দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা) #লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৩৫

2
240

#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৩৫
🍂
—” পিষে ফেলি,,, মেরে দিয়,,, নাকি ট্রেনের নিচে দিব তোকে,,,, বউ বলে ছাড় পেয়ে যাবি তুই,,, আমার কাছ থেকে পালিয়ে যাবি তুই আর আমি বুঝতেও পারব না,,, তোর কি মনে হয় তোর খবর থাকে না আমার কাছে,,, পালিয়ে বাঁচতে পারবি আমার কাছ থেকে সবকিছু এত সোজা হুমম,,,

.

উনার কথা শুনে কলিজা কেঁপে ওঠে আমার,, উনি কিভাবে জানতে পারলো যে আমি আজকে চট্টগ্রাম চলে যাচ্ছি তাও একেবারে জন্য,,, আমার পরিবারে কেউ তো উনার (রিদ) পরিবারের সাথে কিছু বলেনি এ বিষয়ে যে আমি চট্টগ্রাম যাব,,, আর আমার মনে কি প্লেয়িং চলছে মানে আমি যে একেবারে জন্য চট্টগ্রাম ভাইয়া কাছে চলে যাচ্ছি সেটা তো আমি কারও সাথে বলিনি কোনো কিছু,,, এমনকি ভাইয়া সাথেও না, যে আমি তার কাছে একেবারে জন্য যাচ্ছি,,, সব গুলো কথা তো আমার পেটে ভিতরই ছিল তাহলে,,,, উনি কি করে জানলো সবটা,,,,

.

আমার এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝেই উনার আমার গালে চেপে ধরা হাতটা, গাল থেকে ছাড়িয়ে শক্ত হাতে মাথার হিজাবের ওপর দিয়ে আমার চুল টেনে ধরে তার একদম কাছে নিয়ে আসে,, তার নিশ্বাস আমার সারা মুখে আছরে পড়ছে,, আমার আর উনার দ্রুতটা এক ইঞ্চও হবে না,,, উনি আমার মুখে দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে ভ্রু কুঁচকে বললো,,,,

.

—” ভাইয়ের কাছে যাবি তাই না,,, একটা কাজ করি তোর সাথে সাথে তোর ভাইয়কেও মেরে দেয় আমি,,, তারপর তোর পরিবারকেও,, মুক্তি চাই না তোর নে সবকটাকে এক সাথে মুক্তি দিয়ে দেয়,,, কি বলিস ভালো হবে না,,, আমার কাছে কিন্তুু দারুণ মনে হচ্ছে,,, আর এটার হেডলাইন কি হবে জানিস,,, ” বউ তার স্বামীকে মুক্তি দিতে গিয়ে সহ পরিবার নিয়ে মৃত্যুবরণ করে , এই নিয়ে শোকাহত তার স্বামী রিদ খান,,, দারুণ হবে বিষয়টা,,,,

.

বলেই আমাকে ছেড়ে দিয়ে আমার সিটের সামনে টেবিলে বসে পরে পা ঝুলিয়ে,,, নিজের হাতে থাকা বন্ধুকটা দিয়ে একবার কপাল চুকলিয়ে বাঁকা চোখে আমার দিকে তাকায়,, তারপর সাথে সাথে আমার দিকে আবারও বন্ধুকটা টাক করে গুলি করা জন্য,,,,
আমি উনার এমন কাজে ভয়ে দুহাত দিয়ে নিজের মুখ চেপে ধরে হিচকি তুলে কান্না করছি,, কারণ এছাড়া আমার আর কিছু করার নেই,, কিছু বললে আমার সাথে সাথে আমার পরিবারকেও মেরে দিবেন উনি,,,, আমার জন্য আমার পরিবারের কিছু হোক তা আমি চাই না,,,, কিন্তুু আমার আব্বু তো আমার সাথে ছিল,, আব্বু এখনো আসছে না কেন,,, উনি আমার আব্বু সাথে কিছু করেনি তো,,, আব্বু কথা মনে আসতেই ঝটপট করে মুখে থেকে হাতটা সরিয়ে কান্না করতে করতে বলে উঠি,,,,

.

—” আব্বু যাব,,, আব্বু কই,, আমার আব্বু কোথায়,,,,?

.

আমার কথায় উনি খানিকটা আদুরে সুরের বলে উঠে….

.

—” আমার সোনা আব্বু যাবে আহা,,, কিন্তুু আমার শশুর না তার মেয়েকে তার গুনধর জামাই কাছে রেখেই একা নিজের বাড়ি চলে গেছে,,,৷ কেমন না বিষয়টা, কই আমাকে জামাই আদর করবে তা-না নিজেই একা চলে গেল,,,, যাকগে আরে হা মনে পরেছে,, কিছুক্ষন আগে আমি নিজেই তো বাড়ি যাওয়ার জন্য আমার ড্রাইবার কে দিয়ে পাঠালাম আমার শশুড়কে,,,,

.

বলেই আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে, আমাকে কান্না করতে দেখে বিরক্তি নিয়ে আসিফের দিকে তাকায় উনি,,,, পরে উনি খিটখিটে মেজাজ আসিফ কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,,,,,,,

.

—” আসিফ বউ আটকানো কোনো পদ্ধতি আছে তোর কাছে,,, তাকালে ঝটপট বলতো,,, বউ আমার দুই দিন পরপর খালি পালাতে চাই আমার থেকে,,, আর বউকে গিয়ে আটকাতে হয় আমার,,, দুই পর পর এ প্যারা ভালো লাগে,,, আমার বউ যাতে আটকাতে পারি পারমানেন্টলি,, তোর কাছে এমন কোনো পদ্ধতি জানা আছে তাকলে বল,, যদি না থাকে তো বউ এর সাথে সাথে তোকেও মারবো গুলি করে হারামী,,, দুই দিন পরপর এই প্যারা আর ভালো লাগছে না আমার,,,, কিহল বল,,, (ধমক দিয়ে)

.

উনার ধমকে আসিফ ভয়ে কাচুমাচু করতে করতে আস্তে করে বললো…..

.

—” ভাই ভাবিকে জিজ্ঞেস করেন না যে ভাবি কি চাই,,,
এমনটা কেন করছে,,,,

.

আসিফ কথায় উনি যেন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে,,, পরে ধমক সুরে বলে উঠে…..

.

—” হারামীবাচ্চা আমার বউ বললে, তোকে আমি জিজ্ঞেসা করতাম নাকি,, তুই বল আমার বউ কি চাই,,,,

.

উনার কথায় আসিফ একটা শুকনো ঢুক গিলে চোখ দুটো ছোট ছোট করে উনার দিকে একবার তাকিয়ে আবার মায়ার দিকে তাকাচ্ছে,,, আসিফ যে অদ্ভুত ভাবে ফেঁসে গেছে সেটা ভালোই বুঝতে পারছে,,,, এখন যদি উনাকে আমার বিষয়ে কিছু না বলে তাহলে উনার গুলি মরতে হবে আসিফকে,,, আর যদি বলে তো কি বলবে সে নিজেই আমাকে কয়েকবার দেখেছে মাত্র,,, এ মূহুর্তে উনাকে কি বলবে কিছুই বুঝে উঠে পারছে না তাই খানিকটা থেমে আমতা আমতা করে বলে উঠে,,,,

.

—” ভাই ভাবি মনে হয় ভালোবাসা চাই আপনার কাছ থেকে,,,, ভাবিকে ভালোবাসা দিয়ে আটকানো যাবে,,,,

.

আসিফ কথায় উনি খানিকটা নড়েচড়ে ওঠে আমার দিকে তাকিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠে,,,,,

.

—-” ভালবাসা চাই তোমার তাই তো,,, ঠিক আছে দিব তোমাকে ভালোবাসা,,, আসিফ তোর ভাবির জন্য একটা হানিমুন সুইয়িট ভোগ করতো কাল যাব তোর ভাবিকে নিয়ে হানিমুনে,,,

.

উনি উনার কথা শেষ করে বন্ধুকটা নামায় আমার মাথা থেকে আমি তখনো অঝোর ধারা কান্না করেই চলছি,,, আর উনার থেকে পালানোর জন্য রাস্তা খুঁজছি,,,, আমার এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝে উনি শক্ত হাতে আমার একহাত চেপে ধরেই নিজের মতো করে টেনে নিয়ে যেতে লাগলেন,,,, উনার গাড়ির সামনে এসে গাড়ির পেছনের দরজা খুলে একটা প্রকার ছুড়ে মারে আমায় গাড়ির ভিতরে,,,, আমি গাড়ি ভিতরে হুমড়ি খেয়ে পড়লাম উপুড় হয়ে,,, উনিও আমার সাথেই বসেছেন পিছনে কিন্তুু খানিকটা দুরে,,, আমি ঐ অবস্থা কান্না করতে লাগলাম না উঠে বসে,,,,

.

.

.

🍁
রিদের নিজ বাংলোতে এনেছে মায়াকে,,, এখানের একটা রুমে বন্দী করে রেখে ওকে রিদ,,,, মায়া ফ্লোরে বসে দু হাটুতে মাথা গজিয়ে কান্না করেই চলছে সেই কখন থেকে,,, কারও পায়ে শব্দ পেয়ে মাথা তুলে তাকায় সে ব্যাক্তিটা দিকে,,, চোখের সামনে রিদকে দেখে মায়া আবারও নিজের মতো করে কান্না করতে লাগে নিজের মাথা ঠেকিয়ে,,,, রিদ মায়ার সামনে কিছুটা দূরে একটা চেয়ার টেনে বসে পরে,,,, পরে কোনো রকম ভনিতা ছাড়ায় হালকা চিন্তিত সুরে বলে উঠে,,,,,

—” বউ তুমি বাসর বুঝ তো,, আসলে এটা আমার ফাস্ট বাসর তাই অনেকটা নার্ভাস আমি,,, জীবনের এই প্রথম আহ্রমাদ রিদ খান, কোনো বিষয়ে নার্ভাস বুঝেছো,,, তুমি আমার সাথে কম্পমাইজ করো কেমন,,, তার আগে বলো তুমি বাসর বুঝ তো,,, হুম,,

.

রিদের কথায় মায়া কান্না করতে করতে মাথা নাড়িয়ে সুমতি জানা যার অর্থ সে জানে,, বাসর মানে কি,,,
মায়ার মাথা নাড়ানো দেখে রিদ কপাল কুচকে বললো,,,,,

.

—” তাই সব জানো,, গুড,, আমার জন্য তাহলে ভালোই হলো,, তারপরও ডাউট হচ্ছে তোমাকে নিয়ে, ভালোবাসা বুঝ না বাসর বুঝ হুম,,, যাই হোক এখন বলো কিভাবে শুরু করা যায়,, আচ্ছা লাইটা কি অফ করতে হবে,,, এটা থাকলে হবে না,,, লাইটটা অফ করলে কেমন জানি দেখা যায় তাই না,,, (নার্ভাস হয়ে চিন্তা সুরে) আচ্ছা কোথায় থেকে শুরু করবো সেটাই তো বুঝতে পারছি না,, আর যাই হোক বাসরটা তো করতে হবে তাই না,,,,,তুমি বলো তো কি করা যায়,,, (নার্ভাস হয়ে হাত পা নাড়াতে নাড়াতে)

.

রিদের কথায় মায়া চোখ তুলে রিদের দিকে তাকায় পরে ডানহাত উল্টো পিঠে নিজের নাক মুছে কান্না জরিত কন্ঠে বললো,,,,,

.

—” বাসর করতে পারবো না তো আপনার সাথে,,,, (নাক টেনে টেনে)

.

মায়ার কথায় সন্দেহ দৃষ্টিতে মায়ার দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে…….

.

—” কেন করতে পারবে না তুমি,,, আমার কোনো আপত্তি না থাকলে তোমার সমস্যা কোথায়,,, আর তোমার কি পারসোনাল কোনো সমস্যা আছে নাকি,,,, এই তুমি মেয়ে তো,,,? আমি কিন্তুু খাটি পুরুষ,,,( তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে)

.

মায়ার রিদের কথা কিছু বুঝতে না পেরে কিছুক্ষন রিদের দিকে তাকিয়ে থেকে নিজের মতো করে বলে উঠে,,,,

.

—” কিভাবে করবো বাসর,, আমাদের বাসর রাত তো চলে গেছে আট মাস আগে,,, বিয়ে প্রথম রাতেই তো ছিল বাসর রাত,,, এখন যদি আবার বাসর রাত আনতে হয় তাহলে তো আবারও বিয়ে করতে হবে আমাকে,, নয়তো আর বাসর রাত আনতে পারবো না তো,,,

.

মায়ার বোকা কথায় রিদের সন্দেহ দৃষ্টিটা আরও ঘাড় হয়ে আসে,,, পরে সন্দেহ দৃষ্টিতেই মায়াকে প্রশ্ন করে উঠে…….

.

—” তোমাকে কে বললো যে বিয়ের প্রথম রাত ছাড়া আর বাসর করা সম্ভব না হুম,,,, আর তুমি বাসর বলতে কি বুঝ বলো তো একটু,,,,

.

রিদের কথায় মায়া নিজের মতো করে বলে উঠে,,,,

.

—” বুঝিতো সব বুঝি আমি,,, আমাদের পাশের বাড়ির ভাবি বলেছে সব আমাকে,,,

—” সেটাই কি বলেছে শুনি….(রিদ)

.

—” স্বামীর সব কথা শুনতে হয়, স্বামী যা বলবে তাই করতে হয়,,, আর বাসর ঘরে ঢুকে একটা বড় বিড়ালও মারতে হয়,,, আর সেটা বিয়ে প্রথম রাত ছাড়া তো সম্ভব না,,,, আমি তো ছেয়েই ছিলাম একটা বড় বিড়াল মারতে কিন্তুু আপনিই তো মারতে দেন নি আমাকে,,, (নাক টেনে টেনে)

.

মায়ার কথায় শুনে হতবাক হয়ে যায় রিদ,, বলে কি এই মেয়ে এটাকে বাসর বলে নাকি,, এই মেয়ে সবসময় উল্টোটা বুঝে,,,, রিদ নিজেকে শান্ত করতে একটা বড় নিশ্বাস নেয় পরে নিজেকে শান্ত করে স্বাভাবিক কন্ঠে বলে উঠে,,,,,,

.

—” সেই, বিড়াল মারতে হবে আমাকে,,, কোথাকার বিড়াল কোথায় নিয়ে গেলে,,, সবিই কপাল যা জানার দরকার তাতো তোমার শিক্ষার প্রয়োজন পরে না কখনোই,,,, কিন্তুু বাসর তো আমাকে করতেই হবে নয়তো বউ আটকাবো কি করে আমি,,,

.

রিদ খানিকটা থেমে আবারও বললো…..

.

—” আচ্ছা তোমাকে কিছু করতে হবে না,,, তুমি শুধু ভয় পাওনা কেমন,,, সাথে চুপ করে থাকবে কেমন,,, এবার কাছে এসো,,, (হাতে ইশারা করে)

.

রিদের ইশারা পেয়ে মায়া ভয়ে সিটিয়ে যায়, পরে নিজের মাথাটা নিচু করে ফেলে কিন্তু টায় জায়গায় বসে থাকে,,,, রিদ মায়ার নড়চড় না দেখে ধমক দিয়ে বলে উঠে,,,,,

.

—” তুমি কি আমার কাছে আসবে নাকি আমি গুলি করবো তোমাকে কোনটা,,,,

.

রিদের ধমক পেয়ে মায়া কান্না বেগ আরও বেড়ে গেল পরে কান্না করতে করতে উঠে এসেছে রিদের দিকে আগায় গুটি গুটি পায়ে,,,, মায়া রিদ এর সামনে এসে দাড়াতেই রিদ একবার মায়াকে ওপর থেকে নিচ পযন্ত চোখ বলাই,,, রিদ অনেকটাই নার্ভাস, আর এই নার্ভাসের কারণে হাত দুটো ঠান্ডা হয়ে আচ্ছে মূহুর্তের,, জীবনের প্রথম রিদ এতটা নার্ভাস,,, যা জীবনে প্রথম খুন করতেও হয়নি,,, কিন্তুু আজ হচ্ছে ভিষণ ভাবে হচ্ছে,,,, বুকটা তার ধুকপুক শব্দ তুলে বাজছে রীতিমত,,, নিজেকে প্রচন্ড দুর্বল মনে হচ্ছে মায়ার সামনে,,,,

.

রিদ মায়ার দিকে এক কদম এগিয়ে আসে পরে কাপা কাঁপা হাতে মায়ার গাল স্পর্শ করে, রিদের মনে সাথে সাথে শরীরেরও কারেন্ট বয়ে যায় মূহুর্তে,,, রিদ চমকে উঠে সাথে সাথে নিজের হাতটা সরিয়ে নেয় মায়ার গাল থেকে,,, আগে অনেক বার রিদ মায়াকে অনেক ভাবেই
ছুঁয়েছে কিন্তুু কখনো নিজের মাঝে এত উত্তেজনা কাজ করেনি তাহলে আজ কেন করছে,,, আগে তার বউকে খারাপ ভাবে ছুয়নি বলে,,, আজ সেই ভাবে ছুঁয়েছে বলে এমন উত্তেজনা কাজ করছে তার,,,, রিদ মায়ার দিকে কিছুক্ষন আহাম্মকে মতো তাকিয়ে থেকে নার্ভাস হয়ে তাড়া দিয়ে বললো,,,,,,,

.

—” চোখ বন্ধ করো তাড়াতাড়ি,,,,

রিদের কথায় কান্না অফ করে তার দিকে উল্টো চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে তাকে,,, আসলে রিদ কি বলতে চাইছে বা কি করতে চাইছে তাই বুঝার চেষ্টা করছে মায়া,,,,, রিদ মায়া চোখ বড় বড় করা দেখে খানিকটা রেগে বললো,,,,

.

—” সেই,,,, তোমাকে চোখ বন্ধ করতে বললে উল্টো চোখ বড় হয়ে যায় তোমার,,,, বাসর বুঝ না আবার বাসর করতে এসেছো তুমি,,, যাও তোমার সাথে আমার কোনো বাসর হবে না,,, সব ক্যান্সেল, সব মানে সব, হানিমুনও ক্যান্সেল

.

বলেই এক প্রকার পালিয়ে যায় রিদ মায়ার থেকে,,, বাসরের বিষয়টা এড়িয়ে যেতে দ্রুত রুমটা ত্যাগ করে,,,, এ মূহুর্তে রিদ নিজেকে পাগল পাগল লাগছে,,, সে একটা মেয়ে সামনে এতটা দুর্বল হয়ে যাবে সেটা কখনোই ভাবেনি,,, তাকে এ মূহুর্তে প্রচন্ড অস্থিরতা ভুগতে হচ্ছে,,,, ভালোবাসা থাকলে বাসর করা যায়,,, কিন্তুু ভালোবাসা ছাড়া তা ইম্পসিবল,,,, তাই সে মায়াকে আটকানো জন্য অন্য কোনো পথে অবলম্বন করবে তবুও এই পথ না,,,,,,,

চলবে……

2 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here