তপ্ত ভালোবাসা #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ২৯

0
582

#তপ্ত ভালোবাসা
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ২৯

.
🍁
এই মূহুর্তে বন্ধু মহল নিয়ে বসে আছি আমি রিদ খানের বাড়ির ড্রয়িংরুমে, আমার সাথে রয়েছে আমার পঞ্চ বান্ধবীরা আর রিদ খানের সুইট দাদীজান, আমি এখানে এসেছি বিঘত এক ঘন্টা পার্র হয়ে গেছে, খান বাড়িতে এই মূহুর্তে কেউ নেই না আছে রিদ খান, আর না অন্য কেউ,, রুদ্র ও জানে না আমি আজ খান বাড়িতে আসবো সেটা,, আর সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে হঠাৎ করেই চলে আসি খান বাড়িতে দাদীকে দেখতে চাই এটার বাহানা করে। আমি মূলত দাদীর সাথে দেখা করতে এসেছি এমন কিছুই নয়, আসলে ঐ দিন যখন রিদ খান আমাকে কিছু না বলে আমার বাড়িতে রেখে এসেছিল। তারপর থেকে আমি রোজ রিদ খানের বলা প্রতিটা কথা ভেবেছি গভীর ভাবে, কিন্তু তারপরও আমি কোনো রকম উত্তর খুঁজে পাইনি উনার বলা প্রতিটি কথা ওপর ।

.

কিন্তু তারপরও আমাকে তো ঐ গুপ্ত রুমে অজানা রহস্যের উন্মোচন করতেই হবে যে করেই হোক, কিন্তু কোথায় থেকে শুরু করবো সেইটা ভেবে পাচ্ছি না। পরিবারের কারও কাছ থেকে হ্যাপ চাইতে পারবো না তাহলে আমার অজানা রহস্য কথা গুলো অজানাই থেকে যাবে নাকি এটা বলে আমাকে রিদ খান সাবধান করেছেন। কি করবো কিছু ভেবে পাচ্ছিলাম না আমি, শুধু নিজের মাথাটা খালি খালি লাগছিল ভিষণ ভাবে। সাথে এতো মানুষের ভীরেও নিজেকে একা একা মনে হচ্ছিল, আমার এতো হতাশ পূণ্যতা মাঝে হঠাৎ করে আমার মাথায় আসে যে, আমি যখন রিদ খানের গুপ্ত রুমে ছিলাম তখন একটা নীল ডাইরি দেখে ছিলাম আমি ঐসব জিনিসপত্রের সাথে,, আর নীল ডাইরি কথাটা আমার মাথায় আসতেই আমি চমকে উঠে ভাবতে লাগী ঐ নীল ডাইরিটা কথা। কারণ ঐ নীল ডাইরিটাই হয়তো আমাকে কোনো না কোনো ভাবে সাহায্য করতে পারে, রিদ খানের গুপ্ত রুমে রহস্য উন্মোচন করতে। কথাটি ভেবে নিয়ে নিজের চোখ মুছে দ্রততার সঙ্গে উঠে পরে উদ্দেশ্য রিদ খানের বাসায় গিয়ে ঐ নীল ডাইরিটা নিয়ে আসবো,,

.

এই কথাটা ভেবেই খুশি হয়ে সামনে দিকে নিজের এক পা বাড়াতেই হঠাৎ করে আপনা আপনি আমার চলন্ত পা থেমে যায়। কারণ আমি রিদ খানের বাসায় গিয়ে কি বলো যে, কি জন্য এসেছি, আর রিদ খান উনি কি দিবে আমাকে উনার গুপ্ত রুমে ঢুকতে, না কখনোই দিবে না, উল্টো আমাকে উনার দরজার সামনে উল্টো ঘুরিয়ে বেঁধে রাখবে ঝুলন্ত অবস্থায় । কি করবো কিছুই ভেবে না পেয়ে, তখনই আমার পঞ্চ বান্ধবীদের কথা মাথায় আসে,, কিন্তু বিপত্তি ঘটে তাদের আমি কি বলি এটা, পরে হঠাৎ করে এবারও মাথায় দারুণ বুদ্ধি আটককে আমার পঞ্চ বান্ধবীদের বোঝানোর। আর আমার সেই বুদ্ধি সাথে সাথে তাদের বুঝার যে আমার হাতের রুদ্রের দেওয়া আক্টিটা খান বাড়িতে মানে রিদ খানে রুমে পড়ে গেছে, যখন আমি রুদ্র সাথে খান বাড়িতে যায় তখন, আর সেটা এখন আনার জন্য সবাইকে আমার সাথে খান বাড়িতে যেতে হবে, সাথে এটাও বলেছি যদি রুদ্র জানে ওর দেওয়া আক্টিটা আমি হারিয়ে ফেলেছি তাহলে হয়তো কষ্ট পাবে তাই রুদ্রকেও জানানো যাবে না কোনো ভাবেই ।

.

আর আমরা সবাই খান বাড়িতে দাদীকে দেখার উদ্দেশ্য যাবো পরে ওরা সবাই নাহয় দাদীকে ব্যস্ত রাখবে আর আমি চুপিচুপি রিদ খানের রুমে ডুকে আমার আক্টিটা নিয়ে আসবো,, আমার এমন সব কথা সাথে সবাই একমত পোষণ করলেও বিপত্তি ঘটে রিদ খানকে নিয়ে যদি উনি বাসায় থাকে তো কি করবো সেটা নিয়ে, তাই আগের থেকে কৌশলে আমি রুদ্র থেকে জেনে নেই যে রিদ খান আজকে বাসায় থাকবে না সেটা,,, আর এই সূত্র ধরেই আমি আমার পঞ্চ বান্ধবীরা মিলে এখানে বিঘত একটা ঘন্টা ধরে আড্ডা আসর জমিয়েছি দাদীর সাথে, আর আমাদের সেই আড্ডা সাথে আমার পঞ্চ বান্ধবী সবাই দাদীকে নিজের কথা জালে ফাঁসিয়ে ব্যস্ত রাখা চেষ্টা করছে নানান ভাবে…..

.

আমার পঞ্চ বান্ধবীরা দাদীকে নিজের কথা জালে ফাঁসিয়ে রাখার মধ্যে দিয়েই আমি চুপিসারে উঠে চলে আসি রিদ খানের রুমে, আর সেখান থেকে দ্রততার সঙ্গে চলে যায় উনার গুপ্ত রুমে, গুপ্ত রুমে ঢুকে সবকিছু ছুয়ে ছুয়ে দেখছি আমার কেমন জানি সবকিছু ধোঁয়াশা ধোঁয়াশা লাগছে আমার কাছে,, আমি গুপ্ত রুমের প্রত্যেকটা জিনিস হাতে ছুঁয়ে ছুঁয়ে আর আমার চোখ থেকে কেন জানি আপনাআপনি টপ টপ করে অঝোর ধারা পানি পরছে, মনে হচ্ছে এই গুপ্ত রুমে অজানা রহস্যের সাথে সাথে অজানা কষ্ট গুলো বেড়ে আসছে আমার জন্য যেটা আমি হয়তো সয্য করতে পারছি না,, কিন্তু এসব দেখার পর আমার হচ্ছে রিদ খান যেটা আমাকে দেখাতে চাইছেন সেটা হয়তো না উনি মধ্যে আরও অনেক বেশি কিছু রয়েছে উনার মাঝে,, টলমলে চোখে চারপাশটা পযবেক্ষন করছিলাম তখনই হঠাৎ করে চোখ যায় সেই নীল ডাইরিটা ওপর যেটা জন্য আমি এখানে এসেছি…….

.

ডাইরিটা হাতে নিয়ে নিজের চোখে মুছে চুপিসারে উনার গুপ্ত রুম থেকে বের হয়ে যায়, কারণ রিদ খান যদি কোনো কারণে নিজের রুমে চলে আসে এই মূহুর্তে তো আমি শেষ উনি আমাকে আবারও আঘাত করতে দ্বিতীয় বার ভাববে না তাই নিজের এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝে ডাইরিটা আমার জামার ভিতরে কমড়ে মধ্যে গুজিয়ে দ্রততা সঙ্গে নিজেকে ঠিক করে বের হয়ে যায় উনার গুপ্ত রুম থেকে,, নিচে এসে পঞ্চ বান্ধবীদের ইশারা করে বুঝায় যে আমি আমার হারানো আক্টিটি খুজে পেয়েছি, পরে আমার সবাই মিলে আরও কতক্ষণ দাদীর সাথে আড্ডা মেতে থাকলেও আমার মনটা ছিল বরাবরই মতো চঞ্চল কারণ ডাইরিতে কি আছে সেটা দেখার জন্য,, আমি আমার এই চঞ্চল মন নিয়ে আরও কতক্ষণ দাদী সাথে বসে থেকে পরে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যায়,,

.

দাদী আমাদের উনার পাঠানো গাড়িতে বসাতেই গাড়িটি আপন গতিতে চলতে থাকে আর আমি চুপচাপ বসে থাকি দায় জায়গায়, কারণ এই ডাইরিটা পড়ার পর আবার কি নতুন মোর নিতে চলছে আমার জীবনে সেটা থেকে আমি আদু অজানা, আমি কথা গুলো জালানার পাশে বসে বাহিরে তাকিয়ে তাকিয়ে এক মনে ভেবে চলছি,, আমার এমন ভাবার মধ্যে দিয়ে হঠাৎ করে হিয়া উৎফুল্লতা সাথে বলে উঠে……

.

—” আরে দোস্ত রিদ খানের সাথে সাথে রিদ খানের বাড়িটাও কিন্তু জোস তাই নারে…..

.

হিয়ার এমন কথায় সহমত পোষণ করে রুহির বলে…..

.

—” হুমম অনেক জোস, বান্দার দম আছে বলতে হবে, কিন্তু রিদ খান বদমেজাজী টাইপের রেরর ব্যাটার কপার কপালে কোনো বউ জোটবে না এটা আমি সিওর, যদিও জুটতো তাহলে সেটা সিওর আমিই হতাম…..

.

রুটির এমন লুচ্চামি কথা ক্ষেপে যায় রুপা, কিন্তু তখনও আমার কোনো ভাবান্তর হলো না আমি চুপচাপ নীর্রব দশকের মতো ওদের কথা গুলো শ্রবণ করে যাচ্ছি, কারণ ওদের সাথে কথা বলার মতো মন মানষিকতা নেই আমার এই মূহুর্তে কারণ আমার মাথায় শুধু ডাইরি কথাটা ঘুরপাক খাচ্ছে, আমার এমন চুপ থাকার মধ্যে দিয়েই রুপা রুহিকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে……

.

—” তোর আর কি সেখানে ছেলে দেখিস সেখানেই বউ হওয়ার ইচ্ছে জাগে তোর সব-কয়টা ছেলেই বউ হয়ে বেড়াস তুই,, তোর এতো তিব্র ইচ্ছা নিয়ে এখনো বাপের
বাড়ি পড়ে আসিস কিভাবে বিয়ে না করে আল্লাহ জানে, আমার তো মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় তোকে আমি হিরো আলমের দ্বিতীয় বউ তোকেই বানিয়ে দেয় পরে, তুই আর হিরো আলমের এক সাথে ছবি তুলবি আর ফেসবুকে ক্যাপশন দিবে আমার নজর টিপ,,

.

রুপার এমন কথায় রুহি নাক মুখ ছিটকে বলে উঠে…

.

—” ছিঃ তুই এত খারাপ,,

.

—” এমা এখানে খারাপে কি আছে তোকে বিয়েই তো দিচ্ছে হিরো আলমের সঙ্গে অন্য কিছু তো নয় তাই না, আর দেখ তুই ফর্সা মানুষ তাই হিরো আলম তোর নজর টিকা হয়ে থাকবে সবসময় তোর আশেপাশে কিরে কি বুলিস তোরা……

.

রুপার এমন ব্যাঙ মূলক কথায় রুহিতন রাগতে থাকলেও বাকি সবাই হু হু করে হেঁসে উঠে, কিন্তু সবার আনন্দের সাথে তাল মিলাতে পারিনি বুকে মধ্যে অজানা কষ্ট চাপা দিয়ে,,,

.
ড্রাইভার চাচা আমাদের সবাইকে যার যার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে উনি যথারীতি চলে যায় খান বাড়ির উদ্দেশ্য, আর আমি আমার হাতে চুরি করা ডাইরিটা নিয়ে চলে আসি আমার রুমে, পরে নীল ডাইরিটা আমার বিছানার উপর রেখে ব্রাথরুমে গিয়ে নিজের চোখে মুখে পানির ছিটা দিয়ে নিজের শান্ত করে রুমে আসি, ডাইরিটা ভিতর কি হয়েছে সেটা জানার জন্য নিজের রুমের দরজা লক করে বিছানার উপর বসে পড়ি ডাইরিটা হাতে নিয়ে……
.

.

.

চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here