স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ #সাদিয়া_জাহান_উম্মি #পর্বঃ০৭

0
411

#স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পর্বঃ০৭
আজ বেশ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছে আরাবী।তারাহুরো করছে বেশ।মেয়ের এমন তারাহুরো দেখে লিপি বেগম বলে উঠলেন,
‘ এতো হুরোহুরি করিস না তো আরু।সেদিন নাহয় জ্যাম লেগেছিলো আর বৃষ্টি ছিলো।আজ কিছু হবে না।তুই একটু ধীরেসুস্থে নাস্তাটা করে নেহ তো।’

আরাবী দৌড়ে এলো ডায়নিং রুমে।এসেই ডায়নিং টেবিলে বসল।এরপর দুটো পরোটা খেলো,দুধ চা দিয়ে।তাও আবার ইচ্ছেমতো চিনি দেওয়া চা।ওর খাওয়ার মাঝেই ফাহিম আসল।আজ ফাহিমই নিয়ে যাবে বোনকে।আরাবী খেতে দেখেই নাক-মুখ কুচকালো।বলল,
‘ তোর এই খাওয়া দেখলে আমার মেজাজ খারাপ হয়।এমনিতেই খায় দুধ চা।তাও আবার এতো এতো চিনি দিয়ে সকাল সকাল এসব খাওয়া কি শরীরের জন্যে ভালো?’

আরাবী ভেংচি কাটলো ফাহিমকে।তারপর বলল,
‘ তুমি তোমার ওই ঘাস পাতা আর কি যেন আছে ওইগুলা তুমি খাও।আমি এগুলাই খাবো।’
‘ এসব খেয়ে কি কোনো লাভ হয়?নিজের শরীরের দিকে একবার তাকা। মনে তো বাতাসের সাথে উঁড়ে যাবি।’

আরাবী আর কিছু বলল না। মুখ ফুলিয়ে রাখল।ফাহিম নিজের নাস্তা খেয়ে উঠে দাঁড়ালো।জিহাদ সাহেব এখনও উঠেননি।তার শরীরটা গতকাল রাতে একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।তাই তিনি এখনও ঘুমোচ্ছেন।
ফাহিমকে উঠতে দেখে আরাবীও উঠে চলে গেলো রুমে।তারপর ঝটপট একটা কালো রঙের সেলোয়ার স্যুট পরে নিলো।চুলগুলো সুন্দরভাবে আঁচড়ে বেনি করে নিলো ঢিলেঢালা ভাবে।তারপর ওড়নাটা দিয়ে সুন্দরভাবে মাথায় কাপড় দিয়ে নিলো।হালকা একটু সান্স ক্রিম দিয়ে নিলো।চোখে কাজল দিলো আর ঠোঁটে লিপগ্লস দিয়ে নিলো।এর মাঝেই ফাহিমের ডাক এসে পরল।আরাবী আয়নায় নিজেকে আর একবার দেখে নিয়ে তারপর ছুটে চলে গেলো।লিপি বেগমকে বলে তারপর জিহাদ সাহেবের কাছে গিয়ে উনাকে একবার দেখে নিলো।এরপর ঝটপট বাহিরে এসে ফাহিমের বাইকের পিছনে উঠে বসল।মাঝপথে এসেই জ্যামে আটকে পরল তারা।তবে ভাগ্য ভালো।সেদিনের মতো এতো সময় ধরে জ্যাম ছিলো না।আধাঘন্টার মাঝেই জ্যাম ছেড়ে দিলো।তারপর খুব দ্রুতই ওরা কাঙ্খিত স্থানে এসে পৌছে গেলো।আরাবী বাইক থেকে নামতেই ফাহিম বলল,
‘ তুই বললে আমি আজ কোচিং-এ যাবো না।এখানেই থাকি। তোর ইন্টারভিউ শেষ হলে তোকে নিয়ে একেবারে যাবো।’

আরাবী মুচঁকি হেসে বলে,
‘ ভাইয়া তুমি যাও তো।আমি ঠিক আছি।আর আমার ইন্টারভিউ শেষ হলে।আমি তোমাকে ফোন করে জানাবো।তখন নাহয় তুমি এসে আমাকে নিয়ে যেও।’

ফাহিম লম্বা শ্বাস ফেলল।তারপর পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে আরাবীকে এক হাজার টাকার নোট এগিয়ে দিয়ে বলে,
‘ টাকাটা রাখ।দরকারে কাজে লাগবে।’
‘ কিন্তু আমার কাছে টাকা আছে।’
‘ বেশি কথা বলিস না না তো আরু।দিয়েছি টাকাটা চুপচাপ নিবি।’

আরাবী টাকাটা হাতে নিলো।তারপর ফাহিম আরাবীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বাইক স্টার্ট দিয়ে দিলো।ঠিক তখনই একটা কালো রঙের গাড়ি এসে থামলো সেখানে।আরাবী একবার তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো।এদিকে ফাহিমও আরাবীকে সাবধানে থাকতে বলে চলে গেলো।
আরাবী ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে ফাহিমকে বিদায় জানিয়ে দিল।এদিকে সেদিনের দারোয়ানটা এসে দাঁড়ালো আরাবীর সামনে।তারপর বলে,
‘ আপামনি একটু সরে দাঁড়ান।স্যার আইছেন।উনি ভেতরে যাইবো।’

আরাবী বিনাবাক্যে সরে দাঁড়ালো।দারোয়ান গিয়ে গেইট খুলে দিতেই গাড়িটি ভেতরে প্রবেশ করল।এরপর সেই গাড়ি থেকে বের হলো মি. সাফওয়ান জায়ান সাখাওয়াত। সে গাড়ি থেকে বের হতেই তীক্ষ্ণ চোখে তাকালো আরাবীর দিকে। এদিকে আরাবী সেদিনের ওই লোকটাকে দেখে চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছে।মুখটাও হা করে খোলা।এই দারোয়ান চাচা এই লোকটাকেই কি স্যার বলে সম্বোধন করছিলো?আর লোকটাই বা এমনভাবে তাকাচ্ছে কেন ওর দিকে?যেন ওকে খেয়ে ফেলবে?নাকি সেদিনের জন্যে এখনও ওর উপর রেগে আছে।এদিকে জায়ান আরাবীকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিয়ে অফিসের ভেতরে চলে গেলো।
কিছুক্ষণ পর আরাবী নিজেকে সামলে নিলো।তারপর দারোয়ানের উদ্দেশ্যে ধীরে বলল,
‘ চাচা এইযে লোকটা ভেতরে গিয়েছেন।তাকেই কি আপনি স্যার বলে সম্বোধন করেছিলেন?’

দারোয়ান চাচা আরাবীর কথা শুনে তার পান খেয়ে লাল হয়ে যাওয়া ঠোঁট নাড়িয়ে বলেন,
‘ আরে হো আপামনি।ইনিই তো এই কোম্পানির মালিক নিহান সাখাওয়াতের একমাত্র ছেলে সাফওয়ান জায়ান সাখাওয়াত। ‘

এটা শুনে যেন আরাবী যেন আসমান থেকে পরল।আগেরবারের চেয়ে চোখজোড়া দ্বিগুণ বড়ো করে ফেলল।
বিরবির করে বলে উঠল,
‘ হায় সর্বনাষ! দুনিয়াতে আর কেউ ছিলো না।এই লোকটার সাথেই সেদিনের ওই ঘটনা ঘটতে হলো? এখন কি হবে তার? এই লোকটা কি কোনোদিন তাকে চাকরি দিবে?মুহূর্তেই আরাবী মুখটা কাঁদো কাঁদো হয়ে গেলো।ঠোঁট উল্টে আবারও অফিসের দিকে তাকালো।তারপর ভাবল যা হবার হবে।তা পরে দেখা যাবে।এখন ভেতরে যাওয়া যাক।
আরাবী ভীতরে যেতেই দেখল সেখানে ম্যানেজার আগেই দাঁড়িয়ে আছে। আরাবী যেতেই তিনি বলেন,
‘ ম্যাম আপনি আমার সাথে আসুন।’

আরাবী বেশ অবাক হলো।হঠাৎ ম্যানেজারের এতো নমনীয় কথাবার্তা শুনে।তারপরেও কিছু বলল না।চুপচাপ ম্যানেজারের সাথে চলল।এদিকে একটা রুমের সামনে এসে দুবার দরজায় টোকা দিলো।বলল,
‘ স্যার?ম্যামকে নিয়ে এসেছি।’
‘ লেট হার ইন।’

ম্যানেজার এইবার সরে দাঁড়ালো। বলল,
‘ ম্যাম আপনি ভেতরে যান।’

ম্যানেজার চলে গেলেন।এইদিকে আরাবী প্রচন্ড নার্ভাস।কই এর আগেও তো তিনটে কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিয়েছে। ওগুলোর সময় তো এমন লাগেনি। তাহলে এখন কেন এমন লাগছে।আরাবী জোড়ে জোড়ে দুবার শ্বাস নিলো।তারপর আল্লাহ্’র নাম নিয়ে। দরজায় টোকা দিয়ে বলল,
‘ আ`ম কামিং ইন।’

এরপর আরাবী রুমটায় প্রবেশ করল।ভেতরে আসতেই সবার আগেই আরাবী দৃষ্টি চলে যায় জায়ানের দিকে।এদিকে জায়ান চেয়ারে হেলান দিয়ে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে।আরাবী চোখ সরিয়ে নিলো।লোকটার চোখজোড়া অদ্ভুত।ওই চোখের দিকে তাকালে আরাবী শরীর শিরশির করে উঠে।আরাবী জায়ানের দিক থেকে চোখ সরিয়ে খেয়াল করল। ওখানে আরেকজন ছেলেও আছে।আরাবী খুব নম্রভাবে বলে উঠল,
‘ আসসালামু আলাইকুম স্যার।’

আরাবী সালাম দিতেই জায়ান আর ইফতি সালামের জবাব দিলো।জায়ান গম্ভীর কণ্ঠে বলে,
‘ হেভ অ্যা সিট।’

আরাবী ধীরেসুস্থে বসল।প্রচন্ড অস্থিরতায় আরাবী ওড়না আঙুলে প্যাচাতে লাগল। বিষয়টা খেয়াল করেছে জায়ান।অবশ্য ওর চোখজোড়া তো এক সেকেন্ডের জন্যেও সরেনি আরাবীর উপর থেকে।জায়ান শান্ত কণ্ঠে বলল,
‘ দেয়ের ইস নাথিং টু বি সো নার্ভাস।উই উইল জাস্ট আস্ক ইয়্যু অ্যা ফিউ সিম্পল কুয়েশ্চেস।ইয়্যু উইল গিভ আজ দ্যা কারেক্ট আন্সার।’
‘ আ`ম ফাইন স্যার।’

এরপর জায়ান আর ওর সাথে ছিলো ইফতি। দুজনে টুকাটুকি সহজ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করল। অবশ্য জায়ানই সব প্রশ্নগুলো করেছে। ইফতি তো সুযোগই পায়নি।
প্রশ্নগুলোর উত্তর জায়ান বেশ ভালোভাবেই দিতে পারল।
সবকিছু শেষ হলে জায়ান ঠান্ডা গলায় বলে উঠল,
‘ দ্যা আন্সারস ওয়ের ভেরি গুড এন্ড ওরগানাইযড।ইয়্যুর কোয়ালিকেশন্স আর ওলসো গুড।সো উই ওফারড ইয়্যু দ্যা জব।ইয়্যু উইল ওয়ার্ক এস মাই পারসোনাল সেক্রেটারি।ইয়্যু উইল জয়েন দ্যা অফিস ফ্রোম টুমোরো।’

আরাবীর যেন নিজের কানকেই বিশ্বাস হচ্ছিলো না।অবশেষে সে জবটা পেয়েই গেলো তবে?কিন্তু এভাবে যে আজকেই জবটা পেয়ে যাবে সেটা ভাবেনি আরাবী।অন্যসব কোম্পানিগুলো তো এখনও ভালোমন্দ কিছু জানায়নি ওকে।আর এখানে আজকেই ইন্টারভিউ দিতে আসল।আর আজকেই তারা ওকে চাকরি দিয়ে দিলো?ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুত লাগল।তবে আর মাথা ঘামালো না আরাবী।আসল কথা হলো ও চাকরিটা পেয়েছে।আর এটাই এখন সবচেয়ে বড়ো খুশির খবর।
আরাবীর ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠল।স্নিন্ধ চেহারায়, ঠোঁটে কোমল হাসিতে যেন আরাবীকে জায়ানের কাছে মায়াপরি লাগছে। যার দিকে জায়ান দিনরাত ক্লান্তহীনভাবে তাকিয়ে থাকতে পারবে।জায়ান ভেবে পেলোনা।এমন নির্লজ্জ ও কবে থেকে হলো?অবশ্য প্রেমে পরল নাকি আস্ত মানুষটাই বদলে যায়। সেখানে এসব আর কি?
জায়ান নিজেকে সংযত করল।এভাবে একটা মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকলে মেয়েটা ভালো নজরে ওকে দেখবে না।মেয়েটা তো আর জানেনা যে ও তাকে ভালোবাসে।আরাবীকে আস্তে আস্তে বুঝাতে হবে ওর ভালোবাসা।আর জায়ান এমন কিছু করবে যেন আরাবীও বাধ্য হয় ওকে ভালোবাসতে।কথাগুলো ভেবেই নিস্তব্ধে বাঁকা হাসি দিলো জায়ান।এদিকে আরাবী হাসি মুখে বলে,
‘ থেংক ইয়্যু স্যার।থেংক ইয়্যু সো মাচ।আই উইল ট্রায় মাই বেস্ট সো দ্যাট ইয়্যু ডোন্ট ফাইন্ড এনি মিস্টেক ইন মাই ওয়ার্ক।’
‘ আই হোপ সো।’
(এই গল্পের লেখিকা সাদিয়া জাহান উম্মি)
___________
অফিসের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে আরাবী।খুশি যেন ওর ধরছেই না।অবশেষে একটা চাকরি পেলো ও।এবার আর কোনো চিন্তা নেই।বাবার চিকিৎসাটাও বেশ ভালোভাবেই হবে।আরাবী ভাবল খুব দ্রুতই ওর বাবাকে চিকিৎসার জন্যে ইন্ডিয়া নিয়ে যাবে।যে করেই হোক ওর বাবাকে সুস্থ করতে হবেই।আরাবী খুশি মনে ফাহিমকে ফোন করল।আরাবীর অফিস থেকে ফাহিমের কোচিং সেন্টার বেশি দূরে না।বাইকে আসলে বেশি হলে বিশ মিনিট সময় লাগে।
আরাবী ফাহিমের সাথে কথা বলে ওর জন্যে অপেক্ষা করতে লাগল।প্রায় পঁচিশ মিনিট পর ফাহিম আসল।ভাগ্য ভালো রাস্তায় জ্যাম ছিলো না।ফাহিম বাইক থেকে নামতেই আরাবী ফাহিমকে জড়িয়ে ধরল।উচ্ছ্বাসিত কণ্ঠে বলতে লাগল,
‘ ভাইয়া আ`ম সো হ্যাপি।সো সো সো হ্যাপি।আমার চাকরিটা কনফার্ম ভাইয়া।’

ফাহিম দুহাতে বোনকে জড়িয়ে ধরল।আরাবীর চুলের ভাজে চুমু খেয়ে বলে,
‘ আমিও অনেক খুশি আরু। কোনগ্রাচুলেশন।’
‘ থেংক ইউ।’
‘ আরু?চল এই খুশিতে তোকে ট্রিট দেই আমি।’

আরাবী ফাহিমকে ছেড়ে দাঁড়ালো।বলল,
‘ কিন্তু ট্রিট তো দেওয়ার কথা আমার।তুমি কেনো দেবে?’
‘ বেশি বড়ো হয়ে গেয়েছিস বেশি?আমাকে ট্রিট দিবি?’

আরাবী খিলখিল করে হেসে উঠল।ফাহিম নিজেও হাসল। পরে বলল,
‘ চল যাওয়া যাক।’

ফাহিম বাইকে উঠে বসল।আরাবীও বসল।তারপর মুহূর্তের মধ্যে চলে গেলো।
এদিকে নিজের কেভিনে দাঁড়িয়ে কাচের দেয়াল থেকে সবই দেখছিলো জায়ান।চোয়ালজোড়া শক্ত হয়ে আছে ওর।কপালের রগগুলো ফুলেফেঁপে উঠেছে।হাতজোড়া মুষ্টিবদ্ধ করে নিলো জায়ান।রাগমিশ্রিত কণ্ঠে বলল,
‘ আমি ছাড়া এভাবে অন্য কোনো ছেলের সাথে হাসতে পারবেনা তুমি মেয়ে।আর তোমার সাহস কিভাবে হলো ওই ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরার?’

দাঁতেদাঁত চিপে জায়ান নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করল।নাহ,এভাবে রাগলে হবে না।তাকে শান্ত হতে হবে।জায়ান চোখ বন্ধ করে নিলো।আরাবীর হাস্যজ্জ্বল স্নিগ্ধ মুখশ্রী ভেসে উঠল।পর পর জায়ান চোখ খুলে শান্তস্বরে বলে,
‘ আমি এতো ওভার থিংকিং মাইন্ডের কবে থেকে হলাম?ছেলেটা তো ওর ভাই ও হতে পারে তাই নাহ?নূর যেভাবে আমাকে আর ইফতিকে জড়িয়ে ধরে আরাবীও তাই করেছে।টেক ইট ইজি জায়ান।’

জায়ান জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করল।পর পর গভীর স্বরে বিরবির করল,
‘ ভালোবাসার বাতায়নে, তোমারই মুখটি ভাসে, তখন আমি পাগল হই এক স্বপ্ন অভিলাষে। কবে তোমাকে নিজের করে পাবো কাঠগোলাপ?তুমি কি বুঝবে আমার ভালোবাসা?’

#চলবে_______
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে জানাবেন।
আজ খাপছাড়া লাগতে পারে পর্বটা।তবুও একটু মানিয়ে নিয়েন।লিখার সময় পাচ্ছি না।পরিবারের সবগুলো মানুষ একসাথে হয়েছি।আর আমার বোনপোটা মাশাল্লাহ। এতো কিউট। কোল থেকে নামাতেই ইচ্ছে করে না।😑

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here