ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_১১

0
360

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_১১

, আপনি এতটা খারাপ।
বলেই চলে গেল। আমি এই ড্রয়ইং রুমে বসে রইলাম। পুরো রাত এভাবে কেটে গেল।
,,,
খুব সকালে কারো ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
, এই মাইয়া কেডা তুমি। এখানে এভাবে সিড়ির সামনে ঘুমাচ্ছিলে কেন।আর দেখে ত মনে হচ্ছে নতুন বউ।
দাঁড়িয়ে চোখ মুছে বললাম
, আমি এই বাড়ির বউ।কে আপনি?
,হায় আল্লাহ। এই মাইয়া কয় কি। এই বাড়ির বউ। আমি কালকে আসিনাই কামে। কমলা আমার মাইড়া অসুস্থ আছিল।এর মধ্যে এত কিছু ঘটে গেল।তোমরে কেডায় বিয়া কইরা আনছে।বড় দাদাবাবু নাকি ছোড দাদাবাবু হ্যা।
, আগে বলুন আপনি কে।
, আমি এই বাড়ির কামের বেডি। কমলার মা।
,ওহ আপনাদের বড় দাদাবাবু মানে আদিত্য শেহ্জাহান খান। আমাকে বিয়ে করে এনেছে।
, দাদাবাবু যে কয়ছিল হেয় বিয়াই করব না।তা তুমি এহানে কি কর।কাইল না তোমাগ বাসর রাত আছিল।হের ঘরে না যাই বসার ঘরে রইছ।
,আর বাসর রাত হুহ ।সেটা হয়নি আরো ভালো হইছে। সবাই এখনও ঘুমাচ্ছে। চলুন গিয়ে সকালের নাস্তা বানাই। একটু ফ্রেস হয়ে আসি।
, আইচ্ছা।
,,
সবাই সিড়ি দিয়ে নিচে নামছে।আর আমাকে দেখছে আমি এখন ও বউ সেজে আছি। কাপড় ছাড়িনি। সবার জন্য সকালের নাস্তা বানাচ্ছি।
শামসুর নাহার,নানী,
,এই মেয়ে এখন বদলাও নি।
,না নানু। আপনার নাতি ত এগুলো দিয়েছে আর কাপড় দেয়নি। অথচ বিয়ে করে নিয়ে এসেছে।
, দাঁড়াও আসছি।
কিছু শাড়ি নিয়ে এসে আমাকে দিয়েছে।দেখে মনে হচ্ছে একটু পুরনো।এই বাড়িতে বউ হয়ে আসলাম। কিন্তু সবার বউ নিয়ে কোনো ভালোবাসা নেই। একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম।এই ছোট্ট জীবনে কত কিছু ঘটে গেল।কারোর কি মায়া নেই আমার জন্য। সবার অবহেলা।যেখানে স্বামী নিজেই অবহেলা করে। সেখানে সবার কাছে গুরুত্ব পাওয়া বিলাসীতা।
, আচ্ছা নানু আমি কোথায় থাকব। আপনার নাতি আমায় তার ঘরে থাকতে দেবে না।
রান্না ঘরের পাশে একটা ছোট্ট রুম দেখিয়ে দিল। এখানে থাক। রুম টা একটু ধুলো জরানো। একটা চৌকি আছে পাশে কাঠের টেবিল চেয়ার আর আলমিরা আছে। হায়রে কপাল।বউ সেজেই রুম টা পরিষ্কার করে কারলাম। চেন্জ করে খাবার টেবিলে খাবার সাজিয়ে রাখলাম। সবাই এসে খেতে শুরু করল।ভাবল না কে খেয়েছে।
এদিকে আদিত্য অফিসের জন্য রেডি হয়ে এসে দেখে আমি সবাইকে খাবার সার্ভ করছি।
,এই খাবার গুলো কে রান্না করেছে।
, আমি করেছি।কেন কি হয়েছে।
, এই কি রান্না করেছ। চিৎকার করে।
বলেই খাবার গুলো মেঝেতে ফেলে দিলো।
,আপু আমাকে কিছু একটা বানিয়ে দে। অফিসে লেট হয়ে গেছে।
,আলিশা, এই মেয়ে তুমি কেন ওকে খাবার দিতে গেছ। আমার ভাই তোমাকে সহ্য করতে পারে না। তুমি আদি সামনে আসবে না। তুমি এই বাড়ির চাকর মালিক হতে এস না।
, আমার কথা ত শুনুন।
, তুমি আবার মুখে মুখে কথা বলছ।হ্যা।কি হলে শিক্ষা হবে।
রাগ দেখিয়ে চলে গেল।
, আলিশা,দেখলে তো ও চলে গেল। তোমার জন্য আমার ভাই আজ না খেয়ে অফিস করবে। শুধু তোমার জন্য।

খুব খারাপ লাগল। ভাগ্য এমন ও হয়। কেউ আমাকে দু চোখে সহ্য করতেই পারছে না। আমাকে দূত এখান থেকে চলে যেতে হবে।ব্যাস দু মাস।
, আসরাফুল শেহ্জাহান খান, পেশায় একজন ডাক্তার।
,এই মেয়ের জন্য আর কত কি দেখতে হবে।কে জানে। বাড়িতে আসতে না আসতেই অলক্ষুনে কান্ড ছেলেটা কিছু খেয়ে যায়নি। আলিশা খাবার টা তুই ওকে দিয়ে আসিস না হলে কিছুই খাবে না।
,এক মিনিট আপনারা এতক্ষণ অনেক কিছু বলেছেন। কিছু বলিনি। এবার বলছি শুনুন। আমি এই বাড়ির বউ।যা হবে আমার সিদ্ধান্তে হবে। আদিত্য আমার স্বামী।ওর খেয়াল আমি রাখব বাইরের কেউ নয় বুঝেছেন। আমার স্বামী আমার ওপর রাগ করে কিছু খায়নি।ওর রাগ আমি ই ভাঙাব।
, আলিশা,কি বললে । আমি বাইরের কেউ মানে। আমার ভাই একবার বাড়ি আসুক তার পর বলছি।দেখ কি করে।
, বেশি কথা বল না। তোমার ভাই আগে ছিল। আগে ওকে নিয়ে ভাবতে। এখন দরকার নেই।ওর বউ আছে। তুমি বরং তোমার স্বামীর কথা ভাব কোথায় যায় কী করে।
, আমি ভাই কে এখুনি বলছি। কেঁদে কেঁদে।
আসরাফুল শেহ্জাহান খান মামা, আমি যাচ্ছি আমার তামাসা ভালো লাগছে না।
, আয়না বেগম মামী, এই মেয়ে এগুলো কি রান্না করেছ। বলেই আমার গায়ে ফেলে দিল।
অনেক কষ্টে রাগ কন্ট্রল করলাম। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল।
, ওকে আমি আর রান্না করছি না। আপনারা করুন আমি আসছি।ও হ্যা দুপুর ১২:৩০ টায় আমার লাঞ্চ। তার আগেই রান্না গুলো করে রাখবেন।
বলেই আদিত্যর ঘরের দিকে চলে গেলাম। বাড়িতে একটু ঘুরে দেখতে হবে।

চলবে,
(কেমন হল জানাবেন, exam এর জন্য সুন্দর ভাবে লিখতে পারিনি।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here