ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে এসে রাস্তায় উদ্দেশ্যহীনভাবে এলোপাতাড়ি হাঁটতে থাকলো জিকো। একসময় ক্লান্ত হয়ে একটা পার্কের মধ্যে ঢুকে পড়লো সে। বৃষ্টি হবার কারণে মানুষেরা আজ এদিকে আসছে না। তাই পার্কটা আজ বেশ ফাঁকা। বসার জন্য সে জায়গা খুঁজতে থাকলো। সবখানেই ভিজে একাকার হয়ে আছে। চোখ যায় তার একটা কংক্রিটের ছাতার দিকে। সেদিকে এগিয়ে গিয়ে তার নিচে ধপাস করে বসে পড়লো জিকো।
বৃষ্টি থেমেছে কিছুক্ষণ হলো। আবহাওয়া এখনো ঠান্ডা। তবুও জিকো দরদর করে ঘামছে। তার পরিহিত পাঞ্জাবি তে ঘামের দাগ লেগে আছে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামও জমেছে। পাঞ্জাবির হাতা দিয়ে কপালের ঘামটা মুছে নিলো সে। এরপর ছাতাটার গায়ে হেলান দিয়ে চোখটা বুজে নেয়৷ একটু ঘুমের তার ভীষণ প্রয়োজন। যদি ঘুম থেকে উঠে দেখে সবটা স্বপ্ন!
.
.
বিকেলে ছাদে হাঁটাহাঁটি করা সাইয়ারার ছোটবেলার অভ্যাস। আজও সে ছাদে হাঁটছে। সাথে কানে এয়ারফোন গুজে গান শুনছে সে।
তার আকাশ দেখতে ভালো লাগে। মেঘলা আকাশ তার ভীষণ প্রিয়। আজও আকাশ মেঘলা। গাছ-গাছালির ফাঁকে যতদূর দৃষ্টি যায়, দেখা যাচ্ছে মেঘ আর মেঘ!
আকাশের দিক থেকে দৃষ্টিটা সরিয়ে আশেপাশে তাকায় সাইয়ারা। পাশের বাসার ছাদে মেঘকে দেখতে পায় সে। আকাশের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মেঘ।
কান থেকে এয়ারফোনটা খুলে সাইয়ারা বলল-
আমার খুব ভালো লাগে মেঘ কে।
.
বাড়ি দু’টি পাশাপাশি হবার কারণে এক ছাদ থেকে সহজেই অন্য ছাদে পার হওয়া যায়। প্রায় সময় সাইয়ারা পার হয়ে ছাদে শুকোতে দেওয়া, অন্তরা আহম্মেদের আচার চুরি করে খেয়ে আসে। পরে অবশ্য তা জানিয়ে দেয়। তবুও চুরি করে খাওয়ার মজাই যেন আলাদা!
.
সাইয়ারার কথা শুনে হকচকিয়ে গেল মেঘ। সে বলল-
মানে?
-কি মনে করেছেন? আপনাকে ভালো লাগে বলেছি? আমার আকাশের মেঘ দেখতে ভালো লাগে বললাম।
.
মেঘ হেসে বলল-
ও তাই বলো!
.
সাইয়ারা রেলিং পার হয়ে মেঘের কাছে আসলো।
মেঘ বলল-
আরে আমিই নাহয় পার হতাম!
-আমার অভ্যেস। তা কেমন কাটছে দিন?
-ভালোই।
-এতদিন অন্য শহরে ছিলেন, এখন এখানে এসে মিস করছেন না ওই শহর কে?
-মিস করতাম নিজের শহর কে। তবে ওই শহরের জন্য যে মায়া নেই এমনটাও নয়।
-ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি? দেশের বাইরে যাবেন?
-মা তোমাকে বলেছে কি, আমাকে দেশের বাইরে পাঠাতে আগ্রহী তিনি?
-হ্যাঁ। কত ব্রিলিয়ান্ট আপনি! আর আমার এই ভার্সিটিতে চান্স পেতেই খবর হয়ে গেছে।
-কেমন লাগে আনন্দ নগর ভার্সিটি?
-ভালোই। তবে আমার না এত পড়াশোনা করার ইচ্ছে নেই।
-কেনো?
-টুকটাক করলেই তো হয়! নিজের বাচ্চা পড়ানো যায় মতো। আমার ভবিষ্যতে চাকরি করার ইচ্ছে নেই। বাবার জন্যই পড়তে হচ্ছে।
.
সাইয়ারার কথা শুনে হেসে ফেললো মেঘ।
সাইয়ারা বলল-
ফ্রি আছেন?
-আছি। কেনো?
-আমাকে চটপটি খাওয়াবেন আপনি।
-এখন?
-হ্যাঁ। পাশেই একটা ছোটখাটো রেস্টুরেন্ট আছে। আমি তো প্রতিদিন খাই। এক প্লেট মাত্র ত্রিশ টাকা।
.
সাইয়ারার দিকে ড্যাবডেবে চোখে তাকিয়ে আছে মেঘ। সে হাত নেড়ে বলল-
হ্যালো? ওমন ভাবে কি দেখছেন? খাওয়ানোর কথা বলতেই ভয় পেয়ে গেলেন তো? খাওয়াতে তো আপনাকে হবেই।
.
এক প্রকার জোর করেই মেঘ কে নিয়ে বাড়ির বাইরে এল সাইয়ারা। দুজনে কথা বলতে বলতে রাস্তায় হাঁটতে লাগলো। হঠাৎ মেঘ তার এলাকার এক বন্ধুকে দেখে ডাকলো। যার নাম নোবেল। সে মেঘকে দেখে হাসলেও, সাইয়ারা কে দেখে মুখটা ফ্যাকাসে করে ফেললো। এক ধরনের ঘৃণার চোখে তাকিয়ে থাকলো তার দিকে। সাইয়ারা কে নিয়ে মেঘ তার পাশে এগিয়ে আসলো। দুজনে কুশল বিনিময় করে একে অপরের হালচাল জানতে চাইলো।
সাইয়ারা মুখ ঘুরিয়ে তাকিয়ে রইল অন্যদিকে।
মেঘের কানের কাছে নোবেল তার মুখটা এনে ফিসফিস করে বলল-
এত বিশ্রি একটা মেয়ের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছিস কেনো তুই?
.
সাইয়ারা কে বিশ্রি বলেছে শুনে অনেকখানি অবাক হলো মেঘ। তার গায়ের রঙ শ্যামবর্ণের হলে কি হবে? চেহারাটা ভারী মিষ্টি। চুলগুলো লম্বা তবে কোঁকড়া। হাসিখুশি প্রাণবন্ত একটা মেয়ে সাইয়ারা। অতি সুন্দরী তাকে বলা যায় না, কিন্তু বিশ্রিও বলা যায় না!
মেঘ ধীর কণ্ঠে বলল, এসব কি বলছে সে। মেয়েটি শুনলেও বা কি মনে করবে!
.
নোবেল জানায়, বিশ্রি কে বিশ্রি না বলে কি করবে!
মেঘ বুঝতে পারলো না কোনদিকে এই মেয়েটিকে তার বিশ্রি মনে হচ্ছে! তাই তাকে এই কথাটি সে জিজ্ঞাসা করলো।
সে বলল-
কালো কুচকুচে, দাঁত গুলো হলুদ, উপরের দুটো দাঁত তো নেইও, মাথায় কোনো চুল নেই এমন একটা মেয়ে বিশ্রি নয়! এটা কিভাবে বলছিস তুই?
.
নোবেলের কথা শুনে বিস্ময়ের শেষ পর্যায়ে চলে গেল মেঘ। সে তার হাত ধরে তাকে একটু দূরে সরিয়ে এনে বলল-
তোর মাথা গেছে নিশ্চয়! মেয়েটি মোটেও ওমন নয়। কত মিষ্টি একটা মেয়ের বর্ণনা তুই এত বাজেভাবে দিলি। সমস্যা কি তোর?
.
এবার নোবেল চেঁচিয়ে বলে উঠল-
কিসব বলছিস মেঘ? আমি ভেবেই পাচ্ছি না ওমন কুৎসিত একটা মেয়েকে তুই মিষ্টি কিভাবে বলতে পারছিস!
.
সাইয়ারার কানে কথাটি যেতেই সেদিকে দ্রুত হেঁটে গেল সে। তাকে দেখে নোবেল কে যেতে বলল মেঘ। কিন্তু সাইয়ারা তাকে ছাড়ার পাত্রী নয়। সে তাকে একের পর একের পর নানারকম প্রশ্ন করে যাচ্ছে।
সে কোন দিক থেকে দেখতে কুৎসিত, কেনো এমন বলল, তার কি সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি।
একপর্যায়ে দুজন বেশ কথা কাটাকাটি করতে শুরু করলো। নোবেল সেই তখন থেকেই বলে যাচ্ছে, কুৎসিত কে সে কুৎসিত ই বলবে।
.
এবার সাইয়ারা বেশ রেগে গেল। পায়ে থাকা স্যান্ডেল টা খুলতে লাগলো সে। তা দেখে নোবেল দৌড় দিলো। সাইয়ারা স্যান্ডেল হাতে তার পিছু নিলো।
মেঘও ছুটতে লাগলো তাদের পেছনে। মেঘ হোচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে সাইয়ারা থেমে যায়। সে ছুটে মেঘের কাছে আসে। কোথাও ব্যথা পেয়েছে কি না জানতে চায়। মেঘ হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে আগে উঠাতে বলে তাকে। মেঘ কে উঠতে সাহায্য করলো সাইয়ারা। এরপর পেছনে ফিরে বলল-
চলে গেল শয়তান টা!
.
এদিকে রাস্তায় কাদা থাকার কারণে মেঘের পোশাকে কাদা লেগে গেছে। সে পকেট থেকে রুমাল বের করে মুছতে মুছতে বলল-
বাদ দাও এসব। এখন স্যান্ডেল টা হাত থেকে সরাও। পায়ের জিনিস পায়েই মানায়।
.
সাইয়ারা স্যান্ডেল পায়ে পরে নিলো। আশেপাশে মানুষ জড়ো হয়ে গেছে। তারা জানতে চাইলো, কোনো সমস্যা হয়েছে কি না।
সাইয়ারা সকলের উদ্দেশ্যে জানতে চাইলো, সে কি দেখতে কুৎসিত কি না। সকলে একইসাথে না বলল। একটা ছেলে তো সুযোগ পেয়ে বলেই ফেলল, সাইয়ারা কে তার ভীষণ ভালো লাগে। কতদিন যাবৎ চেষ্টা করছে মনের কথা জানাতে।
.
এসব দেখে হাসি থামাতে পারছে না মেঘ। সে সাইয়ারার হাত ধরে তাকে টানতে টানতে সেখান থেকে সরে আসে।
সাইয়ারা বলল-
দেখেছেন? সকলে আমাকে সুন্দরী বলছে। আর ওই বাজে ছেলেটা আমাকে কুৎসিত বলল! বিশ্বাস করুন, তার সাথে কোনো শত্রুতাও নেই আমার।
-কে কি বলল তাকে কি এসে যায়? তুমি তো জানোই তুমি কেমন।
-আপনি বলুন। কেমন দেখতে আমি?
-অনেক মিষ্টি একটা মেয়ে। এবার চলো চটপটি খেতে। যদিও আমার জামা ময়লা হয়ে আছে, তবুও তোমার জন্য যাচ্ছি।
.
মেঘের কথা শুনে সাইয়ারার মনে আনন্দের দোলা দিয়ে উঠল। অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করছে তার মনে। মেঘের সঙ্গ পেয়ে এত বেশি ভালো কেনো লাগছে তার!
.
.
চুলোয় রান্না বসিয়েছে হুরায়রা। রাতের ও কাল দুপুরের রান্না সেরে রাখবে সে। প্রতিদিন এমনটায় করে।
চুলোর আঁচটা কমিয়ে নিজের রুমে এল সে। জানালার পাশে এসে বাইরের প্রকৃতি উপভোগ করতে লাগলো। ঝিরিঝিরি বাতাস বইছে বাইরে। ইচ্ছে করছে ছাদে উঠে হাঁটতে। চুলোয় রান্না থাকায় ইচ্ছেটা দমিয়ে রাখলো সে। রান্না শেষ হলেই না হয় যাওয়া যাবে।
জানালার সাথে আঁটকে রাখা ছাতাটির দিকে নজর পড়লো তার। মনে পড়ে গেল সেই ছেলেটির কথা। যে তাকে ছাতাটি দিয়েছিল। লম্বাচওড়া, ফর্সা, গোলাপি ঠোঁটের অধিকারী ছেলেটিকে দেখে বেশ ভদ্রই মনে হয়েছে তার। তার নামটি জানা হলো না। মাঝেমাঝে কি যে করে না সে! একটা ছেলে বিপদের সময়ে সাহায্য করতে এল, ধন্যবাদ তো দিলোই না নামটাও জিজ্ঞাসা করলো না সে। এটা একেবারেই ঠিক হয়নি।
এসব ভেবে নিজেই অবাক হলো হুরায়রা। সে আগে কখনো কোনো ছেলে কে নিয়ে এত ভাবেনি। এই ছেলেটিকে নিয়ে কেনো ভাবছে?
নাহ, তাকে নিয়ে ভাবারও কিছু নেই। কালই ছাতাটি ফিরিয়ে দিবে সে।
পরক্ষণে হুরায়রার মনে পড়লো, কাল তার ক্লাস নেই। মনে পড়তেই নিজের উপরে রাগ হতে লাগলো। বন্ধের দিনে ছাতা দেয়ার জন্য তার বেরুতে হবে। এর চেয়ে বিরক্তিকর আর কি হতে পারে!
.
.
মেঘ এক বাটি চটপটি খেতে খেতে বেশ কয়েক বাটি খেয়ে ফেলেছে সাইয়ারা।
মেঘ নিজের পকেটে হাত দিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে, কত টাকা আছে এখন। হুট করে বেরিয়েছে সে। টাকা নেওয়া হয়নি। সাইয়ারা বলেছে এক প্লেট ত্রিশ টাকা। একশো টাকা তো তার পকেটে থাকবেই, এই ভেবে বের হয়েছে সে। কিন্তু এই মেয়ে এক বসাতেই যে এত বাটি চটপটি খাবে, এটা তার জানা ছিল না।
সাইয়ারার ডাকে মেঘ বলল-
হু বলো?
-মজা না চটপটি?
-হ্যাঁ।
-আজকালের ছেলে রা মেয়েদের মন একেবারেই বুঝে না। কিসব দিয়ে প্রপোজ করতে আসে।
-কিসব?
-এই যে ফুল, কার্ড, চকোলেট।
-আমি তো জানি এসবেই মেয়েরা ইমপ্রেস হয়।
-অন্যান্য মেয়েরা হতে পারে। তবে আমি হই না।
-তাই! তা কি দিলে তুমি রাজি হবে?
-এক বাটি চটপটি।
.
সাইয়ারার কথা শুনে না হেসে পারলো না মেঘ। মেঘের হাসি মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে, সাইয়ারার ঠোঁটের কোণেও হাসি ফুটে উঠলো। মেঘ জানতে চাইলো, সে আর চটপটি খাবে কি না। সাইয়ারা না বললে তারা উঠে পড়ে। মেঘ পকেটে হাত দিলে সাইয়ারা বলল-
টাকা দিতে হবে না।
-কেনো?
-তাদের কাছে টাকা পাই আমি। আগের বার যখন এসেছিলাম ভাংতি ছিল না বলে দিতে পারে নি।
-কিন্তু তুমি যে আমাকে খাওয়াতে বললে?
-সেটা তো পরীক্ষা করে দেখেছি, আপনি কিপটে কি না।
.
কথাটি বলে বেরিয়ে পড়লো সাইয়ারা। মৃদু হেসে তার পিছু নিলো মেঘ।
.
.
কারো ডাকে ঘুমটা ভেঙে গেল জিকোর। চোখজোড়া কচলাতে কচলাতে সামনে থাকা ব্যক্তিটির দিকে দৃষ্টি দিলো সে। মাঝবয়সী একটি লোক ভ্রু জোড়া কুচকে দাঁড়িয়ে আছে। জিকো জানতে চাইলো সে কি বলতে চায়ছে। লোকটি বলল-
সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে মা৷ বাড়ি চলে যাও। এই সময়ে এখানে একা একা ঘুমিয়ে থাকা নিরাপদ নয়।
.
লোকটির মুখে মা ডাক শুনে সব মনে পড়ে গেল জিকোর। অন্ধকার নামেনি এখনো। কিন্তু তার চারপাশ টা অন্ধকার মনে হচ্ছে। তার মানে সে স্বপ্ন দেখেনি!এসব সত্যি। এবং সে সত্যিই মেয়ে হয়ে গেছে!
নিশ্চুপ জিকো কে দেখে লোকটি আবারো বলল-
তোমাকে কেমন যেন লাগছে। সব ঠিক আছে কি?
-আমাকে দেখে কি আপনার মেয়ে মনে হচ্ছে? আমি তো ছেলে।
.
লোকটি ঠাট্টার সুরে হেসে বলল-
আমাকে দেখে কি তোমার পাগল মনে হচ্ছে?
.
কথা বাড়ালো না জিকো। উঠে পড়লো সে। এভাবে বসে থাকলে চলবে না। ডাক্তার ইসরাক তার সমস্যার কোনো সমাধান করতে পারেনি তো কি হয়েছে, অন্য কোনো ডাক্তার নিশ্চয় পারবে।
.
.
বাড়ির সামনে চলে আসলো সাইয়ারা ও মেঘ।
মেঘকে ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় জানিয়ে বাড়িতে ঢুকে গেল সাইয়ারা।
মেঘ ঢুকতে যাবে ঠিক তখনি পাড়ার এক বড় ভাই এর ডাকে থেমে গেল সে।
বড় ভাইটি তার পোশাকে কাদা লেগে আছে কেনো জানতে চাইলে মেঘ বলল-
সে অনেক কথা। তোমার কি অবস্থা বলো?
.
তার দিনকাল কেমন কাটছে তা বলতে থাকলো সে। কথার একপর্যায়ে জানলো, তাকে একটি কুৎসিত চেহারার মেয়ে বিরক্ত করছে অনেকদিন যাবত।
তা শুনে মেঘ বলল-
আল্লাহ এর সৃষ্টি কখনো কুৎসিত হয় না। তাকে তোমার পছন্দ নয়। এটা বলতে পারো।
.
বড় ভাইটি জানায়, মেয়েটিকে দেখলে সেও কুৎসিত ই বলতো। কালো কুচকুচে দেখতে, হলুদ হলুদ দাঁত, কয়েকটি দাঁত নেই, মাথায় চুলও নেই খুবই বাজে অবস্থা !
.
মেঘ বলল-
মেয়েটি তোমায় ভালোবাসে?
-সে বলছে আমি তার পেছনে ঘুরেছি অনেকবার। সে আমার প্রেমে পড়ে গেছে। তাই এখন আমার পেছনে ঘুরছে। কিন্তু এমন একটা মেয়ের পেছনে আমি কেনো ঘুরব বল ভাই?
-চিন্তার বিষয়।
-যাক, আমি আসি এখন। কাজ আছে একটা।
.
সে চলে যেতেই কিছুক্ষণ আগের ঘটনা মনে পড়ে গেল মেঘের। একটু আগেই তো সাইয়ারা কে নোবেল কুৎসিত বলে গেল। ঠিক এভাবেই তার বর্ণনা দিয়েছে সে।
দুইজনই কি একই মেয়ের বর্ণনা দিলো? কিন্তু কেনো? সাইয়ারা তো দেখতে মোটেও কুৎসিত নয়।
তাহলে তারা এমন বলছে কেনো!
.
চলবে
.
#পর্ব_২
#মেঘের_শহর
Saji Afroz
.
পর্ব_১
https://www.facebook.com/778643512491017/posts/1113172589038106/?app=fbl
.
#পর্ব_৩
https://www.facebook.com/778643512491017/posts/1117007265321305/