রাত্রীপ্রিয়া #পর্বঃ১১ লেখনীতেঃ #সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী

0
89

#রাত্রীপ্রিয়া

#পর্বঃ১১

লেখনীতেঃ #সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী

“আর বলো না। সায়মন ভাই ফোন করে কফি চাইলো, এক মগ। আমি রান্না ঘরে যাচ্ছি, আপু।”

“আমি আসবো? অচেনা জায়গায় তুই একা একা ভয় পাবি না তো আবার?”

“তোমার এখন কষ্ট করে উঠতে হবে না। তুমি ঘুমাও,আপু। আমার একদমই ভয় করছে না।”

পায়েল আর কিচ্ছুটি বললো না। আর এক মুহূর্ত সময় ব্যয় না করে, রাত্রীপ্রিয়া চলে গেলো রান্না ঘরে।

পায়েল সেদিকে উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। ততক্ষণাৎ তার অবাধ্য মনে একটুখানি ইচ্ছে জাগলো। তার খুব করে বলতে ইচ্ছে করলো,

“সায়মন ভাইয়ের কফিটা আমি নিয়ে যাই, রাত্রী। তুই যাসনে। তুই ঘুমিয়ে পড়।”

নিজের মনের ভাবনায় নিজেই খানিকটা লজ্জা পেলো, পায়েল। ছি! কি কথা। রাত্রী শুনলে কি ভাববে? ভাগ্যিস মনে’র কথা মানুষ শুনতে পায় না। নয়তো এক্ষুণি লজ্জায় পড়ে যেতো, পায়েল। পরমুহূর্তেই নিজের মন’কে কঠিন ভাবে শাসিয়ে চোখ বন্ধ করলো, মেয়েটা। চোখের পাতায় ভেসে উঠলো, সায়মন ভাইয়ের হাসি-হাসি মুখটা। আনমনে হাসলো, পায়েল। নিশি রজনী’তে সে হাসি দৃষ্টিগোচর হলো না কারো।
.
.
মাথায় আধহাত ঘোমটা টেনে, ধোঁয়া ওঠা কফির মগ হাতে নিয়ে গুটিগুটি পায়ে ছাদের দিকে এগিয়ে গেলো রাত্রীপ্রিয়া। সিঁড়ির ধাপ পেরিয়ে ছাদের দরজার কাছাকাছি যেতেই নাকে ভেসে আসলো পরিচিত কড়া পারফিউমে’র সেই ঘ্রাণ। এই পারফিউমে’র ঘ্রাণ তার খুব পরিচিত। মুহুর্তেই ব্যাপারটা খটকা লাগলো তার। সায়মন ভাই তার সাথে চিট করেছে না তো আবার? ব্যাপারটা ক্লিয়ার হতে পা টিপেটিপে ছাদের দরজায় গিয়ে উঁকি দিলো, রাত্রী। ছাদে হালকা রঙিন আলোয় সবকিছু স্পষ্ট। বড়সড় ছাদটা সম্পূর্ণ ফাঁকা। কোথাও কেউ নেই। তবুও মেয়েটার ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় জানান দিচ্ছে, এখানে তার নেতা সাহেব রয়েছে। বাঁকা হাসলো, রাত্রীপ্রিয়া । লুকিয়ে লুকিয়ে তাকে ধরতে চাইছে, লোকটা? ধর’তো আজ দিবেই না রাত্রী। তাই দ্রুত ওখান থেকে সরে গেলো। উল্টো দিকে ঘুরে, নিচে যাওয়ার জন্য পা চালালো। সিঁড়ির কয়েক ধাপ পেরিয়ে যেতেই নিজের হাতে টান অনুভব করলো, রাত্রীপ্রিয়া। শক্ত এক পুরুষালী হাত তাকে ছুঁয়ে দিলো অবলীলায়। থেমে গেলো মেয়েটার বাড়ন্ত পা জোড়া। এই ছোঁয়া তার ভীষণ পরিচিত। তাই টুঁ-শব্দটিও করলো না মেয়েটা।

তান্মধ্যে পুরুষটি তার কাছাকাছি চলে আসলো। এক হাতে কায়দা করে কফির মগটা শক্ত করে ধরলো, অন্য হাতে মেয়েটির কোমড় জড়িয়ে নিজের আরো কাছে নিয়ে আসলো। অতঃপর ফিসফিস করে পুরুষটি শুধালো,

“এবার পালাবে কোথায় তুমি, সুন্দরী? সানাম চৌধুরী’র হাত থেকে পালানো কি এতোটাই সহজ… তুমি মেয়ে যতবার পালানোর চেষ্টা করবে, আমি ঠিক ততবার তোমায় আমার কাছাকাছি নিয়ে আসবো। আমার হাত থেকে ইহজন্মমে তোমার নিস্তার নেই, মেয়ে। অযথা পালানোর এই বৃথা চেষ্টা করো না। তার থেকে বরং তুমি আমার সঙ্গ দেও, দু’জন মিলে আজকের রাতটা এনজয় করি।”

রাত্রীপ্রিয়া ফুঁসে উঠলো। ততক্ষণাৎ চাপা ক্রোধ নিয়ে নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বললো,

“আপনি একদম আমায় ছোঁবেন না। ছাড়ুন আমায়। ছাড়ুন বলছি। আমার ধারে কাছেও কখনো ঘেঁষবেন না, আপনি। আপনি ভীষণ খারাপ লোক। তখন আমায় কি কি বলছেন, সব মনে আছে আমার। সবববব!”

সানাম চৌধুরী হাতের বাঁধন আরো শক্ত করলো। মাথা ঝুঁকে মুখ ডুবালো রাত্রীপ্রিয়া’র ঘাড়ে। মেয়েটার আধহাত ঘোমটা’টা সরে গেলো। উদাম হয়ে আসলো পিঠ। প্রেয়সীর খোলা পিঠে একবার ঠোঁট ছুঁয়ে আদুরে কণ্ঠে সানাম চৌধুরী শুধালো,

“তোমাকে কখনো ছাড়বো বলে এই হাত ধরিনি, মনোহরণী। কবুল পড়ে একবার এই হাত ধরেছি যখন মরার আগ অবধি ছাড়ছি না। আজীবন ভালোবাসা’র চাদরে মুড়িয়ে রাখবো তোমায় বক্ষ-পিঞ্জিরায়।
বুঝলে, মনোহরণী! তোমার সঙ্গে এখনো আমার অনেক বোঝাপড়া বাকি।
তোমার হাতে-হাত রেখে, পায়ের সাথে পা মিলিয়ে গোটা দুনিয়া দেখা বাকি। তোমার সাথে বৃদ্ধ হওয়া বাকি। এতো এতো অপূর্ণতা বুকে পুষে তোমায় কি করে ছাড়ি, বলতো?”

“এ্যাই… এ্যাই! আপনি একদম আমার সাথে ঢঙ করবেন না। আপনি আমায় ছাড়ুন নয়তো আমি চেঁচাবো। লোক জড়ো করবো।”

সানাম মৃদু চৌধুরী হাসলো। রাগিণী প্রিয়তমা’কে নিজের দিকে জোর করে ঘুরিয়ে চোখে-মুখে, ঠোঁটে পরপর চুমু খেলো। তারপর বাঁকা হেসে শুধালো,

“এই যে আমি তোমাকে চুমু খেলাম। এবার তুমি চেঁচিয়ে, লোক জড়ো করে বলো দেও। মন্ত্রী সানাম চৌধুরী, আমাকে নিশি রাতে একা পেয়ে চুমু খেয়েছে। এক্কেবারে হ’ট চুমু!
এ্যাই, বউ। তুমি চাইলে আমি তোমায় মাইক ভাড়া করে দিবো। এতে তোমার বলতে সুবিধা হবে। দেশবাসী সবাই ভালো করে শুনতে পাবে।”

রাত্রীপ্রিয়া’র কান গরম হয়ে গেলো, লজ্জায়। মেয়েটা নিজের কথায় নিজেই ফেঁ’সে গেলো। ঠিকই তো, লোক চেঁচিয়ে কি বলতো সে? সানাম চৌধুরী তাকে চুমু খেয়েছে, জড়িয়ে ধরেছে, এগুলো? ছিঁ, ছিঁ! কি লজ্জা! কি লজ্জাজনক কথা! তীব্র লজ্জায় নুয়ে পড়ললো মেয়েটা। মেয়েটাকে আরো একটু লজ্জা দিতে নেতা সাহেব ভাবুক ভঙ্গিতে পুনরায় বললো,

“আচ্ছা, জান! এক কাজ করো, তুমি ক্যানভাস করে পাড়া পাড়ায় রটিয়ে দেও, গোটা দুনিয়া’কে জানিয়ে দেও। এ্যাই সানাম চৌধুরী একজন চরিএহীন পুরুষ। মেয়েরা এর থেকে সবাই সাবধান।
এতে আমারই বিশেষ সুবিধা হবে, পরনারীর কু-দৃষ্টি থেকে নিজের জান-মান, ইজ্জত হেফাজতে রইলো।”

রাত্রীপ্রিয়া নিজের কানে হাত চেপে বললো,

“আপনি একটু চুপ করুন, প্লিজ চুপ করুন।”

“আচ্ছা, চুপ করবো। একবার শক্ত করে খানিকক্ষণ জড়িয়ে ধরো আমায়। সারাদিন খুব জ্বা’লি’য়ে’ছো। এবার আমায় শান্ত করো। প্লিজ!
একবার বুকে কান পেতে শোনো, বউ! আমার এই তৃষ্ণার্ত বুক তোমার গভীর আলিঙ্গন চায়।”

“বয়কট! বয়কট! বয়কট করলাম আপনার আলিঙ্গন’কে। আপনি খুব বি’শ্রী ভাবে আমায় উপস্থাপন করেছেন। জানেন,আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। আপনি তো জানেন, আমি অমন মেয়ে নয়। তখন বোয়ালখালীতে ব্যাপারটা হয়ে গিয়েছে। আপনি ভালো ভাবে বললেই পারতেন।”

“স্যরি, বউ!”

“কিসের স্যরি? স্যরি বললেই কি সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়? আপনি যে বিনা-কারণে আমায় এভাবে এতোগুলা বাজে কথা শুনালেন, একথা আমি ইহজন্মেও ভুলবো না। এই দাগটা আমার মনের কোথাও না কোথাও রয়েই যাবে। আরেহ্! আপনার হক নষ্ট হবে বলে আমি পরপুরুষের দিকে ভালো করে তাকাই না পর্যন্ত, সেখান শরীর দেখানো বিলাসীতা মাত্র! এটা আপনার বোঝা উচিত ছিলো।”

বলতে বলতে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো, রাত্রীপ্রিয়া। অভিমানে মুখ ঘুরিয়ে নিলো অন্য দিকে। সানাম চৌধুরী ততক্ষণাৎ তাকে পাঁজা কোলে উঠালো। আকস্মিক ঘটনায় হকচকিয়ে গেলো মেয়েটা। নিজের শরীরের ভারসাম্য রাখতে ততক্ষণাৎ এক হাতে সানামের গলা জড়িয়ে ধরলো। ডান হাতের কফির মগটি একফাঁকে সিঁড়ির উপর নামিয়ে রেখেছিলো, সানাম। নয়তো এক্ষুণি গায়ে পড়তো তার। সানাম চৌধুরী ওভাবেই ধীরপায়ে ছাদে’র দিকে এগুলো। অভিমানী প্রেয়সীর মুখোপানে তাকিয়ে কোমল কণ্ঠে শুধালো,

“সব কথা মনে রাখতে নেই, বউ। একটু বেশীই ভালোবাসি তো তোমায়। তাই, তোমার দিকে কেউ বাজে ইঙ্গিতে তাকালে, জাস্ট বুকে লাগে। তুমি কেন নিজের প্রতি এতোটা উদাসীন হলে, বউ?
ওরা তোমায় খুব বাজে ভাবে দেখছিলো। লালসার দৃষ্টি বুলিয়েছে তোমার সারা গায়। পুরুষ হয়ে ওদের মন পড়ে নিতে আমার খুব একটা সময় লাগেনি। তখন মাথাটাই গরম হয়ে গেছিলো। তাই, খুব বাজে ভাবে রিয়েক্ট করে ফেলছি। সকালে’র ওই ব্যাপারটার জন্য আমি ভীষণ লজ্জিত। স্যরি, জান! আমার একদম এমনটা করা উচিত হয়নি। এইযে কানে ধরেছি। আর এমনটা হবে না।”

রাত্রীপ্রিয়া’র কান্না থামলো। তার এতক্ষণে’র মান-অভিমান মিলে গেলো। এবার সে বুঝে গিয়েছে, হঠাৎ নেতা সাহেবে’র এতো রাগের কারণ। নিজের কাজের জন্য নিজেও লজ্জিত মেয়েটা। তবুও উনার কথায় এতো তাড়াতাড়ি গলে যাওয়া যাবে না। অভিমান, রাগ চালিয়ে যেতেই হবে। রাত্রীপ্রিয়া মুখ গোমড়া করে অন্য দিকেই তাকিয়ে রইলো। সানাম চৌধুরী আলতো হাসলো। গুটিগুটি পায়ে হেঁটে ছাদের মাঝ বরাবর দাঁড়ালো। রাত্রী’কে কোল থেকে নামিয়ে নিজের পাশে দাঁড় করালো। এরপর বউয়ের গাল ছুঁয়ে মোলায়েম কণ্ঠে ডাকলো,

“বউ…!”

“হুঁ!”

“এখনো রেগে আছো?”

“হুঁ!”

“একটু শোনো… শান্ত হও! আমার কথাটি শোনো?”

“কি?”

“ভালোবাসি।”

“জানা কথা।”

“প্রেমে পড়েছি।”

“কার?”

সানাম চৌধুরী আলগোছে প্রিয়তমা’কে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো, “তোমার।”

“সে আর নতুন কি।”

“উঁহু। এই প্রেম একদম নতুন।”

“ওমা! একটা মানুষের প্রেমে নতুন করে কতবার পড়া যায়?”

“তা জানি না। তবে, আমার তো রোজ রোজ নতুন করে তোমার প্রেমে পড়তে ইচ্ছে হয়।
রোজ রোজ তোমাকে জড়িয়ে, ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়।
বেলীফুলের তীব্র গন্ধ, তোমার চুলে খুঁজতে ইচ্ছে হয়। কাঠগোলাপের অলস মায়া, তোমার ঐ চোখে দেখতে ইচ্ছে হয়। আরো কতো কি ইচ্ছে হয়। ভালোবাসি, ভালোবাসি রোজ রোজ নতুন ভাবে বলার ইচ্ছে হয়।”

“মিথ্যে।”

“উঁহু! সত্যিই বলছি…..
এটা কোনো রুপকথা নয়, মন ভুলানো গল্প নয়।
আবারও বলছি….
আমার এই অবুঝ হৃদয়, শুধু তোমাতে অদৃশ্য হয়, তোমাতে আ’স’ক্ত হয়, তোমাতে বি’লু’প্ত হয়, তোমাতে নিঃ’স্ব হয়! তাই আমার রোজ রোজ তোমাকে চাই। এই জীবনের শেষে, অন্য জীবনের শুরুতেও যেন তোমাকে পাই। শতবার, শতকোটি বছরের জন্য আমার তোমাকে চাই।”

রাত্রীপ্রিয়া তার সকল মান-অভিমান দূরে সরিয়ে শক্ত হাতে জড়িয়ে ধরলো তার নেতা সাহেব’কে। এই মানুষটার সাথে কি রাগ করে থাকা যায়? একদমই যায় না। সমান চৌধুরী’ও তার সঙ্গ দিলো। মৃদু স্বরে পুনরায় জানতে চাইলো,

“রাগ কমেছে, বউ?”

“উঁহু, কমেনি।”

“তাহলে আর কি কি করলে রাগ কমবে আমার বউটার? শুনি?”

রাত্রীপ্রিয়া চটজলদি তাকে ছেড়ে দিলো। হাত ধরে বললো,

“চলুন আমার সঙ্গে।”

সানাম চৌধুরী বিনাবাক্যে প্রেয়সীর পায়ের সাথে পা মেলালো। রাত্রীপ্রিয়া তাকে নিয়ে গেলো ছাদের অন্য প্রান্তে। এখানে সুন্দর একটা সুইমিংপুল রয়েছে। রাত্রীপ্রিয়া হাসিমুখে দ্রুত সুইমিংপুলের উপর উঠে পানিতে পা ডুবিয়ে, আয়েশ করে বসলো। তারপর নেতা সাহেব’কে গম্ভীর কণ্ঠে বললো,

“আমার পাশে এসে বসুন। এভাবে বসে, সারারাত জড়িয়ে ধরে থাকুন আমায়। তাহলেই আমার রাগ কমবে।”

সানাম চৌধুরী ফিক করে হেসে ফেললো। হাসলো রাত্রীপ্রিয়া ও। অতঃপর নেতা সাহেব, সুড়সুড় করে বউয়ের পাশে বসে নিজেও পা ডুবালো পানিতে। রাত্রীপ্রিয়া মাথা রাখলো স্বামীর বিশ্বাস্ত কাঁধে। তাকে আলগোছে জড়িয়ে ধরলো, সানাম চৌধুরী। এভাবে কেটে গেলো অনেকটা সময়। হঠাৎ করে রাত্রীপ্রিয়া বললো,

“ঘুম পাচ্ছে আমার?”

“ঘুমাও। আমি তোমায় পাহারা দিচ্ছি।”

“আপনার কষ্ট হচ্ছে না? চলুন, রুমে যাই।”

“পাশে সুখ থাকলে,কষ্টরা কি ভাবে ছুঁয়ে দিবে আমায়? তুমি আমার ব্যক্তিগত সুখ!
তুমি পাশাপাশি থাকলে কষ্টরা আমায় ছুঁতে পারে না,জান। এভাবে আমার বরং ভালোই লাগছে। তুমি ঘুমাও, আমি জেগে আছি।”

রাত্রীপ্রিয়া আর কথা বাড়ালো না। তার সত্যিই ভীষণ ঘুম পাচ্ছে। যা দেখে সানাম চৌধুরী ওখান থেকে উঠে দাঁড়ালো। রাত্রী’কে নিয়েব এবার দোলনায় বসলো। যাতে মেয়েটার ঘুমাতে সুবিধা হয়। দোলনাটা বেশ বড়সড়। সানাম চৌধুরী বসলো এক পাশে। অন্য পাশে, তার কোলে মাথা রেখে গুটিশুটি মেরে শুয়ে পড়লো, রাত্রীপ্রিয়া। আদুরে হাতে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো, সানাম চৌধুরী।

চলবে……

[আসসালামু আলাইকুম! সবাইকে মাহে-রমজানের শুভেচ্ছা। ইয়া বড় এক পর্ব দিয়েছি। সবাই রেসপন্স করবেন। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here