মেঘের_শহর #পর্ব_২০ Saji Afroz

0
139

#মেঘের_শহর
#পর্ব_২০
Saji Afroz

.

চারদিকে অজস্র মানুষ। স্টেজের মাঝখানে বসে আছে জিকো ও মোখলেস। কাজী সাহেব তাদের বিয়ের কাজটা সারলেন। এর পরেই একটা ফুলে সাজানো গাড়িতে মোখলেসের সাথে উঠানো হয় জিকো কে। গাড়িতে করে তারা মোখলেসের বাড়িতে পৌঁছালো।
মোখলেসের মা মিষ্টিমুখ করে ঘরে তুলে নিলেন বউ কে।
ঘরে থাকা সকলে নতুন বউ এর মুখ দেখে ছবি তুললো। মোখলেসের মা আদুরে স্বরে জিকো কে বললেন-
বউ মা অনেক ক্লান্ত তাইনা?
যাও মা ওদের সাথে নিজের রুমে যাও।
.
কয়েকজন মেয়ে ও মোখলেসের বোনের সাথে একটা রুমে এল সে। পুরো রুমটা ফুল, বেলুন ও মোমবাতি দিয়ে সাজানো।
মেয়েগুলো জিকোর সাথে রসিকতা শুরু করলো।
বন্ধুবান্ধবদের সাথে হাজির হলো মোখলেস। তারা মোখলেস কে জিকোর পাশে দাঁড় করিয়ে বেরিয়ে গেল। তাদের পিছুপিছু মেয়েগুলোও হাসতে হাসতে বেরুলো।
দ্রুত দরজা বন্ধ করে দিলো মোখলেস। পেছনে ফিরে জিকো কে না দেখে খুঁজতে লাগলো সে। খুঁজতে খুঁজতে তাকে খাটের নিচে পেয়ে হাসতে হাসতে বলল-
তুমি ওখানে কেনো! বেরিয়ে এস।
.
মোখলেসের জোরাজোরি তে বেরিয়ে এল জিকো। তার কপালে জমেছে বিন্দু বিন্দু ঘাম। পকেটে থাকা রুমাল বের করে ঘাম মুছে দিলো মোখলেস। এরপর বলল-
আমি বাঘ না কি ভাল্লুক? আমার ভয়ে খাটের নিচে চলে গেলে?
.
জিকো কোনো কথা বলছে না দেখে মৃদু হেসে মোখলেস বলল-
এখুনি তোমার সব জড়তা কাটিয়ে দিব।
.
ধীরেধীরে জিকোর দিকে এগিয়ে আসতে থাকলো মোখলেস। খুব কাছাকাছি এসে তার ঠোঁটের দিকে মুখটা এগিয়ে আনতেই চিৎকার করে উঠল জিকো।
.
জিকোর চিৎকার শুনে মোখলেস ঘাবড়ে গিয়ে বলল-
কি হয়েছে? কি হয়েছে?
.
জিকো থেমে চারপাশে তাকিয়ে দেখলো, সে তার রান্নাঘরেই দাঁড়িয়ে আছে। তার মানে এতক্ষণ সে ভাবনায় মগ্ন ছিল!
ভাগ্যিস এমন কিছু সত্যি সত্যি ঘটেনি।
সবেমাত্র মোখলেস তাকে প্রপোজ করেছে।
মোখলেস হুট করে এমন একটা কান্ড ঘটিয়ে ফেলবে তা জিকোর মাথায় আসেনি। মোখলেস তাকে পছন্দ করে এটা সে বুঝে। কিন্তু এমন কিছুর আশা করেনি সে।
.
বেসিনে এসে মুখটা ধুয়ে নিলো জিকো। লম্বা কয়েকটা দম ফেলে বলল-
আমি এখন একা থাকতে চাই। প্লিজ আপনি এখন আসুন।
-কিন্তু কোনো জবাব তুমি দিলেনা।
-আমার পক্ষে আপনাকে ভালোবাসা সম্ভব নয়।
-কিন্তু কেনো?
-প্লিজ আমি একা থাকতে চাই।
.
মোখলেস আর দাঁড়ালো না। একবুক কষ্ট নিয়ে বেরিয়ে গেল সে।
.
.
মোখলেস বেরুনোর সাথে সাথে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তার কষ্টে যেন আকাশটাও কেঁদে উঠেছে। জেসিকা তাকে পছন্দ না করুক, সেটাও কি ভালোভাবে বলতে পারতো না?
মোখলেস কে তার এতই অপছন্দ? যার কারণে সে তাকে পছন্দ করে শুনে মুখটায় ফ্যাকাসে হয়ে গেছে তার!
.
রিকশা নিতে ইচ্ছে করলো না মোখলেসের। হেঁটে হেঁটেই বাসায় যাবে ঠিক করলো সে।
বৃষ্টি বাড়তে লাগলো। হাঁটতে হাঁটতে বেশ কয়েকবার রাস্তায় থাকা পাথরের সাথে ধাক্কা খেয়েছে সে। আরেকটু হলে পা পিছলে নর্দমায়ও পড়ে যেত।
যখন বাড়ির দরজার সামনে এল সে তখন আরো বৃষ্টি বেড়ে গেল।
দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে মায়ের দেখা পেল। মোখলেসের চুল বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। ঠান্ডায় সারা শরীর কাঁপছে। তা দেখে তার মা চেঁচিয়ে বললেন-
ভিজে এসেছিস কেনো? রাস্তায় গাড়িঘোড়া নাই?
.
সে কথার জবাব না দিয়ে সে বলল-
আমি ভেজা কাপড় পাল্টে আসছি।
.
মোখলেস ভেজা কাপড় বদলে রান্নাঘরে এল। শাপলা চুলোর পাশে দাঁড়িয়ে কি যেন রান্না করছে। তার পাশে পিঁড়ির উপরে বসে মোখলেসের মা কথা বলছেন।
মোখলেস কে দেখে তিনি কিছু লাগবে কি না জিজ্ঞাসা করলেন। সে এক কাপ চা চাইলে তিনি বললেন-
তুই নিজের ঘরে গিয়ে বস। শাপলা চা নিয়ে যাবে।
.
রুমে এসে জানালা টা সামান্য খুললো মোখলেস। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। জোরে জোরে বাতাসও বইতে শুরু করেছে। মনে হচ্ছে আজ ঝড় হবে। প্রচন্ড ঝড়!
.
.
.
বাসায় বসে থাকতে আর ভালো লাগছে না জিকোর। নানারকম চিন্তায় অস্থির হয়ে আছে তার মন টা। মন ভালো করার জন্য ছাদে যাবে ভাবলো সে। যদিও
বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু তার বৃষ্টি বিলাস করতেও আপত্তি নেই এখন।
ধীরপায়ে ছাদে এগিয়ে গেল সে। ছাদে পা রাখতেই একটা ফুটবল তার গায়ে এসে পড়ল। জিকো ব্যাথায় ককিয়ে উঠলে সামনে থাকা নবীনা বলল-
ওহ সরি! তোমাকে খেয়াল করিনি আমি। আসলে আমরা ফুটবল খেলছিলাম। বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলার মজাটায় আলাদা। তুমি খেলবে?
-আমি দেখি। তোমরা খেলো।
.
জিকো ফুটবল টা পা দিয়েই নবীনার দিকে ছুড়ে মারলো। এরপর ছাদের এক পাশে এসে দাঁড়ালো সে।
নবীনা কয়েকজন মেয়ের সাথে বৃষ্টি তে ভিজতে ভিজতে ফুটবল খেলছে।
ভিজে একাকার হয়ে গেছে সে। ভেজা চুলে খোপা করে আছে নবীনা। তাকে দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে জিকোর।
কিন্তু এমন টা কেনো হচ্ছে? তার কি মোখলেস কে ভালো লাগাই উচিত না?
.
.
.
বৃষ্টি দেখে মেঘের মনের অস্থিরতা বেড়ে গেছে। বৃষ্টি তার প্রিয়। কিন্তু আজ তার ভালো লাগছে না। এই বৃষ্টির কারণে যদি হুরায়রা বাড়ি ফিরতে না পারে!
ইশ! কালই দেখা হবে তার হুরায়রার সাথে। কখন যে কালটা আসবে!
.
.
.

সকালে ঘুম ভেঙছে জিকোর মোখলেসের ফোন পেয়ে। ঘুমঘুম চোখে ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে শুনলো-
সারারাত ঘুম হয়নি আমার। বিশ্বাস করো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
.
হাই তুলতে তুলতে উঠে বসলো জিকো। এক হাত দিয়ে ডান চোখ টা কচলাতে কচলাতে বলল-
আমার সম্পর্কে কতটুকু জানেন আপনি?
-যা জানি তাতেই যথেষ্ট।
-কিন্তু আমি জানি আপনার পরিবার আমার ভাই কে পছন্দ করে না।
-তুমি কি করে জানলে?
-যেকোনো ভাবেই জানি।
-নিশ্চয় জিকো বলেছে?
-হু।
-তুমি এই চিন্তা করেই বুঝি কাল কিছু জানাও নি? তবে শুনো আমি সবটা সামলে নিব। রাজরানী করে রাখব তোমাকে।
.
শেষের লাইন টা শুনে জিকো ঘোরে চলে গেল। মোখলেসের সাথে বিয়ে হলে সে সুখে থাকবে। নিজের সুখের জন্য কি সে এই বিয়েতে রাজি হয়ে যাবে?
কিন্তু মোখলেস সব সত্যি টা জানলে কি হবে? কখনো তাকে মেনে নিবে না সে। এখন তার কি করা উচিত? মোখলেস কে সব সত্যি টা জানানো? না কি গোপণ করে আগে বিয়েটা করে নেওয়া?
এসব ভেবে নিজের উপরে রাগ হলো তার। মোখলেস কে বিয়ে করার কথা কিভাবে ভাবতে পারে সে!
-কিছু তো বলো জেসিকা!
.
আমি জেসিকা নয়। আমি জিকো।
চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করেও বলতে পারেনি জিকো।
পরে কথা বলবে বলে লাইন কেটে দিলো সে। এরপর বাইরে বেরিয়ে গেল।
কাল ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও হলো না। তবে ভালোই বৃষ্টি হয়েছে।
যার কারণে রাস্তাঘাট কাঁদায় ভরে আছে। জিকো সেই পার্কটায় আসলো। যেখানে আগেও প্রায় আসতো সে।
তার প্রিয় জায়গা টা খালি আছে। মনেহয় এই জায়গা টা তার জন্যই সবসময় খালি থাকে।
সেখানে এসে বসলো জিকো। কিছুক্ষণ নীরব থেকে শব্দ করে কেঁদে উঠল সে। এখন তার কাঁদতে বড় ইচ্ছে করছে। আচমকা এক পুরুষালী কণ্ঠস্বর তার কানে এল-
কাঁদছেন কেনো এভাবে?
.
সামনে তাকিয়ে এক সুদর্শন পুরুষ কে দেখে চোখের পানি মুছতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল সে। ছেলেটি পকেট থেকে টিস্যু বের করে জিকোর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল-
নিন এটা।
.
টিস্যু নিয়ে চোখের পানি মুছতে লাগলো জিকো।
আড়চোখে ছেলেটির দিকে তাকালো সে। বেশ হ্যান্ডসাম ছেলেটি। এর আগে কখনো তাকে দেখেছে বলে মনে হচ্ছে না।
জিকো তাকে বসতে বললে একটু দুরত্ব বজায় রেখে সে বসলো।
ছেলেটি জিকোর নাম জানতে চাইলে সে অস্পষ্ট গলায় বলল-
জেসিকা।
.
মৃদু হেসে ছেলেটি বলল-
মনে হচ্ছে এটা আপনার নকল নাম।
.
কথাটি শুনে অবাক হয়ে যায় জিকো। সে বিস্ময় ভরা চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলো-
আপনি কিভাবে বুঝলেন?
-সেটা নাহয় পরে বলছি। আপনি বলুন, কাঁদছিলেন কেনো?
.
নিজের অসহায়ত্বের কথা ডাক্তার ছাড়া এখনো কাউকে বলেনি জিকো। কিন্তু আজ তার খুব করে এই ছেলেটি কে সব বলতে ইচ্ছে করছে। তাতে যদি মনের ভেতরে জমে থাকা কষ্টগুলো একটু হালকা হয়!

.
ছেলেটি বলল-
ইচ্ছে না হলে বলার প্রয়োজন নেই।
.
ছেলেটির দিকে তাকিয়ে জিকো এক নাগাড়েই বলল-
আমাকে দেখলে কি মনেহয় আমি ছেলে?
.
ছেলেটি একটু চমকালেও বিষয় টা হেসে উড়িয়ে দিলো না। না সূচকভাবে মাথা নেড়ে বলল-
নাহ।
-কিন্তু আমি ছেলে।
-তবে মেয়ের মতো সেজে ঘুরছেন কেনো?
-সেজে ঘুরছি না।
-তবে?
-আমি জিকো। একরাতের ব্যবধানে মেয়ে হয়ে গেছি।
.
ছেলেটি একটু ভেবে বলল-
এইরকম অনেক শুনেছি আমি। নিজ চোখে দেখেওছি।
-তার মানে আপনি বলছেন এইরকম টা হয়ে থাকে?
-হ্যাঁ।
.
জিকোর লম্বা চুলগুলো ছেলেটির নজর এড়ালো না। সে জিজ্ঞাসা করলো-
এই ঘটনা ঘটেছে কি খুব বেশি দেরী হচ্ছে?
-এক মাসও হয়নি।
-তবে আপনার চুল এতটা লম্বা হলো কিভাবে?
-জানিনা। একরাতেই হয়েছে।
-তবে এটা অস্বাভাবিক ঘটনা।
-এইজন্যই বোধহয় ডাক্তার রা আমার চিকিৎসা করাতে চায় না। পাগল ভাবে আমাকে। মানসিক ডাক্তারের কাছে যেতে বলে। তবে বিশ্বাস করুন, আমি মিথ্যে বলছি না।
-আমি বুঝতে পেরেছি।
-আপনি আমাকে এত তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করলেন? মনেমনে নিশ্চয় পাগল ভাবছেন আমাকে?
.
জিকোর কথা শুনে হেসে ফেলল ছেলেটি। জিকো তার হাসির দিকে তাকিয়ে আছে৷ ছেলেটি থেমে বলল-
কারণ আমি একজন সাইকিয়াট্রিস্ট। আমার নাম পরশ। এই আনন্দে নগরে এসেছি ঘুরতে। এসেই একজন পেসেন্ট পেয়ে যাব ভাবিনি। আপনার কথা শুনেই আমি বুঝতে পারছি আপনি মিথ্যে বলছেন না।
.
জিকো ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে বলল-
পাগলের ডাক্তারের কাছে আসতে না চেয়েও ঠিকই চলে এলাম।
.
.
.

মিন্নী, অন্তরা আহম্মেদ ও মেঘ বসে আছে জাফর শেখের সামনে। আজ জাফর শেখ বেশ খুশি। যেটা তার চেহারায় দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
তিনি মেঘের উদ্দেশ্যে বললেন-
তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
.
মেঘ কে সাথে নিয়ে ড্রয়িংরুমের সাথে লাগানো বারান্দা টায় এলেন তিনি। মুখটা ফ্যাকাসে করে বললেন-
একটা সত্যি তোমার জানা উচিত৷ যদিও না জানালেও পারতাম। কিন্তু আমি চাই তুমি সত্যি টা জানো।
-বলুন।
-হুরায়রার একজনের সাথে সম্পর্ক ছিল। সে মারা গেছে বছর দুয়েক আগেই। যার কারণে সে অনেকটা চুপচাপ হয়ে গেছে। নাহলে মেয়েটা আমার হাসিখুশি ছিল। এরপর থেকেই সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। বিয়ে দেয়ার চেষ্টা আমি কম করিনি। আমি চেয়েছি এমন একজন কে সে পাক, যার সাথে আনন্দে থাকবে। কিন্তু সে রাজিই হয়নি। নিজের মতোই একা থাকতো। তোমার ছবি দেখে মেয়েটা আমার হ্যাঁ বলেছে। তুমি তো ওকে ভালোবাসো। পারবে না ওকে ভালো রাখতে?
.
সবটা শুনে হুরায়রার জন্য ভালোবাসা আরো বেড়ে গেল মেঘের৷ হাসিমুখে বলল-
অবশ্যই পারব।
.
দুজনে ড্রয়িংরুমে ফিরে এল। শাড়ি পরিহিতা মাথায় লম্বা ঘোমটা টানা এক রমনীকে অন্তরা আহম্মেদের পাশে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। মেঘ তার চেহারা স্পষ্ট দেখতে না পারলেও বুঝতে পেরেছে হুরায়রা এসেছে।
জাফর শেখও বলে উঠলেন-
এই তো আমার হুর চলে এসেছে।
.
মেঘ বিড়বিড়িয়ে বলল-
এখন থেকে ও আমারো হুর।
.
হুরায়রার পাশে আনা হলো মেঘ কে। কেউ কারো দিকে লজ্জায় তাকাতেও পারছে না। দুজনেই নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।
অন্তরা আহম্মেদ বললেন-
শুভ কাজটা সেরে ফেলা যাক?
.
জাফর শেখ সম্মতি জানাতেই তিনি ব্যাগ থেকে আন্টি টা বের করে মেঘের হাতে দিয়ে বললেন-
ধর এটা পরিয়ে দে।
.
হুরায়রার পাশে এসে মিন্নী তাকে মেঘের দিকে ঘুরিয়ে বলল-
ভাইয়া তুমিও তাকাও এদিকে।
.
মেঘ ফিরে তাকালো হুরায়রার দিকে। মিন্নীর কথায় হুরায়রা হাত টা বাড়িয়ে দিলো।
মেঘ তার দিকে হাসিমুখে তাকালো। কিন্তু সাথে সাথেই তার মুখ থেকে হাসি টা গায়েব হয়ে গেল। মেয়েটি কে! এ তো তার হুরায়রা নয়!
তারা কি মজা করছে তার সাথে?
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here