বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প #পর্ব-৩ #লেখনীতে-আসমিতা আক্তার ( পাখি )

0
728

#বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প
#পর্ব-৩
#লেখনীতে-আসমিতা আক্তার ( পাখি )

হুর রান্নাঘরে থাকা চেয়ারে বসে গালে হাত দিয়ে লেডি সার্ভেন্টের কাজ দেখে যাচ্ছে।কোনো কাজ খুজে না পেয়ে এই কাজটি পেয়ে সে ভীষণ খুশি।পরিশ্রম বিহীন যদি এমন কাজ কেউ পায় তাহলে লুফে নিতে বিন্দুমাত্রও সময় নিবে না।হুর ও নেয় নি!রুদ্ধ সকালে নাস্তা করে যে বের হয়েছে তার আর কোনো খবর পাওয়া যায় নি।লেডি সার্ভেন্ট হুরকে ভাবুক হয়ে থাকতে দেখে ম্লান হেসে জিজ্ঞেস করে।

“ম্যাম আপনার কি কিছু লাগবে?

এতক্ষন লেডি সার্ভেন্ট এর হাতের দিকে নজর ছিল হুরের।তার কাজের স্প্রিড হুর পরিমাপ করছিলো।মেয়েটা কাজে খুব দক্ষতা অর্জন করে রেখেছে।চটাচট সব কাজ করছে।হুর টুকুর টুকুর চোখে লেডি সার্ভেন্ট এর দিকে তাকালো।সেভাবে তাকিয়েই বলে

” আপনার নাম কি আপু?

কাজ থেমে গেল লেডি সার্ভেন্ট এর।হুরের মুখের দিকে তাকিয়ে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।মেয়েটি অতিরিক্ত মাত্রায় সুন্দর।ভয়ংকর সুন্দর!এক কথায় আগুন সুন্দরী!দেখতে অনেকটা পুতুলের মতো।তবে রংটা আরেকটু চাপা হলে বোধহয় আরো অনেক সুন্দর লাগতো।এই যে মেয়েটা এখন টুকুর টুকুর চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে।দেখতে পুরোই পুতুল মনে হচ্ছে।কন্ঠস্বরটাও চিকন,এমনিতেও চিকন স্বর তার উপর আস্তে কথা বললে কাছে থাকা ব্যক্তি ছাড়া আর কেউর শোনার অনুর্কল নেই।লেডি সার্ভেন্ট নম্র ভাবে বললো।

“আমার নাম জেরিন।

হুর এবার মুখে দুঃখী ভাব এনে বলে।

” আচ্ছা আপু এই বাড়িতে কি আর মানুষ থাকে না?আমি তো এ পর্যন্ত কাউকে দেখতে পেলাম না।

জেরিন বললো।
“আমি এখানে এসেছি দু’বছর হয়েছে। দু’বছর ধরেই এখানে কাজ করি।কিন্তু আজ অব্দি স্যার ছাড়া আর কাউকে এ বাড়িতে দেখি না।যা আছে সব সার্ভেন্ট আর বডিগার্ড।স্যার কে আমি অনেক ভয় পাই তাই মুখ ফুটে কখনও জিজ্ঞেস করতে পারি নি।

” উনি এখন কোথায়?

জেরিন ছোট্ট করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো।
“জানি না। আজ সকালে এত সময় স্যার বাসায় ছিল তাতেই আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।পরে বুঝতে পারলাম আপনার জন্য তার আজ এত সময় অব্দি বাড়িতে থাকা।নাহলে স্যার খুব সকালে চলে যান অফিসে।মাঝে মাঝে রাতেও আসেন না।

হুর মুখে না বলে ভ্রু উঁচু করে চোখ খানিকটা বড় করে ” ও” বোঝালো।হুর মিনমিন স্বরে বলে।

“আপনি প্লিজ আমায় ম্যাম বলবেন না।বয়সে আমি আপনার খুব ছোট।তাই আমায় ম্যাম না ডেকে হুর বলেই ডাকবেন।আর আপনি করে নয় তুমি বলে সম্মোধন করবেন।

মোহগ্রস্ত হলো জেরিন।মেয়েটা কে দেখেই সে এক প্রকার তার সৌন্দর্যে হৃদয় ছুয়ে গেছে।আর এখন এই মেয়ের সাবলীল ভাষায় বলা কথা তাকে আরো মোহিত করলো।সমস্ত মুখে ছেয়ে গেল আশ্চর্য।জেরিন সেসবকে পাত্তা না দিয়ে বলল।

“ঠিক আছে আমি তোমার বলা কথাগুলো মেনে নিলাম। কিন্তু আমারও একটা শর্ত আছে।আমি রুদ্ধ স্যারের সামনে তোমাকে তুমি বলে এবং নাম ধরে ডাকতে পারবো না।উনার অগোচরে আমি তোমার সব কথা শুনবো।

জেরিন এর কথার বিনিময়ে হুর মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানালো।সকালের মতো এখনও হুরের জন্য ভাত রান্না করা হচ্ছে।এতে অনেক খুশি হুর।সে সকাল,বিকেল,রাত ভাত খেতে পছন্দ করে।সে ভাত খেতেই অভ্যস্ত।এমনও কিছু দিন গিয়েছে যে হুর দিনে তিন বার অতিক্রম করে চার বার ভাত খেয়েছে।মানুষ বলে ভাত খেলে নাকি সবাই মোটা হয়!কিন্তু হুরের সাথে এমনটা কখনও হয়নি।সে যতই ভাত খাক না কেন সে সর্বদা চিকনই ছিল এবং আছে।এতে অনেক সন্তুষ্ট হুর।জেরিন রান্না করার সাথে সাথে গল্প জুড়ে দিল হুরের সাথে।হুর নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া সব কিছু ভুলে জেরিনের সাথে স্মিত হেসে কথা বলতে লাগলো।সকাল হতেই অনলাইনে অর্ডার করা কিছু ড্রেস ডিলেভারি বয় দিয়ে যায়।থ্রী-পিছ,কুর্তি,গাউন,শার্ট,প্যান্ট,গেঞ্জি,প্লাজু,স্কার্ট,টপ’স সব কিছুই আনিয়েছে রুদ্ধ।তার মধ্য থেকে হুর একটা থ্রী পিছ পড়লো।হুর প্রথমে এত কাপড় দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল।তার ভাস্যমতে এত গুলো কাপড় তার পুরো বছর জুড়ের।হুর এত কিছু নিতে না চাইলে রুদ্ধের ধমকে নিতে বাধ্য হয়।মাথায় তার কাপড় দেয়া। জেরিন ফ্রিজ থেকে দই বের করে কিছুটা বাটিতে নিয়ে হুরকে দিল।হুর দই খাচ্ছে আর কথা বলছে।দুপুরের খাবার টেবিলে সাজানোর পর জেরিন তাকে ধরে ডাইনিং টেবিলে বসায়।হুরের এমদম ভালো লাগছে না এভাবে পঙ্গু হয়ে থাকতে। অন্য কেউর উপর নির্ভরশীল হওয়া হুরের এমদমই পছন্দ না।তবে এখন নির্ভরশীল না হয়েও উপায় নেই।জেরিন খাবার প্লেটে সার্ভ করে হুরকে খেতে বললে হুর জেরিনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।জেরিন জিজ্ঞেস করে।

“কি হয়েছে হুর খাচ্ছো না কেন?

হুর অসহায় কন্ঠে বললো।
” আমি কি একাই খাবার খাব আপু?

জেরিন আদূরে স্বরে বলল।

“স্যার তো বাড়িতে নেই তাই তোমাকে একাই খেতে হবে।আর মনে হয় না স্যার দুপুরে খেতে আসবেন।লাঞ্চ বাসায় করার হলে অনেক আগে চলে আসতেন।

মাথা নত করে নেয় হুর।একা খাবার খেতে খুব অসহ্য লাগে তার।আর এত বড় ডাইনিং টেবিলে একা বসে খেতে আরো আনইজি লাগছে।তবে মেডিসিন খেতে হবে দেখে একটু করে খাবার খেয়ে নিল।খাবার খাওয়া শেষ হলে জেরিন হুরকে মেডিসিন দিয়ে দিল।বিশ্রাম করার জন্য হুরকে তার রুমে দিয়ে আসলো জেরিন।পায়ে ব্যথা কিছুটা কমলেও পুরোপুরি কমেনি।যার দরুন হাঁটতে এখনো কষ্ট হয় হুরের।বিছানায় শুয়েই পুরো রুমে চোখ ঘুরিয়ে দেখতে লাগলো সে।হাটতে না পারার কারণে হেঁটে হেঁটে পুরো রুম এবং কি পুরো বাড়িটা এখন অব্দি দেখতে পারেনি হুর।রুমটা বেশ অনেক বড়।দামি দামি আসবাবপত্র ও রাখা আছে।মস্ত বড় এক খাট, খাটের দু’পাশে ছোট ছোট দুটো ড্রয়ার সিস্টেম টেবিল।দেয়ালের সাথে সেটে আছে আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, ওয়ারড্রব।আরো আছে সুন্দর একটি সোফা।আরাম মতো তিনজন বসতে পারবে।তবে টেনে টুনে চার জনেরও বসার যোগ্য রাখে এই সোফা।সব আসবাবপত্রের মধ্যে সোফাটা হুরের বেশ লাগলো।ইচ্ছে করছে দৌড়ে ছুটে গিয়ে সোফায় বসে যেতে। কিছুক্ষণ লাফালাফি করতে!কিন্তু তার এখন প্রতিবন্ধী অবস্থাতে লাফালাফি করা বারণ।তাই সোফায় লাফালাফি করার আশাটা আপাতত সে বন্ধ রাখল।সোফার কথা ভাবতে ভাবতে এক সময় ঘুমের দেশে তলিয়ে গেল হুর।ঘুম ভাঙলো সন্ধ্যা নাগাদ।আশেপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় হুর মনে করেছিল রাত হয়ে গেছে।বিছানা থেকে আড়মোড়া ভেঙ্গে ফ্লোরে পা রাখতেই পা ব্যথায় চিলিক দিয়ে উঠলো।কিছুক্ষণ পা ধরেই দাঁড়িয়ে রইলো হুর।ব্যথা কম মনে হতেই পা টেনে টেনে সুইচবোর্ডের কাছে গিয়ে বাতি জ্বালালো।সর্বপ্রথম চোখ রাখলো ঘড়িতে।বাজে মাত্র ৬ঃ১০।আস্তে আস্তে দিন ছোট হওয়ার কারণে সময়ের সমীকরণ মিলাতে পারেনি হুর।ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়াতেই পেছন থেকে শব্দ আসলো জেরিনের ।

“আরে হুর উঠে গেছ তুমি?ডাকলে না কেন আমাকে?চলো ওয়াশরুমে নিয়ে যেতে হেল্প করছি আমি।

না, বলতে গিয়েও বলল না হুর।জেরিন হুরকে ওয়াশরুমে রেখে কিছুক্ষণ ওয়াশরুমের বাহিরে অপেক্ষা করলো।হুরের ওয়াশরুমের কাজ শেষ হলে জেরিন তাকে ধরে আবারও বিছানায় বসালো।জেরিন বলল।

“তুমি বস আমি তোমার জন্য হালকা কিছু নাস্তা নিয়ে আসছি।

হুর মাথা ঝাঁকালো।জেরিন যেতেই সমস্ত শরীরে বিরক্তি ছেড়ে গেল হুরের। এভাবে বসে থাকতে তার একটুও ভালো লাগছেনা।যে মেয়ে সারাটা দিন পটর পটর করে দৌড়ঝাপের মধ্যে থাকে সে যদি এমন প্রতিবন্ধীর মতো বিছানায় বসে থাকে তাহলে কি ভালো লাগবে?একদমই না!হুরেরও ভালো লাগছে না।হঠাৎ করেই হুরের মা-বাবার কথা ভীষণ মনে পড়ল।মা-বাবা পৃথিবীতে বেঁচে নেই ভাবতেই নিজেকে নিঃস্ব মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে এই পৃথিবীতে আপন বলতে তার কেউ নেই।চোখ বন্ধ করে একবার মা বাবার চেহারা দেখতে চাইলো। হলো ও তা! চোখ বন্ধ করার সাথে সাথে মা বাবার প্রতিচ্ছবি ভেসে আসলো।নেত্রনালীর কোনা বেয়ে গড়িয়ে পড়ল দুই ফোটা জল।খুবই নিশংসভাবে তার বাবা মাকে মেরে ফেলা হয়েছে।মেরে ফেলা হয়েছে!বাক্যটি যখনই মনে মনে সে আওড়ায় তখনই অজানা এক চাপা ব্যথা অনুভব করে সে।আজ তার কারণেই তার মা-বাবা জীবিত নেই।আফজলের চোখ তার উপরে পড়েছে বিদায় ই সে তার বাবা মাকে হারিয়েছে।হারিয়েছে তার আপন দুটি মানুষকে। যে মানুষ দুটোকে ছাড়া সে নিজের জীবন কল্পনা করতে পারে না।তার বাবা মায়ের লাশের সাথে কি হয়েছে তাও জানে না হুর ।মুহূর্তের মাঝে পুরো মুখ লাল হয়ে এলো হুরের।সমস্যাটা হুরের প্রথম থেকেই।অতিরিক্ত ফর্সা এবং নাজুক হওয়ার কারণে কান্না এবং রাগ করলে পুরো মুখ লাল হয়ে যায়।বিশেষ করে তার চোখ এবং নাক।হুর মনে মনে অনেক কৃতজ্ঞ পোষণ করে রেখেছে যে তাকে রক্ষা করে এখানে নিয়ে এসেছে।এ বাড়িতে রেখে তাকে নতুন এক জীবন দান করেছে।হুর দুহাত দিয়ে নেত্রকোনার জল মুছে হা করে লম্বা এক শ্বাস ছাড়লো।এখন একা বসে থাকলে হয়তো আবারো কেঁদে কেটে বুক ভাসাবে। তাই প্রস্তুতি নিলো বাহিরে যাওয়ার জন্য। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটছে হুর।একটু একটু করে পা এর ব্যাথাটা কমছে। তবে হাঁটার সময়ে রগে টান লাগায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হচ্ছে। মনোযোগ ফ্লোরের দিকে রেখে দেয়ালের ওপরে হাত রেখে হাতরে হাতরে রুম থেকে বের হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।তার পা থেমে যায় মাথায় শক্ত কিছু একটার সাথে বারি খেয়ে।হুর মনে মনে ভাবলো সে একটা পিলারের সাথে বারি খেয়েছে।পরক্ষণেই আবার মস্তিষ্কে আসলো সে তো এখান থেকে প্রায়ই যাতায়াত করেছে তখন তো কোন পিলার দেখতে পাইনি। তাহলে সে কিসের সাথে ব্যথা পেয়েছে?এসব ভাবতে ভাবতে মাথা উঁচু করে সামনে তাকালো।সামনে তাকাতেই অন্তর আত্মা কেঁপে উঠল।রুদ্ধ চোখ মুখ লাল করে ক্রোধিত নয়নে হুরের দিকেই তাকিয়ে আছে।হুর ভয় পেয়ে হাত কচলাতে কচলাতে বলল ।

“সসসর‍্যি আআমি দেখিনি।

রুদ্ধ দাতের সাথে দাঁত চেপে বলল।
— পরেরবার চোখ নিচু করে হাঁটতে দেখলে তোমার চোখ আমি উপড়ে ফেলবো।চোখের সাথে সাথে পা কাটতেও ভুলবো না।না থাকবে পা, না বের হবে রুম থেকে আর না অন্ধের মত হাটতে গিয়ে আমার সাথে ধাক্কা লাগবে।

বলেই হুরকে কোন কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সে চলে গেল।হুর ভয় পাওয়ার সাথে সাথে কিছুটা অবাক হল রুদ্ধের বলা কথা শুনে।সামান্য একটা ধাক্কা লাগার কারণে যে পা কেটে ফেলার এবং চোখ উপরে ফেলার হুমকি দিবে তা জানলে হুর কখনো এই ব্যক্তির সাথে ধাক্কা খেত না। আর হুর কি জানতো নাকি যে এই সময়ে রুদ্ধ এখানে দাঁড়িয়ে থাকবে?যদি জানত তাহলে কখনই সে ধাক্কা খেত না।এসব ভাবতে ভাবতে নিচে নেমে গেল সে।ডিনারের জন্য টেবিলে মুখোমুখি হয়ে বসে আছে রুদ্ধ আর হুর।জেরিন টেবিলে খাবার রেখে আবারও রান্নাঘরে চলে যায় বাকি কাজ কমপ্লিট করতে।মাথা নিচু করে অস্বস্তি নিয়ে খাবার খাচ্ছে হুর।তার কেন যেন মনে হচ্ছে সামনে থাকা ব্যক্তিটি তার দিকেই তাকিয়ে আছে।তবে ভুল করেও হুর সামনে তাকাচ্ছে না।একটু একটু করে খাচ্ছে।হুরের জন্য ভাত,মুরগী, পটল ভাজি,ডাল রান্না করা হয়েছে।শুধুমাত্র হুরের জন্যই এইসব আইটেম রান্না করতে হয় জেরিনের।তবে রুদ্ধের খাবার দাবার টোটালি ভিন্ন। সে এসব বাঙালি খাবার খায় না।রুদ্ধের জন্য রান্না হয়েছে বাফাল চিকেন উইংস,স্পাইসি চিকেন,আর লুচি।রুদ্ধের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।চামচের টুংটাং শব্দ করে খাচ্ছে রুদ্ধ।টুংটাং শব্দে হুরের মনোযোগ নিজের খাবার থেকে সরে যাচ্ছে।চোখ তুলে একবার রুদ্ধের দিকে তাকাতে ইচ্ছে করছে।সে কিভাবে খাবার খায় তা দেখতে ইচ্ছে করছে।তবে ইচ্ছেকে দমিয়ে নিজের খাবারে মনোযোগ দিল হুর।পানি পান করার সময় আড়চোখে একবার রুদ্ধের দিকে তাকালো।সে ভ্রু কুচকে প্লেটের দিকে তাকিয়ে না’ইফ আর কাটা চামচ দিয়ে চিকেন কাটছে।খাবার খাওয়ার সময় ভ্রু কুচকে থাকার কারণ বুঝতে পারল না সে।খাবার খাওয়ার সময়ও বুঝি মুখ শক্ত করে রেখে খেতে হয়?মনে মনে একটা ভেংচি কাটল হুর।এভাবে চোখ মুখ কুঁচকে রেখে কি মজা পায় তাই বুঝতে পারে না সে।মনে মনে আরো অনেক কিছু ভাবতে ভাবতে হুর নিজের খাওয়া শেষ করলো।

( পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here