বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প #পর্ব-২১ #লেখনীতে-আসমিতা আক্তার ( পাখি )

0
912

#বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প
#পর্ব-২১
#লেখনীতে-আসমিতা আক্তার ( পাখি )

মধ্যরাত..
হুর নিজের পড়াশোনা সব কমপ্লিট করে বিছানায় শুয়ে ফোন দেখছিল।মেসেঞ্জার গ্রুপে সবার কথোপকথন শুনছিল। মেসেজের মাধ্যমে। হুরের সাথে সাথে সবাই ও নিজের পড়াশোনা শেষ করে ফোন টি’পাটি’পি করছিল। উদ্দেশ্য একটু দুষ্টামি করে ঘুমিয়ে পড়বে। হুর কথা কম বললেও সবার কথা শুনে সে বেশ বিনোদন পায়। তাইতো দিনে একটু হলেও মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে ঘুরে আসে।খুব ঘুম পাচ্ছে তার। সবাইকে বাই বলে ওয়াইফাই অফ করে দিল। সাথে সাথে মেসেজের নোটিফিকেশন বেজে উঠল। নাম্বারে মেসেজ আসছে। হুর চেক করতে গিয়ে দেখলো রুদ্ধ মেসেজ করেছে। এত রাতে রুদ্ধ তাকে মেসেজ করেছে দেখে ভ্রু খানিকটা কুচকে এলো। মেসেজ ওপেন করলো…

“দু মিনিটের মধ্যে রুমে আসবে!

হুর ভেবে পায়না রুদ্ধ তাকে এত রাতে কেন ডাকছে।বিরক্তি ভাব চলে আসলো তার সারা মুখশ্রীতে। এই মুহূর্তে তার কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না। ইচ্ছে করছে জব্বর এক ঘুম দিতে। কিন্তু রুদ্ধ তার প্রতিবারই ঘুমের দুশমন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।ফোন ছুড়ে মারলো বালিশের কোণে। গলায় ভালোভাবে ওড়না পেয়েছি উদ্বেগ হলো রুদ্ধের রুমে যাওয়ার।রুদ্ধের রুমের দরজা ভিড়ানো। দরজা ঠেলে রুমে প্রবেশ করে কর্কশ গলায় হুর বলে,

“সমস্যা কি আপনার?এখন আবার এত রাতে কেন ডেকেছেন?

রুদ্ধ বালিশে হেলান দিয়ে পা দুটো সোজা রেখে তার ওপর ল্যাপটপ নিয়ে কি যেন করছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। ল্যাপটপের ওপর নজর রেখেই হুর কে আদেশ করে বলে।

“এদিকে আসো!

বিনা বাক্যে রুদ্ধের কাছে এগিয়ে যায় হুর।
“বলুন

“উঠে এসো।
হুর হালকা চেঁচিয়ে বলে,
” মানে?
ল্যাপটপ থেকে সরিয়ে হুরের দিকে তাকায় রুদ্ধ।দাঁত দাঁত চেপে বলে,
“বিছানায় উঠে এসো।

ভ্রু কুচকে আসে হুরের। বলে
“কেন?
“যা বলছি তাই করো।

ভয় হচ্ছে হুরের। গতকাল রাতের মতো যদি তাকে জাপ্টে ধরে ঘুমিয়ে থাকে তাহলে তো সে শেষ হয়ে যাবে। গতকাল রাতে এক ফোটাও ঘুমাতে পারিনি সে। সকালের দিকে একটু চোখ লেগে এসেছিল। রুদ্ধের জ্বালা যেন দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এত জ্বালা সে সহ্য করতে পারছে না।ইচ্ছে করছে সব ছেড়েছুড়ে বনবাসে চলে যেতে। শরীর নাড়াতে তার খুব কষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় যদি রুদ্ধ আবার তাকে জাপটে ধরে তার বিশাল শরীর হুরের মত কমল একটি কচ্ছপের ওপরে থাকে তাহলে তো এবার সে নিহত হয়ে যাবে।তবে রুদ্ধের কথা মান্য না করলে যে সে তাকে এভাবে ছেড়ে দেবে তা ভাবাও বো’কামি।হুর ভয়ে ভয়ে রুদ্ধের অপর পাশে গিয়ে বসলো।হুরের দিকে তাকালো রুদ্ধ। হুরো রুদ্ধের দিকে তাকালো। রুদ্ধ ইশারা করল ল্যাপটপের দিকে তাকাতে। তাকালো সে। ল্যাপটপের স্ক্রিনে ভেসে আসলো দুপুরে দেখা সেই ফিল্মটি ।যদিও সে পুরো ফিল্ম দেখতে পারেনি। তা অবশ্য রুদ্ধের কারণে। কিন্তু ওর বুঝতে পারছে না রুদ্ধ তাকে এটা দেখতে কেন ইশারা করছে। বুঝতে না পেরে রুদ্ধের দিকে প্রশ্নবোধক চাহনি নিক্ষেপ করল। তা দেখে রুদ্ধ বলল,

“তখন তো আমার কারণে কবির সিং ফিল্মটি শেষ করতে পারোনি।তাই এখন তোমায় সুযোগ করে দিলাম। পার্টনার হিসেবে না হয় আমি তোমায় সঙ্গ দিলাম।

আৎকে উঠলো হুর।রুদ্ধের সামনে এমন রোমাঞ্চকর একটি ফিল্ম দেখা মানে জেনে বুঝে মার্ডার হওয়া। হুর এতটাও নির্লজ্জ না যে রুদ্ধের সামনে এই ফিল্মটি দেখবে। তাই দ্রুত গতিতে সে জবাব দেয়।

“আমি আপনার সাথে কোন ফিল্ম দেখব না। ফিল্ম দেখতে হলে আপনি একাই দেখেন। তবে আমাকে টানবেন না।

বলেই উঠতে নিল। কিন্তু রুদ্ধ হতে দিল কই!আজ যতক্ষণ না পর্যন্ত হুর তার সামনে পুরো ফিল্মটি দেখবে ততক্ষণ অব্দি সে হুরকে ছাড়বে না। এমনটাই পণ করেছে দুপুর থেকে।কোল থেকে ল্যাপটপ সরিয়ে হুরকে টেনে নিজের কোলের মাঝে নিল।আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ভ হয়ে রুদ্ধের কোলে বসে রইল হুর। কয়েক সেকেন্ড পর বুঝল সে রুদ্ধের খুব নিকটে আছে। এবং তার কোলেই বসে আছে। সাথে সাথে উঠতে নিল। এবারও থামিয়ে দিল রুদ্ধ। ডান হাতে দিয়ে হুরের পেট চেপে নিজের সাথে আঁকড়ে ধরল। রুদ্ধের পরনে থ্রি কোয়াটার প্যান্ট। এবং বরাবরের মতো খালি তার গা। হুর বুঝে উঠতে পারে না এই লোকটা সব সময় খালি গায়ে থাকে কেন।কাপড়চোপড়ের তো কোনো অভাব নেই। টাকা পয়সার ও কোন অভাব নেই। খালি গায়ে থাকার রহস্যটা ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না সে।লোমশহীন বুকের সাথে হুরের পিঠ লেগে আছে। হুরকে নিজের সাথে চেপে ধরে রুদ্ধ পায়ের কাছে থাকা কম্বলটি পা দিয়ে টেনে হুরের কোমর অব্দি ঢেকে দিল।সাথে নিজেকেও ঢাকলো। এসির রিমোট দিয়ে এসির পাওয়ার ফুল স্পিড করে দিল। ল্যাপটপ হুরের কোলে রাখল। ফিল্ম প্লে করল। পিছনে থাকা বালিশে নিজের গায়ে এলিয়ে দিল। ছবির শুরুতে অপ্রত্যাশিত সেই দৃশ্যটি দেখে সাথে সাথে হাত দিয়ে চোখ ঢেকে নিল। পিছন ফিরে রুদ্ধের বুকে মুখ লুকালো। আতঙ্কিত গলায় বলল,

“প্লিজ আপনি আমায় যা শাস্তি দিবেন তা আমি মেনে নিব। তবুও আপনি আমায় জোর করবেন না আপনার সামনে এই ফিল্মটি দেখার জন্য।

পেট ছেড়ে হাত চলে গেল হুরের কোমড়ে।মুখ নামিয়ে হুরের কাঁধে তার থুতনি রাখল।নাক ঘসে বলল,
“এর থেকে বেস্ট পানিশমেন্ট আমার মাথায় আসছে না।অ্যান্ড তোমার জন্য আরেকটা পানিশমেন্ট বরাদ্দ থাকলো। এই ফিল্মে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা তোমার সাথে ঘটবে। নায়ক নায়িকার সাথে যা করবে আমিও তোমার সাথে…ইউ নো না ওয়াট আই মিন!

রুদ্ধের কথা শুনে হুর কান্না করে দিবে এমন অবস্থা। হুরে এর কাঁদো কাঁদো মুখ দেখে রুদ্ধের মায়া হলোনা। তার মত চেঞ্জ হলো না। সে নিজের কথায় অটুট। কাঁদো কাঁদো মুখ নিয়ে হুর আবার কিছু বলতে নিলে রুদ্ধ ফিসফিস করে বলে।

“হুরপাখি…ফিল দিস মোমেন্ট!অ্যান্ড এনজয় দ্যা ফিল্ম।

হুর বুঝে গেল রুদ্ধকে কোন ভাবে বুঝিয়ে লাভ নেই। সে তাকে তার সামনেই ফিল্মটি পুরো না দেখিয়ে ছাড়বে না। তাই বাধ্য মেয়ের মতো সে ফিল্ম দেখতে লাগলো। ধুকপুক করছে তার হৃদয়। রুদ্ধের গায়ের সাথে লেগে থাকার কারণে শরীর অসার হয়ে আসছে। রুদ্ধের তপ্ত গরম নিঃশ্বাস তার গলা, ঘাড়ে বারি খাচ্ছে।ধুকপুকানির সাথে তার নিঃশ্বাসও ঘন হয়ে আসছে।হুর মনে মনে দোয়া করছে এমন কিছু ঘটুক যেন ফিল্মটা এখানে দেখা বন্ধ হয়ে যায়। তবে তার মনের দোয়া কবুল হলো না। কেন জানি গুরুত্বপূর্ণ সময় তার দোয়া গুলো কাজ করে না। এতে সে নিজেকে ভিষন হতভাগী মনে করে।খাটের ডান পাশে থাকা ছোট টেবিলটি থেকে পপকর্ন আর চিপ’স হাত বাড়িয়ে নিল রুদ্ধ।হুরের মুখের সামনে পপকর্ন ধরলে হুর মাথা একটু বাকিয়ে পিছন তাকায়।রুদ্ধের বু’কে থুতনি ঠেকে আছে।রুদ্ধ আবার হুরের মুখের সামনে পপকর্ন ধরে।হুর বিস্মিত হয়ে মুখ হা করে। রুদ্ধ খাইয়ে দেয়। হুরের বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে রুদ্ধ তাকে খাইয়ে দিচ্ছে।অন্যমনস্ক হয়ে হুর আবার ল্যাপটপ এর দিকে তাকায়।তৎক্ষনাৎ ভেসে আসে লিপ কি’স এর একটি দৃশ্য। সাথে সাথে হুর হাত দ্বারা নিজ চোখ ঢেকে রাখে। হাসে রুদ্ধ। ডান হাত দিয়ে হুরকে তার দিকে একটু ঘুরায়।রুদ্ধর এমন করাতে চোখ থেকে হাত সরে আসে হুরের।

রুদ্ধ সময় অপচয় না করে নিজের লাল,কালো রঙা মিশ্রণের ঠোঁট চেপে ধরলো হুরের অধরে৷ফিল্মের মতো সেও বেশি সময় নিল না কি’স করতে। যতবার নায়ক নায়িকা কে কি’স করছে ততবারই রুদ্ধ হুরকে চু’মু দিচ্ছে। তাও আবার কবির সিং এর মতো করে।রুদ্ধের স্পর্শ পেয়ে প্রতিবারই শিউরে উঠছে।চলে আসলো কঠিক এক পরিস্থিতি। মানে কঠিন রোমাঞ্চকর দৃশ্য।যা থেকে হুর দুপুরে পালিয়ে আসতে চেয়েছিল। এবং কি এখনো পালাতে চাচ্ছে।মনে মনে ভাবলো এখন ঘুমের দোহাই দিয়ে তার রুমে চলে যাবে। কিন্তু তার আগেই রুদ্ধ হুরকে চু’মু খায়। গভীর ভাবে চু’মু খায়।অধর জোড়া ছাড়ে না।চু’মু খাওয়া অবস্থাতে হুরের কোল থেকে ল্যাপটপ সরিয়ে নেয়।হুরকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিজের কোলে ভালোভাবে হুরকে বসায়।নিজের সমস্ত ভার বালিশে ছেড়ে দিয়ে আবেশে চোখ বন্ধ করে নেয়। হুর ও নিজের খেই হারায়।রেসপন্স না করলেও রুদ্ধকে আটকাতে পারে না।রুদ্ধের অধর তাকে পাগল করে তুলেছে।তার বেসামাল স্পর্শ তাকে পাগল করে তুলেছে।হুর বুঝতে পারলো না কখন তার শরীর থেকে ওড়না সরে গেছে৷কিছু সেকেন্ড বিরতি নিয়ে রুদ্ধ হুরকে বিছানায় শুইয়ে দেয়।গলায় মুখ ডুবিয়ে ভাঙা গলায় ডাকে,

“হুরপাখি…

গলার ভেতর কথা জড়িয়ে আসছে হুরের।মস্তিষ্ক বারবার তাকে সতর্ক করছে কোনো ভুল না করতে।কিন্তু মন আর শরীর দুটোই অবশ হয়ে আসছে।হুরের অধরে আবার নিজের অধর চেপে ধরতেই হুর রুদ্ধের পিঠ খামচে ধরে চোখ বন্ধ করে নিল।পরিস্থিতি বেগতিকে যেতে নিলেই রুদ্ধের ফোন বেজে উঠে। সাথে সাথে চোখ খুলে নেয় হুর। রুদ্ধের দিকে তাকিয়ে দেখে সে তাকে চু’মু খেতে মত্ত। নিজেকে ছাড়াতে লাগলো সে। বিরক্ত হলো রুদ্ধ। বিরক্ত হয়ে হুরকে ছাড়লো। হুরের পাশেই ফোন রাখা ছিল। হুর এক নজর ফোনের দিকে তাকিয়ে নামটি পড়ে নিল। তারপর রুদ্ধকে বললো,

“ফোনটা রিসিভ করে নিন।এত রাতে ফোন দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণও কিছু হতে পারে।

রুদ্ধ সেদিকে গুরুত্ব দিল না। তার এই মুহূর্তে গুরুতর কাজ হচ্ছে হুরের সাথে সময় কাটানো।ফোনের চিন্তা ভুলে সে হুরকে কপালে চু’মু খায়। তা দেখে হুর আবার বলে,

” আচ্ছা, আমি ফোন লাউড এ রাখছি আপনি কথা বলে নিন।

রুদ্ধ হ্যাঁ, বা না কোনোটাই বললো না।হুর নিজে থেকেই ফোন রিসিভ করলো।লাউডে রাখলো।ভেসে আসলো…

“স্যার খোকন ধমকি দিছে আমরা যদি নারী পাচারকারী কেস থেইক্কা না হরি, তাইলে তারা আমাগো সব লোকেরে জান’নে মাইরা দিব।

সাথে সাথে হুরের কাছ থেকে সরে আসে রুদ্ধ। হুরের হাত থেকে ফোন নিয়ে বিশ্রী এক গা’লি দেয়। বলে,

“ওই খোকন রে ধরে গোডাউনে জীবিত রাখবি। ওর খেল আমি খতম করবো।ওই মা** বাচ্চা কি ভুলে গেছে রুদ্ধ কি জিনিস?আমার কাজে ব্যাঘাত দেয়ার ফল এবার সে হাড়ে হাড়ে টের পাবে।শা*লা রে খাবার,পানি ছাড়া বাচিয়ে রাখ!

খট করে ফোন কেটে দেয়। রাগে তার মুখ লাল হয়ে গেছে। হুর হতবাক হয়ে গেছে রুদ্ধের এরূপ রূপ দেখে। তাকে কখনও দেখেনি গা’লি বাজ করতে। আর না কাউকে দেখেছে এত কঠিন ভাবে কথা বলতে। অবশ্য গ্যাংস্টার মানুষ বলে কথা। তাদের দ্বারা সব সম্ভব। রুদ্ধ হুরের দিকে তাকালো। তার চোখে লেগে আছে বিস্ময়।তা দেখে রুদ্ধ বললো,

“যাও রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।আজ কলেজ যাওনি। সকালে ঘুম থেকে না উঠতে পারলে কাল ও যেতে পারবে না।

হুর “হুম” বলে নিজের রুমে চলে আসলো। বড় এক বাঁচা বেঁচেছে সে। না, হলে আর কিছুক্ষণ থাকলে ভয়ংকর কিছু ঘটে যেত। অনেক ধন্যবাদ জানাল ফোনকারি দাতাকে। সে যদি ফোন না দিতো তাহলে হয়তো রুদ্ধ থামতো না। তবে মাথায় ঘুরপাক আছে সেই লোকের বলা কথাগুলো। নারী পাচারকারী। রুদ্ধ কি তাহলে নারী পাচারকারীদের কাজে লিপ্ত আছে?সে কি অবৈধ কোন কাজ করে?কিন্তু রুদ্ধ তো হুরকে বলেছিল সে কোন অবৈধ কাজ করে না। তাহলে এই নারী পাচারকারী!কিছু বুঝতে পারছে না হুর। মাথায় আর প্রেসার দিতে পারছেনা। তবে চিন্তা করতে না চাইলেও যে চিন্তা চলে আসছে।উফ মাথাটা মনে হয় ছিড়েই যাবে। বিছানায় শুয়ে অনেকক্ষণ এইসব নিয়ে চিন্তা করল সে। এক সময় চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেল।

( ছোট করেই দিলাম🥲 )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here