ডুবেছি_আমি_তোমাতে #লেখিকা_Aiza_islam_Hayati #পর্ব_০৯

0
156

#ডুবেছি_আমি_তোমাতে
#লেখিকা_Aiza_islam_Hayati
#পর্ব_০৯

লায়ানা বাইকের চাবি দারোয়ান কে দিয়ে বাইক গ্যারেজে রেখে দিতে বলল।অতঃপর বাড়ির সদর দরজা দিয়ে বাড়ির ভিতরে অগ্রসর হলো।বাড়ির ভিতর ঢুকতে ঢুকতে ভাবতে লাগলো আজ তার সাথে কী কী হয়েছে…

… ঘড়িতে তখন সকাল ছয়টা দশ মিনিট,লায়ানা এক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।ওই মুহূর্তে রাফি লায়ানাকে কল করে।লায়ানার ফোন আচমকা বেজে উঠতেই লায়ানার ঘুম উড়ে যায়,লায়ানা বুকে হাত রেখে লাফ দিয়ে উঠে বসে।বড় এক শ্বাস নিয়ে দাঁতে দাঁত পিষে ফোনের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে,”ব’জ্জা’ত রাফিরে তুই আমাকে কোনদিন যেনো ভয় দেখিয়ে মেরেই ফেলিস।আজকে তোর একদিন তো আমার একদিন।”(লায়ানা ছোট বেলা থেকেই ঘুমের মধ্যে থাকা অবস্থায় আচমকা কোনো কিছুর শব্দ পেলেই ভয় পেয়ে যায়।)

লায়ানা তো ভেবেই নিয়েছিল ফোন ধরেই রাফিকে গালি দিয়ে হুইল পাউডার ছাড়াই ধুয়ে দিবে ,এই উদ্দেশ্যে ফোন হাতে নিয়ে রিসিভ করে।ফোন কানের কাছে নিতেই ঐপাশ থেকে রাফি বলে উঠে,”ম্যাম আমরা রাহমান এর ফোন থেকে একটা বড় লিস্ট পেয়েছি।ওই লিস্ট অনুযায়ী অনেক গুলো জায়গার খোঁজ পেলাম।এক পেলাম মা’দ’ক দ্র’ব্র অন্য দেশে পা’চা’রে’র আসল জায়গা গুলো তার সাথে আরো কিছু জায়গার লিস্ট পেলাম সেইখান থেকেই মে’য়ে’দে’র পা’চা’র করা হয়।আজ *** জায়গা থেকে পনেরো-ষোলো জনের মত মেয়েদের পা’চা’র করা হবে।”

লায়ানা রাফিকে গালি দিল না পরবর্তী সময়ের জন্য তুলে রাখলো।লায়ানা উত্তরে শুধু বলল,”আমাদের গার্ড রেডি করো।আর আহান কে হোটেল থেকে পিক করে নাও।”

“ম্যাম আহান আমার সাথেই আছে।গার্ডরাও রেডি।আমরা আপনার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে *** জায়গায় আছি আপনি চলে আসুন।”

লায়ানা বিছানা ছেড়ে তাড়াতাড়ি করে তৈরি হয়ে নেয়।লায়ানা বেরিয়ে যাওয়ার আগে মুগ্ধতা কে ম্যাসেজ করে দেয় কারণ মুগ্ধতা সকাল ছয়টায় হসপিটাল চলে গিয়েছিল ইমারজেন্সি রোগীর জন্য।মেসেজে বলে দেয় ”বনু রাহমান এর ফোন থেকে একটা জায়গার খোঁজ পেয়েছি ঐখান থেকে পনেরো-ষোলো জনের মত মেয়েদের পা’চা’র করা হবে।আমি ঐখানেই যাচ্ছি।টেনশন নিস না আমার সাথে রাফি,আহান আর গার্ডরাও আছে।”

রাফি,আহান সহ সব গার্ড যেখানে লায়ানার জন্য অপেক্ষা করছে লায়ানা বাইক নিয়ে সেইখানে চলে যায়।লায়ানা যেতেই সবাই তাদের গন্তব্যস্থলের দিকে অগ্রসর হয়।
.
আহান রাফির বাইকের পিছনে বসেছে।আহান বাম হাতে রাখা ট্যাবে আঙ্গুল চালিয়ে রাফিকে বলে, “ভাই তোরা কী তাড়া দিয়েই না কাল আমাকে কানাডা থেকে আনলি রে।ভেবেছিলাম তাড়া দিয়ে আনলি ঠিক আছে আজ একটু ঘুরতে বের হবো কিন্তু এইযে আন্ডার গ্রাউন্ড মা’ফি’য়া মিস হায়াতি আহমেদ লায়ানা তো আমাকে কাজে লাগিয়ে দিলো।”

রাফি বলে উঠে,”আরেহ ভাই তুই চুপ থাক বুঝেছি।”

আহান দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে রাফিকে বলে,”বুঝেছি এখন একটু কথাও বলা যাবে না তোদের সাথে।আচ্ছা রাফি আমাকে সব বলতো কী কী হলো এই কদিন আর তোরা কেনো হঠাৎ করে আমাকে না বলেই বাংলাদেশ চলে এলি।”

রাফি বাইক চালাতে চালাতে বলে,”লায়ানা ম্যাম আর মুগ্ধতা ম্যাম এইসবের পিছনে মেইন যে আছে তার এক লোকের খোঁজ পায় তারপর আমরা বাংলাদেশ আসি,তুই বিজনেস এর কাজে কানাডার বাহিরে যাওয়ার কারণে তোকে বলতে পারিনি।এরপর আমরা লোকটিকে খুঁজে বের করি।আটকে রেখে তিনদিন ঝুলিয়ে উত্তম মাধ্যম মে’রে’ছি কিন্তু ওই অ’ধ’ম কিছুই বলেনি।তারপর আমরা আমজাদ,অঙ্কুর,অজয় আর রাহমান এর খোঁজ পাই।ওদের ধরতে ঐদিন রাতে ক্লা’বে যাই।ঐদিন লায়ানা ম্যাম আর মুগ্ধতা ম্যাম ক্লা’ব টি কিনে নেয় কাজটি আরো সহজ করে ফেলার জন্য।তারপর ক্লা’বের সবাইকে বের করে ওদের চারজন কে আমরা ঘিরে ফেলি।সেইদিন ম্যামদের মুখে মাস্ক ছিল।ওই সময় আমজাদের শার্টে ছিল ওয়ারলেস মিনি ক্যামেরা তা মুগ্ধতা ম্যাম লক্ষ্য করেছিল।তারপর ওদের চারজনকে আমরা বেসমেন্টে নিয়ে আসি।ম্যাম চট করে একটা প্ল্যান করে ফেলে।মুগ্ধতা ম্যাম রুহানা আর নিশি নামের মেয়ে দুইটির সাথে দেখা করে আর ওদের বলা হয় আমরা একটা শুটিং করবো ওদের নিয়ে আর সেইখানে ওদের দুইজনকে নায়িকা হিসেবে নেয়া হবে।ওরাও রাজি হয়ে যায়।তারপর প্ল্যান অনুযায়ী এমন ভাবে সাজানো হয় যে,মেয়ে দুইটি আমরা যেমন বলি ওদের চারজনের সামনে গিয়ে তেমনি করে।মেয়ে দুইটি পরবর্তীতে আমাদের বলেছিল এত্ত ভালো মেকআপ আর্টিস্ট কোথা থেকে পেলেন যে ওদের শরীরের আঘাত গুলো রিয়েল লাগছিল।তখন লায়ানা ম্যাম হেসে উঠে বলেছিল ‘ জাদু ‘। মেয়ে দুইটি ও আর প্রশ্ন করেনি বাকিটা সামলে নিয়েছি।তারপর ওদের চারজনকে উপযুক্ত শা’স্তি দেয়ার আগে ওদের ফোন গুলো রেখে দি আমি আর রুদ্র।আর সেই ফোনগুলো দিয়েই তো তুই লিস্ট টা বের করলি।”

আহান হেসে বলে,” রাফি কী ধোঁকা টাই না দিলি তোরা ওদের।ওরা অ’ক্কা পাওয়ার আগে জানলোই না আসল আন্ডার গ্রাউন্ড মা’ফি’য়া গার্ল দুইজন আর কেউ না মুগ্ধতা আর লায়ানা।তোরা এই অব্দি কয়জনকে বলদ বানিয়েছিস রে?এই অব্দি সবচেয়ে বলদ বানিয়েছিস আমার মতে আন্ডার গ্রাউন্ডের সব মা’ফি’য়া’দে’র।কারণ ওই মা’ফি’য়া’দে’র সাথে যুক্ত থেকে ওদের সব খারাপ কাজ জেনে মুগ্ধতা আর লায়ানা গোপনে ওদের প্ল্যানটাই বিগড়ে দেয়।আসল কথা ওদের মধ্যে কেউই এই অব্দি জানতে পারলো না ওদের প্ল্যান নষ্ট কিভাবে হয় কে করে।” বলেই আরো হাসতে থাকে আহান।

.
গন্তব্যস্থলে এসেই লায়ানা,রাফি আর গার্ডরা থেমে যায়।লায়ানা বাইক থেকে নেমে দাঁড়ালে রাফি বলে,”ম্যাম এই গোডাউনেই।”

তিনজন গোডাউনের ভিতরে প্রবেশ করে সাথে গার্ডরাও।গোডাউনের ভিতরে প্রবেশ করতেই
দেখতে পায় গোডাউনের লোকেরা একেকজন একেক কাজে ব্যাস্ত।ওদের দেখে বারো জনের মত লোক ওদের পথ আটকে বলে,” এই তোরা কে?”

লায়ানা বিরক্তি প্রকাশ করে বলে,”আচ্ছা দেখতেই পারছিস চোখের সামনে এতগুলো রক্ত মাংসের মানুষ দাড়িয়ে আবার জিজ্ঞেস করিস কেন?তোদের কমন সেন্স এর অভাব?আসল কথা বল মেয়ে গুলোকে কোথায় রেখেছিস?”

লোকগুলো কোন প্রকার কথা না বলেই তেড়ে আসে লায়ানার দিকে।লায়ানার গার্ডরা গিয়ে লোকগুলোকে ধরে ফেলে।লায়ানা লোকগুলোর মধ্যে একজনের চুল নিজের হাতের মুঠোয় নি’য়ে টে’নে ধরে আরেক হাতে লোকটির মাথায় ব’ন্দু’ক ধরে বলে,”বল মেয়েগুলোকে কোথায় রেখেছিস? বল নাহলে”

লোকটি কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলে উঠে,”গোডাউনের শেষ প্রান্তের ঘরে।”লায়ানা লোকটিকে ছেড়ে দেয় অতঃপর আহান আর গার্ডদের চোখের ইশারায় এদের সামলে নিতে বলে।
.
লায়ানা রাফির সাথে গোডাউনের শেষ প্রান্তের দিকে হাঁটা ধরলে একটি ঘরের সামনে এসে থেমে যায়।ঘরের ভিতর থেকে করো চা’পা কা’ন্না’র সাথে ভেসে আসছে,” প্লিজ আমাদের যেতে দিন।”

লায়ানা পাশ থেকে একটি র’ড নিয়ে বা’রি দিয়ে ঘরের দরজায় ঝুলে থাকা তালা ভেঙে ফেলে,দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে যায়।ঘরের ভিতরে বি’ধ্ব’স্ত অবস্থায় মেয়েগুলো পড়ে আছে।মেয়েগুলো লায়ানা,রাফিকে দেখে বলে উঠে,” প্লিজ আমাদের মা’র’বে’ন না।আমাদের যেতে দিন।প্লিজ আমাদের জীবন টা ন’ষ্ট করে দিবেন না।”

লায়ানার বুকের মাঝে মোচড় দিয়ে উঠলো এই মেয়েগুলোর সাথে এমন করতে কিভাবে পারে এই ন’র’পি’চা’শ গুলো।লায়ানা মেয়েগুলোর কাছে এগিয়ে গিয়ে হাঁটু ভাঁজ করে বসে বলে,” প্লিজ তোমরা শান্ত হও।বিশ্বাস করো আমি তোমাদের এখান থেকে নিয়ে যেতে এসেছি।”

মেয়েগুলো লায়ানার উপর ঝাপিয়ে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে,” আপু ওরা ভালো না আমাদের সাথে।”বাকিটা বলতে পারলো না মেয়ে গুলো। লায়ানা নিজেও কিছু বলতে পারছে না মেয়ে গুলোর অবস্থা দেখে তার গলায় সকল কথাগুলো যেনো দলা পাকিয়ে এসেছে।
.
আহান ছুটে দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে উঠে ,”লায়ানা তুই মেয়ে গুলোকে নিয়ে বেরিয়ে যা তাড়াতাড়ি।ওদের লোকেদের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে এখন সামলাতে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে।”

.
লায়ানা মেয়েগুলোকে নিয়ে কোনো ভাবে বেরিয়ে আসছিল হঠাৎ লায়ানার উপর কিছু লোক লোহার র’ড নিয়ে হা’ম’লা করে।রাফি র’ড’টি ধরে ফেলে। পাশ থেকে আরো একজন তে’ড়ে এলে আহান তার এক হাতে র’ড ধরে লায়ানাকে বলে,”লায়ানা তুই যা।” আরেকজন এগিয়ে এলে আহান আরেক হাতে ধরে লোকটিকে বলে,” হা’রা’মি’র দল আমার বোনের গায়ে হাত দি’তে চাস তোদের কী করি দেখ।”আহান দুই হাতে র’ড টান দিয়ে কেড়ে নিয়ে এ’লো’পা’থা’ড়ি মা’রা শুরু করে সবগুলোকে।

লায়ানা মেয়েগুলোকে নিয়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে আবার পিছন ফিরে আহানের দিকে তাকিয়ে বলে,”আহারে আমার ভাইটা,লাভ উই রে।”

আহান র’ড দিয়ে একটাকে মা’র’তে মা’র’তে লায়ানার দিকে এক পলক তাকিয়ে বলে,”লাভ ইউ টু মাই শা’ক’চু’ন্নি বইন।তুই এইবার যা ওদের নিয়ে।”

.
লায়ানা বেরিয়ে যায় মেয়ে গুলোকে নিয়ে।মেয়েগুলোকে গাড়িতে বসিয়ে নিজে গাড়িতে উঠে বসবে সেই মুহূর্তে রাফি দৌড়ে লায়ানার কাছে এসে আতঙ্কিত কণ্ঠে বলে,” ম্যাম রুহানা আর নিশির জন্য যেই সিক্রেট স্পাই রেখেছিলাম স্পাই ইনফর্ম করলো ওরা নাকি রুহানা আর নিশিকে আসল আন্ডার গ্রাউন্ড মা’ফি’য়া ভেবে ওদের বাড়িতে হা’ম’লা করেছে।”

লায়ানা নিজের চুল খামচে ধরে মুহূর্তেই কিছু একটা ভেবে বলে,” রাফি আহান কী এখনও ভিতরে?”

“আহান ভাইয়ের হাতে গু’লি লেগেছে ম্যাম।সেই অবস্থায় ভিতরের সব গুলোকে গার্ডদের সাথে হ্যান্ডেল করছে।”

“প্লিজ রাফি এই মেয়ে গুলোকে ওদের ঠিক জায়গায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা কর।আর আহান কে দেখে রেখো।রাফি আহান টা বেশিক্ষণ পারবে না ওই অবস্থায় ওদের সাথে।আমি রুহানা আর নিশির কাছে যাচ্ছি।”

লায়ানা বাইকে উঠে বসে।রাফি বলে উঠে,” কিন্তু ম্যাম নিজের লাইফ রিস্ক নিয়ে যাবেন না প্লিজ ঐখানে। ওদের সাথে একা পারবেন না ম্যাম।”

“রাফি আজ ওই দুইটা মেয়ের বিপদ শুধু মাত্র আমাদের জন্য।তুমি কীভাবে ভাবো তোমার ম্যামের জন্য বিপদে পড়া মেয়েগুলোকে ঐভাবে বিপদে রেখে দিয়ে নিজের জীবন নিয়ে ভেবে বেড়াবো।আমার যেতে হবে রাফি।আমাদের আরো গার্ড ইনফর্ম করো প্রয়োজন পড়লে আমি যেইখানে যাচ্ছি ওদের ঐখানে পাঠিয়ে দাও।

“কিন্তু ম্যাম আমি আপনাকে একা ছাড়তে পারবো না!” লায়ানা রাফিকে থামিয়ে দিয়ে ধমকের স্বরে বলে,”আমি যা বলছি তাই করো রাফি।ওদের লোক আরো চলে আসার আগে মেয়ে গুলোকে সরাও।” লায়ানা থেমে গিয়ে শান্ত কণ্ঠে বলে,”চিন্তা করো না রাফি তোমার ম্যাম বেঁচেই ফিরবে এত্ত সহজে ওই ন’র’পি’চা’শ’দের হাতে মরবে না উল্টো ওদের মে’রে আসবে।”বলেই বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে যায় লায়ানা।

রাফি চিন্তায় ঘামছে,ডান হাতের উল্টো পিঠে কপালের ঘাম মুছে নেয়।অতঃপর দ্রুত আরো গার্ড ইনফর্ম করে একাংশ এইখানে আসার জন্য বলল আর বাকি গার্ডদের চলে যেতে বলল লায়না যেইখানে যাচ্ছে সেইখানে।

.
লায়ানা লোকেশন অনুযায়ী একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে এসে বাইক থামালো।নিজের ব’ন্দু’ক বের করে গাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়িটির ভিতরে প্রবেশ করলো।

.
লায়ানা পা টিপে এক প্রকার শব্দবিহীন সদর দরজা দিয়ে ঢুকতেই দেখলো রুহানা আর নিশি ফ্লোরের এক কোণায় পড়ে আছে।দুজনের মাথা ফে’টে ফি’ন’কি দিয়ে র’ক্ত বেরিয়ে আসছে।দুইজনের সামনে বিশ জনের মতো লোক একজনের হাতে ব’ন্দু’ক তো বাকিদের হাতে হ’কি’স্টি’ক।ব’ন্দু’ক ধরে রাখা লোকটি তার লোকেদের ঠিক সামনে দাড়িয়ে আছে।

লোকগুলোর মধ্যে একজন বলে উঠে,” আমরা ভাবতেও পারিনি এই দুটোয় এত্ত দুর্বল।আমরা এত্ত জন না এসে শুধু আমি একা আসলেই হয়ে যেত।আচ্ছা ওরা দুটোয় আমাদের রাহমান,অঙ্কুর,অজয় আর আমজাদ কে মা’র’লো তাহলে এত্ত দুর্বল ওরা কিভাবে হতে পারে?যাইহোক দুইজন দেখতে প্রচুর হ’ট ভাই মা’রা’র আগে একটু মজা করে নেয়া যাক এদের সাথে।”

.
লোকগুলোর ঠিক সামনে দাড়িয়ে থাকা লোকটি বন্দুক পকেটে গুঁজে নেয়।তারপর লোকটি সহ তার এক সঙ্গী রুহানা আর নিশির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।

লোকগুলো লায়ানাকে লক্ষ্য করেনি এখনও।লায়ানা একই ভাবে পা টিপে এগিয়ে যায় কিছুটা অতঃপর রুহানা আর নিশির দিকে এগিয়ে যেতে থাকা দুইজনের হাতে শু’ট করে দেয়।

সবাই একসাথে লায়ানার দিকে তাকালে লায়ানা তাদের সামনে দাড়িয়ে থাকা লোকটির দিকে ব’ন্দু’ক তা’ক করে বলে,”এই দুইজনকে ছেড়ে দে।তোরা যাদের কথা ভাবছিস এই দুইজন ওরা না।”

সামনের লোকটি কিছুটা এগিয়ে এসে বলে,”তুই কে?আর ওরা আমাদের বিশ্বস্ত লোকেদের মেরেছে ওদের কিভাবে ছেড়ে দি।”

লায়ানা রুহানা আর নিশির দিকে একবার তাকায়,দৃষ্টি সরিয়ে লোকটির দিকে তাকিয়ে দশ পাঁচ না ভেবে লোকটির ওপর হাতে শু’ট করে দেয়।লোকটি তার এক হাত ছেড়ে অপর হাত চেপে ধরে আ’র্ত’না’দ করে উঠলে লায়ানা বড় বড় পায়ে এগিয়ে গিয়ে এক হাতে লোকটির গলা পেঁ’চি’য়ে ধ’রে,আরেক হাতে লোকটির মাথায় ব’ন্দু’ক ধ’রে চেঁচিয়ে বলে উঠে,” আমার ব’ন্দু’কে’র একেকটা গু’লি’তে এমন বি’ষ’ক্রি’য়া আছে যে তোদের শরীরের মধ্যে একবার প্রবেশ করলে ম’র’তে বেশিক্ষণ সময় লাগবে না।তাই একদম কাছে আসবি না।এই মেয়ে দুটিকে ছেড়ে দে বলছি।”

লোকগুলো লায়ানার কথায় পাত্তা না দিয়ে লায়ানার দিকে এগিয়ে আসতে লাগে।লায়ানা একই ভাবে লোকটির গ’লা পেঁ’চি’য়ে ধ’রে রেখে বরাবর ব’ন্দু’ক তুলে তার দিকে এগিয়ে আসতে থাকা একেকজনকে মুহূর্তের মাঝেই শু’ট করা শুরু করে।

.
আচমকা লায়ানা চোখ বড় বড় করে ফেলে হাত থেকে তার ব’ন্দু’ক পড়ে যায়,আরেক হাত দিয়ে গ’লা পেঁ’চি’য়ে ধ’রে রাখা লোকটিকে ছেড়ে দিয়ে এলোমেলো পায়ে পিছিয়ে আসে।লায়ানার চোখের সামনে সব অন্ধকার হয়ে যেতে লাগে।শরীরের ভর ছেড়ে দিয়ে মাটিতে ধপ করে দুই হাঁটুতে ভর দিয়ে বসে পড়ে।

#চলবে।

কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে আশা করছি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন সকলে।আপনাদের ভালো লেগে থাকলে পোস্টে একটি রিয়্যাক্ট দিয়ে আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট এর মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন🥰।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here