের কাছে হতে পারিস না।

সিমথি : আমাকে তো ভালোই চিনিস।

তুহিন : সিমথি প্লিজ একটা সুযোগ তো দেওয়ায় যায়। আদি ভাইয়া কেনো এমন টা করেছিলো এটাতো আমরা সবাই জানি। তবে কেনো এমন করছিস বলবি।

তন্ময় : আদি ভাইয়া কে তো এখনো ভালোবাসিস তবে কেনো দূরত্ব বাড়াচ্ছিস।

সিমথি : চুপ করবি তোরা প্লিজ।

মেঘা : কেনো চুপ করবো। নিজেও কষ্ট পাচ্ছিস ছেলেটাকেও কষ্ট দিচ্ছিস। কারণ টা তো বলবি।

সিমথি : শুনতে চাস। তাহলে শোন। তোদের আদি ভাইয়ের মা কখনো আমার মতো মেয়েকে বিয়ে করাবে না। আর আমি তোদের ভাইয়া আর তার মায়ের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারবো না। মা-বাবা না থাকার কষ্ট টা আমি বুঝি। যেই সময়ে ব্যথা পেলে কষ্ট পেলে মায়ের কোলে মাথা রেখে কান্না করার সময় সেই সময় টা আমি নিজের কষ্ট নিজের ব্যথা নিজেকে সামলাতে শিখেছি। ভাইয়া সর্বদা আমাকে আগলে রাখতো। কিন্তু ভাইয়ার অগোচরে আমার সাথে কি কি হতো এটা নিশ্চিত তোদের অজানা নয়। এসব আমি কখনো ভাইয়া বলতাম না। কারণ ভাইয়া কষ্ট পাবে। ভাববে হয়তো সে মা-বাবার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ। একটা কথা কি জানিস। পৃথিবীতে মা-বাবার ছায়া ছাড়া পথ চলা অনেক কঠিন। আমি সেই সময় পার করেছি আর এখনো করছি তাই মা-বাবা হারানোর কষ্ট টা বুঝি। আর তোদের ভাইয়া আমাকে বিয়ে করলে কখনো সুখী হতে পারবে না। আমার তো নিজের জীবনেরই কোনো লাইসেন্স নেই তো কিভাবে উনাকে জড়ায় বল। হুমম একটা সময় আদিকে আমি নিজের থেকে দূরে সরাতে চেয়েছিলাম অজানা কারণে। অজানার পেছনে সত্যি টা যখন জেনেছিলাম তখন ভেবেছিলাম উনাকে একটা সুযোগ দেওয়ায় যায় তবে ভাইয়ার অনুমতিতে। আমি আদিকে আগে যতটা ভালোবাসতাম এখন ও বাসি। দূরত্ব বাড়িয়েছিলাম দীর্ঘ সময়ের কিন্তু ভালোবাসাটা কমাতে পারিনি বরং বেড়েছিলো। আমি চাইলেও উনাকে ভুলতে পারিনি এটা আমার ব্যর্থতা। কিন্তু এখন আমি আমার জন্য উনার ফ্যামিলি প্রবলেম টা মানতে পারবো না। উনার ফ্যামিলি বন্ডিং টা ভীষণ সুন্দর আমার দারুন লাগে। আমাদের ফ্যামিলির মধ্যে ভাই-বোনের বন্ডিং ভালো হলেও ফ্যামিলি টা অপূর্ণ। একটা ভালো ফ্যামিলি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আর আমার ভাগ্য সবসময় খারাপ। ছোট থাকতেই মা-বাবা কে হারিয়েছি। আমি মা-বাবা কে বেশিদিন দেখতেও পারিনি। বাবাই ফিল্ডের জন্য দূরে থাকতো তখন আমি অনেক ছোটো।

এতোটুকু বলে সিমথি থামে। গলা ধরে আসছে। ঢোক গিলে কান্না থামায়। পুনরায় বলতে শুরু করে

সিমথি : অল্প বয়সেই মা-বাবা কে হারিয়েছি। তারপর তরী আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই ভুল বুঝলো তাও কিনা একটা ছেলের জন্য। সেই থেকে তরীর সাথেও আমি কথা বলিনা। আমি দাদি উনার কথা কি বলবো উনি নিজেও জানে না আমাকে কেনো অপছন্দ করে। সব অপূর্ণতার মাঝেও আমি ভাইয়া , ইফাজ ভাইয়া রোজ আর তোদের মতো বন্ধু দের পেয়েছি। এতটুকু পেয়েছি তাতেই আলহামদুলিল্লাহ। আমি খুশি। আর বাকি রইলো আদি। প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির মাঝে উনি আমার সবচেয়ে বড় অপূর্ণতা। যেটা কখনো পুরণ করার নয়। আদি আমার ভীষণ শখে পুরুষ।৷ অপরিনত বয়সের ভালো লাগা, প্রাপ্ত বয়সের ভালোবাসা। জীবনের প্রথম পুরুষ উনি আর প্রথম ভালোবাসা ও উনিই। প্রথম ভালোবাসা কখনো ভুলা যায় না। আর আমি উনাকে ভুলতে ও চাইনা। উনি আমার একমাত্র ভালোবাসা হয়েই থাক। সাত বছরে যখন অন্য কোনো ছেলেকে ভালো লাগে নি আগামী সাতশ বছরে ও ভালো লাগবে না। এটা আমার ভালোবাসার বিশ্বাস। তাই উনি অপূর্ণতার মাঝেই থাকুক। নয়তো আফসোস করবো কি নিয়ে। আফসোস করার জন্য হলেও উনি অন্য কারোর হোক। সব পেলে নষ্ট জীবন।

সিমথির কথাগুলো শুনে তন্ময়রা ও চুপ হয়ে যায়। কথাগুলো সত্যি। একটা ও মিথ্যা নয় এটা তন্ময়রা জানে।

আদি : মেঘা একটু প্রাইভেসি দেওয়া যাবে আমাদের।

চলবে,,,,,

( ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here