প্রিয়_অর্ধাঙ্গীনি #সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী #পর্ব_৩০ ,

0
305

#প্রিয়_অর্ধাঙ্গীনি
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী
#পর্ব_৩০
,
কারেন্ট চলে এসেছে প্রায় বেশ কিছুক্ষণ আগে। তবে বাগানের দিকটাই তেমন কোনো আলো আসে নাই। বাগান থেকে দূরে শশীদের বাড়িতে জ্বলতে থাকা আলোর রশ্মি দেখা যাচ্ছে। জোনাকি চলে যাওয়ার পর শশী আর ওই জায়গা থেকে এক চুলও নড়ে নাই। ভয়ে ওখানেই দাঁড়িয়ে আছে। না পাড়ছে পিছনে যেতে না পাড়ছে সামনে যেতে। অন্ধকারে পরনে থাকা হলুদ শাড়িটা হালকা জোছনার আলোতে বেশ চোখে লাগছে, ফোনটাও ঘরেই ফেলে এসেছে । শরীল টাও কেমন ভারি ভারি লাগছে যেনো শরীলে কোনো কিছু ভর করেছে। দূরের গাছগুলোও কেমন ভূতুড়ে লাগছে। যেনো মনে হচ্ছে এই এসে পিছন থেকে ঘাড় মটকে দেবে। চোখ বন্ধ করে মনে মনে দোয়া দরুদপাঠ করছে। সমুদ্র তো বলেছিলো ২ ঘন্টার মধ্যে চলে আসবে তাহলে এখনো আসছে না কেনো? নাকি ওনি আসবে নাহ৷ শশীর ভাবনার মাঝেই পিছন থেকে একটা ঠান্ডা ভারী হাত ওর কাঁধে পড়ল। সারা শরীলে কেমন একটা শিহরন বয়ে গেলো। চোখ দুটো বড় বড় করে পিছনে তাকাতেই ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে নিচে পড়ে গেলো।

জোনাকি এক দৌড়ে বাড়ি এসে উঠানে বসে পড়ল। জোড়ে জোড়ে হাঁপাচ্ছে, বাড়িতে মানুষের সমাগম সবাই কাজে ব্যাস্ত। হঠাৎ জোনাকি কে এভাবে দৌড়ে উঠানে পড়ে যেতে দেখে সবাই ওর কাছে আসলো। জামশেদ মেয়ের কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে আতংকিত গলায় জিগাস করল।

কি হয়ছে আম্মা আপনি এভাবে বসে পড়লেন কেনো ভয় পাইছেন?

বাবার গলা পেয়ে জোনাকি বাবার গলা জড়ায়ে ধরে ভয় ভয় গলায় বলল, আব্বা পানি খাবো।

পারভিন যলদি গ্লাসে পানি এনে জোনাকিকে দিতেই ঢকঢক করে পুরোটা পানি শেষ করলো। লিমা পাশে বসে জোনাকির দিকে তাকিয়ে বলল, তোকে তো শশীকে ডাকতে পাঠালাম তুই বাইরে থেকে আসলি কীভাবে? কোথায় গিয়েছিলি আর শশী কোথায়?

লিমার কথায় এবার জোনাকির হুশ ফিরলো ভয়ের জন্য শশীকে তো ওখানেই ছেড়ে এসেছে। জোনাকি শশীর কথা ভেবে কান্না করে দিলো অতঃপর কান্না করতে করতে বলল, আব্বা আপারে মনে হয় জ্বীনে নিয়া গেছে এতোক্ষণে।

মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে জামশেদ কিছুই বুঝতে পারলো নাহ। ভালো করে জিগাস করতেই জোনাকি বলা শুরু করল। আপা আমারে কইলো বাগানের দিকে যাবে ওখানে নাকি কি একটা কাজ আছে। তয় কাউরে বলা যাবে নাহ। শুধু গিয়েই চলে আসবে, তাই আমিও আপার সাথে গিছিলাম কিন্তু তখনি শহীদ চাচাদের আম গাছে জ্বীন দেখে আমি দৌড়ে চলে আসছি। আর আপা ওখানেই আছে এতোক্ষণে মনে হয় আপারে জ্বীনে নিয়া গেছে।

মেয়ের মুখে এমন কথাশুনে জামশেদ মাস্টার হাসবে নাকি মেয়েকে শাসন করবে এটাই ওনি ভেবে পাচ্ছে নাহ। পারভিন রেগে জোনাকির মাথায় একটা থাপ্পড় দিয়ে বলল, ওইটারে কতবার বললাম রাতে কোথাও না যেতে কিন্তু আমার কথা শুনলে তো সেই বেরিয়ে গেলো। যাক আমি আর কিছুই বলবো নাহ। আপনার মেয়েরা আমার একটা কথাও শোনে না যা ইচ্ছে করুক গিয়ে পরে ভালো খারাপ কিছু একটা হয়ে গেলে আমাকে বলতে আসবেন নাহ।

কথাগুলো বলে পারভিন রেগে চলে গেলো। জামশেদ মেয়ের থেকে মোবাইল টা নিয়ে বাকি আরো কয়েকজন কে নিয়ে শশীকে খুঁজতে গেলো৷ কেননা দিনকাল ভালো নাহ তারপর গ্রামে তো খারাপ মানুষের অভাব নেই। কিছু একটা হয়ে গেলে তখন আর কিছু করার থাকবে নাহ।
,,,,,,,,,,,,,

শশী জ্ঞান হারিয়ে সমুদ্রের বাহুতে পড়ে আছে। সমুদ্র হতভম্ব চোখে শশীর মুখের দিকে তাকিয়ে আবার আশেপাশে তাকালো না কেউ আসছে নাহ। গাড়িটা মেইন রাস্তার একপাশে দাঁড় করিয়ে ইমরান কে বসিয়ে রেখে এসেছে। সমুদ্রের বলা জায়গায় শশীকে না পেয়ে সমুদ্রর প্রথমে বেশ রাগ হয়েছিলো। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও যখন শশী আসলো নাহ তখন ফোন দিলো কিন্তু ফোনটাও কেউ ধরলো নাহ৷ এবার সমুদ্র ঠিক করলো সত্যি সত্যিই শশীদের ওখানে যাবে। মেয়েটাকে একটা শিক্ষা না দিলেই নয় এই মনোভাব নিয়ে সামনের দিকে যাচ্ছিলো। ক্লাবঘর পাড় হয়ে একটু যেতেই দেখলো হলুদ শাড়ি পড়া কেউ দাঁড়িয়ে আছে। সমুদ্র ভালো করে দেখল এটা শশী। আমি ওকে থাকতে বলেছি কোথায় আর মেয়েটা আছে কোথায়৷ কথাটা বলেই সমুদ্র পিছন থেকে এসে শশীর কাঁধে হাত রাখতেই শশী জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যেতে নিলে সমুদ্র দুইহাতে শশীকে আগলে নিলো।

এই মেয়ে চোখ খোলো শশী।

শশীর গালে হাত রেখে কয়েকবার থাবা দিলো সমুদ্র। শশী আস্তে করে এক চোখ খুলে দেখলো কোনো শক্তপোক্ত হাত ওর কমর জড়িয়ে আছে। জোছনার হালকা আলোয় শশী সমুদ্র কে দেখতেই দুহাতে শক্ত করে সমুদ্র কে জড়িয়ে ধরল।

আপনি? আমি আরো ভাবলাম সত্যিই জ্বীন। আরো আগে আসতে পারলেন নাহ আর একটু হলে তো ভয়েই মরেই যেতাম আমি।

আচ্ছা এখন ছাড়ো এখন তো আমি চলে এসেছি ভয় নেই। এমন ভাবে ধরেছো যেনো পারলে আমার বুকের মধ্যে চলে যাবে।

সমুদ্রের কথাশুনে শশী ওকে ছেড়ে দিয়ে দূরে গিয়ে দাঁড়ালো ব্যাপারটা সমুদ্রের মোটেও পছন্দ হলো নাহ। শশীর পিছনের দিকে তাকিয়ে চোখ মুখ কুঁচকে বলল, আরে লম্বা মতন ওটা কী?

কথাটা শুনতেই শশী দ্রুত দুজনের মাঝের দূরত্ব ঘুচিয়ে সমুদ্রের গায়ের সাথে লেগে দাঁড়ালো। কই কি? আমি তো কিছু দেখতে পাচ্ছি নাহ।

হয়ত চলে গেছে। কথাটা বলে সমুদ্র শশীর দিকে তাকালো এই প্রথমবার শশীকে শাড়ি পড়া দেখছে। ছোটোখাটো নরম শরীলে কাঁচা হলুদ শাড়িটা বেশ মানিয়েছে। একদম পুতুল পুতুল লাগছে। সমুদ্র এভাবে শশীর দিকে তাকিয়ে থাকা দেখে শশী লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে সরে যেতে গেলে সমুদ্র বাঁ হাতে শশীর কমর চেপে নিজের বুকের সাথে লাগিয়ে দাঁড় করিয়ে বলল।

দূরে যেও নাহ এভাবেই থাকো নয়ত বলা যায় না সত্যি সতিই জ্বীন এসে তোমাকে নিয়ে যাবে তখন কিন্তু আর চাইলেও ফিরে আসতে পারবে নাহ।

শশী সমুদ্রের বুক থেকে বিড়ালের মতো মুখ বের করে সমুদ্রের দিকে তাকালো। ও বেশ ভালোই বুঝতে পারছে সমুদ্র ওর সাথে মজা করছে। শশী কিছু বলতে যেতেই দেখলো দূরে বেশ কিছু আলো ওদের দিকেই আসছে। সমুদ্র আস্তে করে শশীকে ছেড়ে দিয়ে ওর হাত ধরে পাশাপাশি দাঁড়ালো। সমুদ্র ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষণ ওদিকে তাকালো বেগতিক দেখলেই ব্যাবস্হা নিতে হবে। কেবলি পকেট থেকে ফোনটা বের করবে তখনি দেখলো শশীর বাবা কাকা আর কয়েকজন ওদের দিকেই আসছে সাথে জোনাকিও আছে। সমুদ্র রেগে দাঁতে দাঁত চেপে শশীর দিকে তাকিয়ে বলল।

তোমাদের বাড়িতে আর কেউ ছিলো নাহ? শুধু এই কয়জন আসলো কেনো পুরো হিজলতলীর সবাই কে নিয়ে আসলেই তো ভালো হতো। আসতে বলেছি একা আর গাধী গুষ্টিশুদ্ধ সবাইকে নিয়ে আসছে।

শশী সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে একটু হাসার চেষ্টা করে মুখ নামিয়ে জোনাকির দিকে রাগী চোখে তাকালো।এতোক্ষণে সবাই ওদের কাছে চলে এসেছে। জোনাকি সমুদ্র কে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে। জামশেদ সমুদ্র কে এভাবে দেখে বেশ বিব্রত হলো তবুও সৌজন্যে রক্ষাতে বলল, একি তুমি এখানে? না মানে এই সময়।

সমুদ্রের এবার রাগের থেকে বেশি বিরক্ত লাগছে। বিয়ের আগের দিন রাতে এভাবে হুবু বউয়ের সাথে দেখা করতে এসে শশুরের কাছে ধরা পড়া বেশ লজ্জা জনক। তবুও নিজেকে ঠিক রেখে বলল, এইদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম শশী বলল দেখা করে যেতে এই জন্যই আর কী।

সমুদ্রের কথা শুনে শশী চোখ বড় বড় করে সমুদ্রের দিকে তাকালো। কি মিথ্যাবাদী রে রাত দুপুরে ডাহা মিথ্যা কথা বলছে। নিজেই আমাকে আসতে বলে এখন বলে কিনা আমি বলেছি। কথাগুলো মনে মনে বলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকল শশী। মেয়ের দিকে বেশ কড়া চোখে তাকালেন ওনি তবে কিছু বলল নাহ৷ পিছন থেকে শশীর কাকা হাসি মুখে এগিয়ে এসে সমুদ্রের সাথে কথা বলল।

আরে বোকা মেয়ে এটা বাড়িতে বলে আসলেই তো হতো আমরা শুধু শুধু চিন্তা করছিলাম। আর সমুদ্র এতোটা যখন এসেই গেছো তখন আর একটু কষ্ট করে বাড়ি উপর চলো বাবা।

না না আংকেল এখন আর যাবো নাহ ঢাকায় ফিরতে বেশি রাত হয়ে যাবে।

আরে বেশি সমস্যা হলে না হয় আজকে থেকেই গেলে আর কোনো কথা নয় এসোতো।

কথাগুলো বলে সমুদ্রের হাত টেনে নিয়ে সামনের দিকে চলে গেলো।সমুদ্র যাওয়ার আগে শশীর দিকে গরম চোখে তাকিয়ে চলে গেলো।

এসো।

গম্ভীর কন্ঠে কথাটা বলে হাঁটতে লাগল জামশেদ। শশী জোনাকির মাথায় থাপ্পড় দিতে দিতে বলল, তোরে করতে বলেছি কি আর তুই করলি কি।

আরে আমায় মারছিস কেনো আমি কি জানতাম নাকি যে সমুদ্র ভাইয়া আসবে। আমিতো আরো ভয়ে ছিলাম যে জ্বীন বোধহয় তোকে নিয়েই গেছে।

জোনাকির কথা শুনে শশী আবারো ওর মাথায় থাপ্পড় দিতে দিতে হাঁটতে লাগল এখন বাড়ি গেলে সবাই ওকে লজ্জা দিবে৷ যেটার ভয় ছিলো ঠিক সেটাই হলো।
,,,,,,,,,,,
এই তাহলে জোনাকির বলা জ্বীন, বাহ বেশ দেখতে তো হায়, জ্বীন যদি এতো সুন্দর হয় তাহলে আমি রাতের বেলা চুল ছেড়ে বাগানে যেতে রাজি।

সমুদ্র কে দেখে লিমাসহ শশীর আরো কয়েকটা বোন কথাগুলো বলল। শশী লজ্জায় কিছু বলতে পারলো নাহ দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো। এদিকে সমুদ্র পড়েছে বিপাকে সবাই মিলে বসিয়ে বিয়ের আগেই জামাই আদর শুরু করে দিয়েছে। খাওয়া দাওয়া শেষে একটু বিশ্রাম এর জন্য সমুদ্র কে একটা রুমে বসতে দেওয়া হলো। রুমে ঢুকেই লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে বিছানায় বসে পড়ল সমুদ্র। চোখ বন্ধ করে খাটে হেলান দিয়ে বসে আছে তখনি শশীর বোনরা সবাই মিলে শশীকে ধরে রুমের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলো। ওপাশ থেকে তো কেউ একজন বলেই বসল,

বিয়ের আগেই হাফ বাসর করে নেন দুলাভাই এমন সুযোগ কিন্তু সবাই পাই নাহ। বেশি নাহ বিশ মিনিট সময় পাবেন এর মধ্যে যা করার করেন তারপর কিন্তু আমরা দরজা খুলে ভিতরে চলে আসবো।

শশী লজ্জায় কয়েকবার দরজায় ধাক্কা দিলো তবে কেউ খুললো নাহ। সমুদ্র ততক্ষণে চোখ খুলে শশীর দিকে তাকিয়েছে। বিছানা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পরনের শার্টটা টেনে সোজা করে শশীর দিকে এগিয়ে এসে দাঁড়ালো দু হাত বুকে গুঁজে বলল।

তাহলে এই ছিলো তোমার মনে।

সমুদ্রের কথা শশী বুঝতে না পেরে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, মানে?

মানে এই যে হাফ বাসর। আমি তোমাকে দেখা করার জন্য ডাকলাম আর তুমি কি না সরাসরি হাফ বাসর করার প্লান করে ফেললে? কি সাংঘাতিক মেয়ে তুমি৷ বাসর করার জন্য দেখি তর সইছে নাহ। চলো তাহলে শুরু করি?

কথাটা বলে সমুদ্র বাঁকা হেসে শশীর দিকে এগিয়ে আসলো শশী পিছিয়ে গিয়ে দরজার সাথে লেগে দাঁড়িয়ে বলল, দেখুন আমি কিছু করিনি সত্যি বলছি।

শশীর কথা কে শোনে সমুদ্র একদম শশীর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বাঁ হাতে ওর কমর জড়িয়ে ধরে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো। অতঃপর ডান হাতে শশীর কপাল থেকে চুল সরিয়ে কানের পিঠে গুঁজে দিয়ে মুখে বাড়িয়ে শশীর কপালে গাড়ো করে চুমু খেলো। শশী চোখ বন্ধ করে সমুদ্রের বুকের কাছের শার্ট মুটো করে ধরে আছে। নরম গোলাপি ঠোঁট দুটো কাঁপছে। সমুদ্র করুণ চোখে সেদিকে তাকালো যেনো ওগুলো ওকেই ডাকছে। সমুদ্র নিজের মুখটা শশীর মুখের আরো নিকটে নিয়ে গেলো নাকের সাথে নাক লেগে আছে। শশী সমানে কাঁপছে সমুদ্র আরো শক্ত করে শশীর কমড়টা চেপে ধরলো। যেনো সত্যি নিজের বুকের সাথে শশীকে পিশে ফেলবে,তারপর নিজের শুষ্ক ঠোঁট টা শশীর নরম ঠোঁটের সাথে আলতো করে মিলিয়ে দিয়ে চুমু খেয়ে শশীর কানে ফিসফিস করে বলল।

বাকিটা না হয় কালকে রাতেই হবে আমি কিন্তু কোনো বাঁধা মানবো নাহ।

কথাটা বলে শশীকে ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে এলো শশী এখনো দরজার সাথে লেগে চোখ বন্ধ করে বড়বড় শ্বাস নিচ্ছে। এই মুহুর্তে চোখ খুলে সমুদ্রের চোখে চোখ মিলানোর মতো সাহস নেই ওর। সমুদ্র দূরে দাঁড়িয়ে শশীর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। তখনি দরজা খুলে গেলো শশী যেহেতু দরজার সাথে লেগে দাঁড়িয়ে ছিলো এই জন্য দরজা খুলতেই পড়ে যেতে নিলো। ওমনি বাইরে যারা ছিলো তারা শশীকে ধরে ফেলল। শশী তখনো চোখ বন্ধ করে আছে শরীলের সব ভর ওদের হাতের উপর ছেড়ে দেওয়া। লিমা অবাক হয়ে শশীর দিকে তাকিয়ে জিগাস করলো একিরে তোর এই অবস্থা কেনো? কি হয়েছে?

শশী চোখ বন্ধ করেই মুচকি হেসে বলল, আমি শেষ আপু।

#চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here