বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প #পর্ব-বোনাস #লেখনীতে-আসমিতা আক্তার ( পাখি )

0
718

#বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প
#পর্ব-বোনাস
#লেখনীতে-আসমিতা আক্তার ( পাখি )

রুদ্ধ আর হুর দুইজন একই সাথে রেডি হচ্ছে। উদ্দেশ্য তাদের সুইজারল্যান্ড শহরে ঘুরে বেড়ানো।দুইজন রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ল হোটেল থেকে।হোটেল থেকে ডিরেক্ট “ইন্টারলাকেনে”চলে আসলো তারা।হুর পাহাড়ি এলাকা পছন্দ করে দেখে হুরকে পর্বত দেখাতে নিয়ে আসলো রুদ্ধ। এখানে মূলত তিনটি পর্বত রয়েছে। এইগের,ইয়োংফ্রয়ক,মঙ।”ইন্টারলোকেনে”পর্যটকদের ছড়াছড়ি।আশেপাশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ক্যাফে।ইন্টারলোকেনে ঘোরাঘুরি হল কিছু সময়।ক্যাফেতে ঢুকে নাস্তার কার্যক্রম শেষ করল।বের হয়ে পড়ল “লুসার্ন”শহরটির উদ্দেশ্যে।শহরটিতে ভ্রমণ করার সময় মনে হচ্ছে মধ্যযুগীয় সময় তো প্রবেশ করা হচ্ছে।” লুসার্ন”এর প্রধান আকর্ষন হচ্ছে “চ্যাপল ব্রিজ”।একটি কাঠের তৈরি সেতু।যা নির্মিত হয়েছে বহু বছর আগে। কাঠের ব্রিজটির উপর দাঁড়িয়ে লুসার্নের প্রতিটি দৃশ্য উপভোগ করা যাবে।

বিস্ময়কর দৃষ্টিতে সবকিছু দেখছে হুর।সুইজারল্যান্ড দেশটিতে যে এত সুন্দর সুন্দর জায়গা এবং দৃশ্য আছে তা এখানে না আসলে উপভোগ করতে পারত না। চমকিত হতো না তার দৃষ্টিদ্বয়।হুরের পিছনে দাঁড়িয়ে আছে রুদ্ধ।হুরের পিঠের সাথে রুদ্ধর বুক স্পর্শ করছে। হুর বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে লুসার্ন শহরটির দিকে। আর রুদ্ধ তাকিয়ে আছে হুরের বিস্ময়কর দৃষ্টির দিকে।পিছন থেকে রুদ্ধ হালকাভাবে হুরকে জড়িয়ে ধরল। আবেশে হুর ও সেটে রইলো রুদ্ধর সাথে। পরক্ষণে চমকিত হল। মনে পড়ে গেল তারা, রুমের মধ্যে নেই। দ্রুত গতিতে রুদ্ধর কাছ থেকে সরে আসতে চাইলো। তবে রুদ্ধ হতে দিল না। আগের মতই হুরকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল।ঘাড় বাঁকা করে রুদ্ধের দিকে তাকিয়ে হুর অস্বস্তি নিয়ে বলল।

“ছাড়ুন আশেপাশে মানুষ অনেক আছে।

রুদ্ধর ভাবলেশহীন জবাব,
“এখানকার মানুষ আমাদের দিকে চেয়ে থাকবে না। আমরা কি করছি না করছি তাতে তাদের ধ্যান নেই।আর ধ্যান হলেও নরমালি ভেবে দেখেও উপেক্ষা করবে। এখানে এগুলা নরমাল বিষয়। তাই তুমিও নরমাল হয়ে থাকো। আর আমি তোমায় শুধু জড়িয়ে ধরেছি। সুইজারল্যান্ডের অলি গলিতে তুমি চিপায় চিপায় দেখতে পাবে,তারা ফুল ফিলিংস এর সাথে কিস ও করছে।

হতভম্ব হুর। সে শুনেছিল বাহিরের দেশের মানুষরা খুবই স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পছন্দ করে।কিন্তু তাই বলে এভাবে!ব্যাপারটা জঘন্য মনে হল হুরের কাছে।”আরে ভাই চুমু দিতে হলে নিজেদের রুমে গিয়ে চুমু দিয়ে।জনসম্মুখেই কেন দিতে হবে?আ/দর ভালবাসা হচ্ছে ব্যক্তিগত জিনিস। এসব চার দেয়ালের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখলেই তো পারে। কিন্তু না!তাদের লোক দেখানো ভালোবাসা জরুরী। তাইত জনসম্মুখে তাদের ভালবাসা উপচে পড়ে”

হুরের পেটে ব্যথার কারণে বেশিক্ষণ ঘুরতে পারল না তারা। ফিরে আসলো হোটেলে। ডিসাইড করলো রুমেই খাবার অর্ডার করে খাবে। এখন আর রুম থেকে বাহিরে বের হতে ইচ্ছে করছে না হুরের। রুদ্ধ গা থেকে জ্যাকেট খুলে ফ্রেশ হয়ে কম্বলের ভেতর ঢুকে পড়ল। রুদ্ধর পর ওয়াশরুমে ঢুকলো হুর। সেও ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে এলো।চুল ছেড়ে আঁচড়ে নিল। চুল এখনো শুকায়নি। দেখে মনে হচ্ছে আরো অনেক সময় লাগবে শুকাতে ।বিরক্তিতে এক দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসলো।হুরও আসার সাথে সাথে গা থেকে কোট খুলে দিয়েছে। এখন তার গায়ে শুধু ফুলহাতা একটি গেঞ্জি,আর জিন্সের প্যান্ট আছে।

দরজায় কড়াঘাতের শব্দে হুর এগিয়ে গেল দরজার দিকে। দরজা খুলবে তখনই রুদ্ধ তাকে বারণ করে। বিছানা থেকে উঠে নিজে দরজা খুলে। ওয়েটার এসেছে খাবার নিয়ে। ওয়েটারকে রুমে ঢুকতে না দিয়ে নিজেই খাবার ভেতরে নিয়ে আসলো। সবকিছুই ভ্রু কুঁচকে দেখল হুর। মনের মধ্যে বিরাট এক প্রশ্ন ও জড়ো হল। জিজ্ঞেস করল,

“আমিই তো পারতাম খাবারগুলো নিতে। শুধু শুধু কম্বল থেকে বেরিয়ে আসলেন।

গভীর দৃষ্টিতে হুরের দিকে তাকালো রুদ্ধ।কিছু সময় মৌন থেকে উত্তর দিল।

“নিজের দিকে তাকাও।

হুর নিজের দিকে তাকালো।ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরা। বুকে নেই ওড়না। চুল খোলা। প্রশ্নের পাহাড়ে ঝুলে থাকা হুর সোজা হয়ে দাঁড়ালো ।রুদ্ধকে বলার মত আর কোন কথা খুঁজে পেল না।রুদ্ধ বিছানায় ঘাপটি মেরে বসে হুরকে বলে,

“জলদি খাবার সার্ভ করো।অনেক ক্ষুধা লেগেছে।

বিছানার ওপরেই খাবার নিয়ে বসে পড়ল হুর।রুদ্ধকে খাবার সার্ভ করে নিজের প্লেটে খাবার নিতে যাবে সেই সময় রুদ্ধ তাকে বলল,

“তোমার হাত নোংরা করার প্রয়োজন নেই। আমি খাইয়ে দিচ্ছি।তুমি যা খাবে প্লেটে তুলে দাও।

জড়তা নিয়ে হুর পেটে খাবার তুলে দিল। রুদ্ধ নিজে খাচ্ছে এবং হুরকেও খাইয়ে দিচ্ছে।বেশ সময় লাগলো তাদের খাবার খেতে।এটো প্লেট গুছিয়ে টেবিলের ওপর রেখে দিল। কম্বল দিয়ে নিজেকে ভালোভাবে ঢেকে ফোন টিপতে লাগলো হুর। গ্যালারির মধ্যে নিজের এবং রুদ্ধর ছবি দেখতে লাগলো। আজকের তোলা সব ছবি। যেখানে যেখানে ঘুরতে গিয়েছে সেখানের কিছু দৃশ্য ক্যাপচার করেছে।রুদ্ধ ও কম্বলের ভেতর ঢুকে পড়ল। হুরের কাঁধে মাথা রেখে সেও ছবি দেখতে লাগলো।

হঠাৎ তার মনে হল এমন শান্ত থাকা তার দ্বারা সম্ভব না। তাই হুর কে বিরক্ত করতে লাগল।টি-শার্ট এর নিচ দিয়ে ঠান্ডা হাত চেপে রাখল হুরের উন্মুক্ত পেটে। ভয়ংকর ভাবে কেঁপে উঠল হুর। রুদ্ধর হাত সরাতে চাইল। রুদ্ধ আরো জোরে খামচে ধরলো হুরের পেট।হুর বুঝলো রুদ্ধ তাকে ছাড়বে না। কাঁদো কাঁদো হয়ে আসলো তার মুখশ্রী।ঠোঁট উল্টে বলল,

“আমি সুড়সুড়ি পাচ্ছি তো।

হুরের কাঁদো স্বর এবং তার অসহায়ত্ব চোখে পরলো না রুদ্ধর।হালকা হাতের স্পর্শে হুরের হাফ ইঞ্চি সম নাভিতে তর্জনী আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিল।সাথে সাথে হুর বিছানা থেকে উঠে যেতে চাইলো। আঁকড়ে ধরে রাখল রুদ্ধ। তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে নাভির চারোপাশ স্লাইড করতে লাগলো।নিঃশ্বাস নেয়ার সাথে সাথে চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হুরের। মনে হচ্ছে কঠিন কোন নেশার দ্রব্য খেয়েছে। তাই আঁখি যুগল মেলে রাখতে পারছে না।উঠানামা করছে নিঃশ্বাস। এতক্ষণ সুড়সুড়ি লাগলেও এখন কেঁপে উঠছে তার শরীর। রুদ্ধ নাভির পাশ থেকে হাতে সরিয়ে স্লাইড করতে করতে নাভির উপরদিকে যেতে লাগল। হাত একটু পরপর থামাছে আর স্লাইড করছে।এক সময় রুদ্ধ পুরোপুরি কম্বলের ভেতর ঢুকে যায়।হুরের টি-শার্টের ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে নেয়। বু/ক এবং পেটের মাঝ বরাবর মুখ ডোবায়। নড়াচড়া বিহীন সেভাবেই রয়।বড় বড় করে নিশ্বাস টানে। হুর খামচে ধরে আছে কম্বলের অংশ।রুদ্ধের মাথা কম্বলের ভেতরে থাকলেও হুরের মাথা কম্বলের বাহিরে।এবং রুদ্ধর শরীর পুরোপুরিভাবে হুরের ওপর, রুদ্ধ উঠিয়ে রেখেছে। তার শরীরের ভার সম্পূর্ণ হুর বহন করছে। নিঃশ্বাসের সাথে শরীর ও উঠানামা করছে হুরের।

আকস্মিক প্রগাঢ় ভাবে রুদ্ধ হুরের পেটের কাছের জায়গাতে অধর ছোঁয়ায়। মুঠোয় ধরে রাখা কম্বলের অংশ ছেড়ে দেয় হুর। রুদ্ধর স্পর্শ সহ্য করতে না পেরে নিজেও কম্বলের ভেতর মাথা ঢুকিয়ে দেয়। টি-শার্টের উপর থেকে রুদ্ধর চুল খাচ্ছে ধরে। দাড়ি দিয়ে রুদ্ধ ঘষা দেয় হুরের পেটে।আর্তনাদ করে উঠে হুর। গতকাল রাতের অনুভূতির সাথে আবারো পরিচিত হচ্ছে।ঠোঁট কামড়ে ধরে। চোখের কার্নিশ বেয়ে দু ফোঁটা নোনা জল গড়িয়ে পড়ে।হুরের টি শার্ট টেনেটুনে রুদ্ধ খুলে ফেলে।বাধা দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল হুর। তবে সফল হলো না।অনবরত পেটে, কোমরে, নাভিতে ওষ্ঠ ছুয়ে দিতে লাগলো রুদ্ধ।হুর গোঙাল। হাত দিয়ে রুদ্ধকে সরাতে চাইলে রুদ্ধ তার দু হাত বিছানার সাথে চেপে ধরে।গায়ের উপর থেকে কম্বল সরিয়ে দেয় এক ঝটকায়।ঘোর লাগা দৃষ্টিতে হুরের দিকে চেয়ে দেখে তার চোখ বন্ধ। চোখের কোণায় পানির অস্তিত্ব। ঠোঁট প্রসারিত হলো রুদ্ধর।হুরের চোখের পাতায় গভীর ভাবে চু’মু দিল।গলা এবং থুতনি আলতো হাতে স্পর্শ করে ধরে রইল। মুখমণ্ডল উপরের দিকে তুলল। চোখ এখনো বন্ধ হুরের। তোলপাড় হৃদয়ের সাথে অনুভূতির জোয়ারে ভাসছে সে। সহ্য করার ক্ষমতা যেমন তার কাছে নেই,তেমনভাবে রুদ্ধর পাগলামো স্পর্শ থেকেও বিচ্ছিন্ন হতে নারাজ তার মন। হুরের গালে খোচা দাড়ির স্পর্শ দিয়ে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয় তার গালে।খোচাদারি কাটার মতো বিধছে হুরের গালে। তৎক্ষণাৎ আর্তনাদ করে ওঠে।বাধা দেয়,

“উম…উহু!

কে শুনে কার কথা!হুরের বাধা সম্পূর্ণ গ্রাহ্য করে রুদ্ধ নিজের মতো করে হুরকে আ/দর করতে থাকে। বউ থাকতে এতো বাধা সে মানতে পারবে না। বউয়ের কাছ থেকে দূরে সরে থাকতেও পারবেনা। এতদিন না হয়েছিল!কিন্তু তাই বলে কি এখনো থাকতে হবে নাকি?কোনভাবেই না। বউকে যখন একবার আপন করে নিয়েছে তাহলে দ্বিতীয় বার করতে আপত্তি কি?শুধু দ্বিতীয়বার না হাজারবার আপন করে নেবে তার একমাত্র বউকে। সবকিছু সাথে কম্প্রোমাইজ হলেও বউ এবং আ/দরের সাথে নো কম্প্রোমাইজ। নিজ হাত ছাড়া পেয়ে হুর রুদ্ধর পিঠে হাত রাখে। একপ্রকার খামচে ধরে। হুরের গাল থেকে ঠোঁট সরিয়ে হুরের উপর বসে গায়ের বস্ত্র খুলতে থাকে। নিজের উদোম গাঁয়ে হুরের শরীরের সাথে সেটে গলা,ঘাড়ে অনবরত চু’মু দিতে থাকে।বু/ক থেকে নেমে পেটে নিজের অধর ছোঁয়াতে লাগে। ঠোঁটের সাথে মাঝে মাঝে দাঁত দিয়ে কামড় দিয়েছে সে। আধো আধো চোখ খুলে সব সহ্য করছে হুর। হঠাৎ চোখ আটকে যায় রুদ্ধর হুরের নাভির দিকে। বড্ড আকর্ষণীয় লাগছে।ভুরিবিহীন পেটে গর্ত হয়ে যাওয়া নাভিতে যে কেউ নিজের আকর্ষণ খুঁজে নিবে। রুদ্ধ ও খুজে নিল। আকর্ষিত হয়ে ডুবে রইলো কিছুক্ষণ হুরের নাভিতে।গোঙ্গানোর মাত্রা বাড়ছে।সেদিকে চেতনা নেই রুদ্ধর। হুরের গোঙ্গানোর শব্দতেও যখন রুদ্ধ শুনছে না তখন হুর ভেঙে যাওয়া গলায় বললো,

“ঘুম পাচ্ছে।

হুরের নাভি থেকে মাথা তুলে হুরের মুখ পানে চাইল রুদ্ধ। আস্তে আস্তে নাভি থেকে সরে এসে হুরের মুখের কাছে নিজের মুখ নিয়ে আসলো। ভারী বিশ্বাস আঁচড়ে পড়তে লাগল হুরের মুখে।হুর এবার সম্পূর্ণ দৃষ্টি ফেলে রুদ্ধর দিকে তাকিয়ে রইল। দুজনের চোখে চোখে কথা হচ্ছে। ঘোর লাগা কন্ঠে রুদ্ধ বলে,

“আমার ঘুম হারাম করে তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমাবে এমনটা তো হতে দেয়া যায় না। আমার মনে অশান্তির ঝড় তুলে তুমি শান্তিতে ঘুমাবে!এমনটা হলে আমার নিজের প্রতি অন্যায় হয়ে যাবে না?আজ কোন ঘুম নেই। সারারাত আ/দরের চাদরে জড়িয়ে রাখবো তোমায়। এখন আমার রোমান্সের বারোটা না বাজিয়ে স্বামীর কথা শোনো।

রুদ্ধর কথা শেষ হতেই হুর কিছু বলতে নিলে রুদ্ধ হুরের ওষ্ঠদ্বয় নিজের মুখে পুড়ে নেয়।চোখ খিচে রয় হুর। এক হাত চলে যায় রুদ্ধর বু/কে। ঘোরের মাঝে হুর রুদ্ধর ফোলা বু/কে স্লাইড করতে থাকে। মাঝে মাঝে চাপ প্রয়োগ ও করছে।খুব স্মুথলি কি’স করছে রুদ্ধ।ঠোঁট থেকে সরে এসে গলায় নেমে আসল।পিঠের নিচে হাত দিয়ে ছোট কাপড়ের ফিতার হুক খুলতে নিলে হুর অস্পষ্ট স্বরে বলে,

” লাইট অফ করুন প্লিজ।

রুদ্ধ নাকচ করে বলে,
“উহু!আজ সব দেখা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here