বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প #পর্ব-১৯ #লেখনীতে-আসমিতা আক্তার ( পাখি )

0
755

#বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প
#পর্ব-১৯
#লেখনীতে-আসমিতা আক্তার ( পাখি )

গতবারের মতো হুর আজও রুদ্ধের রুমে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে।উদ্দেশ্য তার রুমে কিছুক্ষণ সময় কাটানো।রুদ্ধের রুম তার ভীষণ প্রিয়। রুমে থাকা প্রতিটি জিনিস খুব সময় নিয়ে ডেকোর করা হয়েছে। হুরের বিশেষ করে রুদ্ধের মোলায়েম বিছানা পছন্দ।তাইতো তার মন বারবার থাকে তারা দিচ্ছিলো বিছানায় একটু লাফালাফি করে আসতে।যতদূর সে জানে রুদ্ধ এখন বাড়িতে নেই। তাই নির্ভয়ে রুমে প্রবেশ করল।রাত এখন ১১:০০ টা বাজে ।বিকেলে জেরিনের মুখ থেকে শুনেছিল রুদ্ধ আজ রাতে বাড়ি ফিরবে না। তাই সুযোগটা সে হাত ছাড়া করতে চায় না। পুরো রুম খালি। তবে বাতি জ্বলছে। রুদ্ধের রুমে এখন বাতি কেন চলছে প্রশ্নটা মাথায় আসলো তার।কারণ রুমে কেউ না থাকলে বাতি তো জ্বালিয়ে রাখার কথা না। পরক্ষণে আবার মনে করলো হয়তো জেরিন বাতি জ্বালিয়েছে না হয় রুদ্ধ ভুলে বাতি জ্বালিয়ে চলে গেছে। রুমের মধ্যে প্রবেশ করার পর আরো বুঝল যে এসিও চালু। তাকে আর কষ্ট করে এসি বা ফ্যান চালাতে হলো না। দৌড় মেরে চলে গেল রুদ্ধের বিছানায়। প্রথমে হাত পা ছড়িয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিল। তারপর উঠে লাফাতে লাগলো। লাফাতে লাফাতে কয়েকবার পড়েও গিয়েছে। তারপরেও তার লাফানোর স্বাদ মিটেনি। লাফাতে লাফাতে একসময় সোফার সামনে থাকা ছোট টি টেবিলের দিকে নজর গেল। বন্ধ হয়ে গেল তার লাফানো।সাদা কাচের টেবিলে কালো রংয়ের কুচকুচে পিস্তলটি সবারই চোখে পড়বে। হুর প্রথমে দেখে ভয় পেল। পরমহুর্তে ভাবল এটা খেলনার পিস্তল হবে। তাই ধেই ধেই করে সোফায় গিয়ে বসলো। খেলনার পিস্তল মনে করে হাতে নিল। হাতে নেওয়ার পর মনে হল খেলনার পিস্তলের থেকে এই পিস্তলটি খুবই ভারী ।তাই মনে সন্দেহ জাগলো। পিস্তলটি আসল কিনা তা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে লাগলো। তবে আসল বা নকল কোনটাই বুঝতে পারল না। চোখ গেল ট্রিগারে। ভাবলো ট্রিগারে চাপ দিয়ে নিজের সন্দেহ দূর করবে। আসল কিনা নকল তা যাচাই করবে। যেই ভাবা সেই কাজ। ট্রিগারে আঙ্গুল দিল। কিন্তু চাপ দিতে ভয় করছে। মনে মনে এটাকে খেলনার পিস্তল মনে করলেও বুক দুরু দুরু করছে। ট্রিগারে চাপ দিবে কি দিবে না এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ কর্ণপাতে গম্ভীর কণ্ঠ ভেসে আসলো।

“তুমি এখানে কি করছো?

ভয়ে চমকে উঠল হুর। ট্রিগারে তখনো তার আঙ্গুল দেয়া ছিল। ভয় পেয়ে ট্রিগার এ চাপ লেগে গেছে। সাথে সাথে পিস্তল থেকে একটি গু’লি বের হয়ে আসে। গু’লি টা লাগে বিছানার মাঝ বরাবর বালিশের উপর। গু’লির তীব্র শব্দে আবারো ভয় পেয়ে যায় হুর। সাথে সাথে হাত থেকে পিস্তল পড়ে যায়। থর থর করে কাঁপতে থাকে তার শরীর। রুদ্ধ নিজের লম্বা পা ফেলে দ্রুত হুরের কাছে আসে। হুরের হাত ধরে টেনে সোফার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে আনে।হুরের হাত ধরে বুঝতে পারে সে কাঁপছে। রুদ্ধ এবার নিজের রাগ নিবারণ করতে না পেরে ধমকে উঠে।

“এই মেয়ে তোমাকে কে বলেছে এখানে আসতে?আর হাতেই বা পিস্তল কেন ছিল তোমার?গু’লি কেন করলে?

হুরের কাঁপা স্বর,
” আমি…আমি মনে করেছিলাম ওটা খেলনার পিস্তল। তাই হাতে নিয়েছিলাম। আমি গুলি করতে চাইনি কিন্তু কিভাবে যেন ট্রিগারে আঙ্গুল লেগে বের হয়ে গেছে।

রুদ্ধ ধমকে আবার কিছু বলতে নিলে দরজায় টোকা পড়ে। লিলি এসেছে। গু’লির শব্দ শুনে দৌড়ে সে নিজের রুম থেকে এখানে এসেছে। সেও ঘাবড়ে গিয়েছে।লিলিকে ভেতরে আসার পারমিশন দিল না রুদ্ধ। ভেতর থেকে লিলির উদ্দেশ্যে বলল।

“চিন্তা না করে নিজের রুমে গিয়ে ঘুমান।দুশ্চিন্তা করার মতো কোনো কিছুই হয়নি। ভুলবশত পিস্তল থেকে গুলি বের হয়ে এসেছে।সো রিল্যাক্স..

সেখান থেকে চলে আসে লিলি। নিজের রুমে চলে যায়। রুদ্ধের গলায় সাদা তোয়ালে ঝোলানো ছিল। সেটা গলা থেকে সরিয়ে সোফায় ছুড়ে মারল। হুরের হাত ধরে বেলকনির কাছে যেতে লাগলো। ব্যালকনির পাশে থাকা ছাদে যাওয়ার দরজা খুলল।তার এই দরজায় এবং ছাদে থাকা রুমের দরজা সে ব্যতীত আর কেউ খুলতে পারবে না। কারণ দরজায় পাসওয়ার্ড এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট লাগানো আছে।হুর কে নিয়ে সোজা ছাদে চলে আসলো। ছাদে থাকা সোফায় বসালো। পাশে এসে সেও বসলো।নরম কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,

“কিছু দরকারি কাজে এসেছিলে?

এতক্ষণে কিছুটা ভয় কেটে উঠেছে হুরের। তবে পুরোপুরি কাটেনি। রুদ্ধের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ভয় মিশ্রিত কন্ঠে সে পাল্টা প্রশ্ন করে।
“আপনার কাছে পিস্তল কেন?

রুদ্ধের সহসা উত্তর,
“গ্যাংস্টারদের কাছে পিস্তল থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
আশ্চর্য বিমূঢ় হয়ে রুদ্ধের দিকে তাকিয়ে আছে হুর।রুদ্ধের কথাটা ঠিক হজম করতে পারছে না।বিশ্বাস করতে পারছে না যে রুদ্ধ একজন গ্যাংস্টার। মনের মাঝে আরেকটি প্রশ্ন আসতে আবার প্রশ্ন করে।
“আপনার না অফিস আছে?আপনি না প্রতিদিন অফিসে যান?

“হ্যাঁ, আমার অফিস আছে এবং প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য হলেও অফিসে যাওয়া হয়।আর আমি না থাকলে ইমতিয়াজ বা অফিসের ম্যানেজার সামলে নেয়।

ফ্যালফ্যাল করে রুদ্ধের দিকে তাকিয়ে আছে সে। রুদ্ধ তা দেখে বললো,
“দ্বিতীয় বার আর আমার গান ধরবে না।এবার বেঁচে গেলেও দ্বিতীয় বার পারবে না।

হুর চোখ ছোট ছোট করে তাকালো।জিজ্ঞেস করলো,
“শুনেছি গ্যাংস্টার মানুষরা নাকি গু’লি ছুড়াছুড়ি করে। মানুষ খু’ন করে। আপনিও কি মানুষ খু’ন করেন?

রুদ্ধ হুরের দিকে তাকিয়ে রইলো। তবে কিছু বললো না।কিছু সময় কেটে যাওয়ার পর যখন দেখলো রুদ্ধ তার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না,তখন হুর বুঝে গেল রুদ্ধ উত্তর দিতে ইচ্ছুক না। প্রথম প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে আরেকটি প্রশ্ন করলো,
” আচ্ছা আপনি পিস্তল দেখে ভয় পান না?

ক্রুর হাসলো রুদ্ধ।বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো।হুরের কাছে গিয়ে আবার তার হাত ধরলো।হুরের হাত টেনে হুরকে বসা দেখে উঠে দাঁড় করল। তারপর তার হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। দুজনের পা থামল ছাদের বিশাল একটি রুমের সামনে। নিজ হাতের আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ডোর ওপেন করল রুদ্ধ। রুমে প্রবেশ করল। ভেতরে ঢুকতেই ভয় পেয়ে গেল হুর। রক্ত লাল এর মত পুরো রুম হয়ে আছে। ভয় পেয়ে রুদ্ধের হাত চেপে ধরলো।রুদ্ধ তা বুঝে রুমের বাতি জ্বালিয়ে দিল। সাথে সাথে রক্ত লাল রঙা ঘর হাওয়ায় মিলিয়ে সাদা ফকফকা হয়ে গেল।স্বস্তি পেল হুর। রুদ্ধের দিকে তাকাতেই রুদ্ধ বাম পাশে তাকাতে ইশারা করলো। পাশে তাকাতেই হুর স্তব্ধ হয়ে গেল। চোখ স্থির হয়ে গেল দেয়ালের ওপর। চোখের পলক ফেলছে কিনা তা বুঝতে পারছে না। ফ্যাল ফ্যাল নয়নে তাকিয়ে আছে। রুদ্ধ তা দেখে বলল,

“পিস্তলকে দেখে আমি ভয় না পেলেও পিস্তল আমার হাতে আসলে তাদের করুন অবস্থা হয়ে যায়।

গলা শুকিয়ে আসছে হুরের। ভয় নাকি পিপাসায় তা ঠাহর করতে পারছে না।বাম পাশের দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের বন্দুক আর পিস্তল রাখা। দেখতে সুন্দর লাগলেও হুরের কাছে সুন্দর মনে হচ্ছে না। মাত্রাতিরিক্ত ভয়ে কুকড়ে গেছে সে। কথা বলার মত পরিস্থিতিতে সে নেই। কথা বলতে চাইলেও কন্ঠনালী থেকে কথা বের হচ্ছে না। মন বারবার একই কথা বলছে।
“রুদ্ধ ডেঞ্জারাস। খুব ডেঞ্জারাস।

হুর ভয় পাচ্ছে দেখে রুদ্ধ তাকে শীতল কন্ঠ বলল,
“ভয় নেই, এই পিস্তলগুলো কখনো তোমায় আঘাত করবে না। এ পিস্তলের গু’লি তাদের ওপরে বর্ষণ হয় যারা আমার সাথে ধোঁকামির খেলায় জুড়ে থাকে।সবকিছু সহ্য করতে পারলেও ধোঁকা সহ্য করতে পারিনা আমি। তাই মাঝে মাঝে একটু পিস্তলগুলো ব্যবহার করে দেখি ঠিক আছে কিনা!

রুদ্ধের স্বাভাবিক ভাবে কথা বলা যেন হুরকে আরো নাড়িয়ে দিচ্ছে।এক নজরে পুরো রুম স্ক্যান করে নিল হুর।রুম থেকে বের হয়ে গেল দুজন। চারদিকে বইছে শীতল বাতাস। যা রুদ্ধ আর হুর অনুভব করতে পারছে। নিস্তব্ধ রাতের আঁধারে দুজন কিছু সময় কাটালো। নিস্তব্ধ সময় কাটাতে ভালই লাগলো। কিছু সময় কাটানোর পর রুদ্ধ হুরের হাত ধরে নিজের রুমে নিয়ে আসলো। হাত ছেড়ে বলল,

“বিছানায় লাফালাফি করতে এসেছিলে, যাও ইচ্ছে মত লাফালাফি কর।

চমকে উঠল হুর, সে যে রুদ্ধের রুমে তার বিছানায় লাফালাফি করতে এসেছিল তা রুদ্ধ কিভাবে জানলো? প্রশ্নটা মস্তিষ্কের আসছে। কিন্তু মুখে আসছে না।ধরা খাওয়ার মত কোন স্কোপ ই রাখেনি।তাহলে ধরাটা খেলো কিভাবে।হুর এসব ভাবছে আর কাচুমাচু করছে।মনে হচ্ছে সিংহর গুহায় মাংস চুরি করতে এসে সেই সিংহের শিকার হয়ে গেছে।থতমত খেয়ে হুর বলে,

“আমি..আমি তো আপনার রুমে এসেছিলাম চেক করতে। আপনার রুমে পানি আছে কিনা তাই দেখতে এসেছিলাম।আমি..

হুরের সামনে এগিয়ে আসছে রুদ্ধ। তা দেখে আরো ভড়কে গেল সে।তৎক্ষনাৎ খেয়াল হলো রুদ্ধ খালি গায়ে আছে।লোমহীন সাদা শরীরে ট্যাটু গুলো দেখতে ভীষণ আকর্ষণ লাগছে।হুর সেদিন খেয়াল না করলেও আজ ঠিকই খেয়াল করছে রুদ্ধের ট্যাটু।সিংহ এবং বাঘের ট্যাটু বানিয়ে সাথে আরো কিছু ডিজাইন দিয়েছে।রুদ্ধের ফোলা ফোলা বু’কের উপর থেকে ট্যাটুতে হাত বুলাতে ইচ্ছে করছে।ইচ্ছে করছে ফোলা ফোলা বু’কে নিজের কোমল হাতের স্পর্শ দিতে। রুদ্ধ ধীরে ধীরে আসতে আসতে হঠাৎ তড়িৎ গতিতে হুরের কাছে এসে তাকে এক হাত কোমড়ে দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে উপরে তুলে।হুর কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে নিয়ে বিছানায় ঝাপিয়ে পড়ে।ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে।আকস্মিক এমন হওয়ায় হুর প্রথমে একটু ভয় পায়।কিছুক্ষন পর একাই চোখ খুলে। রুদ্ধর চোখ বন্ধ। হুরের দু হাত বিছানার সাথে চেপে ধরে সে চু’মু খাচ্ছে।হুরের খারাপ লাগা কাজ করছে না।খুব কাছ থেকে রুদ্ধকে দেখতে পাচ্ছে।রুদ্ধের লম্বা দাড়িতে হাত বোলাতে ইচ্ছে করছে। হুর রুদ্ধের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়াতে চাইলো। রুদ্ধ প্রথমে বাঁধা দিলেও পরে ছেড়ে চেয়।হাত ছাড়া পেয়ে হুর রুদ্ধের গালে থাকা বড়বড় দাড়ির উপর রাখে।রুদ্ধ হুরের পেটে এক হাত দিয়ে স্লাইড করতে লাগলো।হুর নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টায় লেগে পড়লো। কারণ তার ভীষণ সুড়সুড়ি পাচ্ছে। পেট ফেটে হাসি আসছে।হুরের হাত পা ছুড়াছুড়ি তে বিরক্ত হয়ে রুদ্ধ হুরকে ছেড়ে দেয়।ধমক দিয়ে বলে,

“কি সমস্যা?চিংড়ি মাছের মতো লাফাচ্ছো কেন?

রুদ্ধের ধমক খেয়ে মুখ ফোলালো হুর। বললো,
“সুড়সুড়ি পাচ্ছিলাম তো!

রুদ্ধ এবার হুরের টোল পরা গালে কামড় দিল।জোড়ে দিল। চিল্লিয়ে উঠলো হুর। রুদ্ধ বললো,
” সহ্য করতে শিখো হুরপাখি।সবে তো মাত্র শুরু। এ জ্বালা তোমায় অনন্তকাল সহ্য করতে হবে।এখন টুকটাক প্রাকটিস করো।পরে না,হয়….

নিশ্বাস থমকে গেল হুরের।রুদ্ধের দিকে টুকুর টুকুর চোখে তাকিয়ে রইলো। রুদ্ধ তাকে “হুরপাখি” বলেছে!এটা তো আদুরে ডাক!আর অনন্তকাল জ্বালা সহ্য করতে হবে মানে?মাথা ভনভন করছে হুরের।হুরকে চার রাস্তার মোড়ে দাঁড় করিয়ে বেশ আনন্দিত হলো রুদ্ধ।হুরের অধরে পুনরায় চু’মু দিতে লাগলো। তবে এবার গভীর ভাবে নয়। ছোট ছোট করে দিতে লাগলো।
অতঃপর হুরের বুকে মাথা রেখে ক্লান্ত স্বরে বললো,

“এখন ঘুমাবো আমি,আমায় ডিস্টার্ব করবে না। আর আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দাও।

বলেই হুরের পিঠে দু হাত রাখলো।হুর বুদ্ধিহীন হয়ে পড়ে আছে বিছানায়। তার সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা স্বপ্ন মনে হচ্ছে। স্বপ্নটা ভালো নাকি খারাপ বুঝতে পারছে না।চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে না দেখে রুদ্ধ হুরের পিঠে হাত দিয়ে উঁচু করলো।তার বু’কের সাথে নিজের মুখ আরো গভীর ভাবে মেশাবে তার আগেই হুর হকচকিয়ে রুদ্ধের চুলে হাত দিয়ে বোলাতে লাগলো।আগের মতো হুরকে জাপ্টে ধরে রাখলো সে। কয়েক মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর রুদ্ধের গভীর নিশ্বাসের শব্দে হুর বুঝলো সে ঘুমিয়েছে।নিজের কাছ থেকে রুদ্ধকে ছাড়াতে চাইল। তবে তার ভারী শরীর এবং জাপ্টে ধরার কারনে পারলো না। অনেক চেষ্টা করার পরও যখন দেখলো বারবার ব্যর্থ হতে হচ্ছে তখন আর চেষ্টা করলো না। রুদ্ধের মাথায় হাত দিয়ে সেও ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।

( চন্দ্রীমা(চন্দ্র) + প্রখর, কেমন লাগলো জুটি?এই দুটো নাম পরবর্তী গল্পতে ব্যবহৃত হচ্ছে )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here