ভালোবাসার_অন্যরুপ_১ #পর্ব_12 #Aye_Sha

0
191

#ভালোবাসার_অন্যরুপ_১
#পর্ব_12
#Aye_Sha
🌸
আমি এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে নিজের ঘরের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম, গেস্ট রূমের দরজা খুলতেই দেখলাম আমান দরজার পাশে দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে ঘুমাচ্ছেন। আমি অবাক হয়ে ওনার পাশে বসে ওনাকে ডাকতে গিয়ে আটকে গেলাম। কি মায়াভরা মুখ ওনার। তখন যেতে বলাতেও উনি যাননি তাহলে। আমানের কপালের উপর ওনার সিল্কি চুল গুলো এলোমেলো হয়ে পরে রয়েছে, খুব ইচ্ছে করছিল চুল গুলো সরিয়ে দেওয়ার কিন্তু উনি যদি জেগে যান?” ধুর যা হবে দেখা যাবে ” এই ভেবে ওনার কপাল থেকে চুলগুলো সরিয়ে দিলাম। তারপর ওনাকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে করতে ভাবতে লাগলাম।

মীরা– (মনে মনে– আচ্ছা উনি এতো সুন্দর কেনো? হিহিহি আমিও না কি সব আবোল তাবোল ভাবছি। কিন্তু একটা কথা তো সত্য, ওনার সাথে আমাকে যায় না। কোথায় উনি লম্বা চওড়া ফর্সা হ্যান্ডস্যাম একটা ছেলে আর কোথায় আমি ক্ষ্যাত মার্কা একটা মেয়ে। সত্যি আমি ওনার যোগ্য না, কি দেখে যে উনি আমাকে ভালোবাসলেন কে জানে?)

আমান– তোমার মন দেখে!

ওনার কণ্ঠর স্বর পেয়ে আমি চমকে উঠলাম, ওনাকে দেখতে দেখতে, ওনার ব্যাপারে ভাবতে ভাবতে এতটাই মোহগ্রস্ত ছিলাম যে কখন উনি জেগে গেছেন টেরই পাইনি। কিন্তু আমি তো মনে মনে কথা বলছিলাম, জোরে বলেছি নাকি? নাহ মনে মনেই তো বলছিলাম, তাহলে কি উনি সাইকোলজি নিয়ে পড়েছেন যে মন পরে ফেলছেন? এইসব আজব কথাবার্তা ভাবতে ভাবতেই উনি আবারও বললেন।

আমান– আমি তোমার মন দেখে তোমাকে ভালোবেসেছি, বায় দ্য ওয়ে কে বলেছে তুমি সুন্দর না? তুমি জানো তোমার এই কাজল কালো দীর্ঘ টানা টানা চোখে আমি অজানা এক গভীরে হারিয়ে যাই? তুমি জানো তোমার এই কালো ঘন কেশের ঘ্রাণ আমায় মাতাল করে দেয়? শুধুমাত্র গায়ের রং দিয়ে মানুষের সৌন্দর্য বিচার করা যায় না। এমন অনেক ফর্সা মেয়ে আছে যাদের সামনে কালো মেয়েরা দাঁড়ালে ফর্সা মেয়েদের কেউ পাত্তাও দেবে না। ফ্যাশন নিয়ে পরেও কি করে গায়ের রং নিয়ে আপসেট হও তুমি? এখন বেশির ভাগ মডেলের গায়ের রঙ ডার্ক। সো এরপর থেকে কেউ তোমাকে গায়ের রং নিয়ে কথা শোনালে তুমি যদি আজকের মতো বিহেভ করো দেন আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না, কথা টা মনে থাকে জানো। (শেষের কথাটা ধমক দিয়ে)

মীরা– (মনে মনে– বদ ব্যাটা, ধমক ছাড়া জানো পেটের ভাত হজম হয় না না? কি সুন্দর ভালো ভাবে কথা গুলো বলছিল, কথাগুলো শুনতে কতোই না ভালো লাগছিল, ঠিক শেষে একটা ধমক মারলো। খচ্চর পোলা।) হুহ! ধমক দেন কেনো খালি? (ভেংচি কেটে)

আমান– কাজ অমন করো তাই। তা তোমার কি এখনো আমাকে দেখা শেষ হয়নি? দেখা শেষ হলে আমি উঠবো।

মীরা– ক..কে আপনাকে দ..দেখছিল? (চটপট উঠে দাঁড়িয়ে)

আমান– থ্যাংক ইউ আমার চুলগুলো কপাল থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য, বড্ড ডিস্টার্ব করছিল ঘুমের সময়। (বাঁকা হেসে)

মীরা– আ..আমি ঘরে যাচ্ছি।

এটা বলে ঘরে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই উনি হ্যাচকা টান মেরে আমাকে কোলে তুলে নিলেন। আমিতো অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছি। হুটহাট এরাম করে তুলে নেওয়ার মানেটা কি? আরে এটা তো ঘর নয়, এখন যদি কেউ দেখে নেয় তো? এই লোকটা না কিছু খেয়াল করে না কেমন যেন একটা বেপরোয়া। আমাকে নামানোর জন্য আমি ছোটাছুটি করতে লাগলাম ব্যাস ধমক বাজের ধমক খেলাম আর কি বা করতে পারেননি ধমক দেওয়া ছাড়া।

আমান– ছুটাছুটি করে লাভ নেই যখন জানো তখন কেন ছোটাছুটি করো? এখন যদি আমি তোমাকে ধপাস করে ফেলে দি নিচে সেটা ভালো লাগবে? মাচা টা তো যাবে। ছুটোছুটি না করে চুপ করে থাকো। (ধমকে)

অগত্যা আমি চুপ করে গেলাম আমাকে চুপ করে যেতে দেখে উনি আমার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকালেন বুঝলাম উনি কি চাইছেন তাই দুই হাত দিয়ে আমার গলা জড়িয়ে ধরলো আর উনি আমার দিকে তাকিয়ে সামান্য হেসে আমাকে নিয়ে আমাদের ঘরের দিকে এগোতে লাগলেন। উনি হেঁটে যাচ্ছিলেন সামনের দিকে তাকিয়ে আর আমি ওনার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম জানি না আমার কি হলো আমি টুপ করে ওনার গালে আমার ঠোঁট ছুঁইয়ে বসলাম আর উনি দাড়িয়ে আমার দিকে হতবাক হয়ে তাকালেন আর উনার দৃষ্টি দেখে আমি ওনার বুকে মুখ গুজে ফেললাম লজ্জায়। উনি আবার হাঁটতে শুরু করলেন।

আমরা যাচ্ছিলাম ঠিক এমনই সময় আমি আড়চোখে খেয়াল করলাম অর্নিল আমাদের দিকে চেয়ে রয়েছে আমার বেশ লজ্জা লাগছিল কিন্তু উনাকে থামানোর তো উপায় নেই তাই কিছু বললাম না চুপ করেই থাকলাম।

অর্নিল– মীরা ভাইকে মেনে নিয়েছে? এটা কি করে সম্ভব? কিছুদিন আগেই তো মীরা ভাইকে ইগনোর করছিল, এই মীরার জন্য ভাই কি কম কষ্ট পেয়েছে নাকি? কিন্তু আজ দেখে মনে হচ্ছে ওদের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। আমি কিছু ভুল করছি নাতো? আজ সকাল থেকে মনটা একটুও ভালো নেই, যখন থেকে ইসমি কে ছেড়ে এসেছি তখন থেকে কিছুই ভালো লাগছে না, একবারও কথা হয়নি আমার ওর সাথে তাই হয়তো। যদি মীরা আর ভাইয়ের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যায় তাহলে তো খুব ভালোই হয় অন্তত এইবার আর ভাইকে ভাইয়ের ভালোবাসার মানুষকে হারাতে হবে না আর আমি জানি ভাই কিছুতেই মীরাকে হারাবে না। একই ভুল দুইবার ভাই কিছুতেই করবে না বিকজ হি ইজ আমান খান। আমাকে ইসমির সাথে কথা বলতে হবে।

অর্নিল নিজের রুমে চলে গেল আর রুমের দরজা লক করে দিয়ে ফোন নিয়ে বসে পরলো অন্যদিকে,,,,

আমান যখন আবার দাঁড়ালো তখন আমি আমানের বুক থেকে মাথা তুলে দেখলাম আমরা নিজেদের ঘরে চলে এসেছি। আমান আমাকে নামিয়ে দিল, আমি এগোতে নিলেই দেখলাম নীতা এখনও আমাদের রুমে রয়েছে আর আমাদেরই বেডে বসে রয়েছে, এটা দেখে আমার ভীষণ রাগ উঠলো, আমি ওর দিকে এগিয়ে যেতেই দেখলাম ও নিজের হাত ডলছে, আর কপালের একটা পাশও কিরকম নীলচে হয়ে গেছে। কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করলাম নীতা কে।

মীরা– তুই এখনো আমাদের রুম থেকে যাস নি আর তোর এই অবস্থা হলো কি করে?

নীতা রেগে কিছু একটা উত্তর দিতে যাবে তখনই ও থেমে গেল আমার পিছনের দিকে তাকিয়ে আর সুর নরম করে বলল।

নীতা– আমি তো তোর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম নিজের ঘরে চলে গেলে আবার কখন তোর সাথে কথা হবে না হবে তার তো ঠিক নেই, ঐজন্য আমি ভাবলাম তুই ঘরে আসলে একবারে তোর সাথে কথা বলেই নয় যাব। আসলে আমার ভুল হয়ে গেছে মীরা। আমার তখন ওভাবে তোকে বলা উচিত হয়নি আমাকে তুই ক্ষমা করে দে।

মীরা– (মনে মনে– কি ব্যাপার হঠাৎ নিতা আমার কাছ থেকে ক্ষমা চাইছে আবার কি মতলুবুর আর ওর এই অবস্থা হলো কি করে চোখের জল কপালের এক পাশ নীলচে হয়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে কেউ কে আঘাত করেছে কিন্তু কি আঘাত করবে?) ঠিক আছে কিন্তু এই অবস্থা কি করে হলো তোর সেটা তো বললি না।

নীতা আমার প্রশ্ন শুনে কাচুমাচু হয়ে নিজের আঙুল কচলাতে লাগলো, নীতা কিছু বলতে নিলেই আমান নীতার হাত দুটো ধরে বলতে লাগলো।

আমান– এ কি নীতা বেইবি? তোমার এই অবস্থা কি করে হলো? কে করলো তোমার এই অবস্থা?

আমাদের হাত ধরা থেকে আমার মাথাটা গরম হলো ঠিকই কিন্তু উনার মুখের দিকে যখন তাকালাম তখন দেখলাম উনার ঠোটে বাঁকা হাসি আর নীতার মুখের দিকে যখন দেখলাম তখন স্পষ্ট ভয় এবং সঙ্গে বিস্মিত ভাব প্রকাশ পাচ্ছিল।

নীতা– ক..কে আমার ক..কি অবস্থা ক..করবে? কেউ করেনি। (আমানের হাতের থেকে নিজের হাত ঝাড়া মেরে ছাড়িয়ে)

আমান– তাহলে এমন অবস্থা কি করে হলো বেইবি?

নীতা– পরে গেছিলাম আমি। (দাঁতে দাঁত চেপে, আমানের দিকে তাকিয়ে।)

আমান– ওহ হো! আমাকে ডাকবে তো নাকি? ইসস কি বাজে ভাবে পরেছো বেইবি তুমি। দেখি জায়গা টা একবার। (মিথ্যে কেয়ার দেখিয়ে।)

নীতা– নাআআআআআআ। (চিৎকার করে লাফ মেরে দুরে সরে গেলো।)

মীরা– কি হয়েছে নীতা? এভাবে চিৎকার দিলি কেনো?

নীতা– একদম কাছে আসবে না তুমি আমার, একদম না। (বলেই ছুট দিয়ে বেরিয়ে গেলো।)

মীরা– আরে শোন তো…(মনে মনে– যেই মেয়ে সুযোগ পেলেই আমান কে জড়িয়ে ধরে, পারলে আমানের ভিতর ঢুকে যায়, আজ সেই মেয়ে আমানের কাছে আসায় দৌঁড় দিলো? আবার বলে গেলো কাছে না যেতে! কি যে হচ্ছে কিছুই তো বুঝতে পারছি না ছাই!)

আমান– উহুম উহুম! (আমার কানের কাছে কেশে) কি এতো ভাবছো মীরু? তোমার তো এতো ভেবে কাজ নেই। ভাবার জন্য তো আমি আছি।

মীরা– (রাগী দৃষ্টি নিয়ে ওনার দিকে তাকালাম) হ্যাঁ আপনিই তো ভাববেন, আপনি ছাড়া কে বা আছে নীতার বলুন? বেচারি পরে গিয়ে কি অবস্থা করেছে নিজের, যান না হাত ধরে ওকে নিজের কোলে বসিয়ে ওর সেবা করুন। (দাঁতে দাঁত চেপে)

আমান– হিহিহি ক..করবো ব..বলছো? (ঢোঁক গিলে)

মীরা– বের হয়ে যান আমার চোখের সামনে থেকেএএএএ, আর দুর হয়ে যান এই ঘর থেকেএএএএ (চিৎকার করে, ওনার দিকে বালিশ ছুড়ে মারলাম।)

আমান– (বালিশ টা ক্যাচ করে) ওয়াহ আমান! তুই চাইলেই ক্রিকেটার হতে পারতিস। বাট নো প্রব্লেম, ক্রিকেটার এর থেকে কম কিছু নস তুই। তাই না মীরু বেবস। (দুষ্টু হেসে)

মীরা– কি বলতে চাইছেন আপনি? (অবাক হয়ে)

আমান– কাছে আসো বোঝচ্ছি।

এই বলে উনি নিজেই আমার কাছে এসে এক ঝটকায় আমাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলেন, আমি ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বললাম।

মীরা– আমাকে কেনো ধরেছেন, যান না ঐ আপনার উড বি নীতার কাছে যান। ছাড়ুন আমাকে।

আমান– এতো জেলাস? বিয়ে করলে সহ্য করতে পারবে তো?

মীরা– (মনে মনে– বিয়ের কথা শুনে আমার চোখে অজান্তেই পানি চলে আসলো। আমি ওনার থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম।) জানি না।

আমান– হেই মীরু! জান! তাকাও আমার দিকে।

আমি তাকালাম তাকাতেই উনি আমার চোখের দিকে তাকালেন আর কপালে ঠোঁট ছোঁয়ালেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম।

মীরা– তখন নীতা এভাবে ভয় পাচ্ছিল কেনো আপনাকে? আর ওর এমন অবস্থা হলো কি করে? মনে হচ্ছিল কেউ ধরে মাথা ঠুকে দিয়েছে।

আমার কথা শুনে আমান ফিক করে হেসে দিলেন, আমার কপালে ছোট্ট একটা গুঁতো দিয়ে বললেন।

আমান– তোমার যখন মনে হচ্ছে, যেটা মনে হচ্ছে, ঠিকই মনে হচ্ছে।

মীরা– কি?? বুঝলাম না তো। (অসহায় ভাবে) আর আপনি একটা গুঁতো মারলেন কেনো? আমার মাথায় তো শিং গজাবে তখন আর আমার বিয়ে হবে না…(জিভ কাট্লাম)

আমান– বিয়ে হবে না মানে? (দাঁতে দাঁত চেপে)

মীরা– হিহিহি ব..বিয়ে হবে ন..না মানে….বিয়ে হবে না হিহিহি। (ভয়ে ভয়ে) আর আমাকে ডিভোর্স দিয়ে তো আপনি বিয়ে করে নেবেন তখন আমি কি বসে বসে আঙুল চুসবো? আমিও বিয়ে কর…

কথা শেষ করার আগেই উনি আমার ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলেন। আমি আর কিছু বলার সুযোগই পেলাম না। উনি পাগলের মতো আমার ঠোঁটের স্বাদ নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন আর আমাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলেন।

অন্যদিকে,,,,,

অর্নিল– ইসমির ফোন সুইচ অফ কেনো বলছে? ও কি কিছু জেনে গেলো? না না না ও কি করে কিছু জানবে? আমি ওকে জানতে দেবো না কিছুতেই। কেনো সারাক্ষণ আমার মাথায় ইসমির চিন্তাভাবনা ঘুরছে, মনে হচ্ছে ওর সাথে কথা না বলতে পারলে পাগল হয়ে যাবো আমি।

অর্নিল নিজের ফোন নিয়ে গ্যালারি ওপেন করলো, আর ইসমির ছবি দেখতে থাকলো। ইসমির ছবি দেখতেই অর্নিলের মুখে হাসি ফুটে উঠলো। ছবি দেখতে দেখতেই হঠাৎ একটা ছবি দেখলো যেখানে ইসমি একটা ছেলের সাথে হেসে কথা বলছে। মুহুর্তেই অর্নিলের মাথায় রক্ত উঠে গেলো, হাতে কোল্ডড্রিঙ্ক এর ক্যান টা মুঠো করে চাপ দিয়ে মুচড়ে ফেললো।

অর্নিল– দেরী হওয়ার আগে সবটা ঠিক করতে হবে আমায়। (ক্যান টা ছুড়ে ফেলে দিয়ে)

পরেরদিন সকালে,,,,

ইসমি– কালকে কতবার কল করেছে অর্নিল, একবার ও রিসিভ করতে পারিনি, ইভেন জানতেও পারিনি। ফোন টা যে কখন সুইচ অফ হয়ে গেছিল টের পাইনি। আজকে সকালে বুঝলাম ফোন অফ ছিলো। অর্নিল মে বি ভীষণ রেগে আছে। কিন্তু কোথায় ও? একটা কমন রুমেও তো পেলাম না ওকে।

ইসমি এসব নিজের মনে বলতে বলতে হাঁটছিল, একটা কমন রূমের পাশ দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ ও কাওর গলার আওয়াজ শুনতে পেলো, ইসমি দাঁড়িয়ে পরলো জানলার কাছে আর শুনতে লাগলো কারণ কথাগুলো বলছিল অর্নিলের বন্ধুরা। অর্নিল ও চুপচাপ বসে সেগুলো শুনছিলো। ইসমি যা শুনল তাতে ওর পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে গেলো………

[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে 🥀]

13 part
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122121839858106573&id=61553197202722&mibextid=Nif5oz

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here