ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_১০

0
661

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_১০

সত্যি কি তাই আমি Alien 👽 হা হা হা হা হা।
সবাইকে সালাম জানিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম।
, আপনারা সবাই আমার দিকে এভাবে কেন তাকিয়ে আছেন। আমি আপনাদের বাড়ির নতুন বউ। আপনাদের বাড়ির ছেলে আমাকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছে। এখন আমি এই বাড়ির বউ।আর আপনিই তো আমার মামা শ্বশুর তাই না। এই টাকা গুলো দিয়েছেন এগুলো আমার দরকার নেই। বরং ভবিষ্যতের জন্য জমা রাখেন। আপনার বাড়িতে যখন নতুন অতিথি আসবে মানে আপনাদের নাতি নাতনি আসবে।তখন কার জন্য রেখে দিন কাজে আসবে।
কি গো ঠিক বলছি না বল।

আদিত্যর দিকে তাকিয়ে। বেচারা রেগে আগুন হয়ে গেছে।আহারে কি করতে এসছিল আর কি হল।দেখবি জ্বলবি আর লুচির মতো ফুলবি।হা হা।আমায় বিয়ে করা তাই না।যেমন সাপ তার তেমন মুগুর দিব।

,আদিত্য , তুমি,, ই।
, আমি কি। আপনি তো আমায় বিয়ে করেছেন। আমি আপনার বউ।এটাই তো সত্যি।কে মানল না মানল তাতে কিছু যায় আসে না।

,আদিত্যর মামা,এই মেয়ে তুমি কি ভেবেছ। আমরা তোমাকে মেনে না।
,আদিত্যর মামী,এই মেয়ে আমার সংসারে ডুকতে পারবে না।
, আদিত্যর বোন, এই মেয়ে এই বাড়িতে থাকলে আমি এই বাড়ি‌ থাকব না। বলে দিলাম। ভাই তুই যদি একে বের করে না দিল ভালো হবে না কিন্তু। তুই সব জেনে শুনে এই মেয়েটাকে কিভাবে বিয়ে করেছিস । তুই জানিস ও আমার সংসার ভেংয়ে দিবে।ওর‌ সাথে তোর সর্ম্পক থাকলে তোর সাথে আমার কোন সম্পর্ক থাকবে না।
,আদিত্য,আপু তুই আমার কথা শোন ও ত এই বাড়ির বউ। তুই ওর সাথে এভাবে কথা বলতে পারিশ না।

এই সব কিছু দেখে আদিত্যর নানু দোতলায় নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল। এতক্ষণ পাড়া প্রতিবেশীরা সবাই দেখছিল সব কান্ড কারখানা। অনেক রাত হয়ে গেছে অথচ বাড়ির সবাই এখনও এই ঝামেলার জন্য না খেয়ে আছে। আমার খুদায় পেটটা চু চু করছে। এই তো ড্রয়িং রুমের পাশে রয়েছে ডাইনিং কিচেন।কি আর করার বেহায়ার মতো দাঁড়িয়ে না থেকে যাই। কিছু খেয়ে আসি। আমি আবার প্রচুর পেটুক স্বভাবের।যে যার মত আছে।
এতক্ষণে প্রতিবেশীরা চলে গেল।রাত ১২ টা বেজে গেছে।
এই বাড়ির বউ যখন কতৃত্ব ফালাতে তো হবেই। সবাই আমাকে কম অপমান করেনি।এর প্রতিশোধ আমি নিয়েই ছারব।কড়ায় গন্ডায় সবার হিসেব তুলব। হা হা হা হা।

, আপনারা এখনো না খেয়ে আছেন চলুন। খেতে চলুন।
রাতের খাবার রান্না করা আছে নাকি করতে হবে।১২টা বেজে গেছে।

বাড়ির নতুন বউ।এসেই কতৃত্ব ফলাচ্ছি। সবাই আস্চর্য ‌হয়ে গেল।বাকি আর পাঁচ টা মেয়ে মত কেঁদে ভাসাই নি। লজ্জা বলতে কিছু নেই।অত কিছু না ভেবে। কিচেনে গেলাম দেখি কি রান্না হয়েছে। খাবার প্লেটে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসলাম। খেতে শুরু করলাম।আর সবাই অষ্টম আস্চর্য হয়ে দেখছে। আমি আমার খাবার টুকুই এনেছি।
যার খাবার সে এসে খাবে।

, মামী,এই মেয়ে তোমার সাহস তো কম। আমার রান্না ঘরে ঢুকেছ।
,কেন‌ শ্বাশুড়ি মামী আম্মা। আমি এই বাড়ির বউ। আপনার অনেক বয়স হয়েছে। এবার এই নতুন বউ মার হাতে সব দিয়ে। ছুটি কাটান কেমন। আসুন আসুন আপনারাও খেতে বসুন। দেখেছেন আমি আসতে না আসতেই আপনাদের কত খেয়াল রাখছি।

খাওয়া শেষ হয়ে গেল। এদিকে আদিত্য শেহ্জাহান খান রাগে ফুঁসছে হা হা হা হা। বারে বারে ঘুঘু খেয়ে যাও ধান এইবার ধরিব তোমার পরান । হা হা হা হা।

,এই যে শুনছেন আপনার রুম টা কোন দিকে। ওহ্ sorry sorry আমার তো মনেই নেই। আমি ত জানি কোথায় রুম টা। তাড়াতাড়ি খেয়ে চলে আসবেন। কেমন।হি হি হি।

,আলিশা,এই রকম সাহস কখনো কোনো মেয়ের দেখিনি।ওর মত একটা‌ বাজে মেয়ে হবে এই বাড়ির বউ। ভাই তুই এই মেয়ে কে কি দেখে বিয়ে করেছিস হ্যা।
, আদিত্য,আপু দেখ আমি কি করি। দাঁড়াও এই মেয়ে কোথায় যাচ্ছ তুমি।

সিড়ি দিয়ে কেবল উঠা শুরু করছিলাম। আমার হাত টা ধরে ছিটকে ফেলে দিল মেঝেতে। মুখ থুবড়ে পড়ে গেলাম। কপাল টা একটু কেটে গেল। মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে জানা ছিল না।নিজেই ত বিয়ে করে নিয়ে এসেছে।

আদিত্য চিৎকার করে বলে উঠল,
, আমি ওকে স্ত্রী হিসেবে মানিনা।ও এই বাড়ির চাকর। আমি শুধু ওকে চাকর বানিয়ে নিয়ে আসছি।আর কিছু নয়। তোমরা বল ওর কি যোগ্যতা আছে এই আদিত্য শেহ্জাহান খানের বউ হওয়ার।ও কোনো দিনও কোনো অধিকার পাবে না।না আমার স্ত্রী হওয়ার আর না এই বাড়ির বউ হওয়ার। বাকি আর পাঁচ টা চাকরের মত থাকবে। আর শোন তুই যদি আমার রুমে ঢুকিস তোর এমন হাল করব কল্পনাও করতে পারবি না। এবার তোমরা ওর সাথে যা ইচ্ছা তাই করতে পার।

, আসরাফুল শেহ্জাহান খান,মামা,
,ওহ্ এই ব্যপার তাহলে তো কোনো কথাই নেই।চল তোমরা খেয়ে শুয়ে পর। আমি ও যাই।
, আলিশা,হ্যা মামা চল যাই।
,আয়না বেগম,মামী, ঠিক বলেছিস। একজন কাজের লোকের দরকার ছিল। ভালোই করেছিস।

আলিশা আদিত্যর কানে কানে বলল,
, ভাই তুই এই কাজ করবি। আগে বললেই হত।ওই মেয়ে আমার সংসার ভাংতে চেয়েছিল।তোর দুলাভাই এর মত একজন ভালো মানুষ কে ফাঁসাতে চেয়েছিল।ওর জীবন আমি ছাড় খার করে দিব।
,আপু তুই খুশি ত।তালেই হবে।আর কিছু চাই না।তোর খুশিতেই আমি খুশি।তাই তো এত বড় একটা কাজ করলাম।
,তোর দুলাভাই থাকলে ভালো হতো।ও দেখত কেমন এই মেয়ে ‌। কতটা বাজে।
, ঠিক আছে তুই গিয়ে শুয়ে পড়। good night.
, good night

বসে কাঁদছি এমন ও মানুষ আছে।এত নিষ্ঠুর। ভাবতে পারছি না।আদিত্য আমার সামনে ঝুঁকে বলল,
,কি কেমন লাগে এখন। তুমি জানো না তুমি কি করেছ।কার কলিজায় হাত দিয়েছ। তোমার জন্য আমার বোন চোখের পানি ফেলবে তা আমি বেঁচে থাকতে হতে দিব না।তাই তো তোমার মত একটা রাস্তার মেয়েকে বিয়ে করেছি।
Well come to the Hell.good night.ভুলেও আমার রুমে ঢুক না।

, আপনি এতটা খারাপ।
বতেই চলে গেল। আমি এই ড্রয়ইং রুমে বসে রইলাম। পুরো রাত এভাবে কেটে গেল।

চলবে,,

(কেমন হল জানাবেন পেজটি লাইক দিয়ে রাখবেন। exam জন্য দেরি বা ছোট হতে পারে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here