ছায়া মানব ২ ২৫.

0
109

ছায়া মানব ২

২৫.
আজ ক্লাস নেই। বাড়িতে থাকবে মোহনা এবং অহনা। মোহনা কিছুটা চিন্তায় পড়ে গেল। কিছুক্ষণ আগের বিষয়টা তাকে খুব বেশি ভাবাচ্ছে। পেছন থেকে অহনা আসতেই চমকে ওঠল। অহনাও অবাক হলো। মোহনার আচরণ স্বাভাবিক লাগছে না। মোহনা চুপচাপ কোনো কথা না বলে বসে আছে। অহনা তার মৌনতাকে ভালো লক্ষণ বলে মনে করল না। কাছে এগিয়ে গেল,
‘তুমি কি কিছু নিয়ে চিন্তিত?’

মোহনা আরেক দফা চমকে ওঠল,
‘আমি কনফিউজড অহনা। বুঝতে পারছি না। অঙ্ক মেলাতে পারছি না কোনোমতেই।’

অহনা ঠোঁট ওল্টে বলল,’কিসের অঙ্ক? আমাকে দেখাও, যদিও আমি অঙ্কে কাঁচা।’

‘এটা ব‌ইয়ের অঙ্ক না। এটা জীবনের অঙ্ক!’

অহনাও মোহনার কথায় বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ল,
‘কী বলতে চাইছ তুমি? জ্বর আসলো নাকি?’

অহনা মোহনার কপালে হাত দিয়ে দেখল,
‘ক‌ই জ্বরতো নেই।’

‘আচ্ছা, একটা সত্যি কথা বলবে?’

‘কেন বলব না? তুমি জিজ্ঞেস করেই দেখো।’

‘তুমি কি বর্ষণ ভাইকে ভালোবাসো না কি মাহতিম ভাইকে। আমি কনফিউজড। বললে বর্ষণ ভাইকে বিয়ে করবে, আবার দেখলাম মাহতিম ভাইয়ের সাথে…!’

অহনা কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ল। কী দেখেছে মোহনা? জিজ্ঞেস করবে নাকি করবে না, দ্বিধায় যেন। বলেই বসলো,’কী দেখেছ তুমি?’

‘ওই আসলে… মাহতিম ভাই তোমার ঘরে ছিল একটু আগে।’

অহনা বুঝে নিল যা বুঝার। দরজা খোলা রাখা যে একদম উচিত হয়নি তা বেশ বুঝতে পেরেছে। বলল,’কিছু মিস আন্ডার্স্ট্যান্ডিং হয়েছিল। আমি মাহতিমকে পছন্দ করি কিন্তু আন্টি ভেবেছে বর্ষণ ভাই।’

মোহনা হাঁফ নিঃশ্বাস ফেলল,
‘তুমি কি আমার ভাইদের আগে থেকেই চিনতে? উমম্! বর্ষণ ভাইতো কলেজে জব করেছিল তাই চেনো সেখান থেকেই হয়তো। কিন্তু মাহতিম ভাইকে কী করে চিনলে? কিভাবে ভালোবাসা হলো?’

অহনার মনে পড়ে গেল কিছুদিন আগের কথা। মাহতিমের জন্য‌ই সে এখনো সুস্থ-সবল হয়ে সবার সামনে। না হয় কেউ খুঁজে পেত কিনা তাও সন্দেহ। মোহনার দিকে তাকিয়ে বলল,’সে অনেক কথা।’

‘বলো, আমি শুনছি।’

‘ওনি একবার আমার প্রাণ বাঁচিয়েছেন। সে থেকেই চিনি। তারপর এই বাড়িতে এসে দেখলাম ওনি তোমার ভাই।’

‘তার মানে প্রেমটা আমাদের বাড়িতেই হয়েছিল। কিন্তু কে কাকে আগে প্রপোজ করেছিলে? কিভাবে বুঝলে তোমরা প্রেমে পড়েছ।’

অহনা ভাবনায় পড়ে গেল। মাহতিমতো তাকে প্রপোজ করেনি। আর শুরুটা? শুরুটা কী করে হয়েছিল? কোথা থেকেই বা? জঙ্গলের ঘটনা থেকে নাকি কয়েক দফা আলিঙ্গনে নাকি অন্য কোনো সময়? বুঝতে পারল না অহনা। এই মুহুর্তে মাহতিমের ওপরেও রাগ হচ্ছে, সে কেন প্রচলিত নিয়ম অনুসারে প্রপোজ করেনি? তার উচিত ছিল প্রপোজ করা। মোহনাকে বলার মতো কিছুই পেল না অহনা। অহনাকে চুপ থাকতে দেখে মোহনা হাসল, বলল,’বুঝতে পেরেছি। আমি বলি, যখন সাধারণ প্রপোজাল থেকে ভালোবাসা হয় তখন সেটা না টেকার সম্ভাবনা থাকে অনেকটাই। কিন্তু যখন মনের অজান্তেই ভালোবাসা হয় তখন সেটাকেই ভালোবাসা বলতে পারি গভীরভাবে। এই যে তুমি বলতে পারছ না ভালোবাসার সূচনা কোথা থেকে। এটাই তোমাদের ভালোবাসার স্বার্থকতা। মন কখন প্রেমে পড়ে তা যদি মানুষ বুঝেই যেত তাহলে আগে থেকেই সাবধান করে দিত বেহায়া মনকে। আমি বলব তুমি এবং ভাইয়া স্বার্থক। তোমাদের মনের মিল থেকেই ভালবাসার উৎপত্তি! কখনো যেন না ভাঙ্গে।’
মোহনা যেন স্মৃতিতে ডুব দিল,’মানুষ কেন যে হৃদয় উজাড় করে ভালবাসতে কার্পণ্যতা দেখায় কে জানে! পারত সে হৃদয়ের সবটা দিয়ে আপন করে নিতে। কিন্তু করেনি। ব্যাকুলতা বাড়িয়ে দিয়ে হাত ছেঁড়ে দিল। তখনের কষ্টটা কেমন হয়? তোমার জানা আছে অহনা? খুব বিচ্ছিরি! সহ্য করার মতো নয়।’

অহনা ভাবুক হয়ে জিজ্ঞেস করল,’এভাবে কেন বলছ? তুমি কী আমাকেই বলছ সব?’

মোহনার যেন ধ্যান ফিরে এলো। দীর্ঘ হাসি দিয়ে বলল,’নূরের কী অবস্থা হবে ভেবে দেখেছ? ও তো তোমাকে সহ্য‌ই করতে পারে না। তার ওপর তোমাদের যদি বিয়ে হয় তাহলে ওর কী হবে?’

‘আমিও ভেবেছি বিষয়টা। ও এখনো ছোট। তবে চারিদিকের পরিবেশটাই ওকে এমন করে দিয়েছে। ও যেভাবে মাহতিমের জন্য অপেক্ষা করে, কাছে পেতে চায়, আমিও যেন তা করিনা। আমার থেকে ওর যত্ন বেশি। যদি ও বড়ো হতো নিশ্চয় মাহতিম ওর প্রেমেই পড়ত, আমি থাকলেও দেখত না।’

মোহনা দীর্ঘ হেসে বলল,’যা বলেছ! কিন্তু চিন্তা হচ্ছে।’

‘ কী করতে পারি? অপশন দুটো, একটা হলো আমি চলে গেলেই ভালো হবে, ও মাহতিমের সাথে থাকতে পারবে। দ্বিতীয়টা হলো, ওর বড় হ‌ওয়ার জন্য অপেক্ষা করি, তখন সে সবটা বুঝবে। কিন্তু ততদিনে আমরা বুড়ো হয়ে যাব।’

মোহনা কিছু চিন্তা করল, বলল,’ওকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে কেমন হয়?’

‘পরে জানতে পারলে কষ্ট পাবে। তবে তুমিতো বললে, ও মাঝে মাঝেই চলে আসে দেখা করতে।’

‘যদি তোমরা বিয়ে করো, তবে ওর থেকে গোপন রাখবে বিষয়টা। আমাদের বাড়িতে আসলে বুঝতে দেবে না।’

আনিফা আর মামুন ঘর থেকে বের হতেই কল আসে, নূরের বাবার অপারেশন সাকসেসফুল। অনেকটা খুশি হয় মামুন। আনিফাও বলল,’ক্লিনিকে না হয় পরে যাব, আগে ভাইজানকে দেখতে যাওয়া উচিত।’

এতদিন মাঝে মাঝেই মামুন গিয়েছে দেখতে। আনিফাও একবার গিয়েছিল। আর কারো যাওয়া হয়নি। তাই মামুন বলল,’সবাইকেই আসতে বলো। ভাইজান খুশি হবে মাহতিম, বর্ষণ, মোহনাকে দেখে।’

আনিফাও চট করে সবাইকে ডাকল। আনিফার কন্ঠস্বর কানে যেতেই নূর আর মাহতিম বেরিয়ে আসে। মোহনা, অহনাও আসে। বর্ষণ আসার সময়েই নিহার ঘর খেয়াল করল। নিহাতো জানেও না বর্ষণ তাকেই বিয়ে করবে বলে দিল। বর্ষণ পুরো সময়টা এটাই ভেবেছে, নিহা কি রাজি হবে? পরপরই ভাবল একবার দেখা করা উচিত। বর্ষণ দরজায় আ’ঘাত করতেই সহসা দরজা খুলে গেল। অর্থাৎ ভেতর থেকে লাগানো হয়নি। নিহা সম্বিৎ ফিরে পেতেই উল্টো দিকে ঘুরে বসলো‌। বর্ষণ গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,’আসব?’

নিহা কোনোরকমে গলা ঠিক করে বলল,’আসো।’

বর্ষণ ভেতরে প্রবেশ করল। কিন্তু নিহা এখনো মুখ দেখাচ্ছে না। সে নিজেকে পরিপাটি করার চেষ্টা করছে। বর্ষণ অবাকের সুরে বলল,’আমাকে দেখতে চাও না নাকি?’

অভিমানী কন্ঠে নিহা বলল,’দেখে কী করব? দেখা উচিত নয়।’

‘তুমি এতোটা পরিবর্তন হবে ভাবতে পারিনি। এই শুনো, তুমি না জোর করে আমার ওপর ঢলে পড়তে! বাধা দিলে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরতে! মনে আছে?’

নিহার মুখমণ্ডল আড়ক্ত হয়ে আসে,
‘লজ্জা দিচ্ছ। আমি এখন আগের মতো ন‌ই। এসব মনে হলেও এখন খারাপ লাগে।’

‘কিন্তু আমার লাগে না। তুমি চাইলে আরেকবার তেমনটা করতে পারো। জোর করতে হবে না, আমি…!’
একটু গলা নামিয়ে পরে কোনো একটা শব্দ বলল বর্ষণ। চট করেই নিহা বর্ষণের দিকে তাকাল। কী হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না। বাড়িটাই কেমন ধাঁধায় পরিণত হয়েছে। ভালোবাসা শব্দটা যে কখন কার খাতায় লিপিবদ্ধ হচ্ছে নিহা বুঝতেই পারছে না। বর্ষণ খেয়াল করল, নিহার চোখে পানি। হয়ত কেঁদেছে অনেকক্ষণ। চেহারায় কোনো প্রসাধনী নেই আজ। সদ্য কান্না করা নিষ্পাপ চোখ, সরু নাক, হালকা গোলাপি রঙানো ঠোঁটজোড়া। মুহুর্তেই যেন মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিল। আজ তাকে খুব হালকা লাগছে। মেকআপের গাঢ় আস্তরণে কখনোই কাউকে স্নিগ্ধ লাগে না। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটাই মায়া ছড়াতে যথেষ্ট। নিহা বর্ষণের অবাধ দেখতে থাকা চোখে চোখ রেখে বলল,’বিয়ে করবে একজনকে অথচ লালসায় ফেলছ অন্যজনকে। তুমি আসলে চাওটা কী?’

বর্ষণ কিছুটা নড়ে ওঠে,
‘আপাতত তুমি হলেই হবে।’

‘অহনার কী হবে?’

‘তার জন্য আমার ভাই আছে।’

আচমকা এমন কথা শুনে নিহা বেশ অবাক। সত্যিই কি তাই হবে? বর্ষণ নিহার অনেকটা কাছাকাছি চলে যায়। এই প্রথম সে নিজে থেকেই আসলো। নিহা চোখ নামিয়ে ফেলল। বড্ডো হাঁসফাঁস লাগছে তার। শার্টের ওপর থেকেই দেখা যাচ্ছে, ঘেমে শরীর ভিজে একাকার। বর্ষণ দীর্ঘ নজরে দেখল নিহাকে। অনুভব করার চেষ্টা করছে। কিন্তু হঠাৎ করেই নিহার মাঝে অহনার মুখশ্রী দেখতে পাচ্ছে। এতে তার আনন্দের সীমা আরো বেড়ে গেল। অস্পষ্ট উচ্চারণ করল,’অহনা, ভীষণ সুন্দরী তুমি। কী করে ভুলি আমি? এই রুপ যে আমাকে ঝলসে দিয়েছে এক মুহূর্তেই। আমার পাষন্ড হৃদয় আকুল হয়ে আছে তোমাকে ছোঁয়ার তাড়নায়। কী করি বলো?’

শেষ বাক্যযুগল নিহার কানে আসলো। সহসাই মুখটা মলিন হয়ে গেল। সরে যেতে চাইলেই বর্ষণ ওকে দু’হাতে আগলে ধরল। আবারো বলল,‘মায়াবিণী, কী করে বুঝাব কতটা চাই তোমাকে? আই রিয়্যালি ওয়ান্ট ইউ উইথ মাই অল ফিলিংস। আই রিয়্যালি ওয়ান্ট ইউ।’
বলেই বর্ষণ নিহাকে জড়িয়ে ধরল। অহনাকে নিয়ে এমন শব্দগুলো শুনে নিহার চোখ ছলছল করে ওঠে। নিজের হাত দুটো মুষ্টিবদ্ধ করে রাখল। নিজে বর্ষণকে স্পর্শ করল না। বর্ষণ পরম শান্তিতে আলিঙ্গন করছে নিহাকে‌। তার ভাবনায় জড়ানো অহনা। এর থেকে কষ্টের বুঝি আর কিছু হতে পারেনা। নিহার বুক ফেটে যাচ্ছে যেন। নিজের ভালোবাসার মানুষটার মুখে অন্য মেয়ের প্রশংসা। সহ্য হচ্ছে না নিহার। কিন্তু ছাড়াতেও পারছে না বর্ষণকে। ছেলেটা উন্মাদের মতো করছে। নিহার স্বচ্ছ ঘাড়ে নাক ঘঁষে বলল,’আই ওয়ান্ট ইউ, অল টাইম!’

নিহার বিরক্তির মাত্রা যেন আরো বেড়ে গেল। আর শুনতে পারছে না এসব। এদিকে বর্ষণের ছোঁয়ায় তার হৃদয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। নিজেকেও উন্মাদ লাগছে। চোখ বেয়ে অঝোরে বৃষ্টি নামছে মনে হলো। বর্ষণ নিহার চুলের ফাঁকে হাত রেখে ঘাড়ে চুমু খেল। নিহা আঁতকে ওঠে। শক্ত করে বর্ষণের টি-শার্ট খামচে ধরে। চোখ-মুখ খিঁচে রয়েছে। ভালো-মন্দের তফাৎটা ভুলে গেছে। নিজেকেও উন্মুক্ত করে দিতে ইচ্ছে করল। কিন্তু না, সে করবে না। নিজেকে দমিয়ে নিল। দীর্ঘশ্বাস নিয়ে সজোরে ধাক্কা দিল বর্ষণকে। ছিটকে গিয়ে অনেকটাই দূরে গিয়ে পড়ল বর্ষণ। বুঝতে পারছে না কী হলো। নিহা দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। বর্ষণ ভাবার চেষ্টা করল। একটু আগেই নিজের বোকামির কথা চিন্তা করে ব্যথা পেল। নিহার কষ্টের কারণটাও বুঝতে পারল। পেছন থেকে নিজেও দৌড়ে গেল। কয়েকবার ডেকে বলল,’আই’ম সরি নিহা! আই ডিডন’ট আন্ডার্স্ট্যান্ড। সরি! প্লিজ স্টপ। প্লিজ।’

নিহা তাকাল না সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই দেখল সবাই নিচে দাঁড়িয়ে। তাকে কান্নারত অবস্থায় দেখে মাহিনূরের চোখ কপালে। দ্রুত এগিয়ে আসে, মেয়েকে জড়িয়ে ধরে,’কী হয়েছে রে। বল আমাকে? এভাবে দৌড়ে আসলি কেন?’

বর্ষণ‌ও পেছন পেছন এলো। সবার নজর এখন তার দিকেই। সে হতভম্ব! সবাই এমনভাবে তাকিয়ে আছে যেন সে অপরাধ করেছে। নিহাও বুঝতে পারল সবাই ভুল ভাবছে হয়ত কিছু। সাথে সাথেই বলল,’মম, ককক্রোজ ছিল। আমি ভীষণ ভয় পেয়েছি।’

সবাই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। রেগে গেল মাহিনূর,
‘এর জন্য এভাবে কান্না করতে হয়?’

আনিফা বর্ষণকে জিজ্ঞেস করল,’তুই এভাবে দৌড়াচ্ছিলি কেন?’

আমতাআমতা করে বলল,’ও দৌড়াচ্ছিল, তাই আমিও দৌড়াচ্ছিলাম।’

‘আচ্ছা বেশ। এখন শোন, আমরা তোর কাকাকে দেখতে যাচ্ছি সবাই মিলে। চল যাই।’

‘এখন?’

‘এখন‌ই। তৈরি হয়ে আয়।’

নিহার যাওয়ার ইচ্ছে নেই। তাও কিছু বলতে পারল না। বড়রা কষ্ট পাবে বলে।

অপর দিকে অহনা বলল,’আমি না গেলে কিছু হবে? আমার কিছু এসাইনমেন্ট বাকি ছিল। আজকের মধ্যেই কমপ্লিট করতে হতো।’

আনিফা হেসে বলল,’তাহলে তুমি বিয়ের পরেই যেও। ভাইজান সুস্থ হলে এমনিতেও আসবে। এখন তুমি সারপ্রাইজ থাকলেই ভালো হয়। ওনিতো তোমাকে চেনে না।’

মাহতিম এতক্ষণ খুব উৎসাহিত ছিল যাওয়ার জন্য। এখন আর ইচ্ছে করছে না। বলল,’আমিও না যাই?’

আনিফা সাথে সাথেই বলল,’খবরদার!’

চলবে….

Sathi Islam : সাথী ইসলাম

পাঠকমহলের জন্য সাথীর পাঠকমহল (পাঠক+পাঠিকা) – Sathi’s Readership

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here