হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤(৬৭) #Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা

0
406

#হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤(৬৭)
#Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)

(১৫৪)
কুশল আর তরুনিমা অরুর রুমের বিছানায় পাশাপাশি বসে আছে। সেইসময় কুশলের ফোন বেজে উঠায় দু’জনের ধ্য*ন ভা*ঙে। কুশল বিছানা থেকে নেমে প্যন্টের পকেট থেকে ফোন বের করতেই দেখে তাহির নাম্বার থেকে কল এসেছে। তরুনিমা উৎসুক নয়নে কুশলের দিকে তাকিয়ে আছে। কুশল কল রিসিভ করতেই ফোনের ওপাশ থেকে তাহির শান্ত স্বরে বললো…

—“বাবা-মা রাজি হয়ে গিয়েছে ভাই।”

এমন একটা মূহূর্তে তাহিরের মুখে এরূপ খুশির সংবাদ শুনে কুশলের ঠোঁটে হালকা হাসির রেখা ফুটে উঠে। কুশল শান্ত স্বরে বললো….

—“আমাদের আর সময় ন*ষ্ট করলে চলবে না তাহির। তুমি আঙ্কেল-আন্টিকে নিয়ে আগামীকাল বিকালেই আমাদের বাসায় চলে এসো। আর আমি নিলাদ্রের ঠিকানা তোমাকে মেসেজ করে বলে দিচ্ছি। আসার পথে ওকেও পিক করে নিও।”

—“ঠিক আছে।”

এরপর তাহির কল কেটে দেয়। কুশল তরুনিমাকে নিজের দিকে উৎসুক নয়নে তাকিয়ে থাকতে দেখে ওর সামনে গিয়ে দাড়িয়ে ওর ডান কাঁধে এক হাত রেখে শান্ত স্বরে বললো….

—“তরুনিমা….মন খারাপ করে বসে থাকো না। আমাদের আগামীকাল সকালের ভিতরেই বাসায় ফিরতে হবে। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সন্ধ্যা আর নিলাদ্রের বিয়ের দিন তারিখ চূড়ান্ত করতে হবে। আর ওদের বিয়ের দিন থেকেই শুরু হবে প্র*তি*শো*ধে*র এক র*ক্ত*ক্ষ*য়ী খেলা।”

তরুনিমা কুশলের হাতটি নিজের কাঁধের উপর থেকে সরিয়ে নিজের গালের উপর রেখে মাথা নাড়িয়ে ‘হ্যা’ সূচক সম্মতি জানালো।

(১৫৫)
কুশলের সাথে কথা বলা শেষ করে তাহির বিছানায় বসে ছিলো। সেইসময় হুমায়রা তাহিরের রুমে প্রবেশ করে ওর সামনে এসে বুকের উপর দু’হাত ভাঁ*জ করে দাঁড়িয়ে তাহিরের উপর নিজের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি স্থির করে। তাহির হুমায়রার দিকে তাকিয়ে শান্ত স্বরে বললো….

—“কিছু কি বলবি?”

—“এতো সহজেই আমাকে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে গেলে বিষয়টা কেনো যেনো হজম করতে ক*ষ্ট হচ্ছে আমার।”

—“আসলে কি বল তো..তোর প্রতি আমার একটু দয়া কাজ করলো।”

হুমায়রা ভ্রু কুঁচকে বললো….
—“দয়া মানে!”

—“এই যে আমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য সেই সুদূর কানাডা থেকে বাংলাদেশে আসলি। আসার পর থেকে সুপার গ্লুর মতো আমার সাথে সারাক্ষণ চি*প*কে থাকছিস। আমি অসুস্থ হয়ে খুব যত্নসহকারে আমার সেবাযত্ন করছিস। আমার বাবা-মায়ের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে তাদের থেকে আমার অসুস্থতার কথা লুকিয়ে মি*থ্যে বলেছিলি। তোর এসব কাজ দেখে আমার তোর প্রতি ভিষণ দয়া কাজ করলো। তাই মা যখন বললো তোর সাথে আমার বিয়ে দেওয়ার খুব ইচ্ছে তখন তার কথা আর ফেললাম না।”

তাহিরের কথাগুলো শুনে হুমায়রার হাস্যোজ্জ্বল মুখশ্রীতে মলিনতার কালো মেঘ ছেয়ে গেলো। কিছুসময় নিরব থাকার পর হুমায়রা জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে আলতো ভাবে ওর শুকিয়ে আসা ঠোঁটদ্বয় ভিজিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলে বললো….

—“ওহহ আচ্ছা। তুমি তাহলে শুধুমাত্র খালার মন রাখতে আমাকে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে আমার প্রতি দয়া দেখালে! আমিও কতো বোকা জানো! কিছুসময়ের জন্য ভেবেছিলাম তুমি হয়তো আমার ভালোবাসা, অনুভূতিগুলো উপলব্ধি করতে পেরেছো তাই বিয়ের জন্য সম্মতি জানিয়েছো। যাই হোক এখন বিষয়টা ক্লিয়ার করে দিলে দেখে ভালো লাগছে।”

তাহির স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললো….
—“তো তুই কি এখন চিন্তা করছিস যে আমাকে আর বিয়ে করবি না!”

—“না..আমি এমনটা চিন্তা করছি না। এই বিয়ে অবশ্যই হবে। হয়তো তুমি এখন আমার ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারছো না তবে আমি জানি একদিন এমন পরিস্থিতি আসবে যখন তুমি চিৎকার করে বলবে যে তুমি আমাকে ভালোবাসো। তখন হয়তো আমি তোমার ভালোবাসা উপলব্ধি করার মতো অবস্থায় থাকবো না।”

এই বলে হুমায়রা তাহিরকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে এক ছুটে ওর রুম থেকে বেরিয়ে যায়। তাহিরের রুম থেকে বের হতেই হুমায়রা চোখের বাঁধ ভে*ঙে অঝোরে নোনাজল ঝরতে শুরু করে। হুমায়রার বলা শেষ কথাগুলো কেনো যেনো তাহিরকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।

(১৫৬)
কুশল আর তরুনিমা অরুর রুম থেকে বের হয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে আসতে আসতে লক্ষ্য করে ড্রয়িংরুমে সোফায় তরুনিমার বাবা-মা, সন্ধ্যা আর নিলাদ্র বসে আছে। কুশল-তরু ড্রয়িংরুমে এসে দাঁড়ায়। কুশল শান্ত স্বরে নিলাদ্রকে উদ্দেশ্য করে বললো….

—“আরে তুমি কখন আসলে!”

—“এই তো একটু আগে। সন্ধ্যা তো বলেছিলো তোমরা এখানে আসার পথে আমাকে পিক করবে। তাই আমি অপেক্ষা করছিলাম। দেখলাম তোমার আসলে না তখন সন্ধ্যার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তোমরা অলরেডি চলে এসেছো। তাই ওর থেকে ঠিকানা নিয়ে আমি নিজ থেকেই চলে আসলাম।”

তরুনিমা প্রতিত্তোরে বললো….
—“আসলে ভাইয়া আপনাকে পিক করার কথা আমি সন্ধ্যাকে তো বলেছিলাম ঠিকই কিন্তু তাড়াহুড়োর বশে ওনাকে বলার কথা স্মরণ ছিলো না।”

—“আচ্ছা ঠিক আছে ভাবী, সমস্যা নেই।”

এরপর কুশল-তরুনিমা সোফায় বসে ওদের সবার সাথে আড্ডায় অংশগ্রহণ করে। কিছুসময় পর তরুনিমা ওর মা তমালিকাকে বললো….

—“মা…তুমি তো বলছিলে অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করবে। কিন্তু আগামীকাল সকালেই আমাদের বাড়িতে ফিরতে হবে। বিকেলবেলা সৌহার্দ্য ভাইয়া স্বপরিবারে আমাদের বাড়িতে আসবেন সন্ধ্যাকে দেখে বিয়ের দিন-তারিখ চূড়ান্ত করতে। বাড়িতে তো অনেক কাজ ও আছে। তাই বলছিলাম কি ওদের বিবাহকার্য সম্পন্ন হলে পর আরেকদিন এসে অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করবো কি বলো!”

তমালিকা হাসিমুখে বললেন…
—“আচ্ছা ঠিক আছে রে মা, তুই যেমনটা বলবি তেমনটাই হবে।”

এরপর আরো বেশ কিছুসময় আড্ডা দেওয়ার পর সৌহার্দ্য বললো….
—“তোমাদের সবার সাথে এতোটা সময় ধরে আড্ডা দিয়ে অনেক ভালো লাগলো। কিন্তু এখন আমায় উঠতে হবে বুঝলে!”

তমালিকা বললেন…..
—“সে কি বাবা..এই প্রথম তুমি আমাদের বাসায় আসলে শুধু নাস্তা করে কি করে যেতে দেই বলো! রাতের খাবার খেয়ে তারপর না হয় চলে যেতে!”

—“না আন্টি, এতোটুকু সময়েই যে আদরযত্ন করলেন এতেই আমি অনেক খুশি। এখন আমাকে এখান থেকে সরাসরি ক্লিনিকে যেতে হবে। সেখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে তো। তাই বিয়ের পর সন্ধ্যার সাথে আরেকদিন আপনাদের বাসায় ঘুরতে আসবো। তখন কবজি ডুবিয়ে ভুঁড়ি ভোজ করা যাবে কেমন!”

—“ঠিক আছে বাবা।”

কুশল বললো….
—“চলো..আমি তোমায় গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসছি।”

—“আচ্ছা ভাইয়া চলুন।”

অতঃপর কুশল আর সৌহার্দ্য দু’জনেই সোফা ছেড়ে উঠে মূল দরজার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। সিদকার ভিলার মূল দরজা পেড়িয়ে বাহিরে আসতেই কুশল সৌহার্দ্যের পিঠে বেশ জোড়ে একটা চা*প*ড় দিয়ে বললো….

—“নতুন পরিচয় পেয়ে দেখছি তোর কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে।”

—“কোন দিক থেকে উন্নতি হলো আমার আবার!”

—“এই যে আমাকে এই প্রথম ভাইয়া বলে সম্বোধন করলি।”

—“তা তো করতেই হবে। যেহেতু তুই আমার হবু বউয়ের বড় ভাই হোস তাই এতোটুকু সম্মান পাওয়া তোর প্রাপ্য। কিন্তু যাই বলিস না কেনো সবার সামনে তোকে তুমি সম্বোধন করে কথা বলার বিষয়টা আমার কাছে ভিষণ কঠিন লেগেছে।”

সৌহার্দ্যের এরূপ কথাগুলো শুনে কুশল শব্দ করে হেসে উঠে। এরপর ওরা পার্কিং সাইডে চলে আসে। সৌহার্দ্য ওর গাড়িতে উঠে হাসিমুখে কুশলকে বিদায় জানিয়ে গাড়ি স্টার্ট করে। সৌহার্দ্য গাড়ি নিয়ে চোখের আড়াল হতেই কুশলও বাড়ির ভিতরে যাওয়ার পথে অগ্রসর হয়।
.
.
.
.
পরেরদিন সকালবেলা…….
কুশল, সন্ধ্যা আর তরুনিমা সিকদার ভিলা থেকে বেড়িয়ে পড়েছে চৌধুরী মেনশনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। বেশ লম্বা সময় ধরে জার্নি করার পর ওরা চৌধুরী মেনশনে এসে পৌঁছায়। সন্ধ্যা আর তরুনিমা গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভিতরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাঁটা ধরে। কুশল গাড়ি পার্কিং সাইডে রাখতে চলে যায়। সন্ধ্যা আর তরুনিমা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখে বাড়ির বাকি সদস্যরা ড্রয়িংরুমে সোফায় বসে গল্প করছে। ওদের সবাই নিজের চোখের সামনে হাসি-খুশি ভাবে গল্প করতে দেখে সন্ধ্যার ভিতরে প্র*তি*শো*ধে*র আ*গু*ন দা*উ-দা*উ করে জ্ব*ল*তে শুরু করে। সন্ধ্যা ধীরস্বরে বললো….

—“ইচ্ছে করছে এক্ষুণি এদের সবার শরীরে পে*ট্রো*ল ঢেলে আ*গু*ন জ্বা*লি*য়ে দেই। জ্ব*লে-পু*ড়ে ছাই হয়ে যায় যেনো সবগুলো।”

তরুনিমা শান্ত স্বরে বললো….
—“নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করো সন্ধ্যা। এতো সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে এদের মা*র*লে চলবে না। এদের পা*প কর্মের জন্য খুবই নি*র্ম*ম ও য*ন্ত্র*ণা-দা*য়*ক মৃ*ত্যু পাবে এরা।”

—“তাই যেনো হয় ভাবী, তাই যেনো হয়।”

অতঃপর তরুনিমা আর সন্ধ্যা নিজেদের মুখশ্রীতে জোরপূর্বক হাসির রেখা ফুটিয়ে ওদের সবার সাথে কুশলবিনিয়ম করে নিজ নিজ রুমে চলে যায়।
.
.
.
.
বিকেলবেলা…….
ড্রয়িংরুমে একপার্শে সোফায় তাহির, হুমায়রা, সৌহার্দ্য ও তাহিরের বাবা-মা বসে আছে। অন্যপাশে সোফায় চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা সবাই বসে আছে। সেইসময় সায়মন শান্তস্বরে তাহিরের বাবা তমিজ তালুকদারকে উদ্দেশ্য করে বললেন….

—“আমি তো এটা ভেবে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম যে কার না কার সাথে কুশল আমার মেয়ের বিয়ে চূড়ান্ত করেছে তার পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের স্ট্যাটাস যাবে কিনা! এখন আপনার ছেলের সাথে সন্ধ্যার বিয়ের কথা চূড়ান্ত করেছে দেখে ভিষণ ভালো লাগছে। আমাদের পরিবারের স্ট্যাটাস আর আপনার পরিবারের স্ট্যাটাস একই। আসলে স্ট্যাটাস সমান না হলে সম্পর্কের বন্ধনও মজবুত হয় না বলেই আমি মনে করি।”

সায়মনের এরূপ কথাগুলো শুনে তমিজ ও রেবেকা তালুকদার সহ কুশল, সৌহার্দ্য, তাহির, হুমায়রা এরা সকলেই যে ভিষণ অ*স*ন্তু*ষ্ট হয়েছেন তার ছাপ এদের সকলের চেহারাতেই হালকা ভাবে ফুটে উঠেছে। তবুও ওরা সকলেই ওদের সামনেই স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে। রেবেকা এই বিষয়টাকে এখানেই শেষ করতে হাসিমুখে বললেন….

—“এবার আমার ছোট বউমার চাঁদপানা মুখশ্রী দেখার সৌভাগ্যের ব্যবস্থা করুন মিসেস.চৌধুরী।”

সাবরিনা হাসিমুখে বললেন….
—“হুম…আমি এক্ষুণি সন্ধ্যাকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছি।”

এই বলে সাবরিনা বসাবস্থা থেকে উঠে দাঁড়াতেই দেখলেন তরুনিমা সন্ধ্যাকে নিয়ে এদিকে আসছে। ওদের দেখামাত্র সাবরিনা আবারও আগের স্থানে বসতে বসতে বললেন…..

—“ঐ তো মেজো বউমা সন্ধ্যাকে নিয়ে আসছে।”

সাবরিনার কথা শোনামাত্র উপস্থিত সবাই সেদিকে লক্ষ্য করে। লাল পাড়ের গাড় সবুজ রংয়ের একটা শাড়ি বাঙালিআনা পদ্ধতিতে পড়ে মাথায় ঘোমটা টেনে রেখেছে সন্ধ্যা। এছাড়াও লাল-সবুজের সংমিশ্রনে দুইহাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি ও পড়ে আছে সে। সন্ধ্যার এই বাঙালি বউয়ের মতো সাজ দেখে সৌহার্দ্যের দৃষ্টি সন্ধ্যার উপর পুরোপুরি ভাবে স্থির হয়ে যায় যেনো। তরুনিমা সন্ধ্যাকে নিয়ে একেবারে সৌহার্দ্যের সামনা-সামনি সোফায় বসিয়ে দিয়ে ওর পাশে নিজেও বসে পড়ে। রেবেকা শান্ত স্বরে বললেন….

—“দেখি মা…মুখখানা তুলো!”

সন্ধ্যা ঠোঁটের লজ্জামাখানো হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলে মুখ তুলে তাকায়। রেবেকা হাসিমুখে বললেন…..

—“মাশাআল্লাহ…মাশাআল্লাহ। কারোর নজর না লাগুক।”

সৌহার্দ্যের ঠোঁটের কোণেও হাসি লেগে আছে। রেবেকা নিজের হাতে থাকা স্বর্নের বেশ মোটা একজোড়া বালা খুলে বসাবস্থা থেকে উঠে সন্ধ্যার সামনে দাঁড়িয়ে খুব যত্নসহকারে ওর হাতে পড়িয়ে দিয়ে ওর থুতনি স্পর্শ করে নিজের ঠোঁটে সেই আঙুল ছুঁইয়ে হাসিমুখে বললেন…

—“মেয়ে আমাদের ভিষণ পছন্দ হয়েছে। আমরা চাই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব মেয়েকে আমার ছোট ছেলের বউ বানিয়ে নিয়ে যেতে।”

রেবেকার এতো নিখুঁত অভিনয় দেখে তাহির আর হুমায়রা কিছুটা অবাক হয় বটে। ওদের মনে হয় সৌহার্দ্য হয়তো সত্যিই ওদের পরিবারের সদস্য। রেবেকা সত্যিই সৌহার্দ্যকে নিজের ছোট সন্তান বলে মেনে নিয়েছেন। এরপর ওরা আরো কিছুসময় কথাবার্তা বলে ৬দিন পর যে শুক্রবার পড়ছে সেদিনই সৌহার্দ্য আর সন্ধ্যার বিবাহকার্য সম্পন্ন করবেন বলে চূড়ান্ত করেন।

#চলবে ইনশাআল্লাহ…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here