অনুভূতিরা_শব্দহীন লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী পঞ্চম পর্ব

0
272

#অনুভূতিরা_শব্দহীন
লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী

পঞ্চম পর্ব

দুই বছর পর,

বিরামহীন এই সময়কে বিরাম দিবে কার সাধ্য। সময় চলে যায়, মানুষ চলে যায়, শুধু থাকে স্মৃ°তি আর ভালোবাসা।

আহনাফ ক্লাস করাচ্ছে। ঘন্টা যে পড়েছে সেদিকে তার কোনো খেয়াল নেই, টপিক শেষ না করে সে যাবে না। রসায়নের ম্যাডাম সারাহ্ এসে দরজার কাছে অপেক্ষা করছে। যেহেতু সারাহ্ একজন গেস্ট টিচার, তাই সিনিয়র একজন টিচারকে ও কিছু বলতেও পারছে না। এদিকে বি°র°ক্ত হচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে।

অতঃপর আহনাফ ক্লাস শেষ করে যাওয়ার সময় সারাহ্-র দিকে না তাকিয়েই চলে গেল, সরি বলারও প্রয়োজন বোধ করলো না। এমন ব্যবহারে সারাহ্ একটু বি°র°ক্ত হলো। তারপর ক্লাসে ঢুকে পড়ানো শুরু করলো।

আর কোনো ক্লাস না থাকায় আহনাফ বের হয়ে যাচ্ছে৷ কারণটা আবার বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আফরোজা আর জুহাইব তাদের একমাত্র পুত্রকে নিয়ে দেশে ফিরছে। সকালে ঢাকায় এসেছিল আর এখন কুমিল্লা এসেছে।

বাসায় ফিরে আফরোজাকে দেখে হাসিমুখে জড়িয়ে ধরে। একমাত্র ভাগ্নে জাবেরকে কোলে নিয়ে আদর করে।

“কেমন আছিস, আহনাফ? আজকাল ফোন তো দিসই না।”

আফরোজার কথায় আহনাফ ওর দিকে তাকিয়ে বলল,
“ভালো আছি। সময় পাই না কল দেয়ার।”

জুহাইব বলল,
“জাবের আসার পর থেকে তোমার বোন আমাকে ভুলেই গেছে।”

আহনাফ হাসলো। বলল,
“না, ভুলে নাই। ভাগিদার আসলে ভাগ তো কিছু কমবেই।”

আব্বাস সাহেব নাতিকে কোলে তুলে আদর করলেন। তারপর আফরোজাকে বললেন,
“ফ্রেশ হয়ে নে তোরা। আর কত এই এক ড্রেসে থাকবি?”
“হুম যাচ্ছি।”

আফরোজা আহনাফকে ভালো করে খেয়াল করলো। হাসি হাসি ভাবটা থাকলেও তার ভাই যে ভালো নেই তা সে তো বুঝে।
______________________________________

অফিসে কাজ করছে ইমতিয়াজ। এরমধ্যে কল করে তাহমিনার বাবা লুৎফর রহমান। উনাদের ছেড়ে একা থাকা শুরু করে ইমতিয়াজ, যা উনারা চাননি। এরজন্য প্রায়ই কল করেন। এটা সেটার জন্য উনাদের বাসায় গেলেও থাকা হয় না।

“বাবা?”

ইমতিয়াজের ডাকে লুৎফর রহমান ভা°ঙা ভা°ঙা গলায় বলেন,
“আজ কি একটু আসতে পারবে?”
“অফিস শেষে আসবো। আপনাদের কিছু লাগবে?”
“তোমাকে দেখবো আর কিছু না।”

ইমতিয়াজ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“ঠিক আছে বাবা, এখন রাখছি।”
বলে নিজেই কে°টে দিলো। পুরো পৃথিবীকে এড়িয়ে যাচ্ছে সে একমাত্র এই মানুষগুলোকে ছাড়া।

জীবন ওর কিভাবে যাচ্ছে তা কেবল সেই জানে। তাহমিনা আর তাদের অনাগত সন্তানের জন্য আজও সে ফুঁপিয়ে কাঁদে। একা, সঙ্গীহীন জীবনে সে তাহমিনাকে আজও ফিরে পেতে চায়। অসম্ভব জেনেও চায় তাহমিনা ফিরে আসুক।
______________________________________

ঘড়িতে রাত ৯ টা, সারাহ্ বাসায় রান্না করছে আর ভিডিও কলে বাসায় কথা বলছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে চাকরি নেয়ায় ঢাকা থেকে চলে এসে এখানে একা একা থাকতে শুরু করেছে৷ যা নিয়ে পরিবারে একটু মনোমালিন্য হয়েছিল, তবে এখন তা নেই।

“আপু, জানো। আমিও এখন স্টুডেন্ট পড়াই, পুরো তিনটা।”

সামিহার কথায় হাসে সারাহ্। তারপর বলে,
“ক্লাস করিস ঠিকমতো?”
“হ্যাঁ, প্রতিদিন যাই। ক্লাস না থাকলেও যাই।”
“না থাকলে কি করতে যাস?”
“ডান্স।”

নার্গিস পারভিন ফোন নিয়ে বলে,
“বাদ দাও ওর কথা। সারাহ্, তুমি শুক্রবারের আগে ঢাকায় আসো।”
“কোনো জরুরি কাজ আছে নাকি আম্মু?”
“হ্যাঁ, তোমার ফোনে একটা ফাইল গেছে, চেক করো তো।”

ভাতের মাড় ফেলে পাতিলটা চুলায় বসিয়ে দিয়ে বলল,
“কিসের ফাইল?”
“একটা ছেলে দেখেছে তোমার বাবা, তোমার জন্যই। তারই সিভি। উনারা শুক্রবারে কথা বলতে আসবেন।”

আজ মঙ্গলবার, শুক্রবার তো আর বেশি দূরে না। সারাহ্ ক্যামেরা থেকে একটু আড়ালে চলে গেল। হুট করে মায়ের কাছ থেকে এমন কথা শুনে লজ্জায় পড়েছে সে।

ওর মা বলল,
“ছেলের ফ্যামিলি চাকরি নিয়েও কোনো সমস্যা নেই বলেছে। তোমার বাবার বন্ধু প্রস্তাবটা দিলো।”

সামিহা ফোন টে°নে নিয়ে বলল,
“আপু, আপু, তুমি আসার সময় হবু দুলাভাইয়ের জন্য গিফট নিয়ে আইসো। গিফট কি আনবে সেটা আমার থেকে আইডিয়া নিতে পারো। দিবো?”

সারাহ্ তাড়াহুড়ো করে বলল,
“আম্মু, আমি পরে কথা বলবো। এখন রাখছি।”
বলে কল কে°টে পিডিএফ ফাইলে প্রবেশ করলো।

আহনাফ ফয়েজ, নামটা দেখলো আর তারপর ছবিটা দেখে চমকে গেল। এ তো কলেজের সেই সিনিয়র স্যার, যে আজকে ওর ক্লাসের টাইম নষ্ট করেছে। হঠাৎ সারাহ্-র লজ্জার পরিমানটা বেড়ে গেল, কাল আবারো লোকটার সাথে দেখা হবে যে।

“লেকচারার সাহেবের সিভি শেষ পর্যন্ত আমার বাসায়?”
মনে মনে কথাটা ভেবেই হেসে উঠে সে।
_____________________________________

রাতের খাবার শেষে আহনাফ সোফায় বসে ভাগ্নে জাবেরের সাথে দুষ্টুমি করছে। আফরোজা, জুহাইব আর আব্বাস সাহেব কোনো জরুরি বিষয় নিয়ে পরামর্শ করছেন। তারপর তিনজনই এসে সোফার রুমে বসলো।

জাবেরকে আফরোজা কোলে নিয়ে ঘুম পাড়াতে চলে যায়। যাওয়ার সময় আব্বাস সাহেবকে ইশারায় কিছু একটা বুঝিয়ে দেয়, যা আহনাফের দৃষ্টি এড়ায় না।

আব্বাস সাহেব কিছু বলবে বলবে করেও বলছে না দেখে আহনাফ নিজে থেকেই বলল,
“বাবা, কিছু বলবেন?”

আব্বাস সাহেব নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন,
“আফরোজা তো কয়দিন পরেই চলে যাবে।”
“হ্যাঁ, খুব স্বাভাবিক বিষয়।”
“ঘরে তো কোনো নারী আর থাকবে না। তাই বলছিলাম…”

একমুহূর্তের জন্য আহনাফের মনে হলো ওর বাবা চাইছে ও বিয়ে করুক। ওর ভাবনা সত্য হলো।

জুহাইব বলল,
“আহনাফ, আংকেল বলতে চাচ্ছে তুমি বিয়ে করে ফেলো।”

বিয়ের কথা শুনেই ওর মনে পড়লো সাজানো রিসোর্ট, তিনটা লা°শ আর মাঝে শুয়ে থাকা ওর ভালোবাসা। কা°ফ°নে বাধা তাহসিনাকে ভুলবে কিভাবে আহনাফ। কবরের মাটিটা তো এতোদিনে সমান হয়ে গেছে। ভেতরে থাকা তাহসিনার দে°হটাও আর নেই। কিন্তু আহনাফের মনে তাকে কি করে দা°ফ°ন করবে?

আব্বাস সাহেব ওর পাশে এসে বসে বলল,
“আহনাফ, জীবন থেমে থাকে না। কারো জন্য থামবে না, এ তো চলতে থাকবে। (একটু থেমে) আমি তোমার ছোটফুপার এক বন্ধুর মেয়েকে দেখেছি।”

আহনাফ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল,
“বাবা, আমি কি বিয়ে করলেই হবে? বিয়ে মানে তো একজনের দায়িত্ব নিয়ে নেয়া। আমি কি পারবো দায়িত্বটা নিতে?”

জুহাইব আহনাফের অন্যপাশে এসে বসে বলল,
“কেন পারবে না? অবশ্যই পারবে। (একটু থেমে) তুমি চাও তো শুক্রবারে আমরা উনাদের বাসায় যেতে পারি৷ কোনো অনুষ্ঠান না, পছন্দ হলে ওখানেই বিয়ে।”

আহনাফ হ্যাঁ বা না কিছুই বলল না, উঠে রুমে চলে গেল। দরজা লাগিয়ে দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওর অবস্থাটা বোঝার চেষ্টা কেউ করবে না এটাই স্বাভাবিক, কারণ ও যে অতীত আঁ°ক°ড়ে পড়ে আছে৷ কিন্তু তাহসিনার জায়গাটা অন্যকাউকে দেয়া কি সম্ভব?
_____________________________________

ইমতিয়াজ বেল বাজালো, তানজিম দরজা খুলে বলল,
“আরে, ইমতিয়াজ ভাই যে, কেমন আছেন?”
“এইতো ভালো।”

কোলাকুলি করলো দুজনে। ইমতিয়াজ ভিতরে গেল। লুৎফর রহমান ও মমতাজ বেগম নিজেদের রুমে ছিল, ইমতিয়াজের কন্ঠস্বর শুনে উনারা বেরিয়ে এলেন।

মমতাজ বেগম ইমতিয়াজকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলেন। ইমতিয়াজও দীর্ঘশ্বাস ফেলল৷ মা কি কখনো মেয়েদের ভুলতে পারে? মমতাজ বেগমও পারেননি।

রাতের খাবার ইমতিয়াজ উনাদের সাথেই করলেন। মমতাজ বেগম এতোদিন পর ইমতিয়াজকে পেয়ে কথার ভান্ডার খুলেছেনে। মানসিক অবস্থা উনার খুব একটা ভালো না৷ হুটহাট করে প্রায়শই আবোল তাবোল কথা বলেন।

“কালকে তাহসিনা তাহমিনার সবুজ শাড়িটা পড়ে আমাকে দেখাচ্ছিল, সেটা দেখে তাহমিনার কি রাগ?”

বলে কিছুক্ষণ হাসলেন। তারপর আবারো বললেন,
“তানজিম তো আমার সাথে কোনো কথাই বলে না। তাহসিনা তো কিছু বলে আর তাহমিনা তো সেই নিজের বাচ্চাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে। বাচ্চাকে তো আমার কোলে দেয়ই না, নিজেও দুধ খাওয়ায় না। সারাদিন কাঁদে আমার নাতি, তুমি আচ্ছা করে ব°কে দিবে কিন্তু।”

কথা শেষ করে আবারো কাঁদছেন উনি। উনার কল্পনায় এখনো তাহসিনা-তাহমিনা জীবিত। উনার এই হঠাৎ হাসা আর হঠাৎ কান্নায় ইমতিয়াজের বুকটা ফেটে যাচ্ছে। অথচ ঠান্ডা মেজাজে বসে উনার সব কথা শুনছে সে।

তানজিম পাশে এসে বসে ইমতিয়াজের দিকে তাকায়। ইমতিয়াজ ওকে ইশারায় শান্ত থাকতে বলে।
______________________________________

খুব সকালে কলেজে যেতে তৈরি হচ্ছে সারাহ্। আজ সে সুন্দর করে সেজেগুজে কলেজে যাবে। সাদা-বেগুনী সুতির শাড়ি পড়লো, লম্বা চুলগুলো বেঁধে বেগুনী শিফনের হিজাবটা সুন্দর করে পড়ে নিলো, ঠোঁটের হালকা গোলাপী লিপস্টিকটা ওর ফর্সা মুখে দারুণ মানিয়েছে৷ মুখের লাজুক ভাবটা ব্লাশ দিয়ে আরেকটু বাড়িয়ে নিলো।

আয়নায় শেষ বারের মতো নিজেকে দেখে বেরিয়ে গেল কলেজের উদ্দেশ্যে। অটো ডেকে উঠে পড়লো।

আটটার দিকে কলেজ পৌঁছে গেল। ফোনের স্ক্রিনে নিজেকে শেষবারের মতো দেখে ভিতরে চলে গেল সারাহ্।

টিচার্স রুমে যেতেই একজন ম্যাডাম বলে উঠলো,
“মাশাল্লাহ, সারাহ্। আজ তো খুব সুন্দর লাগছে, কোনো স্পেশাল দিন নাকি?”

সারাহ্ মুচকি হেসে বলল,
“না, তেমন কিছু না। এমনিতেই ইচ্ছা হলো আরকি।”

আরো বেশ কয়েকজন ওর প্রশংসা করলো। করবে না কেন? অন্যদিনের চেয়ে আজ তো ওকে বেশ পরিপাটি আর সুন্দর লাগছে।

ক্লাস শুরু হয়েছে। আহনাফ কোথায় ক্লাস নিবে ও জানে না। তাই সেটা দেখার উদ্দেশ্যে প্রথম পিরিয়ডে ক্লাস না থাকলেও নোট বুকটা নিয়ে সারাহ্ কলেজের বারান্দায় একটু ঘুরে আসলো। সেকেন্ড ইয়ারের এ সেকশনে আহনাফকে ক্লাস নিতে দেখে আবারো টিচার্স রুমে চলে আসলো।

নিজের চেয়ারে বসে নিজের প্রতিই হাসি আসলো তার। মাত্র কালই তো বিয়ের কথা জানলো ও, এখনো তো কিছুই নিশ্চিত নয় অথচ ও আহনাফকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিলো।

ও আজ আহনাফের জন্য সেজেছে এটা ভেবে নিজেই নিজেকে বলল,
“ভেরি ব্যা°ড, সারাহ্।”

দ্বিতীয় পিরিয়ডে ওর ক্লাস আছে। তড়িঘড়ি করে যাওয়ার সময় না চাইতেই আহনাফের সামনে পড়ে গেছে। ও ডানপাশে সরে জায়গা দেয়ার সময় আহনাফও ডানদিকেই সরতে চেয়েছে। দুজনের অজান্তেই এমন মুহূর্তের সৃষ্টি হলো।

আহনাফ একপাশে দাঁড়িয়ে গিয়ে ওকে জায়গা দিয়ে বলল,
“এখন যান।”

সারাহ্ মাথা নেড়ে চলে গেল। বুকের ভেতরটা অসম্ভব ধুকধুক করছে। একবার পেছন ফিরে আহনাফকে দেখলো। অবাক হলো সে, এতোক্ষণ পুরোপুরি মাথানিচু করে রেখেছিল আহনাফ। একবারের জন্যও ওর দিকে তাকায়নি।

সারাহ্ ক্লাসে যেতে যেতে আপন মনে বলল,
“মেয়েদের ষোল আনা সম্মান দিতে জানে। জীবনে তো এমন পুরুষই চাই। আমি অবশ্যই শুক্রবারের আগে ঢাকা যাবো।”
সারাহ্ ক্লাসে চলে আসলো।

আহনাফ টিচার্স রুমে গিয়ে বসলো। ফোন কাঁপছে, পকেট থেকে বের করে আফরোজার নাম্বার দেখে বারান্দায় গিয়ে রিসিভ করলো।

“জি, আপু।”
“তুই আজকেও একটু তাড়াতাড়ি আসিস।”
“কেন?”
“ক্যান্টনমেন্ট যাবো, শপিং করতে। আ…. ওই ছোটখাটো কিছু কেনাকাটা আরকি, জুহাইব যাবে না তাই বললাম।”
“ঠিক আছে আপু, আমি তাড়াতাড়ি আসবো।”
______________________________________

এলার্মঘড়ি বন্ধ করে চোখ খুলল মৃত্তিকা। মামের মৃ°ত্যুর একমাস পর সে আবারো ইতালি চলে এসেছে৷ মামের স্মৃ°তিটুকু নিয়ে পরে রইলো এই বাসায়।

উঠে চোখ কচলে ঘড়িতে দেখলো ভোর পাঁচটা। বাংলাদেশ থেকে ৫ ঘন্টা ধীরে চলা ইতালিতে এখনো সূর্যোদয় হয়নি। ফ্রেশ হয়ে ওযু করে নামাজ পড়ে নিলো। এখন সে একা একা সকালে উঠে নামাজ পড়তে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।

নামাজ শেষে জগিং করতে গেল। বাসার আশেপাশের রাস্তায় জগিং করার সময় দেখা হলো ওর অফিস কলিগ ফিওনার সাথে৷ ফিওনার বাসা ওর বাসার খুব কাছে।

“হাই মিউকো, গুড মর্নিং।”
ফিওনা হাত নেড়ে বলল।

মৃত্তিকাও হাত নাড়লো।
“মর্নিং।”

দুজনে কিছুক্ষণ একসাথে ব্যায়াম করে বাসায় চলে আসলো। বাসার সামনে থাকা ফুলগাছ গুলোতে পানি দেয় সে।

এরপর গোসল করে ফ্রেশ হয়ে, নাস্তা বানাতে রান্নাঘরে গেল। ফ্রেন্স টোস্ট আর কফি খেয়ে রেডি হয়ে নিলো অফিসে যাওয়ার জন্য।

এরমধ্যে ফিওনা এসে ওকে ডাকলো,
“হেই মিউকো, কাম ফাস্ট।”
“জাস্ট আ মিনিট।”

ব্যাগ নিয়ে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেল। দুজনে প্রতিদিন একত্রে অফিসে যায়। মৃত্তিকার নিরবতার জন্য অফিসের অনেকেই ওর সাথে সহজে কথা বলে না। যদিও এতে মৃত্তিকার খুব একটা হেলদুল নেই। কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রেখে নিজের অনুভূতিগুলো লুকানোর চেষ্টায় থাকে সে, এগুলো যে ব°ড্ড পী°ড়া°দা°য়ক।

চলবে…..

(মানসিকভাবে খুব খারাপ অবস্থায় আছি। দোয়ার দরখাস্ত রইলো।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here