ভালোবাসার_ফোড়ন_২ #মিমি_মুসকান #পর্ব_১৭

0
407

#ভালোবাসার_ফোড়ন_২
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_১৭

জ্ঞান ফিরার পর নিজেকে ঘরের বিছানায় আবিষ্কার করলাম। মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা! ঝাপসা ঝাপসা চোখে সামনে তাকিয়ে দেখি ইতি আমার সামনেই বসে আছে। যদিও তাকে দেখতে ঘোলা ঘোলা লাগছে তবুও আমি অনুমান করতে পারছি এটা ইতি। আমার এপাশে দাদি বসে আছে এটা সহজেই অনুমান করতে পারলাম।‌ এর অবশ্য একটা কারন আছে আর তা হলো দাদি’র শরীর থেকে অন্যরকম একটা গন্ধ আসে। এর মাধ্যমে আমি তাকে চিনতে পারি।

জ্ঞান ফিরার পর ও কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়ে রইলাম। অপেক্ষা করতে লাগলাম দাদি আর ইতি’র ডাকের। আমি জানি তারা আমাকে ডাকবে। ডেকেই তুলবে! তাই হলো, দুজনে আমাকে তুলে উঠালো। আমি স্বাভাবিক দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকিয়ে রইলাম অতঃপর মাথায় হাত দিলাম। মাথার যন্ত্রণা বেশ তীব্র হচ্ছে। যখন যন্ত্রণা হয় তখন কোন চিন্তা ভাবনা’ই আমার মাথায় থাকে না। শুধু মনে হয় কেউ হয়তো মাথায় বসে আছে। আর তার কারনেই মাথায় তীব্র যন্ত্রনা! এক কাপ চা পেলে হয়তো বেশ ভালো লাগতো।

ইতি উঠে আমার সামনে এক কাপ চা লাগলো, কড়া করে বানানো চা দিলো আমায়। আমি স্বাভাবিক ভঙ্গিতে’ই চা খেলাম। মাথায় এখন অবদি কোন চিন্তা ভাবনা আসছে না। দাদি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,

“একটু ভাত নিয়ে আসি, খাইয়ি দেই তোকে!

আমি মাথা নাড়লাম! দাদি উঠে তাঁর ঘরে গেল। জানি ঘর থেকেই আমার জন্য ভাত নিয়ে আসবে। খুব খাটাখাটনি করে বুড়িটা আমার জন্য। এতো আদর পেতে ভালোও লাগে আবার ভয় ও লাগে কারন সুখ যে ক্ষণস্থায়ী! ইতি আমার হাতে একবার হাত রেখে জিজ্ঞেস করল ঠিক আছি কি না। আমি চা তে একটা চুমুক দিয়ে মাথা নাড়লাম!

সবটাই স্বপ্নের মতো লাগছে! লাগাটা স্বাভাবিক কারন আমার কিছুই মনে পড়ছে না। কি হয়েছিল? আমার চিন্তা ভাবনার শক্তি কি কমে গেল নাকি। মানুষ স্বপ্নে থাকলে এমনটা হয় তাহলে কি আমি স্বপ্নে আছি!

দাদি এসে পড়ল ভাতের থালা নিয়ে। আমাকে খাইয়ে দিতে লাগল। এর মাঝেই আমার চিন্তা ভাবনা শক্তি কাজ করছে। আমার শরীর কাঁপছে! সবকিছু খুব দ্রুত মনে পড়ছে আমার। সব মনে পড়ার পর’ই চোখ দু’টো মানুষ আবার ভিজে উঠছে। দাদি আমাকে খাইয়ে দেবার ঔষধ খাইয়ে দিলো যাতে জ্বর না আসে।

ঔষধ খাবার পর খানিকটা সুস্থ মনে হতে লাগল তা সম্পূর্ণ’ই শারীরিক ভাবে, মানসিক ভাবে আমি এখনো অনেকটা দুর্বল! ইতি আমার হাতে হাত রাখল। আমি তার দিকে তাকালাম। সে শান্ত ভাবেই বলল,

“চিন্তা করিস না আমি তোর টাকা দিয়ে এসেছি। এটা দয়া না তোকে ধার দিলাম বুঝলি। তুই যখন পারিস তখন দিস আর সুদ হিসেবে আমাকে একটা চকলেট দিস।

ইতির কথা শুনে না চাইতেও হেসে দিলাম। বেচারি আমাকে হাসানোর জন্য’ই তো কথা গুলো বসছিল। শরীর টা এখন অনেক ভালো তবুও মনের কোথাও বেশ অসুখ অসুখ বোধ করছি!
দুপুরের দিকে ইতি আমাকে নিয়ে গেল ছাদে। বৃষ্টির কারনে পুরো ছাদ’ই সেঁতসেঁতে অবস্থা। আমি ধীরে হেঁটে গ্রিলের সাথে ঘেসে দাঁড়ালাম। ইতি বলে উঠল,

“যা হয়েছে তার জন্য এখনো কি মন খারাপ করে আসিস!

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলি,
“মন খারাপ করে লাভ নেই জানি তবুও ভালো রাখতে পারছি না।

“যখন জ্ঞান হারালি জানিস তখন খুব পেয়ে গিয়েছিলাম!

“একটা কথা জানিস তখন তুই না থাকলে আমি জ্ঞান হারাতাম না। তুই ছিলি বলে বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পরেছিলাম। তাই এমনটা হলো!

“যাক তাহলে আমি তোর কাছে বিশেষ কেউ।

“সেটা তুই বরাবার আছিস। কিন্তু আবেগপ্রবণ হওয়াটা ভালো না। এটা মানুষ কে দুর্বল করে দেয়।

“তবে তুই মনে হয় উল্টো কিছুই করলি, আবেগপ্রবণ হয়ে আহিয়ান ভাইয়া কে এত্তো গুলো কথা শুনালি!

মূহুর্তে’ই উনার কথাটা মাথায় এলো। মনে পড়ল উনাকে বলা কথা গুলো।

“সত্যি’ই কি ভুল করেছি আমি।

“সেটা তো তোর মন জানে তাই না!

“মনে হচ্ছে যা করেছি ঠিক করেছি কারন যা হয়েছে সব উনার জন্য’ই! না সে সেদিন নিতি আপু কে সরি বলতো, না নিতি রেগে যেত আর না সে আমার টাকা নিয়ে যেত।

“টাকা নিতি নিয়েছে বলে আমি ধারনা করেছিলাম এখন তো দেখি এটাই সত্য। তবে তোর কথার যুক্তি থাকলেও আমি আহিয়ান ভাইয়া কে ঠিক বলবো!

আমি ভ্রু কুঁচকে ইতি’র দিকে তাকালাম। ইতি আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল,

“কারো দল নিচ্ছি না নিজের মত টুকু জানাচ্ছি! সেদিন নিতি তোকে থাপ্পড় দিয়েছিল বলেই ভাইয়া তাকে সরি বলতে বলেছে, ভাইয়া কি আর এটা জানত যে নিতি আরো রেগে যাবে আর সেই ফল তোকে নিতে হবে!

“জানবে না কেন? নিতি কি তার ভালো বন্ধু নয়!

“হ্যাঁ ভালো বন্ধু তো অবশ্যই! কিন্তু তাই বলে তার মনে কি চলছে সে তো আর জানবে না। শোন একজন কে মানুষ কে চিনতে যেমন বছর খানেক লাগে না তেমনি আবার কিছু মানুষ আছে যাদের চিনতে তোর জীবন পার হয়ে যাবে। মানুষ সবসময় দুই সত্তা নিয়ে ঘুরে একটা তার বাহ্যিক অন্যটা তার ভিতরে! এখন যেই সত্তা ভালো সেটাই মানুষ কে দেখাবে আর খারাপ টা নিজের মনের মাঝেই পুষে রাখে! আর ধরতে গেলে আহিয়ান ভাইয়া তো তোকে সাহায্য করতে’ই চেয়েছে!

“জানি আমি! কিন্তু তার সাহায্যের কারনেই আজ আমার এই হাল!

“আমি বুঝতে পারছি আর মন খারাপ করিস না!

“করে লাভ নেই এতে কিছুই হবে না!

“আল্লাহ তাআলা এক পথ বন্ধ করে আরো হাজারো পথ কিন্তু খুলে দেয় নিহা কথাটা একদিন তুই বলেছিলি আমায়! এখন সেটাই বিশ্বাস কর না, দুঃখের পর কি সুখ আসে না।

“আসে তবে তা ক্ষণস্থায়ী! কিন্তু কিছু মানুষ আছে জানিস যাদের কপালে আজীবন দুঃখ’ই থাকে কখনো সুখের দেখা মিলে না। মোটকথা সুখ তাঁদের কাছে শুধুই স্বপ্ন! আর এই স্বপ্ন একটা সমুদ্রের ন্যায় যেখানে সবাই সাঁতার কাটতে পারে না। কেউ কেউ স্বপ্নের খোঁজে সেই সমুদ্রের তলদেশে হারিয়ে যায়। হারিয়ে যায় তার স্বপ্ন, তার অস্তিত্ব, তার আবেগ ভালোবাসা সব কিছু। মানুষ ভুলে যায় তাকে। তার অস্তিত্ব কে! তার নামে যে কেউ ছিল এটাই তারা মনে করতে পারে না!

ইতি খুব মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনল। অতঃপর আমার ঘাড়ে হাত রেখে হেসে বলল,
“আমরা দু’জনেই সমবয়সী! তবুও তুই জীবন সম্পর্কে আমার থেকে কতোটা বেশি বুঝিস। এটার কারন হলো তুই জীবন টাকে খুব সামনে দেখে দেখেছিস। দেখছিস এই সমাজের মানুষের বিচিত্র রূপ কে। একা চলতে শিখেছিস কিন্তু এসবের কিছুই আমি করি নি। তাই তোর কষ্ট টা আমি ঠিক বুঝতে পারি না।

“কষ্ট না বোঝাই ভালো ইতি, কষ্ট কে বুঝতে গেলে আরো বেশি কষ্ট পাবি,‌ কষ্ট বাড়বে বরং কমবে না!

আমার কথায় ইতি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। খেয়াল করলাম সে কিছু বলতে গিয়েও বলল না। আকাশের দিকে তাকালাম। পুরো আকাশ এখন পরিষ্কার, স্বচ্ছ! কালো মেঘ কাটিয়ে সূর্য আবারো উঁকি দিয়েছে।

হঠাৎ মনে পড়ল পড়াতে যেতে হবে। কিন্তু শরীর আর মন আজ আলসে তে ভরপুর তবুও যেতে হবে আমায়। মাথায় যে বোঝা চেপে গেছে। বোঝা তো আগেই ছিল তার সাথে আরো কিছু জুড়ে গেল। কবে যে আমি এই বোঝা মাথা থেকে নামাবো সেটাই ভাবছি। নাকি এই বোঝার মাঝেই আমার জীবনের সমাপ্তি হবে!‌ ভাগ্যে কি আছে কিছুই বলা যায় না। ভাগ্য কে যেমন বিশ্বাস করতে হয় তেমন অবিশ্বাস ও করতে হয়। বিশ্বাস করতে হয় ভাগ্য নামের কিছু একটা আছে আবার অবিশ্বাস ও করতে হয় ভাগ্য আমার নিয়মে চলবে। সে চলবে তার নিজের গতিতে। আমি যা চাই তা কখনো হবে না। ভাগ্য যা চাইবে তাই হবে! এখন শুধু দেখার আমার ভাগ্য আমাকে কতদূর নিয়ে যায়!
.
ইতি আর আমি একসাথে’ই বের হলাম। অতঃপর ইতি কে বিদায় দিয়ে চললাম নিজের গন্তব্যে! গন্তব্য প্রথমে রিনু কে পড়াতে হবে, অতঃপর তোহা, তিহান আর অর্ণ কে! সবাইকে পড়িয়ে এসে ক্লান্ত শরীর টাকে বিছানায় এলিয়ে দিলাম। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ঠিক নেই। মিতু আপু একবার ডেকে ঘুম থেকে উঠালো, তাকিয়ে দেখি দাদি ভাতের থালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অতঃপর দাদি আবারো আমাকে খাইয়ে দিয়ে ঔষধ খাইয়ে চলে গেল!

পরিক্ষা শুরু হয়ে গেল। মন কে ঠিক রাখতে সারাক্ষণ পড়াশোনা করলাম। খুব মন দিয়ে, ভালো করে পড়লাম যাতে পরিক্ষা ভালো হয়। পরিক্ষাও ভালো হলো তবে অবাক হবার বিষয় ছিল ভার্সিটিতে আহিয়ান ওদের কারো সাথেই আমার দেখা হতো না। আসলে আমিই ওদের এড়িয়ে চলতাম কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তারাও আমাকে এড়িয়ে চলছে। নাহলে দেখা হচ্ছে না কেন?

না হওয়াটা’ই ভালো। হলেই আবার একটা ঝামেলা, আবার কিছু না কিছু হবে। এর চেয়ে তাদের মুখোমুখি না হওয়াটাই ভালো। কিন্তু মুখোমুখি হয় নি বলে যে তাঁদের একবার দূর থেকে দেখেছি তাও না। কোন রকম যোগাযোগ হয় নি আমাদের মাঝে। মনে মনে কোথায়ও একটু খারাপ লাগতে শুরু করল। ভেবেছিলাম আহিয়ান কে দেখতে পেলে তাকে সরি বলবো।

ইতির সেদিনের কথা গুলো ঠিক ছিল, উনি তো আমাকে সাহায্য করবার জন্য’ই এসব করেছে। একবার না বার বার আমার সাহায্য করেছে কিন্তু আমিই অকৃতজ্ঞ’র মতো তাকে সবার সামনে অপমান করলাম। অপরাধ বোধ জাগছিল মনে। দিন দিন এই অপরাধ বোধ বেড়েই যাচ্ছিল। একবার দেখা পেলে হয়তো এই অপরাধ বোধ কমতো!
.
পরিক্ষার পর’ই ভার্সিটি কিছু দিনের জন্য ছুটি দিল। ইতি এই সুযোগে ওর ফুফু বাড়ি চলে গেল বেড়াতে। আমাকে অবশ্য সাধল কিন্তু আমিই না করে দিলাম। তবুও খুব জোর করছিল তাই টিউশনি’র কথা বলে বাহানা দিলাম। নাহলে আর কি উপায় ছিল!

ওদের সবার পরিক্ষা শেষ হলো, বছরও শেষ হতে চলল। কদিনের ছুটি ও পেয়ে গেলাম। নতুন বছরের আগে কেউই পড়বে না। ওদের জোর করেও পড়ানো যাবে না। তোহা চলে গেছে দাদু বাড়ি আর তিহান গেছে নানু বাড়ি। অর্ণ আর তার পুরো পরিবার গেছে বেড়াতে। অর্ণ আমাকে বলেছিলি সে নাকি পাহাড় দেখতে যাবে। মনে হয় সেখানেই গেছে।

কিন্তু সমস্যা হলো রিনু’র মা কে নিয়ে। তিনি চেয়েছেন আমি রিনু কে পুরো মাস টাই যেন পড়াই। আমিও রাজি হলাম। দুদিন পড়ানোর পড়’ই ওর মা বলল আর না পড়াতে। নতুন বছর থেকেই আবার পড়াতে। রিনু’র বাবা নাকি রিনু’র দাদু বাড়ি যাবার জন্য জোর করছে তারা সেখানেই যাবে!

অবশেষে এতো দিনের ক্লান্ত শেষে আমি কিছুদিনের ছুটি পেলাম। ভালোই লাগল এই ছুটি। ভাবলাম এই সুযোগে একটা চাকরি খোঁজা দরকার। কিন্তু চাকরির জন্য তো সার্টিফিকেট দরকার। আর আমার সব কাগজপত্র গ্রামে। কিছুই আনি নি সাথে। এখন সার্টিফিকেট ছাড়া কোথাও চাকরি নেওয়া যাবে না।

কোন পথ না পেয়ে মনস্থির করলাম গ্রামে যাবো। এছাড়া আর কোন পথ নেই। সারাদিন টিউশনি করার চেয়ে একটা চাকরি পেলে বেশ ভালো হবে। আর এজন্য গ্রামে আমাকে যেতেই হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। দাদু ভাই আর দাদি মানা করল যাবার জন্য কিন্তু আমার মন মানতে চাইছে না। কতোদিন হলো মা আর বাবা কে দেখি নি। তাদের দেখার জন্য আমার মন ছটফট করছে। এই সুযোগে দেখে আসবো তাদের।

কিন্তু গেলেই তো আরেক বিপত্তি! আমি যে বিয়ে থেকে পালিয়ে এসেছি। যদিও সেই ঘটনার কয়েকমাসও পার হয়ে গেছে, মনে হচ্ছে সবাই সবকিছু ভুলে যাবে।‌ ভুলে যাবার’ই কথা কিন্তু আমাকে দেখলে যদি মনে পরে যায় তখন.. তখন কেউই ছেড়ে কথা বলবে না। দু চারটে কথা না শুনালে কি তাদের মন ভরবে।

তাই বলে ভয় পেয়ে বসে থাকার কোন মানে নেই। আমি যখন বলেছি তখন যাবোই। অতঃপর ব্যাগ গুছিয়ে বের হয়ে এলাম। রাস্তায় আসার সময় দাদু ভাই আর দাদি’র কথা খুব মনে পড়ছিল। শুধু ভাবছি আর কি দেখা হবে তাদের সাথে। যদি দেখা না হয় তখন! তারা কি ভুলে যাবে আমাকে। মনে পড়বে আর আমায়!

এসব ভেবে একটা দীর্ঘশ্বাস নিলাম। নিজেকে বোঝালাম নেগেটিভ যেমন আছে তেমন পজেটিভ ও আছে। হয়তো একটু বেশিই ভাবছি আমি।

রেলওয়ে স্টেশনে আসার পর ট্রেন খুঁজতে লাগলাম। টিকেট কেটেই রেখেছিলাম। কিছুক্ষণ খোঁজার পর ট্রেন পেয়েও গেলাম। মাইকে বলছে ১০ মিনিট পর ট্রেন ছাড়বে। দ্রুত উঠে গেলাম ট্রেনে!
অতঃপর এসে সিট খুঁজতে লাগলাম। সিট খুঁজতে খুঁজতে ট্রেন ছেড়ে দিল। তবুও আমি সিট খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অনেক খোঁজাখুঁজি’র পর সিট পেলাম। অতঃপর সেখানে ধপাস করে বসে পড়লাম। ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে মুখে দিলাম। সামনে চোখ পড়তেই পানি খেতে গিয়েও বিষম লেগে গেলে আমার! আমি রীতিমতো হতবাক হয়ে গেছি!

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here