ডুবেছি_আমি_তোমাতে #লেখিকা_Aiza_islam_Hayati #পর্ব_০৪

0
179

#ডুবেছি_আমি_তোমাতে
#লেখিকা_Aiza_islam_Hayati
#পর্ব_০৪

লায়ানা ঠোঁট গোল করে আহনাভের কপালের দিকে ফু দিয়ে কপালের সামনে এসে থাকা চুল সরিয়ে দেয়।ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়ে বলে,”বুঝলাম আমি বেশরম কিন্তু শুধু তোমার জন্য।এই লায়ানার মনের প্রথম পুরুষ তুমি যার মনে ধরেছো,যার উপর আমি পদে পদে ফিদা হচ্ছি ।আমি কখনো কোনো পুরুষের দিকে ভালো করে তাকিয়েই দেখি নি কিন্তু তুমি যে যাকে দেখে আমার রাতের ঘুম হারাম হয়েছে,আমার মনে এক উথাল পাথাল ঢেউ বয়ে যাচ্ছে।”

আহনাভ ঘাবড়ে যায় লায়ানাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বলে,”এই মেয়ে আর ইউ স্টুপিড কী যা তা বলে যাচ্ছ?”

লায়ানা বুকে দুই হাত গুঁজে মুখ ফুলিয়ে বলে,”উফ আমি না তুমি স্টুপিড।এত্ত কিছু বললাম তাও বোঝো না মাথা মোটা।আনরোমান্টিক লোক একটা।”

আহনাভ ঘাড় ঘুরিয়ে লায়ানার দিকে তাকিয়ে তর্জনী তুলে সতর্ক করে বলে,”নেক্সট টাইম আমার এত্ত কাছে আসবেনা বলে দিলাম,বেশরম মেয়ে একটা।” বলেই গট গট করে বেরিয়ে যায়।লায়ানা ফিক করে হেসে আহনাভের যাওয়ার পানে তাকিয়ে বলে,”শুধু তোমার জন্য বেশরম।”

লায়ানা থেমে গিয়ে আবার আহনাভের ঘাবড়ে যাওয়া মুখটির কথা ভেবে হাসতে শুরু করে।লায়ানা বুকে বা দিকে হাত দিয়ে বলে,”মিস্টার হোয়াইট ডায়মন্ড আপনাকে ঘাবড়ে গেলেও দেখতে মাশাল্লাহ অস্থির লাগে।আপনি তো এই লায়ানাকে বার বার ঘায়েল করছেন এই ভুলের মাশুল তো আপনাকে সুদে আসলে দিতে হবে।”

.
মুগ্ধতা লায়ানা বাদে রেস্টুরেন্টের নিচে সবাই দাড়িয়ে আছে।

আহনাভ ও আহির এর বাবা মুগ্ধতার বড় মামার সাথে কথা বলছে।

আহির দৃষ্টি এদিক ওদিক ঘুড়িয়ে কাউকে খুজার চেষ্টায় আছে।মুগ্ধতা, লায়ানা রেস্টুরেন্ট এর দরজা ঠেলে বেরিয়ে আসছে।লায়ানা ফোন কানে ধরে কারো সাথে কথা বলছে,আহনাভ রেস্টুরেন্ট এর দরজার দিকে তাকালে লায়ানার চোখের সাথে তার চোখ পরে যায়।লায়ানা বাঁকা হেসে আহনাভকে চোখ মেরে দেয়।

আহনাভ চোখ বড় বড় করে ফেলে।আহনাভ উল্টো দিকে ফিরে বিড়বিড় করে বলে,”কী সাংঘাতিক মেয়ে!আমাকে চোখ মারছে!”

এইদিকে আহির এর চোখ জোড়া মুগ্ধতার উপর আটকে গিয়েছে।মুগ্ধতা এদিকেই এগিয়ে আসছে। লায়ানা ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ির পার্কিং সাইডে গিয়ে নিজের গাড়িতে উঠে বসলো।কান থেকে ফোন নামিয়ে মুগ্ধতাকে ম্যাসেজ করলো,”আমি যাচ্ছি তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়।”ম্যাসেজ করা হলে ফোন রেখে গাড়ি স্টার্ট দিল লায়ানা।

আহনাভ লায়ানার চলে যাওয়া গাড়ির দিকে এক পলক তাকালো।মনে মনে বলল,” উদ্ভট মেয়ে একটা এত্ত স্পিডে গাড়ি কে চলায়?”

মুগ্ধতা এগিয়ে এলে আহির তার চোখ জোড়া মুগ্ধতার থেকে সরিয়ে নেয়।অনামিকা এগিয়ে এসে বলে,” মুগ্ধতা মা একদিন যেও আমাদের বাড়ি ঘুরে এসো কেমন।”

“ঠিক আছে অন্টি।একদিন আপনিও আসবেন আমাদের বাড়ি।”

জেরিন জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে মুগ্ধতাকে বলে,”মুগ্ধতা মা হায়া কোথায়?”

“হুট করেই ওর একটা ইম্পর্টেন্ট কাজের জন্য চলে গিয়েছে আন্টি।”

.
রাত এখন দুইটার কাটা ছুঁই ছুঁই করছে।এখনও *** এমন সব জায়গায় কিছু কিছু বা’র ক্লা’ব খোলা।বিদেশি ইম্পটেট ম’দ খেয়ে নাচ গানে মত্ত একেকজন আবার অনেকে তাদের কাজ নিখুঁত ভাবে শেষ করতে ব্যাস্ত।

ক্লাবটির ম্যানেজার এর সামনে পায়ে পা তুলে বসে আছে দুইটি মেয়ে।ম্যানেজার কাচুমাচু হয়ে বসে আছে।মেয়েটির মধ্যে একজন তার হাতের ব’ন্দু’ক এক আঙ্গুলে ঘুরাতে ঘুরাতে বলে,”আমি কেনো এই ক্লা’ব টা কিনে নিতে চাচ্ছি তার জবাবদিহি আমি আপনাকে করতে চাচ্ছি না,তো চুপচাপ ক্যাশ টাকা টা নিয়ে চলে যান।আর যা বললাম তা করে তারপর যাবেন।”

মেয়েটির পাশের মেয়েটি কোল্ড ড্রিঙ্ক খেতে খেতে বলে,”এই আঙ্কেল এইভাবে কাপাকাপি করছেন কেনো?আপনাকে কী কেউ কারেন্ট এর শক দিয়েছে নাকি?”মেয়েটি থেমে তার বা পাশে তাকিয়ে বলে,”রাফি, রুদ্র একে একটু ধরে ধরে নিয়ে এদের লোকেদের কাছে দিয়ে আসো তো।আহারে বেচারা কিভাবে কাপাকাপি করছে।”

রাফি,রুদ্র ঠোঁট টিপে হেসে এগিয়ে এসে লোকটিকে দুইদিক থেকে উঠিয়ে নিতেই লোকটি ফ্লোর থেকে কয়েক ইঞ্চি উচুঁ হয়ে যায়।লোকটিকে রাফি রুদ্র মিলে উচু করে ধরে লোকটির সঙ্গীদের কাছে নিয়ে নামিয়ে দেয়। রুদ্র লোকটির হাতে দুইটি সুটকেস ধরিয়ে দিয়ে বলে,”এইযে আপনার ক্যাশ টাকা।”

লোকটি টাকা নিয়ে মেইন ফ্লোরে নেমে গেলো,সাথে সাথে গান বন্ধ হয়ে গেলো।লোকটির একজন সঙ্গী হাতে মাইক নিয়ে সবাইকে কিছুক্ষনের মধ্যেই ক্লা’ব খালি করে দিতে বলল।

মেইন ফ্লোরে দাড়িয়ে থাকা সবাই একে একে বেরিয়ে যাওয়া শুরু করলো তাদের সাথে লোকটি এবং তার সঙ্গীরা এক মুহুর্ত নষ্ট না করে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে গেলো।

উপর থেকে দুইজনের দৃষ্টি যেনো নিচের মেইন ফ্লোরের দিকে,তাদের ঠোঁটের কোণে এক অদ্ভুত রহস্যময় হাসি।

পুরো ক্লা’ব মুহূর্তের মধ্যে অন্ধকার হয়ে,ক্লা’বের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।ফ্লোরে কিছুটা ঠক ঠক শব্দ হতে শুরু করলো।

কিছু লোক বলে উঠে,”আরেহ অন্ধকার হয়ে গেলো কেনো,আমরা তো এখনও বের হয়নি।”

আচমকা চারপাশ থেকে লাল রঙের বাল্ব জ্বলে উঠলো।লোকগুলো চুপ হয়ে গেলো কিছুটা ঘাবড়ে গেল,তাদের মধ্যে একজন চেঁচিয়ে বলে উঠলো ,”এই তোরা কারা আমাদের বের হতে দে।”

রুদ্র,রাফি তাদের সঙ্গে কিছু সংখ্যক গার্ড চারজন লোককে ঘিরে দাড়িয়ে আছে।রুদ্র,রাফি সহ তার গার্ডদের হাতে হকি স্টিক।হঠাৎ এক মেয়েলি কণ্ঠে ভেসে আসলো,”উপস মিস্টার রাহমান এত্ত তাড়া কীসের আপনার?আমার জানা মতে আপনার তো কোনো বউ নেই তাহলে বোঝা যেত বাড়িতে বউ রেখে আসার তাড়া আপনার।”

সেই চারজন লোক সিঁড়ির দিকে তাকালো,দুইটি মেয়ে দাড়িয়ে আছে একজনের মুখে কালো মাস্ক আরেকজনের মুখে সাদা মাস্ক।

রাহমান পুনরায় চেঁচিয়ে বলে উঠে,”কে তোরা কী যা তা বলছিস।ভালোয় ভালোয় বলছি আমাদের যেতে দে নাহলে এখানেই শে’ষ করে দিবো সব গুলোকে।”

রাহমান এর পাশের লোকটি তার কোমর থেকে ব’ন্দু’ক বের করে মেয়ে দুইটি দিকে তাক করে।কালো মাস্ক পড়া মেয়েটি হেসে বলে,”অজয় সবুর কর ব’ন্ধু’কে’র খেলা তো শুরু হবে,তা নাহয় কিছুক্ষন পরই শুরু করি।”

মেয়ে দুইটি নেমে এলো।রুদ্র,রাফি সরে জায়গা দিয়ে দিল।রাহমান,অজয় বাকি দুইজন এর সামনে মুখোমুখি দাড়ালো মেয়ে দুইটি।অজয় এর পাশের লোকটি তীক্ষ্ণ নজরে মেয়ে দুটিকে দেখছে।সাদা মাস্ক পড়া মেয়েটি বলে উঠে,” অঙ্কুর আঙ্কেল আপনার শ’কু’নি দৃষ্টি আমাদের উপর দিয়ে লাভ নেই।আমাদের চেনা আপনার ওই মোটা মাথার দ্বারা সম্ভব নয়।”

অঙ্কুর কোমর থেকে ব’ন্ধু’ক বের করে মেয়ে দুইটির দিকে তেড়ে আসলো সাথে অজয় ও এগিয়ে আসলো।মেয়ে দুইটি এগিয়ে গিয়ে অজয় ও অঙ্কুরের ব’ন্দু’ক’ ধরা হাত মু’চ’ড়ে ধরে পেঁ’চি’য়ে পিছনে নিয়ে চেপে ধরলো।দুজনেই ব্যা’থা’য় ”আহ ” শব্দ করে উঠলো।মেয়ে দুইটি আরো জোড়ে মু’চ’ড়ে ধরে,পিছন থেকে হাঁটুতে লা’থি মারলে অজয় ও অঙ্কুরের পায়ের রগে গিয়ে লাগে।হাঁটু ভাঁজ করে বসে ব্যা’থা’য় আ’র্ত’না’দ করে উঠে দুজন।মেয়ে দুইটি রুদ্র রাফিকে চোখে ইশারা করতেই রুদ্র,রাফি রাহমান ও তার পাশে দাড়িয়ে থাকা লোকটির পায়ে হকিস্টিক দিয়ে সজোরে বা’রি বসিয়ে দেয়,রাহমান আর তার পাশের লোকটি চি’ৎ’কা’র করে হাঁটু ভাঁজ করে ফ্লোরে বসে পড়ে।

রাহমান এর পাশের লোকটি চি’ৎ’কা’র করে বলে উঠে ,”তোরা কে?তোরা আমাদের সাথে এমন কেনো করছিস।আমাদের বস কে তোরা চিনিস না তোদের ছাড়বে না সে।”

কালো মাস্ক পড়া মেয়েটি এগিয়ে এসে এক হাঁটুতে ভর দিয়ে লোকটির দিকে কিছুটা ঝুঁকে গিয়ে বলে,”মি.আমজাদ আমরাও জানতে চাই তোদের বস টা আসলে কে?যার জন্য তোরা নিজেদের প্রাণের চিন্তা না করে তাকে গোপন রাখতে ব্যাস্ত।”

আমজাদ ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে বলল,”তোরা জনবিও না কে সে।তোদের উ’প’রে যা’ও’য়া’র সময় হয়ে এসেছে।”

কালো মাস্ক পড়া মেয়েটি আমজাদের সামনে থেকে সরে আসলো।সাদা মাস্ক পড়া মেয়েটি রাফির হাত থেকে হকিস্টিক নিয়ে আমজাদের পিঠে সজোরে বা’রি বসিয়ে দেয়।সঙ্গে সঙ্গে আমজাদের মুখ দিয়ে গল গল করে র’ক্ত বেরিয়ে আসে।সাদা মাস্ক পড়া মেয়েটি এগিয়ে গিয়ে আমজাদের চুলের মুঠি টে’নে ধরে বলে,”বল তোদের মেইন লিডার কে?”

আমজাদ অস্পষ্ট স্বরে বলে উঠে,”নাহ, বলবো না।”

আমজাদের চুলের মুঠি ছেড়ে দিয়ে মেয়েটি আমজাদকে এ’লো’পা’থা’ড়ি হকিস্টিক দিয়ে মা’র’তে থাকলো।আমজাদ ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে মেয়েটি হকি স্টিক ফেলে দেয়।এরই মধ্যে রাহমান কোমর থেকে তার ব’ন্দু’ক বের করে সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে সাদা মাস্ক পড়া মেয়েটিকে শুট করতে নিলে কালো মাস্ক পড়া মেয়েটি দেখে নেয়,সে সময় নষ্ট না করে নিজের ব’ন্দু’ক বের করে রাহমান এর হাত বরাবর শু’ট করে দেয়।রাহমান ব’ন্দু’কে’র গুলি লাগা হাতটি চেপে ধরে চি’ৎ’কা’র করে উঠে।

কালো মাস্ক পড়া মেয়েটি রাহমান এর সামনে এগিয়ে এসে তার ছুরি রাহমান এর বুকের বা দিকে চেপে ধরে বলে ,”তোর সাহস কী করে হয় ওর দিকে তোর ব’ন্দু’ক তাক করার।রুদ্র এদেরকে আমাদের বেসমেন্টে নিয়ে যাও আর খাতির দাড়ির ব্যাবস্থা করো।এমন খাতির দাড়ি করবে যেনো মুখ থেকে ওদের বসের নাম এবার বের হয়েই ছারে।আমিও দেখবো প্রাণের থেকে বস বেশি বড় হয়ে গেলো কিনা।”মেয়েটি উঠে দাড়িয়ে পাশে হাঁটু ভাঁজ করে বসে থাকা অঙ্কুর,অজয়ের হাতে শু’ট করে দেয়।

.

দুইদিন হয়ে গেলো,এই দুইদিন লায়ানা আহনাভের সম্পর্কে সব খুঁটিনাটি ইনফরমেশন বের করেছে।এখন লায়ানা আহনাভের প্রেম সাগরে হাবুু ডুবু খাওয়া শুরু করেছে।

আহির ও আহনাভের পরিবারের সাথে মুগ্ধতার পরিবারের মধ্যে ডিনার ডেটের পরের দিনই আহির তার পিএ নওশাদ কে পাঠিয়েছিল লায়ানার নেক্সট ইন কোম্পানিতে।নওশাদ কোম্পানিতে এসে লায়ানার পিএ রাফিকে জানায় পিএস কোম্পানি লায়ানার সাথে একটি মিটিং ফিক্স করতে চায় তাদের শাখা অফিসের ডিজাইন নিয়ে।

আজ আহির ও আহনাভের সাথে লায়ানার মিটিং ব্লু বেরি রেস্টুরেন্টে।আহির,আহনাভ দুজনেই বসে আছে।আহনাভ বিরক্তিতে বলে উঠে,”এত্ত তাড়াতাড়ি আসার কী ছিল বলতো।আমরা যার জন্য বসে আছি তার আসার নাম গন্ধ কিছুই নেই।”

আহির আহনাভের থেকে চোখ সরিয়ে রেস্টুরেন্ট এর দরজার দিকে তাকায় অতঃপর হেসে বলে,”যার জন্য অপেক্ষা করছিলাম এসে পড়েছে সে।”

আহনাভ আহিরের দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকালেই দেখতে পায় লায়ানা কে,(লায়ানার পরনে সাদা রঙের শার্ট ইন করা তার উপর রয়েল ব্লু কালারের ব্লেজার,রয়েল ব্লু কালারের প্যান্ট,হাতে ঘড়ি ,চুল গুলো ছেড়ে দেয়া,চোখে কালো সানগ্লাস)লায়ানাকে এইখানে দেখে আহনাভ অবাকের চরম শীর্ষে পৌঁছে যায়,আহনাভ শুকনো ঢোক গিলে লায়ানার থেকে চোখ সরিয়ে আহিরের দিকে তাকায়।

লায়ানা রাফির সাথে কথা বলতে বলতে এগিয়ে আসে,সামনে এসে দাঁড়াতেই আহির আহনাভ দুজনে দাড়িয়ে যায়।লায়ানা চোখ থেকে সানগ্লাস খুলে আহিরের সাথে হ্যান্ডশেক করে পাশে তাকাতেই যেনো লায়ানা পলক ঝাঁপটাতে ভুলে গেলো।লায়ানার এমন চাহনি দেখে আহনাভের কাশি উঠে গেছে,আহনাভকে এইভাবে কাশতে দেখে লায়ানা তাড়াহুড়ো করে পানির গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বলে,”আরেহ আরেহ কী হলো পানি খান।”

আহির ভ্রু কুচকে বলে,”তোর যক্ষা কখন হলো রে?”

আহনাভ কোনো উত্তর না দিয়ে লায়ানার হাত থেকে পানির গ্লাস কেড়ে নিয়ে ঢক ঢক করে গ্লাসের সম্পূর্ণ পানি শেষ করে ফেলে।

#চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here