খোলা_জানালার_দক্ষিণে #পর্ব_৩৩ #লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

0
304

#খোলা_জানালার_দক্ষিণে
#পর্ব_৩৩
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

প্রতিটি মুহুর্ত যেন বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। বাসতের সাথে তাল মিলিয়ে যেন বি’ষ উড়ে বেড়াচ্ছে। মেহেভীনের সমস্ত শরীর বিষাদে ছেয়ে গিয়েছে। ভেতর থেকে বুদ্ধি শূন্য হয়ে পড়েছে সে। মস্তিষ্ক না কাজ করার পণ করেছে। অশ্রুকণা গুলো যেন পালিয়েছে। কিছুতেই আঁখিযুগলের কোণে এসে ভির জমাচ্ছে না। ভেতরটা জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসছে। মেহেভীনকে নিস্তব্ধ হয়ে যেতে দেখে রাইমা বেগম মলিন কণ্ঠে বলল,

–এই জন্যই আমি তোকে বলতে চাইনি। কারন বাবা যতই খারাপ হোক না কেন একজন বাবা প্রতিটি মেয়ের দুর্বলতা। আমি যে ধাক্কা টা সহ্য করে নিয়েছি। তুই সেটা সহ্য করতে পারবি না৷

–আমি বাসায় আসছি মা।

–তোর বাবার নিখোঁজ হবার খবর পরিবারের লোক ছাড়া কেউ জানে না। তুই বাসায় এসে বিষয়টা ঘোলাটে করিস না৷ তোর চাকরি চলে গিয়েছে শুনলে মানুষ তোকে আর আমাকে ছিঁড়ে খাবে। এখনো সঠিক সময় আসেনি। সবাইকে সত্যিটা বলার তুই আর কয়টা দিন পরে আয়৷ বাবাহীন মেয়েটা জানে বাবা ছাড়া ধরনীর বুকে টিকে থাকা কতটা কঠিন। বাবাহীন প্রতিটি মেয়ে জানে তারা সমাজে কতটা অবহেলিত। যার বাবা নেই তার কেউ নেই। মানুষটা যতই খারাপ হোক মাথার ওপরে ছিল বিধায় কেউ মুখ দিয়ে কটু বাক্য উচ্চারন করতে পারেনি। তোর বাবার মৃত্যুর খবর পাঁচ কান হলে দেখবি সবাই তার খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছে।

–আমার এখানে থাকতে ইচ্ছে করছে না আম্মু। আমার পুরো শরীর অবশ হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে শরীরের শক্তি ক্ষয় হতে শুরু করেছে। তোমাকে এই অবস্থায় আমি কিছুতেই একা থাকতে দিব না। যতই রাত হোক না কেনো আমি আসছি। কথাগুলো বলেই কল কেটে দিল। রাইমা বেগম ক্রোধে দু-হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নিল৷ রহমান যদি আরিয়ানের সাথে মেহেভীনের বিয়ে চাপ দেয়। তখন সে কি করবে তার স্বামীও নেই। যে জোড় গলায় কথা বলবে। এখন তার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাবোধ করবে না। এই পরিবারের প্রতিটি মানুষের রগ তার চেনা আছে।

রজনীর আঁধার ধরনীকে গ্রাস করে ফেলছে। আজকে শেহনাজের বাসায় ফরিতে দেরি হয়ে গিয়েছে। আজকে ড্রাইভার কেও বাসায় ফিরে যেতে বলছে। জীবনে প্রথম গাড়ির জন্য মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে সে। ভেতরে ভেতরে ভিষণ ভয় কাজ করছে তার। কেন যে বোকামি করে ড্রাইভারকে বাসায় যেতে বলল। শেহনাজ একটা চায়ের দোকানের পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। সে একা থাকায় কেউ নিয়ে যেতে চাইছে না৷ তখনই কর্ণকুহরে কিছু অশালীন বাক্য এসে পৌঁছায়। বাক্য গুলো যত স্পষ্ট হচ্ছে শেহনাজের শরীর ততই ঘৃণায় রি রি করে উঠছে৷ তখনই শেহনাজের সামনে এসে তাইয়ান উপস্থিত হয়। তাইয়ানকে দেখে স্বস্থির নিঃশ্বাস ছাড়ে শেহনাজ। দ্রুত গাড়িতে উঠে বসলো সে। তাইয়ান গাড়ি চালানো শুরু করল।

–আপনি গাড়ি কেন বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন? স্যার অনেক রাগ করেছে। আমি আপনার ভার্সিটি থেকে খুঁজতে খুঁজতে এতদূর এসেছি। আপনাকে বাসায় নিয়ে না ফিরতে পারলে স্যার আমার গরদান নিয়ে নিতো।

–জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটা আজকে আমি করেছি জানো। আমার বোঝা উচিৎ ছিল আমি একটা মেয়ে। আর একটা মেয়ের জন্য রজনীর আঁধার কতটা ভয়ংকর হতে পারে। সেটা আমি আজ উপলব্ধি করতে পারলাম। শেহনাজের কথার উত্তরে তাইয়ান আর কিছুই বলতে পারল না৷ সে নিরুত্তর রইল। শেহনাজ যেতেই চায়ের দোকান থেকে বের হয়ে আসলো শেহনাজের প্রিয়তম স্বাধীন। মুখশ্রীতে তার বিশ্রী হাসি বিদ্যমান। সে রফিককে উদ্দেশ্য করে বলল,

–শা’লি’কে আমরা কবে তুলছি। ভেতরটা দাউদাউ করে জ্বলছে। ওর তেজ না কমানো পর্যন্ত আমার ভেতরটা শীতল হবে না। শেয়াল কুকুরের মতো ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাব ওকে। তবেই আমার ভেতরটা শান্ত হবে। স্বাধীনের বলা বাক্য গুলো কর্ণপাত হতেই রফিক বলল,

–কিছু পেতে হলে কিছু কষ্ট সহ্য করতে হয়। তার মনে জায়গা করে নিতে পেরেছিস। তাকে ছিঁড়ে ও খেতে পারবি। একটা মন্ত্রীর বোনকে তুলে নেওয়া কি এতটাই সহজ! শেহনাজকে কৌশলে তুলতে হবে। কথা গুলো বলেই স্বাধীনের কর্ণের কাছে এসে কিছু একটা বলল৷ স্বাধীনের মুখশ্রীতে রহস্যময় হাসি ফুটে উঠল।

রাইমা বেগমের সামনে বসে আছে মুনতাসিম। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে যাবার পরও মুনতাসিম কিছু বলছে না দেখে, রাইমা বেগম নিজেই বিরক্ত হয়ে বলল,

–আপনি আমায় কিছু বলতে চান স্যার? রাইমা বেগমের মুখে আপনি আর স্যার ডাকে নিভে গেল মুনতাসিম। সে অপ্রস্তুত হয়ে বলল,

–আমি আপনার ছেলের মতো। আপনি আমাকে স্যার না ডেকে তুমি বলে সম্মোধন করবেন। তাহলে আমি আপনার সাথে কথা বলতে সহজ হতে পারতাম। রাইমা বেগম বুঝলেন মুনতাসিমের অপ্রস্তুত হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা। তিনি ও নিজেকে স্বাভাবিক করে মুনতাসিমকে অভয় দিয়ে বলল,

–আমি তোমার মায়ের মতো মায়ের কাছে এত কিসের হেলাফেলা! তুমি নিশ্চিন্তে তোমার মনের কথা আমায় জানাতে পারো।

–আমি মেহেভীনকে বিয়ে করতে চাই আন্টি। কথাগুলো বলেই নিস্তব্ধ হয়ে গেল মুনতাসিম৷ হৃদস্পন্দনের ক্রিয়া তড়িৎ গতিতে ছুটে চলেছে। মনের গহীনে অস্থিরতা কাজ করছে। মুনতাসিম উৎসুক দৃষ্টিতে রাইমা বেগমের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। রাইমা বেগমের মুখশ্রী আগের ন্যায় গম্ভীর হয়ে আছে। তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে তিনি মুনতাসিমের প্রস্তাবে বেশ চিন্তিত হয়েছেন। মুনতাসিমের ভেতরে অদ্ভুত ভাবে ভয় কাজ করছে। রাইমা বেগম যদি তাকে নাকচ করে দেয় কথা গুলো ভাবতেই মস্তিস্ক এলোমেলো হয়ে গেল।

–তোমার পরিবার জানে তুমি মেহেভীনকে বিয়ে করতে চাও। দেখো বাবা আমি তোমাকে পছন্দ করি না, এমন টা না।তোমাকে আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। আমি খোলামেলা কথা বলতে পছন্দ করি। কিন্তু তোমার পরিবারের মতামত না থাকলে, আমি সামনের দিকে এগোতে পারব না। কারন তোমার পরিবার তোমাকে ছোট থেকে বড় করেছে। তোমাকে নিয়ে তাদেরও স্বপ্ন আছে। আমি কারো রঙিন স্বপ্ন ভেঙে আমার মেয়ের জীবন রঙিন ভাবে সাজাতে পারি না। তুমি তোমার পরিবারসহ আমার কাছে এসো। তখন না আমি ভেবে দেখব। আমি তোমাকে কড়া করে কথা গুলো বলতে বাধ্য হলাম। কারন এখানে আমার মেয়ের সারাজীবনের ব্যাপার জড়িয়ে আছে।

–আপনি রাজি হলে এখনই আমার পরিবারকে আসতে বলব। আমার খুশির জন্য কেউ রাজি না হোক। আমার বাবা রাজি হবে। নিজের সুখ বিক্রি করে হলে-ও আমার বাবা আমার জন্য সুখ কিনবে। বাবা ছাড়া দুনিয়ায় আপন বলতে আমার কেউ নেই। এই ধরনীর বুকে আমি বাবাকেই নিজের ধরনী মনে করি। আপনি অনুমতি দিলে আমার পরিবারকে আসতে বলব। রাইমা বেগম মুগ্ধ হয়ে মুনতাসিমের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছেন। ছেলেটা এত ভালো কেনো? ছেলেটা এতটা ভালো না হলে-ও পারতো। ভালোবাসার মানুষ তো এমনই হওয়া উচিৎ। যেখানে অধিকারই থাকবে আলাদা যেটা মুনতাসিমের আঁখিযুগলে দেখেছে সে। রাইমা বেগম একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লেন। মনস্থির করে নিলেন মেহেভীন আসলে মেহেভীনের সাথে কথা বলবে। জীবনে চলার পথে একটা শক্ত লা’ঠি’র ভিষণ প্রয়োজন আছে। রাইমা বেগম মুনতাসিমকে পরীক্ষা করার জন্য বলল,

–আমার মেয়ের কিন্তু চাকরি চলে গিয়েছে। তুমি আগে যে মেহেভীনকে দেখেছো। সে কিন্তু এখন আর আগের মতো নেই। তুমি আমার বেকার মেয়েকে মেনে নিতে পারবে তো? আমি অবাক হচ্ছি যে মেয়েটা তোমার সন্মান নষ্ট করল! তুমি কেন তাকেই বিয়ে করতে চাইছ?

–ভালোবাসা হচ্ছে স্নিগ্ধ পবিত্র জিনিস। প্রকৃত ভালোবাসায় না থাকে কোনো খাদ আর না থাকে প্রতিশোধের নেশা। ভালোবাসায় থাকে শুধু প্রিয় মানুষটাকে ভালোবাসার নেশা। আমি তো ঘৃণায় করতে শিখিনি আর না নিয়েছি প্রতিশোধ। আমি সবকিছুর বিনিময়ে ভালোবাসার মানুষটাকে একান্তই নিজের করে নিতে চেয়েছি। ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে হৃদয়ের ছোট্ট কুঠুরিতে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছি। যার মুখ দেখে আমার নিদ্রা ভাঙবে। যার মুখ দেখে আমি শান্তিতে নিদ্রা যেতে পারব। যার মুখের হাসি আমার মানসিক শান্তির কারন। আমার উথাল পাথাল করা হৃদয় যাকে দেখে শান্ত হয়ে যায়। সেই মানুষ টাকে আমি ভিষণ ভালোবাসি। তাকে ছাড়া অন্য কাউকে কল্পনা করতেও আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। যাকে দুঃখ দিয়ে আমি নিজেই তার থেকে দ্বিগুন পুড়ি। তাকে আমি কিভাবে অবহেলা করব? শত্রুর সাথে লড়াই করা যায় আন্টি। কিন্তু ভালোবাসার মানুষের সাথে লড়াই করা যায় না। ভালোবাসার কাছে আমরা চরম ভাবে বেহায়া হয়ে যাই। আমরা বাহির থেকে নিজেদের যতই শক্ত প্রমাণ করার চেষ্টা করি না কেন? ভেতর থেকে আমরা কারো না কারো প্রতি গভীর ভাবে দুর্বল। একজন আত্মসম্মান সম্পূর্ণ মানুষ দিনশেষে কারো কাছে বেহায়া হয়ে যায়। চাইলেও তার সামনে শক্ত হওয়া যায় না। আর না করা যায় তার সাথে কঠিন ব্যবহার। আমাদের সমস্ত আত্মসম্মান শুষে নিয়ে চলে যায় আমাদের ভালোবাসার মানুষ গুলো। সেজন্য বোধহয় দিনশেষে আমরা বেহায়া উপাধি পেয়ে থাকি। আমি কি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি। এতকিছুর পরে-ও কেন আমি মেহেভীনকে চাই। রাইমা বেগম যেন বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। মনের শহরে আনন্দের মিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে। অনুভূতিরা আনন্দে মেতে উঠেছে। অশ্রুশিক্ত নয়নে মুনতাসিমের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। আল্লাহ তায়ালার কাছে শতবার শুকরিয়া আদায় করলেন। তার ললাটে ভালোবাসা জুটেনি তো কি হয়েছে। আল্লাহ তার মেয়ের ললাটে অফুরন্ত ভালোবাসা জুটিয়ে দিয়েছে। রাইমা বেগমের বুকটা প্রশান্তিতে ভরে যাচ্ছে। ভেতরে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠা আগুন টা মুহুর্তের মধ্যে নিভে গেল। এবার সে শান্তিতে পরকালে গমন করতে পারবেন। একজন মায়ের কাছে মেয়ের সুখ দেখার মতো শান্তি ধরনীর বুকে নেই।

–আমি তোমার সাথে মেহেভীনের বিয়ে দিব। কিন্তু মেহেভীনের বাবা মা’রা গিয়েছে। মেহেভীনের বাবার লা’শ খোঁজার তদন্ত চলছে। তাকে না পাওয়া পর্যন্ত কিভাবে মেহেভীনের বিয়ে দেই বলো? রাইমা বেগমের কথায় চমকে উঠল মুনতাসিম! সে বিস্ময় কণ্ঠে বলল,

–আংকেল কবে মা’রা গেল আন্টি? আপনি আমাকে জানাননি কেন? আমি আপনাকে আমার সর্বোচ্চ দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব। আংকেলের তদন্তে কোন থানার পুলিশ আছে। আপনি আমাকে নাম বলুন। আমি ব্যাপারটা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছি।

–মেহেভীনের বাবাকে খু’ন করা হয়েছে। আমি চাই মেহেভীনের বাবা শাস্তি পাক। সে আমার মেয়েকে রক্তাক্ত করেছে। আমার মেয়ে কলঙ্ক না করে-ও সে আমার মেয়েকে কলঙ্কিত নারী বলে উপাধি দিয়েছে। নিজের মেয়ে বলে অস্বীকার করেছে। আমি চাই তার এতটুকু শাস্তি হোক। এবার মুনতাসিমের মস্তিস্ক নাড়া দিয়ে উঠল। বিচক্ষণ মস্তিষ্ক ভয়ংকর কিছুর আভাস পাচ্ছে। মেয়ে মানুষের মন তো কুসুমের ন্যায় কোমল হয়। তবে রাইমা বেগম কেন তার বিপরীত চিত্র! একটা নারী যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে। তা রাইমা বেগমকে না দেখলে উপলব্ধি করা যাবে না। এতটা পাষাণ মনের নারী কিভাবে হতে পারে? মুনতাসিমের মস্তক ঝনঝন করে উঠল। ভেতরটা আপন জন হারানোর পূর্বাভাস দিয়ে যাচ্ছে। এই ঝড়ের সাথে না আবার মেহেভীন ভেসে চলে যায়। সে নিঃস্ব হয়ে পড়বে। তার এক একটা দিন বেঁচে থাকা হবে মৃত্যুর সমান। সবকিছু সামনের আসার আগেই মেহেভীনকে নিজের আয়ত্ত করে নিতে হবে। মনের গোপন কুঠুরিতে ভালোবাসার চাদর দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। যেন কোনো বিপদ তার প্রেয়সীকে স্পর্শ করতে না পারে। এই প্রথম মুনতাসিম ভয় পাচ্ছে প্রিয়জন হারানোর ভয়। ভেতরটা হাহাকার করে উঠছে। রাইমা বেগম মুনতাসিমের দিকে শীতল দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন। সেই শীতল চাহনি ভয়ংকর ভাবে মুনতাসিমের হৃদয় স্পর্শ করে গেল।

চলবে…..

(অনুমান করুন সামনে কি হবে বিয়ে নাকি অন্য কিছু। সবাই রেসপন্স করবেন। তাহলে প্রতিদিন গল্প দিব ইনশাআল্লাহ)

গ্রুপ- ❤নিমুর গল্পের ঝুরি❤️

আইডি- Fabiha Bushra Nimu

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here