হৃদয়ে_লিখেছি_তোমারি_নাম #Nusrat_Jahan_Bristy #পর্ব_২

0
348

#হৃদয়ে_লিখেছি_তোমারি_নাম
#Nusrat_Jahan_Bristy
#পর্ব_২

কঠোর হৃদয় সম্পন্নের রাজনীতিবিদ জাহিনের সাথে বিয়ে হল নরম হৃদয়ের অধিকারীর অয়ন্তির। ক্ষণিকের মাঝে সবটা বদলে গেল, জুড়ে গেল দুজনে এক অন্যের জীবনের সাথে। কিন্তু ভবিষতে কি অপেক্ষা করছে এই দুই মানব মানবীর জন্য? এক ওপরের হৃদয়ে কি লিখবে একে অন্যের নাম?

সন্ধ্যা হয়ে গেছে আর তার সাথে বিদায়ের সময় হয়ে গেছে অয়ন্তির। বাপের বাড়ি ছেড়ে পরের বাড়িতে চিরকালের জন্য চলে যাওয়ার যাত্রার সময় এসে গেছে। এদিকে ফাইজ বোনের কোমড় ধরে বলছে।

“আপু তুমি চলে যাবে।”

অয়ন্তি মুচকি হেসে হাটু ভেঙ্গে ফাইজের সমান হয়ে ফাইজের কপালে চুমু এঁকে দিয়ে ভাঙ্গা গলায় বলে, “আমি আবার আসব তো সোনা।”

ছোট ফাইজ এবার কান্না করে বলে, “না তুমি গেলে আর আসবে না জানি।”

অয়ন্তি ভেতরের কান্নাটা আটকিয়ে বলে, “আসব তো সোনা তোমাকে ছেড়ে আমি কি করে থাকব বলো তো আমি আবার আসব।”

“সত্যি তো।”

“হ্যাঁ তিন সত্যি।”

এমন সময় লিজা ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে বলে, “অয়ন্তি যাওয়ার সময় হয়ে গেছে।”

অয়ন্তি গুটি গুটি পায়ে বাইরে আসে। ফাইজ বোনের ডান হাতটা আঁকড়ে ধরে রেখেছে মনে হচ্ছে ছেড়ে দিলেই চিরকালের জন্য চলে যাবে। অয়ন্তি বাড়ি থেকে বের হতেই নজর যায় তার সাথে সদ্য বিয়ে হওয়া শ্যাম বর্ণের পুরুষ মানুষটির দিকে গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে আছে আর বার বার ফোন ওন করে টাইম চেক করছে। মানুষটার সাথে যত টুকু সময় কথা বলেছে অয়ন্তি তাতে বোঝা গেছে জাহিন খুব ভদ্র, মর্জিত আর ভাল মনের একজন মানুষ। অয়ন্তি বরাবর জেনে এসেছে যারা রাজনীতি করে তারা খুব উগ্র মেজাজের হয় কিন্তু জাহিন তার বিপরীত। বিয়ে হওয়ার কিছুক্ষণ আগের ঘটনা।

জাহিন অয়ন্তির সাথে একান্তে কিছু কথা বলার জন্য অয়ন্তির নিকটে আসে। জাহিন এক পলক অয়ন্তির দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে স্বাভাবিক গলায় বলে।

“সরি! আমার ভাইয়ের হয়ে আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি জানি আপনি খুব আঘাত পেয়ছেন আমার ভাইয়ের করা কাজটার জন্য। কিন্তু বিশ্বাস করুন ও যে এমনটা করে বসবে আমরা কেউ বুঝতে পারি নি। আর এই মুহূর্তে যেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া‌ হয়েছে আমি চাই না সেটা আপনার উপরে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হোক। আমি চাই আপনি নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নেন কারণ এটা আপনার জীবন আপনি বোঝবেন আপনার জীবনে কোনটাতে ভাল হবে আর কোনটাতে খারাপ।”

জাহিন থামে। অয়ন্তি জাহিনের প্রত্যেকটা কথা শুনে কিন্তু কি উত্তর দিবে বুঝে উঠতে পারছে না। জাহিন আরেকটু সহজ ভাবে বলে।

“আপনি কি রাজি আছেন এই বিয়েতে অয়ন্তি?”

অয়ন্তি জাহিনের কথাটা শুনে শুকনো ঢোক গিলে। এই বিয়েতে রাজি না হয়ে তার কোনো উপায় নেই। এই বিয়েটা যদি না করে অয়ন্তি তাতে হয়তো তার বাবা আর মামনিকে আরো অপমানে মুখে পড়তে হবে। তাই অয়ন্তি সিদ্ধান্ত নেয় এই বিয়েটা সে করবে। অয়ন্তি ছোট করে উত্তর দেয়।

“হুম! আমি রাজি এই বিয়েতে।”

জাহিন নরম স্বরে বলে, “পরে আফসোস করবেন না তো। আপনি জানেন হয়তো আমি রাজনীতি করি।‌ আমার এই রাজনীতি করা নিয়ে ভবিষ্যতে আফসোস করবেন না তো। আমি চাইলেও এই রাজনীতি ছাড়তে পারব না অয়ন্তি।‌”

অয়ন্তি মাথা নাড়িয়ে না বুঝায় যে সে এটা নিয়ে আফসোস করবে না। জাহিন তা দেখে বলে, “ঠিক আছে তাহলে নিজেকে তৈরি করে রাখুক অয়ন্তি, রাজনীতিবিদ শেখ আবরার জাহিনের অর্ধাঙ্গিনী হওয়ার জন্য।”

কথাটা বলেই জাহিন চলে যায়। জাহিন চলে যেতেই অয়ন্তি জোরে নিঃশ্বাস ছাড়ে। এতক্ষণ মনে হচ্ছিল ধম আটকে মরেই যাবে অয়ন্তি।

অয়ন্তির ধ্যান ভাঙ্গে বাবাকে কাছে আসতে দেখে। ফাইজ বন্ধুদের ডাক শুনে ওদের কাছে চলে যায়। হামিদ খন্দকার মেয়েকে দেখে মেয়ের কাছে এসে মুচকি হাসি দিয়ে মেয়ের মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন।

“খুব ভাল থাকিস মা। বাবা তোর জন্য সবসময় প্রাণ ভরে দোয়া করবে। যেখানে যাচ্ছিস সেখানের সবার মন জয় করে চলবি। জানি এই বিয়েটা এক্সিডেন্টলি হয়ে গেছে কিন্তু দেখ মা যা হয় ভালোর জন্যই হয় তাই না।”

অয়ন্তি নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে মাথা উপর নিচ করে বলে, “তুমিও নিজের খেয়াল রেখো বাবা। স্কুলে একদম উচ্চ স্বরে চিৎকার করে ক্লাস নিবে না।”

হামিদ খন্দকার মুচকি হেসে বলে, “আচ্ছা মা। এবার চল সময় হয়ে গেছে।”

“মামনি মামনি কোথায়? অনেকক্ষণ হল দেখছি না মামনিকে।”

“তুই চল আগে মামনি আসছে।”

অয়ন্তির বা হাত ধরে হামিদ খন্দকার গাড়ির কাছে এনে জাহিনের হাতে অয়ন্তির হাতটা রেখে বলেন, “ওকে যত্নে রেখো বাবা ও আমার বড় আদরের মেয়ে।”

জাহিন এক পলক সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে ভরসা দিয়ে শশুর মশাইকে বলে, “চিন্তা করবেন না আপনার মেয়েকে আমি যত্নে রাখব। দায়িত্ব যখন এসে পড়েছে নিজের উপরে সেটা আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে পালন করব।”

হামিদ খন্দকার চশমার ফাঁক দিয়ে চোখের জলটা মুজে বলেন, “নিশ্চিন্ত হলাম বাবা।”

এমন সময় আযহার শেখ বলেন, “ভাইসাব তাড়াতাড়ি করেন অনেকটা জায়গা যেতে হবে আমাদের আর ওখানের সবাই অপেক্ষা করছে।”

“হ্যাঁ.. হ্যাঁ। অয়ন্তি মা গাড়িতে উঠে বোস।”

অয়ন্তি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লিজার দিকে তাকাতেই লিজা অয়ন্তিকে জড়িয়ে ধরে বলে, “ভাল থাকিস অয়ন্তি খুব ভাল থাকিস।”

অয়ন্তি লিজার কাছ থেকে দুরে সরে এসে বলে, “মামনি কোথায়? মামনি আমাকে বিদায় জানাবে না।”

“তুই গাড়িতে উঠ অয়ন্তি অনেকটা রাস্তা যেতে হবে।”

একপ্রকার জোর করে অয়ন্তিকে গাড়িতে বসানো‌ হয়। আর অয়ন্তির এক কথা মামনি কোথায়? ফাতেমা আক্তার দূর থেকে দাঁড়িয়ে অয়ন্তিকে বিদায় জানিয়েছেন। অয়ন্তি‌ নিজের গর্ভের সন্তান না হোক কিন্তু অয়ন্তিকে ছোট থেকে বড্ড আদর যত্ন করে বড় করে তুলেছেন। এখন যদি অয়ন্তির কাছে আসেন তাহলে হয়তো নিজেকে ধরে রাখতে পারবেন না আর তা দেখে অয়ন্তিও ভেঙ্গে পড়বে তাই আর কাছে আসে নি অয়ন্তির।

গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ফেলেছে অয়ন্তি জানলার বাইরে মাথা বের করে তাকিয়ে আছে তার চির চেনা জায়গাটার দিকে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনজন গুলা আড়াল হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত অয়ন্তি তাকিয়ে ছিল। অন্ধকার মিলিয়ে যেতেই অয়ন্তি সোজা হয়ে বসেছে কিন্তু কান্নার গতি কমেনি। জাহিন পকেট থেকে রুমালটা বের করে অয়ন্তির দিকে এগিয়ে দেয়। অয়ন্তি জাহিনের দিকে তাকাতেই জাহিন বলে।

“চোখের জলটা মুছে নিন অয়ন্তি। আর বেশি কান্না করবেন না এতে মাথা ব্যথা হতে পারে।”

অয়ন্তি চুপচাপ জিহানের কাছ থেকে রুমালটা নিয়ে চোখের জলটা মুছে মাথাটা সিটের দিকে হেলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়।

_______

ড্রাইভিং সিটের পাশে বসে থাকা জারা পেছনের দিকে তাকাতেই দেখে অয়ন্তি ঘুমিয়ে পড়েছে যার জন্য মাথাটা এদিক ওদিক দুলছে। জারা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে দেখে ভাই তার মাথায় দু আঙ্গুল চেপে ধরে চোখ বন্ধ করে আছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে কোনো কিছু নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে আছে। জারা মোলায়েম গলায় ভাইকে বলে।

“ভাইয়া ভাবি ঘুমিয়ে পড়েছে যেকোনো সময় মাথায় আঘাত পেতে পারে। তুমি ভাবির মাথাটা তোমার কাঁধে এনে রাখো।”

জারার গলার স্বর শুনে জাহিন চোখ মেলে অয়ন্তির দিকে তাকিয়ে দেখে আসলেই মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়েছে। যেই হারে কান্না করেছে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ারেই কথা। জাহিন হাত বাড়িয়ে অয়ন্তির ঘাড় ধীরে ধীরে এনে নিজের কাঁধে রাখে। অয়ন্তির ভারী নিঃশ্বাস জাহিনের গলায় এসে বারি খাচ্ছে। এই প্রথম জাহিনের এতটা সন্নিকটে কোনো মেয়ে এসেছে। জাহিন আড় চোখে অয়ন্তির ঘুমন্ত চেহারার দিকে তাকায়। মেয়েটা দেখতে এতোটা সুন্দরী নয় কিন্তু চেহারা পুরোটা মায়ায় ভরা। জাহিন হাত বাড়িয়ে অয়ন্তির মুখের উপরে পড়ে থাকা চুল গুলা সরাতে যাবে সাথে সাথে গাড়ির হর্নের শব্দ শুনে জাহিন থেমে যায় আর অন্য দিকে মুখটা ফিরিয়ে জোরে নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

_______

শেখ বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামে। জারা আগে ভাগেই গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে অয়ন্তির দরজার পাশে এসে দাঁড়ায়। বউ এসেছে শুনে অনেকেই গাড়ির কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। জাহিন অয়ন্তির মাথাটা সিটের উপরে রেখে দেয় যাতে করে অয়ন্তিকে কোনো অস্বস্তিতে পড়তে না হয়। জাহিন নরম গলায় বলে।

“অয়ন্তি উঠুন চলে এসেছি আমরা।”

অয়ন্তি নিভুনিভু চোখে তাকিয়ে জাহিনকে দেখার সাথে সাথে সোজা হয়ে বসে ইতস্তত গলায় বলে, “সরি! আমি আসলে বুঝতে পারে নি কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।”

“সমস্যা নেই চলে এসেছি আমার।”

কথাটা বলে জাহিন কাইফকে উদ্দেশ্য করে বলে, “দরজাটা খুলে দেও কাইফ।”

জাহিন কথাটা বলে গাড়ি থেকে নেমে যায়। কাইফ অয়ন্তির পাশের দরজাটা খুলে দেয়। অয়ন্তি‌ ধীরে সুস্থে পা ফেলতেই ভাঙ্গা ইটের টুকরোর সাথে পা লেগে ডান পা’টা মচকে যায়। অয়ন্তির চিৎকার শুনে জারা অয়ন্তিকে ধরে বলে।

“ভাবি ঠিক আছো তুমি।”

অয়ন্তি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে। কিন্তু অয়ন্তি ঠিক নেই পা’টা মনে হচ্ছে যেন ভেঙ্গেই গেছে। অয়ন্তির সামনে দাঁড়ানো একজন মহিলা বলেন।

“কি গো নতুন বউ শ্বশুরবাড়িতে পা রাখতে না রাখতেই ভেঙ্গে পড়লে সারাজীবন সংসার করবে কি করে?”

কথাটা শুনে অয়ন্তির বড্ড খারাপ লাগল। জারা ভ্রু কুচকে বলে, “উফফ ফুফু! কিসব বকছো তুমি বলত? ভাবি পায়ে ব্যথা পেয়েছে কোথায় তুমি একটু কেয়ার করবে তা না করে তুমি উল্টাপাল্টা কথা বলছো।”

আলেয়া বেগম ভাতিজির কথা শুনে থমথম গলায় বলেন, “এখন কি তুই আমাকে বলে দিবি কখন কি কথা বলতে হবে আামকে।”

জারা কিছু বলতে যাবে সাথে সাথে জারার চাচি রুমা খাতুন জারাকে থামিয়ে বলেন, “আহ জারা থাম তো। মেয়েটা কতটা ব্যথা পেয়েছে সেটা দেখা দরকার।”

তারপর রুমা খাতুন অয়ন্তির দিকে তাকিয়ে‌ বলেন, “বেশি ব্যথা পেয়েছো মা।”

অয়ন্তি মাথা নাড়িয়ে না বোঝায়। রুমা খাতুন আবারো বলে, “হাঁটতে পারবে। আমার হাতটা ধরে হাঁটো।”

আলেয়া বেগম রুমা খাতুনের এসব দেখে মনে মনে বলেন, “ডং। যত্তসব আদিখ্যেতা।”

কথাটা বলে জারাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “রিহান কোথায়? ওকে দেখছি না কেন? আর জাহিনেই বা কেন এই গাড়ি থেকে বের হল।”

আলেয়া বেগমের কথা শুনে জারা বুঝতে পারল বাড়ির কেউ কিছু জানে না হয়তো এই বিষয়ে শুধু মাত্র মা ছাড়া। আর বিয়ে বাড়ির কাজের চাপে হয়তো নিউজও দেখার সময় হয় নি। জারা ফুফুর কথার উত্তর না দিয়ে অয়ন্তিকে বলে।

“ভাবি আস্তে আস্তে পা’টা ফেলো।”

আলেয়া বেগম বড্ড আপমানিত বোধ করলেন। কিন্তু এখানে আর কিছু বললেন না। অয়ন্তি অনেক কষ্টে দু কদম পা বাড়ায়। কিন্ত আর পারছে না পা’টা মনে হচ্ছে ভেঙ্গেই গেছে। একে তো পা মচকে গেছে তার উপরে ভারি শাড়ি। জাহিন কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল। কিন্তু যখন দেখল অয়ন্তির হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে তখনেই তাদের কাছে এসে জাহিন চিন্তিত গলায় বলে।

“কি হয়েছে?”

জারা বলে, “ভাবির পা মচকে গেছে ভাইয়া। তাই হাঁটতে পারছে না।”

জাহিন অয়ন্তির দিকে তাকায়। অয়ন্তির চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে পায়ে ব্যথাটা একটু বেশিই পেয়েছে। চোখ, মুখ লাল হয়ে আছে আর জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। জাহিন জারাকে বলে।

“তুই সর আমি দেখছি।”

জারা সরতেই সবাইকে অবাক করে দিলে অয়ন্তিকে পাজাকোলে তুলে নেয় জাহিন। সবাই জাহিনের কার্যকলাপ দেখে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকে শুধু মাত্র জারা ছাড়া। হুট করে এমনটা হওয়াতে ভয়ে অয়ন্তি মৃদু চিৎকার করে উঠে জাহিনের গলা জড়িয়ে ধরে। যখন বিষয়টা বুঝতে পরল অয়ন্তি তখনেই লজ্জায় চোখ বন্ধ করে নেয়। এই প্রথম কোনো পুরুষের ছোঁয়া পেয়েছে অয়ন্তি। মনে হচ্ছে যেন সারা শরীর কারেন্ট বয়ে যাচ্ছে। কান দিয়ে মনে হচ্ছে।গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে। হৃদস্পন্দনের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চলছে। আলেয়া বেগম জাহিনের সামনে এসে দাঁড়িয়ে রাগী গলায় বলেন।

“জাহিন এসব কি? তুই কেন রিহানের বউকে কোলে নিলি? আর রিহান, রিহান কোথায় ওকে কেন কোথাও দেখছি না? ওর বউ এখানে পা মচকে বসে আছে আর ও কোথায় বসে আছে?”

জাহিন শান্ত চোখ ফুফুর দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলে, “ফুফু আমার মনে হয় এখানে এত কথা না বলে আগে ওনার চিকিৎসা করা দরকার। তাই তোমার সকল প্রশ্নের উত্তর পরে দেই আমি।”

কথাটা বলে জাহিন হন হন করে হেঁটে চলে‌ যায়। আলেয়া বেগম হা হয়ে তাকিয়ে আছেন জাহিনের যাওয়ার পানে।

#চলবে

আগের সূচনা পর্বে নায়কের নাম আমি ভুলে জিহান দিয়ে ফেলেছি। আসলে জিহান নয় জাহিন হবে। আগের ভুলটার জন্য সরি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here