অনুভূতিরা_শব্দহীন লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী পঞ্চবিংশ পর্ব

0
234

#অনুভূতিরা_শব্দহীন
লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী

পঞ্চবিংশ পর্ব

বিকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় আহনাফ ও সারাহ্। মায়ের সাথে একপ্রকার রাগ করেই চলে এসেছে সারাহ্। বাসে উঠে খেয়াল হলো ওর মা ওইসব কথা উঠলেই রেগে যাচ্ছিল, মানে উনি নিশ্চয়ই কিছু তো জানে। তাহলে এখন ঢাকা থেকে চলে গেলে যদি মায়ের কোনো বি°পদ হয়।

“আহনাফ, আমি বাসায় যাবো।”

সারাহ্-র অতিউৎসাহী কথায় আহনাফ সাধারণ হবাব দেয়,
“তাই তো যাচ্ছি।”
“আম্মুর বাসায় যাবো।”
“কাল না চলে আসার জে°দ করলে?”
“এখন তো যেতে চাচ্ছি, চলেন।”

আহনাফ ভ্রূ উঁচিয়ে চোখমুখ কুঁচকে বলল,
“মাইয়া মাইনসের য°ন্ত্র°ণা আর স°হ্য হয় না।”

সারাহ্ ওর মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলে,
“কয়টা মেয়ের য°ন্ত্র°ণা স°হ্য করছেন, মিস্টার?”

আহনাফ মুখ টিপে হেসে ওর কাছে গিয়ে বলে,
“আমি যাই করি, এখন তুমি কিছু সহ্য করো।”
“এটা বাস, তোমার বাসা না।”
“তুমি বললে বাসরও বানাতে পারি।”
“ছি।”

সারাহ্ ওকে একটু ধা°ক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। আহনাফ হাসতে থাকে।

তারপর সিরিয়াস একটা চেহারা করে বলে,
“কেন বাসায় যেতে চাচ্ছো?”
“মনে হচ্ছে আম্মু কিছু জানে বাট লুকাচ্ছে।”
“অফিসারকে বললে না কেন?”

সারাহ্ একটু চুপ থেকে বলল,
“অফিসার নাইমাকে জানিয়েছি, উনি বলেছেন আম্মুকে নজরে রাখবেন।”
“তবে তো হলোই।”
“যদি আম্মুর কোনো সমস্যা হয়।”

আহনাফ সিটে হেলান দিয়ে সারাহ্-র দিকে তাকিয়ে বলল,
“মেয়েগুলো যা এক°রো°খা, মা নিশ্চয়ই আরো বেশি হবে। নো টেনশন।”
“আমার মা আপনার শাশুড়ী হয়।”
সারাহ্ কি°ড়মি°ড়িয়ে কথাটা বলে।

আহনাফ চোখ বন্ধ করে হাসতে থাকে। সময়ে অসময়ে, কারণে অকারণে সারাহ্-কে রাগাতে তার ভালোই লাগে।
______________________________________

ইমতিয়াজ পুরো রুমটা ঘুরে ঘুরে দেখছে। জানলা দরজা বেশ ভালো মতো সিল করা। খোলার কোনো উপায় নেই আর ওর তো একহাত ভা°ঙা, চেষ্টাও করতে পারছে না। ওয়াশরুমে কোনো জানলা নেই। এক কথায় বাইরের পরিবেশ থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে ওদের।

নীলুফার দুপুরে এসে খাবার দিয়ে গেছে। ইমতিয়াজ একটু চুপচাপ থাকার চেষ্টা করছে, ঠান্ডা মাথায় ভাবছে সবকিছু। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে এতো এতো ঘটনা ঘটেছে যে তা একমুহূর্তে বোঝা সহজ নয়।

নীলুফার দরজায় নক করে বলে,
“আসবো।”

ইমতিয়াজের উত্তরের অপেক্ষা না করে সে ভিতরে আসে। ইমতিয়াজ তার দিকে তাকিয়ে বলে,
“আমার ফোন কোথায়?”

মৃত্তিকার স্যালাইন খুলতে খুলতে স্বাভাবিক সুরে বলে,
“আমি জানি না, আপনি নিজেকে যে খুঁজে পেয়েছেন এটাই বেশি।”

ইমতিয়াজ কিছু বলে না, শুধু চোখ কুঁচকায়। নীলুফার আবার বলে,
“কবরে পড়ে ছিলেন তাই উপরে একটা লা°শ নিয়ে। জ°ব্ব°র লোক আপনি।”

ইমতিয়াজ একটু চুপ থেকে বলে,
“কার লা°শ ছিলো? (একটু থেমে) আই মিন, পুরুষ নাকি নারী?”

নীলুফার হেসে বলল,
“নারী নিয়ে কবরে যাবেন?”

তারপর হো হো করে কিছুক্ষণ হেসে বলে,
“পুরুষ ছিল। একজন নারী পাশে পড়ে ছিল।”

ইমতিয়াজ বুঝতে পারে এরাই সেই দুজন যারা ওকে মা°রা°র চেষ্টা করেছে। আবারো প্রশ্ন করে,
“ওরা কিভাবে মা°রা গেছে?”

নীলুফার মৃত্তিকার সব ইলেকট্রোড খুলছে। কাজ থামিয়ে বলল,
“একেকজনকে তিনটা করে গু°লি করা..”

নীলুফার কথা শেষ হওয়ার আগেই পেছন থেকে পল্লবী বলল,
“একদম বুকে দুইটা, হৃদ°পিণ্ড ছি°ন্নভি°ন্ন হয়েছে ওদের।”

ইমতিয়াজ চমকে উঠে পিছন ফিরে। পল্লবী আলতো করে হেসে নীলুফারকে বলে,
“ওকে নিয়ে আসো।”

মৃত্তিকার বেডটা নিয়ে যেতে চাইলে ইমতিয়াজ বাধা দেয়।
“কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন ওকে?”
“এম আর আই করাতে হবে।”

পল্লবীর উত্তরটা ইমতিয়াজের পছন্দ হলো না। অপরিচিত দুজন নারী, যতই ওদের বাঁচাক না কেন বিশ্বাস করা সমীচীন নয়। নিরীহ সেজে ধোঁকা দেয়ার লোকের অভাব নেই।

“আমি সাথে যাবো।”

ইমতিয়াজের কথার জবাব দেয়ার আগে সে আবারো বলে,
“যাবো মানে যাবো, কোনো প্রশ্ন নয়।”

পল্লবী মাথা নাড়িয়ে বলল,
“ঠিক আছে।”

মৃত্তিকাকে নিয়ে যাওয়া হলো। ইমতিয়াজও সাথে যাচ্ছে। সাদা রঙের দেয়ালগুলো দেখছে সে, পাশে থাকা চেয়ারগুলো সাদা, জানলা-দরজার গ্রিল ও পর্দাও সাদা। নীলুফার আর পল্লবীর পোশাকও সাদা।

এম আর আই রুমে গিয়ে নীলুফার সব ঠিক করছে। ইমতিয়াজ পল্লবীকে বলে,
“এসব মেশিন চালাতে তো এক্সপার্ট লোক লাগে। এখানে তো আপনারা ছাড়া আর কেউ নেই।”
“এখানেই অনেক মানুষ আছে, তোমার নজরে তুমি দেখতে পাচ্ছো না।”

ইমতিয়াজ কপাল কুঁচকায়। এই মহিলা যথেষ্ট হেয়ালি করে কথা বলে। কোথায় মানুষ? থাকলে সে দেখবে না কেন?

এখানেও সব সাদা। প্রত্যেকটা জিনিস সাদা। এক অদ্ভুত শুভ্রতা সবকিছুতে।

“এখানে সবকিছুই এমন সাদা কেন?”

ইমতিয়াজের প্রশ্নে পল্লবী একটা রহস্যময় হাসি হেসে বলল,
“কা°ফ°নের রঙ তো শুভ্রই হয়। অন্য কোনো রঙ দেখেছো নাকি?”
______________________________________

লুৎফর রহমান ও তানজিম এসেছে রমনা থানায়। ইমতিয়াজ আর মৃত্তিকা নি°খোঁজ, কিন্তু বাসায় ওদের নিয়ে কোনো কথাই হচ্ছে না। সবাই চিন্তিত কিন্তু কেইসের কথা বললেই কেমন যেন গু°ম°রে যায়। অবশেষে আর কোনো উপায় না পেয়ে দুজনে থানায় আসে।

ইন্সপেক্টর রাব্বি উনাদের সব কথা শুনে, উনাদেরকে সাথে নিয়ে ইমতিয়াজের বাসায় আসেন। দরজা খুলেই সবাই অবাক।

বাসা গোছানো, পারফিউম পাওয়া যাচ্ছে। কিছুক্ষণ আগেই যেন সবকিছু গোছানো হয়েছে। মিউ মিউ করে বিড়ালটা আসলো, সেও একদম ফুরফুরে মেজাজে আছে। তিনচারদিন ধরে ইমতিয়াজ নেই, তার তো না খেয়ে থাকার কথা৷ অথচ সে আরামে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার বাটিতে খাবার-পানি সব আছে।

ইমতিয়াজের শোবার ঘরে গিয়ে আরেকদফা অবাক হতে হলো তাদের। এই রুমটা আরো গোছানো, পরিপাটি। বিছানা একদম টানটান অবস্থায় আছে। রান্নাঘরে গিয়ে বুঝলো চুলা গরম, অর্থাৎ এখানে রান্না হয়েছে। সিংকের পাশে খুয়ে রাখা থালা-কাপ, তারমানে কেউ খেয়েছে।

রাব্বি সব ঘুরে ঘুরে দেখে বলল,
“আপনারা বললেন আজকে নিয়ে চারদিন উনি নি°খোঁজ, অথচ ঘর দেখে মনে হচ্ছে উনি আজকেও বাসায় ছিল। কেন?”

তানজিম কি বলবে বুঝতে পারছে না। ইমতিয়াজ কি তাদের সাথে আর যোগাযোগ রাখতে চাইছে না? এতো লুকোচুরি কেন?

“যা হোক, আপনারা শুধু শুধুই আমাদের সময় নষ্ট করেছেন।”

এবারে তানজিম মুখ খুলে,
“কিন্তু ওই ম্যাসেজ।”
“হয়তো গিয়েছিল আর ফিরেও এসেছে।”
“তবে মিউকো আপু কোথায়?”

তানজিমের কথায় রাব্বি আবারো রান্নাঘরের দিকে তাকায়। তারপর বলে,
“চলে আসবে।”

একজন কন্সটেবল সাথে এসেছিল। তাকে নিয়ে নিরবে বেরিয়ে যায় রাব্বি। ওদের কথার কোনো গুরুত্বই রাব্বি দেয়নি। কোনো কে°ইস নেয়নি। তার ভাবসাবে মনে হয়েছে ইমতিয়াজ একটু আগে উনার সাথেই চা খেয়ে আড্ডা দিয়ে গেছে।
______________________________________

পরদিন সকালে,

বাসায় কোনো এক অতিথি আসবে৷ তাই বেস ভালো করেই যোগাড় করা শুরু করেছেন নার্গিস পারভিন। বাসার কাজের খালাকেও সকাল থেকে ব্যস্ত করে রেখেছেন।

সামিহা নিজকক্ষে আরামে ঘুমাচ্ছিল। শনিবার, ভার্সিটিতে ক্লাস নেই, এই কারণে বেশ আরামেই ঘুমাচ্ছে সে।

নার্গিস পারভিন এসে লাইট জ্বালিয়ে বলেন,
“ঘুম ছাড়াও জীবনে অনেক কিছু থাকে। তোমার তো আর কোনো উদ্দেশ্য নেই। উঠে ফ্রেশ হও, মেহমান আসবে।”

সামিহা মাথাটা একটু তুলে ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলে,
“কে আসবে?”
“তোমার এক আন্টি।”

সামিহা আবারো শুয়ে বলল,
“আমাকে দেখতে তো আর আসছে না। তবে আমি কেন উঠবো।”

ওর গায়ের কাঁথা সরিয়ে নিয়ে বলেন,
“উঠো, উঠে পড়ো।”

সামিহা চোখ কচলে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল। মায়ের মেজাজের এমন চৌদ্দটা বেজে আছে কেন তা ওর জানা নেই। কোন দেশি মেহমান আসবে তা ও দেখতে চায়।
______________________________________

“মিউকো চেয়েছিল শেয়ার কিনতে, অথচ এখন হুট করে লা°পাত্তা। ফোন ধরছে না, কোনো ম্যাসেজের রিপ্লাই দিচ্ছে না। ঘটনা কি?”

ইসরাত আপন মনে বকবক করছে আর মৃত্তিকাকে ম্যাসেজ করছে। মৃত্তিকা ম্যাসেজ সিন করছে কিন্তু রিপ্লাই দিচ্ছে না। ইসরাত কল দেয়, রিসিভ হয় না।

রাগে ফোন রেখে ইসরাত বসে থাকে। এ কেমন ব্যবহার ওর। শেয়ার কেনার কথা বলে এখন নিজেই চুপ, ও কি সারাবছর দেশে বসে থাকবে।

এদিকে মৃত্তিকা আর ইমতিয়াজের ফোন আছে শরীফের কাছে। টেবিলে থাকা দুজনের ফোন ক্রমাগত হাতে নিয়ে ঘুরাচ্ছে উনি। মৃত্তিকা শেয়ার কেনার জন্য দেশে ছিল, এই কথাটা মাত্রই জেনেছে।

“মিউকো, আমার মেয়ে আমার দিকেই গেছে। কলবরকে নিশ্চয়ই সে চিনেছে। ওই ফ্যামিলিটা ভালোই থাকতো যদি আমাকে ভালো থাকতে দিতো।”

টেবিলের উপর থেকে পেপারওয়েটটা নিয়ে ছুড়ে ফেলে বলল,
“রিপা, শুধু তুমি বুঝোনি। তোমার মেয়েও সত্যটা ধরেছে আর তুমি..”

রাগে জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলছে শরীফ। বয়সের ভারে এখন চেঁচামেচি তার জন্য বেশ ভারি হয়। কাঁপতে কাঁপতে বলল,
“তুমি যদি আগে বুঝতে তবে অকালে তোমাকে ম°র°তে হতো না।”
______________________________________

বিকাল চারটা ত্রিশ,
মৃত্তিকার বিছানাটার পাশে ফ্লোরে বসে পেছনের ছোট টেবিলটায় হেলান দিয়ে বসে আছে ইমতিয়াজ। শরীর তারও বেশ খারাপ করছে। এই শুভ্র রঙ আর এতো এতো চিন্তায় মস্তিষ্ক কাজ করা থামিয়ে দিচ্ছে বোধহয়।

হাতের আঙ্গুলে এক দুই করে গুণছে আর ভাবছে ইমতিয়াজ।

মৃত্তিকা বলেছিল তিনটা মৃ°ত্যু°র পেছনে তার বাবার হাত থাকতে পারে। ওর বাবার ওর পিছনে স্পা°ই দিয়েছে।

ওর বাবার কাছে পি°স্ত°ল আছে। আবার গো°রস্থানে ওই দুজনকে গু°লি করা হয়েছিল।

মৃত্তিকাকে মারার আগে ওর কাছে চিঠি এসেছিল। “ওই বাসা” মানে ওর মামার বাসা থেকে বের করতে হতো। শাফিন সাহেবের বাসায় কি ভয়?

খুঁড়ে রাখা কবরের সাথে লাগানো পাথরে মৃত্তিকার নাম ছিল। আগেভাগেই কেউ তা তৈরি করে। তবে কি এটা পূর্বপরিকল্পিত খু°ন?

গো°র°স্থানে লোকটা বলেছিল “তাহমিনার হাসবেন্ডই পরবর্তী লোক।” তারমানে কেউ ওকে আগে থেকে পয়েন্টে রেখেছে।

ইমতিয়াজ নিচুস্বরে বলে উঠে,
“তবে কি সত্যিই তিনজনকে খু°ন করা হয়েছিল?”

ইমতিয়াজ লাফিয়ে উঠে বসে। এতদিন পর এমন একটা চরম সত্য উপলব্ধি করে সে স্তম্ভিত। সবকিছুই পূর্বপরিকল্পনায় হয়েছে। ঠান্ডা মাথার কোনো ব্যক্তি এই পরিকল্পনার মূলে আছে।

কে সে? মৃত্তিকার বাবা? ডি°ভো°র্সের এতো বছর পর উনি কেন রিপা বেগমকে খু°ন করবে? তাও দেশে এনে।

দরজা ঠেলে ভিতরে আসে পল্লবী। ইমতিয়াজকে দেখে মুখ টি°পে হেসে বলে,
“মৃত্তিকার রিপোর্ট দেখলাম।”

ইমতিয়াজ হাতে থাকা কাঁ°চি°টা শক্ত করে ধরে বলে,
“কি এসেছে রিপোর্টে?”

রিপোর্টগুলো অপরপাশের টেবিলে রেখে বলে,
“মোটামুটি ভালো। ওর কো°মা নিয়ে ভ°য় পেয়েছিলাম, তবে এমন কোনো সম্ভাবনা আর নেই।”

ইমতিয়াজ উঠে পল্লবীর পাশে এসে দাঁড়িয়ে বলল,
“আমাদের এখানে আটকে রাখা হয়েছে কেন?”

পল্লবী ওর দিকে তাকিয়ে বলে,
“আটকে তো রাখিনি। তবে যেতে দেবো না।”

ইমতিয়াজ কাঁ°চিটা উঁচু করতেই পল্লবী ওর হাতে ও কোমড়ে বেশ জোরে ঘু°ষি দেয়। ইমতিয়াজের কোন কোন স্থানে ক্ষ°ত আছে তা সে ভালো করেই জানে।

ইমতিয়াজ সরে যায়, কোমড়ের ক্ষ°তে আর হাতে প্রচন্ড ব্য°থা হচ্ছে। পল্লবী রাগি কন্ঠে বলে,
“গাধা নাকি তুমি? আমাকে কেন আ°ক্র°ম°ণ করেছো?”
“এই জায়গায় আটকে কেন রেখেছেন?”
কি°ড়মি°ড় করে বলে ইমতিয়াজ।

“কাঁ°চি ফেলো, (ধম°কে উঠে) ফেলো।”

ইমতিয়াজ কাঁ°চিটা ফেলে দেয়। পল্লবী কিছুক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে থেকে মৃত্তিকার কপালে চুমো দিয়ে বলে,
“জলদি ভালো হয়ে উঠো, মা। পৃথিবী তোমার অপেক্ষায়।”

ইমতিয়াজের দিকে রাগি দৃষ্টি দিয়ে পল্লবী বেরিয়ে যায়। সাথে বন্ধ হয় দরজাটা। ইমতিয়াজ ডানহাতে ধরে এসে নিজের বিছানায় বসে।

চলবে…..

(অনেকে ইনবক্সে নক দেন আমি রিপ্লাই দিতে পারিনা। কোনো প্রশ্ন থাকলে আমার গ্রুপে করতে পারে। লিংক কমেন্টে দেয়া আছে।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here