বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প #পর্ব-৩০ #লেখনীতে-আসমিতা আক্তার ( পাখি )

0
851

#বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প
#পর্ব-৩০
#লেখনীতে-আসমিতা আক্তার ( পাখি )

সময়টা এখন রাতের। ঘন্টার কাঁটা দশটা পেরিয়ে এগারোটায় গিয়ে থামল। ঠান্ডার প্রকট একটু একটু করে বাড়ছে।দিনে একটু গরম পড়লেও রাতে তেমন বোঝা যায় না।যার দরুন এসির পাওয়ার এখন কমিয়ে রাখতে হয়।সবেমাত্র বাহির থেকে রুমে আসলো রুদ্ধ। বিছানায় অগোছালো ভাবে হুরকে শুয়ে থাকতে দেখে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে হুরকে দেখল। পর্যবেক্ষণ করলো। বিছানার অর্ধেক অংশ চুল দিয়ে ঢেকে গেছে। এক হাত পেটে অন্য হাত বিছানার ওপর রাখা। একপা সোজা তো আরেক পা বাঁকা। হাসি পেল রুদ্ধের। হাসি নিয়ন্ত্রণে রেখে আরো একটু পর্যবেক্ষণ করলো হুরকে। গায়ে তার ভালোভাবে ওড়না পেঁচানো।পরনের প্লাজো ব্যতীত সবকিছুই ঠিক আছে।প্লাজো হাটুর একটু নিচ অবদি উঠে গেছে।রুদ্ধ পকেট থেকে ওয়ালেট,চাবি বের করে টেবিলের উপর রাখল।হুরের দিকে তাকিয়ে থেকেই শার্টের হাতার বোতাম খুলছে।হাতার বোতাম খোলার পর,বুকের কাছের সব বোতাম খুলল।লম্বা চুল গুলো সামনে চলে আসায় হাতের আঙুল দিয়ে পিছে ঠেলে দেয়৷গা থেকে শার্ট খুলে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে গায়ে ঠান্ডা বাতাস লাগাল।আলমারি থেকে নিজের কাপড় বের করে চলে গেল ওয়াশরুমে।ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে বিছানায় বসে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছল। তোয়ালে এক সাইডে রেখে হুরের বাহু ধরে নিজের দিকে টেনে আনলো। বুকে হুরের মাথা ঠেকালো।দুহাত দিয়ে পিঠ এবং কোমর জড়িয়ে রাখল ।কিছুক্ষণ এভাবে থেকে এক হাত হুরের পিঠ থেকে সরিয়ে চুলগুলো ঠিক করল। চুলে হাত ছোঁয়াতেই বুঝলো চুল এখনো কিছুটা ভিজে আছে। হাত দিয়ে আছড়ে দিতে লাগলো হুরের সিলকি চুলগুলো। আকস্মিক হুরের পেটে ঠান্ডা হাতের ছোঁয়া লাগতেই হুর ধরফরিয়ে উঠে বসলো।সামনের রুদ্ধকে দেখতে পেয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচল।

চোখে ঘুম নিয়ে আবারও বিছানায় শুইতে চাইলো। হতে দিল না রুদ্ধ। টেনে আবারও হুরকে নিজের বুকে আনল। ভ্রু কুঁচকে রুদ্ধের দিকে তাকালো হুর। জিজ্ঞেস করল,

“কি হয়েছে এমন করছেন কেন? আমাকে ঘুমাতে দিন। আর আপনি এই রাতে হুডি পড়ে আছেন কেন?

কোমল স্বরে রুদ্ধ বলে,
“বাহিরে যাব তাই।

কুঁচকানো ভ্রু টান টান হলো।তীক্ষ্ণ চোখে আবার প্রশ্ন করল,
“বাহিরে যাবেন মানে?আপনি না বাহির থেকেই হয়ে এসেছেন। তাহলে আবার কেন বাহিরে যাবেন?

“আমার সাথে তুমিও যাবে।

অবাক হয়ে যায় হুর। এত রাতে রুদ্ধ বাহিরে যাবে এবং তাকেও নিয়ে যাবে!দেয়াল ঘড়িতে সময়টা দেখে নিল হুর। সাড়ে ১১ টা বাজে। কিছুক্ষণ পরেই বারোটা বাজবে। এই শীতের সময় এত রাতে কোথায় যেতে চাচ্ছে লোকটা ভীষণ জানতে ইচ্ছে করছে হুরের।

“কিন্তু এত রাতে কোথায় যাব আমরা?

নিজের বুক থেকে হুর কে টেনে বিছানা থেকে নামিয়ে আলমারির কাছে চলে গেল। আলমারির ভেতর থেকে একটি শপিং ব্যাগ বের করে হুরের হাতে থামিয়ে দিল। বলল,

“বাইক রাইডে যাব। এখন চেঞ্জ করে আসো!

নিষ্পলক দৃষ্টিতে রুদ্ধের দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। তারপর এক পলক ব্যাগটির দিকে তাকিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল।রুদ্ধ আলমারি থেকে আরেকটি ব্যাগ বের করে বিছানার উপর রাখল।ব্যাগটির ভিতরে থাকা জিনিসপত্র বের করে সব দেখতে লাগল, ঠিক আছে কিনা!ততক্ষণে হুর ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসলো। পিছন ঘুরে, হুরের দিকে তাকালো রুদ্ধ। তাকিয়েই রইলো। একদম হুবহু তার মতই লাগছে। তার মতোই কালো প্যান্ট এবং কালো রঙের হুডি পড়েছে।হুর অসস্তি নিয়ে রুদ্ধের কাছে আসলো। সে জিন্সের সাথে টপ’স লং ফতুয়া শার্ট এগুলা পড়লেও কখনো হুডি পড়েনি।তাই একটু আনইজি লাগছে। হুর যখন রুদ্ধর দিকে তাকালো তখন আশ্চর্য হয়ে বলল।

“আপনার আর আমার হুডি একদম সেম।

রুদ্ধ বলে,
“হুম,তোমার আর আমার সবকিছু একই রকম নিয়েছি।

“সবকিছু একই রকম নিয়েছেন মানে?

চোখের ইশারায় বিছানায় তাকাতে বলে রুদ্ধ। হুর তাকিয়ে আরো অবাক হয়। রুদ্ধের মত সু এবং ঘড়ি রাখা।হুরা সেগুলো আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে বলে,

” এগুলো আমার?

রুদ্ধ কিছু না বলে হুরের হাত টেনে ধরে বিছানায় বসিয়ে দেয়। বিছানা থেকে ঘড়িটা নিয়ে হুরের হাতে পড়ায়। জুতো নিয়ে ফ্লোরে বসে পড়ে। হুরের পা টেনে নিজের উড়ুর ওপর রাখে।সযত্নে পায়ে মোজা পরিয়ে দেয়। তারপর জুতা। হুর অবাক এর উপর অবাক হয়। হুরের জুতা পরানো শেষ হলে রুদ্ধ বাসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। হুর কে বিছানা থেকে উঠে দাঁড় করায়। হুরের হুডির টুপি মাথায় ভালোভাবে পরিয়ে দেয়। নিজেও পড়ে। হুরের হুডির চেইন গড়া অব্দি ভালোভাবে উঠিয়ে তার হাত ধরে।টেনে নিয়ে যেতে লাগে বাহিরে।হুর শুধু নিজের হাতের ওপর থাকা রুদ্ধের হাতের দিকে তাকিয়ে রইল।

বাড়ির বাহিরের বাগানে একটি বাইক দাঁড় করানো।রুদ্ধ বাইকে বসে পিছনে হুরকে বসতে বলে। হুর কখনো বাইকে উঠেনি। তাই এখন বসতে একটু অসুবিধা হচ্ছিল। রুদ্ধ বুঝতে পেরে ঠিকঠাক ভাবে হুরকে তার পিছনে বসায়। তাকে জাপটে ধরে বসতে বললে হুর ও নির্দ্বিধায় তাকে ধরে বসে।তবে দুহাত রুদ্ধের কাধ স্পর্শ করে ।স্প্রিড কম রেখে রুদ্ধ গাড়ি চালাতে থাকে। মেইন রোড দিয়ে এখন বাইক চলছে। রাস্তার মোড় ঘুরিয়ে নিস্তব্ধ এক রাস্তা দিয়ে বাইক চালিয়ে যাচ্ছে রুদ্ধ। হুর আশেপাশে তাকিয়ে দেখে কিছুটা গ্রাম্য পরিবেশ। গাছপালা দিয়ে ভরা।শীতল, ঠান্ডা বাতাস। শরীরের খোলা অংশে বাতাস ছুঁইতেই ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আচানক রুদ্ধ বলে ওঠে,

“আমাকে জড়িয়ে ধরো হুর পাখি…

রুদ্ধের কাছে একটু চেপে আসে হুর। তার কাঁধ থেকে হাত সরিয়ে বুকে রাখে। এতে মন ভরে না রুদ্ধের। বলে,

“আমায় গভীর ভাবে আলিঙ্গন কর!

নিজেকে ধাতস্থ করতে সময় লাগলো হুরের।সংকোচ নিয়ে রুদ্ধকে গভীরভাবে আলিঙ্গন করলো। মুচকি হাসলো রুদ্ধ। বাম হাত বাইকের হ্যান্ডেল থেকে সরিয়ে হুরের হাতের উপর রাখে। ধরা যায় হুর রুদ্ধকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে আছে।হুরের হাতের উপর বেশিক্ষণ হাত রাখল না রুদ্ধ। হাত সরিয়ে আগের জায়গায় রাখল। পরিবেশটা খুবই ভালো লাগছে হুরের কাছে। এমন একটি নিস্তব্ধ পরিবেশ উপভোগ করতে চেয়েছিল।ঠান্ডা বাতাস ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে। চোখ বুজে আসছে।আনমনে হুর নিজের মাথা রুদ্ধের কাঁধে রাখল। আবেশে চোখ বন্ধ করলো।

রুদ্ধ শহর ছেড়ে গ্রাম্য এলাকায় প্রবেশ করতেই টুপি নামিয়ে রেখেছিল। এবং হুডির চেইন ও কিছুটা খুলে দিয়েছে।হুর রুদ্ধের কাঁধে মাথা রাখতেই রুদ্ধের শরীর থেকে একটি মিষ্টি ঘ্রাণ নাকে বাড়ি খেলো।ঘ্রানটা খুবই ভালো লাগলো হুরের কাছে। তাই চোখ বন্ধ করে কখন রুদ্ধের উন্মুক্ত গলায় নিজে নাক ঠোঁট ছোঁয়াল বুঝতেই পারল না।অকস্মাৎ হুরের স্পর্শ কাঁধে পেয়ে রুদ্ধ থমকে গেল। ধীরে ধীরে বাইকের স্প্রিড কমতে লাগলো।এক সময় বাইক বন্ধ করে করে সাইডে চাপিয়ে রাখলো।হালকা ঘাড় ঘুরিয়ে হুরকে দেখলো।সে আবেশে তার ঘাড়ে নাক,মুখ ডুবিয়ে মৌজে আছে।নিজেকে শক্ত রেখে শীতল গলায় রুদ্ধ বলে,

” হুর ছাড়ো আমায়!

রুদ্ধের কথা হুরের কান অব্দি পৌঁছেছে কিনা তা সন্দেহ।আরামদায়ক মনে হচ্ছে রুদ্ধের শরীর। শক্ত শরীরে নিজের আরাম খুঁজে নিচ্ছে সে। উষ্ণতা পাচ্ছে। সাথে মিষ্টি ঘ্রাণ।এটা কোন পারফিউমের ঘ্রাণ তা বোধগম্য হলো না তার। জিজ্ঞেসও করোনা। এই মুহূর্তে কোন কিছু বলতে বা শুনতে ইচ্ছে করছে না। উপভোগ করতে ইচ্ছে হচ্ছে এই সময়টা। তাইতো আর একটু চেপে রুদ্ধের সাথে মিশে যেতে চাইলো। শক্ত হাত দ্বারা নিজের বুক থেকে ঘুরে এর কোমল দুই হাত ছাড়িয়ে নেয়। শক্ত গলায় বলে,

“ঘুম পাচ্ছে তোমার?চলো বাসায় যাই, গিয়ে ঘুমাবে।

রুদ্ধের ঘাড় থেকে মুখ না সরিয়ে বিঘ্নতা দেখিয়ে হুর বলে,
“না, আমি এখন বাসায় যেতে চাই না। এ জায়গা,আবহাওয়া,নিস্তব্ধ এলাকা আমার খুবই ভালো লাগছে। কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না।

এবার পুরোপুরি ভাবে ঘাড় ঘুরিয়ে হুরের মুখ পানে চাইল রুদ্ধ।হুর কে ভালোভাবে দেখল।চাঁদের উজ্জ্বলতায় হুরের চেহারার উজ্জ্বলতা আরো দ্বিগুণ হয়ে গেছে। স্নিগ্ধ মুখশ্রী। সামনে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিল। আশেপাশে তাকালো।পিছে ঘুরে হুরকে বাইক থেকে নামতে বলল। বিনা বাক্যে হুর ও নেমে পড়ল। রুদ্ধ বাইকে বসে হুরকে নিজের মুখোমুখি হয়ে দাঁড় করিয়ে বলল।

” বসো!

রুদ্ধর এই “বসো”শব্দটার অর্থ বুঝতে পারল না হুর।রুদ্ধতাকে কোথায় বসতে বলল!আশেপাশে তাকিয়েছে চেয়ার আর টেবিলের তালাশ করলো। কিন্তু না কোথাও চেয়ার-টেবিল নেই। তাহলে রুদ্ধ তাকে বসতে বললো কোথায়? আনমনে এসব ভাবতে ভাবতে অস্পষ্ট স্বরে জিজ্ঞেস করল,

“কোথায় বসবো?

বাইকে বসে রুদ্ধ ঠিক তার সামনের জায়গায় ইশারা করে দেখালো। বড় বড় হয়ে এলো হুরের চোখ।বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে রুদ্ধ যে জায়গায় বসতে বলেছে সে জায়গায় তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে প্রশ্ন করল।

“এখানে আমি বসবো?

হ্যাঁ, সূচক মাথায় নাড়ালো রুদ্ধ। হুর জায়গা পরখ করে বলল,

“কিন্তু এ জায়গা তো খুব ছোট আমিতো এখানে বসতে পারবো না।

“তোমার মত দুটো এখানে এটে যাবে।

অপমানে থামথামে হয়ে এল হুরের মুখ। তোমার মত দুটো মানে!কি বোঝাতে চাইলো রুদ্ধ তাকে!হুর তো সবদিক থেকেই ঠিক আছে। লম্বা প্লাস শরীরে!সবকিছুই ঠিক আছে। তাহলে রুদ্ধ তাকে কোন দিক থেকে, ইঙ্গিতে অপমান করল!এসব চিন্তা করার মাঝেই হাতে টান পরল। দেখল রুদ্ধ তার হাত ধরে সামনের দিকে টেনে আনছে। তাকে বাইকের ওপর বসানোর জন্য ইঙ্গিত করছে।পিছনের চাইতে সামনে বসতে বেশ অস্বস্তি এবং অসুবিধা হচ্ছে তার। প্রথমবারের মতো তাকে আগলে নিল। যত্ন সহিত তাকে সামনে বসালো।হুর পড়ে যাবে যাবে এমন অবস্থা।পড়ে না যাওয়ার জন্য হুর রুদ্ধের এক বাহু,কাঁধ আঁকড়ে ধরল।রুদ্ধ হুরের কোমড় ধরে নিজের কাছে এনে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।যে সে পড়ে না যায়।হুর তার হাত শিথিল করে।এবার দু হাত ই রুদ্ধের কাঁধে রাখল।হুরের মুখশ্রীতে চোখ বুলিয়ে ঠান্ডা কন্ঠে বলে,

“ঠান্ডা লাগছে?

হুর আশেপাশে তাকালো,বললো
” একটু,তবে একটা ব্যাপার আমি বুঝতে পারছি না!আপনি তো কোনো দিন গার্ড ছাড়া বের হন না। আর না আমাকে বের হতে দেন। তাহলে আজ আমাদের সাথে গার্ড নেই কেন?

রুদ্ধ হুরের টুপি সামনের দিকে টেনে দিতে দিতে বলে,

“হিডেন গার্ড আছে আমাদের সাথে।আমাদের একটু দূরেই আছে। সর্বদা আমাদের ফলো করছে।

হুর ঠোঁট গোল করে টেনে বলে,
” ও…..

গভীর দৃষ্টিতে হুরের দিকে তাকিয়ে আছে রুদ্ধ। আচানক বলে উঠে,

“কিস মি!

হকচকিয়ে যায় হুর। মুখের ভঙ্গি বিকৃতি করে বলে,

“এ্যা?

রুদ্ধের শীতল কন্ঠ এবং দৃষ্টি,
” ইয়েস,কিস মি রাইট নাও!অন মাই লিপ’স!

আকাশসম বিস্ময় যেন হুরের চোখ মুখে দেখা গেল।কিছুটা অস্বস্তি হল।রুদ্ধ নিজের মুখ হুরের মুখের কাছে নিয়ে এলো।নিশ্বাসের গতি কমে আসলো হুরের।নিজেকে সংযত রাখার প্রচেষ্টায় নেমে গেল। হতে পারল কি!উল্টো আরো নিজেকে সামলাতে অক্ষম হয়ে পড়লো। ধীরে ধীরে সে ও নিজের মুখ রুদ্ধের কাছে আনতে লাগলো। লজ্জা লাগছে। ভীষণ লজ্জা লাগছে তার। এমন না যে সে এর আগে রুদ্ধকে চু’মু দেয়নি। দিয়েছে ।তবে সেই পরিস্থিতিটা অন্যরকম ছিল। কিছুটা ভয়াবহ ছিল। কিছু হারানোর ভয় ছিল। কিন্তু এখন!তখন এর চেয়ে এখনের পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। আগেরবার ভয় কাজ করলেও এবার উত্তেজনা কাজ করছে। আগেরবার কিছু হারানোর ভয় থাকলে এবার কিছু পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে যাচ্ছে মন।

সাহস জুগিয়ে রুদ্ধর অধরে হালকা ভাবে ছুইয়ে দেয়৷রুদ্ধের অধর থেকে সরে শুষ্ক অধরে জিহ্বা দ্বারা ভিজিয়ে নেয়।সেকেন্ড খানিক সময় ব্যয় না করে রুদ্ধ নিজ অধর দিয়ে হুরের অধর চেপে ধরে। জিহ্বা বের করে হুরের অধর স্পর্শ করে শুষে নিতে লাগল।রুদ্ধ হুরের টুপি চোখের নিচে নামিয়ে হাত দিয়ে চেপে ধরে।দীর্ঘ সময় চলতে থাকে তাদের চুম্বন।ক্ষণে ক্ষণে শিহরিত হয়ে হুর একবার রুদ্ধের কাঁধ,আরেকবার রুদ্ধের চুল খামচে ধরছে।হুরের অধর থেকে সরে হুরের মোহনীয় স্নিগ্ধ মুখশ্রীর দিকে চেয়ে রুদ্ধ আবেগী গলায় বলল।

“আমার ব্যাকুল হৃদয়ের প্রশান্তি তুমি!”
“আমার একলা জীবনের সাথী তুমি!”
“আমার মনে গেঁথে থাকা একমাত্র রমণী তুমি!”
“তৃষ্ণার্ত প্রমিকের পিপাসিনী তুমি!”
“আমার সুখ দুঃখের অংশীদার তুমি!”
“আমার হৃদয়ে ঝড় তোলার মানুষ তুমি!”
“আমার প্রাপ্তি তুমি!”
“আমার ভালোবাসা তুমি!”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here