দেওয়ানা_(আমার ভালোবাসা) #লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাল মায়া #পর্বঃ_০৭ .

0
399

#দেওয়ানা_(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাল মায়া
#পর্বঃ_০৭
.

🍂
আশিক আমার দিকে এক পলক তাকিয়ে কাকে যেন ফোন করেন বলেন,,,,

—” বস্ ম্যাম নেশা করতে চাচ্ছেন। কোন নেশাটা ভালো হবে সেটা জানতে চাইছন। আমাদেরকে নেশা এনে দিতেও বলছেন বারবার। উনার নাকি ভালোবাসার নেশা লাগবে (একদমে কথাগুলো বলে থামল আশিক)

ফোনের ওপাশ থেকে কি বলল জানিনা আমি। তবে মূহুর্তে আশিকের হাত পা কাপাকাপি শুরু হয়ে গেল। চিকন ঘাম দেখলাম তার ভয়ার্ত মুখে। আশিক অসহায় মুখ করে আমার দিকে এমন ভাবে তাকাল যেন আজ আমার কপালে দুঃখ আছে বিশাল বড়…

গাড়িতে বসে বসে ঝিমুচ্ছি আমি। সেই কখন থেকে গাড়িটি চলছে থামার নামই নিচ্ছে না। আজ বাড়ির রাস্তাটারও বড় বড় লাগছে আমার কাছে অন্য দিনের তুলনায়। হুট করে একেবারে রাস্তা বড় হয়ে গেল কিভাবে? আজব! কই আসার সময় তো এতোবড় লাগেনি রাস্তাটা। তাহলে এখন কেন লাগছে? আমার ভাবনার মাঝেই গাড়িটি এসে থামল একটি বিশাল বড় বিল্ডিংয়ের সামনে। যেখানে বড় বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে ‘খান ইন্ডাস্ট্রি।
গাড়ি থেকে নেমে আশিক, আমার সাইটের দরজা খুলে দেয়। আমি গাড়ি থেকে নামতেই চোখ বড় বড় করে চারপাশে থাকিয়ে, সাথে সাথে প্রশ্ন করলাম আশিককে…

—” আশিক ভাইয়া আমরা এখানে কেন আসলাম? এই আপনারা কি বাড়ির রাস্তা ভুলে গেছেন নাকি? এখন কি হবে আমাদের? আপনার রাস্তা ভুলে গেছেন। আর আমিও বাড়ির রাস্তা চিনি না। এখন আমরা বাসায় যাব কিভাব? আমরা কি এখন গাড়িতে থাকবো. এই আপনার (আশিক) মোবাইল দেন তো দাদাজানকে একটা কল করি। উনি এসে আমাদেরকে নিয়ে যাবেন এখান থেকে, আপনারা টেনশন করবেন না কেমন! আমি আছি তো। ভয় পাবেন না ওকে। দেন ফোনটা দেন।

বলেই হাত বাড়ালাম ফোন নেওয়া জন্য তখনই আশিক ভাইয়া কিছু বলতে যাবে পাশ থেকে কেউ একজন বলে উঠে,,,

—” তোমাকে কে বাঁচাবে? তুমি ওদেকে বাঁচার ঠেকা নিচ্ছ।

আমি চমকে উঠে পাশে তাকালাম, কথা বলার ব্যাক্তিটিকে দেখার জন্য। আরে এই তো সুন্দরপুরুষটা! আমি দৌড়ে তার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলি….

—” এই আপনি এখানেই আছেন। ভালো হয়েছে আপনাকে পেয়ে গেলাম। আসলে আমরা না বাড়ির রাস্তাটার ভুলে গেছি। আর ভুলবশত এখানে এসে পরেছি। আপনি তো আমাদের বাড়িতে যান। রাস্তাটাও মনে আছে নিশ্চয় আপনার, তাই আমাদেকে নিয়ে চলুন না বাড়িতে প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ! (অসহায় ফেস করে),,,

রিদ মায়ের দিকে এক পলক তাকিয়ে মায়ার বডিগার্ডের উদ্দেশ্য করে বলে,,,

—” তোমরা যাও! আমি ওকে নিয়ে যাচ্ছি (গম্ভীর ভাবে)

বাধ্য ছেলেদের মতো আমার বডিগার্ড গুলো সম্মতি জানিয়ে বলে উঠে” ইয়েস বস,,

কথাটা বলেই প্রস্থান করে সাথে সাথে আমাকে একা রেখে। এবার আমার খুব কান্না পাচ্ছে। আমি একা একা বাসায় যাব কিভাবে? এতক্ষণ তো, যাও ভেবে ছিলাম গাড়ির ভিতরে ঘুমাবো। কিন্তু তাও হলো না। আশিক গাড়ি নিয়ে চলে গেল। এখন রাতে কই থাকব ভাবতেই আমার হাত পা ছড়িয়ে কান্না করতে ইচ্ছে করল। আমি কাঁদো কাঁদো ফেস করে উনা দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে চাইলে, উনি আমাকে কিছু বলতে না দিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠে…

—” জাস্ট ফলো মি। এন্ড নো মোর ওয়ার্ডস”

কথাটা বলেই উনি হনহন করে চলে যেতে লাগলেন সামনে দিকে। আর আমি ঠায় ওখানে দাঁড়িয়ে আছি কিছু বুঝতে না পেরে। উনি কিছুটা পথ সামনে হেটে আবারও পিছন ফিরে এসে আকস্মিক ভাবে আমার হাত চেপে ধরে টানতে টানতে উনার সাথে নিয়ে যেতে লাগলেন। বাকরুদ্ধ আমি এবার উনার কাজে ভয় পেয়ে গেলাম। আল্লাহ কি করছেন উনি? আমাকে এভাবে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন নিজের সাথে করে? মাথায় হাজারো প্রশ্ন থাকলেও, মুখে কোনো কথা বলতে পারছি না। কারণ আমি যখন ভীষণ ভয় পায় তখন আমার মুখ চলে না। ভয়ে কারণে আমার মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আমি মূহুর্তেই বোবা হয়ে যায়। যা দারুণ এই মূহুর্তে বোবার ভূমিকা পালন করা আমি।

উনি আমাকে নিয়ে বিল্ডিংয়ের ভিতরে প্রবেশ করতেই, স্টাফরা সবাই দাঁড়িয়ে গেল আমাদের দেখে। অনেকটা হা করা টাইপ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। হয়তো সবাই বোঝার চেষ্টা করছে যে আমি কে হতে পারি? আর উনার সাথে আমার কি সম্পর্ক হতে পারে। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হলো আমি নিজেও বুঝতে পারছি না যে, আমি সত্যিই উনার সাথে কি করছি এখানে? আর কেনই বা সবাই উনার দিকে এতো ভয় ভয় নিয়ে আড়চোখে তাকাচ্ছে? উনি আমাকে নিয়ে সোজা একটা রুমে ভিতরে ঢুকলেন। হয়তো উনার অসিফ কক্ষ হবে। দরজা লক করে আমাকে ছেড়ে দিলেন উনি। আমি নত মস্তিষ্কের দাড়িয়ে আছি উনার সামনে। ফাঁকে আড়চোখে একবার উনার দিকে তাকিয়েছিলাম। কিন্তু চুরি ধরা পরে যায় আমি কারণ আমাদের দুজনের সাথে সাথেই চোখাচোখি হলে গেল। তখন আমি চোখ নামিয়ে নিলেও তিনি আমার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন কপাল কুঁচকে। এবার আমি হাসফাস করে চারপাশে চোখ বুলালাম। আসলে আমি কোথায় আছি বুঝার জন্য। সাথে সাথেই আমার চোখ দুটো ছানাবড়া হয়ে গেল। আল্লাহ এটা কি অফিস রুম? এতটা সুন্দর কেন এই অফিস রুমটা। বিশাল বড় রুম। পরিপাটি রুচিবান আসবাবপত্রে ভরপুর হয়ে আছে। রুমের দেয়ালে সাদা রং করা গোল্ডেন কম্বিনেশনের সাথে। যা দারুন অপূর্ব সুন্দর লাগছে এই রুমটাকে।

রুমের এক পাশে সম্পূর্ণটাই থাই গ্লাসের তার উপর রয়েছে সাদা পর্দা টাঙ্গানো আর অন্য পাশে দেয়ালে ঝুলছে নানান চার্চের প্রিন্টিন আর তার সাথে নিচে সাদা সোফা রয়েছে। তার বিপরীত পাশে সামনে বরাবর রয়েছে বড় কাঁচের টেবিল তার উপরের ল্যাপটপসহ ফাইলস আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা। তার পাশে রয়েছে এক বিশাল বড় বুকসেল্ফ তাতে নানান ফাইল এবং প্রয়োজনীয় বই সাজানো।

যখন রুমটাকে খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছিলাম আমি। তখন পাশ থেকে উনি বলে ওঠেন “পর্যবেক্ষণ করা শেষ। এখন আমাকে দেখা যাবে কি?

আমি উনার কথায় চমকে উনার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বললদম।

—” আপনাকে দেখা জন্য আমাকে ভিতরে আনার কি দরকার ছিল? আমায় বলতেন তাহলে বাহিরে আপনাকে দেখেই চলে যেতাম। আচ্ছা এখনই দেখতে হবে আপনাকে? না মানে পরে দেখলে হবে না।

উনি পকেটের দুই হাত গজিয়ে আমার সামনে স্টং হয়ে দাঁড়িয়ে বলে,,” না এখনই দেখতে হবে, কারণ তোমার চোখে মানুষ কম! মূর্তিই বেশি পরে।

আমি কিছুক্ষণ চুপ থেকে উনাকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে কোন কিছু না বলে উল্টো পথে হেঁটে গিয়ে সোফা সামনের টেবিলে পা ঝুলিয়ে বসে পরে উনাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠি,,,

—“আপনি হলেন একজন অপরাধী, পাপী ব্যক্তি! আপনি প্রকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তাই সেক্ষেত্রে আমি আপনাকে পযবেক্ষন করে নিজেকে অপরাধী বানাতে চাই না বুঝেছেন আপনি,,,,

রিদ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। খানিকটা ভিতর থেকে নড়ে উঠল। তবে কি মায়া তার সম্পকে সবকিছু জেনে গেল যা জন্য তাকে পাপী ব্যক্তি বলে আখ্যায়িত করছে। কিন্তু কিভাবে সম্ভব? রিদ নিজে তো মায়ার কাছে থেকে সবকিছু লুকিয়ে আসছে। তাছাড়া তাই চাইলেও কোনো তথ্য পৌছাবার নয়! তার সকল রাস্তায় বন্ধ করা। মায়া কখনো রিদের কোনো সত্যি মুখোমুখি হতে পারবে না যতক্ষণ রিদ না চাইবে। তাহলে মায়া তাকে পাপী ব্যক্তি কেন বলছে? তার সম্পর্কে কি কোনো কিছু জানতে পেরেছে? কিন্তু কি করে সম্ভব? কেউ কি তার সাথে গেইমস খেলল মায়াকে নিয়ে,,,,, এইসব চিন্তা ভাবনার মধ্যে রিদ মায়াকে কে প্রশ্ন করল,,,

—” পাপী ব্যক্তি কিভাবে হলাম আমি

এবার আমি নড়েচড়ে বসে উনার দিকে তাকিয়ে বলে উঠি…

—” পাপী ব্যক্তিই তো! কেন আপনি জানেন না যে প্রকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করলে তাকে পাপী বলে? আপনি প্রকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করেছেন সে ক্ষেত্রে আপনিও পাপী ব্যক্তি হলেন,,,

তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকাল রিদ কি বলতে চাচ্ছে মায়া তা বুঝার জন্য। রিদ পুনরায় মায়াকে প্রশ্ন করল…

—” কিসের নিয়ম? কিসের পাপী? আর কিসেই বা প্রকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করলাম আমি।

—” দেখুন প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী সৌন্দর্য ভাগ শুধু মেয়েদের জন্য তুলা। কিন্তু আপনি সেই নিয়ম ভঙ্গ করে একেবারে উল্ট দিয়েছেন। আপনি প্রকৃতির সব নিয়ম পিছনে ফেলে সবার থেকে সুন্দর হয়ে গেলেন কেন? ছেলেরা সুন্দর হতে নেই আপনি এটা জানেন না? এটা প্রকৃতি কিছুতেই মেনে নিবেনা। আমিও মেনে নিব না।

তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মায়ার দিকে তাকায় রিদ সুন্দর হওয়া জন্য তাকে পাপী বানিয়ে দিল মেয়েটা। অথচ এই সুন্দর হওয়ার জন্য কত মেয়েই না তার পিছনে পরে থাকে! কত শত মেয়ে তার জন্য পাগল একবার তার সাথে কথা বলার জন্য! কত কিছু করে কিন্তু সে ফিরে তাকায় না। দেখতে চায় না। সেখানে এই মেয়েটা তাকে সুন্দরের দায়ে পাপী সোজা পাপী বলে ঘোষণা করে দিল? এমনই মায়ার বোকা বোকা কথা এবং কাজে তাকে অস্থির করে তুলছে প্রতিনিয়ত। সেই অস্থিরতা কাটানোর জন্য তো রিদ মায়ার সামনে অপরিচিত ভাবে আসতে চায় আসল পরিচয় না দিয়ে। রিদ ভরাট গলায় বলে উঠে…

—” আমি সুন্দর বলে পাপী হলাম কিভাবে? তাছাড়া আমি সুন্দর হলে তুমি কেন মানতে চাও না। সমস্যা কি? (ভ্রুর কুঁচকে)

আমি আমার ওড়নার আঁচলটা টেনে এক আঙ্গুলে প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে উনার দিকে তাকায়। একটা ক্লোজআপ হাসি দিয়ে বলি…

—” আজ তুলা থাক এ প্রশ্নটা। অন্য একদিন এই প্রশ্ন উত্তর দিব কেমন।

বলেই পাশে টেবিলের উপর তাকালাম আমি। চোখে পড়ল একটা চকলেট বক্স। দেখতে দেরি কোলে নিতে দেরি হয়নি চট করে দুই হাত ঝাপটে ধরে কোলে নিয়ে নিলাম। উনার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে মারলাম…

—” আরে আপনিও বুঝি আমার মতো করে চকলেট পছন্দ করেন? এত্ত গুলা চকলেট বুঝি আপনার?

উনি এগিয়ে এসে সোফায় বসলেন। আমাকে তার দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে উনার মুখোমুখি করে বললেন…

—” আমার না তোমার। এসব তোমার জন্যই আনা হয়েছে,,,

আমি নড়েচড়ে চকলেটের বক্সটা উনার দিকে দিতে দিতে বলি…

—” না এগুলো আমি নিবো না। আপনি নিয়ে যান। আমি আমার পরিবার বা আপন জন ছাড়া অন্য কারও থেকে কিছু নেই না। আমার ফ্যামিলি আমাকে শিখিয়েছে অন্যের জিনিস কখনো না নিতে আপন জন ছাড়া। তাই এটা আমি নিতে পারব না সরি,,,

রিদ শুধু হাসলো। যেটা মায়ার চোখে পড়ল না। তারপর আরও একটা প্যাকেট বের করে চকলেট বক্সটার উপর রেখে বলল…

—” এগুলো তোমার দাদাজান তোমার জন্য পাঠিয়েছেন। আমি না! তাই এগুলো নাও।

আমি প্যাকেটগুলো হাতে নিতে নিতে মাথা নাড়লাম যার অর্থ হ্যা নেব। প্যাকেট খুলে হাতে নিয়ে দেখলাম একটাতে চকলেট বক্স! অন্যটাতে মোবাইল ফোন!আমি মোবাইলটা হাতে নিতে নিতে বলে উঠলাম…

—” আরে এটাতো একটা ফোন। আমি ফোন দিয়ে কি করবো? তাছাড়া এই ফোনটা তো বেশ দামী এটা কে দিল দাদাজান,,? কিন্তু দাদাজান তো জানেনা আমার ফোন ভেঙে গেছে যে। ফোনটা তো ভেঙেছেন আপনি তাহলে দাদা জানলো কিভাবে যে আমার ফোন ভেঙে গেছে আমি তো বলি নাই,,, (ফোন দেখতে দেখতে)

—” আমি বলেছিলাম তোমার ফোনটা ভেঙে গেছে তাই দাদাভাই তোমাকে এই ফোনটা কিনে দিয়েছেন। এটা মধ্যে নতুন সিম সেট করা আছে তোমার কিছু করতে হবে না। তোমার আগের সিমটা আপাতত দাদাভাইয়ের কাছেই আছে।

—” ওহ! কিন্তু আমাকে আপনি এখানে কেন নিয়ে আসলেন? কি করবো?

—” তোমার আপতত কাজ নেই। তবে আমার অস্থিরতা কাটাতে তোমাকে নিয়ে আসা (সোজাসাপ্টা উত্তর)
—-“মানে কিসের অস্থিরতা (কৌতূহল বশত)
—” তুমি বুঝবে না

—” আমি সব বুঝি! আমাকে বুঝিয়ে বলুন, আমি সব বুঝবো (ভাব নিয়ে)

—” আগে আমাকে বুঝতে দাও পরে না-হয় তোমাকে বুঝবো।
—” কবে বুঝাবেন?

—” সঠিক সময়টা জানা নেই! কারণ নিজেই তো কিছু বুঝতে পারছি না কেমন সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে আমার। অস্থিরতার টানাপোড়ায় ঠিক মতো নেশাটাও চড়ে না আমার সব কিছুতে বিরক্তি প্রকাশ পাচ্ছে। I’m just bored ম্যান।

উনি কি বলছেন বা কি বুঝাতে চাইছেন তা আমার মাথায় কিছু ঢুকেনি তবে যে শব্দটি ঢুকেছে তা হলো নেশা,, নেশা শব্দটি মাথায় আসতেই ঝটফট উনাকে প্রশ্ন করি..

—” এই আপনার কাছে নেশা হবে? ভালো মানের নেশা কিন্তু।

আমার এমন প্রশ্নে উনার কোনো ভাবান্তর হলো না। যেন উনি জানতেন আমি এমন কিছু উনাকে প্রশ্ন করতে পারি। তাই উনি স্বাভাবিক ভাবেই বলে উঠে
—” কেন কি করবে?

আমি বলি উঠি..

—” কি করবো আবার। অবশ্যই খাব ! নেশা করলে নাকি ভালোবাসার পাওয়া যায়। নেশা নাকি মাথা চেপে ধরে ভালোবাসাকে ডেকে আনে। তাই আমিও নেশা করব। কি দিবেন আমায় নেশা এনে?

আমার কথায় উনি রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে,,,
—” তোমাকে এইসব ফালতু কথা গুলো কে বলেছে?
তখন আমি উনাকে বলি…

—“সাব্বির! সাব্বির ভাইয়া, বলেছে যে ভালোবাসা নাকি নেশা, ভালোবা,,,,,,

আর কিছু বলা হল না আমার। তার আগেই বিকট শব্দে কেঁপে উঠলাম। পাশে তাকিয়ে দেখি দেখলাম ফ্লোরের একটা ফুলের টপ ভেঙ্গে পরে আছে। আর আমার সামনে থাকা ব্যক্তিটি দিকে তাকিয়ে মূহুর্তে আমার ভয় গুলো দ্বিগুণ হয়ে গেল তৎক্ষনাৎ। কারণ উনার চোখ দুটো লাল হয়ে উঠেছিল ততক্ষণে। রাগে সাথে কপালে রগ গুলোও ফুলে উঠেছিল। হাত দুটো মুষ্টি বদ্ধ করে আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি তাক করা। আমি ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়ে একপাশে গিয়ে দাঁড়ায়। কারণ আমার কেন জানি এই রাগটা পূব পরিচিত মনে হচ্ছে। তাই প্রচন্ড ভয় নিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে পরলাম,,,
তখনই উনি চিৎকার করে বলে উঠে…
‘সাব্বিরটা কে বল,,,
আমি ভয়ে কোনো কথা বলতে না পেরে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি আর ভয়ে ফুপাচ্ছিলাম কান্নায়। তিনি আমার কোনো পরিবর্তন না দেখে রেগে তেড়ে এসে জোরে টান দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরেন। আকস্মিক ঘটনায় আমি আরও ভয় পেয়ে গেলাম। আমার মাথা দেয়ালে সাথে খানিকটায় জোরেই ভারি খেল যার ফলে প্রচন্ড ভয়ে আর মাথায় ভারি খাওয়ায় তাল সামলাতে না পেরে টলমল চোখে উনার দিকে তাকিয়ে থেকে আস্তে করে উনার বুকে ঢলে পরি আমি। জ্ঞান হারিয়ে ফেলার জন্য তারপর কি হয়েছে কিছু মনে নেই আমার ,,,,,,

চলবে,,,,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here