#সুখ_পাখি
#Ayrah_Rahman
#part_10
__________________
তেমনি একদিন,
আরু নোট আনতে দিশা দের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো,
আরুদের বাড়ি থেকে ১০-১৫ মিনিট হাঁটলেই দিশাদের বাড়ি,
আরু সোজা হাঁটা শুরু করলো হঠাৎ পেছন থেকে কোন একটা বা’চ্চার কন্ঠ শুনতে পেলো, মনে হচ্ছে বাচ্চা টি আরুকেই ডাকছে,
আরু পিছনে ফিরে দেখে সেই পিচ্চি ছেলেটা দাড়িয়ে,
তবে পড়ানো শার্ট টা ময়লা নয় খুব ভালো একটা পোশাকে সে দাড়িয়ে আছে,
ছেলেটা ধীর পায়ে আরুর সামনে এসে দাড়ায়,,
” কিরে, বাচ্চা তোর নাম টা জেনো কি ছিলো?”
নবাব হাসি দিয়ে বলল,
” আরে ভাবি আপনি আমার নাম টাই ভুইলা গেলেন, আমার নাম নবাব গো নবাব”
” ওহ হ্যা মনে পড়েছে, তো নবাব কেমন আছিস?”
” আপনার দয়ায় ভালই আছি”
আরু ভ্রু কুচঁকে তাকালো,
“আমার দয়ায় মানে? আমি তো তোকে আজ কত দিন পরে দেখলাম ই আমার দয়ায় কিভাবে ভালো থাকবি?”
নবাব আবারো হাসি দিয়ে বলল,
“সেটা আপনার বুঝতে হবে না ভাবি, জানেন ভাবি ভাই না আমাকে স্কুলে ভর্তি করাইছে, নতুন নতুন জামা কাপড় কিন্না দিছে,ভাই না অনেক ভালা,ভাই আপনারে অনেনক ভালো বাসে”
আরু বিরক্তিকর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,
” ভাই?এই ভাই টা কে?”
” এটা তো বলা যাবে না,ভাই য়ের মানা আছে”
” বল না নবাব এই ভাইটা কে? যদি বলিস আমি তোকে আরু নতুন জামা কিনে দিবো”
নবাব বলে উঠলো,
” আমি যদি না বলি ভাই আমাকে আরো বেশি জামা কাপড় কিন্না দিবে
আইজকা আসি ভাবি আর ভাই আপনারে এই চিঠি ডা দিতে কইছে”
পকেট থেকে একটা চিঠি বের করে আরু হাতে দিয়ে নবার ভৌ দৌড়।
আরু চিঠিটা নিয়ে খানিক সময় দাঁড়িয়ে নিজেও দিশা দের বাড়ি যায়,
দিয়াদের বাড়ির ক্রলিং বেল বাজার খানিক পরে দিশার মা এসে দরজা খুলে,
” আসসালামু আলাইকুম মামনি”
দিশার মা আরুকে দেখে মুচকি হাসলো। মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল,
“ওয়ালাইকুম সালাম বাচ্চা, কেমন আছিস?”
আরু দাঁত কেলিয়া হেসে বলল,
” আমি তো বিন্দাস আছি, তোমার কি খবর?”
” আমিও ভালো,আয় ভেতরে আয়”
” হুম চলো, আর তোমার কাল নাগিনী মাইয়া কই গো?”
আরুর কথা শুনে দিশার মা হাসতে হাসতে বলল,
” দিশা তো ঘুমাচ্ছে, যা গিয়ে দেখ”
” আরররে এতো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি”
এতো দিন তুই আমার ঘুমের ১২ টা বাজাইছোস আজ তোর ঘুমের আমি ১৪ টা বাজামু,
আ’ম কামিং..
মনে মনে কথাটা বলেই আরু দিশার রুমের দিকে এগুলো।
দিশার রুমোর মাঝে আরু উকি মেরে দেখে দিশা উল্টো হয়ে ঘুমি য়ে আছে, আরু পা টিপে টিপে দিশার কাছে যায়,
দিশার পাশে বসে ওর মুখের দিকে তাকিয়েই আরুর মাথায় শয়তানির ভুত চাপে,
ড্রেসিং টেবিল থেকে একটা লিপস্টিক নিয়ে দিশার সারা মুখে মেখে দেয়, মানে জোকার সাজানোর বৃথা চেষ্টা,
আরু কাজ শেষ করে দিশার কিছু ছবি তুলে নিয়ে নেয়,
হঠাৎ দিশার ঘুম ভেঙ্গে যায়,সামনে আরুকে দেখতে পেয়ে সে উঠে বসতে বসতে বলল ,
“কিরে আরু এসময় তুই কি এখানে?”
আরু ইনোসেন্ট ফেস করে বলল,
“এমনিই, একটা নোট নিতে আসছি”
দিশা সন্দেহের দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,
” কি নোট?”
” ফিজিক্স ৩য় চাপ্টার ”
” ওহ আচ্ছা, বস দিচ্ছি ”
বলেই দিশা নোট বের করে আরোর হাতে দেয়,
দিশার চোখ যায় আরুর হাতের ওই কাগজ টার দিকে,
” কিরে কি কাগজ নিয়ে ঘুরিস”
আরু নিজের হাতে থাকা কাগজের দিকে তাকিয়ে বলল,
” আরে আর বলিস না পথে নবাব এর সাথে দেখা হয়েছিল, ওর ওই ভাই নাকি চিঠি দিসে”
” কই দেখি,বলেই দিশা আরুর হাত থেকে চিঠি টা নিয়ে দেখতে শুরু করে”
_____________________
চিঠিতে লেখা…..
” তোমাকে যখনই চেয়েছি
সত্তার অন্তরালে সংগোপনে
তখনই জেনেছি
আলো হয়ে আছো তুমি
…….. আমার আঁধারে”
_____________
” আরু এটা তো চিঠি না এটা একটা চিরকুট”
“- হুুম সেটাই তো দেখছি, বাট দিলো কে?”
দিশা চিন্তিত কন্ঠে বলল,
“নবাব কে জিজ্ঞেস করিস নি?”
আরু বিরস মুখে বলল,
“- করেছি কিন্তু লাভ হয়নি,ও কিছু বলে নি”
“তো আর কি করার,,আচ্ছা তুই বস আমি ফ্রেস হয়ে আসছি”
” হুম যা”
দিশা বাথরুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে যেই না আয়নার দিকে তাকাই,
এক চিৎকার দিয়ে আবার বের হয়ে যায়,
“- কিরে তোর আবার কি হলো?”
দিশা কাদো কাদো মুখে বলল,
“আআ আমার মুখে!”
আরু ঠোটঁ চেপে হেসে বলল
“কি তোর মুখে?”
দিশা আর কিছু না বলে সোজা ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে দেখে তার সারা মুখে লিপস্টিক এ চটকানো,
দিশা রাগী চোখে আরুর দিকে তাকায়,,
আরুকে আর পায় কে, এক দৌড়ে নিচে। দিশাও ফ্রেস হয়ে নিচে আসে,
দিশা কে দেখে আরু মুখ টিপে হাসছে,
,দিশা আরুর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে মায়ের কাছে যায়,,
” মা, আমি আর আরু বাইরে গেলাম”
“আরু তো কিছু খেলো না”
দিশা দাতেঁ দাতঁ চেপে বলল,
” খেতে হবে না, গেলাম আমরা”
বলেই দিশা আরুর হাত ধরে বাইরে বের করে আনে,
দিশা রাগী গলায় বলল,
“ওই ফ*কিন্নি তুই আমার মুখে লিপস্টিক মাখছিস কেন?”
আরু নিরলস ভঙ্গিতে বলে উঠলো,
“কেন আবার তুই সবসময় আমার ঘুমের ১২ টা বাজাস আজ সুযোগে সৎ ব্যবহার করছি, সিম্পল! ”
“তাই না! দাড়া তোর একদিন কি আমার ”
বলেই দিশা আরুকে দৌড়ানি দিলো
আরুও দৌড়,
_________________
হঠাৎ..
চলবে…
[ আজকের পর্বটা কেমন লাগলো জানাবেন প্লিজ ]