#বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প
#পর্ব-৩৭
#লেখনীতে-আসমিতা আক্তার ( পাখি )
প্রখর ঠান্ডায় ঘাড়ে উষ্ণ নিঃশ্বাস পরার পরও পুরো শরীর বরফের ন্যায় জমে যাচ্ছে। হৃদয় ঢিপ ঢিপ করে জানান দিচ্ছে,হৃদয় লাফিয়ে বের হতে চাচ্ছে।নিঃশ্বাসের গতি বেড়ে গেছে। তবে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। মাঝে মাঝে নিঃশ্বাস আটকে যাচ্ছে। এ কেমন খেলা চলছে নিশ্বাসের? নিঃশ্বাসের এমন খেলার তলে তো হুর নিশ্বাস আটকে মরে যাবে।শুকিয়ে গেল হুরের গলা।নিঃশ্বাসের গতি স্বাভাবিক করার জন্য কয়েক কদম সামনে এগিয়ে আসলো। তা ছিল কেবল ক্ষণিকের জন্য। রুদ্ধ আবারও হুরের ঘাড়ে নিজের উষ্ণ নিঃশ্বাস ছাড়তে লাগল।ডান হাত তার স্থির নেই। হুরের হাতে আলতো হাতের ছোঁয়া দিচ্ছে।উৎকন্ঠিত হয়ে আসলো হুরের গলা,
“ছাড়ুন!
রুদ্ধ আরেকটু কাছে টেনে নিলো হুরতে। ঘাড়ে পুরো মুখ ডুবিয়ে দিল। শির শির করে কেঁপে উঠল হুরের মেরুদন্ড। বারবার শিহরণে শিহরিত হচ্ছে। মাদক মিশ্রিত কন্ঠে রুদ্ধ বলল,
“যতই দূরে সরতে বলবে ততই কাছে আসবো।আজ আর কোন দূরত্ব সইতে পারবো না আমি। তোমায় আগেই বলেছিলাম নিজেকে প্রস্তুত রাখো।এখন আমায় বিরক্ত করো না। সহ্য করে নাও আমায়। না, হলে জোর করতে বাধ্য হব।
————————————
গলায় মনে হচ্ছে কাঁটা দিয়ে কেউ ঘষা দিচ্ছে। চোখে ঘুমের তীব্রতা অনেক থাকায় চোখ মেলে তাকালো না। গভীর ঘুমে আবার ডুবে রইলো। তৎক্ষণাৎ আবার গলায় কাটার ছোঁয়া পেল।অনিচ্ছা সত্ত্বে আঁখিযুগল খুলতে হলো।অনুভূত হল তার শরীরের উপর ভারী কোন জিনিস রাখা। এবং কি সে সেই জিনিসটিকে আঁকড়ে ধরে আছে।স্তম্ভিত হয়ে কিছুক্ষণ ভাবনায় বিভোর হয়ে গেল। মনে পড়ে গেল গতকালের রাতের ঘটনা।চোখ নিচে নামিয়ে নিজের দিকে তাকাতেই সর্বপ্রথম রুদ্ধকে চোখে পড়ল। তার উপর শরীরের ভার ছেড়ে শুয়ে আছে। গলায় তার মুখ ডোবানো। পিঠের নিচে দুই হাত দিয়ে গভীর আলিঙ্গনে মিলিত হয়ে আছে।ঠান্ডা এবং অনুভূতির তোরে শির শির করে কেঁপে উঠলো ভেতর। চোখ মুখ খিচে লম্বা এক নিঃশ্বাস ছাড়লো। পুনরায় নিশ্বাস নিল ও।নিশ্বাস নেয়ার সময় টের পেল নাকে খুবই সুন্দর একটি ঘ্রান আসছে। ফুলের ঘ্রাণ। গোলাপ ফুলের ঘ্রাণ।
উদাম পিঠে হাতের স্পর্শ প্রগাঢ় ভাবে ছুঁয়ে আছে হুরের হাত। কিছু সময়ের ব্যবধানে গরম হাত ঠান্ডা হয়ে এলো। পরমহুর্তে মনে হলো রুদ্ধ তো খালি গায়ে। তাহলে তার কি অবস্থা হবে!চকিত নয়নে নিজের দিকে দৃষ্টি রাখল। স্বস্তি পেয়ে চোখ বন্ধ করে নিল। আবার অনুভূত হলো গলায় কাঁটা বিধছে।ভ্রুদ্বয়ের কাঝে কিঞ্চিৎ চামড়া কুঁচকে এলো।ভাজ পড়লো কয়েকটা। কুঁচকানো ভ্রুদ্বয় নিয়ে গলায় চোখ রাখল।গলায় রুদ্ধর মুখ ডুবিয়ে থাকতে দেখা গেল। বিরক্তি ছেড়ে গেল মুখ পানে। বুঝে উঠতে সক্ষম হলো যে রুদ্ধর কারনেই তার আরামের ঘুম অপব্যয়িত হল ।
উন্মুক্ত কাঁধে দুই হাত রেখে রুদ্ধকে নিজের উপর থেকে রুদ্ধকে সরানোর প্রচেষ্টা করল হুর। তবে তা কেবল প্রচেষ্টার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রইল। শরীরে তেমন শক্তি নেই যে, রুদ্ধর সাথে ঠেলাঠেলি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।তবে চোখ মুখের আকৃতি পরিবর্তন করে বিরক্ত গলায় রুদ্ধকে ডাকলো।
“এই উঠুন!উফ্ উঠুন তো!আপনার এই ভারি ওজন আমি সইতে পারছি না। চ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছি তো।
মুখের আকৃতি বদল হলো রুদ্ধর ও।প্রশান্তিময় মুখভঙ্গি নিয়ে এতক্ষণ যাবত সে ঘুমিয়ে ছিল। তবে হুরের ডাক কর্ণপাতে বারি খেয়েই মুখশ্রীতে চলে আসলো বিরক্তির ছায়া। চোখ মুখ কুঁচকে আরো গভীরভাবে মুখ ডুবে রইলো হুরের গলায়। আলিঙ্গনও গাঢ় হলো। জড়ানো গলায় বললো,
” হুরপাখি…বিরক্ত করো না। বহু পরিশ্রমের পর শান্তিতে একটু ঘুমাতে পেরেছি। এখন আমার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটালে আমার পরিশ্রমের দায়ভার তোমায় নিতে হবে।
বড় বড় হয়ে আসলো হুরের চোখ। বলে কি এই ছেলে!পরিশ্রম! সে পরিশ্রম করেছে?”জুতা মেরে গরু দান”হুহ্।রুদ্ধর এহেন কথা শুনে মনে মনে শ’খানেক গা/লি দিলো হুর।রুদ্ধ একটু নড়েচড়ে ভালোভাবে শুইতে নিলে হুরের পেটে প্রচুর ব্যথা অনুভব করে। মুখ থেকে “আহ্” করে আর্তনাদ বের হয়ে আসে।কান খাড়া করে হুরের আর্তনাদ শুনে রুদ্ধ। প্রথমে না বুঝতে পারলেও পরে ঠিক বুঝতে পারল হুরের আর্তনাদ করার কারণ।হুরের উপর থেকে সরে তার পাশে শুয়ে পড়ল।হুরের ব্যথিত মুখ দেখে বলল,
“ব্যথা হচ্ছে?
নির্বিশেষে আদল বদলে যায় হুরের। ঠোঁটের কোণে মিথ্যা হাসি ঝুলিয়ে বলে,
“ব্যথা!কিসের ব্যথা? ব্যথা কেন হবে?আমার একদমই ব্যথা হচ্ছে না৷ বরং পুলকিত হচ্ছে আমার হৃদয়।
নির্বিকার হয়ে হুরের দিকে তাকালো রুদ্ধ।এমন পরিস্থিতিতে নির্বিকার চাহনি গ্রহণযোগ্য মনে করলো না আর রুদ্ধ। আকস্মিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করলো। ঠোঁটের কোনে লেগে আছে অমায়িক হাসি। হাসি বজায় রেখে বলল,
“দ্যাট মিন্স,গতকাল রাতের আমার পরিশ্রমে তুমি খুশি হয়েছো! গ্রেট! আমি ভাবলাম কি না কি মনে করবে। যাই হোক ভবিষ্যতে আমি বারবার তোমায় পুলকিত করব।
বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে হুর। কিন্তু সে-সব দেখে কে!রুদ্ধ চেয়েও দেখল না। পাত্তাই দিল না। এতে আরো রাগ বেড়ে গেল হুরের।মশকরা করা হচ্ছে তার সাথে!তার সাথে মশকরা করার প্রতিশোধ সে হাড়ে হাড়ে নিবে।অপর পাশে ঘুরে চুপ হয়ে শুয়ে রইল হুর।রুদ্ধ আস্তে আস্তে হুরের নিকটে এসে পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরলো।প্রতিক্রিয়া দেখালো না হুর।চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করল৷চোখ যখন প্রায় লেগে আসবে তখন রুদ্ধ গা থেকে কম্বল সরিয়ে দেয়। গায়ে শীত অনুভূত হলে হুর চোখ মেলে চায়।রুদ্ধের হাতে কম্বল দেখে বিরক্ত আর রাগের মাত্রা পাহাড়সম হয়।শক্ত কন্ঠে শুধায়,
” সমস্যা কি আপনার?একটু আগে না ঘুমানোর জন্য আমায় বকছিলেন?তা এখন না ঘুমিয়ে আমার ঘুম নষ্ট করছেন কেন?
“পরে ঘুমাবে।এখন উঠো,নাস্তা করে ঔষধ খাবে। তারপর ঘুমাবে।দ্যেন দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুরতে বের হব।
রুদ্ধর অর্ধেক কথা পছন্দ হল হুরের।এখন বিছানা থেকে উঠার কথা টা মোটেও ভালো লাগল না। এখন উঠতে মন চাইছে না। হুর অলস ভঙ্গিতে বলল,
” আমি এখন উঠব না।
হুরের হাত ধরে টেনে উঠে বসালো রুদ্ধ।হ্যাচকা টান সামলাতে না পেরে পড়ে যেতে নিয়েও নিজেকে সামলে নেয় হুর।বিছানার অবস্থা তেমন একটা সুবিধার না। বিছানা চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ফুলের পাপড়ি ।দেখে মনে হচ্ছে পাপড়ি গুলোকে ইচ্ছে করে পিষে দেয়া হয়েছে।
রুদ্ধর দিকে তাকাতেই তার চোখ চড়কগাছ।মুখ হা করে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকার পর বিস্ময় নিয়ে বলে,
“এ কি পড়েছেন আপনি?
নিজের দিকে তাকালো রুদ্ধ৷বিস্ময় হওয়ার মত কিছুই পেল না। স্বাভাবিক ভাবে বলল,
” কেন, প্যান্ট।
হুরের শক্ত কন্ঠ,
“এটা প্যান্ট না,এটা হাফ প্যান্ট।
” ওই হল একটা!
চটে গেল হুর,তেজ নিয়ে বলল,
“জ্বি না!এক হল না।শরম-লজ্জা কি বাজারে বিক্রি করে আসছেন নাকি?নূন্যতম লজ্জা থাকা উচিত,একটা মেয়ের সামনে মানুষ কিভাবে হাফ প্যান্ট পড়ে থাকতে পারে!
ঠোঁট প্রসারিত করল রুদ্ধ।বলল,
“নিজের দিকে তাকাও।
ভ্রু কুঁচকে নিজের দিকে তাকাতেই হতভম্ব হয়ে গেল হুর। তার পরনে রুদ্ধের একটি টি-শার্ট।উন্মুক্ত দু/ধ সাদা পা মাখনের মতো লাগছে।দ্রুত রুদ্ধের হাত থেকে কম্বল ছিনিয়ে পা ঢাকল।মুখ কাচুমাচু করে রুদ্ধের দিকে তাকাতেই রুদ্ধ ভ্রু নাচিয়ে বলল,
“কি আর কিছু বলবে না?
হুরকে কিছু বলতে না দেখে রুদ্ধ আবার বলে,
“আমাকে এই হাফ প্যান্ট ব্যতীতও তুমি দেখেছ।এবং কি আমিও তোমাকে।আর এখন থেকে প্রতিদিন আমায় হাফ প্যান্টেই দেখতে হবে।
ফ্যালফ্যাল করে রুদ্ধের দিকে তাকালো হুর। পেটে কথা তার কিলবিল করছে। কিন্তু বলতে পারছে না। কারণ রুদ্ধ যদি রেগে তাকে দু-চারটা চ/ড় লাগিয়ে দেয়! আর সে তো রুদ্ধের মত লু/চু মার্কা কথা বলতে পারবে না।রুদ্ধ বলে,
” ঢং বাদ দিয়ে ফ্রেশ হতে চল!
ঠোঁট ফুলিয়ে অন্য দিকে তাকালো হুর। রুদ্ধ উঠে হুরকে কোলে তুলে নেয়।৷ হাত পা ছোড়াছুড়ি করে হুর। চিল্লিয়ে বলে,
“ছাড়ুন আমায়,আমি এখন ফ্রেশ হব না।
” এখনই হতে হবে!
ধরা যায় দুজনই এখন অর্ধ উলঙ্গ।হুর নিজের উপরের অংশ ঢাকা আছে তো রুদ্ধর নিচের অংশ।হুর টেনেটুনে গায়ে থাকা রুদ্ধের টি-শার্ট দিয়ে নিজের নগ্ন পা ঢাকার চেষ্টায় লেগে আছে। তবে সফল হওয়ার চেষ্টায় বরাবর ব্যর্থ হচ্ছে। স্বামীর প্রতি অভিমান হচ্ছে তার। এ কেমন স্বামী রে বাবা!যে স্ত্রীর কথার কোনো গুরুত্ব দেয় না।সুবিধা-অসুবিধার দিক বিবেচনা করে না। ভাবে তো ভাবে শুধু নিজের টা।স্বার্থপর পুরুষ!হুরকে টি-শার্ট টানাটানি করতে দেখে রুদ্ধ বলে,
“এত টানাটানি করে লাভ আছে?ভাব এমন যে আমি তোমার গোপনীয় অঙ্গ দেখে নিব।তোমায় স্বান্তনা দেয়ার জন্য বলি,তুমি যা ঢাকতে চাচ্ছো তা গতকাল আমি দেখে নিয়েছি । শুধু দেখিনি আরো…..ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড হোয়াট আই মিন!
হুর খামচে ধরে রুদ্ধের ফোলা বু/ক।বু/কের দিকে তাকায় রুদ্ধ। হুরের নখ আগের থেকে বড় হয়েছে।যা প্রতিবারের খামচি তে সে টের পেয়েছে। কম তো খামচি খাচ্ছে না গতকাল থেকে। প্রতিবারের খামচিতে বোধহয় দাগ হয়ে গেছে। এখন যেমন টা হল।লাল হয়ে যাওয়া দাগ দেখে রুদ্ধ শুধায়,
“বেয়াদব মেয়ে এত খামচাচ্ছো কেন?পুরো শরীর খামচিয়ে দাগ করে ফেলেছো।রাক্ষসের মত বড় নখ না রাখলে হত না?
রুদ্ধর সম্মুখে ভেঙচি কাটল হুর। ব্যঙ্গ করে বলল,
“নিজের বেলায় ষোলো আনা আর আমার বেলায় এক আনা ও না।আমি খামচি দিয়েছি তা তো ঠিকই বললেন। কিন্তু আপনি যে আমায় কামড় দিয়ে দিয়ে দাগ+ব্যথা দিয়েছেন। তার বেলায় কি?
ওয়াশরুমে ঢুকে হুরকে নামিয়ে দিল। গিজার অন করল। হুরের কাছে এসে চুলের খোপা খুলে দিল। চুলের ভেতর হাত ডুবিয়ে চুল নাড়াতে নাড়াতে বলল,
“ওটা তোমার প্রাপ্য ছিল।
মনে মনে ভয়ানক এক গালি দিল হুর,প্রতিবাদ করে বলল,
” তাহলে এটাও আমার প্রাপ্য।
নগ্ন পায়ে ঠান্ডা লাগছে প্রচুর। কুঁকড়ে পা জোড়া একটার সাথে আরেকটা ঠেকিয়ে রেখেছে।বেকিয়ে গেছে শরীর।রুদ্ধকে স্ট্রং দেখা যাচ্ছে। শীত তাকে কাবু করতে পারছে না এমন ভাব।রুদ্ধ হুরের গলার কাছ থেকে টি-শার্ট নামিয়ে কামড়ের দাগ দেখতে লাগল।খয়েরী রং ধারণ করেছে। জায়গাটা একটু ফুলেও আছে।আশেপাশে আরো আছে।হুর টেনে ধরছে কাপড়। রুদ্ধ জোর করে দেখছে। ক্ষত স্থানে অধর ছুয়ে দিল গভীর ভাবে। চোখ মৌজে আসল হুরের।রুদ্ধর পিঠে হাত রাখল। নড়ে উঠল শরীর। ব্যাথায় পেট ছিড়ে যাচ্ছে যেন।আবার আর্তনাদ করল। তড়িৎ গতিতে সরে আসল রুদ্ধ।বলল,
“আসো ফ্রেশ হয়ে নেই। পেইন কিলার খেলে ব্যথা আর থাকবে না।
কণ্ঠনালীর স্বর কমিয়ে হুর বলে,
” হুম।
“আসো!
চমকে উঠে হুর,বলে
” আসো মানে?
ভ্রুক্ষেপহীন ভাবে রুদ্ধ বলে,
“আসো মানে, আসো গোসল করবে।
” তা তো বুঝলাম, কিন্তু আপনার কথা দ্বারা বোঝা যাচ্ছে আপনি আমায় গোসল করিয়ে দিবেন।
“হ্যাঁ, আমিই তো গোসল করিয়ে দিব। তাই তো আসতে বললাম।
হুর আঁতকে বলে,
” একদমই না!আমার কি হাত পা নাই?আমি নিজের কাজ নিজেই করতে পারি।আপনি বের হন এখন৷
রুদ্ধ কঠিন গলায় বলে,
“পারবেনা।কষ্ট হবে করতে।এখন আর একটাও কথা বলবে না।না, হলে তুলে এক আছাড় মারবো বাথটবে।
রুদ্ধের হুমকি শুনে হুর মনে মনে আওড়ায়,
“ব্যাটা খবিশ কোথাকার!ভাগ্য গুনে এমনই একটা স্বামী লেখা ছিল আমার কপালে।
” চলিত”…..