#যেদিন_আমি_থাকবো_না
#লেখিকা_ইভা_আক্তার
এবং
#লেখিকা_তাসফিয়া_জামান
#পর্ব_২
————————-
পরদিন সকালে তানিশা রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে। আজও তার পরিবারের লোকেরা তাকে ছাড়াই ব্রেকফাস্ট করছিলো। তানিশা চুপচাপ সিড়ি দিয়ে নামতেই রাফসান চৌধুরি বলেন,
– কাল রাতে খেতে আসো নি কেনো?
– ক্লান্ত ছিলাম। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
তানিশার কথা যেনো রাফসান চৌধুরির কানে যায় নি। তিনি তার খাওয়ায় মনোযোগ দিলেন। আর এদিকে তানিশা তার দিকে একপলক তাকিয়েই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে। তানিশার কষ্টের থেকে প্রচন্ড রাগ উঠছে। এখন যদি এই রাগ কারো উপর ঝাড়া যেতো তাহলে হয়তো তানিশার মন ভালো হয়ে যেতো।
ভার্সিটিতে পৌছে গাড়ি থেকে নেমেই তানিশা সামনে নীলকে দেখতে পায়। হয়তো বা তারই অপেক্ষা করছিলো। যতই হোক বেস্ট ফ্রেন্ডই তো। তানিশা গাড়ি থেকে নামতেই নীল বলে,
-হেই সুন্দরী। কেমন আছো?
এটা নীলের নিত্যদিনকার অভ্যাস। এই দুনিয়ায় নীল একমাত্র তানিশাকে সুন্দরী বলে ডাকে আবার তানিশাও একমাত্র নীলকেই হ্যান্ডসাম বলে ডাকে। তবে আজ যেনো তানিশার কাছে নীল নামের ব্যাক্তিটাও অপরিচিত। সবই হয়েছে তানিশার পরিবারের জন্য। তানিশা নীলের কথায় পাত্তা না দিয়ে চলে যেতে নিলেই নীল বলে,
– কি হয়েছে তানিশা? মুড অফ?
– কিছু হয় নি।
– তোর চেহারা দেখে ভালো করেই বোঝা যাচ্ছে কিছু হয়েছে।
– আমি ঠিক আছি। টেনশনের কিছুই নেই।
– তানিশা প্লিজ বল। আমি না তোর বেস্ট ফ্রেন্ড।
বেস্ট ফ্রেন্ড নামটা শুনে তানিশার রাগ আরও বেড়ে যায়। হ্যা তারা বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু নীলের জন্য তো তানিশার মনে অন্য কিছু রয়েছে।
-কি হলো বল
– বললাম তো কিছু হয় নি। তবুও বারবার জিজ্ঞেস কেনো করছিস?
– দেখ তানিশা আমাকে রাগাবি না। আমার কিন্তু খুব রাগ উঠছে। যা প্রশ্ন করছি উত্তর দে।
– ওহ রাগ উঠছে বুঝি? জাইমার কাছে যা। ও তোর রাগ ভাঙিয়ে দেবে।
জাইমার কথা শুনে নীলের চোখ রাগে লাল হয়ে গেলো। এই একমাত্র ব্যক্তি যে নীলের কাছের মানুষ হলেও নীল তাকে জঘন্যভাবে ঘৃণা করে।
– দেখ তানিশা আমাকে উষ্কাবি না।
– কেনো কেনো? আমি তোকে ভালো একটা পরামর্শ দিচ্ছি। জাইমা তোর সব সমস্যা দূর করে দেবে। ওর কাছে গেলে তুই সব পাবি।
এবার নীল গর্জে উঠলো।
– তানিশা প্লিজ।
তানিশা তাচ্ছিল্য ভাব ধরে সেখান থেকে চলে যায়। নীল বুঝতে পেরেছে তানিশার আজ কিছু একটা হয়েছে। কিন্তু সেটা তার পরিবার নিয়ে। নীলের তার পরিবার সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা আছে।
ক্লাসে এসে নীল তানিশাকে দেখতে পেলো না। ক্লাস শুরু হওয়ার সময়ও তানিশা ক্লাসে আসলো না। শেষে বাধ্য হয়ে নীল পুরো ভার্সিটি ক্যাম্পাসে তানিশাকে খুঁজে বেরালো। তবুও তানিশার কোনে খোঁজ পেলো না। নীলের মাথায় আসলো সেই পার্কের কথা। যেখানে তানিশার মন খারাপ হলেই গিয়ে বসে থাকে। ক্লাস না করেই নীলও চলে গেলো সেই পার্কে। নদীর সামনে গিয়ে দেখলো তানিশা সেখানে বসে পাথর ফেলাচ্ছে। নীলও সেখানে গিয়ে বসে তানিশাকে বললো,
– আমাকে পাথর দে।
তানিশা নীলের দিকে এক পলক তাকিয়ে কয়েকটা পাথর নীলকে দিলে। নীল দুই তিনটা পাথর নদীতে ফেলে তানিশাকে বললো,
-তানিশা
– হু
– আঙ্কেল আন্টির সাথে কিছু হয়েছে তাই না?
– হুম।
তানিশা সকল ঘটনা নীলকে খুলে বললো। সব ঘটনা শুনে নীল মনে মনে তানিশার বাবা মাকে প্রচন্ড গালাগাল করলো। এই মানুষগুলো কি তানিশাকে একটুও শান্তিতে থাকতে দিবে না? নিজের মেয়ের সাথে কি কেউ এভাবে আচরণ করে?
– আমার ভাগ্য এরকম কেনো রে নীল? কি দোষ করেছি আমি?
– তানিশা চুপ থাক। যে ফেমিলি তোকে ছোটো বেলা থেকে এতোটা অবহেলা করে সেই ফেমিলির জন্য আফসোস না করলেই চলে।
– যতই হোক বাবা মা তো
– হ্যা বাবা – মা। কিন্তু বাবা-মা হয়ে কি করেছে যে নিজের মেয়েকেই এতোটা অবহেলা করে?
– বাদ দে তো।
– না কেনো বাদ দেবো। বাদ দিতে দিতেই তো আজ এ পর্যন্ত এসেছে।
– প্লিজ নীল চুপ থাক।
নীল চুপ হয়ে গেলো। তানিশার মন খারাপ দেখে নীলের একটা কথা মাথায় আসলো।
-আইসক্রিম খাবি?
আইসক্রিমের কথা শুনে তানিশা যেনো ঈদের চাঁদ হাতে পেলো।
– হ্যা খাবো। এনে দে।
-এক শর্তে
-কি শর্ত?
– জাইমাকে নিয়ে আর কখনো কোনো কথা বলবি না।
– ঠিক আছে বলবো না। এবার দে।
নীল উঠে তানিশার দিকে হাত বারিয়ে দিলো। তানিশাও নীলের হাত ধরে উঠে নিজেদের গন্তব্যে চলে যেতে লাগলো।
———————-
চারপাশের হাজারো মেয়ে নীলের দিকে এক নজরে তাকিয়ে রয়েছে। তাকিয়ে থাকবেই বা না কেনো?তিন বছরের জিম করা বডি দেখে যে কোনো মেয়েই হার্ট অ্যাটাক করতে প্রস্তুত। জিম সেন্টারে নীল জিম করছিলো। আর তার পাশে হাজারো মেয়ে এক নজরে নীলকে দেখছিলো। কিছুক্ষণ পর অসাধারণ এক ফিগারের মেয়ে নীলের সামনে চেয়ার নিয়ে বসে পড়লো।
– হেই হ্যান্ডসাম।
মেয়েটির দিকে তাকিয়ে নীল মুচকি হেসে বললো,
– হেই সুন্দরী। কখন এলে?
– মাত্রই আসলাম তুই?
– অনেকক্ষণ আগে আসলাম।
নীল উঠে তার পাশে থাকা কাপড়টা দিয়ে শরীর ঘাম মুছে তানিশাকে বললো,
– চল গিয়ে বসা যাক। অনেকক্ষণ ধরে ব্যায়াম করার কারনে শরীর দুর্বল লাগছে।
নীল আর তানিশা গিয়ে বসলো দুটো চেয়ারে। এই প্রথম তানিশা হাতাকাটা একটা গেন্জি পড়েছে। আগে কখনোই তানিশাকে এরকম জামা পড়তে নীল দেখে নি। নীল আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো তানিশার পাশে কয়েকটা ছেলে তানিশার দিকে চেয়ে রয়েছে। নীলের খুব রাগ উঠলো। কিছুক্ষণ পর তাদের মধ্যে একটা ছেলে তানিশার কাছে এসে বললো,
– হ্যালো সুইটি
তানিশা তার দিকে তাকিয়ে তারপর নীলের দিকে তাকিয়ে মনে মনে শয়তানি হাসি দিয়ে বললো,
– সবসময় তো আমাকেই জেলাস ফিল করাস। এখন নাহয় আমি একটু করাই।
এই বলে তানিশা ছেলেটার কাছে ঘেষে বললো,
– হেই হ্যান্ডসাম। ইউ আর সো কুল।
তানিশার কথায় ছেলেটিও বেশ সারা পেলো। আর এদিকে নীল অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে রইলো। এই পর্থম তানিশা নীল ব্যতীত অন্য কাউকে হ্যান্ডসাম বলে ডেকেছে। এটা ভাবতেই নীলের মুড অফ হয়ে গেলো। নীল তাকিয়ে দেখলো ছেলেটি যত যাচ্ছে ততই তানিশার গা ঘেষছে আর তানিশা দূরে সরে যাচ্ছে। হটাৎ করে ছেলেটি তানিশার গায়ে হাতে দিতে নিলেই নীল এসে হাত ধরে বললো,
– কি হচ্ছে এখানে?
– তুমি কে ভাই?
– আমি কে সেটা জেনে তুমি কি করবে? এখান থেকে চলে যাও। তানিশা এদিকে আয়।
নীল তানিশার হাত ধরে সেখান থেকে চলে গেলো। আর এদিকে তানিশা মনে মনে হেসেই চলছে। তানিশা জানে এখন নীল তাকে একশ একটা কথা শোনাবে আর সাবধান করবে।
————————-
ভার্সিটির ক্যাম্পাসে সকলে মিলে আড্ডা দিচ্ছিল। আর তার মাঝেই কালো গাড়ি করে কেউ একজন ভার্সিটির গেট দিয়ে ঢুকলো। তানিশার কাছে খুব পরিচিত গাড়ি মনে হওয়ায় তানিশা এক নজরে গাড়ির দিকে তাকিয়ে রইলো। তানিশার দেখাদেখি সকলেই গাড়িটির দিকে তাকিয়ে রইলো। গাড়িটির থামতেই পেছনের সিট থেকে বের হলো একজন অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি যাকে তানিশা কখনোই এখানে আশা করে নি। গাড়ি থেকে বের হলো তানিশার বোন তিশা চৌধুরী। তিশাকে দেখে একে একে সকলেই অবাক হয়ে গেলো। তিশার পর গাড়ি থেকে বের হলো রাফসান চৌধূরী। তানিশার হাতে ভার্সিটির এডমিটের কাগজ দেখে সকলেই যা বোঝার বুঝে ফেলেছিলো।
– তানিশা তুই তো আমাদের বললি না তিশা এই ভার্সিটিতে ভর্তি হবে। (আইরিন)
– আমি নিজেই জানতাম না। (তানিশা)
তানিশার এবং সকলের সামনে দিয়েই তিশা এবং ওর বাবা চলে গেলেন। এই ভার্সিটির স্টুডেন্ট থেকে শুরু করে টিচাররাও জানে না যে বিখ্যাত গ্রীন কম্পানির মালিক রাফসান চৌধুরির বড় মেয়ে হচ্ছে তানিশা চৌধুরী। আজ পর্যন্ত তিনি কখনোই তানিশাকে নিজের মেয়ে বলে পরিচয় দেন নি। কিন্তু তানিশার বেস্ট ফ্রেন্ডরা জানে যে তানিশার বাবা হচ্ছেন রাফসান চৌধুরি।
– এই মেয়ে এই ভার্সিটিতে ভর্তি হলে তো তোকে জ্বালিয়ে ফেলবে তানিশা (অভি)
– কি করবে তা আমিও দেখে নেব (তানিশা)
– এতো সাহস কার যে আমার বউকে টিচ করবে? (নীল)
নীলের কথায় সকলে হাহা করে হেসে দিলো।
– হ্যা তাই তো। আমাদের নীলের বউকে কে কি করবে হ্যা? (আইরিন)
আইরিনের কথায় তানিশা মুড অফ করে বললো,
– যেটা কখনে হবে না সেটা নিয়ে অযথা কেনো কথা বলছিস আইরিন?
তানিশার কথায় আইরিনও চুপ হয়ে গেলো। তানিশা কথাটি আইরিনকে একা একা বলায় কেউ শুনতে পারে নি। ফ্রেন্ড সার্কেলের একমাত্র আইরিন জানে যে তানিশা নীলকে মনে মনে কতটা ভালোবাসে। তানিশা চুপচাপ ওয়াশরুমে চলে গেলো। আর এদিকে তানিশার যাওয়ার পানে সকলে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো।
ওয়াশরুমে গিয়েই তানিশা ভালো করে নিজের মুখ ধুয়ে নেয়। এইসব আবেগীয় কান্নার কোনে মানে হয় নাকি? যে আমার হবেই না তাকে কেনো আমি নিজের করে পেতে চাই? তানিশা ওয়াশরুম থেকে বের হতেই দেখে বাইরে ফ্রেন্ড সার্কেলের সকলে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
– ঠিক আছিস তানিশা (অভি)
– চিন্তা করিস না। ঠিক আছি।
– ক্লাসে চল তাহলে (নীল)
সকলে মিলে সামনে যেতেই দেখলো তিশা তাদের দিকেই আসছে। তিশূকে দেখে আইরিন মনে মনে ভেংচি কাটলো। তিশা এসে নীলের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে বললো,
– হ্যালো আমি তিশা। এই ভার্সিটির নিউ স্টুডেন্ট। অনার্স ফার্স্ট ইয়ার।
খাতিলতার বজায়ে নীলে তিশার সাথে হ্যান্ডশেক করে বললো,
– হাই আমি নীল। অনার্স থার্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট।
– নাইস টু মিট ইউ নীল।
তিশার কথায় তানিশা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো,
– এই ভার্সিটিতে যে জুনিয়র স্টুডেন্টরা সিনিয়রদের নাম ধরে ডাকে তা আমার জানা ছিলো না।
তানিশার কথায় তিশা তার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো,
– ওয়াট ডু ইউ মিন
– ও বলতে চাইছে আমাদের ভার্সিটির কোনে জুনিয়র কোনো সিনিয়রকে নাম ধরে ডাকলে তাকে বেয়াদপ বলা হয়। (আইরিন)
তিশা তার সকল রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে বললো,
– আমি তো নতুন তাই এটা জানতাম না।
– সমস্যা নেই জেনে নিবে ওকে? (আইরিন)
তিশা দাঁত কিড়মিড় করে বললো,
– অবশ্যই।
– চলো তিশা। কাল থেকে তুমি ক্লাস করতে পারবে। এখন আমাদের যেতে হবে (রাফসান চৌধুরী)
তিশা ওর বাবার কথা শুনে নীলের দিকে তাকিয়ে বললো,
– কালকে দেখা হবে তাহলে। বায় বায় নীল।
বলেই তিশা সেখান থেকে চলে গেলো।
– কি ব্যাহায়া মেয়েরে বাবা। এতো অপমান করার পরও গায়ে লাগলো না (আইরিন)
আইরিনের কথায় নীল ঠোঁট উল্টিয়ে তানিশার দিকে তাকিয়ে দেখলো তানিশা ওর দিকে রাগী চোখে চেয়ে আছে। নীল অবাক হয়ে বললো,
– আমি কি করলাম?
তানিশার ওর কথার উত্তর না দিয়ে হনহন করে ক্লাসে চলে যায়। নীলও ওর পিছে পিছে ক্লাসে চলে যায়। আর এদিকে অভি আইরিনকে বলে,
– এরা কাপল হলে খারাপ হতো না তাই না?
– ওদের কথা না ভেবে এটা বলো তুমি তিশার দিকে তাকিয়ে ছিলে কেনো?
– কককোথায়? না তো।
– হ্যা তাকাবেই তো। আমি তো পুরোনো হয়ে গেছি। আমাকে আর ভালো লাগবে না।
বলেই আইরিন ক্লাসে চলে যায়। আর অভি মনে মনে বলে,
– দজ্জাল গার্লফ্রেন্ড।
—————————-
বাড়ি ফিরে তানিশা দেখে ড্রয়ই রুমের সামনে থাকা ফুলের টবটা নিচে পড়ে আছে। তানিশা ভেতরে ঢুকে দেখে তিশা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রাগে আবোল তাবোল বকছে আর রাফসান চৌধুরি এবং রোজা চৌধুরী ওকে থামানের চেষ্টা করছে। তানিশাকে দেখেই তিশা বলে,
– তোমার সাহস কি করে হয় হ্যা? আমার জীবনের সবকিছু তুমি কেড়ে নেওয়ার চেস্টা করেছো। এখন ওকেও কেড়ে নিতে চাও?
– তোমার জীবনের কোনে কিছুই আমি কেড়ে নেই নি। হয়তো তুমি হারিয়ে ফেলেছো অথবা অন্যের জীবনের সুখ কেড়ে নিয়ে দুঃখী হয়েছো।
– একদম চুপ। আমার মুখের উপর কতা বলার একদমই চেষ্টা করবে না।
– তুমি আমার কে হও যে তোমার মুখের উপর আমি কথা বলতে পারবো না।
তানিশার কথায় তিশা রাফসান চৌধুরির দিকে তাকিয়ে বলে,
– দেখেছো বাবা। কি বলছে এই মেয়ে। কত বড় সাহস ওর।
তিশা তানিশার দিকে তাকিয়ে বলে,
– তুমি আমাদের পরিবারের কেউ হও না। তুমি একটা এডপ্ট গার্ল। এই পরিবারে তোমার কেউ নেই। না আছে তোমার বাবা। না আছে তোমার মা।
তিশার কথায় রোজা চৌধুরী এসে বলেন,
– কি হচ্ছে কি তিশা চুপ করো।
– কেনো চুপ করবো আমি হ্যা? তোমদের কি খুব দরকার ছিলো একটা মেয়ের? কেনো একটা এডপ্ট মেয়ে আনতে গেলে হ্যা?
তিশার কথায় তানিশা চুপচাপ সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে যায়।
– শুনে রাখো তুমি। ওর থেকে দূরে থাকবে। ও শুধুই আমার (তিশা)
তিশার কথায় তানিশা বলে,
– ও কারোই না। নয়তো ও আমার। নয়তো ও তোমার। ও অন্য কারো।
কথাগুলো বলেই তানিশা রুমে ঢুকে যায়। আর সকলে অবাক চোখে তানিশার রুমের দিকে তাকিয়ে আছে। কার কথা বলছে এরা? কে অন্য কারো?
চলবে,,,,,