#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৬
,তুমি,,,,,,,ই এখানে। তোমার সাহস তো কম নয়। আমার পারমিশন ছাড়া আবার আমার রুমে ঢুকেছ।হু
, আমার আপনার সাথে দরকার ছিল।
, আমি এখন কোনো কথা শুনতে চাই না। এখান থেকে বের হয়ে যাও।
, কিন্তু।
, একবার বললে কথা তোমার কানে যায় না।
কথা বলতে বলতে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াবার সময় পড়ে যাচ্ছিল। সেই সময় ধরে ফেললাম। তখনি মনে পড়ে গেল তার নানাভাই কথা। হঠাৎ জরিয়ে কান্না করে দিল।
একটু একটু হেঁটে রুম থেকে বের হল। আমি উনাকে নিয়ে যাচ্ছি তা না হলে এতক্ষণে পড়ে যেত। খুব দুর্বল আছে মনে হয়। বাড়ির সবার অবস্থা তেমন ভালো নয়।সিরিতে দাড়িয়ে দেখছে তার ঘুমন্ত নানাভাই কে। আমাকে ছাড়িয়ে সেখানে গেল। সবাই তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে। আমি পাশে দাঁড়িয়ে দেখছি। এছাড়া কিছুই করার নেই।
পাশ থেকে এক মহিলা বলল।
,কে তুমি।আগে দেখিনি।
,আসলে আমি এখানে নতুন। আদিত্য স্যার এর অফিসে চাকরি করি। উনার নানা দ্বীন(মারা যাওয়া)পেছেন। তাই আসলাম। অনেকই এসেছেন।
,ওহ। আচ্ছা মা তুমি কি বিয়ে করেছ।
লও ঠেলা।এই বিয়ে কি আমার পিছু ছাড়বেই না।কি কপাল আমার সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে রাখতে হবে। শুধু বিয়ে আর বিয়ে। মনে হয় পৃথিবীতে আমি এক পিসই আছি।যে বিয়ের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র ও ইচ্ছা টা নেই। সেই বিয়ে নিয়ে সারা দুনিয়া মাতা মাতি করছে।মৃত বাড়ি এসেও এরা ছেলের জন্য মেয়ে ঠিক করে। আল্লাহ।
,না আন্টি। এখন পর্যন্ত হয় নাই।
,ওহ। তুমি তো দেখতে মাসআল্লাহ্। আসলে তোমার মতই আমি একটা মেয়ে খুঁজেছিলাম আমার ছেলে জন্য।
, এগুলো কি বলছেন আপনি।
, আচ্ছা মা তুমি আমাকে তোমার পরিবারের কারোর নাম্বার টা দিও। একটু কথা বলব।বোঝই তো কত ব্যাপার-স্যাপার থাকে।
, দেখুন আন্টি এটা আমার দ্বারা সম্ভব না।
, ওহ্। আমি আসছি এখন। ভালো থেকো। আল্লাহ হাফেজ।
, আল্লাহ হাফেজ।
কি করতে এসেছিলাম আর কি হল।
এখন উনার নানা কে জানাজা জন্য নিয়ে গেল।স্যার সাথে ওযু করে গেলেন। উনি তেমন এই ধর্মীয় কাজ করে না। কতক্ষন যে দাড়াতে হবে কে জানে। পাশে সোফায় বসলাম।আর উনার বাড়ির লোক যে যার মত আছে। উনার বাড়ির লোকের সাথে দেখা হয়নি। লেটার দিয়েই চলে যাব।
সকল কাজ নিয়ম কানুন শেষে আসলেন।এরি মধ্যে একজন মহিলা এককাপ চা দিয়ে গেল।ঘর ভর্তি মানুষ উনার কত আত্মীয় স্বজন এসেছে।
, তুমি এখানে এখনো যাওনি।
, আপনার সাথে দরকার ছিল তাই ছিল যাইনি। এই লেটার টা দেওয়া জন্য আসা।
লেটার টা ব্যাগ থেকে বার করে দিলাম উনার হাতে।
,এটা কিশের লেটার। তোমার সাহস তো কম নয়। আমার চাকরি ছাড়ার জন্য রেজিগনেশন লেটার দিচ্ছ।
,হ্যা আমি আপনার চাকরি করতে চাই না।
, আজকের দিনে তোমার কে ছেড়ে দিলাম। কিন্তু এরপর যেন তোমাকে অফিসে দেখতে পাই।
, আমি চাকরি ছাড় লাম। ভালো থাকবেন।
, তোমার লেটার আমি একসেপ্ট করিনি।আর জান তোমার বিরুদ্ধে আমি কি কি allegations আনতে পারি।
, আপনার যা আছে ইচ্ছা তাই করতে পারেন।তাও আমি চাকরি করব না। চললাম।
বলে পিছন ফিরে না তাকিয়ে চলে আসলাম। তার পর থেকে আর অফিসে যাইনি।উনিও আর ফোন করেনি।আর ঐ শ্রাবন ও জালায় নি।
এরপর আমি খোঁজ চালালাম আমার কাকাই কোথায় আছে। কিন্তু প্রতিবারই ফল শুন্য আসছে। মনে হয় উনি সবার থেকে পালানোর জন্য নিজের পদবী পাল্টে ফেলেছেন।
বেশ কিছুদিন এই ভাবেই কেটে গেল।এত দিনে আদিত্য শেহ্জাহান খানের বাড়ি আগের মত একটু স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সবাই শোক কাটিয়ে উঠতে পেরেছে।
চলবে,,,,,,,
(সবাই পেজটি একটু লাইক দিয়ে রেখ।যাতে পুরো গল্প টা তাড়াতাড়ি পেতে পার।আর কেমন হল জানাবেন। সবাই একটু বেশি করে উৎসাহ দিন।যাতে লেখায় একটু আগ্রহ পাই। কেমন।)