ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_৩৭ বোনাস

0
420

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৩৭ বোনাস

,,
এদিকে ই আসছিল প্রান্তিক তখনই দেখে প্রেমা বলছে আদিত্যর বউ প্রেমা নিজেই। তার কিছুক্ষণ পর বললো ফারহান কে সবার সামনে লিপ কিস করেছে। প্রান্তিক থমকে গেল। কোনো দিন ভাবেনি প্রেমা এই রকম।ওর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে ভালো জানে না। কখনো প্রশ্ন করে নি‌।প্রেমা কতটা বুদ্ধিমতী তা প্রান্তিক জানে। রাজনীতির প্রতিটা ক্ষেত্রে এক সাথে উঠা বসা। বিশ্বে এত বড় একজন বিজনেসম্যান। কতটা ধুর্ত তা জানে আবার এও জানে কতটা দয়ালু কতটা খারাপ। প্রান্তিকের বুকের বাঁ পাশে চিন চিন ব্যাথা হচ্ছে। কারন প্রেমাকে ও সত্যি নিঃসন্দেহে ভালোবাসে । বয়স না হয় একটু বেশিই। ভালোবাসা কখনো বয়স মেপে হয় না।সেত কেবলই মনের অনুভূতি।

প্রান্তিক প্রেমাকে পুরোটা না চিনলেও কিছু টা চিনেছে।প্রেমা বাইরে থেকে খুব ভালো কিন্তু ভিতরে জঘন্য খারাপ।ওর ইচ্ছা বিরুদ্ধে কিছু হলে তার প্রতিশোধ ও নিয়েই ছারে।প্রেমা সাইকো।ওর প্রতিটি হাসিতে হাসিতে রহস্য মিশে আছে।না জানি সামনে ও কি করে। ফারহান আর আদিত্যর জীবন কোথায় গিয়ে শেষ হবে।প্রেমার কারোর প্রান নিতেও হাত কাপে না। ও কোনো প্রতিশোধের নেশায় মত্ত আছে। ওর চোখ বলছে। সামনে ভয়ংকর কিছু আসতে চলেছে। একজন পাওয়ারফুল মাফিয়া আছে যাকে আজ অবধি কেউ দেখেনি। তার নাম শুনলেই সবার আত্মা কেঁপে উঠে।যার বিশাল গ্যাং।বেশ কয়েকবার প্রান্তিকে হুমকি দিয়েছে। কোনো একটা কারনে।প্রেমা কি খেলা শুরু করেছে । কেমন জানি মনে হচ্ছে সেই মাফিয়ার সাথে প্রেমার কোনো যোগ সূত্র আছে।

প্রান্তিক ভয়ে ভয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।মন বলছে প্রেমা খারাপ কিছু করবে।যেমন ঝড় আসার আগে প্রকৃতি শান্ত থাকে ঠিক তেমনি প্রেমা ও কোনো ভয়ংকর কিছু করবে তার আগে এত ভালো ভাবে কথা বলছে।

,প্রান্তিক ,প্রেমা কি করছ এখানে তোমরা সবাই মিলে।

, প্রেমা, এই তো সবাই মিলে গল্প করছিলাম। তুমি ও জনেট হও।

প্রান্তিককে দুজনেই দেখে চলেছে। একজন এমপি। প্রান্তিক এসে প্রেমার পাশে বসলো।

, প্রান্তিক, কেমন আছেন সবাই।

, আদিত্য, ভালো আছি আপনি। আদির খুব রাগ হচ্ছে।প্রেমার পাশে বসে আছে।আজ নিজেকে অসহায় লাগছে।আদোও কি প্রেমাকে পাওয়া হবে।

, ফারহান, ভালো আছি আপনি। ফারহান খুব ভালো করেই জানে প্রেমাকে অনেক পছন্দ করে প্রান্তিক।তাই প্রান্তিক কে দুচোখে সয্য করতে ‌পারে না।বেশ কয়েকবার প্রান্তিক প্রেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল ।প্রেমা কখনোই রাজি নয়।

প্রান্তিক প্রেমার কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে বলল।, কি খেলা শুরু করেছ তুমি।

প্রেমা,বাকা হাসি দিয়ে, You know what I’m হা হা ।
I don’t react ,but trust me, I notice everything

সবাই প্রেমার বিহেভিয়ার দেখছে সব অস্বাভাবিক লাগছে।

,ফারহান,প্রেমা তোমার ব্যবহার অস্বাভাবিক লাগছে।

, আদি,কি হয়েছে।

প্রেমা মুচকি হেসে চলে গেল।সব কিছু যেন ঘোর লাগিয়ে দিচ্ছে।কেউ বুঝতে পারছে না কি ঘটতে চলেছে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই কত গুলো গাড়ি এসে জরো হলো। সকল গাড নামলো। একজনের মুখ বেধে নিয়ে আসাহলো
চৌধুরী ম্যানশনে। বাড়ির সবাই ড্রয়িং রুমে জরো হয়ে আছে। আদিত্যর বাড়ির সবাই যেতে চেয়েছিল কিন্তু রিনা চৌধুরী যেতে দেয় নি। সবাই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আদিত্য যতই প্রেমাকে দেখছে ততই অবাক হয়ে যাচ্ছে।প্রতিটা মুহূর্তে মেয়েটা সারপ্রাইজ দিয়ে যাচ্ছে। আদিত্য মনে হচ্ছে প্রেমা নিজেই রহস্যে ঘেরা।

রিনা চৌধুরী এই সব কান্ড দেখে বুঝতে পেরেছেন এগুলো তার মেয়ে র কাজ। তিনি জানেন আর কেউ জানে না তার মেয়ে প্রেমার মানসিক রোগ আছে।তাই যখন যা ইচ্ছা তাই করে। সাইকো। মাঝে মাঝে হাইপার হয়ে গেলে নিজের উপর কন্ট্রাল থাকে না। তিনি জানেন তার মেয়ে কত গুলো প্রান নিয়ে ছে।তাকে প্রতিনিয়ত ভয় দেখায়।

সেখানে সবে মাত্র আসরাফ চৌধুরী হাজির হলেন। তিনি এতগুলো লোক দেখে অবাক হয়ে গেলেন।গাড গুলোর মধ্যে একজনের মুখ কালো কাপড় ঢেকে রাখা । সবার মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রেমা,কাপড়টা উঠিয়ে ফেল।

যেই কাপড় টা সরিয়ে ফেলা হলো তখন ই সবাই অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে ‌।আসরাফ চৌধুরী দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। হাতের নিউজ পেপার টা পড়ে গেল।যেন পুরো শরীর হাল ছেড়ে দিয়েছে।

প্রেমা পেছনে খাবার টেবিলের কাছে দাঁড়ানো হাতে ধারালো ছুরিতে আঙ্গুল দিয়ে ঘষছে ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে। আর মনে মনে বলছে,সবে তো খেলা শুরু হা হা হা হা।বাকা হাসি দিয়ে।

চলবে,
কপি করা নিষেধ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here