ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_৩৭

0
256

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৩৭

এদের কে আমার আর প্রিয়র মাঝখান থেকে সরাতে হবে।ঘার বেঁকিয়ে ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে। হা হা হা হা। আমি কাউকে ছাড়বো না। everything is finished I’m.হা হা হা হা হা। রহস্যময় হাসি দিয়ে।কেউ বাঁচবে না। না আদি না ফারহান না শ্রাবণ আর না প্রান্তিক। হা হা হা হা হা হা হা হা
অট্ট হাঁসি দিয়ে।

সামনে এগিয়ে গিয়ে। আদিত্য আর ফারহান চা খাচ্ছে আর গল্প করছে।

, বাহ্ হাতে তালি দিয়ে। বাহ্ খুব ভালো গল্পে মজেছ ত । তোমরা।

দুজনেই পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখলো প্রেমা দাঁড়িয়ে আছে। আদিত্য শুধু দু নয়ন ভরে দেখে যাচ্ছে।যত বারি দেখুক না কেন মন ভরে না।

, আদিত্য, মনে মনে,যখন বিয়ে হয় তখন কেউ কাউকে চিনে।জানে না। বিয়ের পর থেকে শুরু হয় ভালোবাসা।মায়া।যে মায়া কাটিয়ে উঠা সহজ নয়। সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব এক নিয়ামত। বিয়ের মত একটা পবিত্র সম্পর্কে আবদ্ধ হয়।সে সম্পর্ক যতই বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হোক না কেন। সম্পর্কের মায়ায় পড়তেই হবে।এটাই আসল সত্যিকারের ভালোবাসা। সকল সম্পর্ক হেরে গেলেও জিতে যায় স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক। আমি জানি ঠিক একদিন আমার স্ত্রী আমার কাছে ফিরে আসবে।

, ফারহান ভাবছে, খুব শীঘ্রই তোমাকে আমার বউ করে আনব। তোমার সকল অভিমান আমিই ভাঙ্গাব।

ফোন টিপতে টিপতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

,প্রেমা,এত অবাক হয়ে কি দেখছ। আমি কি মানুষ না Allen হুম।

, ফারহান, না সেরকম কিছু না।এই আমরা গল্প করছিলাম আর কি। কাল তো থাকতে পারিনি তাই।

, আদিত্য, তোমার কাজ শেষ।

সামনে থাকা সোফায় বসলো।

,প্রেমা,কি হলো তোমরাও বসো।তা কি গল্প করছিলে তোমরা।

, ফারহান, এমনি।প্রেমা তোমার তো কত লোক। তুমি আদিত্যর ওয়াইফ একটু খুঁজে বার কর না।জানো ওর ওয়াইফ ওকে ছেড়ে চলে গেছে।আর ও এখনো তাকেই ভালবাসে। বেচারার জীবন টা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।ও ত তোমার ভাই হয় এ টুকু হেল্প করতে পারো।

, আদি,বাকা হাসি দিয়ে,হ্যা আপু ফারহান একদম ঠিক বলেছে । আমি না ওকে কোথাও পাচ্ছি না। তুমি একটু খুঁজে দাওনা।প্লিজ।নেকামি করে। আমি ত তোমার ছোট ভাই বলো। আমার জন্য এটুকু কর না। আমার কষ্ট কি তুমি বুঝছো না।

আদি মনে মনে কি শয়তানি পাকাচ্ছে। তা আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি। বদমাইশ।

, ফারহান,হ্যা প্রেমা তুমি একটু চেষ্টা করনা।যাতে ও ওর ভালোবাসাকে ফিরে পায়।

, ফোন থেকে চোখ সরিয়ে,প্রেমা, গম্ভীর মুখে, তাকে খুঁজে কি হবে।

, ফারহান,প্রেমা তুমি কি বুঝতে পারছ না ওর কষ্ট টা।

,প্রেমা, সেটা আমার বুঝে কোনো লাভ নেই।

, আদিত্য,আপু যখন চাইছে না ফারহান ছেড়ে দাও। তুমি তখন বলেছিলে না আপুর সাথে তোমার প্রেমা দেখা কিভাবে হয়ে ছিলো তা বলবে। এখন বল।

, ফারহান, হ্যা বলবো ত কিন্তু।প্রেমা ত তোমাকে ভাই মনে করেই না।বাকি সব ভাই বোনদের কত ভালো বাসে। মুখ থেকে বলার আগেই সব হাজির করে দেয়।আর তোমার বেলায় ভিন্ন করছে ‌।

,প্রেমা, ফারহান তোমার এত ওর ওয়াইফ কে নিয়ে এত ইন্টারেস্ট কেন।আর আদি ফারহানের সাথে প্রথম দেখা তা দিয়ে কি হবে সেই গল্প শুনে।

, ফারহান, তুমি সব আমাকে খারাপ মনে কর। আমি শুধু দেখতে চেয়েছি।যে ওকে ছেড়ে চলে যাওয়া পর ভালোবাসে।

,প্রেমা, ওকে তোমার যখন এতই ইচ্ছে তখন আমি তোমাদের সকল কানফিউশন ক্লিয়ার করছি।

আদিত্য যেন এটাই চেয়েছিল।ও নিজের মুখে বলুক প্রেমা ওর স্ত্রী।

,প্রেমা, বলতে লাগলো, আমি ই ওর স্ত্রী।যার সাথে আদিত্যর বিয়ে হয়ে ছিল সে আর কেউ নয় আমি।মে ওকে ছেড়ে চলে গেছে সে আর কেউ নয় আমি।

ফারহান স্বপ্নেও ভাবেনি এরকম হবে। আদিত্য সাথে কথা বলছিল তখন ও বলেছিল আদি স্ত্রী কে দেখবে। তখন আদি বলেছিল সময় হলেই দেখবে। ফারহানের খুব রাগ হচ্ছে। নিজের হবু স্ত্রী কি না অন্য একজনের বউ। মনে মনে খুশি হল ছেড়ে ত চলে গেছে। প্রেমা যেমন মেয়ে তাতে ও এই সম্পর্ক কখনোই মেনে নিবে না।প্রেমার যা রেপুটেশন তাতে ও কখনো ওর নিজের থেকে আট বছরের ছোট ছেলে কে মানবে না। মনে মনে হাসলো। ফারহান এখন থেকে উঠে পড়ে লাগবে আদিত্য কে পেতে দিবে না।এত দিনের মনে মধ্যে পুরে রাখা ভালো বাসা কখনো হারাতে দিবে না।হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে রাগ কন্ট্রল করলো। শুধু প্রেমা আছে কিছু করছে না। অগ্নি চোখে তাকিয়ে আছে আদিত্যর দিকে। আদিত্য ডেবিল মার্কা হাসি দিল।আদি খুব খুশি।

,প্রেমা, এভাবে একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছ যে দেখে মনে হচ্ছে শুভদৃষ্টি হচ্ছে। মুচকি হেসে। দুজনে প্রেমার দিকে তাকিয়ে আছে। আদিত্য দিকে তাকিয়ে।
, কি ফারহানের সাথে প্রথম দেখা হলো কিভাবে শুনবে না। ফারহানের সাথে প্রথম দেখা। তখন আমি কেবল নতুন ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি। প্রথম দিন ভার্সিটিতে প্রবেশ করলাম তখন ই ফারহান সব জুনিয়র ছেলে মেয়ে কে রেগিং করছিল। ফারহান দুই বছরের সিনিয়র ছিল।আমি সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ও আমাকে ও রেগিং করে। আমার মেজাজ খারাপ থাকায় রাগের বসে। ওকে আমি সারা কলেজের সবার সামনে লিপ কিস করি। ঠিক তখন থেকেই ও আমার পিছনে পড়ে আছে। তার কিছু দিন পর জানতে পারি ও আমার বাবার বন্ধুর ছেলে।কলেজে সেই দিনের ঘটনার জন্য ফারহানের সাথে বিয়ে ঠিক করে।

আদিত্য ভাবতেই পারেনি প্রেমা এই সব বলবে।প্রেমা এরকম একটা কাজ করে ফেছে সেটা নির্দিধায় বলে দিল। কোনো লজ্জা নেই।রাগ হলো।যে স্ত্রী কে নিজে আজ পর্যন্ত ভালো করে ছুতে পারলো না।সে অন্য একটি ছেলেকে কলেজের ভরা মাঠে সবার সামনে লিপ কিস করেছে। ভাবতেই মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। ফারহান আদিত্যর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে। ফারহান কে এত কাছের করে নিয়েছে সেটা বোঝাচ্ছে। আদিত্য রেগে আগুন হয়ে আছে।কি করবে ভেবে উঠতে পারছে না।

,প্রেমা,ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে,কি ব্যাপার এত কি ভাবা হচ্ছে একে অপরের দিকে তাকিয়ে। তোদের জীবন মাঝ নদীতে দোল খাচ্ছে।কি কম্পিটিশন শুরু হয়ে গেল তাই না। কিছুক্ষণ আগে ও কি সুন্দর গল্প করছিলে।আর এখন হা হা হা হা অট্ট হাঁসি দিল।

,,
এদিকে ই আসছিল প্রান্তিক তখনই দেখে প্রেমা বলছে আদিত্যর বউ প্রেমা নিজেই। তার কিছুক্ষণ পর বললো ফারহান কে সবার সামনে লিপ কিস করেছে। প্রান্তিক থমকে গেল। কোনো দিন ভাবেনি প্রেমা এই রকম।ওর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে ভালো জানে না। কখনো প্রশ্ন করে নি‌।প্রেমা কতটা বুদ্ধিমতী তা প্রান্তিক জানে। রাজনীতির প্রতিটা ক্ষেত্রে এক সাথে উঠা বসা। বিশ্বে এত বড় একজন বিজনেসম্যান। কতটা ধুর্ত তা জানে আবার এও জানে কতটা দয়ালু কতটা খারাপ। প্রান্তিকের বুকের বাঁ পাশে চিন চিন ব্যাথা হচ্ছে। কারন প্রেমাকে ও সত্যি নিঃসন্দেহে ভালোবাসে । বয়স না হয় একটু বেশিই। ভালোবাসা কখনো বয়স মেপে হয় না।সেত কেবলই মনের অনুভূতি।

চলবে,
কপি করা নিষেধ,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here