স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ #সাদিয়া_জাহান_উম্মি #পর্বঃ১১

0
793

#স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পর্বঃ১১
জায়ান নিজের অফিসরুমে নিয়ে আসল।জায়ানের অফিসরুমে সোফা আছে।সেখানে আরাবীকে শুইয়ে দিলো।আরাবী নিঃশ্বাস নিচ্ছে খুব আস্তে আস্তে।পুরো শরীর ফ্যাকাশে সাদা হয়ে গিয়েছে।আর বরফের মতো ঠান্ডা পুরো শরীর।জায়ান যেন কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারছে না।ভেতরটা যেন ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে।প্রিয়তমার এই অবস্থা দেখে যন্ত্রণায় ভেতরটা ছটফট করছে।জায়ান আরাবীর মাথার কাছে বসে ওর হাত পা ঘষতে লাগল।আলিফাও সেটার দেখাদেখি আরাবীর পায়ের তালুতে ঘষতে লাগল।
এদিকে জায়ান আরাবীর বাম হাত ছেড়ে ডানহাত ধরতে যাবে।তখন দেখে আরাবী ডান হাতটা মুঠো করে রেখেছে।জায়ান একটু জোড় খাটিয়ে আরাবীর হাতের মুঠোটা খুলে ফেলল।অতঃপর আরাবীর হাতে মুঠোতে কিছু একটা দেখেই ভ্রু-কুচকে আসে জায়ানের।পর পর সবার অগোচরে আরাবীর হাত থেকে সেটা নিয়ে নিজের পকেটে রেখে দেয়।
নিহান সাহেব খবরটা পেয়েই এখানে চলে এসেছেন।ওমন ফুলের মতো মেয়েটার এই অবস্থা দেখে তিনি যেন স্তব্ধ হয়ে গেলেন।পর পর তাকালেন ছেলের দিকে।জায়ানের লালচে মুখশ্রী আর শক্ত চোয়ালজোড়ার দিকে তাকাতেই বাবার মন যা বোঝার বুঝে ফেললেন।ইফতিকে ডেকে বললেন,
‘ ডক্টর মাহবুবকে ফোন করো ইফতি।’
‘ আমি আগেই তাকে ইনফোর্ম করে দিয়েছি বড়বাবা।তিনি আসছেন।’

কিছুতেই আরাবীর দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে না।আলিফা কাঁদো কণ্ঠে বলে,
‘ ওর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে না।ওর দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে হবে যে করেই হোক।’

জায়ান আরাবীর দিকে একধ্যানে আরাবীর দিকে তাকিয়ে আছে।সেভাবে থেকেই ভারিক্কি আওয়াজে বলে উঠে,
‘ ইফতি আমাদের অফিসের পাশেই একটা শপিংমল আছে।দ্রুত ওখান থেকে কয়েকটা কম্বল আনার ব্যবস্থা কর।ওর গায়ে কিছু জড়িয়ে দিতে হবে।’

আরাবীর গায়ে আগে থেকেই জায়ানের গায়ের কোট জড়ানো।কিন্তু এতে কি হবে?জায়ান আরাবীর হাতের দিকে তাকালো।জায়গায় লালচে রঙের দাগ হয়ে আছে আরাবীর হাতে। জায়ান আরাবীর গালে আলতোভাবে স্পর্শ করল।শীতল কণ্ঠে বলে উঠে,
‘ এই মেয়ে?চোখ খুলো।শুনতে পাচ্ছ আমার কথা তুমি?আরাবী?’

এই প্রথম জায়ান আরাবীকে তুমি সম্বোধন করল।কিন্তু আফসোস! আরাবী তা শুনতে পেলো না।যদি শুনতে পেতো ওই গাম্ভীর্যপূর্ণ কণ্ঠে ওকে তুমি সম্বোধন করে ডাকা।তাহলে নিশ্চিত মেয়েটা ওই কণ্ঠের প্রেমে পরে যেতো।

নিহান সাহেব ছেলের এই অবস্থা সহ্য করতে পারছে না।তার ওমন শক্ত ব্যক্তিত্বের ছেলেকে এইভাবে ভেতরে ভেতরে কষ্ট পেতে দেখে তার নিজেরও যেন কলি’জাটা ফেটে যাচ্ছে।নিহান সাহবে জায়ানের কাধে হাত রাখলেন। চোখের ইশারায় ছেলেকে শান্ত হওয়ার জন্যে ইশারা করে বললেন,
‘ কিছু হবে না ওর।কিপ কাম মাই সন।’

জায়ান নিহান সাহেবের কথায় জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলল।কিচ্ছু হবে না ওর কাঠগোলাপের।জায়ান বিরবির করল,
‘ ইয়্যু উইল বি ফাইন।আ`ম ওলওয়েজ বাই ইয়্যুর সাইড।’
——
ভারি ভারি তিনটে কম্বল দিয়ে মুরিয়ে রাখা হয়েছে আরাবীকে।পাশেই ডক্টর মাহবুব চেক-আপ করছেন আরাবীর।আরাবীকে ভালোভাবে চেক-আপ করে নিয়ে।তিনি বলে উঠেন,
‘ আপনারা আমাকে যা বললেন।আর আমি দেখে যা বুঝলাম।তাহলো উনার হাইপোথেরামিয়া হয়ে গিয়েছে।’

জায়ান শক্তভাবে হাতজোড়া মুঠো করে নিলো কথাটা শুনেই।বাকিরাও চমকে উঠেছে।
ডক্টর মাহবুব ফের বলেন,
‘ সাধারণত মানুষের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাইরের ২৩ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত শরীর সহ্য করতে পারে। একে বলে হিউম্যান বডি টেম্পেরাচার টলারেন্স (human body temperature tolerance)। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে যখনই ঘরের তাপমাত্রার ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন মাথা যন্ত্রণা, হাঁচি, জ্বর-জ্বর ভাব উপসর্গ দেখা যায়। ঘরের তাপমাত্রা যখন ১৮-২০-২১ ডিগ্রিতে আনা হয়, তখন আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের চলা রক্তপ্রবাহ দ্রুতবারে বেড়ে যায়। ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় হাইপোথেরামিয়া (Hypothermia)।
তাছাড়া এসির মধ্যে বেশি সময় ধরে থাকলে শরীর থেকে টক্সিক টক্সিন বাইরে বের হয় না। তাতে শরীরের তাপমাত্রা ও জলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এছাড়া ত্বকে এলার্জি, চুলকানি, প্রচুর মাথা ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগেও প্রকোপেও পড়তে হয়।শ্বাসকষ্টও হয় অনেক। এইযে ভালোভাবে খেয়াল করুন উনি শ্বাস নিতে পারছেন না ঠিকভাবে।তারপর এইযে উনার হাতে লাল লাল অংশগুলো দেখছেন।এইগুলা এলার্জি।উনার যখন জ্ঞান ফিরবে তখন কিন্তু উনার অনেক মাথা ব্যথা হবে।’

সব শুনে জায়ান শক্ত কণ্ঠে বলে,
‘ হোয়াট ক্যান উই ডু নাও ডক্টর?’

ডক্টর মাহবুব বলেন,
‘ আমি একটা ইঞ্জেকশন পুশ করে দিয়েছি।এটা দিয়েছি এইবার আস্তে আস্তে উনার শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়ে যাবে।সেই সাথে উনার শরীরের তাপমাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।আর কিছু মেডিসিন আমি প্রেসক্রাইব করে দিচ্ছি।উনার ঘন্টাখানিক পরেই জ্ঞান ফিরবে।তখন গরম স্যুপ জাতীয় কিছু খাইয়ে তারপর মেডিসিন খাইয়ে দিবেন।আশা করি এতেই উনি সুস্থ্য হয়ে যাবেন।আর হ্যা কমপক্ষে উনাকে তিনদিন বেডরেস্টে থাকতে বলবেন।প্রচুর দূর্বল উনার শরীর।’

ডক্টর মাহবুব প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।ইফতি বলল,
‘ আমি উনাকে এগিয়ে দিয়ে আসি।আর মেডিসিন নিয়ে আসি।’

তারা চলে গেলো।জায়ান সটান হয়ে দাঁড়িয়ে। সেভাবে থেকেই শীতল কণ্ঠে বলে উঠে,
‘ বাবা আর মিস আলিফা আপনারা কাজে যান।আমি আরাবীর কাছে আছি।জ্ঞান ফিরলে আপনাদের জানিয়ে দিবো।’

নিহান সাহেব মাথা দুলালেন।তিনি বুঝলেন ছেলে তার আরাবীর সাথে কিছু সময় একা থাকতে চাইছে।আলিফাও চলে এলো সেখান থেকে।তবে ওর কেমন যেম অদ্ভুত লাগছে ব্যাপারটা।আরাবীর প্রতি জায়ানের এতো দুশ্চিন্তা,এতো অস্থির হওয়া এটা স্বাভাবিক কোনো বিষয় না।সামান্য একটা এমপ্লয়িয়ের জন্যে বসের এতোটা কনসার্ন হওয়া সে কোনোদিন দেখেনি।মনে মনে কিছু একটা সন্দেহ করছে আলিফা।কিন্তু ওর যেন বিশ্বাস হচ্ছে না ব্যাপারটা।ওমন গম্ভীর,রগচটা একটা মানুষ কিভাবে?
আলিফা এসব ভাবনায় এতোটাই ব্যস্ত ছিলো যে ওর পাশে ডেস্কগুলো আছে।সেগুলোর একটা সাথে জোড়ে বারি খায় মেয়েটা।আর্তনাদ করে উঠে আলিফা।টাল সামলাতে না পেরে পরে যেতে নেয়।কিন্তু তার আগেই একজোড়া হাত ওর কোমড় চেপে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।
‘ চোখ কি কপালে নিয়ে হাটো?আর একটু হলেই তো মাথাটা ফাটতো।স্টুপিট একটা।’

আচমকা ধমকে কেঁপে উঠে আলিফা।দ্রুত চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে ওর সম্মুখে ইফতি দাঁড়ানো।ইফতি মেডিসিন কিনে নিয়ে এদিকেই আসছিলো।আলিফাকে পরে যেতে দেখেই দ্রুত ধরে ফেলে।
এদিকে আলিফার চোখে অশ্রু টলমল করছে।বেশ ভালোই ব্যথা পেয়েছে।ইফতি ওই চোখের দিকে তাকিয়ে আর বেশি কিছু বলল না আলিফাকে।আশেপাশে তাকালো ইফতি।এখন লাঞ্চ টাইম।এই টাইমে সবাই ক্যান্টিনে গিয়েছে খেতে।ইফতি ঝট করে আলিফাকে কোলে তুলে ফেলে।ভয় পেয়ে যায় আলিফা।ঘাবড়ানো কণ্ঠে বলে,
‘ কি করছেন স্যার?নামান আমাকে।আমি ঠিক আছি।’

ইফতি রাগি চোখে তাকালো আলিফার দিকে।দাঁতেদাঁত চিপে বলে,
‘ আমি কি জিজ্ঞেস করেছি তুমি ঠিক আছ কিনা?আর একটা কথা বললে এখনই ছুড়ে মারব একদম।একটু আগে যেটা হওয়া থেকে বাচিঁয়েছি।এখন আমি নিজেই সেটা করে দেখাবো।’

আলিফা ভয় পেয়ে গেলো।পর পর মুখটা ফুলিয়ে ফেলল।এভাবে বলল কেন লোকটা? সে তো ভালোর জন্যেই বলেছিলো।এভাবে যদি ওদের কেউ দেখে ফেলে।তাহলে পুরো অফিসে এটা নিয়ে কানাঘুষা হবে।ইফতি আলিফাকে নিয়ে নিজের অফিসরুমে চলে আসল।আলিফাকে চেয়ারে বসিয়ে। তারপর ফার্স্ট এইড বক্স এনে আলিফার ব্যথা স্থানে মলম লাগিয়ে দিলো।আলিফা একধ্যানে ইফতিকে দেখছে।আস্তে আস্তে ওর সেই দৃষ্টিতে মুগ্ধতা এসে ভড় করল।মলম লাগানো শেষে ইফতি উঠে দাঁড়লো।আলিফাকে এভাবে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে হাসল ইফতি।পর পর নিজের মুখটা ঝুকিয়ে আলিফার বরাবর আনল।আচমকা এমন করায় আলিফা চমকে উঠল।ইফতি দুষ্টু হেসে ভ্রু নাঁচিয়ে বলে,
‘ কি?এভাবে তাকিয়ে ছিলে কেন?মনে হচ্ছিলো চোখ দিয়ে গিলে খাবে আমায়। এটা কিন্তু মোটেও ঠিক না মিস আলিফা।আমি খুব ইনোসেন্ট একটা ছেলে।’

আলিফা হা হয়ে গেলো ইফতির কথায়।রাগে ওর নাগের পাঠা ফুলেফেঁপে উঠতে লাগল।ইফতি ওর নাকে আচমকা টোকা দিয়ে বলল,
‘ এভাবে নাক ফোলাবে না।বোচা নাক আরও বোচা হয়ে যাবে।’

এরপর সোজা হয়ে দাঁড়ালো ইফতি।বলল,
‘ এখানেই থাকো।আমি ভাইকে মেডিসিনটা দিয়ে আসি।’

ইফতি চলে গেলো।এদিকে আলিফা কিছু সময় নিশ্চুপ হয়ে বসে রইলো।পর পর নিজের নাকে হাত দিয়ে হেসে ফেলল আলিফা।অদ্ভুত একটা অনুভূতি হচ্ছে ওর মনের মাঝে।
আড়াল থেকে ইফতি এই দৃশ্য দেখল।ওর ঠোঁটের কোণেও মৃদ্যু হাসির রেখা দেখা দিলো।সরে এলো ইফতি।এইতো, এইভাবেই একটু একটু করে মেয়েটার মনের মাঝে জায়গা করে নিবে সে।
——
ইফতি মেডিসিন দিয়ে গিয়েছে।মেডিসিনটা জায়গা মতো রেখে জায়ান আবারও আরাবীর কাছে আসল।তারপর আরাবীর গায়ের উপর থেকে কম্বলগুলো সরিয়ে ফেলল।তারপর খুব সাবধানে আরাবীকে সোফার সাথে হেলান দিয়ে বসালো।তারপর নিজে সোফায় বসে আরাবীকে খুব যত্নে নিজের বক্ষস্থলে এনে জড়িয়ে নিলো।এরপর কম্বলগুলো মেলে দিলো মেয়েটার শরীর জুড়ে।আরাবীকে বুকে নিতেই যেন ভেতরের যন্ত্রণাটা কমে গেলো এক নিমিষে।ভালোলাগায়,ভালোবাসায় ভরে গেলো হৃদয়।এতো শান্তি কেন লাগছে?এখন তো মনে হচ্ছে বড্ড ভুল করে ফেলেছে মেয়েটাকে বুকে নিয়ে।এখন তো ওর বড্ড লোভ বেরে গেলো।মেয়েটাকে এখন প্রতিনিয়ত বুকের মাঝে আঁকড়ে ধরার জন্যে।শক্ত করে ঠিক বুকের মধ্যিখানটায় লুকিয়ে রাখতে ইচ্ছে করবে। একমুহূর্তের জন্যেও কাছ ছাড়া করতে মন চাইবে না।উফ,পাগল হয়ে যাচ্ছে এই মেয়েটার প্রেমে পরে।
জায়ান আরাবীর চুলের ভাজে পরম ভালোবাসায় ওষ্ঠ ছুঁইয়ে দিলো।আরাবীর চুল থেকে অদ্ভুত সুন্দর একটা ঘ্রান আসছে।জায়ান গভীর নিঃশ্বাস টেনে নিলো।ক্রমশ মাতাল হয়ে যাচ্ছে জায়ান এই ঘ্রাণে।
জায়ান চোখ বন্ধ করে বিরবির করল,
‘ তুমি আমার ভালোবাসা,আমার প্রিয়তমা।আমার একান্ত ব্যক্তিগত আদুরে একটা শুভ্র #স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ।
আর আমার এই অতি যত্নে রাখা কাঠগোলাপকে কেউ কষ্ট দিতে চেয়েছে।তাকে আমি কিভাবে ছেরে দেই?ছাড়ব না তাকে।আমার কলি’জায় হাত দিয়েছে সে।আমার হৃদয়ে অতি যত্নে রাখা মেয়েটার গায়ে আমি একটা সামান্য আঁচড় সহ্য করতে পারি না।সেখানে ও আমার কাঠগোলাপকে এতোটা কষ্ট দিয়েছে।এর শাস্তি তো ওকে পেতে হবে।ভয়ংকর শাস্তি পাবে সে।ওর বুকের পাঠায় কতো সাহস।সেটা আমি জায়ান সাখাওয়াত নিজের হাতে ওর বুক চি’রে তারপর দেখব।আমার কাঠগোলাপ যতোটা কষ্ট,যন্ত্রণায় ছটফট করেছে। তার থেকেও দ্বিগুণ কষ্ট পেতে হবে ওকে।’

জায়ানের চোখজোড়া লাল হয়ে আছে ক্রোধে।কপালের দুপাশের রগগুলো নীল হয়ে ফুলেফেঁপে উঠেছে।আর ঠোঁটের কোণে ক্রুর হাসি ওর।ভয়ংকর লাগছে জায়ানকে এখন দেখতে।ওকে এই অবস্থায় যদি আরাবী দেখত নিশ্চিত মেয়েটা ভয়ে আরও অসুস্থ হয়ে যেতো।ভাজ্ঞিস ও অজ্ঞান হয়ে আছে।

#চলবে_________
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here