প্রমত্ত_অঙ্গনা #আরোহী_নুর ১০,১১

0
365

#প্রমত্ত_অঙ্গনা
#আরোহী_নুর
১০,১১

গাড়িতে বসে ফোন ঘাটছে আঁখি, তবে গাড়িতে বসে বেশ বি*র*ক্ত হচ্ছে আদৃত, ট্রাফিক ছাড়ার নাম নেই এদিকে নিজের মনকে শান্তনা প্রদানেও ব্যার্থ হচ্ছে সে,মায়ের এমন অবস্থা সম্পর্কে জেনে মা পাগল ছেলে কেমনেই বা ভালো থাকবে,বিরক্তিতে আশপাশ করছে আদৃত,হঠাৎই আদৃতের চোখ আটকা পরল পাশের গাড়ির উপর,প্রবল হাওয়া বইছে তখন,বৃষ্টি নামবে হয়ত তাই তার আগমণ বার্তা দিয়ে যাচ্ছে,সুন্দর এই লগনে সুন্দরী এক রমণীর চুল হাওয়াতে দুলছে,অনেকটা একপাশ হয়ে এক হাতে ফোন টিপছে ওপর হাতে চুলগুলো সামলাতে ব্যস্ত সে রমণী,চেহারার উপর থেকে চুল সরাতেই পারছে না এমন হাল, আদৃতের আঁখিযোগল স্থির হয়ে রয়ে গেল সেই রমণীর উপর,বুকটা ধুক ধুক করতে শুরু হলো তার,কেমন জানি চেনাজানা এক অনুভুতি তার শরীরে দোল খাইয়ে যাচ্ছে, সেই হাত, সেই চুল,তার পাশে থাকার সেই অনুভুতি, খা*প*ছা**ড়া বাতাস যে আজ আদৃতের বিপক্ষে যাবার পণ করে এসেছে, শত চেষ্টার পরও আদৃত নামক যুবক দেখতে সক্ষম হচ্ছে না সে রমণীর চেহারাখানা, আঁখির বাতাস বেশ পছন্দ, তাই ফোন রেখে বাতাসের দিকে– যে দিকটায় আদৃত বসে আছে সেদিকেই ফিরবে ঠিক তখনি ট্রাফিক ছেড়ে দিল,যাতে করে আদৃতের গাড়ি তার ড্রাইবার আগে ছেড়ে দেয়,আদৃত জানালা দিয়ে তারাতাড়ি বাহিরে দেখল সেই গাড়িটা আর খোঁজে পেলো না,নিরাশ হল আদৃত,সে কি সত্যিই আঁখি ছিল,তবে কি তার আঁখিকে এতো পাশে পেয়েও একবার নয়ন ভরে দেখার ভাগ্য ঝুটিয়ে উঠতে পারল না আদৃত।

আঁখি তার লয়্যারের সাথে কথা বলে নিয়েছে,ডিবোর্সের কাগজ ছিড়ে দিয়েছে আদ্রিশ যার ফলস্বরূপ তাদের এখনও ডিভোর্স হয় নি,তাই তাকে আবারও কাগজ বানাতে হবে নয়ত আদ্রিশকে তা করার জন্য বাধ্য করতে হবে,আর আদ্রিশ না মানলে তার উপর কে**স করবে ভেবে নিয়েছে আঁখি।

বাড়ি ফিরে মাকে সুস্থসবল দেখে বেশ রে**গে গেল আদৃত,মাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়েছে বলে তাকে বাড়িতে আনিয়ে নেওয়া হলো,মা তো ছেলেকে দেখে মহাখুশি, তবে বেশ নারাজ হলো আদৃত।

একটা লিমিট থাকে মা,তুমি জানো আমি কতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম,সব কাজ ফেলে চলে এসেছি, মনে কি কি দুঃশ্চিতা আসছিল আমার,এমন নাটক তুমি করাতে পারলে মা,আর বাবা তুমি,তুমি এতো বড় মিথ্যে নাটকে কিভাবে জড়াতে পারলে!তুমি জানো আমি মিথ্যে কতটা অপছন্দ করি।

তুই যে একদম দেশে আসতেই চাইছিলি না,তাই বাধ্য হয়ে আমাদের এমনটা করতে হয়েছে বাবা,মায়ের অনুভুতি তুই কি বুঝবি, মা কে ভালোবাসলে ছয় টা বছর এভাবে দূর দেশে পরে থাকতি না,আজ যদি সত্যিই হার্ট এ্যাটাক করে মারা যেতাম তবেই হয়ত ভালো হতো।

শায়েলা মির্জা আবেগে মিশ্রিত হয়ে কান্না করে কথাগুলো বলে গেলে তা বেশ আ**ঘা*ত করে আদৃতের মনে,ছুটে গিয়ে মাকে বুকে জড়িয়ে নেয় বলতে লাগে।

মা,আর কখনও এমন কথা বলবে না,আল্লাহ যেন আমার আগে আমার মা বাবাকে এই পৃথিবী থেকে না নেন।আমি সহ্য করতে পারব না।

পাগল ছেলে আমার,তোকে আল্লাহ যেন দীর্ঘজীবী করেন এটাই দোয়া চাই আমি প্রতি মোনাজাতে।ফিরে এসেছিস আর কখনও যাস নে এই মায়ের বুক খালি করে।

থেকে যাওয়ার কথায় বেশ ফিকে ভাব এলো আদ্রিশের চেহারায় তবে বর্তমানে এ নিয়ে আর কথা বাড়াল না আদৃত,ফ্রেস হবে বলে নিজ কক্ষের দিকে চলে গেল।

আজ কেন যেন বড্ড মনে পরছে আঁখির আদৃতের কথা,ছয় বছর পর আজ প্রথম এভাবে আবার আঁখি মনে করছে আদৃতকে,তবে কেন?ও তো আঁখির প্রাক্তন,ওকে তো ভুলে গেছে আঁখি,তাকে কেন মনে করবে?না সে তাকে মনে করবে না,তার জীবনে তো অন্য কেউ আছে,যাকে নিয়ে সুখে আছে সে,তার সুখের জন্যই তো আঁখি তাকে ছেড়ে চলে এলো,অন্য নারীর প্রেমে যে সে নিজের ভাগ বসাতে চায় নি,চায় নি সে রিদিকার মতো কারো ভালোবাসা কেড়ে নিতে,তাইতো চলে এসেছিল সেদিন,ভেঙে পরেছিল বড্ড,আদ্রিশ না থাকলে হয়ত সে প্রেমদ*হ*নের বেড়াজাল থেকে কখনও বেরুতে সক্ষম হতো না আঁখি,একজনকে ভুলতে অন্যজনের সাহারা নিতে গিয়ে তাকে মনে জায়গা দিয়ে গেল আঁখি,সেটা ছিল আঁখির জীবনের সবথেকে বড় এক ভুল,তখন সেই অবুজ মন যে এতো কিছু বোঝত না,ভুলের মা*শু*ল এভাবে দিতে হবে জানলে সে পথে পা বাড়াত না আঁখি কবুও,জীবনে কখনও কারো কাছে সাহারার খোঁজ করতে নেই,নিজেকে সামলে নেওয়া নিজেকেই শিখে নিতে হয়,দেরি করে হলেও আঁখি বুঝতে সক্ষম হয়ে গেছে বিষয়টা,আর সেই ভুল আঁখি আবার কখনও করবে না মস্তিষ্ক ও মনে গেঁথে নিয়েছে।

আদ্রিশ কাজে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিল, আজকে মনটা বেশ ফুরফুরে,আঁখির রাগ ভাঙাতে যাবে ভেবে নিয়েছে,ওকে তার কাছে নিয়ে আসবেই,আঁখি ছাড়া যে আদ্রিশ সব দিক থেকেই অচল,গতকাল রাত্রিতেও আঁখির স্মৃতি তাকে বড্ড বেশি বিরক্ত করেছে,তাই সকাল সকাল আঁখির দিদার করবে বলে বেড়িয়ে যাচ্ছে। রিদিকা হঠাৎ করে এসেই তাকে পিছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরল।

কাজে যাবে বুঝি?তার আগে আমাকে একটু আদর দিয়ে যাবে না?কই আঁখিকে তো কাজে যাওয়ার আগে রোজ তার কপাল ও গালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে যেতে,ও না চাইলে জো*র করে দিতে, আমাকে দিবে না?

আদ্রিশ ওকে নিজে থেকে ছাড়িয়ে সন্দেহ প্রবল দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল।

″তুমি আমার আর আঁখির উপর নজর রাখতে?″

″আদ্রিশের প্রশ্নে রিদিকা একপ্রকার বিষম খেল,তবুও নিজেকে সামলে উত্তর দিল।″

″ওই আসলে আঁখি বলেছিল এসব,এখন তো আমিও তোমার স্ত্রী আমাকেও দাও তেমনটা। ″

″দেখো রিদিকা আমি আগেও বলেছি আঁখি আর তুমি এক নও আমার জন্য।এ অভ্যেসটা আমার আঁখিকে নিয়ে আর সেটা আমি বদলাতে চাই না অন্য কারো সাথে।কোথাও যাওয়ার আগে আঁখির ছোঁয়া পেতেই মন বেশি করে চায়,প্রথম থেকেই ওর ছোঁয়ায় আমি আমার ব্যস্ত দিনের শুরুটা করে থাকি তাই তাতে অন্য কারো অবস্থান দিতে চাই না।রাগ করো না ময়নাপাখি, এই দেখো ভালোবেসে তো গালে হাত রেখেছি,খুশি হও নি?″

রিদিকা মুখ ভার করে দাঁড়িয়ে রইল, তাই আদ্রিশ এবার ওকে খুশি করতে নিজের বুকে জড়িয়ে নিল।

এবার তো খুশি?

খুশি না হলেও ধীমি স্বরে হুম বলে আদ্রিশকে সম্মতি দিল রিদিকা,আদ্রিশ এবার হাসিমুখে কক্ষের বাইরে চলে আসলো,নিচে এসে দেখতে পেল সাংবাদিক কলি এসে বসে আছে তার অপেক্ষায়।

″আরে কলি তুমি হঠাৎ?! এতদিন পর?″

″না এমনিই আসলাম আদ্রিশ,তোমার নতুন বিয়ের কথা শুনে আর নিজেকে আটকাতে পারলাম না,ভাবলাম দেখে যাই কে সেই অঙ্গনা যে আঁখির জায়গা নিতে সক্ষম হয়ে গেল,কার ক্ষমতা আমারও উর্ধ্বে চলে গেল।″

″আদ্রিশ কলির জবাবে কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না,তখনি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এল রিদিকা,কলি রিদিকাকে দেখে প্রশ্ন করল।″

″ও তোমার নতুন বউ না কি আদ্রিশ?″

″হুম″
কোনোরূপ জবাব দিলো আদ্রিশ,কলি এবার বেশ তাচ্ছিল্য নিয়ে বলল।

″হায়রে আঁখি,কি ফু**টা**নি ছিল না ওর তোমাকে নিয়ে।তুমিও তো কম না,আমাকে পাত্তাই দিতে না আর তলে তলে এতদূর,তা আমারও নাম্বার লাগতে পারে রিদিকার পর আশা করা যায় তাই না?হা হা হা।″

″কলি তুমি কিন্তু লিমিট ক্রস করছ।তোমার অভদ্রতার জন্য আমি বাধ্য হব তোমাকে অ*প*মা*ন করতে।″

″ও হ্যালো মি.আদ্রিশ,অ*প*মা*ন আপনারা যা করার করে নিয়েছেন,এখন না হয় আমার পালা,প্রস্তুত থাকবেন।আর হ্যাঁ আমার নাম্বার টা তো আছে,রিদিকা পরে কাউকে লাগলে কল মি।″

নি**ল**জ্জে*র মতো অঙ্গভঙ্গিতে কথাটা বলে চলে গেল কলি,রিদিকার বুকখানা বেশ মোচড় দিয়ে উঠল অন্য মেয়ের মুখে আদ্রিশের বিষয়ে এভাবে শুনে,তাই অন্য কোনো প্রতিক্রিয়া না করে আদ্রিশের দিকে কেমন এক অভিমানী ভঙ্গিতে তাকিয়ে রইল,আদ্রিশও যেন বোঝতে পারল তার চোখের বাণী,এগিয়ে গিয়ে রিদিকার হাত ধরে বলল।

আরে ওই মেয়েটা পা**গ*ল,বে**হা*য়া,ওর কথা মনে নিও না তো,আঁখির পর আমার জীবনে তুমি এলেও তোমার পর কেউ আসবে না প্রমিজ,এখন চলি কেমন।

কথাটা বলে আদ্রিশ চলে গেলো,তবে মনে পেলো না শান্তনা রিদিকা,ডাগর ডাগর চোখে জল জমা হলো মুহুর্তে।

আদৃতের মনে শান্তি এক মুহুর্তের জন্যও খেলা করে যেতে পারছে না, ট্রাফিকের ওই মুহুর্তটা ভুলতে পারছে না আদৃত,মনে উঠছে হরেক প্রশ্ন,সেই মেয়েটি কি সত্যিই আঁখি ছিল,ছয় বছর পর দেশে ফিরে আঁখির দিদার করার জন্য তার আঁখিযোগল যে বড্ড উঠে পরে লেগেগেছে।মনকে আর শান্ত রাখতে পারছে না,না সে তো আঁখির সামনে যাবে না,চায় না আঁখি তার সুন্দর জীবনে তি*ক্ত অতীতের ছায়ায় নিরাশতা ভোগ করুক,তাই নিজেকে সামলাতে আবারও নিজের ডায়েরি খুলল,আঁখির স্মৃতিতে বিভর থাকা ক্ষণগুলো যে সে ডায়েরিতেই ফুটিয়ে তুলে প্রায়,তাতেই যে মনে অল্প প্রশান্তি নিয়ে আসতে পারে।আজও তাই করতে চাইল,তবে লিখতে গিয়ে ডায়েরির শেষ পাতায় চলে এলো আদৃত,বেশ বিরক্ত করল আদৃতকে উক্ত দিক,প্রিয়সীকে নিয়ে ভালোবাসার মো*হি*ত ক্ষণে কোনোকিছুর কমতি সহ্য হয় না আদৃতের,তাই উঠে বেড়িয়ে গেল গাড়ি নিয়ে নতুন ডায়েরি আনার প্রয়োজনে।
সংসার আর হাসপাতাল দু’টোতে কেমন জানি গুলিয়ে গেছিল আঁখি, হাসপাতাল পরে তার সমস্ত সময় ছিল আদ্রিশের জন্য,তাই নিজের জন্য আলাদা সময় বের করার সুযোগ ছিল না তার,আদৃত জীবন থেকে চলে যাওয়ার পর ডায়েরি লিখাটা একরকম ছেড়েই দিয়েছিল আঁখি,আজ হঠাৎ করে ডায়েরি লিখতে মন চাইল আঁখির,একাকিত্ব জীবনের নতুন ক্ষণগুলো ফুটাবে তাতে ভাবনাটা মস্তিষ্কে নাড়া দিতেই চলে এলো একটা ডায়েরির খোঁজে,এটা ৬ বছর আগের সেই দোকান।সেখানে প্রবেশ করতেই পুরাতন স্মৃতি কেমন করে জানি মন নাড়িয়ে গেল,প্রবেশ করতেই আঁখির চোখ গেল একটা ডায়েরির উপর,হাত বাড়িয়ে সেটা আনবে তখনি সেটাতে অপরপাশ থেকেই অন্য একজন ধরে নিল।আচমকা টানে দু’জনই একে ওপরের দিকে তাকিয়ে স্থির হয়ে রইল,সেই চেহারা,সেই ব্যক্তিত্ব,সেই মনের অনুভুতি যা ছয় বছর আগে কোথাও হারিয়ে গেছিল।দু’জনেরই মুহুর্ত যে থমকে গেল এখানেই,নিজেরা নিজেদের দ্রুত গতির সেই বুকের কম্পন টা আজ আলাদা করে অনুভব করতে পারছে,পা**গ*ল করা সেই ধ্ব*ং**সা**ত্নক অনুভুতি দু’জনেরই চোখে প্রেম অ*ন*লে*র জোগান দিল,জল রূপে তা ভরে গেল নয়ন জুরে,বেড়িয়ে আসার উপক্রম হলো,ধরে আসা গলায়,থমকে যেতে চাওয়া অধরে দু’জনেই বাণী ফুটিয়ে নিল একে ওপরের নাম।

″ড.আদৃত!″

″আঁখি….!″

দু’জনের ধ্যান ভঙ্গ করে দোকানদার বলে উঠল।

আরে ভাইয়া আপু আপনারা!আজ এতবছর পরে আবারও দু’জন একসাথেই,সেদিনের ঘটনা আমি এখনও ভুলি নি,হা হা,তা আজকে কিন্তু এই ডায়েরির একটাই পিস রয়ে গেছে,যেকোনো একজনকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

দোকানদারের কথার প্রত্যুকারে আদৃতের দিকে দৃষ্টি প্রখড় রেখে আঁখি বলে উঠল।

ত্যাগ তো শুধু আঁখিই করে এসেছে,আর আজও করবে।

অতঃপর আঁখি ডায়েরিটা ছেড়ে দিয়ে ছুটে পালিয়ে আসলো সেখান থেকে,চোখের জলগুলো বাধাহীন হয়ে নেমে এলো।

আদৃত ভাবলেশহীন হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেও চোখ বেয়ে তারও অজস্র জল নেমে এলো।

চলবে………

প্রমত্ত অঙ্গনা
(১১)

আঁখি বাড়ি চলে গেল,চোখের জল আর বইতে দিলো না,য*ন্ত্র**না*কে গায়ে মাখিয়ে নিলো,নিজ কক্ষের কাভার্ড থেকে আদৃতকে নিয়ে লিখা ডায়েরিটাও স্টোররুমে নিয়ে গেলো নিজ হাতে,ওখানের একটা থাক এর উপর ডায়েরিটা রেখে দিলো খুব যত্ন সহকারে,অল্পক্ষণ ডায়েরিটার উপর দৃষ্টি স্থীর রেখে বলল।

আপনাকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি ড.আদৃত,আপনি জীবন থেকে চলে যাওয়ার পর নিজেকে গোছাতে অনেক সময় লেগেছে আমার,অনেক শ্রুম দিতে হয়েছে আমায় সে প্রচেষ্ঠায়,এতটাই ভে*ঙে পরেছিলাম যে নিজের প্রাণ ত্যাগ করার চিন্তা করতেও দ্বিধা বোধ করি নি,হ্যাঁ সেদিন ম*র*তে বসেছিলাম আমি তবে আদ্রিশ হয়ত নিজে ভে*ঙে চু*র*মা*র করবে বলে বাঁচিয়ে নিয়েছিল,আপনাকে ছাড়া কখনোই দ্বিতীয় জনের চিন্তা আমি করি নি আর না চেয়েছি তা করতে,আদ্রিশ তো মাতোহারা ছিল আমার প্রেমে,আমার নামে পা*গ*ল,বন্ধু হিসেবে ছায়ার মতো পাশে ছিল আমার সর্বক্ষণ, ভালো লাগত তাকে কিন্তু কখনও ভালোবাসার অনুভুতি আসে নি তাকে নি,ও তো ভালোবাসতে বাধ্য করেছিল আমায়,আমি তাকে ফিরিয়ে দিলে সে আমার প্রত্যাখ্যান সহ্য করতে না পেরে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছে, তখন ওর মধ্যে আমি নিজেকে দেখেছি,নিজের কষ্টটা উপলব্ধি করতে পেরেছি,ও আমাকে এতো বড় যন্ত্রণা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম করেছিল তাই আমি পারি নি সেই একই যন্ত্রণা ওকে ফিরিয়ে দিতে,জীবন তো আর থমকে থাকে না,ওর পাশে গেলে আমার মনের যন্ত্রণা অনেকটা কম থাকত,তাই নিজের যন্ত্রণা ভোলা আর তাকে সেই ক*ষ্টে*র বেড়াজালে পরতে না দেওয়ার প্রচেষ্ঠায় আমি এগিয়ে যাই জীবনে,ভেবেছিলাম আর কখনও কাউকে ভালোবাসব না,কাউকে জীবনে জরাবো না,ভাবনার বিরুদ্ধে গিয়ে জীবনে ভালোবাসার ফুল দ্বিতীয়বারও ফোটলো আমার।আদ্রিশের প্রতিদান দিতে গিয়ে নিজেকে দ্বিতীয় সুযোগ দিলাম আমি,ওর সাথে থাকতে গিয়ে,মন কে ওর সাথে মানিয়ে নিতে গিয়ে ভালোবাসার বেড়াজালে আবদ্ধ হলাম আবারও,মন ভাঙার কষ্ট দ্বিতীয়বার সহ্য করার ভয়ে ওর প্রেমে সব ত্যাগ স্বীকার করলাম,ওর হাত ধরে চলে আসলাম বহুদূর, তবে নিয়তি যে ঘুরিয়ে এনে সেই পী*ড়া*টা*ই আমাকে ফিরিয়ে দিল।কেন ছেড়ে চলে গেলেন আমায়?আজ আপনি থাকলে হয়ত এতো কিছু হতো না আমার সাথে,অনুভুতির মারপ্যাঁচে এভাবে গুলিয়ে যেতাম না আমি,কখনোই আদ্রিশ আসতো না আমার জীবনে,আর আমার এই পরিণতি মোটেও হতো না এরকম।

কথাগুলো বলে দীর্ঘ এক নিশ্বাস ত্যাগ করল আঁখি,চোখের অবাধ্য জল মুছে বলল আবার।

ছয় বছর পর আপনাকে এভাবে আবারও দেখতে পাবো ভাবি নি,তবে সত্যি বলতে কি জানেন?আপনাকে ছাড়া বাঁচতে শিখে গেছি আর আদ্রিশকে ছাড়াও এখন বাঁচতে শিখে নিতে হবে,এ জীবনে আর কখনও কাউকে জড়িয়ে নিব না,আপনারা ভালো থাকেন দূর থেকেই চাইব।

অতঃপর পুরনো সকল তিক্ত স্মৃতির ভার স্টোররুমের ভিতরে রেখে বাহির থেকে তালা দিল আঁখি,নিজ কক্ষের দিকে যেতে নিলে এক কাজের লোক এসে বলল।

″ম্যাম আদ্রিশ নামের কেউ আপনার সাথে দেখা করতে এসেছেন, আপনার সাথে দেখা করতে চান উনি।″

″ওকে বলো চলে যেতে আমি দেখা করতে চাই না ওর সাথে।গার্ডদের বলে দাও ও যাতে কোনোরুপ বাড়িতে ঢুকতে না পারে।″

কথাটা বলে আঁখি কক্ষে চলে এলো। আঁখির এতো পাশে এসেও তাকে এক পলক দেখতে পাওয়া ভাগ্যে জুটাতে পারল না আদ্রিশ,কাজের লোকের কথা অনুযায়ী গার্ডেরা তাকে বাড়িতে ঢুকতেই দিল না আদ্রিশের অনেক জোরাজুরির পরেও,রাস্তায় দাঁড়িয়ে অসহায়ের মতো ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে আঁখির বাড়ির দিকে তাকিয়ে আছে, কোথাও দিয়ে যদি আঁখির একটা জলক দেখতে পায়,বাড়ির বাইরে আদ্রিশ দাঁড়িয়ে আছে,আজ দু’দিন ধরে তাকে দেখে চোখ জোরায় না আঁখি,বুকটা কেমন আনচান করে,নিজের চোখগুলো যেন অবাধ্য হয়ে চায় এবার।হুট করেই তো কাউকে মন থেকে মুছে ফেলা যায় না সে যতোই ক্ষ*ত দিয়ে থাকুক না কেন!তাই মনের অল্প শান্তনার সন্ধানে বারান্দার একপাশে গিয়ে দাড়িয়ে বাহিরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল আঁখি যদি আদ্রিশের অগোচরে হলেও তাকে একনজর দেখার সুযোগ পায়।

আশটা নিয়ে বাহিরে তাকালে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল তার মন জুরে বসবাস করা সেই বি*শ্বা*স*ঘা*ত*ক পুরুষকে,বুকে চিন চিন ব্যাথা অনুভব করতে পারছে আঁখি,চোখ দিয়ে আবারও জল নেমেছে,অপেক্ষার অবসান ঘটে গেল আদ্রিশেরও,মনের সেই অসীম আকাঙ্খা এক নিমিষেই পুরণ হয়ে গেল,ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসির জলক ফুটে উঠল,তার হৃদহরণী–তার ফুলপরিকে সে অবশেষে দেখতে পেলো।আদ্রিশের সাথে চোখাচোখি হতেই সেখান থেকে পালিয়ে গেল আঁখি,নিরাশতা ছেঁয়ে গেল আদ্রিশের মনে,মুখের হাসিটা পলকেই উদাও হলো।দৃঢ় বিশ্বাসের সহিত বলল।

আমি জানি আঁখি,তুমি আমাকে ভালোবাসো,তার পরিধি কতোটুকু তা পরিমাপ করার ক্ষমতা আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কারো নেই,আমি জানি তুমি আমার থেকে দূরে থাকতে পারবে না,তোমাকে আমার কাছে ফিরে আসতেই হবে।আর তুমি আসবেই।

অনুভুতির তলে দমে পরে কাঁদছে আঁখি,আদ্রিশের সাথে কাটানো সুন্দর মুহুর্তগুলো আবারও চোখের সামনে আনাগোনা করতে শুরু হয়েছে,কান্নায় ভেঙে পরে বেশ চিৎকার করেই বলছে।

কেন আদ্রিশ কেন?কেন এমনটা করলে?
কেন? কেন এই জীবনে আসলে?আর কোন এভাবে ছেড়ে চলে গেলে?আমি তো তোমাকে জীবনে চাই নি,নিজে থেকে কেন আসলে আমায় আশ্রয় দিতে? আর কেন নিজে থেকেই আমার জায়গায় অপরকে বসিয়ে দিলে?এটাই কি ভালোবাসা ছিল তোমার আমার প্রতি?একসাথে কি দু’জনকে আদোও ভালোবাসা যায়?ওপরকেই যখন নিয়ে এলে তবে কেন এখন আমার পিছন পরে আছো?কিভাবে আশা করো, আমি তোমার পাশে অন্য কাউকে মেনে নিব!তা মেনে নিতে পারা কি খুব সহজ?অসাধ্য কিছু নয়?না আদ্রিশ তোমার পাশে কখনও কাউকে মেনে নিতে পারব না আমি,এতে তোমাকেও ছাড়তে দ্বিধা নেই আমার,যার শরীরে অন্য নারীর ছোঁয়া সে আর যাই হোক আমার হতে পারে না।

মধ্যরাতে ড্রি*ংক করে বাড়ি ফিরেছে কলি,হেলদোল খেয়ে এসে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে,ভাড়া এই বাড়িতে একা থাকে কলি,আজকে অতি খুশিতেই ড্রি*ংক করেছে সে,কারণ আগামীকাল সকালেই আঁখি আদ্রিশের উপর থেকে তার অপমানের শোধ তুলবে তাদের ব্যক্তিগত খবর ফাঁস করে,অতিরিক্ত খুশিতে মনের সুখে বিছানায় এসে ঢলে পরেছ শান্তির এক ঘুম দিবে বলে,এদিকে ঘরের বাতি বন্ধ করতে ভুলে গেছে সে,ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় উঠে আসে বাতি বন্ধ করার সুবিধার্থে কিন্তু সুইচে হাত দেওয়ার পূর্বেই পুরো ঘরে অন্ধকার ছেঁয়ে যায়,বিদ্যুৎ চলে গেছে ভাবে কলি,তখনি কক্ষে কারো উপস্থিতি টের পায় সে,বেশ ঘাবড়ে গিয়ে ফোনের টর্চ জ্বালতেই পিছন থেকে মাথায় ভারী কিছুর আঘাত পায় সে,মুখ থু*ব*ড়ে পরে ফ্লোরে,মাথায় হাত দিয়ে কোনোরুপ পাক ফিরে দেখার প্রচেষ্টা করতে লাগল সেই ঘা*ত**কারী ব্যক্তিকে,ফোনটা হাত থেকে ছিটকে পাশেই পরে গিয়েছিল তার,টর্চের আলোয় রুমটা অল্প প্রজলিত হলো,সেই আলোয় সে স্পষ্ট দেখতে পেলো কালো হুডি পরিহিত কেউ একজন তার সামনে দাঁড়িয়ে, মুখে কালো মাস্ক উপর থেকে অন্ধকার কম নয় তাই তাকে একদমই চিনতে পারছে না কলি,কালো হাতমোজায় আবৃত হাতে ধা*রা*লো একটা ছু*রি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কলির মনে বড্ড ভ*য় জোগান দিল,মৃ*ত্যু ভয়ে বুকের কম্পনের গতি বেড়ে গেল, কাঁপতে থাকা অধরে জিজ্ঞেস করল।

″কে তুমি?আমাকে কেন মা*র*ছো?″

″প্রমত্ত অঙ্গনা,তোর মৃ*ত্যু।″

″প্লিজ আমাকে মে*রো না,আমি তোমার কি ক্ষতি করেছি?″

″জবাবদিহি করা আমার পছন্দ না।″

কলিকে আর কিছু করার বা বলার সুযোগ না দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে টান দিয়ে ছু*রি চালিয়ে দিল সেই অঙ্গাত ব্যক্তি কলির গলা বরাবর।মৃ*ত্যু যন্ত্রণায় মোচড়াতে শুরু করল কলি।

ভেজা নয়নে রাতের আঁধারের ঘনত্ব নাপছে আদৃত,আজকের রাতে যে চাঁদটাও লুকিয়ে গেছে মেঘাতলে,তারারাও যেন আজ দেখা দিবে না পণ করেছে,খুটখুটে অন্ধকার এক রাত,ঠিক যেন আদৃতের জীবনেরই বাস্তবতা,চাঁদ ব্যতীত রাত যেমন ঘন অন্ধকার এক দুঃস্বপ্ন আঁখি ব্যতীত আদৃতের জীবনও যে ঠিক তাই ই।
আজ ৬ বছর পরে ভালোবাসার সেই মানুষটাকে এতো কাছ থেকে দেখে কোনোমতেই তার স্মৃতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছে না,চোখের জল থামার নামই কই নিতে চাইছে,বুকের হওয়া ব্যাথার পরিমাণ কাউকে বলে বোঝানোর সীমান্ত পেরিয়ে গেছে।অসীম এই পী*ড়া*র চাইতে তাৎক্ষণিক মৃ*ত্য*টা*ই হয়ত বেশ সহজ এমনটাই মনে হচ্ছে আদৃতের,বেঁচে থাকার সব আশই মরে গেছে তার,চেয়েও যে মরতে পারে না,মা বাবা দায়িত্ব আর দীনের কাছে বাঁধা পরে আছে যে আদৃত।তবে এভাবে বেঁচে থাকা মৃ*ত্যু যন্ত্রণার চাইতেও ভয়াবহ লাগে তার কাছে,রোজ প্রেমদ**হনে পোড়ে মর*তে হয় আদৃতকে,জীবন্ত লা*শ হয়ে বেঁচে থাকাই হয়ত তার কপালের লিখন,বাস্তব জীবনেও কেউ কারো ভালোবাসায় এতটা তলায় নিজে কাউকে ভালোবেসে এতটা গভীরে চলে না গেলে কখনোই তা মেনে নিত না আদ্রিশ।ভাবনার ফাঁকে হঠাৎ পাশে কারো উপস্থিতি পেয়ে তার অগোচরে চোখ মুছে নিল আদৃত,আদৃতের কাঁধে হাত রেখে বলল সিয়াম।

″জীবনের ৩০ বছর পার করে দিলি আদৃত,আজকাল তো ছেলেমেয়েরা ১৫ টা বছরও অপেক্ষা করতে পারে না,প্রেম ভালোবাসায় জড়িয়ে যায়,জীবনে নতুন মানুষের আগমণ ঘটায়,সেখানে জীবনের ৩০ টা বছর তুই একা পার করে দিলি।আঁখিও তো বিয়ে করে নিয়েছে,তোকে তো আঁখি পা*গ*লে*র মতো ভালোবাসত, জানিনা কেন তোকে ছেড়ে দিল,তাও তো নিজের জীবনে এগিয়ে গিয়েছে আঁখি,জীবন কারো জন্য আটকে থাকে না আদৃত,দ্বিতীয় সুযোগ জীবনকে কে না দিয়ে থাকে।দেখ আমিও তো মিতালি কে কতো ভালোবাসতাম,কিন্তু ও আমায় ধোঁকা দিলো,আমাকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখিয়ে চলে গেল অন্যের হাত ধরে,ও চলে যাবার পর কতোটা ভেঙে পরেছিলাম মনে আছে তোর?তারপর আমার জীবনে এলো ইশিকা,তাকে পেয়ে নতুন করে ভালোবাসতে শিখলাম,বাঁচতে শিখলাম আবারও,নিজেই তো তুই তোর বোনকে আমার হাতে তুলে দিলি,আজ আমাদের বিয়ের পাঁচটা বছর,দুইটা বাচ্চা হয়েছে আমাদের, সুখে সংসার করছি আমি।কই আমার জীবনে তো কোনো তিক্তটা রয়ে যায় নি। আমার কথা শোন এতবছর পর যখন দেশে ফিরেছিস তবে এবার বিয়েটা করে নে।নিজের জন্য না হলেও আব্বু আম্মু ইশিকা এদের সুখের কথা ভেবে নাহলে করে নে।″

″বিষয়টা তোর জন্য সহজ বলে মনে হলেও আমার জন্য মোটেও সহজ না সিয়াম,আমি জীবনে একজনকেই ভালোবেসেছি আর আমার সেই একজনকেই চাই,সে ব্যতীত জীবনে আমি চাইলেও কাউকে জড়াতে পারব না।মৃত্যুর আগ অব্দি আমি ওকেই চেয়ে যাব।আমি ওর জন্য বয়সের দোষ হতে পারি,হতে পারি ওর একসমকার আদম্য এক কৌতূহল, কিন্তু ও আমার কাছে আমার ভালোবাসা,আমার চাই তো শুধু ওকেই চাই,ও নয় তো কেউ নয়।″

″তুই আঁখির জন্য না তো ওর বয়সের দোষ ছিলি আর না তো কোনো কৌতূহল, আঁখিও তোকে ওতটাই ভালোবাসত যতটা তুই বাসিস,জানিনা আঁখি তোকে কেন ছেড়ে দিল তবে যতটুকু আমি জানি ওর ভালোবাসা তোর জন্য মিথ্যে বা কোনো মোহ ছিল না।″

″জানিনা কি ছিল,কেন আর কিভাবে,তবে এটাই সত্য ও জীবনে অনেক এগিয়ে গিয়েছে,ওর জীবনে এখন আমার আর কোনো অস্তিত্ব নেই,আর আমি ওর সুন্দর জীবনে ব্যাঘাত ঘটাব না,দূর থেকেই ওকে ভালোবেসে যাব,তুই প্লিজ যা এবার,আমায় একা থাকতে দে।আর সবাইকে জানিয়ে দিস আমাকে কেউ যেন বিয়ের জন্য জোর না করে।জানিনা কি করে বসবো।″

পরদিন,

স্যার আপনি বলেছিলেন শহরের বর্তমান সময়ের খ্যাত সার্জনদের লিস্ট আপনাকে দিতে,এখানে নামকরা ছয় জনই বেস্ট, এদের মধ্যে ডাক্তার আঁখি শীর্ষে অবস্থান করছেন,

আঁখি নামটা শুনা মাত্র ড.আশরাফ খান বুকে তী*রা*ঘা*ত অনুভব করলেন,অল্পক্ষণে চোখে বাসা বাঁধলো জল।অবাধ্য সন্তানের নামের অবস্থান দেখে খুশিতে আত্নহারা হবে না অগোচরে চোখের জল ফেলবে,না তার নামে তাচ্ছিল্যের কয়েকটা বাক্য জুরে দিবে কোনো কিছুরই সঠিক দিশা পেলেন না ড.আশরাফ খান।

লোকটা আরও বলল।

তাছাড়া ড.লিমন উনিও আঁখি ম্যাডামের বরাবরেই অবস্থান করছেন।ড.আদৃত উনি আমাদের এখান থেকেই ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন, দীর্ঘ ৬ বছর উনি আমেরিকাতে ছিলেন, সেখানেও উনি বেশ সফল ছিলেন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তাই উনাকেও লিস্টে রাখা হলো,উনি গতকাল সকালেই দেশে ফিরে এসেছেন।

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here