হৃদয়ে_লিখেছি_তোমারি_নাম #Nusrat_Jahan_Bristy #পর্ব_৩

0
358

#হৃদয়ে_লিখেছি_তোমারি_নাম
#Nusrat_Jahan_Bristy
#পর্ব_৩

“আব্বা দেখেন দেখেন জননেতা শেখ আবরার জাহিন নাকি বিয়ে করেছে। তাও আবার ছোট ভাইয়ের হবু বউকে।”

সাদিকের কথা শুনে বর্তমান মেয়র খলিল তালুকদার মুখের উপর থেকে নিউজ পেপারটা সরিয়ে ধমকের স্বরে ছেলেকে বলেন, “কিসব উল্টাপাল্টা বকছিস তুই? মাথা ঠিক আছে তোর।”

“বিশ্বাস করেন আব্বা। এই যে দেখেন আর্টিকেলটা।”

সাদিক তার ফোনটা এগিয়ে দেয় খলিল তালুকদারের দিকে। খলিল তালুকদার চোখের চশমাটা ঠিক করে ছেলের বলা কথাটা সত্যতা যাচাই করে রহস্যময় হাসি দিয়ে বলেন।

“বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ছোট ভাইয়ের কিন্তু এখন বিয়ে করল বড় ভাই। ব্যাপারটা বড়ই রোমাঞ্চকর।”

“আব্বা ওই জাহিনকে তো আমাদের তরফ থেকে অভিনন্দন‌ জানানোর দরকার। আফটার ওল আমাদের বিরোধি দল বলে কথা।”

খলিল তালুকদার চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলেন, “তা আবার বলতে। কাল সকালে পাঁচ কেজি মিষ্টি কিনে আমাদের সকলের প্রিয় জননেতা জাহিনকে অভিনন্দন জানাতে যাবো।”

কথাটা বলেই খলিল তালুকদার নিঃশব্দে হেসে উঠেন।‌ আর মনে মনে ছক কষছে কি করে এবারের ইলেকশনটাও জিতা যায়।

________

জাহিন অয়ন্তিকে কোলে করে নিয়ে এসে সোফায় বসিয়ে দিয়ে নিজে হাটু গেড়ে অয়ন্তির সামনে বসে কোমল গলায় বলে।

“কোন পায়ে ব্যথা পেয়েছেন অয়ন্তি?”

অয়ন্তি নিচু গলায় বলে, “আমি ঠিক আছি।”

জাহিন আর কোনো কথা না বলে নিজেই অয়ন্তির ডান পায়ে হাত দিয়ে পা’টা এগিয়ে আনে সামনের দিকে। অয়ন্তি জাহিনের করা কাজটা দেখে ভড়কালো আর সাথে সাথে বলল।

“কি করছেন আপনি? আমি ঠিক আছি বললাম তো।”

জাহিন চোখ তুলে অয়ন্তির দিকে তাকায়। জাহিনের শান্ত চোখের চাওনি দেখে অয়ন্তি আর কিছু বলার সাহস পেলো না। জাহিন পায়ের দিকে তাকিয়ে বলে।

“এই পায়ে ব্যথা পেয়েছেন?”

“হুম।”

এমন সময় জোহরা বেগম আসেন। এতক্ষণ ওনি নতুন বউকে‌ বরণ করে ঘরে তোলার জন্য সব আয়োজন করছিলেন। কিন্তু যখনেই বসার ঘরে এসে এসব দেখেন তখনেই আঁতকে উঠে বলেন।

“কি হয়েছে?”

জারা মাকে দেখে বলে, “ভাবি গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে ভাঙ্গা ইটের সাথে লেগে পা মচকে গেছে।”

“কি বলছিস? মেয়েটাকে তোরা সাবধানে নিয়ে আসবি না। ও এখানকার রাস্তাঘাট চিনে নাকি ভাল করে।”

“তুমি চিন্তা করো না মা, ভাইয়া দেখছে তো।”

জোহরা বেগম অয়ন্তির কাছে গিয়ে নরম গলায় বলেন, “বেশি ব্যথা পেয়েছো মা।”

অয়ন্তি মুচকি হেসে বলে, “না না আমি ঠিক আছি এতটা অস্থির হওয়ার কিছু হয় নি।”

জাহিন অয়ন্তির অন্যমনস্ক হওয়ার সুযোগটা নিল। ঠাস করে অয়ন্তির পা মোচর দিতেই ব্যথায় চিৎকার করে উঠে অয়ন্তি। অয়ন্তির চিৎকার করা দেখে জোহরা বেগম ছেলেকে ধমকের স্বরে বলেন।

“এই জাহিন তুই তো ওর ব্যথা কমানোর বদলে ব্যথা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছিস।”

জাহিন উঠে দাঁড়িয়ে বলে, “মা এটা করাতে এখন ওনি ঠিক মত হাঁটতে পারবেন।”

এমন সময় আলেয়া বেগম তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলেন, “কি দিন কাল এলো রে বাবা? যার বউ ব্যথা পেয়েছে তার কোনো দেখা হদিস নেই। উল্টে ভাসুরকে সেবা করতে হচ্ছে ছোট ভাইয়ের বউয়ের পা ধরে।”

“যার বউ পায়ে ব্যথা পেয়েছে সেই সেবা করছে আপা। তাই তুমি অযথা কথা বলে নিজের জবানটা আর নষ্ট করো না।”

আযহার শেখের গলায় এই কথা শুনে আলেয়া বেগম যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারচ্ছেন। কি বলছে তার ছোট ভাই‌ যার বউ পায়ে পেয়েছে সে সেবা করছে মানে? আলেয়া বেগম অবিশ্বাস্য গলায় বলেন।

“মানে ঠিক বুঝলাম না তোর কথা।”

“রিহানের সাথে অয়ন্তি মায়ের বিয়ে হয় নি বরং জাহিনের সাথে বিয়ে হয়েছে। তাই আপা তুমি কিছু না জেনে এসব আজে বাজে কথা বলে এল সুন্দর পরিবেশটা নষ্ট করো না।”

আয়েলা বেগম হতভম্ব হয়ে বলেন, “জাহিনের সাথে কেন এই মেয়ের বিয়ে হবে বিয়ে তো রিহানের সাথে হওয়ার কথা ছিল।”

“হুম ছিল কিন্তু রিহান বিয়ে করবে না বলে পালিয়ে গেছে।”

“ও পালিয়ে গেছে বলে তোরা জাহিনের সাথে এই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিবি জোর করে। একবারও ওর মতামত জানার প্রয়োজনবোধ করলি না। আর তোরা তো‌ সকলে জানিস আমার হিয়া জাহিনকে কতটা ভা…।”

জাহিন ফুফুর কথার মাঝেই ফুফুকে থামিয়ে স্থির কন্ঠে বলে, “ফুফু আমি নিজে থেকে এই বিয়েটা করেছি কেউ আমাকে জোর করে নি। আর তুমি খুব ভাল করেই জানো অন্য কারোর মতামত আমার উপরে জোর করে চাপিয়ে দিতে পারে না, যতক্ষণ না সেটা আমি নিজ থেকে করতে চাইব। তাই প্লিজ তুমি চিৎকার চেঁচামেচি করা বন্ধ করো। নতুন বউ ঘরে এসেছে তাকে বরণ করে ঘরে তুলো।”

জাহিন কথাটা বলে অয়ন্তির দিকে এক পলক তাকিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিজের ঘরে চলে যায়। আজকে সারা দিন অনেক দখল গেছে নিজের উপরে এবার অন্তত নিজেকে‌ রিফ্রেশ করা দরকার। এদিকে আলেয়া বেগম পাগলের মতো বিড়বিড় করে বলেন।

“এটা কিছুতেই হতে পারে না। ওখানে ভাইজান থাকার পরেও কি করে জাহিনের সাথে এই মেয়ের বিয়ে হয়? এখন যদি হিয়া জাহিনের বিয়ের খবরটা জানে তাহলে কি হবে? আমার মেয়েটা তো নিজেকে শেষ করে দিবে।”

আলেয়া বেগম উঁচু গলায় ছোট ভাইকে বলেন, “আযহার ভাইজান কোথায়?”

“ভাইজান বাগানে আছেন।”

ভাইয়ের কথাটা শুনে আলেয়া বেগম অয়ন্তির দিকে এক নজর তাকিয়ে বাগানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। এদিকে অয়ন্তি চিন্তায় পড়ে যায় ফুফু কি এমন বলতে চেয়েছেন যেটা জাহিন বলতে দেয় নেই। চিন্তিত অয়ন্তির মাথায় জোহরা বেগম হাত বুলিয়ে বলেন, “আমার ইচ্ছেটা এত দিনে পূর্ণ হলো। আমার ঘর আলো করে আমার বড় ছেলের পুত্র বধূ এলো।”

কথাটা বলে জারাকে উদ্দেশ্যে করে বলে, “জারা তোর ভাবিকে তোর ঘরে নিয়ে যা। অনেকটা রাস্তা জার্নি করে এসেছে ফ্রেশ হওয়া দরকার। বরণ করে তো আর ওকে ঘরে তুলতে পারলাম না তার আগে জাহিন ওকে ঘরে নিয়ে এসে পড়েছে।”

জারা অয়ন্তির হাত ধরে বলে, “চলো ভাবি আজকে রাতটা আমার সাথে থাকবে। আগামীকাল থেকে তুমি সারা জীবনের জন্য ভাইয়ার ঘরে থাকবে বুঝলে।”

______

আজমল শেখ সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। চোখে মুখে ভেসে আছে টেনশনে ছাপ। ছোট বোনকে কি উত্তর দিবেন সেটা মনের মাঝে আগে থেকেই সাজিয়ে গুজিয়ে নিচ্ছেন। এমন সময় আলেয়া বেগমের গলার স্বর ভেসে আসে।

“ভাইজান।”

আজমল শেখ বোনের গলা শুনে জোরে নিঃশ্বাস ছেড়ে নিজেকে শান্ত রেখে বলেন, “হুম বলুন।”

“আপনি আমার দিকে ফিরে কথা বলুন।”

আজমল শেখ বোনের দিকে ফিরে বলেন, “কি হয়েছে?”

“আপনি আমায় কথা দিয়েছিলেন ভাইজান আমার হিয়ার সাথে জাহিনের বিয়ে দিবেন। কিন্তু এটা কি করে হলো আপনি ওই স্থানে উপস্থিত থাকার পরেও।”

আজমল শেখ বোনকে বুঝানোর স্বরে বলেন, “দেখ আলেয়া পরিস্থিত তখন এতটা খারাপ ছিল যে এ ছাড়া কোনো‌ উপায় ছিল না আমাদের হাত। আর জাহিন তোর মেয়েকে সেই নজরে দেখে না যেটার মাধ্যমে ওরা দুজন স্বামী স্ত্রীর মতো একটা পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে সেটা তুই খুব ভাল করেই জানিস।”

“আপনি আমায় কথা দিয়েছিলেন ভাইজান সেই কথা আপনি রাখতে পারেন‌ নি। এখন যদি আমার মেয়েটা কিছু করে বসে তাহলে।”

“যা হয় ভালোর জন্যই হয় আলেয়া তোর মেয়েকে বুঝা। আশা করি ওকে বুঝালে ও সবটা বুঝবে ও এতটাও অবুঝ নয়। আর জাহিনকে আমি বললেই যে ও হিয়াকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যেত তেমনটা কিন্তু গ্যারান্টি দেই নি আমি। আমি বলেছিলাম আমি চেষ্টা করব কিন্তু এর আগেই এসব কিছু হয়ে গেলো যেটা আমাদের কারো হাতেই ছিল না।”

কথাটা বলেই আজমল শেখ চলে যান। আলেয়া বেগম ভাইকে কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারেন নি। ওনি জানেন জাহিন কোনো দিন হিয়াকে বিয়ে করতে রাজি হত না। কিন্তু তারপরও মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে শেষ চেষ্টা করতে চেয়েছিলনে কিন্তু এখন চেষ্টা করেও আর কোনো লাভ নেই। আলেয়া বেগম তাড়াতাড়ি করে হিয়াকে ফোন দেয়। এতক্ষণে মেয়ে হয়তো জেনেই গেছে জাহিনের বিয়ে খবরটা। চারিদিকে যেভাবে ছড়িয়ে গেছে জাহিনের বিয়ের খবরটা। কিন্তু হিয়া আলেয়া বেগমের ফোন ধরছে। টেনশনে আলেয়া বেগমের মাথা কাজ করছে না মেয়েকে কি করে সামলাবে এটা ভেবে?

_______

অয়ন্তি ফ্রেশ হয়ে জামদানির মাঝে লাল টুকটুকে একটা শাড়ি পড়েছে। এক্কেবারে মনে হচ্ছে যেন সদ্য ফুটন্ত লাল গোলাপ। জারা অয়ন্তির দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে বলে, “ভাবি তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।”

অয়ন্তি জারার কথায় লাজুক হাসি দেয়। জারা অয়ন্তির কাছে এসে অয়ন্তির হাত ধরে বেডে বসাতেই জারার পায়ের সাথে অয়ন্তির পা‌ লাগতেই‌ অয়ন্তি ব্যথায় কুঁকড়ে উঠে। অয়ন্তির আর্তনাদ শুনে জারা অস্থির হয়ে বলে।

“সরি সরি ভাবি আমি আসলে বুঝতে পারি নাই।”

অয়ন্তি দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথা সহ্য করে বলে, “আমি ঠিক আছি জারা।”

“তুমি একটু বসো ভাইয়া কাছ থেকে ব্যথার ঔষধটা নিয়ে আসি। না হলে হয়তো রাতের মাঝে ব্যথাটা বাড়তে পারে।”

জারা অয়ন্তিকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই চলে যায়।

_____

জাহিন সবে মাত্র শাওয়ার নিয়ে বের হয়েছে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভেজা চুলগুলা ঠিক করছে আর মনে মনে ভাবছে আজকে কি থেকে কি হয়ে গেল তার সাথে। যে কোনো দিন বিয়ে করবে না বলে ভেবেছিল সে আজ থেকে বিবাহিত ভাবতেই হাসি পাচ্ছে জাহিনের। তবে জাহিন নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবে এই‌ পবিত্র বন্ধনটাকে আগলে রেখে একটা স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে। ফোনের কর্কশ শব্দে শুনে জাহিন নিজের ভাবনা থেকে ফিরে আসে। ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে নুহাশ কল করছে। জাহিন কানের কাছে ফোনটা নিয়ে হ্যালো বলতেই নুহাশ ভরাট গলায় বলে।

“ভাই নিউজটা কি সত্যি যেটা চারিদকে ছড়িয়েছে?”

“হুম।”

“তার মানে তুমি সত্যি বিয়ে করেছো?”

“হুম।”

“আর রিহান ও কোথায় আছে?”

“জানি না।”

“খোঁজ করো‌ নি?”

“না।”

“কেন?”

“এসব কথা বাদ দে নুহাশ। ওখানের কি খবর সেটা বল?”

“সব কিছু সেট করা হয়ে গেছে। আমি‌ আগামীকাল সব কিছু শেষ করে রাতের মাঝে ফিরে আসব।”

জাহিন কিছু বলতে যাবে তখন জারার কন্ঠ ভেসে আসে, “ভাইয়া ভেতরে আসব।”

জাহিন কল না কেটে জারাকে বলে, “হুম আয়।”

জারা ঘরে ভেতরে ঢুকে বলে, “ভাইয়া অয়েন্টমেন্টটা দিবে ভাবির পায়ে‌‌‌‌ মালিশ করা দরকার।”

জাহিন চিন্তিত হয়ে বলে, “ওনার পায়ের ব্যথাটা কি বেড়েছে?”

“সামান্য একটু। ঔষধ দিলে ঠিক হয়ে যাবে।”

জাহিন নিচের ঠোঁট কামড়ে বলে, “ওও। দেখ ড্রয়ারে আছে।”

জারা এগিয়ে যায় ড্রয়ারের দিকে। কিন্তু কারো নাম শুনে সাহসা থেমে যায় পা দুটো। জাহিনের মুখে নুহাশের নামটা শোনা মাত্র জারার বুকটা ধ্বক করে উঠে। কিন্তু মুহূর্তের মাঝে মনটা খারাপে পরিণত হয় এটা ভেবে যে এই পাঁচ দিনের মাঝে নুহাশকে এত গুলা কল দিয়েছে সে কিন্তু একটা কলও কি ধরতে পারল না নুহাশ এতটাই ব্যস্ত থাকে। নাকি এই ব্যস্ততা শুধু মাত্র তার জন্য আর তাকে অবহেলা করার জন্য।

জারাকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জাহিন বলে, “কিরে? এভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?”

জারা ভাইয়ের কথার উত্তর না দিয়ে তাড়াতাড়ি করে অয়েন্টমেন্টটা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে পড়ে। জাহিন বড্ড অবাক হয় বোনের করা আচরণ দেখে। এদিকে নুহাশও কিছু না বলে ধুম করে ফোন কেটে দেয়। মানে জাহিন যেন একটা গোলক ধাঁধার মাঝে পড়ে যায়।

_______

নুহাশ ফোনটা সোফার উপরে রেখে চোখ বন্ধ করে মাথাটা সোফাতে হেলিয়ে দেয়। আজ পাঁচ দিন পর মেয়েটির কন্ঠ শুনতে পেলো নুহাশ। এই পাঁচ দিন ইচ্ছে করেই নুহাশ জারার কল ধরে নি। জারা যে নুহাশকে ভালবাসে সেটা নুহাশ অনেক আগেই টের পেয়েছিল। কিন্তু নিজের মনের ভুল ভেবে সবটা উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছিল তত জারার কার্যক্রম আর একটা ডায়েরি পড়ে নিশ্চিন্ত হল জারা তাকে ভালোবাসে। কিন্তু নুহাশ যেই মানুষটাকে নিজের করে কোনো দিন পেতে পারবে না সেই মানুষটার প্রতি মায়া বাড়াতে চায় না। তারপর থেকে শুরু হয় জারার প্রতি নুহাশের অবহেলা। জারা যে নুহাশের অবহেলার জন্য কষ্ট পায় সেটা নুহাশ খুব ভাল করেই বুঝতে পারে। কিন্তু নুহাশের হাত পা বাঁধা চাইলেও জারার ভালবাসার ডাকে সে সাড়া দিতে পারবে না।

#চলবে

পর্ব:১
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=808708307935635&id=100063894182680&mibextid=Nif5oz
পর্ব:২
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=810104194462713&id=100063894182680&mibextid=Nif5oz

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here