কথা দিলাম 🌸❤️
||পর্ব ~ ৪||
কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা
ফ্ল্যাশব্যাক…………………
“সো? মিস সিয়ারা আপনি….
“মিসেস! মিসেস সিয়ারা বলুন, মিস্টার রায় চৌধুরী।”
আধভিক পিছন থেকে এসে সিয়ারার ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে কথাটা বললে সিয়ারা বাঁধা দেয়। আধভিকের দিকে ফিরে, আধভিকের ভুল শুধরে দিতেই আধভিকের চোয়াল শক্ত হয়ে আসে। হাত মুঠ করে, অন্যদিকে তাকিয়ে একটা বড়ো নিশ্বাস নিয়ে নিজেকে সামলে নেয়। সিয়ারার দিকে তাকিয়ে বলে,
“হোয়াটএভার! আমার আপনার সাথে কথা আছে কিন্তু সেটা এখানে নয়।”
“এখানে নয় কেন? এখানে তো কোনো অসুবিধা নেই?”
“আমার অসুবিধা আছে! আমার অসুবিধা না থাকলে নিশ্চয় আমি বলতাম না তাই না? আপনাকে আমি অ্যাড্রেস টেক্সট করে দিচ্ছি, ঠিক সময়ে চলে আসবেন।”
আধভিক কথা শেষ করে চলে যেতে নিলেই সিয়ারা বলে ওঠে,
“আপনি ঠিক কি চাইছেন বলুন তো? আমরা কি আপনার হাতের পুতুল? যে, যেভাবে চলতে বলবেন সেভাবে চলবো চুপচাপ? আপনি আমাদের প্রোডাকশন হাউস কিনেছেন, আমাদেরকে কিনে নেননি মিস্টার রায় চৌধুরী।”
সিয়ারার বেশ ক্ষোভ যুক্ত কণ্ঠের স্বর শুনে আধভিক ওর দিকে ফিরে শব্দহীন হাসলো। যা দেখে সিয়ারার রাজের সাথে সাথে একটা ভয়ও কাজ করতে শুরু করলো।
“আপনি ঠিক বলেছেন মিস..মিসেস সিয়ারা! আমি আপনাদের কিনে নিইনি। আমি আপনাকে নিজের দরকারের জন্য নয়, আপনাদের দরকারের জন্যেই ডাকছি। এবার আপনার বিষয় আপনি কি করবেন। আর হ্যাঁ! পুতুল নিয়ে খেলার শখ তো আপনার, জলজ্যান্ত মানুষদেরও আপনি পুতুলের মতো ট্রিট করেন।”
আধভিক চলে যেতে গিয়েও না গিয়ে যেই কথাটা বলে গেলো তা সিয়ারার বুকে তীরের মতো বিঁধল। সিয়ারাকে কোনো উত্তর দেওয়ার সুযোগ না দিয়েই আধভিক বেড়িয়ে গেলে, সিয়ারা চেয়ারটায় শরীরের ভর ছেড়ে বসে পরলো। বুক ফেটে কান্না আসলেও সে কাঁদতে পারছে না, দমবন্ধ হয়ে আসছে জানো।
“না জানি আর কি কি সহ্য করতে হবে আমাকে। আমার থেকে তোমাকে ভালো ভাবে কেউ চেনে না আধভিক! আমি খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পারছি তুমি আমাকে বরবাদ করে দিতে এসেছো। কিন্তু আমিও এতো সহজে হার মানবো না। তোমার মুখোমুখি যখন হয়েছি তখন আর পালাবো না, আমিও দেখবো কি করতে পারো তুমি। কতো দূর যেতে পারো!”
সিয়ারা উঠে দাঁড়িয়ে একটা বড়ো নিশ্বাস নিয়ে বেড়িয়ে গেলো। বেরোতেই দেখলো আধভিক দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ফোন দেখছে। সিয়ারা কিছু বলতে যাবে তার আগেই আধভিক সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পরলো। ফোনের দিকে চোখ না সরিয়েই বললো,
“প্রিপারেশন নেওয়া হয়ে গেলে, ফলো মি!”
আধভিক হাঁটা শুরু করলে সিয়ারাও পিছু পিছু হাঁটা শুরু করলো। সিয়ারার মনে এখন হাজার একটা চিন্তা, প্রশ্নের ভিড় জমা হচ্ছে।
“ওইটুকু মাথায় অতো চাপ নিয়ে লাভ আছে? আমাদের সাথে কখন কি হবে তা আমরা হাজার ভাবলেও বের করতে পারবো না। যেটা আমরা ভাবি সেটা কি আমাদের সাথে হয়? যেটা ভাবিনা সেটাই হয়। সো, যেটা হচ্ছে সেটাকে ফেস করতে শিখে নাও। পালানো বিষয়টাকে নিজের স্বভাব বানিয়ে ফেললে, এর থেকে নিস্তার পাবে না কখনও।”
সিয়ারাকে কিছু বলতে না দিয়েই আধভিক কনফারেন্স রুমে ঢুকে গেলো। বেচারিকে কিছু বলার সুযোগই দিচ্ছে না আধভিক। আধভিক ঢুকতেই সিয়ারা খুব চেনা একটা কণ্ঠস্বর পেলো যার ফলে এক মুহুর্ত সময় লাগলো না ওর, কণ্ঠস্বরের মালিক কে তা চিনতে।
“আ..আভাস আঙ্কেল?”
সিয়ারা একটা ঢোঁক গিলে, গুটি গুটি পেয়ে এগিয়ে গিয়ে কনফারেন্স রুমে ঢুকলো। আধভিকের পিছনে একটু দাঁড়িয়ে, ওর পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।
প্রেসেন্ট……………………………
সিয়ারা চোখ খুলে ফেললো। উঠে বসে দু হাত দিয়ে নিজের মাথাটা চেপে ধরলো। সাথে সাথে মনে পরলো আধভিকের কথা।
“তুমি ঠিক বলেছো। আমরা যা ভাবি তা কক্ষনো হয় না। আর হয় না বলেও তো আজকে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমি। এমনটা তো হওয়ার ছিলো না? সবকিছু তো অনেক সুন্দর হওয়ার ছিলো তাহলে কেন? কেন সবটা এভাবে এলোমেলো হয়ে গেলো?”
সিয়ারা ডুকরে কেঁদে উঠলো নিজের বালিশটা জরিয়ে। ঠিক সেই সময় ওর ফোনে নোটিফিকেশন টোন বেজে উঠলো। সিয়ারা ফোন হাতে নিতেই দেখলো আননোন নাম্বার থেকে একটা এসএমএস এসেছে, অ্যাড্রেস লেখা আছে সেখানে।
“নাম্বার কীভাবে পেলো আমার? আমি তো দিয়ে আসিনি..তাহলে?”
“সুধাংশু স্যারের থেকে নাম্বার পেয়েছি। এইবার একটু বেশি ভাবাটা বন্ধ করুন মিসেস সিয়ারা। সময় মতো চলে আসবেন।”
আবার একটা টেক্সট আসতেই সিয়ারা বুঝতে পারলো সুধাংশু বাবু কেন এসে তখন ওই কথাগুলো বললো। ফোনের দিকে তাকিয়েই সিয়ারা বললো,
“আমি প্রস্তুত তোমাকে ফেস করতে আধভিক!”
সিয়ারা রেডি হতে চলে যায় ফোনটা চার্জে বসিয়ে। রেডি হয়ে আসতেই দেখলো ওর ঘরে দেবাংশু বসে আছে। দেবাংশু ওকে দেখে বললো,
“আমি ড্রপ করেদি? ড্যাড বললো এটলিস্ট ড্রপ করে দিতে তোকে।”
সিয়ারা আর বাঁধা দিলো না। নিজের পার্স আর ফোনটা হাতে নিয়ে দেবাংশুর সাথে বেড়িয়ে গেলো। আধভিকের পাঠানো অ্যাড্রেস অনুযায়ী দেবাংশু একটা ফাইভ স্টার হোটেলের সামনে গাড়ি থামালো। সিয়ারা গাড়ি থেকে নামবে তার আগে দেবাংশু বললো,
“ফেরার সময় আমাকে কল করিস, আমি চলে আসবো।”
“তুই চলে যা, আমি চলে আসতে পারবো।”
সিয়ারা নেমে গেলো গাড়ি থেকে। পা বাড়ালো হোটেলের উদ্দেশ্যে। রিসেপশনে গিয়ে আধভিকের নাম করতেই রিসেপশনিস্ট বলে দিলো কোন রুমে যেতে হবে। রিসেপশনিস্টের কথা অনুযায়ী রুমে ঢুকতেই দেখলো আধভিক সোফায় বসে ম্যাগাজিন পরছে। সিয়ারা দরজার পাশে দাঁড়িয়ে দরজায় টোকা দিতেই আধভিক বললো,
“পারমিশন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ভিতরে আসুন।”
সিয়ারা সেন্টার টেবিলকে মাঝে রেখে আধভিকের অপর পাশে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলো,
“কি জন্য ডেকেছেন?”
আধভিক ম্যাগাজিনটা হাত থেকে রেখে সোফায় হেলান দিয়ে আয়েশ করে বসলো। সিয়ারার দিকে তাকিয়ে বললো,
“এতো তাড়া কিসের? বসুন, সব বলবো।”
“বসার ইচ্ছে নেই আমার। আমি শুধু আপনি কি বলতে চান সেটা জানতে চাই ব্যাস!”
আধভিক উঠে দাঁড়ালো। হঠাৎ করেই সিয়ারার দিকে ঝুঁকে পরে, ওর কানের কাছে ঠোঁট নিয়ে গিয়ে বললো,
“আমার সিরিয়ালের হিরোইন বলে কথা, পরখ করে নিতে হবে না?”
মুহূর্তেই সিয়ারার চোখে জল ভরে উঠলো। আধভিক ভেবেছিলো সিয়ারা সরে যাবে কিন্তু না! সিয়ারা এক চুল নিজের জায়গা থেকে না নড়লে আধভিক সোজা হয়ে দাঁড়ায়। সিয়ারার ভেজা চোখ দেখে তাঁর বুকটা হু হু করে ওঠে।
“আপনিও তাহলে তাঁদেরই দলে যারা মেয়েদেরকে ব্যবহার করতে জানে?”
“ব্যবহার? ব্যবহার করা কাকে বলে সেটা তো আপনার কাছ থেকে জানা উচিত মিসেস সিয়ারা।”
আধভিক কথাটা বলে পিছন ফিরে একটা টেবিলের কাছে চলে গেলো। সিয়ারা চোখ বন্ধ করতেই ওর চোখ থেকে জল গাল বেয়ে গড়িয়ে পরলো। সিয়ারা তা মুছে ফেলে স্বাভাবিক ভাবে বসলো।
“নিন! এটা পড়ুন, তারপর সই করুন।”
আধভিক সেন্টার টেবিলের উপর একটা কাগজ ছুঁড়ে ফেললে সিয়ারা চমকে ওঠে। কাগজটা হাতে নিয়ে দেখে একটা কনট্র্যাক্ট পেপার।
“এটা কিসের কনট্র্যাক্ট পেপার?”
“আমার আর আপনার বিয়ের!”
সিয়ারা কি বলবে বুঝতে পারলো না। ওর মনে হচ্ছে ও ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। হতবাক দৃষ্টিতে আধভিকের দিকে চেয়ে রইলেও আধভিকের কোনো ভাবান্তর নেই। ও ভাবলেশহীন হয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে সিয়ারার দিকে।
“আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে না থেকে কনট্র্যাক্ট পেপারটা পড়ুন, নিজেই বুঝতে পারবেন কিসের কনট্র্যাক্ট পেপার এটা।”
আধভিকের কথা শুনে সিয়ারা একটা হতাশার নিশ্বাস ফেললো। হয়তো আধভিকের কথায় মনের কোণে একটা সুপ্ত বাসনা জেগে উঠেছিলো। যা নিমিষে উবে গেল কর্পূরের মতো। কথা না বাড়িয়ে সিয়ারা কনট্র্যাক্ট পেপারটা পড়া শুরু করলো। মূল লেখায় প্রবেশ করতেই সিয়ারা একবার আধভিকের দিকে তাকাচ্ছে বড়ো চোখ করে আরেক বার পেপারের দিকে। আধভিক বেশ মজা পাচ্ছে সিয়ারার এমন প্রতিক্রিয়া দেখে।
“এইসব কি?”
“কনট্র্যাক্ট পেপার, কেন? আপত্তি আছে নাকি?”
“আমি কেন শুধুমাত্র আপনার প্রোডাকশন হাউজ, ফ্যাশন হাউজের হয়ে কাজ করবো?”
“আমার ইচ্ছা তাই!”
“আশ্চর্য! আমি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী কেন চলতে যাবো? হু দ্যা হেল আর ইউ?”
“কাম ডাউন মিসেস সিয়ারা, জাস্ট কম ডাউন। আপনার আঙ্কেল পথে বসতে চলেছে সেই খবর কি আপনার কাছে নেই? আপনাদের প্রোডাকশন হাউজ যা যা সিনেমা রিলিজ করতে চলেছে আগামী কিছু দিনের মধ্যে সেই সিনেমার মধ্যে একটা সিনেমাও কোনো মাল্টিপ্লেক্স কিনবে না। এদিকে আপনাদের স্টুডিওটাও বিক্রি করে দিয়েছে আপনার আঙ্কেলের পি.এ. ওনার অজান্তে। ইভেন যা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেও মোটা অংকের টাকা আদায় করে নিয়ে ফেরার হয়ে গেছে সেই পি এ। এতদিন এর, ওর থেকে একপ্রকার ধার করেই আপনাদের চলছিলো কারণ যা টাকা ছিলো তার বেশির ভাগটাই তো সিনেমা, সিরিয়ালে ইনভেস্ট করে ফেলেছেন। অন্যদিকে কোম্পানিও লসে রান করছে। আপনাদের বাড়িটা নিলামে উঠতে চলেছে। এইসবের কিছুই আপনার আঙ্কেল আপনাকে জানায়নি, না জানিয়েছে ওনার ছেলেকে।”
“আর এইসব আপনি করেছেন তাই না?”
“সে কি? যে আপনাদের উপকার করতে চাইলো তাঁকেই আপনি দোষ দিচ্ছেন?”
“আধভিক কেন করছো এসব? প্রতিশোধ নিতে চাইছো তুমি তাই তো?”
সিয়ারা আর না পেরে কেঁদে উঠলো। সিয়ারা কেঁদে উঠতেই আধভিকের ঠোঁটের কোণে থাকা হাসি মলিন হয়ে গেলো। সিয়ারা অনুরোধ করলো,
“প্লিজ, প্লিজ আমার আঙ্কেলকে এসবের মধ্যে টেনোনা। তোমার যা প্রতিশোধ নেওয়ার, রাগ মেটানোর আমার উপর নাও আমি কিচ্ছু বলবো না। কিন্তু ওনার সাথে না, প্লিজ! হাত জোড় করছি আমি তোমার কাছে।”
আধভিক উঠে দাঁড়ালো। পকেটে হাত গুঁজে, সটান হয়ে বললো,
“আপনি চাইলেই আপনার আঙ্কেলকে এসবের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন। এক বছর! এক বছর আপনি শুধুমাত্র আমার হয়ে কাজ করবেন। অন্যান্য ক্ষেত্রে যা টাকা পেতেন তাঁর বেশি টাকা আমি আপনাকে দেবো। আর হ্যাঁ, আমি এসবের কিছুই জানি না। আপনাদের প্রোডাকশন হাউজ অন্য প্রোডাকশন হাউজের কাছে বিক্রি হয়ে গেছিলো। ড্যাড সেই প্রোডাকশন হাউজের থেকে আবার কিনে নিয়েছে, সে জানতো না আপনার সম্পর্কে। জানলে কখনওই কিনত না। উনি কিনেছিলেন কারণ আপনারা আমাদের কম্পিটিটর ছিলেন তাই এর চাইতে বেশি কিছুই না।”
“কি চাইছো টা কি তুমি? প্রতিশোধ নেওয়ার হলে উপকার কেন করছো? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।”
আধভিক নীরব রইলো সিয়ারার প্রশ্নের উত্তরে। কিছুক্ষণ পর সিয়ারার দিকে ফিরে বললো,
“আধভিক রায় চৌধুরী… ভালোবাসার মানে বুঝতো না সে। যখন বুঝেছে, যে বুঝিয়েছে তাঁকে শুধু পাগলের মতো ভালোবেসেই গেছে। সে শুধু ভালোবাসতেই জানে, প্রতিশোধ নিতে বা ছেড়ে যেতে জানে না। সে শুধু ভালোবাসার মানুষটাকে দিতেই জানে, তাঁর থেকে নিতে জানে না।”
আধভিক কথাটুকু বলে চলে যেতে নিলে সিয়ারা উঠে দাঁড়িয়ে আধভিকের হাত ধরে ওর নাম ধরে ডাকে। আধভিক পিছন ফিরে সিয়ারার দিকে তাকাবে তাঁর আগেই সিয়ারা পিছন থেকে আধভিককে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
“আই লাভ ইউ!”
আধভিক সিয়ারার হাতটা ছাড়িয়ে ওর দিকে ফিরে, ওর দু গালে হাত রেখে কপালে ঠোঁট ছোঁয়ালো।
“আধভিক!!”
আধভিকের ঘোর কাটলো সিয়ারার কথা শুনে। সে কিছুক্ষণের জন্য হঠাৎ করেই একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছিলো। আধভিক সিয়ারার চোখের দিকে তাকালে, নিজের সীমা ঠিক কতোটা তা মনে পরে যায় ওর।
“নাহ ভিকি নাহ! এটা তুই ভাবতে পারিস না। কিছুতেই না। এটা পাপ, অন্যায়।”
সিয়ারা এগোলে আধভিক পিছিয়ে যায়। আধভিকের ফোনে ফোন আসলে আধভিক ফোন রিসিভ করে বলে,
“আমি আসছি, আর একটু অপেক্ষা করো। একসাথেই ডিনার করবো।”
“আমার বোন কেমন আছে আধভিক?”
“আপনি যেমনটা চেয়েছিলেন তেমনটাই হয়েছে।”
আধভিক বেরিয়ে গেলে, সিয়ারা কাঁদতে কাঁদতে ওয়াশরুমে চলে যায়।
[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে 🥀]