#বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প
#পর্ব-৩৯
#লেখনীতে-আসমিতা আক্তার ( পাখি )
চিন্তিত মস্তিষ্ক নিয়ে কি আর পরিক্ষা ভালো দেয়া যায়!হুর ও দিতে পারল না। পরিক্ষা নিয়ে তেমন চিন্তা না হলেও রুদ্ধকে নিয়ে বড্ড চিন্তিত সে।গতকাল রিফার কথা মাথা থেকে এক সেকেন্ড এর জন্য ও সরাতে পারেনি।রুদ্ধ তাকে ধোকা দিয়েছে। ভাবতেই নিশ্বাসের গতি কমে আসে।হুরের দৃঢ় বিশ্বাস রুদ্ধ তাকে ধোকা দিতে পারে না। ধোকা দেয়ার মত আজ অব্দি কোন কিছুই চোখে পড়েনি। তবে রিফা! রিফার কথায় রহস্য লুকিয়ে ছিল। মনে হচ্ছিল অর্ধেক কথা বলেছে আর অর্ধেক কথা আর পেটে রেখেছে। আর তার কথা বলা ভঙ্গি এমন ছিল যে মানুষ তাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে।বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসলো হুর। মনে তার অনেক শঙ্কা। এই শঙ্কা থেকে বের হতে পারছি না সে।গভীর চিন্তায় ঠোঁট কামড়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিল। মাথায় বেশি প্রেসার পড়ায় চিন চিন করে ব্যথা হচ্ছে। যেই না চোখটা লেগে আসবে সেই সময় কর্কশ শব্দে ফোন বেজে উঠল। বিছানার শেষ প্রান্তে ফোন রাখা। উঠে ফোন আনতে মন চাইছে না হুরের। তাই সেভাবেই শুয়ে রইলো। ফোন বাজতে বাজতে এক সময় কেটে গেল। মিনিটখানেক পেরুতেই আবার কর্কশ শব্দ তুলে ফোন বেজে উঠলো। বিরক্তিতে মুখ কুঁচকে ফেললো হুর। পরমহূর্তে অনুভূত হল রুদ্ধর কল ও করতে পারে। তাই অনিচ্ছা সত্তে উঠে ফোন হাতে নিল। স্ক্রিনে ভেসে আসলো আকাশের নাম্বার।রিসিভ করতে মন না চাইলেও রিসিভ করল। ফোন স্পিকারে রেখে আঁধশোয়া হয়ে আবারো শুয়ে রইলো। কাঁধের কাছে ফোন রেখে চোখ বন্ধ করে নিল।ফোনের ওপাশ থেকে ভেসে আসলো,
“কেমন আছো হুর?
চোখ বন্ধ রাখা অবস্থাতেই হুর জবাব দিল,
“এইতো আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তোমার কি খবর?
“হ্যাঁ আমিও ভালো আছি।কিন্তু তুমি ভালো বললেও তোমাকে আজ ভালো দেখাচ্ছিলো না। কোন এক বিষয় নিয়ে তোমায় আপসেট দেখাচ্ছিল। এখন বলতো কি নিয়ে তুমি এত আপসেট আছো?
“পরীক্ষা ভালো হয়নি ,তাই একটু আপসেট আছি।
চিন্তিত হল আকাশ ও। বলল,
“কিন্তু তোমার প্রিপারেশন তো খুবই ভালো ছিল।তাহলে পরীক্ষা খারাপ কিভাবে হলো?
চুপ রইলো হুর।হুরের কাছ থেকে কোন জবাব না পেয়ে আকাশ বুঝলো হুর বলতে ইচ্ছুক না।তাই এ নিয়ে আর কোন প্রশ্ন করল না। হুরের মন ভালো করার জন্য বলল,
“চল আজ তোমার মন ভালো করি!বিকেলে ঘুরতে যাই। কি বলো?
ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনে তড়াক করে উঠে বসলো হুর।মুহূর্তেই ঘাবড়ে গেল।আমতা আমতা করে কিছু বলবে তখন আঁখি পল্লবে ভেসে আসলো রুদ্ধকে।চোখ বড় বড় হয়ে এলো। কিছুক্ষণ আগে যে মুখ থেকে কিছু বলতে যাচ্ছিল সেটা আটকে আসলো। রুদ্ধ প্যান্টের দু পকেটে নিজের হাত গুঁজে রেখেছে।তীক্ষ্ণ চোখে হুরের দিকে তাকিয়ে আছে। হুর ফোনের দিকে একবার তাকিয়ে আবার রুদ্ধর দিকে তাকালো। বুঝতে পারল রুদ্ধ প্রথম থেকে তার কথা শুনছে।স্তম্ভিত হয়ে গেল।অন্যদিকে আকাশ ফোনের ওপারে হ্যালো হ্যালো করে যাচ্ছে। সেদিকে কান যেতেই হুর ফোন হাতে নিয়ে ইতস্তত বোধ করে বলল,
“সর্যি আকাশ আমি বের হতে পারব না।আমরা না হয় অন্য আরেকদিন ঘুরবো।
“অন্য একদিন না আজই!তুমি আর কোন কথা না বাড়িয়ে রেডি হয়ে নাও। আমি তোমায় বাসা থেকে পিক করে নিব। তুমি যেখানে যেখানে ঘুরতে চাও সেখানে ঘুরবো।
ভীতু চেহারা নিয়ে রুদ্ধের দিকে আবার তাকাল হুর। রুদ্ধ তার দিকেই এগিয়ে আসছে।হুরের নিকটে এসে তার হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে স্ক্রিনে থাকা নাম এবং নাম্বার দেখল। গভীর মনোযোগ, গম্ভীর মুখশ্রী।ফোন কট করে কেঁটে দিল। হুর কে ঝটকা মেরে বিছানায় ফেলে তার উপর ভর ছেড়ে প্রবল শক্তিতে হুরের গাল চেপে ধরলো।রাগে দাঁত কিড়মিড় করে বলল,
” কোন নাগরের সাথে কথা বলছিলি?আমি বাড়িতে না থাকলে বুঝি এসব করে বেড়াস?ঘুরতে যাবি তাই না?ঘরে স্বামী থাকতে পরপুরুষের সাথে মাতলামি করার ধান্দা তো ভালোই পেয়েছিস।
গালের ভেতরের চামড়া দাঁতের সাথে লেগে ছিলে গেছে। রক্ত ও বের হচ্ছে বোধ হয়।ব্যথা এবং রুদ্ধের রাগান্বিত চেহারা দেখে ভয়ে চোখ মুখ কুঁচকে ফেলে হুর।রাগ হয় তার ও। জোরে খামচে ধরে রুদ্ধের হাত।হঠাৎ হাতে আক্রমণ হওয়ার হাত ঢিলে হয়ে আসে রুদ্ধর। সে-ইটার ফয়দা উঠায় হুর।জোরজবরদস্তি করে রুদ্ধর কাছ থেকে নিজেকে ছাড়ায়।গলার স্বর খানিক উঁচু রেখে বলে,
“পাগল হয়ে গিয়েছেন?এমন কেউ করে?আর কি নাগরের কথা বলছেন?সে আমার ক্লাসমেট।আমার মন খারাপ ছিল, তাই সে ঘুরতে নিয়ে যেতে চাইছিল।আর আমার ক্লাসের কেউ জানে না যে আমি বিবাহিত।
আরো চটে গেল রুদ্ধ। হুরের হাত শক্ত করে চেপে ধরে বলল,
“ও…নিজেকে অবিবাহিত প্রমান করে ছেলেদের নজরে আসতে চাচ্ছিস?অনেক সেয়ানা তো!আমার বউ আমার পিঠ পিছে পরপুরুষদের সাথে কথা বলে।তুই কি মনে করেছিলি এসব কোনো কিছুই আমি টের পাব না?
মারাত্মক ক্ষেপে গেল হুর। চিল্লিয়ে বলল,
“কি কখন থেকে নাগর পর পুরুষ বলেই যাচ্ছেন।বললাম তো সে আমার ক্লাসমেট। আর আমি আমার বিয়ের কথা বলিনি কারণ আমাদের বিয়ে হুট করে হয়ে গিয়েছিল।পরিস্থিতি এমন ছিল যে তাদের আমি জানাতে পারিনি।আর এখন থেকে যার সাথে কথা বলি না কেন, আপনার পিঠ পিছে বলবো না। আপনার সামনেই বলবো।
হুরের হাত ছেড়ে দিল রুদ্ধ। উল্টোপাল্টা কাজ করছে তার মাথা। এক জায়গার রাগ আরেক জায়গায় দেখাচ্ছে। হুরের সাথে বড্ড খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছে। ভেতর ভেতর অনুতপ্ত হচ্ছে। কিন্তু হুরকে একটা ছেলের সাথে কথা বলতে দেখে মাথায় আগুন ধরে গিয়েছিল। আর যখন বলছিল ঘুরতে যাওয়ার কথা তখন সেই ছেলেটাকে গু/লি করে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছিল।হাঁটুর উপর দুই কনুই রেখে মাথার চুল খামচে ধরলো।জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো। হুর রুদ্ধকে দেখছে। তার উত্তেজনা দেখছে। কিছুক্ষণ পূর্বের কাজে যে রুদ্ধ অনুতপ্ত তাও চোখে পড়লো।বুঝল রুদ্ধ কোন কিছু নিয়ে ডিপ্রেসড।কিন্তু তাই বলে কি অন্যের রাগ তার উপর মেটাবে?রুদ্ধের করা ব্যবহারে ভীষণ কষ্ট পেল হুর। কখনো ভাবেনি রুদ্ধ তাকে সন্দেহ করবে। ভাবতে পারেনি সন্দেহ করে তার সাথে এমন আচরণ করবে।কিন্তু তার করা আচরণের জন্য সে রুদ্ধকে ক্ষমা করবে না। ক্ষমা করবে তবে সময় লাগবে। গালের ভেতরের চামড়া জ্বলে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে গুড়া মরিচ কেউ ঢেলে দিয়েছে।নেত্রকোনায় মুহূর্তে এনোনা জলের আভাস পেল। ডুকরে কেঁদে উঠলো। হুরের কান্না শুনে চমকে হুরের দিকে তাকালো।হুরকে কান্না করতে দেখে বিচলিত হয়ে গেল।কাছে এসে হুরের হাত টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে মাথা চেপে রাখল তার বুকে। মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে কোমল স্বরে বলল,
“সর্যি আমি ইচ্ছে করে তোমায় এসব বলিনি। প্রচন্ড রেগে গিয়েছিলাম আমি। আর কখনো এসব বলবো না। তুমি কান্না থামাও।
রুদ্ধর বুকে আশ্রয় পেয়ে আরো আহ্লাদী হয়ে উঠল হুর। কান্নার মাত্রা বাড়িয়ে দিল। মুখ থেকে শব্দ ও আগের থেকে দ্বিগুণ বের হতে লাগলো। হিঁচকি তুলে বলতে লাগলো,
“আপনি আমায় তুই বলেছেন।
কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় রুদ্ধ। মাথাটা এতই গরম হয়ে গিয়েছিল যে, কখন হুরকে তুই বলে কথা বলেছিল সেটাই খেয়াল আসলো না। মেয়েটাকে রাগ দেখাতে না চাইলেও হুট করে রাগ এসে পড়েছিল। তার একমাত্র কারণ হুরের ক্লাসমেট। হতাশ নিঃশ্বাস ছাড়লো রুদ্ধ। বোঝানোর ভঙ্গিতে বলল,
“আরে ওটা তো আমি রাগের মাথায় বলেছিলাম। তুমি এসব ধরে রেখো না কেমন!পরবর্তীতে যদি তুই করে বলি তাহলে তুমি আমায় কামড়ে দিও। সোদ বোধ হয়ে যাবে।এখন কান্না থামাও।
ভেঙে পড়া কণ্ঠস্বর,
“থামছে না। কোনভাবেই আমার কান্না থামছে না। অনেক কান্না করতে ইচ্ছে হচ্ছে। আপনি কিভাবে পারলেন আমার সাথে এমন ব্যবহার করতে? কিভাবে পারলেন আমাকে সন্দেহ করতে?আমার যদি পর পুরুষের সাথে কথা বলার এত ইচ্ছা থাকতো তাহলে স্পিকার দিয়ে কথা বলতাম না। লুকিয়ে কথা বলতাম। আপনি আমার কোন কথা না শুনে আমার উপর আক্রমণ করলেন। আপনার আক্রমণে কতটা ব্যথা পেয়েছি আমি জানেন?
কথা থামিয়ে রুদ্ধর বুক থেকে উঠে বসে পড়ল হুর। টপ টপ করে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। চোখের নিচের অংশ ও ফুলে উঠেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে লাল হয়ে এসেছে নাক।হুর নাক টেনে নিজের ডান হাতে রুদ্ধর সামনে আনলো। দেখিয়ে বলল,
“এই দেখুন, দেখুন কি করেছেন আপনি আমার হাতকে।শুধু হাত না আমার গালও ছুলে দিয়েছেন।অনেক রক্ত পড়ছে। ভীষণ জ্বলছে।
আবারো কান্নায় ভেঙে পড়লো হুর।হতবুদ্ধি হয়ে হুরের সব কথা শুনলেও রুদ্ধ। নিজের অজান্তেই মেয়েটাকে অনেক ব্যথা দিয়ে ফেলেছে। মলিন মুখ নিয়ে এগিয়ে আসলো হুরের কাছে। গালে হালকা ভাবে হাত দিয়ে মুখের ভেতর দেখতে লাগলো। স্পষ্ট কোনো কিছুও দেখা যাচ্ছে না।প্যান্টের পকেট থেকে ফোন বের করে টর্চ জ্বালিয়ে মুখের ভেতর দেখকে লাগলো। দুপাশের চামড়া ছুলে রক্ত বের হচ্ছে।হাতে থেকে ফোন বিছানায় রেখে দু গালে হাত দিয়ে রুদ্ধ হুরের অধরে হালকা ভাবে নিজের অধর ছুয়ালো।চার কি পাঁচ সেকেন্ড সময় রাখল।হুরের চোখের পানি মুছে দিয়ে সারা মুখে চুম্বন দিতে লাগলো।আদুরে স্বরে বলল,
“সর্যি সর্যি, ভীষণ সর্যি। আমি ইচ্ছে করে করিনি। সব হয়েছে তোমার ওই ক্লাসমেটের জন্য। না, তোমার ক্লাসমেট এই সময় তোমার সাথে কথা বলতো, না ঘুরতে যাওয়ার কথা বলতো, আর না আমি রেগে যেতাম।তুমি বস আমি তোমার জন্য অয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসছি।
রুদ্ধ মলম নিয়ে এসে হুরের মুখের ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিতে লাগলো।ক্ষতস্থানে মলম লাগতেই আরো জ্বলে উঠে। তা দেখে রুদ্ধ ফু দিতে লাগলো। মলম লাগানো শেষ হয়ে গেলে হুর মুখ ফুলিয়ে কোন রকমে বলার চেষ্টা করে বলে।
“হয়েছে আর আদিখ্যেতা করতে হবে না আপনাকে। যতোটুকু করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।
“আমি বললাম তো ইচ্ছে করে করিনি ।তার পরও কেন এমন বিহেভ করছ?
“কিছু করার নেই আমি এমনই।আর ভুলেও আমার সাথে কথা বলতে আসবেন না। যাকে সন্দেহ করেন তার সাথে এত ভাব কিসের?প্রয়োজন নেই কথা বলার।
“প্রয়োজন আছে কি নেই সেটা আমি বুঝে নিবো। তোমার এত মাতব্বরী করার দরকার নেই।
রাগ দেখিয়ে হুর বলে,
“মাতব্বরি!আমি মাতব্বরি দেখাচ্ছি?ওয়াও খুবই ভালো। বউরা রাগ করলে স্বামীরা তাদের রাগ ভাঙ্গায়। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে। কিন্তু আপনার কাছ থেকে আমি কখনো কোন কিছু পাইনি। আমি রাগ করলে কখনো আপনি আমার রাগ ভাঙ্গান না।মিষ্টি কথা তো দূরে থাক,উল্টো আমাকে উল্টাপাল্টা কথা শুনিয়ে দেন।অলরাইট আমি মাতব্বরি করি। এখন থেকে আপনি টের পাবেন মাতব্বরি করার আসল মজা।
রুম ত্যাগ করলো হুর। বো/কার মত বসে রইলো রুদ্ধ। বউয়ের রাগ ভাঙ্গাতে গিয়ে উল্টো আরো খেপিয়ে দিয়েছে। বউয়ের থ্রেট শুনে মনে হচ্ছে বিশাল এক ষড়যন্ত্র করবে তাকে নিয়ে।ষড়যন্ত্র শব্দটা মস্তিষ্কে আসতেই গলা শুকিয়ে এলো।মাতব্বরি কথা শুনে যে এতটা রেগে যাবে জানলে কখনোই এই শব্দটিরমুখ থেকে উচ্চারণ করত না। নিজের জন্য বড্ড আফসোস হচ্ছে তার। ইচ্ছে করছে কয়েক ঘা নিজেকেই দিয়ে দিতে। কি দরকার ছিল হুরের সাথে শক্ত হয়ে কথা বলার?যখন বুঝতেই পারছিল হুর রেগে গেছে তখন না, হয় একটু মিষ্টি সুরে কথা বলতো। আর তাও যদি না পারতো তাহলে কোন কথাই বলত না। হাতের তালু দিয়ে কয়েকবার মাথায় ঠুকুর মারল। বিড়বিড় করে আওড়ালো,
“বউয়ের সাথে সব সময় নরম করে কথা বলতে হবে। একদম ক্ষ্যাপানো যাবেনা। ক্ষ্যাপালেই তছনছ হয়ে যাবে জীবন। অশান্তিতে ভুগতে হবে। যেই মেয়ে বিয়ের আগে আমার সামনে আসতে ভয় পেতো সেই মেয়েকে এখন আমার ভয় লাগে।ছ্যাহ্।