মিশেছো_আলো_ছায়াতে #Writer_Sintiha_Eva #part : 38

0
241

#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 38

🍁🍁🍁

রিসোর্টের পাশে পাহাড়ি রাস্তার ধারে এসে সিমথি থামে। এদিক টা বেশ আঁধার। তবে চাঁদের আলোয় আবছা দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে পাথরের ছোট ছোট টুকরো পায়ে লাগছে। সিমথি নিজের থেকে কিছু টা দূরে আদিকে একটা পাথরের উপর বসে থাকতে দেখে স্মিত হাসে। এতক্ষণ খোঁজা খুঁজি করে সিমথি হাঁপিয়ে গেছে। আর মহাশয় এখানে বসে জোসনা বিলাশ করছে। সিমথি ধীর পায়ে গিয়ে আদির সামনে দাঁড়ায়। আদি মুখ তুলে সিমথির দিকে তাকায় আবারো মুখ নামিয়ে নেয়। সিমথি আদির থুঁতনি ধরে মুখ উঁচু করে। কপালে নিজের অধর জোড়া ছোঁয়ায়।

সিমথি : এখানে কি করছো। আমি খুঁজছি তোমায়।

আদি : _______

সিমথি : জামাইজান কি হয়েছে তোমার।

আদি মুখ তুলে সিমথির দিকে তাকায়। অতঃপর মুখ গোমড়া করে বলে,,,

আদি : সরি।

সিমথি : বাট ওয়াই।

আদি : আমি ইচ্ছে করে তোমাকে হা,,

সিমথি : হুশশ। আদি আমি আপসেট নই। তোমার কাছে আমার হার-জিতের কোনো মানেই হয় না। আমি তো তোমার কাছে বার বার হারতে রাজি। হেরে গিয়ে ও আমি জেতার আনন্দ পেয়েছি আদি। তুমি আর আমি আলাদা নয়৷ আমার হারাতে তুমি যেমন কষ্ট পাচ্ছো তোমার জেতায় আমি তেমন আনন্দ পাচ্ছি। প্রতিটা মানুষকে যদি আনন্দ , কষ্ট এই দুইটাকে অপশন হিসেবে দেওয়া হয়। তাহলে সবাই আনন্দ টাকেই বেছে নেবে। তাহলে তুমি কেনো পারছো না। আদি তুমি জিতেছো এতে আমি মন থেকে খুশি। আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। তুমি অযথা মুড অফ করে রাখলে আমার আনন্দ টাই মাটি হয়ে যাবে। লক্ষ্মী সোনা একটু হাসো।

আদি সিমথির দিকে প্রখর দৃষ্টিতে তাকায়। না হাসির মাঝে কোনো মিথ্যে নেই। একদম জীবন্ত হাসি। আদি সিমথির হাত টেনে নিজের কোলের উপর বসায়। সিমথি হেসে আদির গলা জড়িয়ে ধরে।

আদি : সত্যি রাগ করোনি।

সিমথি : নাহ

আদি : সত্যি তো

সিমথি : উফফস নাহহ রে বাবা।

আদি : আমি তোমার বাবা নই।

সিমথি : ওপপ তোমাকে বাবা বানাতে যাবো কেনো। বাবা বানানোর জন্য কি এভাবে পেছনে পেছনে ঘুরতাম নাকি আর এতো গুলো থাপ্পড় খেয়েছিলাম। বাপরে যেই শক্তি তোমার।

সিমথির কথায় আদি হেসে সিমথিকে আরেকটু নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ধরে ডান গালে অধর জোড়া ছোঁয়ায়।

আদি : মিসেস আদিত্য চৌধুরী আপনি জিতে গেছেন আমাকে পেয়ে। আপনাকে থাপ্পড় মেরে আদর করার ক্ষমতা রাখে আপনার স্বামী। কতটা বীরপুরুষ দেখেছেন।

আদির কথায় সিমথি হেসে উঠে দাঁড়ায়।

সিমথি : বীরপুরুষ বলেই তো বন্ধুর ভয়ে গুটিয়ে যান।

আদি : সিয়াজান ( মুখ ফুলিয়ে )

সিমথি হেসে আদির গাল টিপে হেসে দেয়।

সিমথি : ওলে আমাল কুচুপুচু।

তন্ময় : আপনাদের প্রেমালাপ শেষ হলে ডিনারে আসুন।

আচমকা তন্ময়ের কথায় সিমথি আদি পেছন তাকায়। সায়নদের সবাই কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওরা ও এগিয়ে যায়।

সিমথি : প্রেমালাপ করছিলাম না হা/রা/রি

তুহিন : তো কি করছিলি।

সিমথি : তোকে বলবো কেনো। শোনার বয়স লাগে বুঝলি। তোর বয়স কম।

তুহিন : তো,,,

সিমথি : খেতে চল নয়তো ধাক্কা মেরে ফেলে দেবো।

সিমথির কথায় তুহিন নাক ফুলিয়ে হাঁটা লাগায়। মেয়েদের মতো তুহিনের নাক ফোলানো দেখে মেঘারা হেঁসে দেয়।

______________

রাতের খাবার-দাবার শেষে সবাই কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে যে যার রুমে যায়। আদি এসে সিমথি রুমের সাথে এটাচ করা ছোট্ট বেলকনিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বেলকনিতে যায়। পেছন থেকে সিমথি জড়িয়ে ধরে কাঁধে থুঁতনি রাখে।

সিমথি : বাড়িতে কথা বলা শেষ সবার।

আদি : হুমমম।

সিমথি : আদি

আদি : বলো

সিমথি : আমি মা/রা/মা/রি ছাড়তে পারিনি পুরোপুরি।

সিমথির কথায় আদি হাসে। আদি জানতো সিমথি কথা বেশিদিন পেটে চেপে রাখতে পারতো না। তাই হলো।

আদি : তো কি হয়েছে। ( চুলে মুখ ডুবিয়ে)

সিমথি : আদি আমি একটা দরকারী কথা বলছি। আর তুমি

আদি : আমি রোমান্স করছি। তুই বল আমি শুনছি।

সিমথি ফোঁস করে শ্বাস ছাড়ে। আদিকে ছাড়িয়ে আদির দিকে মুখ করে তাকায়।

সিমথি : আদি আমি কি বলছি আপনি শুনছেন।

আদি এবার সিরিয়াস ভঙ্গিতে সিমথির দিকে তাকায়।

আদি : তোর কি মনে হয় আমি এসব জানিনা। যেখানে তোর সাথে সবার জীবনের ঝুঁকি সেখানে তুই এভাবে পিছু হটবি আর আমি ও বিশ্বাস করবো। আমি সবসময় এটা বিশ্বাস করি তুই নিজের জীবন দিয়ে হলেও তোর আশেপাশের প্রত্যেককে রক্ষা করবি। সো এসব বাদ দে আর আমাকে আমার কাজ টা করতে দে।

আদির কথায় সিমথি হালকা হেসে আদির আরেকটু নিকটে গিয়ে দাঁড়ায়। অতঃপর আদির দুহাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে আদির দিকে দৃষ্টি দেয়।

সিমথি : আমি জীবিত থাকতে আপনার বা আমার আপনজনদের আমি কোনো ক্ষতি হতে দেবো না আমার এই পেশার জন্য। নিজের জীবন দিয়ে হলেও আপনাদের আমি রক্ষা করবো। আদি আমাদের বিয়ের আগে মা আমার এই পেশার জন্যই বিয়েতে রাজি হয়নি। আমি মাকে তখনই বলেছিলাম আমি এই জগৎ ছাড়তে পারবো না। আমি যদি একবার এই জগৎ ছাড়ি কিংবা নিজের এই অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলি তাহলে ওরা আমার আপনজনদের ক্ষতি করতে দুবার ভাববে না। আমি এমন একটা কাজে নিজেকে জড়িয়েছি চাইলেও ছাড়তে পারবো না। আমাকে যেকোনো একটা অপশন বাঁচতে হবে। হয় হিংস্রতা নয়তো মৃত্যু। তবে আমি এটুকু বলতে পারি আদি আমি থাকতে তোমার কোনো ক্ষতি হবে না। নিজের জীবন দিয়ে তোমাকে বাঁচাবো। বিশ্বাস করো তো আমায়।

আদি হেঁসে মাথা নাড়িয়ে সিমথির মাথা নিজের বুকে চেপে ধরে। এই মেয়ে টা আদির রক্ষা কবচ এটা আদি নিজেও জানে। এটা ভেবেই আদি চোখ বুঁজে হাতের বাঁধন আরো নিবিড় করে প্রশান্তির শ্বাস ছাড়ে। সিমথি দুহাতে আদিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। এই মানুষটাকে সিমথি অনেক ভালোবাসে। ওর আট সাত বছরের কষ্টের সাধনার ভালোবাসা এখন আট বছরে রূপ নিয়েছে। এই ভালোবাসার গভীরতা অনেক। দুজনই দুজনের হৃৎস্পন্দন শুনতে পাচ্ছে। আকাশের চাঁদ ও ওদের ভালোবাসার গভীরতায় হাসছে।

__________________

মেঘের রাজ্য সাজেক। বর্তমানে ভ্রমণ পিসাসু মানুষের কাঙ্ক্ষিত জায়গা সাজেক। কথায় আছে যেখানে মেঘ ছোঁয়া যায়। সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত দেখা যায় পাহাড়ে দাঁড়িয়ে। সাজেক এমন একটা অপূর্ব জায়গা যেখানে একদিনে দেখা মিলে প্রকৃতির তিনটি রূপ। কখনো বা খুবই গরম আবার কখনো হঠাৎ বৃষ্টি ভিজিয়ে দেবে আবার কখনো মেঘের ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। সাজেকে সকালের সময়টা কেউই মিস করতে চাইনা। মেঘের খেলাসমেত সূর্যোদয়ের আলোর মেলা সকালেই বসে। সূর্যোদয় দেখার জন্য সবচেয়ে বেস্ট জায়গা হ্যালিপেড। হ্যালিপেড থেকে খুব সুন্দর সূর্যোদয় দেখা যায়। সাজেকে এসে সূর্যোদয় দেখা মিস করতে চাইনা কোনো পর্যটকই। তেমন সায়নরা ও ভোরেরই সবাই উঠে পড়েছে। ওদের সাথে সূর্যরা ও যাবে। কাল রাতেই সবাই ঠিক করেছে হ্যালিপেড সূর্যোদয় দেখার বিষয়টা। সবাই রিসোর্টের বারান্দায় বসে আদিদের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু আদি বা সিমথি কারোরই আসার নাম নেই। এমনকি কেউই ফোন ধরছে না।

সায়ন : আদিবা, তুহা তোরা একটু দেখে আয় তো।

সায়নের কথায় আদিবা আর তুহা সায় দিয়ে আদিদের রুমের দিকে যায়। কিছুক্ষণ ডেকেও কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় দুজনই ফিরে আসে।

আদিবা : ওদের তো সাড়াই পাওয়া যাচ্ছে না।

আয়াশ : কি ভাই ঘুমের ট্যাবলেট খাইছে নাকি এরা।

মেহের : দুজন তো এমন রেসপন্সিবেল না।

মেঘা : ওরা আদো রুমে আছে তো।

সূর্য : আমি একটা কথা বলি

সূর্যর কথায় সবাই সূর্যের দিকে তাকায়। সবাই কে এভাবে তাকাতে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে যায় বেচারা।

শাওন : পারমিশন নেওয়ার কি আছে বলো।

সূর্য : রিসোর্টের ম্যানেজারের কাছে অনশ্যই ডুবলিকেট চাবি আছে তো চাবি দিয়ে ভেতরে গিয়ে দেখলেই তো হয়।

আফিন : আরে পা’গ’ল নাকি এভাবে কারো বেড রুমে কিভাবে যাওয়া যায়।

ইফাজ : নাহ নাহ কথাটা সূর্য ঠিকই বলেছো। আমরা বরং বাইরে দাঁড়াবো মেয়েদের মধ্যে যেকোনো একজন গেলেই হবে।

রোদেলা : কিন্তু

ইফাজ : রোদ এখানে কিন্তু করে লাভ নেই এতো ভাবাভাবি করলে আর সূর্যোদয় দেখতে হবে না।

ইফাজের কথায় সহমত হয় সবাই। আয়াশ আর আফিন গিয়ে ম্যানেজারকে ঠেলে তুলে চাবি নিয়ে আসে। মেঘা আর মেহের চাবি দিয়ে রুমের লক খুলে ভেতরে আসে। কিন্তু রুমে কাউকে না পেয়ে দুজনই অবাক হয়।

মেঘা : আরে ভেতরে তো কেউই নেই।

মেহের : দাঁড়াও ওদের ডাকছি।

অতঃপর মেহের গিয়ে সায়নদের জানায়। সবাই হুর মুড়িয়ে ভেতরে আসে।

আয়াশ : গেলো কোথায় দুইজন।

তন্ময় : কিছু হলো নাকি আবার।

তুহিন : আরে নাহ সিমথি এখানে আছে আন্ডারগ্রাউন্ডের কেউ জানে না। সিমথি সব দিকে যোগাযোগ বন্ধ আছে। সিম পাল্টে এসেছে। তুই যেটা মিন করছিস সেটা কিছুতেই হবে না৷

তুহিনের কথায় মেঘা ও সায়ন দেয়।

মেঘা : তন্ময় তুহিন ঠিকই বলেছে। সিমথি অনেক সর্তকতা অবলম্বন করে এসেছে।

ইশান : আরে তোমরা বারান্দা খুঁজেছো।

ইশানের কথায় সবাই ইশানের দিকে তাকায়।

মেহের : না তো।

তরী : কিন্তু ওরা বারান্দায় থাকলেও তো ডাক শুনতো।

আফিন : নাহ বাইরে থেকে ডাকলে সেই ডাক বারান্দায় যায় না।

তরী আফিনের দিকে তাকায়। দুজনের দৃষ্টি মিলতেই তরী দৃষ্টি সরিয়ে নেয়।

অতঃপর সবাই বারান্দায় যায়। ছোট্ট বারান্দার একপাশে কিছু ফুলের টব আরেক পাশে একটা বেতের সোফা আর সামনে বেতের টেবিল। সোফায় চোখ যেতেই আদির মাথার অংশ দেখতে পেয়ে সবাই স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে। অতঃপর সায়ন রেগে কিছু বলার জন্য ওদের সামনে যেতেই থমকে যায়। এমন সুন্দর দৃশ্য কখনো দেখেছে কিনা সায়নের জানা নেয়। কিন্তু এমন ঘটনা সায়নের সাথে ও বহুবার ঘটেছে তখনও কি ওদের এতোটা সুন্দর সুখী দম্পতি মনে হতো। সায়নকে থেমে যেতে দেখে একে একে সবাই ওদের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। আদির বুকে মাথা গুজে সিমথি ঘুমিয়ে আছে। বাম হাতে আদির শার্টের কিছু অংশ মুঠো করে রেখে। আদি সিমথির মাথার উপর নিজের মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। একহাতে সিমথিকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে অন্যহাত নিজের কোলের উপর। দুজনকে দেখে মনে হচ্ছে কত শান্তির ঘুম দিচ্ছে।

আয়াশ : আমরা এদের নিয়ে টেনশন করছি আর ওরা শান্তির ঘুম দিচ্ছে দুইজনই হা/রা/মি।

রিক : যায় বল মুহুর্তটা কিন্তু দুর্দান্ত।

কথাটা বলেই রিক ফটাফট করেটা ছবি তুলে নেয়। রিকের দেখাদেখি মেঘাসহ অনেকেই নিজের ফোনের ওদের ছবি তুলে নেয়। সায়ন এখনো মুগ্ধ দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। মনের কোনো একজায়গায় প্রশান্তির হাওয়া বইয়ে। ওর পরী যোগ্য মানুষের হাত ধরেছে এটা ভেবে। সায়ন আজ সম্পূর্ণ নিশ্চিত আদির থেকে সিমথিকে আর কেউ বেশী সুখে রাখতে পারবে না। আদিই সিমথির জন্য যোগ্য জীবনসঙ্গী।

রোজ : এবার তো এদের উঠাও। সূর্যোদয় দেখে যত খুশি ঘুমাক ওরা।

সিনহা : মনে তো হচ্ছে গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে সামনে দেখো কফির কাপ।

সিনহার কথায় সবাই বেতের ছোট্ট টেবিলের দিকে তাকায়। হয়তো সিনহার কথায় সত্যি। এদিকে কানে কারো কথা বলার আওয়াজ পৌঁছাতেই আদির ঘুম পাতলা হয়ে আসে। নড়তে চাইলে মনে হলো কেউ ওকে ঝাপটে ধরে বুকে মাথা দিয়ে রেখেছে। বাতাসের সাথে সিমথির শরীরের মেয়েলি ঘ্রাণ নাসারন্ধ্র দিয়ে পৌঁছাতেই আদি বুঝতে পারলে ওর বুকের উপর জায়গা করে নেওয়া মানবী আর কেউ নয় ওর সহধর্মিণী ওর ভালোবাসার সিয়াজান। কিন্তু পরমুহূর্তেই মাথায় ক্যাচ করে কয়েকজনের গলার স্বর। আদি পিটপিট করে চোখ মেলে তাকায়। চোখ খুলেই সায়নদের হাস্যজ্জ্বল মুখটা ওর চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আচমকা ওদের সবাই কে দেখে আদি চমকায়। ধরফড়িয়ে উঠতে নিলে সায়নের শাসানোতে থেমে যায়।

সায়ন : একদম উঠবি না। আমার বোনের আরামের ঘুমটা নষ্ট করবি না

আদি : তোরা এখানে কি করছিস।

তিন্নি : কাকাই কাকিয়া কি অসুস্থ।

আচমকা তিন্নির কথায় আদি তিন্নির দিকে তাকায় একবার আরেকবার সিমথির দিকে তাকায়। কি একটা অবস্থা এই ছোট বাচ্চার সামনে এভাবে লজ্জায় পড়তে হলো তাও এতোবড় গবেট গুলোর জন্য। মেহের জিভ কেটে শাওনের দিকে তাকায়। শাওন রাগী দৃষ্টিতে মেহেরের দিকে তাকিয়ে আছে। যার অর্থ তিন্নি এখানে কি করছে। আদি সবগুলোর দিকে রাগি চোখে তাকায়।

আদি : আজ তোরা বেঁচে গেলি আমার বুকের ঘুমিয়ে থাকা মেয়েটার জন্য। নয়তো তোদের এমন ক্লাস নিতাম এমন গা/ধা/মি দ্বিতীয় বার করতি না। ( ফিসফিসিয়ে )

আদির কথায় সবাই মুখ টিপে হাসে। বেচারা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে তারমধ্যে তিন্নির প্রশ্নে ও থতমত খেয়ে গেছে। আয়াশরা ভালোই মজা লুটছে।

মেঘা : বাই দ্য মেডিকেল রোড সিমথির ঘুম তো পাতলা আমাদের এতো কথা ওর কানে যাচ্ছে না কেনো।

আদি : ওর কানে হেয়ারফোন লাগানো।

আদির কথায় সবাই সিমথির কানের দিকে তাকায়। কালো হেয়ারফোন দেখে সবাই ব্যাপার টা বুঝতে পারলো৷।

ইফাজ : ঠিক আছে এখন আমরা বাইরে যাচ্ছি সিমথিকে উঠিয়ে বাইরে আসো।

আদি মাথা নাড়িয়ে সব-কয়টা কে বিদায় হতে বলে। সবাই হেসে বেরিয়ে যায়। আদি সবাই কে যেতে দেখে নিজের বুকে ঘুমিয়ে থাকা সিমথির দিকে তাকায়। কাল রাতে গল্প করতে করতে এখানেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলো সিমথি। তারজন্য আদিও আর বিছানায় যায়নি। সিমথির কপালের চুলগুলো সরিয়ে একটা চুমু আঁকে অতঃপর ওকে ডাক দেয়।

চলবে,,,৷

( ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here