স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ #সাদিয়া_জাহান_উম্মি #পর্বঃ১৬

0
434

#স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পর্বঃ১৬
মাথা নিচু করে বসে আছে আরাবী।নিজের বিষ্ময় আর অবাকতার রেশ কাটাতে পারছে না মেয়েটা।ভয়ে বুকের ভেতরটা কাঁপছে ভীষণভাবে।নিহান সাহেব অল্প কয়েকটা প্রশ্ন করলেন আরাবীকে। কাঁপা স্বরে প্রশ্নের জবাবগুলো দিলো আরাবী।
এইবার এক পর্যায়ে নিহান সাহেব বললেন,
‘ জিহাদ ভাই সাহেব এইবার ওদের দুজনকে আলাদাভাবে কথা বলতে দিলে ভালো মনে করছি আমি।’

জিহাদ সাহেব সম্মতি দিলেন তার কথায়।বললেন,
‘ আরাবী মা যাও তোমার রুমে নিয়ে যাও।দুজনের দুজনের সম্পর্কে আরও কিছু জানার থাকলে জিজ্ঞেস করে নিও।’

আরাবীর ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছে।জায়ানের সাথে একা রুমে যাবে ও?লোকটা নিশ্চয়ই ওর উপর রেগে আছে।যেই রাগ লোকটার।রাগের মাথায় যদি ওকে থাপ্প’ড় মেরে ওর দাঁত ফেলে দেয়? তখন কি করবে আরাবী?নিজের এলোমেলো ভাবনা নিয়েই উঠে দাঁড়ালো আরাবী।ছোট্টো আওয়াজে বলে,
‘ আ..আসুন।’

আরাবীর পেছন পেছন জায়ানও চলল।আরাবীর থেকে একমুহূর্তের জন্যেও ছেলেটা চোখ সরায়নি।রুমে আসতেই জায়ান ফট করে দরজা আটকে দিলো।দরজা আটকানোর আওয়াজে শক্ত হয়ে গেলো আরাবী।আরাবীর রুমটা বসার ঘর থেকে একটু কোণায়। তাই এদিকে ওতোটা খেয়াল নেই কারোর।
জায়ান প্যান্টের পকেটে হাত গুজে শান্ত চোখে আরাবীকে পর্যবেক্ষণ করছে।আরাবী কাঁপা স্বরে বলে,
‘ দ…দরজা আটকালেন কেন?’

জায়ানের গম্ভীর কণ্ঠের জবাব,
‘ তো? এখন কি শশুড়মশাইকে লাইভ টেলিকাস্টে দেখাবো যে, কিভাবে তার মেয়ের জামাই তার মেয়ের সাথে রোমান্স করবে?’

থেমে থেমে আরাবী বলল,
‘ কি বলছেন এসব?আর কে মেয়ের জামাই?’
‘ কেন আমি।আমাকে কি তোমার চোখে পরে না?আর তাছাড়া আমি ছাড়া তোমার দিকে চোখ তুলে যে তাকাবে আমি জায়ান কি তাকে আস্ত রাখব নাকি?রোমান্স তো বহু দূরের ভাবনা।’

জায়ানের মুখে ওকে বলা তুমি ডাক শুনে।হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলো আরাবীর।তবে সেদিকে ধ্যান দিলে হবে না। ওকে এখন থেকে বের হতে হবে।আরাবী এদিক সেদিক বাচার পথ খুঁজছে।বলে,
‘ এটা ঠিক করছেন না আপনি।আমি এই বিয়ে করব না।আমি এখনই গিয়ে বাবাকে মানা করে দিবো।’

আরাবীর মুখে এমন কথা শুনে রেগে গেলো জায়ান।বড়ো বড়ো কদমে একেবারে আরাবীর সামনে এসে দাঁড়ালো।ভড়কে গেলো আরাবী।তাকে আরও ভড়কে দিতে জায়ান আরাবীর দু বাহু শক্ত হাতে চেপে ধরল।আরাবীকে টেনে ওর মুখোমুখি আনলো। আরাবী জায়ানের থেকে লম্বায় অনেক ছোটো। তাই জায়ান একটু ঝুকলো আরাবীর দিকে। এরপর চোয়াল শক্ত করে দাঁতেদাঁত চিপে বলে,
‘ আমাকে রাগাবে না আরাবী।আই স্যুয়ের আরাবী আমাকে আর একটুও যদি রাগাও তুমি। তাহলে তোমার এই মুখ আমি কামড়ে লাল করে দিবো।তখন দেখব তুমি এই মুখ নিয়ে বাহিরে কিভাবে যাও।’

জায়ানের এহেন রূপের সাথে মোটেও পরিচিত না আরাবী।জায়ানের এসব কথা শুনে দমবন্ধ হয়ে আসছে আরাবীর।ও চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে জায়ানের দিকে।এদিকে জায়ান ভীষণ রেগে গিয়েছে।ও আরাবীর দু বাহু ঝাকিয়ে বলে উঠে,
‘ কেন এমন করছ তুমি?কি কারনে আমাকে বিয়ে করবে না?বলো?বলো আমাকে।আন্সার মি ড্যাম ইট।’

আরাবীর দু বাহু ঝটকা মেরে ছেড়ে দিলো জায়ান।তারপর পকেট থেকে আরাবীর দেওয়া রিজাইন লেটারটা বের করে রাগি গলায় বলে,
‘ রিজাইন লেটার দেও তুমি আমাকে।হাও ডেয়ার ইয়্যু।এই সাহস তোমাকে কে দিয়েছে।আমাকে না জানিয়ে রিজাইন লেটার লেখার সাহস তুমি কিভাবে পাও?যখন আমি এই লেটারটা পড়েছি নাহ?ইচ্ছে করেছিলো তোমাকে কে’টে টুকরো টুকরো করে ফেলতে।এই মেয়ে,কেন বুঝো না আমি ভালোবাসি তোমাকে।পাগলের মতো ভালোবাসি।ঠিক ততোটা ভালোবাসি।যতোটা ভালোবাসলে এর বেশি আর ভালোবাসা যায় নাহ।’

জায়ানের মুখে ভালোবাসি কথাটা শুনে কেঁপে উঠল আরাবী।শিহরণ বয়ে গেলো ওর দেহ জুড়ে।অন্যরকম একটা অনুভূতি এসে যেন দোলা দিয়ে গেলো আরাবীর মনে।
এদিকে জায়ান জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে।নিজের রাগটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে সে।নাহ,এভাবে রেগে গেলে হবে না।ওর কাঠগোলাপ যে ভীষণ আদুরে একটা ফুল।যেই ফুলকে মনের গভীরে খুব যত্নে রেখে দিতে হয়।ওর সাথে রাগ দেখানো না।বরংচ তার কাঠগোলাপ হলো ভালোবাসার মানুষ তার।জায়ান চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত করে নিলো।কিয়ৎক্ষণ পর চোখ মেলে রিজাইন লেটারটা ছিড়ে ফেলল।টুকরো টুকরো অংশগুলো ময়লার ঝুড়িতে ফেলে এগিয়ে গেলো আরাবীর দিকে।আরাবী পিছিয়ে যাওয়ার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।কিন্তু জায়ান তা হতে দিলো তো?জায়ান আলতো স্পর্শে আরাবীর দুগালে হাত রাখল।চমকে উঠল আরাবী।ভয়ংকরভাবে কেঁপে উঠল শরীর।জায়ান নরম চোখে আরাবীর দিকে তাকিয়ে।আদুরে কণ্ঠে বলে উঠে,
‘ আমাকে ভালোবাসা যায় না আরাবী?কেন এভাবে আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছ।সহ্য হচ্ছে না আমার এসব।আমি ম’রে যাবো আরাবী। আমার তোমাকে চাই।বলো না আরাবী কেন তুমি আমার থেকে দূরে যেতে চাইছ?আমি সব ঠিক করে দেব।’
‘ আপনার ভালোর জন্যেই করছি। ‘

দৃঢ় কণ্ঠ আরাবীর।সে নিজেকে শক্ত করছে।যেভাবেই হোক জায়ানকে বোঝাতে হবে।এটা জায়ানের মোহ।যা একদিন শেষ হয়ে যাবে।তখন লোকটা আফসোস করবে ওকে বিয়ে করে।আরাবী আবার বলে উঠে,
‘ এটা আমার প্রতি আপনার মোহ মি.সাফওয়ান জায়ান সাখাওয়াত। সময়ের সাথে সাথে একদিন এই মোহ কেটে যাবে।এইযে আপনি আমায় এখন ভালোবাসি ভালোবাসি বলে মুখে ফ্যানা তুলে ফেলছেন।সেই আপনিই এমনদিন আসবে আমাকে আপবার বিরক্তিকর মনে হবে।’

জায়ান চোয়াল শক্ত করে বলে,
‘ তুমি কি আমাকে বাচ্চা মনে করছ আরাবী?কোনটা মোহ আর কোনটা ভালোবাসা আমি কি বুঝব নাহ?আমার ভালোবাসাকে এইভাবে তুমি অপমান করতে পারো না আরাবী।’

আরাবী তাচ্ছিল্য হাসল।বলল,
‘ অপমান করছি না।বাস্তবতা শেখাচ্ছি আপনাকে। আপনি একবার নিজেকে দেখুন।এরপর আমায় দেখুন।আপনার সাথে আমাকে মানায় না।কোথায় আপনি আর কোথায় আমি।আপনার সব আছে সব। চোখের পলকে আপনার জন্যে হাজার হাজার মেয়ে হাজির হয়ে যাবে।আর আমি?আমার কাছে কিছুই নেই।নাহ রূপ,নাহ গুন,নাহ অর্থ আর না সম্পদ।কিছুই নেই।তাহলে কেন আমার মতো একটা মেয়ের জন্যে এমন পাগলামি করছেন?’

জায়ান শক্ত কণ্ঠে বলে উঠল,
‘ আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমার এই রূপ,এইগুন,অর্থ সম্পদ এইসব দিয়ে আমি কি করব?আর মানুষের রূপ লাবন্য কতোদিন থাকে আরাবী?এইযে আমার এই সাদা চামড়াটা দেখে তুমি আমায় সুন্দর বলছ।একদিন আমার এইসব কিছুই থাকবে না আরাবী।আমি যদি তোমার স্বামি হই।তবে তখন কি তুমি আমায় ফেলে দিবে?’

আরাবী চুপ করে রইলো।আরাবীর নিরবতা দেখে হাসে জায়ান।বলে,
‘ কি জবাব দিচ্ছ না যে?কি নেই তো কোনো জবাব? নিজেকে কেন এতো ছোটো মনে করো আরাবী।নিজেকে ভালোবাসতে শিখো আরাবী।তোমাকে আল্লাহ্ যেমন বামিয়েছেন তাকে নিজের দূর্বলতা নাহ।নিজের শক্তি মনে করো।আর আমি তো থাকব আরাবী তোমার পাশে আজীবন।একবার ভড়সা করে আমার হাতটি আঁকড়ে ধরেই দেখো আরাবী।প্রমিস করছি এই হাত নিজের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত যত্ন করে আগলে রাখব।’

আরাবী জায়ানের এই আবেগময় কথা শুনে কেন যেন নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না।ধুকরে কেঁদে উঠল মেয়েটা।কাঁদতে কাঁদতে বলে,
‘ আমার যে ভয় করে ভীষণ ভয় করে।ছোটো থেকে এই পর্যন্ত আমার এই গায়ের রঙ নিয়ে মানুষ সারাটাজীবন তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছে।তারা বলত,এই মেয়েকে কে বিয়ে করবে?কিভাবে বিয়ে দিবে তার বাবা মা এই মেয়েক।যৌতুক লাগবে অনেক। আরে এই মেয়ে ফর্সা হওয়ার ক্রিম লাগাতে পারো নাহ? এসব শুনতে শুনতে আমার সোশ্যাল ফোবিয়া হয়ে যায়।চিকিৎসার পর ভালো হয়ে গেলেও।এই ভয়টা কাটিয়ে উঠতে পারিনি এখনও।আমি কালো আমাকে বিয়ে করলে মানুষ যেমন আপনাকে কথা শোনাবে।তার থেকে বেশি আমাকে আর আমার পরিবারকে শুনতে হবে। যা আমি শুনতে চাই না।কোনোদিন চাই না। ‘

আরাবীর কান্না যেন সহ্য হচ্ছে না জায়ানের।ওই চোখ থেকে ঝরে পরা একেকটা অশ্রু ফোটা যেন জায়ানের বুকে সুইয়ের মিতো বিধছে।জায়ান আরাবীর কাছে এগিয়ে আসল। আরাবীর হাত দুটো নিজের হাতের মাঝে নিয়ে বলে,
‘ মানুষ তো কতোকিছুই বলে আরাবী।তাই বলে তাদের কথার কারনে কি আমরা পিছিয়ে যাব?শ্বাস নেওয়া ছেড়ে দিব?এই সমাজ বদলাবে না আরাবী।বদলাতে হবে আমাদের।তাদের কথায় কেন কষ্ট পাও? কে হয় তারা তোমার?তোমার বাবা,মা আর ভাই কি কখনও বলেছে তুমি অসুন্দর?বলো?’

আরাবী মাথা দুলালো। তা দেখে জায়ান বলে,
‘ বলেনি তো?তো বাহিরের ওইসব মানুষদের কথায় কেন কষ্ট পাও তুমি?আর তাদের ভয়ে তুমি আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছ।আই কান্ট স্ট্যান্ড ইট এট ওল।তুমি যদি নিজেকে একবার আমার চোখ দিয়ে দেখতে আরাবী।বুঝতে পারতে আমার কাছে ঠিক কতোটা সুন্দর তুমি।আমার ভালোবাসা।আমার শুভ্রময়ী #স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ তুমি।’

জায়ানের প্রতিটা কথা যেন আরাবীর বুকে তুফান উঠিয়ে দিচ্ছে।হৃদস্পন্দনের গতি দ্রুততম। এভাবে কেউ তাকে কোনোদিন এতোটা সুন্দরভাবে ভালোবেসে ডাকেনি।ওর বাবা,মা আর ভাই ছাড়া।কেউ বলেনি আরাবী তুমি অনেক সুন্দর।আরাবী জায়ানের সমুদ্রের গভীর চোখজোড়ার দিকে তাকালো।জায়ানের চোখে স্পষ্ট নিজের জন্যে একরাশ মুগ্ধতা আর অসীম ভালোবাসা দেখতে পেলো আরাবী। তবে কি এইবার সত্যি সত্যি আল্লাহ্ তায়ালা ওর কাছে এমন একজনকে পাঠিয়েছেন।যে ওকে ওর মতো করেই ভালোবাসবে?আরাবীর যেন বিশ্বাস হচ্ছে না ওর সামনে দাঁড়ানো এই অতি সুদর্শন লোকটা নাকি ওকে পাগলের মতো ভালোবাসে।সত্যিই কি আরাবী এতোটা ভাগ্যবতী?
‘ আরাবী?’

জায়ানের ডাকে হুশ ফিরে আরাবীর।জায়ান পকেট থেকে একটা ছোট্টো টেডি বিয়ার বের করল।একেবারেই ছোটো। হাতের মুঠোতে নিতে পারবে এমন।আরাবী চমকে উঠল। এই টেডিবিয়ারটা সে এক শপিংমলে দেখেছিলো। টেডিবিয়ারটা ভীষণ পছন্দ হয়েছিলো আরাবীর।কিন্তু দোকানদার এইটার সাইজ অনুযায়ী দামটা অনেক বেশি চেয়েছিলো।আবার ওর কাছে ওতো টাকাও ছিলো না।তাই আর কিনতে পারিনি।আজ জায়ানের হাতে টেডি বিয়ারটা দেখে বেশ অবাক হয়েছে।জায়ান আরাবীর দিকে শান্ত চোখে তাকিয়ে আছে।সেইভাবেই তাকিয়ে ধীর আওয়াজে বলে উঠে,
‘ আরাবী তুমি আমার হৃদয়ের বাগানে ফুটে ওঠা অতি সুন্দর এক কাঠগোলাপ।যেই কাঠগোলাপকে আমি সারাজীবনের জন্যে নিজের করে পেতে চাই।তাকে যত্ন করে মনের মাঝে আগলে রাখতে চাই।আমি হাত বাড়িয়ে আছি আরাবী।শুধু বিশ্বাস করে একটুখানি ভালোবাসো আমায়।বিনিময়ে আমার হৃদয়টা তোমার কাছে সপে দিবো।যে হৃদয় কখনও ফিরিয়ে নেবার নয়।এই গোটা আমিটাকে তোমায় দিয়ে দিব আরাবী।তুমি আমার হও আরাবী।উইল ইয়্যু মেরি মি কাঠগোলাপ?’

আরাবীর চোখ ভড়ে উঠল।এইযে এতো সুন্দরভাবে যে ভালোবাসা নিয়ে এসে তার কাছে ভালোবাসার আবদার করে তাকে কি ফিরিয়ে দেওয়া যায়?যায় নাহ।আরাবীও পারল না। জায়ানের হাত থেকে টেডি বিয়ারটা নিয়ে জায়ানের বুকের বা পাশে কপাল ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে রইলো আরাবী।আরাবীর এহেন কান্ডে জায়ানের মুখে হাসি ফুটে উঠল।নিরবতাই যে সম্মতির লক্ষণ।তা জায়ান ভালোভাবেই জানে।জায়ান আরাবীর মাথায় হাত রাখল।আরাবী ভেজা কন্ঠে বলে,
‘ এই আমিটাকে সামলে নিয়েন।’

বিনিময়ে জায়ান ফিসফিস করে বলে,
‘ আজ থেকে সামলে নিলাম আরাবী।ভালোবাসি কাঠগোলাপ।ভীষণ ভালোবাসি।আমাকে বিশ্বাস করে আমার হাতটা আঁকড়ে ধরার জন্যে শুকরিয়া তোমায়।’

#চলবে__________
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here