#ভালোবাসার_কাব্য_গাঁথবো
(১৬)
তানভীরের কোন খোঁজ খবর নেই। কলেজে নেই,রাস্তায় নেই,বাড়িতে নেই, আশে পাশে কোথাও নেই। তবে তার ফ্যামিলি ঠিকই আছে। লাবিবাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্বয়ং শ্বশুড় শ্বাশুড়ি দেখতে এসেছে। আপাতত তারা নিজেদের মাঝে লাবিবাকে বসিয়ে আদরের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। লাবিবাও চুপচাপ আদর নিচ্ছে। এই আদরটুকু তার জন্যই বরাদ্দ। একবার শ্বশুড়ের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে আরেকবার শ্বশুড়ির প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। সব থেকে কঠিন উত্তরটি ছিলো শ্বশুড়ের করা এই প্রশ্নের,
” তানভীর আর তোমার পরিচয় আছে এই খবর আমি কেনো জানতে পারলাম না? তোমাদের গোপনীয়তা তবে আমার চোখ ফাঁকি দিয়ে দিলো!”
এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে লাবিবা কি উত্তর দিবে বুঝে উঠতে পারলো না। তবে সিউর এরা নিশ্চয় ভেবে নিয়েছে তানভীর লাবিবার আগে থেকেই পরিচয় ছিলো। ফিরোজ খানের বিশ্বাস এরা গোপনে প্রেম ও করেছে। এবং নিজের আত্মবিশ্বাস ও হারাতে বসেছে যে তার জহুরির চোখ কেও ফাঁকি দেবার মতো একজন আছে যে সব সময় বাপের উপর দিয়ে যাবে। কিন্তু আসলেই তাই নয়। বাপের উপর দিয়ে এখনো যেতে পারেনি। তার থেকে ফিরোজ খান আরো এগিয়ে আছে। লাবিবাকে ছেড়ে দিলো আপাতত সোহানার কাছে। ফোন বের করে মেসেজ অপশনে গেলো। টাইপ করলো,
” তুমি আমার যোগ্য সন্তান হয়ে উঠতে পারো নি। বাইশ বছরে প্রেম করে বিয়ে করে আজ পর্যন্ত তোমাদের দুই ভাইয়ের জন্য সব মিলিয়ে দুটো মাস সেক্রিফাইস করেছি। আর তুমি এতো বয়সে বিয়ে করেও বউকে বাপের বাড়ি ফেলে রেখেছো। প্রাপ্তি আর অভিজ্ঞতায় তুমি আমার দু আঙুল নিচেই পড়ে থাকবে।”
মেসেজ টা লিখে সেন্ড করে তৃপ্তির হাসি হাসলো ফিরোজ। কিন্তু এই হাসি একটু পরেই চুপসে গেলো যখন দেখলো ছেলের বউ তার দিকে বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। সে ই দৃষ্টিকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে সামনে রাখা ফ্রুটসের প্লেট থেকে একটা আপেল স্লাইজ তুলে চিবুতে লাগলো। কিন্তু তার এই আরামের খাবার গিলতে দিলো না লাবিবা। অবাকতা কাটিয়ে ডাকলো,
” পাপা! ”
ব্যাস। যা হবার তাই হলো। ছেলের বউকে পাশে বসিয়ে ছেলেকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা ! এবার বুঝো। মিষ্টি হেসে বললো, ” তুমি কিছু দেখো নি মা। ”
” আমি দেখেছি পাপা।”
লাবিবা সত্য প্রতিবাদ করে। কোন বাবা কোন ছেলেকে এমন ম্যাসেজ পাঠাতে পারে লাবিবা জানতো না। তাও আবার প্রতিযোগিতা! হাতে থাকা ফোনের লাইট জ্বলার সাথে সাথে ই লাবিবা চোখ রাখলো। একটু ও লজ্জা পেলো না। তানভীর রিপ্লাই দিয়েছে খুব সুন্দর ভাবে।
” নিজের বয়সী বউকে নিয়ে আমার ছোট্ট বউয়ের সাথে মেলাতে আসবেন না পাপা জান! আমার বউ ছোট্ট হলেও অধৈর্য্য নয় বরং ধৈর্য্যশীল ,বোঝদার। ”
কি গোপন প্রতিযোগিতা বাবা ছেলের! লাবিবার হা করা মুখটা বন্ধ করে দিতেই লাবিবা ফোনটা হাতে নিতে চায়। ফিরোজ খান লাবিবাকে ফোনটা না দিয়ে আবার বলে,
” তুমি কিছুই দেখো নি মা। ”
লাবিবা উঠে যায়। তানভীরের মেসেজের শব্দ গুলো একদমি মিথ্যা। মিথ্যা অহংকার মেনে নিতে পারেনা লাবিবা। বর্তমানে সে প্রচন্ড অধৈর্যশীল ব্যক্তির ভূমিকায় আছে। বোঝতে চেয়েও বোঝদার হতে পারছেনা। মনে মনে আওডায় ” মিথ্যা। সব কিছু মিথ্যা। ”
তানভীরের সাথে আবার মুখোমুখি হবে সে। খোলাখুলি কথা বলা উচিত এবার। ফোনটা নিয়ে ছাদে চলে যায়। দরজাটাও বন্ধ করে। দোলনায় বসে পরে। কন্ট্রাক্টে গিয়ে তানভীরের পার্সোনাল নাম্বারটা বের করে। ডট দিয়ে সেভ করেছে। কোন নাম নেই। কি নামে সেভ করবে ভাবা নেই। তবুও একটু ভাবলো। চিন্তাগুলো কুন্ডলী পাকালো। তেমন কোন নাম পাওয়া গেলো না। স্যার/তানভীর স্যার দিয়ে সেভ করবে তাতেও মন সায় দিলোনা। সেই নামে একটা নাম্বার অলরেডি সেভ। সবাই জানে সেই নাম্বার। কিন্তু এই নাম্বারটা তানভীরের আপন মানুষের জন্য ব্যবহার হয়। লাবিবা এখন আপন মানুষ। তাও আবার একান্তই আপনজন যেখানে কোন ফাঁক থাকতে নেই দূরত্ব থাকতে নেই। লাবিবার হুট করে বেগম বেগম ফিল হলো। তানভীর খানের বেগম! লাবিবা ডট কেটে লিখলো ‘ খান সাহেব ‘ । বাহ এইবার যেনো পরিপূর্ণ। বুক ভরে শ্বাস নিয়ে সাহস সঞ্চার করলো। তারপর কল দিলো। ভাগ্য ফেরে কলটা রিসিভ হলো না। দ্বিতীয় বার দু মনা করে আর কল দিলোনা। ফোনটা রেখে দিয়ে গাঁদা ফুল গাছ থেকে একটা ফুল তুললো। কানের পাশে গুজলো। তখনি দরজায় টোকা পড়লো। ভেতর থেকে কাজিন ডাকলো।
” আপু তাড়াতাড়ি আসো। মাঐ মা ডাকে। ”
লাবিবা তৎক্ষনাৎ মাথায় উড়না দিলো। ফোন নিয়ে নিজে ছুটলো। ইসমাইল সাবিনার বেডরুমে বড় আড্ডা বসেছে। লাবিবা আসলে সোহানা টেনে পাশে বসালো। তারপর তার ব্যাগ থেকে সংখ্যা তিনেক বক্স বের করলো। গহনার বক্স। লাবিবার হাতের উপর রাখলো। হালকা হেসে মাথায় হাত বুলালো।
” হুট করে বিয়েটা হয়ে গেলো। নতুন বউয়ের মুখ দেখলাম অথচ গহনা পড়ালাম না। এটা কি হলো? তাই তোমার পাপা নিজে গিয়ে ছেলের বউয়ের জন্য পছন্দ করে গহনা এনেছেন। ”
সাবিনা হাসিমুখে বললো,
” তার কি দরকার ছিলো বেইনী? আপনি তো সোনা দিয়েই মুখ দেখেছেন। আপনার দেওয়া চুর আমি খুলতে দেই না। দেখুন কি সুন্দর লাগছে। ”
হাত বাড়িয়ে দেখায় লাবিবা। সত্যিই হাত দুটো সুন্দর লাগছে।
” বিবাহিত মেয়ের হাত খালি রাখতে হয়না তাই চুর পরিয়েছি। তাই বলে গহনা দেবো না? আমার তানভীরের বউ বলে কথা।”
মেজো কাকী গহনার বাক্স গুলো একে একে খুলে। তিনসেট গহনা। একটা সীতা আরেকটা জড়োয়া আরেকটা পাতা স্টাইলের সিম্পলের মাঝে হার। রাফ ইউজ করা যাবে । সোহানা নিজে হাতে তা লাবিবাকে পরিয়ে দেয়। আর বলে,
” এটা সব সময় পরে থাকবে বুঝলে? নাক ফোড়াও নি এখনো! আচ্ছা আমি সময় করে এসে পার্লারে নিয়ে ফুড়ো করে আনবো। চুর কিন্তু খুলবে না। এতে স্বামীর হায়াত বাড়ে।”
এতো গহনা পেয়ে লাবিবার মনটা আবার খারাপ হয়ে গেলো। দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছিলো। কিন্তু তা কি তার পিছু ছাড়বে? ছাড়ছে নাতো। এতো সব পাওয়ার জন্য ই কি বিয়েটা হয়েছিলো! হাতে চুর পরে থাকতে তার বেশ সমস্যা হচ্ছে। হাত চুলকাচ্ছে। এখন এতোটাও চুলকায় না। কিন্তু গলার নিচটা যেখানে হার রাখা সেখানে এখন চুলকাচ্ছে। এতো এতো সমস্যা গুলো কেনো জেঁকে ধরছে? এর চেয়ে রান্নাবান্না করা উত্তম না? ইনডাকশন কুকারেই নাহয় করলো! অতটাও গরম লাগবেনা। যে বিলাসিতায় শান্তি নেই সেই বিলাসিতায় কি লাভ? সাবিনা বাকি দুটো সেট আলমারিতে তুলে রাখে। মেয়ে তার যে সুখের সাগরে ভাসবে এটা বোঝা হয়ে গেছে। কিন্তু জামাইয়ের পাত্তা নেই। ছেলেটা যে গেলো আর এলো না। লজ্জায় কি আসতে চায়না কে জানে? তার মেয়ের মতো বউ পেয়ে কোন পুরুষ দূরে থাকা পসিবলই না।
লাবিবার বড্ড কথা বলতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু কি বলবে খুঁজে পাচ্ছে না। আগে তো কল রিসিভ করুক। কিন্তু সেটাই তো করলো না। মাঝরাতে তার ঘুম ভেঙে গেছে। ভয়ঙ্কর একটা সপ্ন দেখে। সপ্নে সেই সুপুরুষ কাছে এসেছে। একেবারে কাছে। যতটা কাছে এলে মানুষ টার গলা জড়িয়ে ধরা যায়। লাবিবা গলা জড়িয়ে ধরেনি। সোজা দাড়িয়ে আছে। কিন্তু তার সুপুরুষ সোজা দাঁড়ানো অবস্থায় নেই। লাবিবার উপর ঝুঁকে আসছে। আসতে আসতে গালে টুপ করে চুমুও খেয়ে নিয়েছে। সেই চুমুতে লাবিবার ঘুম ভেঙ্গে গেছে। এখন বড্ড তানভীরের কথা মনে পড়ছে। এমনিতেও তার মুখোমুখি হতে ছটফট করছে। তার উপর লোকটা সুপুরুষ হয়ে ঘুমেও হানা দিচ্ছে। মিনিট ছয়েক পর লাবিবার ফোন বেজে উঠলো। ফোনের স্কিনে জ্বলজ্বল করছে, ‘ খান সাহেব ‘ । কল ব্যাক করেছে। লাবিবার মুখে অদ্ভুদভাবে সাথে সাথেই হাসি ফুটে উঠে। খুব খুশি লাগছে। এতোটা খুশি হওয়া উচিত কিনা জানেনা। তবুও ভাগ দেবেনা। গলা খাঁকারি দিয়ে কন্ঠ ঠিক করলো। আজ চারদিন বাদে কথা হবে।
” হ্যালো। আসসালামুয়ালাইকুম।”
” ওয়ালাইকুমুস সালাম। কল দিয়েছিলে?”
” হুম। ”
” কি প্রয়োজন ?”
” প্রয়োজন নেই। আপনার মম আমাকে গহনা দিয়ে গেছে। এগুলো এখন আমার গা চুলকাচ্ছে। আপনি খুলে নিয়ে যান।”
” আমি ঢাকায় আছি।”
” জামালপুর থাকলে নিশ্চয় খুলে নিয়ে যেতেন? ”
” লাবিবা! ইমপর্টেন্স কিছু থাকলে বলো। অনেক রাত হয়েছে ঘুমাও। ”
” আপনার সাথে আমার কথা আছে। ”
” ফিরে বলছি। ”
” আপনার কাজে কি আরও থাকতে হবে?”
” কেন? ”
” যত তাড়াতাড়ি আসবেন ততো তাড়াতাড়ি আমি ক্লিয়ার হবো। আমার বিবাহিত জীবনের ভবিষ্যৎ কি আমি জেনেই ছাড়বো। ”
” উড়তে দিয়েছি যত পারো উড়ো। ডানাবিহীন পাখি হবার সখ হলো কেন এতো? ”
” উড়ে উড়ে কোথায় যাবো? সেই তো এই নিড়েই ফিরতে হবে। ”
” মন চাইলে ফিরো না। ”
” আপনি কি চান স্যার?”
” তুমি কি চাও সেটা আগে ঠিক করো।”
” আমিতো বলেছি আমি কি চাই। ঝামেলা বিহীন একটা জীবন চাই। ক্যারিয়ার গড়তে চাই। আব্বু আম্মুর কাছেই থাকতে চাই।”
“আর তোমার চাওয়াটা আমি পূরণে হেল্প করছি। ”
” তারপর? ”
চুপ থাকে তানভীর। তারপর কি হবে কে জানে! কাল কী হবে মানুষ সেটাই বলতে পারেনা। আর সেখানে চার পাঁচ বছর পর কি হবে সেটা কিভাবে বলবে? লাবিবা বুঝতে পেরেছে তানভীর আর কথা বলবে না। তাই সেই বলে ফোন কাটে,
“আপনি আসুন। তারপর আপনার সাথে কথা আছে।”
তানভীর ও বুঝে গেছে এই মেয়ে সব কথা ভাঙিয়েই ছাড়বে।
ঢাকা থেকে ফিরেই লাবিবার সাথে দেখা করে তানভীর। মেয়ে জামাইয়ের সাথে যাচ্ছে দেখে সাবিনাও খুশি মনে যেতে দেয়। রেস্টুরেন্টে বসে আগে খাবার অর্ডার করে। এখানে খাবার পেতে পেতেই সময় যাবে ঘন্টা খানেক। ওয়েটারকে মেনু সিলেক্ট বুঝিয়ে দিয়ে সরাসরি লাবিবার পানে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। জানতে চায়।
” তো এবার শুনি তোমার সব কথা।”
” রাগবেন নাতো স্যার? আপনি কথায় কথায় হাইপার হয়ে গেলে আমার ভীষণ ভয় লাগে।”
“অভয় দিলাম। বলো।”
লাবিবা এটারই অপেক্ষায় ছিলো। একদম রেডি হয়ে এসেছে। তাই শুরু করে,
” অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হলেও আমি আপনার স্ত্রী। আপনি আমাকে বিয়ে করেছেন। আমাকে সাহায্য করছেন। একটা আনমেরিড মেয়ের মতো করে চলতে বলছেন। আমিও তো এটাই চেয়েছি। কিন্তু স্যার এর পর কি হবে? আমি নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে বাবা মা নিয়ে দিব্যি থাকবো। কিন্তু তাঁদের পর আমি কার কাছে যাবো? আমার ছাদ কে হবে? বাকিটা জীবন একা কিভাবে কাটাবো? জীবনে যাই থাকুক সঙ্গী বিহীন কাটানো দুঃসহ ব্যপার। আমিও একজন সঙ্গী চাইবো। এইযে আপনার আর আমার বন্ধন! আমার ঘরে বাইরে এতো সমাদর ! আমি খেই হারিয়ে ফেলছি স্যার। আমরা সব দিক থেকেই আনমেচড। আমাদের তো সংসার সম্ভব নয়। আপনি জেনে বুঝে এই উপকার টা কেন করতে গেলেন স্যার? এতে তো আপনার ই ক্ষতি। আপনার তো এখন বউ বাচ্চা নিয়ে সংসারের সময়। সেখানে আমার জন্য কি আপনি আটকে থাকবেন না? আপনার ফ্যামিলি কতটা এক্সপেক্টেশন নিয়ে আছে সেটা আমি দেখেছি। আমার কথা ভাবলেন কিন্তু আপনার কথাটা তো ভাবলেন না স্যার। তাহলে এই বিয়েটা কেনো করতে গেলেন? আমি জলে ভেসে যাই তাতে আপনার কি? আপনি কেন আমাকে বিয়ে করলেন?”
একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে চুপ হয়ে যায় লাবিবা। তানভীরের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায়। উত্তরের অপেক্ষায় সময় গুনে। তানভীর নিচের দিকে মাথা নুইয়ে বসেছে। লাবিবার যে তার জন্য এতোদূর চিন্তা করে অস্থিরতায় সময় কাটে এটা তো ধারণার ও বাইরে। সত্যিই তো। তানভীরের এখন বউ বাচ্চা নিয়ে সংসার করার সময় তাহলে সে কেনো লাবিবার মতো একটা ছাড়া পাখিকে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করে ছেড়ে রেখেছে? নিজের কথা তো ভাবা উচিত ছিল তাঁর। পরের উপকার করতে গিয়ে নিজেকেই ভুলে গেলো? এতো সব চিন্তা নিয়ে কি মেয়েটা ঘুমিয়েছে এতো দিন আদৌ?
” তো তুমি কি আমার সাথে সংসার করতে চাইছো?”
প্রশ্নের জবাবে প্রশ্ন! তাও এমন প্রশ্ন লাবিবার চিন্তা ধারাকে গতি প্রদান করে এবং অবাকের শীর্ষে পৌঁছে দেয়। তানভীরের চেহারা দেখে বাকিটা ভড়কে যায়।
” লাবিবা! তুমি কি আমাকে পছন্দ করো?”
আবার প্রশ্ন! উত্তর না জানা প্রশ্ন। টিক মার্ক দেওয়া হবে একঘটি কনফিউশন নিয়ে। বেশ কয়েকটি অপশন।
” একবার খাঁচায় বন্দী হলে তোমার পার নেই। আমি আছি। ভেবে চিন্তে বলো তোমার আসলে কোনটা চাই?”
এবার আরো জটিল অপশন। লাবিবার ফেসটা কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়। ঠোঁট ভেঙে বলে,
” আমি জানিনা স্যার। ”
“কে জানে? আমি?”
দ্বিধা কাটাতে এসে আরো দ্বিধায় ঢুবে যায় লাবিবা। অবস্থা বেগতিক। এখনি কেঁদে দিবে। তানভীর বুঝতে পেরে রসিকতার সুর টানে।
” মেয়ে! তোমাকে ভালো ভেবেছিলাম। তুমি তো দেখছি খুব একটা সুবিধার না।”
চলবে ___