কথা দিলাম 🌸❤️ ||পর্ব ~ ৯|| @কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

0
175

কথা দিলাম 🌸❤️
||পর্ব ~ ৯||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

হাতে গোনা কয়েকটা মানুষের উপস্থিতিসহ রাস্তার মাঝখান দিয়ে একজন দৌঁড়াচ্ছে, নিজের সর্বস্ব শক্তি দিয়ে। বলা যেতে পারে সে নিজের জীবন হাতে নিয়ে ছুটছে। কারণ তাঁর পিছনে আরও দুজন ছুটছে তাঁকে ধরবে বলে। একটা সময়ে ব্যক্তিটিকে সেই দুজন ধরে ফেললো এবং নীচে ফেলে দিলো মারবে বলে। দুজনের মধ্যে দিয়ে একজন বন্দুক বার করে তাক করতেই কেউ জানো হাতে পাথর ছুঁড়ে মারলো। ব্যক্তিটির হাত থেকে বন্দুক পরে গেলো এবং সে হাত দিয়ে চিৎকার করে উঠলো।

“আপনাদের সাহস তো কম না যে এরকম লোকালয়ে একজন কে খুন করতে এসেছেন?”

লোকগুলি একটি মেয়ের কণ্ঠস্বর শুনতে পেলো। মেয়েটি রেগে ওদের দিকেই তাকিয়ে আছে। মেয়েটিকে দেখে ওরা দুজন একে অপরের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে গেলে মেয়েটি আশে পাশে যে কয়েকজন লোক আছে তাঁদের কে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করে বললো,

“আপনারা কি মানুষ? আপনাদের চোখের সামনে একজনকে এরা খুব করতে যাচ্ছিলো আর আপনারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা দেখছিলেন? আমাকেই পুলিশে ফোন করতে হবে দেখছি।”

মেয়েটি পুলিশকে ফোন করতে গেলেই দেখে ওর সম্মুখে একজন ব্যক্তি এসে দাঁড়ালো। ব্যক্তিটিকে পা থেকে দেখা করা শুরু করে মাথা অবধি দেখতেই বুঝলো কম বয়সী একটি ছেলে। কিন্তু এমনভাবে ওর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে জানো বাঁধা দিতে চাইছে।

“দেখে তো আপনাকে জেন্টেলম্যান মনে হচ্ছে কিন্তু আমার মনে হয় আপনি এদের লিডার। তাই এদেরকে না আটকে আমাকে আটকাতে এসেছেন।”

মেয়েটি লক্ষ্য করলো ছেলেটি একভাবে মেয়েটিকে দেখছে। মেয়েটি একটু ভয় পেয়ে পিছিয়ে গিয়ে বললো,

“দেখুন? আমি কিন্তু পুলিশে ফোন করছি। এদের সাথে সাথে.. এ কি?”

মেয়েটি নিজের প্রথম বাক্য শেষ করার পর দেখলো ছেলেটি হাত তুলে থানার ইশারা করলো। সেই জন্য পিছন দিকে মেয়েটির নজর গেলে সে দেখে যেই ব্যক্তিটিকে ধাওয়া করা হচ্ছিলো সেই ব্যক্তিটি বন্দুক হাতে থাকা ব্যক্তিটির হাত ধরে দেখছে কোথায় লেগেছে। মেয়েটি অবাক হয়ে গেলো এটা দেখে। কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই একজনের গলার আওয়াজ পাওয়া গেলো,

“কাট, কাট, কাট! এরকম কোনো সিন কি ছিলো নাকি স্ক্রিপ্টে? আমার তো মনে পরছে না। আভাস বাবু? আমি কি কোনো সিন ভুলে গেছি?”

“আপনি কিছুই ভোলেননি মিস্টার সেন। এই মেয়েটি! এই মেয়েটি হুট করে শুটের মাঝখানে চলে এসেছে।”

“শ..শু..শুট?”

“হ্যাঁ গো মেয়ে। এখানে সিনেমার শুটিং চলছে। তাই তো আমরা দেখছিলাম সবাই। তুমিই তো তখন থেকে এসে যা নয় তাই বলে গেলে।”

একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা মেয়েটিকে উত্তর দিলে মেয়েটির মুখ একদম শুকিয়ে কাচুমাচু হয়ে যায়। ওর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটির দিকে তাকিয়ে দেখে ছেলেটি নিজের ব্লেজার বাম হাতের বাহুতে ভাঁজ করে রেখে, ডান হাত পকেটে গুঁজে ওর দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে। ছেলেটির চাহুনি দেখে মেয়েটি আরও লজ্জায় পরে গেলো। আমতা আমতা করে বললো,

“আ..আসলে আমি বুঝতে পারিনি। স..স্যরি!”

ছেলেটির কোনরকম কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। মেয়েটি ছেলেটির দিকে একবার তাকিয়ে আবারও বললো,

“পুরো বিষয়টা একদম বাস্তব মনে হচ্ছিলো। বোঝাই যাচ্ছিলো না এটা একটা সিনেমার শুটিং। হিহি, তাই তো আমি বুঝতে পারিনি। ও ডিরেক্টর কাকু! আপনি দারুন ডিরেক্টর বুঝলেন? আপনার এই সিনেমা ভীষণ হিট খাবে, যাকে বলে সুপার ডুপার হিট!”

ছেলেটিকে পাশ কাটিয়ে মেয়েটি ডিরেক্টরের উদ্দেশ্যে কথাটা বলার জন্য এগিয়ে গেলে, ছেলেটি মেয়েটির দিকে ঘুরে যায়।

“বলছো মামনি? সুপার ডুপার হিট হবে?”

“আজ্ঞে হ্যাঁ! বলছি মানে? লিখে দিচ্ছি আমি। আব, স্যরি দাদা! আমি না একদম বুঝতে পারিনি আপনারা অ্যাক্টিং করছিলেন। আপনাদের হাবভাব পুরোই অরিজিনাল মনে হচ্ছিলো, অ্যাক্টিং ভাবার অবকাশ পাইনি। আপনি হাতে একটু বরফ লাগিয়ে নিন প্লিজ।”

“আরে না, না ঠিক আছে বোন। বুঝতে পেরেছি তুমি বুঝতে পারনি।”

অন্যদিকে আভাস বাবু মেয়েটিকে দেখছেন এবং ওর দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবছেন,

“ব্যাস! হয়ে গেলো আমার ছেলেকে এদেশে রাখার পরিকল্পনা। সব ভেস্তে দিলো এই মেয়েটা। এক্ষুণি আমাকে বলবে, “ড্যাড! হোয়াট দ্যা হেল ইজ দিজ? ইন্ডিয়াতে এরকম শুটিংয়ের মাঝখানে লোকজন ঢুকে পরে? ওহ গড! অ্যাব্রড এর থেকে অনেক অনেক বেটার। আমি এখানে থাকছি না।” ধুর! কতো কষ্ট করে ছেলেটাকে মানালাম এখানে থাকার জন্য, কিন্তু নাহ! এই রে, এই আসছে এবার আমাকে কথা শোনাতে।”

“ড্যাড!”

“আমি তোমার জন্য আজকেই ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্লাইট বুক করতে বলে…

“হু ইজ শি ড্যাড?”

“হ্যাঁ কি?”

“হু ইজ শি ড্যাড?”

আভাস বাবু লক্ষ্য করলেন তাঁর ছেলে কথা তাঁর সাথে বলছে ঠিকই কিন্তু তাকিয়ে আছে ওই মেয়েটির দিকে। নিজের ছেলের চাহুনির মধ্যে তিনি মুগ্ধতা দেখতে পাচ্ছেন।

“একবার ওর চোখের দিকে দেখো, ও ঠিক কেমন সেটা ওর চোখ বলে দিচ্ছে। আর ওর ঠোঁট দুটো? ওর চুল যত না নড়ছে ওর ঠোঁট দুটো নড়ছে অনবরত।”

মেয়েটি হঠাৎ করেই হেসে ওঠে আর ছেলেটির চোখ, গলার আওয়াজসহ হৃদস্পন্দনও মনে হয় স্থির হয়ে যায়। সে সাথে সাথে বুকের বাম পাশে হাত রাখলে অনুভব করে, তাঁর হৃদস্পন্দন স্থির হয়নি। বরং চিতার গতিকেও হার মানাতে বসেছে। আভাস বাবু এইসব কিছুই লক্ষ্য করছেন। একবার নিজের ছেলের দিকে তাকাচ্ছেন আর একবার মেয়েটির দিকে। সে সময়ই মেয়েটি সবাইকে বলে দৌঁড়ে ওখান থেকে চলে গেলে ওনার ছেলেও মেয়েটির পিছু নিতে যায় কিন্তু আভাস বাবু ওর হাত টেনে ধরে,

“ভিকি? কোথায় যাচ্ছো তুমি?”

“আই ওয়ান্ট টু নো অ্যাবাউট হার ড্যাড! আই ওয়ান্ট টু নো হু শি ইজ?”

“ভিকি! তুমি কি ভুলে যাচ্ছো তোমার পরিচয়? তুমি “আধভিক রায় চৌধুরী!” আমার ছেলে, আভাস রায় চৌধুরীর ছেলে। আমার ছেলে হয়ে তুমি একটা মেয়ের…

“পরিচয় জানতে চাই। আমি নিজের পরিচয় জানি ড্যাড, তাই আমি ওর পরিচয় জানতে চাই। ও, ও এখনও যাইনি।”

আধভিক এগিয়ে গেলে দেখে মেয়েটি মোড়ের মাথায় পৌঁছেছে। মোড়ের মাথায় পৌঁছে অন্য রাস্তায় ঘুরে যাওয়ার আগে একবার পিছন ফিরে তাকিয়ে হালকা শব্দবিহীন হেসে সামনে ফিরে গেলে আধভিকের হৃদস্পন্দন আবারও বেড়ে গেলো। সে তো এটাই চাইছিলো, যে একবার মেয়েটি পিছন ফিরে তাকাক কিন্তু হাসিটা? ওটা উপরি পাওনা। আধভিক সাথে সাথে হাক দিলো,

“সোহম! এই মেয়েটা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য আমার চাই। অ্যাট এনি কস্ট!”

আভাস বাবু অবাক হয়ে নিজের ছেলের দিকে চেয়ে আছেন। উনি ভাবছেন এটা কি সত্যি তাঁর ছেলে আধভিক রায় চৌধুরী? যেই ছেলেকে উনি কখনও কোনো মেয়ে সম্পর্কে কথা বলতে শোনেননি সেখানে একটা মেয়ের সৌন্দর্যর বর্ণনা দিয়ে ফেললো? এও কি সম্ভব?

“ভিকি তুমি এখন বাড়ি চলো। আজকের জন্য প্যাক আপ!”

সবাই গোছগাছ শুরু করে গাড়িতে উঠে বসলেও আধভিক এখনও মেয়েটির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। আভাস বাবু আধভিককে বললেন,

“এখন ফিরে চলো ভিকি। সোহম মেয়েটির পরিচয় ঠিক খুঁজে বার করবে।”

আধভিক চলে যায় আভাস বাবুর সাথে। বাড়িতে যাওয়ার পরেও চোখের সামনে মেয়েটির মুখ, তাঁর কথা বলা, হাসি সব কিছু চোখের সামনে ভাসছে আধভিকের।

“ওহ গড! এটা কি হচ্ছে আমার সাথে? চোখ খুলে রাখছি তাতেও আমার ওর কথা মনে পরছে আর চোখ বন্ধ করলেও। কেন হচ্ছে এমন?”

আধভিক কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর নিজে নিজেই মুচকি হাসলো আর বললো,

“কি মিষ্টি ছিলো হাসিটা। আর ওর তাকানো? মাই গুডনেস বুকে এসে লেগেছে পুরো। ওহ নো আমি আবারও ওর কথা ভাবছি? উফ, কি করবো আমি এখন? পাগল হয়ে যাচ্ছি মনে হচ্ছে।”

আধভিক ধপাস করে পিছন দিকে শুয়ে পরে নিজের বিছানায় হাত ছড়িয়ে। মেয়েটির কথা বলা, হাসি, মেয়েটিকে নিয়ে ভাবতেই ভাবতেই সে ঘুমিয়ে পড়লো, ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি নিয়ে। এদিকে আভাস বাবু ছেলের এহেন অবস্থায় সত্যি চিন্তিত হয়ে পরলেন। নীচে নেমে এসে সোহমকে তলব করলেন।

“স্যার ডেকেছিলেন?”

“সোহম? হ্যাঁ, ডেকেছিলাম। বলছি, মেয়েটির খোঁজ পেলে?”

“না স্যার। এভাবে খোঁজ কীভাবে নেবো বলুন তো? না নাম জানি, না কোনো ছবি আছে।”

“কে বলেছে ছবি নেই? ও যখন শুটিংয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলো তখন ক্যামেরা চলছিলো। আমি বলছি মিস্টার সেনকে একটা স্টিল ছবি পাঠাতে।”

“হ্যাঁ স্যার এমনটা করলে তো খুবই ভালো হয়। কিন্তু স্যার বলছিলাম যে…আপনিও ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন যে?”

সোহমকে আমতা আমতা করতে দেখলে আভাস বাবু অবাক না হয়েই বলেন,

“কি করবো বলো? আমার ছেলে যে একটা মেয়ের জন্য এরকম পাগলামি শুরু করবে আমি ভাবিনি।”

“পাগলামি?”

“আজ্ঞে হ্যাঁ পাগলামি। যাও, উপরে গিয়ে দেখে আসো একবার ওর অবস্থা। একা একা খালি মেয়েটার সৌন্দর্যের বর্ণনা দিচ্ছে আর হাসছে।”

“যাই বলুন স্যার, মেয়েটা কিন্তু দেখতে ভীষণ সুন্দর। তাই না? মনে হচ্ছিলো জানো কোনো স্বর্গের অপ্সরী নেমে এসেছে।”

“এইবার তুমিও শুরু করলে?”

“আব, না না। এমনি বলছিলাম। তবে স্যার আমার মনে হয়, আধভিক স্যার বোধ হয় প্রেমে পরেছেন। ওই যে বলে না? লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট? ঐটাই।”

আভাস বাবু এইবার সোহমের দিকে কটমট করে তাকালে সোহম সুরসুর করে সরে যায় ওখান থেকে। সোহম চলে গেছে কি না সেটা আভাস বাবু আরেকটু ভালো ভাবে দেখে নিয়ে নিজে বিড়বিড় করে বলেন,

“সত্যি মেয়েটা দেখতে ভারী সুন্দর। হাসিটা খুব মিষ্টি। একবারে রূপে লক্ষ্মী যাকে বলে। আমার ছেলের সাথে ভালোই মানাবে। এতদিন যেমন পছন্দ করেনি তেমন যখন করেছে তখন যে সে মেয়ে পছন্দ করেনি আমার ছেলে। এবার শুধু দেখতে হবে শুধু রূপে যেমন লক্ষ্মী গুণে কি সরস্বতী? যাই আর দেরী না করে মিস্টার সেনকে ফোন করি। নাহলে মনে হয় লক্ষ্মীকে না পেয়ে নারায়ণ পাগলই হয়ে যাবে।”

দুদিন পর,

সোহম চুপ করে গাড়িতে সামনের সিটে বসে আছে মাথা নীচু করে। আড় চোখে আধভিককে দেখছে আবার চোখ নামিয়ে নিচ্ছে। আধভিক গুরু গম্ভীর ভাবে মাথা সিটে হেলিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে। সোহম সাহসও পাচ্ছে না কিছু বলার। সাহস পাবে কীভাবে? তাঁকে যেই কাজটা দেওয়া হয়েছিল সেটা এখনও করে উঠতে পারেনি। সে পারেনি মেয়েটির পরিচয় জেনে উঠতে।

“একটা কাজ দিলাম সেটাও ঠিক ভাবে করতে পারলে না। এখন আমার মুখের দিকে বারবার আড় চোখে তাকিয়ে কোনো লাভ আছে? তুমি কি করে বুঝবে আমার মনের অবস্থা।”

“কি করবো বলুন স্যার? আমি খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছি এখনও। এতো বড়ো একটা শহর খুঁজতে তো সময় লাগবে বলুন? নামটা জানলে অসুবিধা ছিলো না।”

“থাক! আর সাফাই গাইতে হবে না আমার কাছে।”

“বলছি স্যার, একটা কথা বলবো?”

“হম।”

“আপনি কি মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেলেছেন? মানে বিষয়টা কি লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট?”

সোহমের প্রশ্নে আধভিক উঠে বসে। এক গালে শব্দবিহীন হেসে বলে,

“ভালোবাসা? এই শব্দটার অর্থ আমি বুঝি না সোহম। আমি শুধু জানি ওই মেয়েটার তাকানোর কথা মনে পরলে আমার বুকে এসে লাগে। ওই মেয়েটার কথা বলার শব্দ আমার কানে বাজে। ওই মেয়েটার হাসি আমায় তৃপ্তি এনে দেয়। ওই মেয়েটার মুখটা আমার চোখের সামনে যখনই পুরোপুরি ভেসে ওঠে আমার হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যায়। আমি জানি না এই অনুভুতির নাম কি? আবেগ, মোহ, ভালোবাসা, এতো কিছুর মানে বুঝি না আমি আর বুঝতেও চাই না। আমি শুধু জানি ওই মেয়েটাকে পেলে আমি নিজেকে খুঁজে পাবো। আমি নিজের শেষ নিশ্বাস অবধি বাঁচতে চাই ওই মেয়েটার সাথে।”

সোহম হাসলো আধভিকের অবস্থা দেখে। খুব স্বাভাবিক আধভিকের এহেন আচরণ। প্রেম, ভালোবাসার অর্থ যে ছেলে বোঝে না সে তো এমন কথা বলবেই যখন সে সত্যি কাওকে ভালোবাসবে। এখন এই মেয়েটিই পারবে আধভিককে ভালোবাসার অর্থ বোঝাতে। জোরে বৃষ্টি নেমেছে বেশ কিছুক্ষণ হলো। এখন ঝোড়ো হাওয়া বইছে তাই সোহম ড্রাইভারকে বললো গাড়ির কাঁচ তুলে দেওয়ার জন্য। তৎক্ষণাৎ আধভিক আদেশ করলো,

“কাঁচ তুলবে না। গাড়ি থামাও এক্ষুণি! আই সেইড স্টপ দ্যা কার রাইট নাও!!”

ড্রাইভার তড়িঘড়ি গাড়ি সাইড করে দিলো। আধভিক জানলা দিয়ে দেখছে, মুষলধারে ঝরে পরা বৃষ্টির ছন্দের সাথে ছন্দ মিলাচ্ছে তাঁর মস্তিষ্ক, মন জুড়ে থাকা সেই রমণী। যাকে সে একবার দেখাতেই ঘায়েল হয়ে গেছে। আধভিকের দ্বারা তাঁকে চিনতে ভুল হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

“আমি পেয়েছি সোহম! আমি পেয়েছি আমার মানসিক তৃপ্তিকে খুঁজে নিতে। কতোটা স্নিগ্ধ সে, কতোটা প্রাণোচ্ছ্বল।”

আধভিক নেমে যায় গাড়ি থেকে। সোহমও ভালোভাবে চেয়ে দেখে এটা সেই দিনের মেয়েটিই। ড্রাইভার আধভিককে বাঁধা দিতে গেলে সোহম আটকে দেয়। আধভিক ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় মেয়েটির দিকে।

[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে 🥀]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here