বুকে_যে_শ্রাবণ_তার #পর্ব_১০

0
257

#বুকে_যে_শ্রাবণ_তার
#পর্ব_১০
#নিশাত_জাহান_নিশি

“হেই স্টপ সামান্তা। তুই পারবিনা। আমাকে টলাতে হলে তোর কমচে কম আরও দশ কেজি ওজন বাড়াতে হবে! সাথে শক্তিও। তোর হাতের ছোঁয়ায় আমার সুরসুরি হচ্ছে। বুকের ভেতরে থাকা হৃদপিণ্ডে কোনো একটা অঘটন ঘটে যাচ্ছে! টের পাচ্ছিস না তুই?”

সোজা হয়ে দাড়ালো সামান্তা। ধাক্কাধাক্কি বন্ধ করে দিলো। আচমকা যেন সম্বিত ফিরে পেল। রাগ দমন করার চেষ্টা করল। যতটা সম্ভব নিজেকে ধীরস্থির করল। তবুও একটিবারের জন্য তলিয়ে দেখলনা মিশাল কী বুঝাতে চাইল! নিজের অধিকারের মাত্রাটুকু বজায় রাখার চেষ্টা করল। মিশালকে উপেক্ষা করে সে লবনের কৌটো নিয়ে রান্নাঘর থেকে প্রস্থান নেওয়ার পূর্বেই মিশাল তাকে পিছু ডাকল। ধীর গলায় শুধালো,

“তোর ফোন কোথায়?”
“কেন?”
“বললি তো সার্ভিসিং করাতে হবে।”
“প্রয়োজন নেই!”
“কেন?”
“আমি নিজেই সার্ভিসিং করাতে পারব।”
“রাগ করার কিছু নেই এখানে। জেনিয়াকে পিক করে বাড়ি ফিরতে ফিরতে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। এসে আবার দেখি তুই ঘুমোচ্ছিস। এখানে আমার দোষটা কোথায় বল?”
“তোমার কাছ থেকে কোনো এক্সপ্লেনেশন শুনতে চাইনি আমি। সবসময় যে আমার প্রয়োজনে তুমি তৈরী থাকবে বিষয়টা কিন্তু এমনও হয়। অযথা নিজেকে দোষিও না। আমি কিছু মনে করিনি।”

রান্নাঘর থেকে প্রস্থান নিলো সামান্তা। লবনের কৌটো নিয়ে খাবার টেবিলে চলে গেল। সামান্তার যাওয়ার পথে কপাল কুঁচকে মিশাল নির্বোধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। সামান্তার অহেতুক গম্ভীর আচরণে বোকা বনে গেল সে। অবুঝ গলায় বলল,

“কী হলো এই মেয়ের? মুড সুয়িং হলো? নাকি খাঁটি শুদ্ধ বাংলায় জ্বীন সওয়ার হলো?”

খাবার টেবিলে চলে এলো মিশাল। চেয়ার টেনে বসল টেবিলে। আজ সব জেনিয়ার পছন্দের খাবার রান্না করেছেন শাহনাজ বেগম। সমাজ রক্ষা করার খাতিরে সামান্তা কয়েক লোকমা ভাত খেয়ে খাবার টেবিল ছেড়ে ওঠে গেল। সোজা তার রুমে চলে গেল। ইতোমধ্যে জেনিয়ারও খাবার শেষ হয়ে গেল। হাত ধুঁয়ে সেও সামান্তার পিছু নিলো! খাবার টেবিলে রয়েছে শুধু মিশাল, শাহনাজ বেগম ও রুমকি। মিশালকে নিরিবিলি পেয়ে তখনই শাহনাজ বেগম খাবার চিবিয়ে চিবিয়ে প্রসঙ্গ তুললেন,

“মাস তো শেষ হয়ে এলো মিশাল। টাকা পয়সা তো এখনও কিছু দিলিনা। ফ্রিজ পুরো ফাঁকা। দুজন মেহমান আছে বাড়িতে। তাদেরকে তো আর প্রতিদিন ডিম ভাত দেওয়া যাবেনা। আজ না হয় একটু ভালো খাওয়ালাম। কাল পরশু কী হবে?”
“আর দুটো দিন ম্যানেজ করুন মা। ৫ তারিখের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন।”
“প্রেশারের ঔষধ শেষ আমার। আজই লাগবে।”
“আচ্ছা এনে দিব।”
“পাশের পাড়ার মন্টু বলল তুই না-কি বাইক কেনার জন্য টাকা জোগাচ্ছিস?”

তৎক্ষণাৎ খাবার টেবিল ছেড়ে ওঠে দাড়ালো মিশাল। হুট করে রেগে গেল সে! এসব খবর তো তাঁর মায়ের নেওয়ার প্রয়োজন নেই। সংসারের টাকা পেলেই তো তাঁর চলে। মিশালের হাবভাব বুঝে রুমকি তার মাকে বার বার থামানোর চেষ্টা করল। তবুও যেন থামানো যাচ্ছিলনা শাহনাজ বেগমকে। সুরে পাল্টে নিলেন তিনি। খরতর গলায় রেগে যাওয়া মিশালকে আরও দ্বিগুন রাগিয়ে দিয়ে বললেন,

“তোমার বাবা এখন বেঁচে নেই মিশাল। মৃত্যুর আগে তোমার বাবা আমাদের দায়িত্ব তোমার হাতে তুলে দিয়ে গেছেন। তোমার মা একজন ব্লাড প্রেশারের রোগী। ঘরে তোমার অবিবাহিত একজন বোনও রয়েছে। তারও নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। বিষয়গুলো মাথায় রাখার পর তুমি যা ইচ্ছা তা করো।”

“এসব কথা শুনতে শুনতে আমি ফ্যাডআপ হয়ে যাচ্ছি মা। আপনি এখন যা যা বললেন এর সবকিছুর চিন্তাই আমার মাথায় রয়েছে। বার বার এসব বলে কয়ে দিতে হবেনা। আপনার চেয়েও সংসারের চিন্তা বেশি আমার। বাবার দেওয়া দায়িত্ব আমি ঠিকঠাক ভাবে পালন করার চেষ্টা করছি।”

“সংসারের চিন্তা যদি তোমার মাথায় থাকত না? তবে তুমি ঐসব মারপিটের রাস্তা ছেড়ে ভালো দেখে একটা চাকরী বাকরী করতে। আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে এমনকি তোমারও। নিজের শখকে এতটা প্রশ্রয় দিতেনা। লাখ লাখ টাকার বাইক কিনতে চাইতেনা। আমি তোমার সৎ মা বলে, রুমকি তোমার সৎ বোন বলে এভাবে নিজের স্বার্থপরতার পরিচয় দিওনা প্লিজ!”

উত্তেজিত হয়ে শাহনাজ বেগম বসা থেকে ওঠে গেলেন! মিশালের দিকে তাঁর রোষাগ্নি দৃষ্টি। ভয় পেল গেল রুমকি। ভীতু গলায় মিশালকে উদ্দেশ্য করে বলল,

“ভাইয়া প্লিজ তুমি শান্ত হও। রুমে যাও। মায়ের কথায় কিছু মনে করোনা প্লিজ। তুমিতো জানোই মা একটু এমন।”

থামলনা মিশাল। শাহনাজ বেগমের কথায় সে দারুন কষ্ট পেল! সত্যিই তো মিশাল কখনও তাদেরকে সৎ মা এবং সৎ বোনের চোখে দেখিনি। পারলে সে তাদের সুখের জন্য নিজের জীবনটাও বিলিয়ে দিতে পারে। কোনোরূপ কার্পণ্যতা ও অভিযোগ ছাড়াই। আর সেখানে তো স্বার্থপরতা দূরে থাক। মুখে মুখে তর্ক করে মিশাল দুঃখ থেকে বলতে বাধ্য হলো,

“আমার বাইক নিয়েই তো আপনার যতসব প্রবলেম তাইনা? বাইক কিনবনা আমি! তবুও দয়া করে সংসারে কোনো অশান্তি করবেননা আপনি! আমি আপনাদের কখনও সৎ মা কিংবা সৎ বোন হিসেবে দেখিনি। নিজেদের জায়গাটাকে এভাবে ছোটো করে দেখবেননা প্লিজ। ইট’স মাই হাম্বল রিকুয়েস্ট।”

হাত জোর করে মিশাল জায়গা থেকে প্রস্থান নিলো। উদ্দেশ্য সফল হলো শাহনাজ বেগমের! মনে মনে তিনি বেজায় খুশি। অন্তত বাইক কেনার ভূত তো মিশালের মাথা থেকে নামল! শাহনাজ বেগমের কুচুটে হাসি দেখে রুমকি তার মায়ের দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকালো। তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলল,

“মিশাল ভাইয়ার মা হওয়ার কোনো যোগ্যতাই নেই তোমার! শেইম অন ইউ মা। আসল স্বার্থপর তো তুমি। সবসময় নিজের দিকটাই ভাবো। অন্যের শখের কোনো মূল্য নেই তোমার কাছে।”

অমনি সপাটে রুমকির গালে চড় বসিয়ে দিলেন শাহনাজ বেগম! রুমকিকে শাসিয়ে তিনি বললেন,

“চুপ। একদম চুপ। নিজের ভালোটা বুঝতে শিখ। মিশালকে শাসন করার সময় কোনো কথা বলবিনা তুই। দূর হ আমার চোখের সামনে থেকে। মায়ের চেয়ে ঐ ছেলের প্রতি দরদ বেশি! একটা কথা মনে রাখিস মা যা করব তোর ভালোর জন্যই করব।”

কাঁদতে কাঁদতে রুমকি জায়গা থেকে প্রস্থান নিলো। দৌড়ে তার রুমে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরোজা আটকে অঝরে কাঁদতে লাগল। চড়ের আঘাত তার গালে যতটা না লাগল তার চেয়ে বেশী আঘাত লেগেছে মিশালের দুঃখে ও অপমানে! রাগে ফোঁস ফোঁস করে শাহনাজ বেগম খাবার টেবিল গুছিয়ে নিজের ঘরে চলে গেলেন। মেয়েটাকে মানুষ করতে পারলেননা তিনি!

অন্যদিকে খাটের উপর আসন পেতে বসে জেনিয়া পকপক করে সামান্তার মাথা খেয়ে নিচ্ছে! খুবই বাঁচাল প্রকৃতির এই জেনিয়া। তাই বরাবরই সামান্তা চেষ্টা করে জেনিয়াকে এড়িয়ে চলতে। তবে আজ আর তা সম্ভব হলোনা। জেনিয়ার খপ্পরে তাকে পরতেই হলো। এক পর্যায়ে হাসতে হাসতে জেনিয়া গম্ভীর ও বিব্রতকর সামান্তার হাত চেপে ধরে বলল,

“তারপর কী হলো জানো? ভার্সিটির ঐ সিনিয়র ভাইটি ভেবেছিল মিশাল ভাই হয়ত আমার বফ! পিছু ঘুরে দাড়াতেই মিশাল ভাইকে ধাক্কা মেরে ছেলেটি নিচে ফেলে দিলো। মাথাটা অবশ্য একটুখানি কেটেও গেছে মিশাল ভাইয়ার। দেখলেনা? কপালে ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল?”

তৎক্ষণাৎ সামান্তা বসা থেকে দাড়িয়ে গেল। কোনোদিকে কালক্ষেপণ না করে উৎকণ্ঠিত হয়ে সে রুম থেকে বের হয়ে গেল! বেকুব হয়ে জেনিয়া সামান্তার যাওয়ার পথে তাকিয়ে রইল। জোরে চ্যাচিয়ে সামান্তাকে পিছু ডেকে বলল,

“আরে ঐ আপু? কোথায় যাচ্ছ তুমি? আমার সম্পূর্ণ কথা তো শুনে যাও।”

জেনিয়ার বাড়তি কোনো কথা শোনার পর্যায়ে নেই এখন সামান্তা। সত্যিই তো মিশালের কপালে তখন ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল! অতিরিক্ত রাগের কারণে ঐদিকে তেমন খেয়ালই করেনি সে। এজন্যই বলে অতিরিক্ত রাগ কোনোক্ষেত্রেই ভালো নয়। চিন্তিত হয়ে সামান্তা দ্রুত পায়ে হেঁটে মিশালের রুমের সামনে গেল। রাগে, দুঃখে, যন্ত্রণায় মিশাল কপালে হাত চেপে ধরে ফ্লোরে বসে আছে। বার বার ভেতর থেকে ফুপিয়ে উঠছে! গাঁ থেকে শার্ট খুলে হরদমে সিগারেট ফুকছে। হাত-পা ছুড়ে রাগ দমন করার চেষ্টা করছে। অঝরে ঘাম ঝরছিল তার গাঁ থেকে। শরীরের বিভিন্ন জায়গার রগগুলো ফুলে ফেঁপে উঠছে। কিছুতেই যেন নিয়ন্ত্রণ হচ্ছেনা তার এই অদম্য রাগ। রাগের সাথে দুঃখের মিশ্রণ ঘটে পাল্লা দিয়ে তার ভেতরের অশান্তি বাড়ছে।

ইতোমধ্যেই বিছানার উপর থেকে মিশালের সেল ফোনটি বেজে উঠল। স্কীণের দিকে তাকিয়ে দেখল সাহিলের নাম্বার থেকে ফোন এসেছে। জরুরি কল হবে সেই ভেবে মিশাল আপত্তি থাকা সত্ত্বেও কলটি তুলল। তবে সে প্রথমে চুপ রইল। ফোনের ঐ প্রান্ত থেকে সাহিল হ্যালো বলল। তটস্থ গলায় শুধালো,

“এই কোথায় তুই?”

নাক টানল মিশাল। রাগ ও দুঃখকে সংবরণ করার চেষ্টা করল। প্রত্যত্তুরে স্বাভাবিক গলায় বলল,

“রুমেই আছি।”
“মামা তোকে ডেকেছেন। আমিও মামার বাড়িতেই আছি। জলদি আয়।”
“হঠাৎ? কেন?”
“আসতে বলছি আসবি। খামোখা প্রশ্ন করছিস কেন?”
“কিছুক্ষণ পরে আসছি।”
“তোকে বলছি এখনি আসতে। কথা বাড়াচ্ছিস কেন অযথা?”
“কথা আমি বাড়াচ্ছিনা সাহিল ভাই। কথা তুমি বাড়াচ্ছ। দয়া করে কলটা রাখো। আমার উপর তোমরা এত প্রেশার ক্রিয়েট করোনা প্লিজ। একটু বুঝার চেষ্টা করো আমায়।”

বিরক্ত হয়ে সাহিলের মুখের উপর কলটি কেটে দিলো মিশাল। মাথা নুইয়ে কপালে হাত দিয়ে জায়গায় বসে রইল। সবকিছু বিতৃষ্ণা লাগছে তার কাছে। নিজেকেই নিজের কাছে কেমন বিরক্ত লাগছে। দুনিয়ায় আপন বলতে কী তার কেউ নেই? যে স্বার্থ বিহীন তার মতো করে তাকে বুঝবে? তার চাওয়া পাওয়া, শখ ও ইচ্ছের গুরুত্ব দিবে? তার মানসিক শান্তির কারণ হবে? মা হারিয়েও যে এতটা কষ্ট পায়নি মিশাল। যতটা কষ্ট পাচ্ছে বাবাকে হারানোর পর! চেনা পৃথিবীটা হঠাৎ করে যেন আরও অচেনা হয়ে গেল। দায়িত্ব বাড়লো। আকাশের মত মানুষের রঙও বদলাতে লাগল। হাজার চেষ্টা করেও মিশাল এক ফোঁটা জল ফেলতে পারলনা চোখ থেকে! কাঁদলে হয়ত তার ভেতরের কষ্টটা একটু হলেও লাঘব হতো।

সাহিলের বিরতিহীন কলে বিরক্ত হয়ে মিশাল জায়গা থেকে ওঠে বসল। ওয়াশরুম থেকে মুখটা ধুঁয়ে এলো। গাঁয়ে শার্ট জড়িয়ে দরোজা খুলে রুম থেকে বের হতেই সামান্তার সম্মুখস্থ হয়ে গেল। থতমত খেয়ে গেল সামান্তা! হকচকানো দৃষ্টি ফেলল মিশালের দিকে। নির্জীব মিশাল। চোখেমুখে উজ্জ্বলতার লেশমাত্র নেই। বিষাদে ভরা বিবর্ণ মুখখানি দেখেই দুঃখের আঁচ পেল সামান্তা। উদ্বেগ নিয়ে ভীরু গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,

“মুখে হাসি নেই কেন? কী হয়েছে তোমার?”
“বের হচ্ছি একটু। সামনে থেকে সর।”
“আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাও।”
“সবসময় মুড এক রকম থাকেনা সামান্তা। মুড বুঝে প্রশ্ন করলে আর ঝগড়া হয়না।”
“ঝগড়া করতে আসিনি আমি। কপালটা কীভাবে কাটল জানতে এসেছি।”
“জেনিয়ার কাছ থেকে জেনে নিস। আমি এখন ব্যস্ত।”
“কপালটায় একটু হাত ছোঁয়াতে পারি?”
“আমি কখনও তোকে ছুঁয়েছি? তুই কেন আমাকে ছোঁতে চাইবি?
“মাথায় ছুঁয়েছ বহুবার! আমি কিন্তু আপত্তি করিনি।”
“মাথায় ছোঁয়া আর কপালে ছোঁয়া আলাদা ব্যাপার!”
“কী এমন আলাদা ব্যাপার শুনি?”
“কপালে কেউ ছোঁলে সেই ছোঁয়া মন অবধি পৌঁছে যায়! তুই কিন্তু আমার মনের মালিক নোস!”

সামান্তাকে উপেক্ষা করে মিশাল হনহনিয়ে জায়গা থেকে প্রস্থান নিলো। নিজের অনধিকারচর্চাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করল সামান্তা। মিশালকে ছুঁতে চেয়ে নির্বুদ্ধিতা ও হ্যাংলামির পরিচয় দিলো। অতিরিক্ত আবেগ দেখালো। যদিও কাজেক্ষেত্রে মানুষ বুঝে আবেগ দেখাতে হয়! নিজের উপর ছিঃ চিৎকার করে সামান্তা মিশালের রুমে চোখ বুলালো। এই কী অবস্থা মিশালের রুমের? দেয়ালে টানিয়ে রাখা বাইকের একটি ছবিও নেই দেয়ালে। তবে রুমের আশপাশ থেকে কাগজ পোড়ার বিদঘুটে গন্ধ আসছে!

#চলবে…?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here