দৃষ্টির_আলাপন #পর্বঃ১৫ #আদওয়া_ইবশার

0
233

#দৃষ্টির_আলাপন
#পর্বঃ১৫
#আদওয়া_ইবশার

পুরোদমে সাত কলেজের ভর্তির জন্য প্রস্তুতি চলছে দৃষ্টির। মাথায় তার একটাই চিন্তা বাবা-মা’কে এই মুহূর্তে অখুশি রাখা যাবেনা। যেভাবেই হোক তাদের ইচ্ছে পূরণ করতে হবে। তবেই দৃষ্টি একটু ভরসা নিয়ে তাদের কাছে নিজের পছন্দের কথা তুলে ধরতে পারবে। একদিন আগে পরে হলেও বুঝিয়ে-সুঝিয়ে রাজি করানো যাবে। কিন্তু এখন যদি তাদের কথা না রাখতে পারে তবে কোন মুখে যাবে মা-বাবাকে রক্তিমের কথা বলতে! আর মা-বাবাই বা কোন খুশিতে তার ইচ্ছে পূরণ করতে যাবে? এর মাঝে আবার দৃষ্টি খবর পেয়েছে আজীজ শিকদার নির্বাচনে বিপুল ভোট জয় লাভ করেছে। এখন তো ওনি নিশ্চয়ই দৃষ্টিকে দেওয়া কথা রাখবে। যেকোনো সময় হয়তো বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হতে পারে তাদের বাড়িতে। কথাটা যতবার ভাবছে ততবারই পুলকিত হচ্ছে দৃষ্টি।

দিলশান আরা’র পরিচিত এক ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। সেমিস্টার শেষ করে নিজ এলাকায় কিছুদিনের জন্য ছুটি কাটাতে এসেছিল। তার কাছেই দিলশান আরা অনুরোধ রাখেন মেয়েটাকে যাতে পরীক্ষার জন্য একটু ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করে। প্রিয় ম্যাডামের আবদার বাধ্য ছাত্র হয়ে মেনে নেয় ছেলেটা। আজ চারদিন যাবৎ দৃষ্টি তার কাছে প্রতিদিন বিকেলে পড়তে যাচ্ছে। নিয়ম করে আজকেও গিয়েছিল। টানা দুই ঘন্টা পড়া শেষে সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে নিজের বাসার দিকে যাচ্ছিল দৃষ্টি। রাস্তায় নেমে কয়েক কদম আগাতেই হঠাৎ মনে হয় পিছন থেকে কেউ তাকে নাম ধরে ডাকছে। অচেনা এক ছেলে কন্ঠে নিজের নাম শুনে একটু অবাক হয় দৃষ্টি। পিছন ঘুরে দেখতে বেশভূষায় ভদ্র গোছের সম্পূর্ণ এক যুবক তার দিকে এগিয়ে আসছে। দৃষ্টি মনে করার চেষ্টা করে লোকটা তার পূর্বপরিচিত কি না। কিন্তু নাহ! এর আগে কখনও লোকটাকে দেখেছে বলে মনে হচ্ছেনা। তবে একদম অচেনা একটা মানুষ কিভাবে তার নাম জানল! দৃষ্টির ভাবনার মাঝেই ছেলেটা একদম তার কাছাকাছি এসে দাঁড়ায়। অমায়িক হেসে বলে,

“আপনিই দৃষ্টি মেহজাবিন রাইট!”

“হ্যাঁ। কিন্তু আপনি কে? আর আমার নাম কিভাবে জানেন?”

ছেলেটা আবারও হাসে। বলে,

“এতো প্রশ্ন একসাথে করলে কোনটার উত্তর দিব? আস্তে আস্তে বলুন। কেউ দৌড়াচ্ছেনা আপনাকে।”

চারিদিকে হুড়মুড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে। লোকটা কি চোখে দেখছেনা! ভর সন্ধ্যায় একটা মেয়ে মানুষের বাড়ি যাবার তাড়া থাকবেনা! কিজন্যে একটা মেয়ে এই সন্ধ্যা বেলা রাস্তায় দাঁড়িয়ে অচেনা একটা ছেলের সাথে রসিয়ে আলাপ করতে যাবে? ছেলেটার কমন সেন্সের বড্ড অভাব। কথাটা ভেবে একটু বিরক্ত হয় দৃষ্টি। বলে,

“আরে ভাই আমি আপনাকে চিনিনা জানিনা আপনার সাথে রাজ্যের সময় নিয়ে কথা বলতে যাব কেন? তাছাড়া সন্ধ্যা নামছে চোখে দেখতে পাচ্ছেন না? অদ্ভূত লোক!”

ছেলেটা হয়তো দৃষ্টির বিরক্তি ভাবটা বুঝতে পারে। তাই আবারও হেসে বলে,

“আরে ভাবি সাহেবা এতো অধৈর্য হলে চলবে না কি? রক্তিম শিকদারের বউ হতে হলে প্রচুর ধৈর্য্য থাকতে হবে। নাহয় কিন্তু একদিনও সংসার করার ভাগ্য হবেনা।”

হুট করে লোকটার মুখে রক্তিমের নাম শুনে বিস্মিত হয় দৃষ্টি। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে জানতে চায়,

“কে আপনি? রক্তিম শিকদারকে কিভাবে চিনেন? আর আমি যে রক্তিম শিকদারের বউ হব এটা আপনি জানেন কিভাবে?”

“আমি রক্তিমের বন্ধু। আজীজ কাকু মানে রক্তিমের বাবা আমাকে পাঠিয়েছে আপনার সাথে দেখা করার জন্য।”

এবার একটু নরম হয় দৃষ্টির আচরণ। ভাবে লোকটাকে সত্যিই হয়তো আজীজ শিকদার পাঠিয়েছে কোনো প্রয়োজনে। নির্বাচন শেষ। এবার নিশ্চয়ই আজীজ শিকদার তার কথা নিয়ে ভাবতে বসেছে। সেজন্যই হয়তো কোনো কিছু জানতে বা জানাতে লোকটাকে তার কাছে পাঠিয়েছে। আর সে কি লোকটার সাথে বাজে আচরণ করা শুরু করে দিয়েছে! একটু লজ্জিত হয় দৃষ্টি। অল্প হেসে বলে,

“স্যরি ভাইয়া। আসলে আপনাকে এর আগে কখনো দেখিনি তো তাই চিনতে পারিনি। প্লিজ কিছু মনে করবেননা!”

প্রতিত্ত্যরে লোকটাও হাসে। মাথা নাড়িয়ে বলে,

“না না। কিছু মনে করিনি। আপনার জায়গায় অন্য কোনো মেয়ে হলেও অপরিচিত ছেলের সাথে এমন ভাবেই কথা বলতো। এটা স্বাভাবিক। চলুন হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি! এতে আপনারও সুবিধা হবে। আপনি সময় মতো বাড়িতেও চলে যেতে পারবেন। এদিকে আমাদের কথাও শেষ হয়ে যাবে।”

বিনিময়ে দৃষ্টিও মুচকি হেসে সম্মতি জানিয়ে এগিয়ে রাস্তার দিকে। উপরে দৃষ্টিকে দেখতে শান্ত মনে হলেও ভিতরে ভিতরে অস্থিরতায় ছটফট করছে মেয়েটা। না জানি আজীজ শিকদার কোন খবর পাঠিয়েছে! খবরটা দৃষ্টির জন্য আনন্দের হবে না কি দুঃখের? কথাটা জানার জন্য তর সইছেনা। অন্যদিকে লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে তাড়া দিয়ে জানতেও পারছেনা।

***

রূপালী চাঁদের আজ অভিমান হয়েছে। ধরণীর বুকে আলো দিতে ভিষণ অনিহা তার। মিটিমিটি জ্বলতে থাকা তারা গুলোও আজ চাঁদের সাথে পাল্লা দিয়ে লুকিয়ে আছে। রাস্তার দুই পাশে জ্বলতে থাকা ল্যাম্প পোস্টের আলো যেটুকু অন্ধকার সড়াতে সক্ষম হয়েছে সেটুকুই আলোকিত। পার্টি অফিসের ছাঁদের রেলিং ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে রক্তিম শিকদার এবং আজীজ শিকদার। বাবা-ছেলে দুজনেই নিরব। আজীজ শিকদার মনে করার চেষ্টা করছেন ঠিক কতদিন আগে এমনভাবে বাবা-ছেলে একসাথে ছাঁদে দাঁড়িয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রকৃতি অনুভব করেছিল? অতীত হাতরে দেখা মিলে এমন শত শত মধুর মুহূর্ত। যে সময় গুলোতে বাবা-ছেলের মাঝে ছিল বন্ধুসুলভ এক সম্পর্ক। এমন কতশত রাত স্মৃতির পাতায় যুক্ত হয়েছে!যে রাত গুলোতে রক্তিম শিকদারের পেটে জমে থাকা সমস্ত কথা চালান হতো আজীজ শিকদারের কানে। সেই ছেলেটাই আজ কত গুলো বছর যাবৎ বাবার সাথে এক দন্ড বসেও একটু কথা বলেনা।
তবে আজ এতোদিন পর রক্তিম নিজে থেকেই পার্টি অফিসে এসে কি মনে করে যেন বাবাকে আহ্বান জানাই দুজনে মিলে একটু নিরব সময় কাটানোর জন্য। ছাঁদে আসার পর থেকে এখন পযর্ন্ত কোনো কথা বলেনি রক্তিম। শুধু নিরবে তাকিয়ে দেখে যাচ্ছে রাস্তায় চলতে থাকা গাড়ি গুলোর দিকে। ছেলেকে এক নজর দেখে আজীজ শিকদার নিজেই নিরবতার জাল ছিঁড়ে বলেন,

“তোমার মা’কে যত দ্রুত সম্ভব একজন সাইক্রিয়াট্রিস্ট দেখাতে হবে।”

তড়িৎ রাস্তা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে বাবার দিকে তাকায় রক্তিম। কপাল কুঁচকে জানতে চায়,

“কেন?”

“ইদানিং একটু বেশিই পাগলামি করছে। এক প্রকার ঘর বন্দি করে রাখতে হচ্ছে। কখন কোন অঘটন ঘটিয়ে ফেলে বলা যায়না।”

“আপনার কাছে কি আমার মা’কে পাগল মনে হয়? ঘরবন্দি করে রাখার মানে কি? এসব করে বুঝাতে চাইছেন সত্যি সত্যি ওনি পাগল?”

এবার রক্তিমের কন্ঠে রাগের আভাস পাওয়া যায়। হঠাৎ করে মা’কে ঘরবন্দি করে রাখার মতো একটা কথা শুনে ঠিক রাখতে পারেনা নিজেকে। রাগে এক প্রকার চেঁচিয়ে কথা গেছে বলে। বিপরীতে আজীজ শিকদার তার স্বভাবজাত গম্ভীর কন্ঠে বলে,

“শিক্ষিত হয়েও মূর্খদের মতো কথা বলনা। শুধু পাগল হলেই মানুষ সাইক্রিয়াট্রিস্টের সরনাপন্ন হয়না। তাছাড়া তোমার কি মনে হয় তার মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক? ঐ ঘটনার পর থেকে তোমার সাথে যা ইচ্ছে তাই ব্যবহার করে। মানলাম এক ছেলের শোকে আরেক ছেলের সাথে এমন করছে। কিন্তু এখন তো ইতির সাথেও এমন আচরণ করে। এমনকি আমাকে দেখলেও মা র তে তেড়ে আসে। এই আচরণ গুলো কি স্বাভাবিক কোনো মানুষের?”

বাবার কথার পৃষ্ঠে রক্তিম আর কোনো কথা রাখেনা। বুক ভরা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে অভিশপ্ত জীবনের হিসেব কষতে ব্যস্ত হয়ে পরে নিরবে। আজীজ শিকদার নিজেই প্রসঙ্গ পাল্টাতে বলে ওঠে,

“বাদ দাও সে কথা। তুমি কিজন্য ডেকেছো সেটা বলো।”

“আমার পরিচিত একজন সাইক্রিয়াট্রিস্ট আছে। শান্তর ফুফাতো ভাই। এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখব। কাল সময় করে গিয়ে দেখা করে আসবেন।”

স্নান হাসে আজীজ শিকদার। গভীর দৃষ্টিতে তাকায় ছেলের দিকে। অনুভব করার চেষ্টা করে ছেলেটার মনের ব্যথা। কিন্তু ব্যর্থ হয়। ভাবে বাবা-ছেলের মাঝে কতটা দেয়াল তৈরী হয়ে গেল! মনে হয়, ঐতো কিছুদিন আগেই ছেলেটার মুখ দেখেই মনের কথা সব বলে দিতে পারত। বাবার এমন গুণ দেখে রক্তিম আনন্দোচ্ছল হেসে জানতে চাইত, “তুমি কিভাবে আমার মনের সব কথা বুঝে যাও বাবা? কোনো জাদু-টাদু জানো না কি?” উত্তরে আজীজ শিকদার স্বহাস্যে বলতো, ” পৃথিবীর সব বাবারাই এই জাদু জানে।যেদিন আমার মতো বাবা হবি সেদিন তুই নিজেও আমার মতো এমন জাদুবলে তোর সন্তানের মনের কথা মুখ দেখে বলে দিতে পারবি।” আজ সেই বাবা-ছেলে একটুও বুঝতে পারেনা একজন আরেক জনকে। দিন কে দিন আজীজ শিকদারের মনে হচ্ছে তার ছেলেটা কেমন যেন এক রহস্য মানবে পরিণত হচ্ছে। নিজের দুঃখ-কষ্ট গুলো নিজের মাঝেই লুকিয়ে রাখতে শিখে গেছে। এমনকি বাবা-ছেলের মাঝে সম্বোধনের স্বরটাও পাল্টে গেছে। যেখানে বাবা ছেলেকে ডাকত তুই করে সেখানে এখন ডাকে তুমি করে। আর ছেলে যেখানে ডাকত তুমি করে সেখানে আজ ডাকে আপনি করে। এভাবেই বুঝি পৃথিবীর প্রতিটা বাবা-ছেলের মাঝে সময়ের সাথে সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়? না কি শুধু তাদের বেলাতেই এমনটা হয়েছে?

প্রতি বারের মতো এবারও রক্তিম ব্যর্থ জীবনের হিসেব মিলাতে। বিরক্ত হয়ে ভাবনা ঘরে তালা ঝুলিয়ে ধ্যান ফেরায় বাস্তবতায়। নিকষ কালো আকাশের দিকে তাকায় গভীর নয়নে। বুক ভরে দম নেয়। ফের নজর ঘুরিয়ে তাকায় বাবার দিকে। শান্ত কন্ঠে বলে,

“ইতু বড় হচ্ছে। আপনার কি মনে হয়না ওর বিয়ে নিয়ে এবার ভাবা উচিৎ?”

আজীজ শিকদার নিজেও এবার একটু আনমনা হয়। তাচ্ছিল্য হেসে বলে,

“আমার ঘরের যে অসুস্থ পরিবেশ। সেই পরিবেশের কথা পুরো এলাকার মানুষ জানে। সাথে এও জানে, আমি আজীজ শিকদার পুরো একটা শহরের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারলেও নিজের ঘরে শান্তি ফিরানোর দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ। যে মেয়ের মা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে সবসময় নিজ ধ্যানে মজে থাকে। যার ভাই রাস্তায় রাস্তায় গুন্ডামি করে বেড়ায়। বাবা এসব সহ্য করতে না পেরে রাজনীতির ব্যস্ততা দেখিয়ে পালিয়ে বেড়ায়। সেই মেয়েকে কে চাইবে বউ করে ঘরে তুলতে? আদও আমার মেয়েটা ঘরকন্নার কাজ জানে কি না সেটা তো আমি নিজেও জানিনা। আমার সেই মেয়ে কিভাবে পরের ঘরের লক্ষি হবে?”

বিষাদপূর্ণ চাঁদ-তারাহীন রাতের মতোই রক্তিমের কাছে তার বাবার প্রতিটা কথা তিক্ত মনে হচ্ছে। এতোটাই তিক্ত যা সহ্য করতে না পেরে ইচ্ছে করছে এখান থেকে ছুটে অন্য কোথাও পালিয়ে যেতে। তার জন্য তার আশেপাশের মানুষ গুলোর করা পাপের জন্য নিষ্পাপ ছোট বোনটা মাসুল গুণবে! কথাটা ভাবতেই ইচ্ছে করছে নিজেই নিজেকে আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত করে দিতে। অশান্ত মেজাজটা বাবার সামনে প্রকাশ করেনা রক্তিম। গভীর দুটো নিঃশ্বাস নিয়ে নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রেখে বলে,

“ছেলে নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবেনা। আমার বোনের জন্য আমি যোগ্য পাত্র অনেক আগেই বাছাই করে রেখেছি। আমার বোন কখনো কোনো অংশে অপূর্ণ থাকবেনা ইন শা আল্লাহ।”

আজীজ শিকদার এবার যথেষ্ট অবাক হয়। চোখে-মুখে বিস্ময় খেলে যায়। আশ্চর্যান্মিত হয় রক্তিমের দিকে তাকিয়ে জানতে চায়,

“কে সেই ছেলে?”

একটুও কাল বিলম্ব করেনা রক্তিম। ঝট করেই বলে দেয় যার সাথে আদরের বোনের জীবন জুড়ে দেবার করে ভেবে রেখেছে তার নামটা,

“মেহেদী।”

তৎক্ষণাৎ যেন বড়সড় একটা ঝটকা খায় আজীজ। এমনভাবেই বিদ্যুতাড়িত হয়ে বলে ওঠেন,

“অসম্ভব।”

সোজাসুজি এমন নাকুচ করাই একটু আশ্চর্য হয় রক্তিম। জানতে চায়,

“কেন?”

ক্রোধান্মিত দৃষ্টিতে ছেলের দিকে তাকায় আজীজ শিকদার। বলেন,

“নিজে যেমন হয়েছো এক গুন্ডা-মাস্তান তেমন বোনের জন্যেও গুন্ডা ছেলে নির্বাচন করেছো! আমি ভাবতেই অবাক হয়ে যাচ্ছি। কিভাবে পারলে তুমি এমন একটা চিন্তা করতে? কি যোগ্যতা আছে ঐ ছেলের আমার মেয়েকে বিয়ে করার?”

দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে অল্প হাসে রক্তিম। বিদ্রুপাত্মক স্বরে বলে,

“একটু আগেই না বললেন যার ভাই রাস্তায় রাস্তায় গুন্ডামি করে বেড়ায় তার জন্য ভালো কোনো ঘর থেকে প্রস্তাব আসবেনা! গুন্ডা ভাইয়ের বোনের জন্য তো কোনো এক গুন্ডা ছেলের বিয়ের প্রস্তাবেই আসবে। এটাই স্বাভাবিক। এতো ভাবাভাবি আর অবাক হবার কি আছে?”

চলবে…..

(আর দুই-একটা পর্বে হয়তো অল্প জটিলতা থাকবে। যারা রক্তিম দিষ্টির ক্যামিস্ট্রি দেখার অপেক্ষায় তারা আর একটু ধৈর্য্য ধরুন। আর যারা একদম জটিলতা চাচ্ছেন না তারা এই দুই-একটা পর্ব স্কিপ করতে পারেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here