#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 29
🍁🍁🍁
আজ সিমথি-আদির গায়ে হলুদ। বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য সবাই সেন্টার বুক করতে চাইলেও বাধ সাধে সিমথি-আদি দুজনই। তাই অনুষ্ঠান যার যার বাড়িতেই হবে। তবে গায়ে হলুদ বর-কনের একসাথে হবে। এটা ছোটদের দাবি। আর ছোটদের দাবি মানেই সেই দাবি মানতে হবে। ছোটদের এই দাবি আদি হাসিমুখে মেনে নিলেও সিমথি নাকোচ করতে চাইতে সবার ভাষণের কাছে হার মেনে অগত্যা রাজি হতে হয়। গায়ের হলুদের অনুষ্ঠান করা হবে খান ভিলাতে। সায়নদের বাড়ির পাশে মস্ত বড় মাঠ আছে আর সাথে ওদের বাগান টা বড় হওয়ায় এখানে বেশী মানুষের জায়গা হবে ভালোমতে। প্রায় ছয়টার দিকে আদিদের বাড়ির সবাই সায়নদের বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়। সকাল থেকে আদির মাথা গরম হয়ে আছে। আবার গাড়িতে ও বসতে হয়েছে সব বিচ্ছু বাহিনীর সাথে। আদির অবস্থা দেখে তুহারা মুখ টিপে হাসছে। বেচারা আদি সকাল থেকে ফোন হাতে না পাওয়ায় সিমথির সাথে ও কথা হচ্ছে না।
তুহা : উমমমম কেমন একটা গন্ধ পাচ্ছি।
ইশান : আদি ভাই আমার একটু সবুর কর। আর একটু পর তো বউমণিকে দেখতেই পাবি। এতো অস্থির হলে চলে।
ইশানের কথায় সবাই হেসে দেয়। আদি চোখ পাকিয়ে তাকাতেই সবগুলো চুপ হয়ে যায়।
আয়াশ : আদির অবস্থাই এমন তাহলে সিমথির কি হাল বল।
আদি : ওর কোনো হাল ছাল নাই। বরং ও আমার ফোনের প্যারা থেকে বেঁচে গেছে। নয়তো একটা ফোন দিতো নিজে থেকে।
কথা টা বলে আদি গাল ফুলিয়ে বাইরে তাকায়।
আদিবা : উহুম উহুম। বউমণি কিন্তু একবার ফোন দিয়েছিলো।
আদিবার কথায় আদি ফট করে আদিবার দিকে তাকায়। আদির তাকানো দেখে আদিবারা হেসে দেয়। ওদের হাসি দেখেই আদির বুঝতে বাকি নেই এই ইবলিশ গুলো ফাজলামি করছে।
সায়ন : মিম তুমি সাবধানে হাঁটা চলা করো। সিমথি দেখলে আমার বারোটা বেজে যাবে।
মিম : আহ চুপ করো তো। সিমথিকে তো সাজানো হচ্ছে। আর বিয়ে বাড়িতে কি চুপ করে বসে থাকা যায়।
তন্ময় : সায়ন ভাইয়া স্টেজের দিকটায় একটু আসো তো।
তন্ময়ের কথায় সায়ন মিমকে সাবধান করে বাগানের দিকে যায়।
মেঘা : হায় মে মারজাবা। সিমথি রাণী তোকে তো পুরাই হুরপরী লাগছে।
সিমথি : _________
রোদেলা : এহেম এহেম। আদি ভাইয়া আজ আবার নতুন করে না হার্ট অ্যাটাক করে। বেচারা তোকে কত লুকে দেখলো এখন এই লুকে দেখলে ইশশশশ৷
সিমথি : থামবি তোরা।
মেঘা : আচ্ছা আদি ভাইয়া আজ একবারো ফোন দিলো না যে।
সিমথি : দেখ গিয়ে হয়তো বিজি কিংবা আমার কথা মনেই নেই।
রোদেলা : আহহা রেএএএ। কত কষ্ট
রোদেলার কথায় সিমথির ধ্যান আসে। কিছুক্ষণ আগে নিজের বলা কথা টা মাথায় আসতেই জিভে কামড় দেয়।
তখনই রোজ দৌড়ে আসে।
রোজ : ওএম জি। সিমথি পু ইউ আর লুকিং সো কিউট। আম অলরেডি ক্রাশড।
রোজের কথায় সিমথি আলতো হাসে।
সাতটা পঁচিশ মিনিটে আদিদের গাড়ি এসে সায়নদের বাড়িতে থামে। গাড়ি থেকে একে একে সবাই বেরিয়ে আসে। সায়নরা এগিয়ে এসে সবাইকে ভেতরে নিয়ে যায়। পুরো বাড়ি ফেইরি লাইটে ঝলঝল করছে। আশেপাশে মানুষে গিজগিজ করছে। আদিবারা গাড়ি থেকে বেরিয়ে রোজদের সাথে সিমথির রুমের দিকে যায়। সিমথির রুমে পা রাখতে নিলে মেঘারা এসে দরজা আটকায়।
মেঘা : কি বিয়াইন সাহেবা৷ এখানে কি দরকার আপনাদের।
মেঘার কথায় তুহারা ভ্রু কুঁচকে তাকায়।
তুহা : বউমণিকে দেখতে যাবো। যেতে দাও
রোদেলা : আরে আরে এখন না। সিমথির সাজ এখনো কমপ্লিট হয়নি৷ আর একটু পর তো স্টেজে যাবে তখন তো দেখতেই পাবে।
আদিবা : না আমরা এখন দেখবো।
মেঘা : নো মিনস নো বিয়াইন সাহেবা।
তুহা : মেঘাপি যেতে দাও না ( ইনোসেন্ট ফেস করে)
মেঘা : আহা কাজ হচ্ছে না। এখানে সিমথিকে সিক্রেট রাখা হয়েছে। তোমরা গিয়ে আদি ভাইয়া কে বলে দিলে সেই সিক্রেট আর সিক্রেট থাকবে না।
আদিবা : মেঘাপি
সিমথি : মেঘ রোদ তোরা কি বাচ্চাদের মতো বিহেভ করছিস। ওদের আসতে দে।
মেঘা : বাহ সিমথি বাহ এখনই ননদদের জন্য দরদ উতলে উঠছে।
সিমথি : সব কয়টা পা’গ’ল আমার আশেপাশেই থাকে।
রোদেলা : বুঝলি মেঘা এখন আমরা পাগল ও হয়ে গেলাম। হায় হায় মারো মুজে মারো। কোলে-পিঠে করে মানুষ করলাম তার এই প্রতিদান। হে খোদা এই দিন দেখার আগে আমাকে তুমি কানে খাটো বানিয়ে দিলে না কেনো।
আচনকা মাথায় চাটি মাথায় মেঘা-রোদেলা দুইজনই ” আহ ” করে উঠে। সিমথি ওদের পেছন থেকে বেরিয়ে আসে।
সিমথি : মাত্রাতিরিক্ত মেলোড্রামা হয়ে যাচ্ছিলো। তাই থামালাম।
আদিবা : ওরে মাশাল্লাহ। কেউ আমারে ধরো প্লিজ। আমি পড়ে যাচ্ছি।
আদিবার কথায় তুহা আদিবাকে ধরে।
তুহা : ভাই আমার আজ নির্ঘাত হক্কা পাবে। কি লাগছে তোমায় মাইরি।
ওদের কথায় সিমথি হালকা হাসে।
সিমথি : ভেতরে আসো তোমরা।
আদিবা : না না এখন নিচে যাবো। এই চল চল ভাবীর কাছে যাই।
সায়ন : বন্ধু আমার তোর মুখ টা এমন শুকিয়ে আছে কেনো।
সায়নের কথায় আয়াশরা হেসে দেয়।
রিক : বেচারার পেটে চাপ দিছে কিন্তু নতুন বর কইবার পারতাছে না তাই মুখ টা শুকাইয়া রাখছে।
সায়ন : আরে তাহলে ওয়াশরুমে যা। এভসবে চেপে বসে থাকলে তো এখানেই কাজ সেরে দিবি দেখছি।
সায়নের কথায় এবার আয়াশরা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। আদি বোকার মতো একবার ওদের দিকে তাকায় তো একবার সায়নের দিকে তাকায়।
আদি : নেহাৎ তুই আমার বউয়ের ভাই নয়তো আজ তোকে সেই লেবেলের কেলানি দিতাম।
আদির কথায় সায়ন বোকার মতো তাকায়।
সায়ন : যাহ বাবা আমি কি করলাম।
নীলয় খান : সায়ন বাবা এবার হলুদের অনুষ্ঠান শুরু করতে হবে তো। এদের আবার ফিরতে হবে তো। রাত হয়ে যাচ্ছে।
সায়ন : হ্যাঁ বড় আব্বু। এখন শুরু হবে। এই রোজ তুহিন যা মেঘাদের বল পরীকে নিয়ে আসতে।
তন্ময় : সিনহা তুমি আপুর পাশে বসো আমরা আসছি।
কথাটা বলে তন্ময় গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটা লাগায়। তন্ময়ের আগে আগে তুহিন আর রোজ যাচ্ছে।
রোজ : হয়ে গেছে তোমাদের এবার সিমথিপু কে নিয়ে যেতে হবে।
মেঘা : হ্যাঁ হ্যাঁ আসছি আসছি। ওই রোদ ওড়না নে ওদিক থেকে।
মেঘার কথায় রোদেলা পাশ থেকে একটা লাল বড় ওড়না নেয়। সিমথিকে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
মেঘা : বইন সিমথি আজ তোর বিয়ে মুখের গম্ভীরতা আদল বদলে একটু হাসি-হাসি আর লাজুক আদল টা নিয়ে আয় প্লিজ।
মেঘার কথায় সিমথি হেসে উঠে। তখনই পাশ থেকে তন্ময় ক্যামেরায় ক্লিক করে।
তন্ময় : পারফেক্ট। কিন্তু তোরা তো তিনজন হলি। মাথায় ওড়না তো চারকোনা ধরতে হআেু। আরেকজন মেয়ে কোথায় পাবো।
হঠাৎ কোথা থেকে তরী এসে হাজির হয়। হাসি মুখে এসে রোদেলাদের পাশে দাড়ায়।
তরী : বাহ রে আমি বুঝি বাদ গেলাম। আমি ধরবো না।
আচমকা তরীর কথায় রোদেলা ব্যতিত সবাই চমকে যায়। সিমথি অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তরীর দিকে তাকায়। তরী ঠোঁটের কোণায় হাসি।
তরী : আরে এভাবে টিভি সিরিয়ালের রিয়াকশন দিও না তো সিমথি আপুকে নিয়ে তাড়াতাড়ি নিচে যেতে হবে তো নাকি। চলো চলো
মেঘা : ত তুই ধ ধরবি।
তরী : কি আজব আমার বোনের বিয়ে আর আমি ধরবো না। আমি তো নাচবো ও। রেডরোজ এদিকে বয়। উফফস মেঘাপু রোদেলা আপু এভাবে দাঁড়িয়ে না থেকে ধরে তো।
মেঘারা আর কিছু না বলে সিমথির মাথায় ওড়না মেলে ধরে। সিমথি এখনো পাথরের মতো তরীর দিকে তাকিয়ে আছে। তুহিনরা সবাই স্বাভাবিক হয়ে নিজের কাজে মনযোগ দেয়।
তন্ময় : আরে ওই মাইয়া খা’ম্বা’র লাহান দাঁড়াইয়া আছোস ক্যান। এইহানে বিয়া কইরা বাসর করার প্ল্যান করতাছোস নাকি।
তন্ময়ে ধমকে সিমথির হুশ ফিরে। সিমথি জোরে একটা শ্বাস নিয়ে নিজেকে সামলে পা চালায়।
সামনে কয়েকজন মেয়ে সিমথিদের দিকে গোলাপ ফুল ছুড়ছে। তুহিন সহ বাকি ছেলেরা উড়াধুড়া নাচছে। ওড়নায় সামনের দিকে এক কোণায় তরী ধরেছে অন্য কোনায় মেঘা। আর পেছনের দিকে রোদেলা-রোজ। সিমথিরা বাড়ির বাইরে এসে বাগানের দিকে পা রাখতে আকাশে আতশবাজি ফুটতে শুরু করে। এতসব আয়োজন দেখে সিমথির ঠোঁটের কোণায় আপনাআপনি হাসির রেখা ফুটে উঠে। ইশান রা সিমথিকে আসতে দেখে আদিকে রেখে ওর দিকে ছুটে আসে। সেই সাথে ফুল ভলিউমে সাউন্ড বক্স বাজতে শুরু করে।
Hai Woh Handsome sona sabse
Mere dil ko gaya lekar
Meri neeed chuRaLi Usne
AUR khwaabGaya Dekha
AB YE Naina Bole Yaaar
Bole YEh Hi Lagataar
Koi Chaane
Kitna Roke
Karungi Pyaar
Mere saiyaan superstar
O mere saiyaan superstar
( সংক্ষিপ্ত)
মেঘারা নাচতে নাচতে সিমথি স্টেজে পাশে এনে দাঁড় করায়। এরই মাঝে ইশান গিয়ে আদিকে টেনে এনে সিমথির পাশে দাড় করিয়ে সবাই মিলে ওদের ঘিরে ঘুরে নাচতে থাকে। আদি সিমথি হেসে একে অপরের দিকে তাকাতেই থমকে যায় দুজনের ভেতরেই একটা শীতল হাওয়া বয়ে যায়। আদি স্পষ্ট বুঝতে পারছে ওর বুকের হৃদপিণ্ড টা এখন খুলে যাবে। আদি সিমথির দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কল্পনায় যতটা ভেবেছিলো তার থেকে পলও দ্বিগুণ সুন্দর লাগছে সিমথিকে। কলাপাতা কালার শাড়ি তার সাথে মেচিং ব্লাউজ। চুলগুলো খোপা করে গোলাপ ফুল গাঁথা। মুখে মেকআপ। গায়ে তাজা রজনীগন্ধার আর গোলাপ ফুলের গয়না। হাতে চুড়ি। গায়ে জলুদের হলুদ পড়া নিষিদ্ধ করেছে সিমথি তাই গায়ে হলুদে কেউই হলুদ পোশাক পড়ে নি। সিমথির সাথে মেচিং করে আদিও কলাপাতা কালা পাঞ্জাবি আর সাদা পাজামা পড়েছে। চুলগুলো সুন্দর করে গোছানো। হাতে ঘড়ি। হঠাৎ ইশান আর মেঘা দুজনকে ধাক্কা দিতেই দুজনের হুশ ফিরে। ধাক্কা খেয়ে দুজনই দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। মেঘারা শব্দ করে হেসে দেয়। অতঃপর শুরু হয় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। প্রথমে বড়রা একে একে দুজনকে হলুদ ছুঁইয়ে প্রাণভরে দোয়া করে। অতঃপর একে একে বিচ্ছু বাহিনীরা উঠতে শুরু করে। মেঘা আর আয়াশ একসাথে উঠে সিমথি আর আদির দিকে তাকিয়ে দাঁত কেলায়। ওদের কেলাতে দেখে সিমথি আর আদি একে অপরের দিকে তাকায়। মেঘা এক খাবলা হলুদ নিয়ে সিমথির দিকে তাকায়।
সিমথি : নো নো মেঘা। ডোন্ট ডু দিজ।
কিন্তু কে শুনে কার কথায় মেঘা পুরোটা হলুদ সিমথির মুখে লেপ্টে দেয়। সিমথি নাক ফুলিয়ে মেঘার দিকে তাকায়। সিমথির মুখে অবস্থা দেখে আদিসহ সবাই হেসে দেয়।
আয়াশ : আদি ভাই আমার এতো হাসে না সোনা চাঁদ আমার। এদিকে তাকাও
কথাটা বলে এক সেকেন্ড দেরী না করেই আয়াশ হাতে হলুদ টুকু আদওর গালে মাখিয়ে দেয়। আদি মুখ ফুলিয়ে চোখ ছোট ছোট করে তাকায়। সিমথি ঠোঁট কামড়ে হেসে দেয়। কিন্তু বাকিরা আবারো অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। সিমথিকে হাসতে দেখে আদি সিমথির দিকে হালকা ঝুঁকে যায়।
আদি : খুব হাসি পাচ্ছে তাই না সিয়াজান। হাসো হাসো। এটার জন্য ও তোমার শাস্তি পাবে দেখো।
সিমথি : আপনি যখন হাসলেন তখন হুম বলুন বলুন আমি কি শাস্তি দেবো বলেছি।
আদি : আর কত শাস্তি দিবি। তোমার এই বহুরূপে আমি তো এমনিতেই ঘায়েল। আর আজ তো পুরাই ঘায়েল। এতো কাছে পেয়েও একটু ছুতে পারছি না। এর থেকে বড় শাস্তি একজন প্রেমিকপুরুষের জন্য আর নেই বুঝলে বউ।
আদির মুখে বউ ডাক টা শুনে সিমথি থমকায়। বউ সত্যিই তো আজকের রাত টার পরই সিমথি তার কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে একান্ত নিজের করে পাবে। যখন ইচ্ছে দেখতে পাবে, ছুঁতে পারবে। বুকের ভেতর অজানা এক সুখের হাওয়া বয়ে যায়। সিমথি চোখ বুঁজে মুচকি হাসে। সিমথিকে হাসতে দেখে আদি ঠোঁট চেপে অন্যদিকে তাকিয়ে হেসে উঠে। আজ আদির জীবনে সবচেয়ে খুশির দিন। নিজের ভালোবাসার মানুষ কে নিজের করে পাওয়ার মাঝে এক তৃপ্তির সুখ পাওয়া যায়।
রাত বারোটার দিকে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হয়। যদিও ছোটরা মানছিলো না কিন্তু বড়দের জোরাজুরিতে সব গুটাতে বাধ্য হয়। নাহলে কাল কেউই সকাল সকাল উঠতে পারবে না। সিমথি নিজের রুমে এসে কিছুক্ষণ বেডে বসে। এতো এতো শব্দে মাথা ভনভন করছে। প্রায় মিনিট দশেক পর উঠে আয়নার সামনে যায়। গয়না গুলো খুলতে গলায় হাত দেওয়া মাত্র কোনো কিছুর শব্দে সিমথি পেছনে তাকায়। পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিকে দেখে চমকে যায়।
সিমথি : ত তু তুমি
চলবে,, ,
( কাল সিমথি-আদির বিয়ে। অবশ্যই গিফট নিয়ে আসবেন নয়তো ঢুকতে দেবো না হুহহ। আজকের পর্ব টা কেমন হলো জানাবেন। ধন্যবাদ)