এই_সুন্দর_স্বর্ণালী_সন্ধ্যায় #পর্বসংখ্যা_২২

0
352

#এই_সুন্দর_স্বর্ণালী_সন্ধ্যায়
#পর্বসংখ্যা_২২

রান্নাঘর থেকে খুঁট-খাঁট শব্দ আসছে। অত্যন্ত বিরক্ত মুখে এক ধারছে কাজ করছে অনু। তার মেজাজের পারদ চড়চড় করে বাড়ছে। সেই মেজাজ কাঙ্খিত জায়গায় দেখাতে না পেরে রান্নাঘরের থালা – বাটির উপর তুফানি ঝড় তুলছে সে।
গতকাল বিকেলে মাহতাবের শ্বশুর-শাশুড়ি, তার একমাত্র শ্যালক- শ্যালক স্ত্রী এসেছে। সঙ্গে এসেছে মাহিয়ার এক হাড়ে বজ্জাত ভাইঝি। ছোট ভাইয়ের তিন বছরের বাচ্চা, অথচ কাজ কারবার কি ডা-কা-ত মার্কা! কাল রাতের খাবার খাওয়ার সময় সবাই যখন খাবার ঘরে, ওই বদমাইশ পিচ্চি তখন হানা দিয়েছিল ওর ঘরে। ড্রেসিং টেবিলে রাখা অর সমস্ত সাজগোজের জিনিসপত্র এলোমেলো করেছে। বডি লোশন ফেলেছে বিছানার চাদরে। তেলের বোতলের মুখ খুলে সবটা উল্টে দিয়েছে মেঝেতে। ওর দামী দামী লিপস্টিকের স্টিক ভেঙে গায়ে – হাতে ল্যাপ্টেছে, ফাউন্ডেশন, শ্যাডোর বক্স নাগাল পায় নি বোধ হয়, উপর থেকে ফেলে গুড়ো গুড়ো করেছে!
সব গুছিয়ে ক্লান্ত শরীর নিয়ে অনু যখন ঘরে ফিরলো তখন সেই দlস্যু মার্কা বাচ্চা মনের সুখের পাউডার মাখছে মেঝেতে বসে!
রাগে সারা গা জ্বলে উঠেছিল ওর। এতো সাধের, ভালোবাসার ওই জিনিসগুলো। কতো আহ্লাদ করে, যত্ন করে মাহাদ একেকটা জিনিস ওকে গিফট করেছিল!
কিন্তু কিছু বলবার নেই। অনুর এতবড় ক্ষতি করেও বাচ্চাটা পার পেয়ে গেল আরামসে!
বাপের বাড়ির লোকজন দেখে মাহিয়া কাল থেকেই বেশ ফুরফুরে। এমনিতেই প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড চলছে, বাড়িতে তার খাতিরের অভাব নেই। এখন বাড়তি হিসেবে বাপের বাড়ির গোষ্ঠী পেয়ে তার ভাব এখন চাঙে!
আগে তাও সকালে রান্নাঘরে একটু ঢুঁ মারতো। দু’ একটা কাজে সাহায্য করতো। কিন্তু আজ যেই দেখেছে, বাড়ি-ভর্তি লোকজন, অমনি তার ঢং শুরু হয়েছে। ‘এখানে ব্যথা – সেখানে ব্যথা! ইসস, ন্যাকা! তোর কাহিনী যেন বুঝি না আমি?’– ভেঙচি কাটলো অনু। ঘসঘস করে গত রাতের এঁটো বাসনগুলো ধুচ্ছে আর বিড়বিড় করছে,
— “নিজের চোদ্দো গুষ্ঠি এসেছে, কোথায় রান্নাঘরে এসে দেখবে কি কি করা লাগবে, তা না! নিজে ঠ্যাংয়ের উপর ঠ্যাং তুলে অর্ডার করছে, ‘আমার বাবা – মা এসেছে, ছোট বৌ ভালো করে রেঁধ। মা কিন্তু ইলিশের পাতুরি খুব পছন্দ করে। কালকের ইলিশটার পাতুরি করো! স্বাদ লাগবে!’ — কেন রে? এতোই যখন তোর দরদ, তখন নিজে রাঁধতে পারিস না? নিজে রেঁধে ইচ্ছে মত খাওয়া। কে মানা করেছে? অন্যের উপর কাজ চাপাস কেন রে, শlয়তান বেটি? আমি কি তোর কাজের লোক? আমার কীসের অত ঠ্যাকা?”
‘কাজের লোক’ প্রসঙ্গ উঠতেই আরও বেশি বিরক্ত হলো অনু। বেলা এগারোটা বাজছে প্রায়, এখনো সেই কাজের মেয়ের আসবার নাম নেই। আজকালকার কাজের মেয়েগুলোও না!
একেকটার জমিদারি চালচলন! ইসস!
ওর ভাবনার মাঝেই হুড়মুড় করে ভেতরে প্রবেশ করলো ফুলি। এ বাড়ির কাজের মেয়েটা।
অনু ফিরে তাকালো ওর দিকে। কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
— “এতদেরি হলো কেন তোর?”
আঁচল দিয়ে মুখ – কপালের ঘাম মুছতে মুছতে ফুলির সেই রোজকার একঘেঁয়ে জবাব,
— “মেলাক্ষণ দাড়ায় থাইক্যা রিসকা পাই নাই। যখন রিসকায় চরছি, সেইসম রাস্তায় জ্যাম আছিল। বাইরে যেই চিক্কুর দিয়া রোইদটা উডছে—”
— “রোজই তোর রাস্তায় জ্যাম থাকে, তাই না?”
রাগ দেখিয়ে বললো অনু। হাতের প্লেটটা শব্দ করে রাখলো সিঙ্কের পাশে। ফুলি হয় তো সহজ করেই উত্তর দিত, কিন্তু অনুর রাগটা টের পেয়েই আরও বেশি ত্যাড়ামি করলো,
— “আপনের কি মনে হয়, আমি ফুলি মিথ্যা কইছি? আমি মিথ্যা কওনের মানুষ? আমার দাদা কেডা আছিল আপনি জানেন? শেখ ফরিদউদ্দিন বখশ, মাইনষে তারে কইত জিন্দা পীর। জিন্দা পীরের নাতনি হইয়া আমি মিথ্যা কমু? এতবড় কথা কইলেন? এই বাড়িত আমি কাজ করুম না। ছাইড়া দিমু। দিমু ক্যান, দিছি। যহন আপনি কইছেন আমি মিথ্যা—”
ফুলির লম্বা লেকচার আর বংশ গৌরবের কথা শুনতে ইচ্ছে করছে না। অন্য সময় হলে সে ঠাস করে ওর গালে চর বিষয়ে দিতে দু বার ভাবত না। কিন্তু এখন বাড়ি ভর্তি মেহমানের সামনে কোনো তামাশা করতে মন চাইলো না বলেই ত্যক্ত গলায় বললো,
— “তুই দয়া করে চুপ কর, ফুলি। অসহ্য লাগছে!”
— “অসহ্য? কীসের অসহ্য? আমি কইছি না কাজ ছাড়ছি? এখন আপনের অসহ্য লাগলেও আমি শুনুম ক্যান? আমি কমুই…”
ফুলি বলে চলেছে। ধীরে ধীরে তার গলার স্বরের তীক্ষ্ণতা বাড়ছে। আস্তে আস্তে চেঁচিয়ে উঠছে সে। অনুর অস্থির লাগতে শুরু হলো। সে সারাজীবন নিজের বাড়ির রাণী হয়ে ছিল। বড় আপা ও বাড়ির রাজ কুমারী, সবার ‘চোখের মণি’ ছিল বটে, তার সব কথা সবাই শুনত। কিন্তু সেও কোনো অংশে কম ছিল না। তার কথা কেউ শুনত না বলেই নিজেকে স্বেচ্ছাচারী করে গড়ে নিয়েছিল। রাজ্যের স্বেচ্ছাচারী রাণীর মতো অধীনস্তের উপরে হুকুমদারি চালাত। সেই অনুকে কোথাকার কোন ‘ফুলি’, কোন জিন্দা পীরের নাতনি এতো কথা শুনাবে?
আর অনু চুপচাপ দেখবে? তাই হয়?
তবুও সে ধৈর্য রেখেছিল। নিজের বাড়িতে গত বাইশ বছর ধরে যা করে নি, তাই করেছে। ঠাণ্ডা মাথায় নিষেধ করেছে ফুলিকে। চুপ করতে বলেছে। এখনো শোনে নি সে। ও রাগবে না?
গতকাল সন্ধ্যা থেকে জমা একটু একটু বিরক্তি, আজকের সকালে ফুলির এই বয়ান শুনবার পর সব একসঙ্গে ক্রোধের আগুনের মত মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। আর সইতে না পেরে ঠাস ঠাস করে ফুলির দু’ গালে দুটো চড় মেরে দিল অনু।
ফুলি হতবাক, হতবিহ্বল!
অবিশ্বাস্য চোখে অনুর রাগান্বিত লালচে মুখের দিকে চেয়ে থাকতে হঠাৎ চিৎকার দিয়ে রোদন শুরু করলো ফুলি। যে গগনবিদারি বাড়ির সবাই ছুটে এলো এক লহমায়। এমনকি মাহিয়াও!
___

সকালে নিখিলের কল করবার কথা ছিল। কিন্তু কোনো ব্যস্ততায় শেষ পর্যন্ত কলটা আর আসে নি চারুর ফোনে। তাই মনটা একটু উদাসই ছিল ওর। নিখিলের সময়ের অনেক দাম সে জানে। কর্পোরেট দুনিয়ার মানুষ, এদের তো দম ফেলারও জো নেই!
বাইরে থেকে লোকে দেখে তাচ্ছিল্য হেসে উক্তি করে, ‘কি যে ওদের ব্যস্ততা! অফিসের এসির নিচে সারাদিন বসে বসে ওইতো কয়টা কাগজে সই করে, ঘটঘট করে কম্পিউটারের কি-বোর্ড চেপে কতগুলো টাইপ করে, এ আর এমন কি—” কিন্তু যে মানুষগুলো ওখানে বসে তথাকথিত এসির হাওয়া খেতে খেতে ক’টা কাগজে কলম চালায় ওরাই জানে, মাথা খাটিয়ে এই সেক্টরে টিকে থাকার যুlদ্ধটা কেমন!
আমরা তো বাইরেরটাই দেখি। কারো চাকচিক্য দেখেই চোখ ঘুরিয়ে বাঁকা মন্তব্য করি। অথচ ভেতরে যে কী চলে কখনোই জানতে চাই না। রিকশা ওয়ালার কাছে বড় অফিসের কর্মকর্তাদের দেখে মনে হয় কোনো কাজই করে না। অফিস ওয়ালাদের আবার এর বিপরীত ধ্যান-ধারণা। অথচ কোনো কাজই যে এত সহজ নয়, হাড় ভাঙা পরিশ্রম যে সবটাতেই আছে এটা আমরা বুঝেও যেন বুঝি না। সবসময়ই নিজেরটা বুঝি। ভাবি, ‘আমারটাই বড় কষ্ট, এমন কষ্ট কেউ কোনদিন করে নাই, ভবিষ্যতেও করবে না।’ কিন্তু এরচেয়েও বড় কষ্টে মানুষ থাকে আমরা ভাবি না!
কারণ ওসব ভেবে আমাদের লাভ নেই।
দুপুরে অফিসের লাঞ্চ ব্রেকে নিখিল কল করলো চারুকে। এখন চারুও ব্যস্ত ছিল, কিন্তু সব ফেলে রেখে সে ফোনের কাছে ছুটলো। নিখিল নওশাদ কল করেছে যে!
রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো নিখিলের ক্লান্ত কণ্ঠস্বর,
— “কি করছেন চারু?”
— “তেমন কিছু না। চাচিদের সঙ্গে একটু রান্নায় সাহায্য করছিলাম।”
— “শুধু সাহায্যই করেন? রাঁধেন না কখনো? রান্না পারেন তো?”
একটু দুষ্টুমি করে বললো নিখিল। চারুও হয় তো মজার ছলেই বলতে উদ্যত হয়েছে, কিন্তু হঠাৎ অপ্রিয় প্রসঙ্গটা চলে এলো,
— “এতো ঠুনকো ভাববেন না, মশাই। ভর্তা থেকে ভাজি, পুডিং থেকে কাচ্চি — সমস্তই আমার নখদর্পণে আছে! আপনি হয় তো ভুলে গেছেন আমি বিবাহিত জীবন পার করে এসেছি বহুদিনের। শ্বশুরবাড়ির সবাই এই রান্না খেয়ে আঙুল অবধি চেটে তুলতো—”
বলেই মুখের হাসিটা বিলীন হলো ওর। কথায় পুরোনো প্রসঙ্গ কোনদিন নিখিল টানে না। এমনকি অতীত নিয়ে একটা প্রশ্নও আজ পর্যন্ত করে নি সে। চারুও এড়িয়ে গেছে, যায় সব। কিন্তু তবুও!
চারুকে আপসেট হতে দিলো না নিখিল। হেসে বললো,
— “আচ্ছা, দেখা যাবে! আপনার হবু শাশুড়ি মিসেস. নাজিয়া নিলুফার কিন্তু সেরা রাঁধুনি। টেলিভিশনের প্রোগ্রামে গিয়ে মাস্টার শেফ হয়ে এসেছে। তাকে যদি রেঁধে খাইয়ে সন্তুষ্টি করতে পারেন— তো ভাবা যাবে। পাশ দিলেও দিতে পারি।”
ওর বলবার ভঙ্গিমায় চেয়েও আর মন খারাপ করা হলো না ওর। ততোধিক রসিয়ে শুধালো,
— “পাশ করলে কি দিবেন? সে বলুন আগে, নয় পরীক্ষা দিয়ে লাভ কি!”
— “দিবো না হয় কিছু। কেন সমস্যা?”
— “সমস্যা নয়? বলছেন কি? আমি এতো কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করবো, আর আপনি যদি রেজাল্টের সময় শুকনো মুখে ‘অভিনন্দন’ বলেন, তা তো হবে না! এতবড় লস হবে আমার—”
চারুর আহাজারি শুনে ফিক করে হেসে উঠলো। ভাগ্যিস বন্ধ কেবিন। নয় তো ওর বেসামাল হাসির তোরে আশেপাশের সবাই কাজ ফেলে অবাক চোখে দেখত ওকে!
হাসি থামিয়ে বললো,
— “আপনার লস হবে না, ম্যাডাম। বরং আমি লোকসান করিয়ে হলেও আপনাকে সবচেয়ে দামী গিফট্ দেব। প্রমিজ!”
চারু মাথা নাড়লো। আনমনে বিড়বিড় করে বললো,
‘আপনি শুধু আমায় ভালোবাসুন, নিখিল। পৃথিবীতে এরচেয়ে বড় গিফট্ আর হতে পারে না!’
___

দরজায় কড়া নাড়তেই অনুমতি দিলো সৌভিক। গুটিগুটি পায়ে ভেতরে এসে প্রবেশ করলো আনিকা। হাতে কয়েকটা ফাইল। সেগুলো সৌভিকের টেবিলে দিয়ে, সন্তর্পণে সরে দাড়িয়ে বললো,
— “ফাইল গুলো একটু চেক করে দিন, স্যার। এমডি স্যার এই ফাইলগুলো আজকের মধ্যে কমপ্লিট করতে বলেছেন।”
মুখ তুলে তাকালো সৌভিক। টেবিলের অপর প্রান্তে দাড়ানো আনিকা। অনেকটা জবুথবু হয়ে। ওর কপাল কুঁচকে এলো। মেয়েটা ওকে বেশ ভয় পায় ও জানে। এই নিয়ে গতকাল প্রশ্ন করায় সে নির্দ্বিধায় জানিয়েছে, ‘সৌভিক অনেক রাগী!’
শুনে তাজ্জব বনে গিয়েছিল সে। রাগী তাও সৌভিক? কদিনের পরিচয়ে এই মেয়ে তাকে উগ্র মেজাজী বলে দিলো? অথচ নিজের সমগ্র জীবনে এই কথা কোনদিনও শোনে নি সে। পরিবারের বাধ্য ছেলে, কখনো কারো সঙ্গে উচ্চবাচ্য করে না। দশবার গুঁতোলেও যে একবার ছোট্ট করে নিষেধ করে, সে কিনা রাগীর তকমা পেল! তাকে দেখে নাকি এই মেয়ে কাঁপাকাঁপি করে! কি আশ্চর্য!
অবশ্য ক’টা দিন ওর মন-মেজাজ ভালো ছিল না। তখন সবকিছুতে একটু বিরক্তি এসে গিয়েছিল ওর। একথা অস্বীকার করবার উপায় নেই। কিন্তু তাই বলে সে তো আনিকাকে অকারণে ধমকায় নি। মেয়েটা বোকামি না করলে—
সৌভিক শ্বাস ফেলে ফাইলগুলো হাতে নিল। ভালো করে চেক করলো। নাহ্, উন্নতি হয়েছে মেয়েটার। ভুল তেমন চোখে পড়লো না। সাইন করে দিলো চটপট।
কাজ হয়ে যাওয়ায় হাসি মুখে বেরিয়ে যাচ্ছিল আনিকা। হঠাৎ কি মনে করে পিছু ডাকলো সৌভিক,
— “আনিকা শুনুন?”
চকিতে ফিরে তাকালো মেয়েটা। নিমিষেই হাসি মুখে নেমে এলো ভয়ের ছায়া,
— “কিছু বলবেন, স্যার?”
কি বলবে সৌভিক? মেয়েটা তার ডাক শুনেই কেমন ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকায়। কিছু বললে, জ্ঞান হারাবে না কে গ্যারান্টি দিবে?
তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে বললো,
— “আপনি আমাকে অকারণে ভয় পাওয়া বন্ধ করুন, প্লিজ। আমি বাঘ – ভালুক নই। নেহাৎ ছা-পোষা কর্মজীবী মানুষ। জুনিয়র হিসেবে আপনাকে কিছু কাজ শিখানোর দায়িত্ব পড়েছে কাঁধে। তাই করতে গিয়ে, বিরক্ত হয়ে ধমকেছি। সেজন্যে এমন ভয় পাওয়ার কারণ নেই।”
বলেই থেমে পূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো ওর উপর। নিশ্চিন্ত হতে জিজ্ঞেস করলো,
— “বুঝেছেন?”
— “হু।”
— “এবার যান।”
— “হু।”
ছাড়া পেয়েই ডানা ঝাপটানো পাখির মতো ছটফটিয়ে উঠলো আনিকা। এতক্ষণ যেন বাঘের খাঁচায় ছিল। মুক্তি মিলতেই হুড়মুড় করে বেড়িয়ে যেতে গিয়ে দরজার সাথে বাড়ি খেয়ে উল্টে পড়লো মেঝেতে।
কপালে হাত ঘষে ক্রোধ দমনের দোয়া করলো সৌভিক,
“আল্লাহ্, এই মেয়েকে সহ্য করবার ক্ষমতা দাও আমায়!”

চলবে___

#মৌরিন_আহমেদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here