ভালোবাসার_কাব্য_গাঁথবো (৪)

0
247

#ভালোবাসার_কাব্য_গাঁথবো

(৪)

শাহাজালাল হসপিটালের রিসিপশনে এসে দাঁড়িয়েছে লাবিবা। তার পাশেই উর্মিলা। হাতে ড. তামিম খানের কার্ড। লাবিবার আজ ভীষণ মাথা ব্যথা। রাত জেগে এস্যাইনমেন্ট করেছে সকালেও ঘুমতো পারেনি। নিতু ইসলাম কার্ডটা হাতে দিয়েই উর্মিলার সাথে তৎক্ষনাৎ লাবিবাকে হসপিটালে পাঠিয়েছে। রিসিপশনের জিজ্ঞেস করলে বলে,
” ফিফথ ফ্লোরের রিসিপশনে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন। তামিম স্যার ফিফথ ফ্লোরেই বসে।”

লাবিবা এবং উর্মিলা লিফটের সামনে এসে দাঁড়ায়। লিফট এইটথ ফ্লোরে। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। ফিফথ ফ্লোরে এসে উর্মিলা জিজ্ঞেস করে,
“সাইকলোজিষ্ট ড. তামিম খান কখন বসবেন?”

“সাইকলোজিষ্ট মানে? ”
চেঁচিয়ে উঠে লাবিবা। উর্মিলা কার্ড এগিয়ে দিয়ে বলে,
“এখানে তো তাই লেখা আছে।”

“ম্যামের কি আমাকে পাগল মনে হয়? পাগলের ডাক্তারের কাছে পাঠিয়েছে।”

“ম্যামের ভাগিনা যে পাগলের ডাক্তার তুই জানতিস না?”

” আমি কিভাবে জানবো? আমি কি জানতে চেয়েছিলাম? কার্ডটাও তো তোর হাতে ছিলো। তুই এতোক্ষন বলতে পারলিনা? চল এখান থেকে।”

রিসিপশনের মেয়েটি লাবিবাকে উদ্দেশ্য করে উর্মিলাকে বলে,
” ইনিই বুঝি পেশেন্ট? একটু সামলানোর চেষ্টা করুন প্লিজ। চেঁচামেচি যেনো না করে।”

লাবিবার মাথা গরম হয়ে গেছে। মেয়েটার উপর চেঁচিয়ে উঠে,
“কেউ পেশেন্ট না বুঝেছেন? আর আমি মোটেই চেঁচামেচি করছিনা। এই উর্মি চল।”

হাত ধরে টেনে নিয়ে আসতে চায়। উর্মিলা আটকে দিয়ে বলে,
” আরে আরে এতো হাইপার হচ্ছিস কেন? ম্যামের ভাগিনা হয়। না বোঝে তো আর তোকে পাঠায়নি। দেখা না করে গেলে কি মনে করবেন?”

“আর মনে করার বাকি আছেই টা বা কি? পাগল মনে করেন ম্যাম আমাকে ‌। আমি পাগল! ”

কথাটা বলেই থেমে যায় লাবিবা। অসহায় চোখে উর্মিলার দিকে তাকায়। পেছন থেকে কে একজন জিজ্ঞেস করে ,” কে পাগল?”

মানুষটিকে দেখে লাবিবা এবং উর্মিলা দুজনেই সোজা হয়ে দাঁড়ায়। মুখে আওড়ায়,
” স্যা স্যা স্যার…”

” হুম। কে পাগল?”

” আমি। না ও পাগল। ”

উর্মিলা চমকে উঠে বলে,
” না স্যার। আমি না ও পাগল।”

লাবিবা প্রতিবাদ করে।
” একদম না। ও পাগল। ”

দুজনের দুই কথায় তানভীর বেশ বিরক্ত হয়। সামান্য রেগেও যায়।
” ক্লাস নেই তোমাদের? ক্লাস টাইমে হসপিটালে কি করছো? ”

” আমরা তো ক্লাসই করছিলাম স্যার। নিতু ম্যাম আমাদের পাঠালো। ম্যামের ভাগিনা! পাগলের ডাক্তার মি.তামিম খান। লাবিবাকে উনার কাছে ট্রিটমেন্ট নিতে হবে।”

” কেন?”

” কারণ ম্যাম মনে করেন লাবিবা পাগল আর ওকে পাগলের ডাক্তার দেখানো উচিত।”

তানভীর লাবিবার দিকে কঠিন দৃষ্টিতে তাকায়। পরক্ষনেই কঠিন স্বরে আহ্বান করে।
” কাম উইথ মি।”

তামিমের কেবিনের সামনে দাড়াঁতেই একজন বিনা বাক্যে দরজা খুলে দেয়। কেবিনে ঢুকে পরে তানভীর। তামিমকে কিছু না বলার সুযোগ দিয়েই বলে,
” নিতু ম্যাম আমার কলেজের দুটো পাগল পাঠিয়েছে। মি. তামিম খান ওরফে পাগলের ডাক্তার এদেরকে পাগলকে চিকিৎসা দিন।”

তামিম লাবিবা এবং উর্মিলার দিকে তাকায়। দুজনেই দরজা ধরে উকি ঝুকি দিচ্ছে। ওদের এভাবে দেখেই তামিম চেঁচিয়ে বলে,
” আমি পাগলের ডাক্তার। পাগল তো নই। ওখান থেকে এভাবে উঁকি ঝুঁকি দেওয়ার মানে টা কি?”

লাবিবা উর্মিলা সাথে সাথেই হুড়মুড়িয়ে রুমে প্রবেশ করে। একটু লজ্জাও পায়। এভাবে রিয়েক্ট করা উচিত হয়নি। তারাই বা করবেটা কি? একেতো পাগলের ডাক্তার। তার উপর হুট করেই প্রিন্সিপালের সামনে পরা। তারপর ভয়ের চোটে দুজনের উল্টাপাল্টা কথা! তানভীর চেয়ার টেনে বসে। তামিমের রাগান্বিত মুখটা দেখে অন্যদিকে তাকিয়ে হাসে। তার ভাইটা এই পাগলের ডাক্তার কথাটা শুনলেই রেগে যায়। দেশ বিদেশ থেকে এতো পড়াশোনা করে এসে যদি শুনতে হয় পাগলের ডাক্তার পাগল! তাহলে রেগে যাওয়াটা খুব একটা অপ্রকৃত নয়।
তামিম বিনা বাক্যে ড্রয়ার থেকে মেডিসিন বক্স বের করে টেবিলের উপর থাবা বসিয়ে রেখে থমথমে গলায় বলে,
” তোমাদের মেডিসিন নিয়ে যাও। খালামনিকে বলে দিবে পরিচয় দিয়ে যেনো নেক্সট টাইম আমার কাছে কোন পাগলকে না পাঠায়।”

লাবিবা হাত বাড়িয়ে বক্সটা হাতে নেয়। কভার খুলে দেখে বক্স ভর্তি কয়েক পদের ট্যাবলেট। এতো কেন? আর কিসের ট্যাবলেট? তাকে তো সমস্যার কথাটাও জিজ্ঞেস করলো না। সত্যি সত্যি পাগলের ঔষধ দিলো নাতো? লাবিবা চটপট বক্সটা আগের জায়গায় রেখে দেয়। প্রতিবাদী কন্ঠে জানায়,
” স্যার আপনি কি পাগলের মেডিসিন দিচ্ছেন? আমরা কিন্তু পাগল না। ”

তামিম তৎক্ষণাৎ উত্তর দেয়না। প্রেসক্রিপশনটা লেখা শেষ করে লাবিবার দিকে এগিয়ে দেয়। আঙুলে ইশারা করে কড়া গলায় বলে, ” আউট ।”

ডাক্তারের রাগান্বিত গলা শুনে লাবিবা ভড়কে যায়। মিন মিন করে বলে,
” স্যার একচুয়েলি আমার মাইগ্ৰেন প্রব্লেম আছে। আমি পাগলের মেডিসিন নিতে পারবো না।”

” কিন্তু আমি আপনাকে পাগলের মেডিসিন দিবো। প্লিজ আপনারা বের হন আর ফার্মিশিতে গিয়ে জিজ্ঞেস করে নিবেন মেডিসিন গুলো কিসের। না সিউর হয়ে কিন্তু একদমি যাবেন না। পরে না আবার পাগলের মেডিসিন নিয়ে সুস্থ হয়ে যান। ,”

তানভীর আর লুকিয়ে চুরিয়ে হাসতে পারলো না। সবার সামনেই এক ঝলক হেসে নিলো। লাবিবা একবার তামিমের দিকে আরেকবার তানভীরের হাসির দিকে তাকিয়ে জমে গেলো। ভেতরে ভেতরে খচখচানি চেপেও রাখতে পারলো না। মিনমিনিয়ে ঠিকই প্রশ্ন ছুড়লো,
‘ পাগলের ডাক্তারও মাথা ব্যথার ট্রিটমেন্ট করে?’

সাথেই তামিমের ধমক খেলো। লাবিবাকে কিছু না বলে তামিম নিতু ইসলামকে কল দিলো। রিসিভ হতেই কিছু না বলতে দিয়ে নিজেই বললো,
” খালামনি নেক্সট কাউকে আমার কাছে তুমি পাঠাবে না। আসছে থেকে কি পাগলের ডাক্তার ডাক্তার করে যাচ্ছে। আমি এই ট্যাগ নিয়ে আর চলতে পারবোনা। দরকার পড়লে ডাক্তারি ছেড়ে দিবো।”

” কেনো? কি করেছে লাবিবা? ”

তামিমের চোখে জল চলে এলো,
” এতোক্ষন তাহলে কি নালিশ দিলাম তোমাকে? ধ্যাত।”
ফোন কেটে দিয়ে দেখে তানভীর ছাড়া কেউ নেই। তাই জানতে চাইলো,
” কোথায় গেলো?”

” চলে গেছে মি. পাগলের ডাক্তার। ”

” তানভীর!”

” ও আচ্ছা। সরি। তো যাওয়া যাক।”

রেস্টুরেন্টে বসে আছে ফ্লোরা। তানভীর, তামিমকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়। তারা বসার পর ফ্লোরা বসে। মৃদু আওয়াজে বলে,
“হাই।”

” হ্যালো।”

“হাই তানভীর। ”

তানভীর রিপ্লাই না দিয়ে চেয়ার টেনে টেবিলে হাতের উপর হাতে ভাজ রেখে বলে,
” ভাইয়া আমরা মনে হয় আলোচনা শুরু করতে পারি।”

তানভীরের ইগনোরে মনখুন্ন হয় ফ্লোরা। পাত্তা না দিয়ে হালকা হাসে। জিজ্ঞেস করে,
” কি খাবে? অর্ডার দেওয়া যাক। ”

” ভাইয়া আমি শর্ট টাইম নিয়ে এসেছি। ”

” তানভীর! আমি জানি তুমি আমার সাথে কথা বলতে চাও না। কিন্তু কি করবো বলো? এবার মনে হয় আমার তোমার সাথে কথা বলা উচিত। আই এম অবলাইজড।”

তামিম গলা কাশি দিয়ে পরিস্থিতি নরমাল করতে ইশারা করে। সিরিয়াস হয়ে বলে,
” তানভীর। ফ্লোরা ওয়ান্ট টু ব্যাক ইন মাই লাইফ। আমার সাথে সংসার করতে চায়। আর সারাজীবন আমার সাথেই থাকতে চায়। এ ব্যপারে তোর মতামত কি?”

“আমার জানামতে মিস ফ্লোরা কিছুক্ষন পর পরই তার চাওয়া পরিবর্তন করে তাই উনার চাওয়াটাকে আমি ইমপর্টেন্স দিতে পারলাম না। তুমি কি চাও সেটা বলো ভাইয়া।”

তামিমকে কিছু বলতে না দিয়ে ফ্লোরা বলে,
” তানভীর তোমার ভাইয়া আমাকে জানিয়েছে তোমরা যেটা ডিসিশন নিবে সেটাই ও মেনে নিবে। ”

” সাত বছর আগে এই ডিসিশনটা নিলে জীবনটা এতোটা এলোমেলো হতো না। ভুল মানুষের হাত ধরে লাইফ থেকে তিনটি বছর হারিয়েছে বাকিটা তার শাস্তি ভোগ করছে। আবার সেই ভুলকে জীবনে জায়গা দিতে চাইছে। সবার সামনে কথা বলার ক্ষমতা টুকুও এখন তার নেই। মেরুদণ্ডহীন পুরুষ। ”

এক্স ওয়াইফের সামনে ভাইয়ের থেকে এতোটা তিরষ্কার পেয়ে নড়েচড়ে উঠে তামিম। বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ জানায় না। যেখানে বড় ভাই হয়ে তানভীরকে তার গাইড করার কথা সেখানে সেই তার চরম ভুলের জন্য ছোট ভাইয়ের থেকে তিরষ্কার সাদরে গ্ৰহণ করছে। নিঃশব্দে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে তামিম। তানভীর একহাত চেয়ারের উপর রেখে হেলে বসে। সোজাসুজি ফ্লোরার দিকে দৃষ্টি রাখে। দুধে আলতা রংয়ের পয়ঁত্রিশ বছর বয়সী এক অপরাধী মুখে বসে থাকা মহিলা। রুপ,যৌবনের তেজস্বিতা যার পরিচয় দিয়ে যায়। মডেলিং ই ছিলো যার ধ্যান জ্ঞান। এই মডেলিং এর জন্য বিসর্জন দিতে পিছ পা হয়নি চৌদ্দ বছরের ভালোবাসা, স্বামী,তিন বছরের সংসার, নিজ আত্মসম্মান। আজ এতো বছর পর সে জানাচ্ছে ব্যাক করতে চায় তাও আবার প্রাক্তনের কাছে। তাচ্ছিল্য হাসে তানভীর। বাম ভ্রু নাচিয়ে বলে,
” তো মিস ফ্লোরা! কি কারণে আপনার এই চাওয়াটা সৃষ্টি হলো? ডিরেক্টর সাহেব বুঝি অন্য কোনো মডেলকে এন্ট্রি দিয়েছে?”

” না। আমি নিজেই চলে এসেছি। সেই জীবনে সুখ নেই তানভীর। একটা মেয়ে বাইরে ঠিক কতটা ফেলনা, কতটা হেয় তাদেরকে করা হয় প্রতিটা পদে পদে বুঝেছি। পর্দায় হাসি মুখের আড়ালে ভেতরে ভেতরে গুমরে মরেছি। টাকার নেশায় নয়, সেলিব্রেটি হবার নেশায় নিজের সবটা হারিয়েছি। বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, ভালোবাসাকে ছেড়ে দিনের পর দিন কাটিয়েছি। আমি,আমি সত্যিই হাঁপিয়ে গেছি। সেই ছন্নছাড়া জীবনের থেকে নিজের সংসার অনেক ভালো। সংসার জীবনে সবাই পাশে থাকে। নিঃসঙ্গতায় দিন পার করতে হয়না। বিপদে পড়ে আর্তনাদ করার আগেই প্রিয়জনরা পাশে দাঁড়ায়। আমি একটা ভুল সপ্ন নিয়ে বেঁচে ছিলাম। আমি পুরোপুরিতা ত্যাগ করতে চাই। হারিয়ে যাওয়া সংসার ফিরে পেতে চাই। ভালোবাসার মানুষটার হাত ধরে এগিয়ে যেতে চাই।”

“আপনার চাওয়ার লিস্টে তো আমি বাদ পড়ে গেলাম মিস ফ্লোরা।”

চমকে উঠে তানভীরের মুখ পানে তাকায় ফ্লোরা,তামিম দুজনেই। ফ্লোরা ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে। হাত জোড় করে বলে,
“আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ। আমি আমার কৃতকার্যের জন্য ক্ষমা চাইছি। তোমাকে আমি ভাই ছাড়া অন্য নজরে কখনোই দেখিনি। তামিম যখন আমাকে ছাড়তে চাইছিল না , বার বার আমি অপারগ হচ্ছিলাম। কোন প্ল্যানই সাকসেসফুল হচ্ছিল না তখন আমি সেদিন রাতে তোমার ঘরে গিয়েছিলাম। তোমার সাথে তোমার সাথে আমি উচ্চারণ করতে পারছিনা সরিইই। তোমার সাথে অসভ্যতা করে নিজেকে দোষী সাব্যস্ত না করলে তামিম আমাকে কোনদিন ছেড়ে দিতো না। তুমি আমার দেবর। ভাই সমতুল্য। ”

” ইটস পাস্ট বিউটিফুল লেডি। এই মুহূর্তে আমি আপনাকে সেই জায়গায় দেখতে চাইছিনা। যদিও আপনি আমার সিনিয়র। দেখতে কিন্তু তা মনে হয়না। আমি জানি আপনি কেন ব্যাক চাইছেন। একটু সোজাসুজি বলি। মিস ফ্লোরা দীর্ঘ পাঁচ বছরের অপবিত্র নোংরা শরীর আর কুৎসিত মনটার খান বাড়িতে কোন জায়গা হবে না। আপনাকে হারিয়ে আমার ভাই এখনও সিংগেল দেখে যে সুযোগ নেবার চেষ্টা করছেন আমি এবং আমার ফ্যামিলি তা হতে দিবো না। আপনাকে আমাদের শুরু থেকেই পছন্দ না। ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েছিলাম। যে ভাইয়ের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আপনাকে আমার ফ্যামিলি গ্ৰহণ করেছিলো সেই আপনিই আমার ভাইয়ের সুন্দর জীবনটাকে কাটা দিয়ে ভরিয়ে তুলেছেন। আমার ভাইয়ের জীবন থেকে সেই কাটা তুলা হয়ে গেলেও ক্ষত এখনও আছে। সেই ক্ষতের পাশে আবার ক্ষত আমরা হতে দিবো না। উই আর সরি। ”

” আমি তোমার ভাইকে ভালোবাসি।”

” আপনার ভালোবাসার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে মিস ফ্লোরা। ফুরায় নি?”

শেষ প্রশ্নটা তামিমের দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করে তানভীর। তামিম চুপচাপ উঠে দাঁড়ায়। ফ্লোরার কন্দ্রনরত মুখটা একবার দেখে হন হন করে বেরিয়ে যায়। ফ্লোরা জোরে ডাকে।
” তামিম। তামিম আমি এখনো তোমাকে ভালোবাসি। তামিম। ”

‘ উনি ফিরবে না মিস। ডেকে লাভ নেই। ভাইয়ের বিয়ে দিবো। যদি এ শহরে থাকেন বছর ঘুরতে না ঘুরতেই হয়তো খবর পেয়ে যাবেন চৌধুরী বাড়ির বংশধর আসছে। এবার কোনো মডেল টডেলের ছলচাতুরি এক্সকিউজ কোনটাই ছাপ ফেলবেনা। একজন প্রকৃত মেয়ে বউ হয়ে আসবে। হাজব্যান্ডকে ভালোবেসে মা হওয়ার মাঝেই একজন নারীর সার্থকতা। ফিটন্যাস ধরে রাখার বাহানায় লক্ষ লক্ষ পুরুষের কুনজরের শীর্ষে যাওয়া না। ”

চলবে,

®লাবিবা তানহা এলিজা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here