ডুবেছি_আমি_তোমাতে #Aiza_islam_Hayati #পর্ব_১০ .

0
155

#ডুবেছি_আমি_তোমাতে
#Aiza_islam_Hayati
#পর্ব_১০
.
পিছন থেকে লায়ানার মাথায় হ’কি’স্টি’ক দিয়ে আ’ঘা’ত করা লোকটি লায়ানার এলোমেলো ভাবে পড়ে যাওয়া দেখে অট্টহাসিতে মেতে উঠে,সাথে তার সঙ্গীরা।তার সঙ্গীদের মধ্যে দুইজন লায়ানার কাছে এগিয়ে গিয়ে দুইদিক থেকে মা’থা’য় ব’ন্দু’ক ধরে বলে,”এইবার কোথায় গেলো তোর এত তেজ?আসার পর থেকে তোর তেজ কমছেই না।কে তুই?কেনো আমাদের কাজে বাম হাত ঢুকাচ্ছিস?তোর কী হয় এই দুইজন যে তুই নিজের প্রা’ণে’র ক’থা না ভেবে ওদের বাঁ’চা’তে এসেছিস।ঠিক আছে তোর সামনেই ও’দে’র স’ম্মা’ন নি’য়ে খে’ল’বো।আর তুই যদি এক চুল নরিস তোকে এই দুইজন শু’ট করে তোকে শে’ষ ক’রে ফেলবে”

লায়ানা তাকানোর চেষ্টা করে ঝাপসা চোখে দেখে নেয়।লোকগুলো রুহানা আর নিশির দিকে এক পা এক পা করে এগিয়ে যাচ্ছে।লায়ানা চোখ বন্ধ করে ফেললো মনে মনে আওড়ালো,”লায়ানা তোকে পারতে হবে।তোকে পারতেই হবে।আজ তুই এই ন’র’পি’চা’শ’দে’র কাছে হেরে যেতে পারিস না।চোখের সামনে ওই মেয়ে দুইটির স’ম্মা’ন হা’নি হতে দিতে পারিস না।”

লায়ানা চোখ খুলে তাকালো,ঝাপসা চোখে সামনে পড়ে থাকা ব’ন্দু’কে’র দিকে নজর দিল।সময় নষ্ট না করে পড়ে থাকা বন্দুক খপ করে হাতে নিয়ে নিলো দুইপাশে দাঁড়ানো লোকগুলোর পায়ে ব’ন্দু’ক দিয়ে বা’রি বসিয়ে দিল।

আচমকা এমন হওয়ায় লোকগুলো মাটিতে পড়ে যায়।লায়ানা উঠে দাড়িয়ে রুহানা আর নিশির দিকে হাত বাড়াতে নেয়া লোকগুলোর বু’ক বরাবর শু’ট ক’রে দেয়।বুকে হাত দিয়ে মাটিতে লু’টি’য়ে পড়ে দুজন।

লায়ানা প্র’খ’র কণ্ঠে চি’ৎ’কা’র করে শুধায়,”তোদের সাহস কী করে হয় ওদের দিকে তোদের নো’ং’রা হাত বাড়ানোর।আর কা’পু’রু’ষে’র মতো আমাকে পি’ছ’ন থেকে কেনো আ’ঘা’ত করলি?তোরা যাকে মা’র’তে এসেছিস ওরা সেই মা’ফি’য়া না যারা তোদের লোকেদের মে’রে’ছে।ওই মেয়ে আমি যে তোদের লোকেদের মে’রে’ছি।তোরা নারীদের কী ভাবিস হাতের পুতুল?একটা নারী যেমন নরম হতে পারে তেমনি ওই নারীর ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করে ফেললে তোদের স’র্ব’না’শ’ও ডেকে আনতে পারে।তোদের অ’ধঃ’প’ত’ন আজ ঘ’ট’বে’ই তাও এই নারীদের হাতেই।”

লায়ানা থামতেই সাথে সাথে দরজা দিয়ে লায়ানার স্পেশাল লেডি গার্ড ফোর্স একে একে ব’ন্দু’ক হাতে ঢুকতে লাগলো।(লায়ানার এই লেডি গার্ড ফোর্স এর একেকটা মেয়েকে লায়ানা আর মুগ্ধতা একেক পরিস্থিতি থেকে বাঁচিয়েছে।মেয়েগুলোকে লায়ানা আর মুগ্ধতা প্রতিবাদী নারীর মত করে গড়ে তুলেছে।এমন ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যে তারা নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে পারবে যেকোনো পরিস্থিতে।)

লায়ানার লেডি গার্ডরা ঢুকেই লোকগুলোকে ধরে মা’রা শুরু করে।লায়ানা এগিয়ে গিয়ে রুহানা আর নিশির সামনে হাঁটু মুড়ে বসে বলে,”তোমরা ঠিক আছো?”

রুহানা আর নিশি দুইজন ঠু’ক’রে কেঁ’দে উঠে।লায়ানা দুইজনকে দাড় করিয়ে বলে,”কিছু হয়নি চলো এইখান থেকে।”

.
লায়ানা রুহানা আর নিশিকে নিয়ে বেরিয়ে যায়।লায়ানা দুইজনকে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে সাথে একজন লেডি গার্ডকে তাদের সাথে যেতে বলে।

লায়ানা রুহানা আর নিশির দিকে তাকিয়ে বলে,” তোমাদের অনেক অনেক সরি।আমার জন্য আজ তোমাদের এই অবস্থা।”

নিশি বলে উঠে,”ইটস ওকে ম্যাম।আমাদের দুই বোনকে বাঁচানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনি নিজের খেয়াল রাখবেন।”

লায়ানা ড্রাইভার কে বলে ,”আপনি এইবার যান।”
ড্রাইভার চলে গেলে লায়ানা একবার ডুপ্লেক্স বাড়ির ভিতরে যায় ঠোঁটের কোণে প্রসন্ন হাঁসি ফুটিয়ে বলে,”আমি বলেছিলাম এই নারীর হাতেই তোদের অ’ধঃ’প’ত’ন হ’বে।নারীকে ছোট করে ভেবে দেখিস না কখনো।এই নরম মনের নারীরাও স’র্ব’না’শি’নী হয়ে উঠতে পারে।” ……

এইসব ভাবতে ভাবতে লায়ানা নিজের ঘরের সামনে চলে এলো।নিজের ঘর অব্দি আসতে লায়ানাকে খুব বেগ পেতে হয়েছে।বাড়ির এক কোণায়ও কৃত্তিম আলোর উপস্থিতি নেই,অন্ধকারে হাতড়ে নিজের ঘরের দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।দরজার নব ঘুড়িয়ে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই লায়ানার প্রাণ যায় আসে।বড় এক ঢোক গিলে বলে,”বনু”

লায়ানা মনে মনে আওড়ালো,” লায়ানারে তুই আজকে খতম!মাথা হাত এইসবের চট দেখে বনু তো এইবার তোকে ঠাটিয়ে চার পাঁচটা থাবড়া বসিয়ে দিবে।”

মুগ্ধতা বড় বড় পায়ে লায়ানার একদম কাছে এসে দাড়ালো তারপর লায়ানার গালে ঠাস করে থাপ্পড় বসিয়ে দিল।

“তোকে কত বার মানা করেছি এরকম করতে কথা কী কানে যায় না।নাকি কানের ছিদ্র ছোট হয়ে গিয়েছে।একা একা বাহাদুরি করতে গেসে মেডাম।তোর যদি বড় কোনো ক্ষ’তি হয়ে যেত তখন কী হতো?আমাকে ওইসময় জানানোর প্রয়োজন বোধ করলি না।আমি তো মাত্র রাফির থেকে সব জানলাম। আম্মুরা ভাগ্যিস ঘুমাচ্ছে নাহলে এত রাতে তোর এই অবস্থা দেখলে আমি কী জবাব দিতাম”

লায়ানা মাথা নিচু করে ফেলে,চোখের কার্নিশ ঘেঁষে অনবরত পানি পড়া শুরু করেছে।লায়ানা নাক টেনে বলে,”একজন মানবতার খাতিরে আঘাতের জায়গায় ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে তো আরেকজন মারছে।আজ কাল তো ভালো মানুষেরই দাম নেই ।”থেমে গিয়ে আবার নাক টেনে বলা শুরু করে,”আসলে তখন তোকে জানানোর মত সময় ছিল না হাতে।তোকে জানানোর পর তুই আসলে অনেকটা দেরি হয়ে যেত।আর রাফিকে ঐখানে রেখে না গেলে ওই মেয়েগুলোকে কে পৌঁছে দিত?আর আমি ওইসময় না গেলে ওই মেয়ে দুইটির স’র্ব’না’শ হয়ে যেত।”

“তোর স’র্ব’না’শ এর গু”ষ্টি কি”লা”ই আমি।এইসব কান্না বন্ধ কর একদম কাঁদবি না তাহলে গালে থাপ্পড় মেরেছি তার জায়গায় ঠ্যাং খোঁড়া করে ঘরে রেখে দিব।আর আগামী থেকে যেনো এমন না হয় এরকম হলে তোকে আমি আমার হসপিটালের বিভান এর রুমে নিয়ে রেখে আসবো।(বিভান এনথ্রোপোফ্যাযি রোগে ভুক্ত।এই রোগে ভুক্ত রোগী মানুষ দেখলেই তাদের মা’ং”স খে’তে চায়।)আর তুই জানিস মুগ্ধতা যা বলে তাই করে।এইবার যা ফ্রেশ হয়ে আয় আমি খাবার নিয়ে আসছি।”

লায়ানা মুখ ফুলিয়ে আলমারি থেকে টি শার্ট আর ট্রাউজারটা নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।লায়ানা ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখে মুগ্ধতা খাবার নিয়ে সোফায় বসে আছে।লায়ানা এগিয়ে গিয়ে মুগ্ধতার পাশে বসে পড়ে।

মুগ্ধতা লায়ানার মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে।লায়ানাও চুপ চাপ খেয়ে নিচ্ছে।প্লেটে অবশিষ্ট খাবার টুকু লায়ানার মুখে পুরে দিয়ে বলে,” আচ্ছা তুই যে বললি মানবতার খাতিরে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে কী বোঝাতে চেয়েছিস?কে মানবতা দেখালো তোকে?”

লায়ানা পাশ থেকে পানির গ্লাস নিয়ে ঢক ঢক করে খেয়ে নিল অতঃপর বলল,” কে আবার,ওই ব’জ্জা’ত আহনাভ।আমি বাইক নিয়ে আসতেসিলাম ও আমার রাস্তা আটকে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এই যত্তসব বেঙ্গেজ করে দিয়েছে।আবার জোর করে বাইক থেকে নামিয়ে নিজের গাড়িতে করে দিয়ে গিয়েছে।এত্ত কিছু নাকি সে মানবতা দেখিয়ে করেছে।ভালোবাসি দেখে ওকে কিছু করি নি যদি অন্য কেউ হতো না ওর মানবতার খেতায় পুরি।

মুগ্ধতা লায়ানার দিকে আড় চোখে তাকালো।

মুগ্ধতার এমন চাহনি দেখে লায়ানা বলে উঠে,” বইন আর একটাও থাবড়া দিস না।আজকের মত এইসব থাবড়া থাবড়িরে ছুটি দে।আমি অনেক ক্লান্ত আমার এই শরীর এইসব আর নিতে পারতেছেনা।”

মুগ্ধতা টেবিলের উপর থেকে ওষুধ নিয়ে লায়ানাকে খাইয়ে দিয়ে বলে,”ঘুমিয়ে পড়। কাল সকালে আম্মু আর বাকিদের আমি বুঝিয়ে দিবো।”

পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ,সূর্যের মিষ্টি কিরণ ছড়িয়ে পড়ছে প্রকৃতির মায়াবী মুখে।সকালের এই স্নিগ্ধ পরিবেশ মনকে স্নিগ্ধতায় ভরিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

মুগ্ধতার ঘুম ভেংগে যায়।উঠে ফ্রেশ হয়ে লায়ানার ঘরের দিকে হাঁটা ধরে।দরজার নব ঘুড়িয়ে ভিতরে চলে যায়,গিয়ে লায়ানার পাশে বসে পড়ে।লায়ানার মাথায় হাত দিতেই ভ্রু কুচকে ফেলে মুগ্ধতা।

“জ্বর এসে পড়েছে।এই মেয়ে আমাকে শান্তি দিবে না।এখন সব কষ্ট তো ওর হবে কেন বুঝতে চায় না।মন তো চাইছে আরো কয়েক ঘা বসিয়ে দি।”,মৃদু স্বরে বলে মুগ্ধতা।পাশের টেবিলের ড্রয়ার থেকে থার্মোমিটার নিয়ে জ্বর মেপে নেয়।

.
বাড়ির সবাই জেগে উঠলে মুগ্ধতা লায়ানার আঘাতের ব্যাপারে অন্য কিছু বুঝিয়ে দেয়।মুগ্ধতা হসপিটাল যাওয়ার আগে লায়ানাকে খাবার,ওষুধ খাইয়ে দিয়ে বলে এসেছে,”আজকে শুধু রেস্ট করবি।দুপুরের দিকে ডক্টর অর্ণভ আসবে তোকে চেক করতে।”

.
লায়ানা বিছানার হেড বোর্ডে ঠেস দিয়ে বসে আছে।
লায়নার মাথার ব্যান্ডেজ পাল্টে নতুন করে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে ডক্টর অর্ণভ।প্রেস্কিপশন লিখে কাগজ টা লায়নার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,”একটু সাবধানে থাকবেন মিস হায়াতি।”

লায়না ডক্টরকে থামিয়ে দিয়ে বলে,”ডক্টর অর্ণভ এই মাথার চট ছাড়া অন্য কোনো কিছু বলেন তো,অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলেন।এই মাথার চোটের জন্য বোনুর থেকে থাপ্পড় খেয়েছি উফ আমার গাল।”

ডক্টর অর্ণভ হেঁসে ফেলে।

লায়নার ফোন বেজে উঠে। অর্ণভ বসা থেকে দাড়িয়ে বলে,”মিস হায়াতি আপনি আপনার খেয়াল রাখবেন।আজ আসি।” অর্নভ চলে যায়।ফোন বাজতে বাজতে বন্ধ হয়ে যায়।লায়নাও গুরুত্ব না দিয়ে ফোন পাশে রেখে শুয়ে পড়ে।

আবার ফোন বেজে উঠতেই লায়নার মুখ থেকে বিরক্তিতে ‘ চ ‘ শব্দটি বেরিয়ে আসে।লায়না ফোন হাতে নিয়ে দেখে অনোন নাম্বার, ফোন রিসিভ করে কানের কাছে নিল।কিন্তু ঐপাশ থেকে কোনো শব্দ আসছে না।

লায়না মলিন কণ্ঠেই বলল,” কে বলছেন?এইভাবে চুপ না থেকে কথা বলুন প্লিজ নাহলে আপনার মুখের উপরে এখন কল টা ঠাস করে কেটে দিবো।”

ঐপাশ থেকে এক দীর্ঘশ্বাস এর শব্দ কানে ভেসে এলো।কিছুক্ষন নিরবতা পালন করে ঐপাশ থেকে কেউ বলে উঠলো,”এখন কেমন আছো হায়া?”

লায়না লাফ দিয়ে উঠে বসলো।ফোনটি কানে আরো ভালো করে চেপে ধরে বলল,”আহনাভ তুমি!”

“হ্যা আমি কেনো কী হয়েছে?এখন কেমন আছো?”

“আমার মাথা ব্যাথা তো এখন শো শো করে উড়ে যাবে।”

“কেনো?”

“কারণ আমার আহনাভ আমাকে ফোন করেছে।”

“এত্ত খুশি হওয়ার কী আছে?আমরা তো ডিলার।পিএস কম্পানির ওনার আমি,তোমার সাথে আমার এত্ত বড় একটা ডিল হয়েছে এখন তুমি যদি অসুস্থ হয়ে পড়ো আমার তো তোমার খোঁজ নেয়া উচিত তাইনা।”

লায়না চুপ হয়ে গেলো তাচ্ছিল্য স্বরে বলল,” আহনাভ পৃথিবীতে আমাদের সবচেয়ে বড় কষ্ট কী হলো জানো এক তরফা ভালবাসা। আর তারচেয়ে বড় কষ্ট হলো আমি যাকে ভালোবাসি সে জেনেও বার বার আমার এই ছোট মনে আঘাত করছে।তোমার কী একবারও মন চাইছে না এই হায়া কে একটিবার ভালোবেসে দেখি একটিবার সুযোগ করে দি।আরেহ আহনাভ এই লায়ানা তোমার জন্য উন্মাদ হয়েছে।তোমার গত কালের ওই মানবতা দেখিয়ে সেবা আমাকে কত টা আঘাত করেছে তুমি জানো?জানবে কী করে।আচ্ছা তুমি তো অবুঝ না কেনো বুঝতে চাও না পৃথিবীতে সবাই এক না।সব নারী ওই লিলীমার মত নয়।আমাকে কী ভালোবাসা যায় না আহনাভ।নাকি আমি শ্যাম রঙের বলে তুমি আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছ,আমার সাথে তোমাকে কী মানাবে না?এই যদি কারণ হয় তাহলে আমি নিজেই সরে আসবো।আর কারণ যদি অন্য কিছু হয় আমি তোমাকে ছাড়ছি না।তোমার প্রতি আমার সুপ্ত অনুভূতি গুলো এখন এক ভ’য়ং’ক’র ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে আহনাভ।আমার ভালোবাসাকে তুচ্ছ করলে আমাকে আমার ধৈর্যের বাহিরে গিয়ে কষ্ট দিলে আমি তোমার জীবনে ভ’য়ং’ক’র প্র’ল’য় ডেকে আনবো।এই হায়াতি আহমেদ লায়ানা ভালবাসতেও জানে আবার ধ্বং’সে’র প্র’ল’য় আনতেও জানে।” বলেই কল কেটে দিল লায়ানা।

.
লায়ানার প্রত্যেকটি কথা যেনো আহনাভের গায়ে তীরের মত গিয়ে বিধেছে।লায়ানা ফোন কাটতেই আহনাভ চেয়ারে গা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল।বিড়বিড় করে বলা শুরু করলো,”হায়া তুমি তোমার গায়ের রং নিয়ে কেনো এত তুলনা করো আমার সাথে।আমি তো একবারও বলিনি তোমার সাথে আমাকে মানাবে না।আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা এখনও আমাকে কষ্ট দেয়, লিলীমাকে ভালোবাসা আমার জীবনে এক বড় ভুল।যেই ভুল আমাকে এখনও কষ্ট দিয়ে বেড়ায়।আমি তো কাউকে ভালোবাসতে ভয় পাই হায়া।আমি যে তোমাকে সুযোগ দিতে ভয় পাচ্ছি।আমি কাউকে আবার নতুন করে ভালোবাসবো সে আবার আমাকে ছেড়ে চলে গেলে এই আহনাভের বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে।”

কেবিনের দরজার ঐপাশ থেকে তমাল বলে উঠলো,” স্যার কিছু ফাইল এনেছি যদি চেক করে দিতেন।”

“এখন না তমাল,আমি এখন কোনো কিছু ভাবতে চাই না।”

তমাল সটান হয়ে দাড়ালো মাথায় হাত ডুবিয়ে মাথা চুলকে মনে মনে আওড়ালো,” স্যারের মাথায় কী আবার লিলীমা পেত্নী ভর করেছে নাকি।”

আহনাভ চোখ বন্ধ রেখেই হাসলো।ঠোঁটের কোণে হাসি বজায় রেখে শুধায়,”তোমার ঐ রূপের বর্ণনা কী করবো?কিভাবে শুরু করবে কী দিয়ে শেষ করবে এই আহনাভের জানা নেই।”

.
বিকেল পাঁচটা মুগ্ধতার হসপিটালের সব কাজ শেষ তাই হসপিটাল থেকে বেরিয়ে সিটি হসপিটাল চলে এসেছে আহান কে দেখতে। কাল আহানের হাতে গু’লি লাগায় সব প্রথমে সামলে নিলেও হোটেলে যাওয়ার পথে রাফি আহানকে জোর করে হসপিটাল নিয়ে আসে।হসপিটাল নিয়ে আসলে ডক্টর আহানকে হসপিটালে ভর্তি করে নেয়।

দোতলায় ১০৮ নম্বর কেবিনে আহানকে রাখা হয়েছে।মুগ্ধতা ১০৮ নম্বর কেবিনের সামনে এসে থেমে যায়।কেবিনের বাইরে দুইজন গার্ড দাড়িয়ে,এদের রাফি রেখেছে।মুগ্ধতা সামনে আসতেই দুইজন গার্ড কেবিনের দরজা খুলে দেয়।

মুগ্ধতা কেবিনের ভিতরে পা বাড়িয়ে হেসে বলে,” এখন কী অবস্থা?হাতে গু’লি খেয়ে এখন কেমন লাগছে?”

#চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here