#তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
#পর্বঃ১৬
প্রীতিরা ইয়ানাদের বাসায় এসেই প্রীতি এক ছুটে ইয়ানার রুমে যেয়ে ইয়ানাকে ঝাপটে ধরলো।
ইয়ানা আর ইমা বসে বসে টুকিটাকি কথা বলছিলো তখন হঠাৎ এমন করে কেউ ঝাপটে ধরাতে ইয়ানা ভয় পেয়ে গেলো। নিজেকে ধাতস্থ করে দেখলো প্রীতি। প্রীতিকে দেখে ইয়ানা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো কিন্তু কিছু বললো না।
প্রীতি ইয়ানাকে জড়িয়ে ধরে উৎফুল্ল মেজাজে বললো জানু জানু জানু আজ আমি অনেক অনেক খুশি। তুই আমার ভাইর বউ হবি উফফ ভাবতেই কি যে ভালো লাগছে। আমরা এক সাথে থাকতে পারবো ঘুরতে পারবো। জানিস আমার কতো স্বপ্ন ছিলো তোকে পারফি ভাইয়ার বউ করে নিবো কিন্তু ভয়ে কাউকে বলি নি। এখন দেখ আল্লাহ আমার ইচ্ছেটা পূরণ করে দিয়েছে। আজ আমি অনেক অনেক হ্যাপি।
প্রীতি এক ধাপ বকবক করার পর ও ইয়ানার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ইয়ানাকে ছেড়ে ওর দিকে তাকাতে দেখলো ইয়ানার ভিতর কোনো ভাবান্তর নেই। নির্বিকার ভাবে বসে আছে। হয়তো ইয়ানার মনের অবস্থাটা কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে তাই ইয়ানার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে ইয়ানার দু গালে হাত রেখে বললো জানু এমন করে থাকিস না প্লিজ। তোর মন খারাপ দেখলে আমার খুব কষ্ট লাগে। যা হয়েছে সব ভুলে যা আজ থেকে নতুন করে জীবনটা শুরু কর। দেখবি তোর এই নতুন জীবনটা আমরা সবাই মিলে রাঙিয়ে তুলবো। কোনো কষ্ট পেতে দিবো না আমরা সবাই তোর পাশে আছি।
ইয়ানা ছলছল চোখে তাকালো প্রীতির দিকে। কোনো কিছু না বলে প্রীতিকে ঝাপটে ধরে ফুপিয়ে কান্না করে দিলো।
তা দেখে ইমা বলে উঠলো এই মেয়েটা আবার কান্না করছে। এতো সময় আমি কাকে কি বুঝালাম? প্রীতি এবার তুই সামলা এটাকে আমি যাই সবার সাথে দেখা করে আসি এ বলে চলে গেলো।
প্রীতি ইয়ানাকে বললো আর কাঁদিস না জানু এবার একটু হাস আর নাহলে কিন্তু আমিও কান্না করে দিবো। আর জানিস এইতো আমি কান্না শুরু করলে পুরো বাড়ি মাথায় তুলবো তখন নিজের কান্না ভুলে আমার পিছে পড়ে থাকবি তখন আমিও তোকে পাত্তা দিবো না হুহ।
প্রীতির কথায় ইয়ানা কান্নার মাঝেও হেসে ফেললো তা দেখে প্রীতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো অবশেষে হাসাতে পাড়লো তো।
তখন রুমে প্রবেশ করলো পিয়াসা আর শাহানা বেগম। পিয়াসা বেগম রুমে প্রবেশ করতে করতে বললো ইয়ানা মার চোখে পানি কেনো?
পিয়াসা আর শাহানা বেগমকে আসতে দেখে ইয়ানা নিজেকে সামলে প্রীতিকে ছেড়ে আস্তে করে সালাম দিলো।
তারা সালামের উত্তর দিয়ে দুজন দু পাশে বসলো ইয়ানার। শাহানা বেগম বললো দেখো মেয়ের কান্ড কান্না করতে করতে নিজের কি হাল করেছে।
পিয়াসা বেগম বললো কান্না করে না মামনী সব ঠিক হয়ে যাবে। আজকের পর থেকে তোর আর কোনো কষ্ট থাকবে না। আমি তোকে আমার পুত্রবধূর না নিজের মেয়ে করে নিতে এসেছি বুঝেছিস? তোর এই মা তোকে কখনো কষ্ট পেতে দিবে না এইটুকু ভরসা করতে পারিস।
ইয়ানা ছলছল চোখে তাকালো তাদের দিকে। এই মানুষ গুলো কতো ভালো কতটা আপনা ভাবে ওঁকে ভাবতেই চোখ ভোরে উঠছে।
ইয়ানার চোখের পানি মুছে দিয়ে শাহানা বেগম বললো হয়েছে আর কান্না করতে হবে না এবার একটু হাসো। তারপর সবাই মিলে ইয়ানাকে বিভিন্ন কথা বলে একটু নরমাল করার চেষ্টা করতে লাগলো।
——————————-
এদিকে ড্রয়িংরুমে বসে আছে ইসহাক আহমেদ, পাভেল চৌধুরী, শরীফ আহমেদ, শাফিন ও পারফি। সবাই টুকিটাকি কথা বলছে তখন ইমা এসে সবাইকে কিছু নাস্তা পানি দিয়ে ইয়ানার রুমে গেলো। সেখানে যেতে পিয়াসা আর শাহানা বেগম ছোটখাটো একটা ট্রলি ইমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো ইয়ানা মাকে রেডি করে দেও তুমি আর প্রীতি মিলে, ওদিকটা আমরা সামলাই।
ইমা সম্মতি দিতে তারা ড্রয়িংরুমের চলে গেলো।
ইমা আর প্রীতি মিলে ইয়ানাকে সাজাতে লাগলো আর বিভিন্ন কথা বলে ওর মন মানসিকতা ঠিক করতে লাগলো।
———
বদ্ধ রুমের মাঝে নীরবে শুয়ে আছে ইতি বেগম। জীবনের কিছু হিসেব কষতে ব্যস্ত তিনি। নিজেকে আজ বড্ড এলোমেলো লাগছে। ইসহাক আহমেদের হাতে চর খাওয়ার পর থেকে একদম নীরব হয়ে আছে। কখনো ভাবতে পারে নি প্রিয় স্বামী এভাবে গায়ে হাত তুলবে। সবচেয়ে আজব ব্যপার হলো ইয়ানার জন্য মার খেয়েছে কিন্তু আজ ইয়ানার উপর কোনো রাগ লাগছে না। উল্টো নিজের করা এতো বছরের ভুল গুলো চোখের সামনে ভাসছে। নিজের অপরাধ নিজেকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে আজ। ওই নিস্পাপ মেয়েটার সাথে এতো বছর বড্ড অন্যায় করে ফেলেছেন যে। এতোদিন ইয়ানার কষ্ট না বুঝলেও আজ স্বামীর চোখে ঘৃণা দেখে খুব গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে পারছে আপনজনের অবহেলা, ঘৃণা কতটা কষ্টের। যেই কষ্ট ওই নিস্পাপ মেয়েটাকে এতোটা বছর ধরে দিয়ে আসছে ভাবতেই চোখজোড়া ভিজে উঠছে।
বেশ অনেক সময় ধরে বাহিরের মানুষজনের কথা শোনা যাচ্ছে তা কানে ভেসে আসছে ইতি বেগমর কিন্তু এতো সময় ভাবনায় বিভো ছিলো তাই অতোটা খেয়াল করে নি। এবার ভালো করে খেয়াল করতে নিজেকে একটু স্বাভাবিক করে ওয়াশরুমের যেয়ে চোখমুখে পানি দিয়ে আসলো। তারপর আস্তে ধীরে দরজা খুলে ড্রয়িংরুমে পা রাখলো। ড্রয়িংরুমের যেয়ে কতগুলো অচেনা মুখ ভেসে উঠলো। কারা এরা কিছুই বুঝতে পারলো না, তখন চোখে পড়লো পারফিকে। যে ছেলেটাকে তিনি চেনে, যেই ছেলেটাকে নিয়েই আজ তিনি ইয়ানাকে এতো জঘন্য কথা বলেছে। কিন্তু এই ছেলে এখানে কি করছে বুঝতে সক্ষম হলো না। তাকালো ইসহাক আহমেদের দিকে। ইসহাক আহমেদ একবার ও তার দিকে ফিরে তাকালো না তা দেখে তার ভিতর হাহাকার করে উঠলো। পিছু ঘুরে চলে যেতে নিবে তখন ইসহাক আহমেদ ইতি বেগমকে দাঁড়াতে বললেন তারপর এক এক করে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। শতহলেও মেয়ের মা সবার সাথে পরিচয় না করিয়ে রাখেই বা কিভাবে?
ইতি বেগম সবার সাথে বিনয়ী ভাবে পরিচিত হলো। কথার মাঝে জানতে পারলো আজ ইয়ানার বিয়ে। নিজের মেয়ের বিয়ে আর সেটা ওনাকেই জানানো প্রয়োজন মনে করলো না কেউ। সবার সাথে কথা বলে আস্তে করে ইসহাক আহমেদকে বললো একটু কথা ছিলো রুমে আসবে?
ইসহাক আহমেদ কিছু বললো না ইতিকে। পাভেল চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বললো ভাই আপনারা গল্প করুন আমি একটু আসছি ইয়ানা মামনীকে আমার কিছু দেওয়ার আছে সেটা দিয়ে আসি।
ইসহাক আহমেদ যেতে পিছু পিছু ইতি বেগম ও গেলো।
পারফি তাকিয়ে রইলো ইতি বেগমের যাওয়ার পানে। আজ যেই ভদ্রমহিলাকে দেখছে এর ব্যবহার ঠিক হজম হচ্ছে না। পাষাণ সেই লোক আজ এতো বিনয়ী হলো কিভাবে তাই ভাবছে পারফি।
ইসহাক আহমেদ রুমে এসে আলমারি খুলে দুটো বক্স বের করলেন। সেটা নিয়ে বের হতে যাবে তখন রুমে প্রবেশ করলো ইতি বেগম। ইসহাক আহমেদ একবার ও সেদিকে না তাকিয়ে চলে যেতে নিলে ইতি বেগম পিছ থেকে বলে উঠলো আমার মেয়ের বিয়ে আর আমাকে একবার জানানোর প্রয়োজন ও মনে করলে না?
ইতির কথায় ইসহাক আহমেদ থামলেন। পিছু ঘুরে তাচ্ছিল্য হেঁসে বললো তুৃমি কি আদো আমার মেয়ের মা হয়ে উঠতে পেরেছো?
কথাটা শুনে থমকালেন প্রীতি বেগম। নিজের মনের ভিতর উকি দিলো আসলেই কি ইয়ানার মা হয়ে উঠতে পেরেছি আমি?
ইসহাক আহমেদ একবার ইতির দিকে তাকিয়ে বললো তোমার মাথা থেকে বোঝা নামিয়ে দিলাম। আজ থেকে তুমি মুক্ত, কারো জন্য এখন আর তোমার বিরক্ত হওয়া লাগবে না৷ এবার খুশি?
ইতি বেগম ছলছল চোখে তাকালো ইসহাক আহমেদের দিকে। বলার মতো কোনো ভাসা খুঁজে পেলো না কিন্তু বুকের ভিতর এক অসহীন ব্যথা অনুভব করলো। যে ব্যথা না পারছে প্রকাশ করতে আর না পারছে চেপে রাখতে। নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসছে ক্রমশ।
ইসহাক আহমেদ আর কিছু না বলে বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে।
ইতি বেগম আস্তে আস্তে বেডের উপর যেয়ে বসলো। চোখগুলো ঝাপসা হয়ে উঠলো। আজ কি সত্যি তার খুশি হওয়ার দিন? হ্যা সত্যি তো খুশি হওয়ার কথা কিন্তু তিনি খুশি হতে পারছে না। অপরাধবোধ কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে বুকের ভিতর। চোখের সামনে ভেসে আসছে এতো বছরের অন্যায় গুলো। নিজেকে আর সামলাতে না পেরে ডুকরে কেঁদে উঠলো।
———————-
ইসহাক আহমেদ ইয়ানার রুমে এসে নক করলো। ইমা এসে দরজা খুলে দিলো। বাহিরে বাবাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভিতরে নিয়ে গেলো। ইসহাক আহমেদ ভেতরে যেয়ে দেখলেন ড্রেসিংটেবিলের সামনে তার পরীর মতো মেয়েটা পরী সেজে বসে আছে। পরীর মতো মেয়েটা আজ অন্যের ঘরে চলে যাবে ভাবতেই বুকটা ভারী হয়ে উঠলো। বারবার চোখ জোড়া ভিজে উঠতে চাচ্ছে কিন্তু মেয়ের সামনে এখন দূর্বল হওয়া চলবে না তাহলে মেয়েটা আরো ভেঙে পড়বে।
ইসহাক আহমেদ নিজেকে সামলে আস্তে করে ইয়ানার কাছে এগিয়ে যেয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো মা শা আল্লাহ আমার মেয়েটাকে পরীর মতো লাগছে।
ইয়ানা কোনো কথা না বলে ঝাপটে ধরলো ইসহাক আহমেদকে। কলিজাটা কষ্টে ছিড়ে যাচ্ছে আজ প্রিয় বাবাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে ভাবতে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে।
ইসহাক আহমেদ ইয়ানাকে ছাড়িয়ে গালে হাত রেখে বললো আজ কোনো কান্না না মামনী। তুমি কান্না করলে বাবা কষ্ট পায় এখন যদি বাবাকে কষ্ট দিতে চাও তাহলে কান্না করতে পারো কিছু বলবো না।
ইয়ানা নিজের কান্না আটকে ইসহাক আহমেদকে ফের জড়িয়ে ধরলো। চুপটি করে বাবার বুকের মাঝে পড়ে রইলো। অনেক কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারছে না কান্না গুলো দলাপাকিয়ে কথা গুলো গলায় আঁটকে আসছে।
ইসহাক আহমেদ ইয়ানার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে নিজের থেকে ছাড়িয়ে একটা বক্স খুলে একটা চেইন বের করে ইয়ানার গলায় পড়িয়ে দিলো। আরেকটা বক্স খুলে এক জোরা কানের দুল বের করে ইয়ানার হাতে দিয়ে বললো এগুলো আমার মায়ের জন্য বানিয়ে রেখেছি পছন্দ হয়েছে মামনী?
ইয়ানা অশ্রুসিক্ত নয়নে ইসহাক আহমেদের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে বুঝালো খুব পছন্দ হয়েছে।
ইসহাক আহমেদ মেয়েকে ফের বুকে আগলে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। বুকটা ক্রমশ ভারী হয়ে আসছে। এখানে আর বেশি সময় থাকলে নিজেকে সামলাতে পারবে না তাই ইয়ানাকে ছেড়ে ইয়ানাকে বুঝিয়ে বাহিরে চলে গেলো।
ইয়ানা বাবার যাওয়ার পানে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকিয়ে রইলো। বাবার মনের অবস্থাটা ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারছে কারণ ওর নিজের ও যে একি অবস্থা।
ইমা যেয়ে ইয়ানাকে পাশ থেকে জড়িয়ে ধরে বললো মন খারাপ করে না আমার কলিজার বোন। সারাজীবনের জন্য তো আর বাবাকে ছেড়ে যাচ্ছিস না, তোর যখন খুশি চলে আসবি।
প্রীতি বললো হয়েছে এবার ইমোশনাল কথা ছাড়ো আপু। আপু তুমি কি একটা জিনিস খেয়াল করেছো?
ইমা ভ্রু কুঁচকে বললো কি?
ইয়ানাকে এই সিম্পল সাজেও কতোটা মারাত্মক লাগছে। এখন আমার ভাই যদি তার বিড়াল ছানার এই লুক দেখে স্ট্রোক মেস্ট্রোক করে বসে তখন কি হবে?
প্রীতির কথায় ইমা হেঁসে ফেললো আর ইয়ানা প্রীতির এমন লাগামহীন কথায় অস্বস্তিতে পড়ে গেলো।
————————————-
ড্রয়িংরুমের সবাই বসে ছিলো আর কিছুক্ষণ এর ভিতরে বিয়ে পড়ানো শুরু হয়ে যাবে। তখন পারফি ফট করে সবার উদ্দেশ্যে বলে উঠলো বিয়ের আগে আমি একটু বিড়াল আই মিন ইয়ানার সাথে কথা বলতে চাই।
পারফির সবার সামনে এমন কথা বলায় সবাই থতমত খেয়ে গেলো। পাভেল চৌধুরী খুকখুক করে কেশে উঠে বিরবির করে বললো মুখে কিছু আটকায় না এই ছেলের। হবু শশুরের সামনে অন্তত একটু লজ্জা বোধ করা উচিত বজ্জাত ছেলে একটা।
পারফির কাজে ইমা আর প্রীতি দূরে দাঁড়িয়ে থেকে মুখ টিপে হাসছে।
সবাইকে এভাবে থতমত হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে পারফি বললো আজব সবাই এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
শাফিন পারফির কানের কাছে ফিসফিস করে বললো শালা হবু শশুরের সামনে একটু মুখে লাগাম দিয়ে কথা বল।
ইসহাক আহমেদ এতোক্ষণ থতমত খেয়ে ছিলেন। নিজেকে সামনে বললো হ,,হ্যা যাও, ইমা মা পারফিকে ইয়ানার রুমে নিয়ে যাও।
ইমা মুখ টিপে হেসে পারফিকে নিয়ে ইয়ানার রুমে গেলো।
#চলবে?
কালকে গল্প দিতে না পারার জন্য দুঃখিত। দিন দিন গল্প লেখার মনমানসিকতাই হারিয়ে ফেলছি। গল্প কপি করে নিজের নামে তো চালাচ্ছে সাথে গল্পের নামটাও পর্যন্ত চেঞ্জ করে দিচ্ছে। কারো ভিতর নূন্যতম ম্যানার্স থাকলে এই নিচু কাজ কেউ করতে পারতো না। যাইহোক
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
হ্যাপি রিডিং….